প্রতিদিন অফিস এ যাওয়ার সময় দেখি, একজন ভদ্র মহিলা নোহা গাড়ীর পিছনের ঢালা ওপেন করে থ্রি পিস, ওড়না এসব বিক্রি করেন।
উত্তরা আজমপুর রেল গেট পার হলেই দেখা যায় তিনি ক্রেতাদের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওনার সাথে কথা বলার কৌতূহল থাকলেও ওনার ব্যস্ততার কারণে সেই সুযোগ হয় না।
আজকে অবশেষে কথা বলার সুযোগ হলো, জানতে পারলাম অনেক কিছু।
ওনি ওই জায়গাতে কাপড় বিক্রি করার কারণ হলো, ওখানে একটা স্কুল আছে, চাইল্ড হ্যাভেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ওই স্কুলে তার একটা ছেলে পড়ে, ছেলেকে স্কুলে নিয়ে আসেন এবং এই সময়টাতে তিনি কাপড় বিক্রি করেন।
অনেক ভাবিরা কিন্তু শরমে শেষ হয়ে যেতো। মনে আছে আমিও আমার স্কুলে, আমাদের গাছের পেয়ারা বিক্রি করতে নিয়ে যেতাম। এটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিংও বটে।
রিপা আপুকে নিয়ে লেখার কারণ হলো, ওনারা বেশ স্বচ্ছল, ওনাদের এই গাড়ীটা ছাড়াও আরো ২ টা গাড়ী আছে। রিপা আপু জানালো ছেলেদের পড়াশোনা সংসারের খরচ মিলে মাসে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
আর এটা ওনার কাপড় বিক্রির টাকা থেকেই উঠে আসে।
কি দারুণ তাই না?
আমাদের প্রজন্মের সবাই ছুটছি চাকরির পিছনে, চাকরি করে কত টাকা পাই? আজকে ২০ টাকা বাঁচানোর জন্য তিন কিলোমিটার হেঁটে বাসায় আসলাম।
© সার্জেন্ট জুয়েল
Copy post 🙏
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন