এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

সময় কি সত্যিই আছে? নাকি সবই আমাদের মস্তিষ্কের তৈরি?

 সময় কি সত্যিই আছে? নাকি সবই আমাদের মস্তিষ্কের তৈরি?

🛑 সবচেয়ে দীর্ঘ পাঁচ মিনিটের গল্প

রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা রাকিব হঠাৎই বুঝে উঠতে পারলো না—ঠিক কী ঘটলো।

হঠাৎ এক বিশাল ট্রাক বাঁক ঘুরে তার দিকেই আসছে, আর ব্রেক কাজ করছে না।

সবকিছু যেন স্লো মোশনে চলতে লাগল।

চাকা ঘর্ষণের শব্দ, মানুষের চিৎকার, তার নিজের হাত দুটো উপরে উঠে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা—সবকিছু যেন বহুক্ষণ ধরে ঘটছিল। অথচ পুরো ঘটনাটি মাত্র ৫ সেকেন্ড ছিল।

রাকিব পরে বলে, “আমার মনে হচ্ছিল, যেন মিনিটের পর মিনিট পার হয়ে যাচ্ছে। মাথায় হাজারটা চিন্তা ঘুরছিল। কিন্তু বাস্তবে সবাই বললো, মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ হয়ে গিয়েছিল!”

এই ঘটনা আমাদের একটা গভীর প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়—

👉 সময় কি আসলেই বাইরের কোনো বাস্তব বিষয়? নাকি আমাদের মস্তিষ্কই সময় তৈরি করে নেয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী?

🧠 সময়: অনুভব, না বাস্তবতা?

আমরা সবাই “সময়”-কে চিনি। ঘড়ি দেখে সময় বলি, “৫টা বাজে”, “কাল ছিল রবিবার”, “আগামীকাল পরীক্ষা”।

কিন্তু আপনি কখনো সময়কে ছুঁয়েছেন? দেখা গেছে?

না। সময় অনুভব করা যায়, কিন্তু ধরা যায় না।

আর এখানেই রহস্যটা জমে।

🔬 নিউটনের চোখে সময়:

স্যার আইজ্যাক নিউটন বলতেন—

“সময় একটা বাস্তব জিনিস। এটা সবকিছুর বাইরে, সবকিছুর আগে থেকেই ছিল এবং থাকবে।”

নিউটনের মতে সময় হলো একটা বিশ্বজনীন ঘড়ি, যা সবার জন্য একভাবে চলে।

যেমন—

• আপনি দৌড়াচ্ছেন, বা

• আমি ঘুমাচ্ছি, অথবা

• কেউ একজন চাঁদে হাঁটছে...

সবার সময় একই হারে টিকছে। এক সেকেন্ড মানেই এক সেকেন্ড—সবার জন্য।

এটাই ছিল ক্লাসিক্যাল ভাবনা। আমরা স্কুলে এরকমটাই শিখি।

⌛ আইনস্টাইন এলেন, আর সময় ভেঙে পড়ল!

আলবার্ট আইনস্টাইন বললেন, “না, সময় কারও জন্যও সমান নয়।”

তিনি দেখালেন,

"সময় আর জায়গা একে অপরের সঙ্গে মিশে আছে — যাকে বলা হয় স্পেসটাইম।"

🎢 উদাহরণ:

একটা রকেট যদি আলোর গতির খুব কাছাকাছি গতিতে চলে,

তাহলে সেই রকেটের ভেতরের মানুষের জন্য সময় ধীরে চলবে।

আপনি যদি পৃথিবীতে থাকেন আর আপনার ভাই সেই রকেটে উঠে যায়—

১০ বছর পর ফিরে এলে দেখবেন সে কম বয়স্ক আর আপনি অনেক বেশি বুড়ো!

এটাই টাইম ডাইলেশন।

অর্থাৎ সময় স্থির কিছু নয়—

এর গতি আমাদের গতি ও মাধ্যাকর্ষণের ওপর নির্ভর করে।

🌀 কোয়ান্টাম জগতে সময় কই?

এখন আসি ক্ষুদ্রতম জগতে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সে।

এই জগতে ইলেকট্রন, কণিকা, ফোটনরা থাকে। এখানে আবার সময় আরও অদ্ভুত!

🔹 কোয়ান্টাম সিস্টেমে অনেক সময় ঘটনাগুলোর মধ্যে ক্রম ঠিক থাকে না।

🔹 কোনো কিছু ঘটার আগে আরেকটা ঘটে যেতে পারে, বা একই সঙ্গে ঘটে যেতে পারে।

🔹 "কার আগে কে ঘটলো"—এই প্রশ্নটাই এখানে অর্থহীন হয়ে যায়।

অনেক কোয়ান্টাম গবেষক বলেন—

“সময় আমাদের তৈরি করা একটা মানসিক গঠন — nature-এ সময় বলে কিছু নেই।”

🧠 মস্তিষ্ক কী করে সময় তৈরি করে?

আমাদের ব্রেন টাইমকিপার নয়।

বরং ব্রেন “অনুভব করে” কতটা সময় গেল—সেটাও ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী।

যেমন:

• বিপদের সময়: ব্রেন ‘স্লো মোশন’ চালায় যেন বেশি তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

• আনন্দের সময়: সময় মনে হয় দ্রুত চলে যাচ্ছে।

• বোরিং সময়: সময় মনে হয় থেমে আছে।

🕰️ আমরা যেমন ঘড়ির কাঁটা দেখি, আমাদের ব্রেন “ঘটনা” ধরে ধরে সময় বোঝে।

যদি অনেক ঘটনা ঘটে, ব্রেন ভাবে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।

আর যদি কিছুই না ঘটে, মনে হয় সময় দাঁড়িয়ে আছে।

🔚 শেষ প্রশ্ন: আমরা কি সময়ের মধ্যে আছি, নাকি সময়ই আমাদের মধ্যে?

এই লেখাটা পড়ার সময় আপনার হয়তো ৩ মিনিট কেটেছে।

কিন্তু প্রশ্নটা আপনাকে সময়ের বাইরেও নিয়ে যেতে পারে—

👉 সময় কি প্রকৃতিরই অন্তর্গত কিছু?

👉 নাকি আমরা, মানুষরাই, মস্তিষ্কের ম্যাজিক দিয়ে “সময়” তৈরি করেছি—ঠিক যেভাবে আমরা গল্প, ভাষা, স্বপ্ন তৈরি করি?

"আমরা কি সময়ের ভিতর বেঁচে আছি? নাকি সময়ই আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরেই বেঁচে আছে?"

এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনি নিজেই খুঁজে বের করবেন—পরবর্তী কোনো এক ৩ মিনিটে।

ফলো দিয়ে পাশে থাকুন । ধন্যবাদ

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...