এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

পটুয়াখালী : পাল ও সেন আমল —------------

 পটুয়াখালী : পাল ও সেন আমল

—------------


পটুয়াখালী জেলার প্রাচীন ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। দীর্ঘকাল এই অঞ্চল বৃহত্তর বরিশাল জেলার অংশ ছিল। গঙ্গার বদ্বীপ অঞ্চল হিসেবে এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভ্যতার আগমন ঘটেছিল। যা এই জনপদকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সহায়ক হয়। আবার বিভিন্ন সময়ে এই জনপদ পর্তুগীজ ও মগ-সহ হার্মাদ জলদস্যু ও দখলদার বাহিনীর তান্ডবে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। এমনকি একটা পর্যায়ে সমগ্র পটুয়াখালী জেলা জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী অবস্থানের কারণে এখানে বাণিজ্য এবং সমুদ্রপথের গুরুত্বও ছিল ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য।


পটুয়াখালীর ইতিহাস মোটামুটি চতুর্থ শতাব্দীর গুপ্ত যুগের সময় থেকে স্পষ্ট হয়। তখন পটুয়াখালী তথা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গ সমতট হিসেবে পরিচিত ছিল। বেশ কিছু কাল এ অঞ্চল হরিকেল রাজ্যের আওতাধীন ছিল। এলাহাবাদ গুপ্ত লিপিতে সমতট গুপ্ত সম্রাট সমুদ্র গুপ্তের সাম্রাজ্যভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমুদ্র গুপ্ত ৩৪০ থেকে ৩৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ অঞ্চলের রাজা ছিলেন। 


 পটুয়াখালী অঞ্চলে পাল ও সেন আমলে (৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী) হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। পাল রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাঁদের আমলে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বৌদ্ধ বিহার, স্তূপ ও শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত হয় বলে ধারণা করা হয়। যদিও পটুয়াখালীতে সরাসরি পাল আমলের নিদর্শন অল্পসংখ্যক। তবু অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন, দলিল, মাটি খুঁড়ে পাওয়া মূর্তি ও পোড়ামাটির নির্মাণশৈলীতে সেই সময়কার ছাপ মেলে।

পরবর্তী সেন যুগে (১১শ-১২শ শতাব্দী), যাঁরা ছিলেন কায়স্থ হিন্দু শাসক। ওই সময়ে এ অঞ্চলে হিন্দুধর্মের প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ওই সময় এ অঞ্চলটিতে বহু শিবমন্দির ও বিষ্ণু মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ বিগ্রহ, বহিরাগত আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাবিধ কারণে পাল-সেন আমলে নির্মিত প্রায় সকল মন্দির এবং স্হাপনা ধ্বংস হয়ে যায়। স্থানীয় কীর্তিপুরাণ ও লোককথায় এই সময়কে ‘সুশাসনের যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সেন শাসন উচ্ছেদ করে দেবগণ তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। 

পটুয়াখালী সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল হলেও ওই আমলে এটি নদীবাহিত অভ্যন্তরীণ রুটে যুক্ত থাকায় বাণিজ্য, ধর্মীয় প্রসার ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

১৮৬৯ সালে পটুয়াখালী মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৯ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।


-শংকর লাল দাশ 

মে ০৫. ২০২৫

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...