আপনি কি জানেন…?
মেক্সিকোর নানাকামিলপা বন রাত নামলেই জ্বলে ওঠে হাজার হাজার জোনাকির আলোয়!
প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট মাসে, মেক্সিকোর ত্লাক্সকালা রাজ্যের এই বনজুড়ে দেখা মেলে এক রহস্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য—যেখানে হাজারো জোনাকি (firefly) তাদের নিজস্ব আলোয় আলোকিত করে তোলে পুরো বন। এই জায়গাটির নাম Santuario de las Luciérnagas, বাংলায় বলা যায় জোনাকির অভয়ারণ্য।
এই আলো কীভাবে তৈরি হয়? – ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের ভাষায়
জোনাকির আলো তৈরি হয় বায়োলুমিনেসেন্স (Bioluminescence) নামক এক প্রাকৃতিক রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়। এটি এমন একধরনের আলো যা জীবন্ত প্রাণী নিজের শরীর থেকেই তৈরি করতে পারে।
এতে অংশগ্রহণ করে চারটি মূল উপাদান:
Luciferin – আলো তৈরি করে এমন রাসায়নিক পদার্থ।
Luciferase – একটি উৎসেচক, যা বিক্রিয়াটি ঘটায়।
Oxygen (O₂) – বাতাস থেকে সংগ্রহ করে।
ATP – কোষের শক্তি উৎপাদনকারী অণু।
রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া:
Luciferin + O₂ + ATP → (Luciferase এর মাধ্যমে) → আলো + অক্সিডাইজড লুসিফেরিন + তাপহীন শক্তি
এই আলোকে বলে "Cold Light" কারণ এতে তাপ উৎপন্ন হয় না। এর আলোর রঙ সাধারণত সবুজ বা হলদে-সবুজ।
কেন জোনাকি আলো দেয়?
প্রজননের উদ্দেশ্যে: পুরুষ জোনাকি আলো জ্বালিয়ে স্ত্রী জোনাকিকে আকৃষ্ট করে।
যোগাযোগের জন্য: একে অন্যের উপস্থিতি জানাতে।
আত্মরক্ষায়: কিছু জোনাকি তাদের আলো ব্যবহার করে শিকারিকে বিভ্রান্ত করে।
বনের নিয়ম ও পরিবেশগত দিক:
এই বনটি একটি সংরক্ষিত অঞ্চল (~২০০ হেক্টর)।
পর্যটকদের নির্দিষ্ট পথ ধরে হাঁটতে হয়।
ফ্ল্যাশলাইট, টর্চ, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ নিষিদ্ধ—কারণ এগুলো জোনাকিদের ক্ষতি করে।
পর্যটকরা গাইডের সাথে নিঃশব্দে হাঁটেন, যেন পরিবেশ ও প্রাণীগুলো বিরক্
উৎস (Sources):
National Geographic
Visit Mexico Official Site
Scientific American
Wikipedia
জোনাকির আলো শুধু সৌন্দর্য নয়, বিজ্ঞান আর জীববিজ্ঞানের এক অপূর্ব সমন্বয়।
এই আলো প্রকৃতির ভাষায় লেখা এক প্রেমপত্র—যা বিজ্ঞানের আলোয় আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
info : next gen science
ছবি: সংগৃহীত
#বিজ্ঞানপোস্ট #জোনাকি #বায়োলুমিনেসেন্স #FireflyScience #ScienceInNature #SantuarioDeLasLuciérnagas #nextgenscience
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন