এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

এই লেখাটি সবার পড়া উচিত

 এক সময় আমি এই ভুলগুলো করেছিলাম😔

প্রতিযোগিতার নেশায় বাচ্চাদের পরে অনেক অ ত্যা চার করেছি 😔

জানিনা আমার বাচ্চারা কোনদিন আমাকে ক্ষমা করতে পারবে কিনা😭 তবে আমি চাইনা অন্য মা বাবারা আমার মতো ভুল করুক 😥

আমি চাই না কোমলমতি বাচ্চাদের মনে পড়াশোনা বিষয়ক প্রতিযোগিতা আসুক 🙂

তারা যেন পড়াশোনা শেখে আনন্দের সাথে 😇 

তারা যেনো আসল শিক্ষা টাই পায় প্রতিযোগিতা নয় ❤️


***********************************

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, এমন সময় আমার স্ত্রী বলে উঠল,

আজ তুমি তিয়াশার স্কুলে যাবে। অংকের ম্যাডাম নাকি ডেকেছেন।


আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক। আর আমার স্ত্রী একটা সরকারি হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। স্বভাবতই,দুজনেই বেশ কড়া ধাঁচের মানুষ, বিশেষত সকালে।


তিয়াশা ক্লাস ফাইভে পড়ে। এমন কিছু ভয় পাওয়ার ছিল না, তবুও মনে হল ম্যাডাম যখন আলাদা করে ডেকেছেন, নিশ্চয়ই কোনও গুরুতর বিষয়।


স্কুলে গিয়ে দেখি বিশাল একটা ঘর। এক কোণে বসে আছেন গম্ভীর মুখে চশমা পরা অংকের ম্যাডাম। ঠিক যেন কোনও জজ সাহেব। পেছনে অভিভাবকদের সারি। এক এক করে নাম ডাকা হচ্ছে, বিচার চলছে।


প্রথমেই উঠল ঈশানীর মা। ঈশানীর তিনটা অংক ভুল হয়েছে শুনেই বলে উঠলেন, বাড়ি গিয়ে দেখিস!এবার তোর সব টিউশন বন্ধ করে দেবো।


তারপর রিয়া। ম্যাডাম বললেন, ভুলভাল অঙ্ক কষছে। তখনই রিয়ার বাবা গর্জে উঠলেন,আজ থেকে মোবাইলটা খেলার বদলে বই পড়বি, না হলে!


বাচ্চারা একে একে ডেকে নিয়ে অপমানিত হচ্ছে, আর অভিভাবকেরা যেন সেই অপমানকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কারও কাঁধে হাত রেখে বোঝানোর ভাষা নেই।


অবশেষে ডাক এল তিয়াশার।


আমি শান্তভাবে এগিয়ে গেলাম।


ম্যাডাম বললেন,আপনার মেয়ে বেশ কিছু অংক পারেনি। ওর মনোযোগ ঠিক নেই মনে হচ্ছে।


আমি হাসলাম। বললাম, ম্যাডাম, অর্ধেক অংক তো শিখেছে!বাকিটা সময়ের সঙ্গে শিখে নেবে। আমরা তাকে শেখার আনন্দটা নষ্ট হতে দিতে চাই না।


তিনি বিস্মিত মুখে তাকালেন, আপনি নিশ্চিন্ত এতটা?


আমি নিজে মাধ্যমিকে অংকে পঁচিশ পেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী পেয়েছিল সাতাশ। অথচ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই, আর ও বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। তাই না ম্যাডাম, জীবনের রেজাল্ট সব সময় নম্বরে মাপা যায় না!


তিয়াশা আমার হাত চেপে ধরল। মুখে ছোট্ট একটা হাসি। আর আমার হৃদয়টা ভরে উঠল।


ফিরে আসার সময় তিয়াশা বলল,বাবা, আজ চিকেন খেতে পারি?


আমি বললাম,শুধু তুই না, রিয়াকেও ডাক। ওর বাবার কথা শুনে মনে হল আজ খেতে পাবে না ও।


বাচ্চারা বইয়ের পাতার চেয়ে বড়ো কিছু তাদের মন, তাদের প্রশ্ন, তাদের আবেগ।অঙ্ক ভুল করলে ভয়ের নয়,ভুল শুধরে নিতে শেখাটাই বড়ো।


চাপ দিয়ে নয়, পাশে থেকে শেখালে ওরাই একদিন আমাদের থেকেও বড়ো হয়ে উঠবে।

Md Mazharul Haque Himu


©️

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...