এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

নারীদের জরায়ুতে সিস্ট কেন হয়, লক্ষণ ও করণীয় ঃ

 নারীদের জরায়ুতে সিস্ট কেন হয়, লক্ষণ ও করণীয় ঃ

====================================


জরায়ুর সিস্ট বা ফোঁড়া বর্তমানে একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। নারী স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক সময় অবিবাহিত কিশোরীরাও এই সমস্যায় ভুগে থাকে। 


ওভারি বা ডিম্বাশয় হচ্ছে জরায়ুর দুই পাশে অবস্থিত দুটি ছোট গ্রন্থি, যা থেকে নারীদের হরমোন নিঃসরণ হয় এবং ডিম্বাণু পরিস্ফুটন হয়। ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


 ওভারিয়ান সিস্ট হলো ওভারিতে পানিপূর্ণ থলে। ঋতুবতী মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সিস্ট দেখা যায়। ওভারিয়ান সিস্ট অনেক রকম হয়ে থাকে, সবচেয়ে বেশি হয় সিম্পল বা ফাংশনাল সিস্ট। ওভারি থেকে কোনো কারণে ডিম্বস্ফুটন না হলে অথবা ডিম্বস্ফুটন হওয়ার পরও ফলিকলগুলো চুপসে না গেলে সিস্ট তৈরি হতে পারে। ফাংশনাল সিস্ট ছাড়াও ওভারিতে আরও অনেক রকম সিস্ট হতে পারে, যেমন;


পলিসিস্টিক ওভারি : 

অনেক দিন ধরে ক্রমাগত ডিম্বস্ফুটন না হলে ওভারিতে ফলিকলগুলো জমতে থাকে। এর সংখ্যা ১০ বা এর অধিক হলে পলিসিস্টিক ওভারি বলা হয়।


এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট : 

এই সিস্ট থাকলে মাসিকের সময় অনেক পেইন হয় এবং রোগী বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগে থাকে।


ডারময়েড সিস্ট : 

এটি এক ধরনের ওভারিয়ান টিউমার, যাতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গের মতো টিস্যু থাকে। শুনতে অবাক লাগবে, কিন্তু এ ধরনের সিস্টে থাকতে পারে দাঁত, চুল ইত্যাদিও।


ওভারিয়ান সিস্ট রোগের কারণ

=======================

অনিয়মিত যৌন জীবন, হরমোনের সমস্যা, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কারণে সিস্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান নেওয়ার কারণেও এ সমস্যা হতে পারে।


 কিছু সিস্ট আছে, যা ক্যান্সারিয়াস (ম্যালিগন্যান্ট) হয়। সাধারণ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এ রোগ প্রকাশ পায়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে তার আগে আমাদের সিস্ট হওয়ার লক্ষণগুলো জানতে হবে।


 এই রোগের লক্ষণ-

===============

 অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাসিকের সময় মারাত্মক ব্যথা, তলপেট ফুলে যাওয়া, ব্যথা প্রস্রাবে সমস্যা, বমিভাব, সিস্টের ইনফেকশন, তলপেটে ব্যথার সঙ্গে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে যদি ক্যান্সার দেখা দেয় তা হলে ওজন কমে যাবে।


 ওভারিতে সিস্ট দেখা দিলে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ওভারিয়ান সিস্ট হলে পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়াও হয়ে থাকে। এই রোগ হলে পিঠে চাপ পড়ে এবং তা থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এ কারণে থাইয়ে ব্যথা অনুভব করে থাকেন।


 চিকিৎসা

=========

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ে করা এবং সন্তান নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


যদি বংশে কারও সিস্ট থাকে, তবে ঝুঁকি বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে সন্তান গ্রহণের পর ডিম্বাশয় ফেলে দেওয়া যেতে পারে।


মেয়েদের মাসিকের সময় ওভারি থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামে দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলো মাসিকের পর্দার ওপরে কাজ করে। ঠিক এই হরমোনগুলোই এন্ডোমেট্রিওসিসের স্পটের ওপরে কাজ করে। এক্ষেত্রে ওরাল পিলে যে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন আসে সেটিই এন্ডোমেট্রিওসিসের স্পটের ওপরে কাজ করে। ফলে ওভারি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, সেটি মাসিকের পর্দার ওপরেই ঠিকমতো কাজ করে। তাই অবিবাহিত কিশোরীকে ওরাল পিল দিলে ভয়ের কিছু নেই। আর বিয়ের পর যদি বাচ্চা নিতে না চান, সেক্ষত্রেও ওরাল পিল ভালো কাজ করবে। একই সঙ্গে দুটি কাজ করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...