এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়" — একটি রম্য রচনা

 "বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়"

— একটি রম্য রচনা


বিয়ে একটা ইনস্টিটিউশন। কেউ কেউ বলেন, এটা একটা পবিত্র বন্ধন। আমি বলি, এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে তোমার মেজাজ, সহ্যশক্তি, মনোসংযোগ— সবকিছুর পরীক্ষা হয় রোজ রোজ।


বিয়ের পর পুরুষটা বুঝতে পারে, ওর শব্দভান্ডারে 'হ্যাঁ সোনা,বেবী, ওগো কিগো', 'তুমি ঠিক বলছো', আর 'আমি দুঃখিত'— এই তিনটা বাক্যই আসল অস্ত্র। আর মহিলারা? তারা বুঝে যায়, সংসার চালাতে গেলে রান্নার চেয়ে বেশি জরুরি হলো কানের জোর আর মুখের গতি।


একবার বউ বলল,

– “তুমি কখনো আমার কথা মন দিয়ে শোনো না।”

আমি চমকে বললাম,

– “তা আমি এখন কী করছি!”

সে বলল,

– “তুমি তো জানোই না, আমি কী বলেছি!”

আমি বললাম,

– “তাই তো! তুমি আবার বলো!”

সে বলল,

– “না, এখন বলব না। যখন দরকার হবে, তখন বলব, আর তখন না শুনলে কেলেঙ্কারি হবে।”


এই হলো বিবাহ নামক ধাঁধাঁর এক কোণা। বাকি কোণাগুলো আরও ভয়ানক।


সপ্তাহে একদিন রুটি খাওয়ার কথা বললে, সে বোঝে তুমি তাকে রান্না থেকে অব্যাহতি দিতে চাইছো না— তুমি তাকে উপেক্ষা করছো। আর যদি বলো, “চলো বাইরে খেতে যাই”— সে বলে, “মানে তোমার মনে হচ্ছে আমার রান্না ভালো না?”


বিবাহিত জীবন মানে হলো— প্রতিদিন সকালবেলা একটা যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, আর রাতে সেই যুদ্ধের রিপোর্ট লেখা।


আমার বন্ধু বলেছিল,

– “বউয়ের সঙ্গে তর্ক করিস না, কারণ শেষ পর্যন্ত যদি তুই জিতেও যাস, হারতে তোকেই হবে।”

আমি হেসে বললাম,

– “তাহলে তর্ক করি কেন?”

সে বলল,

– “কারণ, আমরা তো মানুষ… বোকা নই!”


সংসারে প্রেম থাকে না বললে ভুল হবে। প্রেম থাকে, তবে সেটা চা খাওয়ার সময় শেষ বিস্কুট কে খাবে তা নিয়ে। ভালোবাসা থাকে, কিন্তু সেটা কে রিমোট কন্ট্রোল ধরবে তা নিয়ে।


আর একটা কথা, কেউ যদি বলে, “ওদের কখনো ঝগড়া হয় না”— বুঝে নাও, ওরা কথা বলে না।


তাই বলি, বিবাহ হলো এক চিরন্তন নাটক, যেখানে দুজন প্রধান চরিত্র সারাজীবন চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজেদের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অন্যজনকে পরিচালনা করতে। তবে শেষ পর্যন্ত গল্পটা মিষ্টি হয়— যদি কেউ একজন অভিনয় করতে জানে, আর অন্যজন সহ্য করতে।


" অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছিলেন- ম্যারেজ ইজ এ পারমানেন্ট ডিসএগ্রিমেন্ট,,,,মানে স্থায়ী একটা মতের অমিল।


স্বামী আর স্ত্রীর মতের মিল হলে, বিবাহিত জীবনের সমস্ত স্বাদই চলে গেল।

সেই দাম্পত্য জীবন আলুনি তরকারির মতো। চিনি আর দুধ ছাড়া চায়ের মতো। লেজ- কাটা বেড়ালের মতো। গোঁফ - কামানো বাঘের মতো। শব্দহীন ঝরনার মতো। নিঃশব্দ হাটের মতো। ফ্যাঁস আর ফোঁস এই হল দাম্পত্য জীবন।

আমি ফ্যাঁস করব, তিনি ফোঁস করবেন। লাগাতার খিচিমিচিরের নাম বিয়ে। কি বড়, কি ছোট জীবনের যে- কোন ব্যাপারে   দুজনের দুরকম মত।

কোন বিশ্বসংস্থার ক্ষমতা নেই সেখানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার। "


‌------সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়


একদম! নিচে আরও মজাদার, খাঁটি রম্য রচনার ঢংয়ে "বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়" সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব দিলাম—


"বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়: দ্বিতীয় বর্ষের সিলেবাস"


প্রথম বর্ষে স্বামী শিখে যায়, স্ত্রীর কথায় মাথা নাড়ানোই সর্বোত্তম জ্ঞান।

দ্বিতীয় বর্ষে এসে সে বুঝে যায়, কবে কোন কথায় নাড়াতে হবে, আর কবে চুপ করে থাকা শ্রেয়।


স্ত্রী জিজ্ঞেস করল,

– “আমি মোটা হয়ে গেছি?”

স্বামী জানে, এটা প্রশ্ন নয়— এটা একটা মাইনফিল্ড।

সে যদি বলে, “না, একদম না”— স্ত্রী বলবে, “তুমি খেয়ালই করো না আমি কত কষ্টে ডায়েট করি!”

আর যদি বলে, “হ্যাঁ”— তাহলে পরের দুই সপ্তাহের চা ছাড়া!


সংসার হলো এক অলিম্পিক খেলা—

“তর্কবাজি, মানভাঙানো, কাপ ধোওয়া ও রিমোট দখল”— এই চার ইভেন্টে স্বামী-স্ত্রী প্রতিদিন গলা ছেঁড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করে।


আর সন্তান থাকলে, সে হয় “ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং”-এর অংশ।

কার কোলে ঘুমাবে, কার পাশে বসে খাবে, কে তাকে গল্প শোনাবে— এসব নিয়ে প্রতিদিনই সংসারে রণভেরি।


একদিন সকালে আমি হালকা মন খারাপে বললাম,

– “ঘরে একটু শান্তি চাই।”

স্ত্রী বলল,

– “বাহ! তুমি কি ডিভোর্স চাও?”

আমি বললাম,

– “না মানে একটু টিভির আওয়াজ কমাও।”

সে বলল,

– “তুমি আবার আমাকে দোষ দিচ্ছো!”


এই হলো বিবাহিত জীবনের কেমিস্ট্রি। যেখানে H2O মানে পানি না— মানে হলো "হ্যাঁ হুজুর ও ওগো"।


তবুও, দিনের শেষে যখন দু’জনে একসাথে খেতে বসি, ছেলেমেয়েরা পাশে খেলে— তখন বুঝি, এই “ঝগড়া-ঝাটি সংসার”টাই আসলে সবচেয়ে শান্তির জায়গা।

তবুও মাঝে মাঝে রিমোটটা আমার হলে ভালো হতো!

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...