ইত্যাদি অনুষ্ঠানের নাতি চরিত্রের নাতির জীবন বৃত্তান্ত -
কাগুজে নাম শওকত আলী তালুকদার। ডাক নাম নিপু। মাথায় কোকড়ানো ঝাঁকড়া বাবরি চুল। উচ্চতা প্রায় আড়াই ফুট। কথা কিংবা চলনে-বলনে প্রকাশ পায় পূর্ণাঙ্গ পুরুষালী ব্যক্তিত্ব। বয়সের হিসাবে ৫০ বসন্ত অতিক্রম করেছেন এরই মধ্যে। হোমিও ডাক্তার বাবার তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। পড়াশোনায় গ্রাজুয়েশন (বিএ)। বসবাস ঢাকার উত্তরায়। ১৯৯০ সাল থেকে নন্দিত নির্মাতা হানিফ সংকেতের সঙ্গে আছেন। ইত্যাদির বদৌলতে দেশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে যার অবস্থান এখন এক নম্বর স্যাটায়ার তারকা হিসেবে। আমজনতার কাছে যিনি সর্বাধিক পরিচিত আদরের
নাতি নামে। চলমান জীবনে নানা ভুলভ্রান্তি চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্য যিনি এরই মধ্যে পরিণত হয়েছেন ভুল শুধরানোর আইকন হিসেবে। কেমন আছেন জনপ্রিয় এ স্বল্পকায় যুবক? কেমন কাটছে তার বর্তমান সময়? ইত্যাদি’র নিয়মিত ফ্রেমের বাইরে তার জীবনটাইবা যাচ্ছে কেমন? বিয়ে করেছেন কি? বাচ্চাকাচ্চা কয়জন? টানা ২০ বছর ধরে ‘ইত্যাদি’র সঙ্গেইবা কেন? প্রচারবিমুখ বিপুল জনপ্রিয় এই নাতির কাছে অনেকের এমন অনেক জিজ্ঞাসা অনেক দিনের। নিপু জানান, মুখে কথা ফোটার পর থেকেই তার স্টেজ শো’র যাত্রা শুরু। টানা চার পাঁচ বছর সেই স্টেজ শোগুলোতে একজন ক্ষুদে কমেডিয়ান কিংবা ক্ষুদ্র সাইজের মানুষ হিসেবেই তার অবস্থান এবং পারফরমেন্স সীমাবদ্ধ ছিল। সে জীবন মোটও সুখকর ছিল না। তবুও শুরুর সেই জীবনটাকে পরম শ্রদ্ধায় এখনও স্মরণ করেন তিনি। বলেন, ওই স্টেজ শোগুলোই আমাকে আজকের নাতিতে পরিণত করেছে। উপরওয়ালার ইচ্ছা আর সংকেত দা’র দিকনির্দেশনায় টানা ২০ বছর ধরে এখনও আমি ইত্যাদির খাতায় সগৌরবে আছি। এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে? নানার সঙ্গে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জুটি হয়ে স্যাটায়ার (ব্যঙ্গাত্মক অভিনয়) করার পর খানিক পরিবর্তনের ছোঁয়া নিয়ে নাতি এখন নানীকে জ্বালিয়ে মারছেন কথার মারপ্যাঁচে। নানী-নাতির জুটিটাও দর্শক ব্যাপক পছন্দ করছেন। ইত্যাদির বাইরে কয়েকটি বিজ্ঞাপন ছাড়া নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে এখনও পাওয়া যায়নি জনপ্রিয় এ মানুষটিকে। কেন? একটু দুষ্টুমি করেই নিপু বলেন, আমি স্যাটায়ার আর্টিস্ট, কৌতুক অভিনেতা না। এ বিষয়টি এখনও আমাদের নাটক, ফিল্ম কিংবা বিজ্ঞাপনওয়ালারা পরিষ্কার হতে পারেননি। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা কনসেপ্ট। আমি কৌতুক অভিনেতা হতে চাই না। সংকেত দা আমাকে এ শিক্ষাটা দেয়নি,নানা অমল বুশের কথা স্মরণ করে শুধু কাঁদেন,বাস্তবে নানা না হলে ও নানার মতো আদর ওনি করতেন।
আল্লাহ নাতি কে আরো দীর্ঘ হায়াত দান করুন।
-আশরাফুল আলম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন