এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

সঙ্গীতপ্রীয় গাধা

 সঙ্গীতপ্রীয় গাধা


একজন ধোপার একটি গাধা ছিল। গাধার নাম ছিল—উদ্ধত। সারা দিন সে কাপড়ের গাঁঠা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টেনে নিয়ে যেত। ধোপা ছিল খুব কৃপণ এবং নির্দয়। সে কখনোই তার গাধার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করত না। রাত হলে গাধাকে ছেড়ে দিত—যেদিকে খুশি ঘুরে বেড়াও, খাও-দাও। কাছাকাছি তেমন কোন খাবারেরে প্রাপ্যতা ছিল না। ফলে গাধার শরীর দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।


এক রাতে সেই দুর্বল গাধার দেখা হয় এক বুদ্ধিমান শিয়ালের সঙ্গে। শিয়ালটি জিজ্ঞেস করল, “কী হাল মহাশয়, আপনি এত শুকনো আর দুর্বল কেন?” গাধাটি দুঃখে গলা ভার করে বলল, “সারা দিন খেটে চলি, মালিক কিছু খেতে দেয় না। রাত হলে অন্ধকারে এদিক-ওদিক ঘুরে কিছু খুঁজে খাই। তাই এই দশা।”


শিয়াল হেসে বলল, “ভাই, এবার তোমার কষ্টের দিন শেষ। এখান থেকে একটু দূরে একটা বড় সবজির বাগান আছে। সেখানে কী নেই! শসা, টমেটো, কাঁকরোল, গাজর, মুলা, শালগম, বেগুন—সবই আছে। আমি বাগানে ঢোকার একটা গোপন রাস্তা বানিয়ে নিয়েছি। প্রতিদিন রাতে ঢুকে গিয়ে পেটপুরে খাই, শরীরটাও বেশ শক্তপোক্ত হয়েছে। তুমিও আমার সঙ্গে এসো।”


এই কথা শুনে গাধার মুখে জল এসে গেল। সে আর দেরি করল না, সঙ্গে সঙ্গেই শিয়ালের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ল।


বাগানে ঢুকে গাধা বহুদিন পর মন ভরে খাবার খায়। তারা পুরো রাত বাগানে কাটিয়ে ভোর হওয়ার আগেই শিয়াল জঙ্গলে চলে যায়, আর গাধা ফিরে আসে ধোপার কাছে। এরপর প্রতিদিন তারা একসঙ্গে বাগানে গিয়ে দারুণ খায়। কিছুদিনের মধ্যেই গাধার গায়ে মাংস আসতে শুরু করে। তার গা চকচক করতে থাকে, হাঁটায় আনন্দ ফিরে আসে। সে যেন আগেকার কষ্ট ভুলে যায়।


একদিন রাতে পেটপুরে খাওয়ার পর গাধার মন খুব খুশি হয়ে ওঠে। সে মাথা নাড়ে, কান ঝাঁকায়, আর বলল, “আজ আমার মন গান করার জন্য মন আনচান করছে। খাওয়ার পর গান না হলে চলে!”


শিয়াল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, “কি বলছো ভাই! এই বাগানে? যেখানে আমরা চুরি করে খাচ্ছি? যদি কেউ শুনে ফেলে?”


গাধা চোখ বন্ধ করে মুগ্ধ গলায় বলল, “না না, আজ আমি আমার ‘ঢ্যাঁচু রাগ’ গাইবই! গান না গাওয়া মানে খাবারের অসম্মান।”


শিয়াল কাঁপতে কাঁপতে বলল, “ভাই, আমি গান-বাজনা বুঝি না। আমি শুধু জানি কীভাবে বাঁচতে হয়। প্লিজ, গান গেয়ো না। ধরা পড়ে যাব।”


গাধা রেগে গিয়ে বলল, “তুমি গাঁইয়া শিয়াল । তোমার গান সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। আমরা গাধারা শুদ্ধ সুরে গান গাই, সেটা তোমার মতো গুবরে বুঝবে না।”


শিয়াল তখন চালাকী করে বলল, “ভাই, আমি তো ভুল করেই ফেলেছি। তুমি তো একেবারে সঙ্গীতসম্রাট! আমি এখনই ফুলের মালা নিয়ে আসি তোমার গলার জন্য। তুমি আমার যাওয়ার দশ মিনিট পর গাইতে শুরু করো, আমি মালা নিয়ে ফিরে আসব।”


গাধা খুশি হয়ে মাথা নাড়ল। শিয়াল সোজা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেল।


কিছুক্ষণ পর গাধা চোখ বন্ধ করে শুরু করল জোরে জোরে ‘ঢ্যাঁচু’ গান করা। তার আওয়াজে বাগানের সব কেয়ারটেকার জেগে গেল। হাতে লাঠি নিয়ে তারা গাধার দিকে ছুটে এল। গাধাকে দেখে একজন বলল, “এই তো সেই গাধা, যে প্রতিদিন আমাদের সবজি খেয়ে যাচ্ছে!”


এরপর সবাই মিলে গাধাকে বেশ উত্তম মধ্যম দিল ।  অবশেষে গাধাটি খোঁড়াতে খোঁড়াতে ধোপার কাছে ফিরল । 


গল্পের শিক্ষা

“বোকারা বোঝে না তারা আসলেই বোকা । বরং যারা তাদের মঙ্গল চায়, তাদের সাথেও তর্ক করে বিপদে পড়ে । ”

 #niosnews #motivationalstories #motivationalpost #InspirationalStory #inspiration #motivationalsotry #inspirationalquotes #motivation #motivationalwords #inspirational #motivationalstory #motivationalquotes

কোন মন্তব্য নেই:

নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন।  নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন।  মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে...