এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

শুধু অন্যকে সময় দিচ্ছেন।  আর তাতেই আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

 ভাবুন তো, 

আপনি বসে আছেন—

কোনো কাজ নেই, শুধু অন্যকে সময় দিচ্ছেন। 

আর তাতেই আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা!

 হ্যাঁ, এটা কোনো গল্প নয়, একেবারে বাস্তব ঘটনা। 

এই কাহিনির নায়ক জাপানের শোজি মরিমোতো, যিনি ‘কিছু না করেই’ ৯৭ লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন!


২০১৮ সালে চাকরি হারান শোজি। 

বসের কথাটা ছিল কড়া, “তুমি তো কিছুই করো না, আমার প্রতিষ্ঠানে তোমার কোনো অবদান নেই!” 

শোজি হয়তো কথাটা একটু বেশিই সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন! কারণ, সেই ‘কিছু না করা’ই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় পেশা!


💡 কী করেন শোজি?


চাকরি হারানোর পর শোজি নিজের একটা ওয়েবসাইট চালু করেন। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখেন—

👉 “আমি কিছু করি না। তবে চাইলে আমি আপনার সঙ্গে থাকতে পারি, চুপচাপ পাশে বসে থাকতে পারি, কথা শুনতে পারি, কফি খেতে যেতে পারি!”


আর তাতেই বাজিমাত!


👫 মানুষ কী চায়?


মানুষ চায় সঙ্গ। যেমন—


কেউ চায় কেউ পাশে থাকুক যখন সে ডিভোর্স পেপারে সই করছে


কেউ চায় ম্যারাথনের শেষে কেউ দাঁড়িয়ে তালি দিক


কেউ চায় পার্টিতে একা না যাওয়া


কেউ চায় গল্প করতে একজন শ্রোতা


কেউ চায় স্রেফ একজন পাশে হাঁটুক, চুপচাপ


শোজির কাজ এগুলোই। তিনি কখনো কেক খেতে যান, কখনো ট্রেনে ১৭ ঘণ্টা ভ্রমণ করেন—শুধু কারও গল্প শোনার জন্য। কোনো উপদেশ দেন না, বিচার করেন না। শুধু একজন ভালো শ্রোতা আর ভদ্র সঙ্গী হয়ে থাকেন।


💸 কত টাকা আয় করেন?


শোজি জানান, অনেকেই তাঁর কাজ দেখে এত খুশি হন যে চুক্তির চেয়েও বেশি টাকা দেন। কখনো ঘণ্টায় ১০ ডলার, আবার কখনো হাজার ডলারও পেয়েছেন। ২০২৪ সালে তাঁর আয় দাঁড়ায় প্রায় ৮০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৯৭ লাখ)!


👪 শোজির জীবনদর্শন


আজ তিনি এক সন্তানের বাবা। 

তিনি বলেন, “সব কাজ সহজ ছিল না—অচেনা মানুষের সঙ্গে পার্টি, বরফে দাঁড়িয়ে থাকা, চুপচাপ মনোযোগ দিয়ে শোনা—তবুও আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কারণ এটাই আমার পেশা। আর আমি আমার পরিবারকে সময় দিতে পারছি, এটাই আমার সাফল্য।”


🇯🇵 জাপানের বাস্তবতা


জাপানে এখন একাকিত্ব বড় সমস্যা। 

বিয়ে, সম্পর্ক—এই জিনিসগুলো থেকে তরুণ প্রজন্ম অনেকটাই দূরে। তাই মানুষের দরকার এমন কেউ, যে পাশে থাকবে, কিছু না করেও বুঝে যাবে। শোজির মতো মানুষদের জন্য তাই জাপানে চাহিদা বাড়ছেই।


বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, শোজি আসলে এমন একটা ‘চাহিদা’ পূরণ করছেন, যা আগে কেউ বোঝেনি। তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান, এক সমাধান, এক সঙ্গী।


শেষ কথা:

এই গল্প আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি ব্যর্থতার মাঝেও লুকিয়ে থাকতে পারে নতুন এক সম্ভাবনা। আপনি যদি অন্যের প্রয়োজন বুঝতে পারেন, তাহলে কিছু না করেও অনেক কিছু করা যায়।


(সংগৃহিত)

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...