সম্মানিত আগ্রহী বীমা গ্রাহক, সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশনের (জীবীক) পক্ষ হতে আপনাকে জানাই সুস্বাগতম্। সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন, বীমা করলে বেশ কতিপয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তিন কিস্তি বীমা স্কীম, বহু কিস্তি বীমা, পেনশন বীমা, শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, শিশু নিরাপত্তা বীমা, ট্রিপল প্রটেকশন বীমা, প্রবাসী কল্যাণ বীমা, Fixed Deposit Scheme ইত্যাদি…….
জীবন বীমা কর্পোরেশন (জীবীক) সম্পূর্ণরূপে সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, তেমনি জীবন বীমা কর্পোরেশনও। তাই জীবন বীমা কর্পোরেশনে অর্থ সঞ্চয় করা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। জীবন বীমা হলো জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ ও মেয়াদি চুক্তি।
আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মানুষের জীবনের মূল্য ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ ৩০ লক্ষ ৫০ লক্ষ বা ১ কোটি টাকা নয়, প্রতিটি মানুষের মূল্য-অমূল্য অর্থাৎ মূল্য দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। তবে যার যার সদিচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বীমা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। আপনি স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী নিজে বীমা স্কীম গ্রহন করুন এবং পাশাপাশি আপনার প্রিয়জনদের সরকারি জীবন বীমা উপহার দিন।
সরকারি জীবন বীমায় বিনিয়োগ সবচাইতে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বিনিয়োগ। আপনার ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি, জায়গা-জমি, সঞ্চয়পত্র, ফিক্সড ডিপোজিট, ব্যাংক ব্যালেন্স এসব নিয়ে আলোচনায় আসে, কিন্তু বীমায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন এটা কোন আলোচনায় আসে না। সরকারি জীবন বীমায় বীমা অংক বিভিন্ন মেয়াদে ৫ লক্ষ- ১০ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে ০১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
সরকারি জীবন বীমা করলে, যারা আয়কর প্রদান করেন, প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫% আয়কর মওকুফ, জীবনের ঝুঁকি গ্রহণসহ কতিপয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০/- ২৫,০০০/- জমা দিয়ে জীবীকের কতিপয় বীমা স্কীমে কোটিপতি বা তদুর্ধ আনলিমিটেড বীমা স্কীম সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রহন করতে পারবেন। সেইসাথে পাচ্ছেন এক কিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিয়ে কোটি টাকা বা তদুর্ধ রিক্স কাভারেজ, প্রতিবছর টেক্স রিবেট, যা ব্যাংকে রাখলে রিক্স কাভারেজ ও টেক্স রিবেট পাবেন না। নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও বার্ধক্যে পারিবারিক সুরক্ষা-নিরাপত্তা। তিন বছর বীমা চালানোর পর বীমা একাউন্ট হতে প্রয়োজনে ৭০% - ৯০% পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। বীমা স্কীমগুলো হচ্ছে- ১. তিন কিস্তি বীমা ২. বহু কিস্তি বীমা, ৩. পেনশন বীমা, ৪. মেয়াদী বীমা, ৫. শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, ৬. শিশু নিরাপত্তা বীমা ইত্যাদি। এছাড়াও Fixed Deposit Scheme বা “একক প্রিমিয়াম পলিসি” তালিকা ১৭ রয়েছে, এতে বীমা গ্রাহক জীবনের ঝুঁকি নিরাপত্তাসহ ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। এ বীমাতে ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৫০ লক্ষ, ১ কোটি, ২ কোটি বা আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
আমাদের ৩০ প্রকারের অধিক বীমা স্কীম রয়েছে। ১ দিনের শিশু থেকে শুরু করে ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ অনায়াসে সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা করতে পারবেন।
উদাহরণঃ
======
উদাহরণ স্বরূপঃ পেনশন বীমা স্কীম, তালিকা নং ৬০; ৩৪ বা ৩৫ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ১৯,০০০/- হতে ২০,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ৫৫ বছর বয়সে এককালীন পাবেন প্রায় ১ কোটি ০৫ লক্ষ টাকা অথবা প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন, যা ৫৫ বছর বয়স হতে পর্যায়ক্রমে ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদের জন্য মাসিক পেনশন নিতে পারবেন। ১,২০,০০০/- টাকা প্রতি মাসে পেনশন পেলে ২০ বছরে মোট পাবেন ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির সময় বোনাস রেইট বাড়লে এককালীন টাকা অথবা মাসিক পেনশন আরো বেশি পাবেন। এ মাসিক পেনশন আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে অটোমেটিক ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এককিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিলে বীমা ঝুঁকি ১ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আর্থিক নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার জন্য পেনশন বীমা স্কীম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীমা আরম্ভকালীন বয়স ২০-৬০ বছর। মাসিক পেনশন প্রাপ্তির বয়স শুরু ৫৫-৬৫ বছর হতে। শুধুমাত্র ব্যবসায়ী ও বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এই বীমা গ্রহণ করবেন তা নয়, সরকারি কর্মকর্তাগণও এই বীমা স্কীম গ্রহন করতে পারবেন। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।
উদাহরণ স্বরূপঃ তিন কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৫; তিন কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৫০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২৪,০০০/- হতে ২৫,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ১৮ বা ২১ বছর মেয়াদে ৪৮/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি টাকা। যা আপনাকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা এবং মেয়াদান্তে ৬/৭ বছর পরে পাবেন বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। তিন কিস্তি বীমায় ১ম কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । বীমা আরম্ভের বয়স ২০ হতে ৫০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ কোন ব্যাক্তির বয়স ৫০ বছর পার হয়ে গেলে আর উক্ত বীমা গ্রহন করতে পারবেন না। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।
উদাহরণ স্বরূপঃ বহু কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৬, বহু কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৮০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২২,০০০/- হতে ২৪,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ২০ বছর মেয়াদে ৫০/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ+ টাকা। যা আপনাকে ৮ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রথম ৪ বছর পরে পাবেন ৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ২ বছর পর পর পাবেন ৫ লক্ষ টাকা করে এবং মেয়াদান্তে বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বার বার কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । । বীমা আরম্ভের বয়স ২০-৫০ বছর। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।
উদাহরণ স্বরূপঃ শিশু নিরাপত্তা বীমা, তালিকা ০৯, এই বীমা পরিকল্পনা যুগ্মভাবে প্রিমিয়ামদাতা (পিতা/মাতা) ও শিশুর জীবনের উপর দেয়া হয়। শিশুর মেয়াদ-পূর্তিকালীন বয়স ১৮ হতে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই বীমা সর্বনিম্ন ৬ মাস শিশুর জন্য নেয়া যেতে পারে এবং ৮ থেকে ২৪ বছর মেয়াদের । যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যু হয় তাহলে মৃত্যুর দিন থেকে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত দেয় প্রিমিয়াম মওকুফ হয়ে যায়। এক কোটি টাকার বীমা মূল্যের জন্য বার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকা হারে মৃত্যুকাল হতে শুরু করে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত এবং মেয়াদান্তে এক কোটি টাকা+ অর্পিত বোনাসসহ বীমার সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করা হয়। যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে তালিকা অনুসারে বীমার টাকা প্রিমিয়ামদাতাকে দেওয়া হয়। এ শিশু নিরাপত্তা বীমাটি মূলতঃ ডাবল ডিফেন্স বীমা , অর্থাৎ শিশু ও শিশুর অভিবাবক উভয়ের সুরক্ষা বীমা। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।
বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন। এ দেশের নাগরিক শুধুমাত্র ঢাকা জেলা বা ঢাকায় অবস্থানকারী হতে হবে, তা নয়; সমগ্র বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত হতে অথবা বিদেশ হতেও অনায়াসে আমাদের মতিঝিল শাখায় বীমা করতে পারবেন। আমাদের মতিঝিল শাখা, ঢাকায় বীমা করতে আগ্রহী হলে ১. এনআইডি অনুযায়ী আপনার নাম, ২. জন্ম তারিখ এবং ৩. আপনার পেশা, ৪. কর্মস্থল ও ৫. মাসিক বা ষান্মাসিক (প্রতি ৬ মাসে) কত টাকা সঞ্চয় করতে আগ্রহী তা 01749108456, এ WhatsApp নাম্বারে sms দিয়ে উল্লেখ করুন। আমরা আপনার জন্য উপযুক্ত সম্ভাব্য একটি বা দুইটি বীমা স্কীম পাঠাবো যা হতে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং উপযুক্ত বীমা স্কীমটি গ্রহণ করতে পারবেন।
সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন এর লক্ষ্যমাত্রা- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১ বছরের শিশু হতে শুরু করে ৬২ বছরের সকল ব্যক্তিকে পর্যায়ক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা সেবার আওতায় নিয়ে আসা; যাতে করে প্রতিটি মানুষের জীবন-যাপনে নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার আওতাধীন থাকে।
উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে জীবন বীমা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বাংলাদেশে জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবা ও বিপদে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করুন।
ধন্যবাদান্তে-
মানস আচার্য (অপু)।
০১৭৪৯১০৮৪৫৬, ০১৬০১৩২১৪৬৫,
ই-মেইলঃ jbc.jibanbima.bd@gmail.com
জীবন বীমা কর্পোরেশন
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, জীবীক মতিঝিল ব্রাঞ্চ ৬৭০,
১১৫-১২০ বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা ১০০০।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন