এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের নিয়ম,,,,,

 পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের নিয়ম


কাবা শরিফ তাওয়াফ করা হজ ও ওমরার অন্যতম রোকন। হজ ও ওমরার তাওয়াফ ছাড়াও সারা বছর কাবা শরিফ তাওয়াফ করা অনেক বড় সাওয়াবের কাজ। আল্লাহ তাআলা শুধু তাওয়াফকারীদের জন্য প্রতিদিন ৬০টি রহমত বর্ষণ করেন। 

হাদিস শরীফে এসেছে-‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহ শরিফের ওপর ১২০টি রহমত নাজিল করেন। এ ১২০টি রহমতের মধ্যে শুধু তাওয়াফকারীদের জন্যই ৬০টি রহমত নির্ধারিত।’


তাওয়াফের রয়েছে কিছু নিয়ম ও ধারাবাহিকতা। তাওয়াফের সময় তা পালন করাও জরুরি। তাওয়াফ শুরুর উদ্দেশ্যে তালবিয়া পাঠ করতে করতে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত যাওয়া।


হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা। এখানে এসে অনেকে এভাবে তাওয়াফের নিয়ত করেন


-اَللهُمَّ اِنِّى اُرِيْدُ طَوَافَ بَيْتِكَ الْحَرَامِ سَبْعَةَ اَشْوَاطٍ قَيَسِّرْهُ لِىْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّىْ


‘অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার ঘর সাতবার প্রদক্ষিণে তাওয়াফ করার ইচ্ছা করছি। আমার জন্য তাওয়াফকে সহজ করে দেন এবং আমার তাওয়াফ কবুল করেন।‘


অতঃপর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে- بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر (বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার) বলে তাওয়াফ শুরু করা।


মুলতাজেমে দোয়াহাজরে আসওয়াদ ও কাবা শরিফে দরজা মধ্যবর্তী স্থান মুলতাজেম। এ স্থান অতিক্রম করার সময় পড়া-


اَللَّهُمَّ اِيْمَنًا بِكَ و تَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَ اِتِّبَعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّم


মাকামে ইবরাহিম অতিক্রম করার সময় এ দোয়া পড়া


اَللهُمَّ اِنَّ هَذَا الْبَيْتَ بَيْتُكَ وَالْحَرَامَ حَرَمُكَ وَالْاَمْنَ اَمْنُكَ وَ هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِبِكَ مِنَ النَّارِ فَأَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ


মিজাবে রহমতে পাঠ করার দোয়া

মিজাবে রহমত তথা রোকনে ইরাকি থেকে হাতিমে কাবা অতিক্রম করার সময় এ দোয়া পড়া-


اَللهُمَّ اَظِلَّنِىْ تَحْتَ ظِلِّ عَرْشِكَ يَوْمَ لَا ظِلَّ اِلّا ظِلُّكُ وَ لَا بَاقِىَ اِلَّا وَجْهُكَ وَاسْقِنِىْ مِنْ حَوْضِ نَبِيْكَ مُحَمَّدٍ شَرْبَةً هَنِيْئَةً لًّا اَظْمَأُ بَعْدَهَا اَبَدَا


রোকনে শামি অতিক্রম করার সময়,  শামি থেকে রোকনে ইয়ামেনির দিকে যাওয়ার সময় এ দোয়া পড়া


-اَللهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّكِّ وَ الشِّرْكِ وَ الشِّقَاقِ وَ النِّفَاقِ وَ سُوْءِ الْاَجْلَاقِ وَ سُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِى الْاَهْلِ وَالْمَالِ وَ الْوَلَدِ


অতঃপর রোকনে ইয়ামেনিতে পৌছেই এ দোয়া পড়া-


اَللهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَ الْفَاقَةِ وَ مَوَاقِفِ الْخِزْىِ فِىْ الدُّنْيَا وَالْاَخِرَةِ


অতঃপর সম্ভব হলে রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করা। সম্ভব না হলে দু’হাত কাধ পর্যন্ত ওঠিয়ে সেদিকে ইশারা করে সামনে চলা এবং এ দোয়া পড়া


-رَبَّنَا اَتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِى الْاَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ – يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ – يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ


এভাবে হাজরে আসওয়াদ যাওয়া পর্যন্ত এক চক্কর বা প্রদক্ষিণ সম্পন্ন হবে। এ নিয়মে ৭ চক্কর কিংবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এক তাওয়াফ। এ ছাড়াও হাদিসের অন্যান্য দোয়াগুলোও পড়া যাবে।


তাওয়াফে আরও করণীয়


 পুরুষদের জন্য দুটি কাজ করা জরুরি; আর তাহলো- ইজতিবা ও রমল।


ইজতিবা


ইহরামের গায়ের চাদরকে ডান বগলের নিচে দিয়ে চাদরের উভয় মাথাকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে এক মাথা সামনে আর অন্য মাথা পেছনে ফেলানো। এটা করা সুন্নাত। তাওয়াফের সময় এভাবে বীর-বাহাদুরি সুলভ ভঙ্গিতে গায়ের চাদর পরিধান করাই হলো ইজতিবা।


রমল


ফরজ তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রমল করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর তাহলো তাওয়াফের সময় মুজাহিদের মতো বীরদর্পে দুই হাত, শরীর ও কাঁধ দুলিয়ে দ্রুত গতিতে চলা।


রমল করার রহস্য


মুসলমানদের হিজরতের পর মক্কার মুশরিকরা বলাবলি করতে লাগলো যে, ইয়াসরিবে (মদিনা) হিজরতকারী মুসলমানরা আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে দুর্বল ও রুগ্ন হয়ে গেছে।


মুশরিকদের এ অহেতুক মিথ্যা অপবাদের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে তাওয়াফের সময় প্রথম ৩ চক্করে রমল তথা বীরদর্পে চলার নির্দেশ দেন। তারপর থেকে আজও সে বিধান অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।


নফল তাওয়াফ


স্বাভাবিক সময়ের তাওয়াফে ইজতিবা ও রমল করার কোনো প্রয়োজন নেই। সাধারণ পোশাকে স্বাভাবিকভাবে হাটার মাধ্যমে তাওয়াফ করা। যদিও হারাম শরীফের সিকিউরিটি গার্ড ইহরাম ছাড়া মাতাফে প্রবেশ করতে দেন না।  তাওয়াফকারীদের জন্যও ৬০টি রহমত সুনির্ধারিত।


তাওয়াফকারীদের জন্য ইসতেলাম


যারা কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন তা ফরজ হোক আর নফল হোক সব তাওয়াফেই ইসতেলাম বা স্পর্শের মাধ্যমে তাওয়াফ শুরু করা। সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ তথা চুমু খেয়ে তাওয়াফ শুরু করা। সম্ভব না হলে দূর থেকে হাজরে আসওয়াদের দিকে দু’হাত কাধ বরাবর ওঠিয়ে ইশারা বা ইঙ্গিত করে তাওয়াফ শুরু করা। আর তা ইসতেলাম হিসেবেই সাব্যস্ত হবে।


মনে রাখতে হবে


অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ইসতেলাম (স্পর্শ) বা চুমু খেতে না যাওয়াই উত্তম। দূর থেকে ইশারা করে তাওয়াফ সম্পন্ন করা।


নারীদের ক্ষেত্রে ইজতিবা,  রমল নেই। তাওয়াফে যে ভিড় হয়; তাতে হাজরে আসওয়াদ বা রোকনে ইয়ামেনিও স্পর্শ বা চুম্বন নিরাপদ নয়। তাই দূর থেকে ইশারা করে তাওয়াফ সম্পন্ন করা অতি উত্তম।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফে যথাযথ সম্মান ও তাকওয়া অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...