এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।

 ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।


ধানের অন্যতম শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং। এটি কারেন্ট পোকা নামেও পরিচিত। এগুলোর গায়ের রঙ বাদামী বা গাঁড় বাদামী হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক পোকা লম্বা ও খাটো দু' ধরনের হয়ে থাকে। এগুলোর দেহ খুবই নরম এবং স্ত্রী পোকার পেট পুরুষ অপেক্ষা বেশি বড়। পূর্ণবয়স্ক পোকা ৩.৫ থেকে ৫.০ মিঃ মিঃ লম্বা হয়ে থাকে। লম্বা পাখা বিশিষ্ট পূর্ণবয়স্ক বাদামী ফড়িং গুলো প্রথমে ধান ক্ষেতে আক্রমণ করে। এরা পাতার খোলে এবং পাতার মধ্য শিরায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৭ থেকে ৯ দিন সময় লাগে। বাচ্চা গুলো ৫ বার খোলস বদলায় এবং পূর্ণবয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে ১৩ থেকে ১৫ দিন সময় নেয়।


জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমন:


*পোকার বংশবৃদ্ধি কম থাকতেই জৈবিক দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। 


* আক্রান্ত জমির পানি ৭-৮ দিনের জন্য সরিয়ে ফেলতে হবে। 


* আক্রমণ প্রবণ এলাকায় প্রতিরোধী জাত যেমন ব্রি ধান-২৮, ৩৩, ৩৫, বিনা ধান-৭ চাষ করা। 


* ধান গাছ হাত দিয়ে ভাগ-ভাগ করে ফাঁকা করে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া। 


* আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ না করা। 

আক্রমণ প্রবণ এলাকায় ২৫ সেমি দূরে-দূরে চারা রোপন করতে হবে। 


* সর্বোপরি আলোর ফাঁদ ব্যাবহার করে জমিতে হাঁস ছেড়ে দেওয়া, ক্ষেতে ডালপালা পুঁতে বা জমিতে উপকারী পোকার আক্রমণ বাড়ানো।


রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা:


শতকরা ৫০ ভাগ ধান গাছে ২-৪টি ডিমওয়ালা স্ত্রী পোকা অথবা ১০টি বাচ্চা পোকা প্রতি গোছায় পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা। যেমন: আইসোপ্রোকার্ব গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মিপসিন বা সপসিন ২.৬ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা । ( ১০ লিটার পানিতে ২৬ গ্রাম মিপসিন বা সপসিন মেশালে ৫ শতাংশ জমি স্প্রে করা যাবে।) অথবা পাইমেট্রোজিন+নিটেনপাইরাম জাতীয় কীটনাশক ( যেমন- পাইরাজিন, হপারশট, পাইটাফ, প্লেনাম ইত্যাদি) অথবা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ইমিটাফ ১২৫ মিলি/ হেক্টর (০.২৫ মিলি/ লি) হারে বা ইমপেল (০.৫ মিলি/ লি) হারে অথবা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ক্লাসিক ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছের গোঁড়ায় স্প্রে করা। বাদামী গাছ ফড়িং গাছের গোঁড়ায় থাকে এ জন্য স্প্রে দ্বারা গাছে কীটনাশক ঔষধ ছিটানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়া ভালো ভাবে ভিজেয়ে স্প্রে করতে হবে।


করনীয়:


১। যে সব এলাকায় সব সময় বাদামী গাছফড়িং এর উপদ্রব হয় সে সব এলাকায় তাড়াতাড়ি পাকে ( যেমন: বিনাধান-৭ বা ব্রি ধান৩৩ ) এমন জাতের ধান চাষ করুন । 


২। চারা থেকে চারা ৩০ সে.মি ও লাইন থেকে লাইন ৪০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগান। 


৩। জমিতে সুষম পরিমাণে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহারের জন্য এনপিকে গুটি প্রয়োগ করুন ।


৪। ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...