মনে রাখবেন প্যাটেন্ট ঔষধে কখনও পাথর দূর হবে নাঃ-
ঢাকা থেকে এক ভাই ফোন করে জানালেন, তাঁর কিডনিতে পাথর। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খাচ্ছেন। কিন্তু কোন উপকার হচ্ছেনা , বরং পাথরের সাইজ আস্তে আস্তে আরও বড় হচ্ছে।
জানতে পারলাম, ডাক্তার তাঁকে প্যাটেন্ট ফাইল দিয়েছে। আসলে পেটেন্ট ফাইলগুলো তৈরি করা হয় রোগের নাম অনুসারে। জ্বরের জন্য, আমাশয়ের জন্য, কাশির জন্য, শ্বাসের জন্য, এরকম রোগের নাম ধরে ধরে একেকটা পেটেন্ট ফাইল তৈরি করা হয়।
আমি তাঁকে স্পষ্ট করে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, কোন মুখস্থ ঔষধ প্যাটেন্ট ফাইল আর মিক্সার ঔষধ দিয়ে কখনও পাথর দূর হবে না। কারন, পাথর দূর করার ব্যাপারটি এত হালকা নয়।
পাথর দূর করতে হলে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে, তাঁর মানসিক, সার্বদৈহিক ও আঙ্গিক লক্ষণ, তাঁর ধাতুগত লক্ষন, মায়াজম বিবেচনা করে, তাঁর লক্ষণ সমষ্টি অনুসারে একটি মাত্র সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। এরপর শক্তিকৃত সেই ওষুধটি সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করা হলে পাথর আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়ে দূর হয়ে যাবে বা বের হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতেও আর পাথর জন্ম নিবে না। রোগী স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করবে।
এইজন্য একজন যোগ্য বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে। যিনি হোমিওপ্যাথিক নিয়ম নীতি অনুসারে, অর্গানন মেনে সদৃশ ঔষধ সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করে রোগীর চিকিৎসা করেন।
***মনে রাখবেন যারা চিকিৎসার নামে পেটেন্ট ঔষধ ব্যাবহার করে তাঁরা আর যাই হোক প্রকৃত হোমিওপ্যাথি ডাক্তার নয়। ***
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন