গল্প জ্বীনের সাথে সহবাস
পর্ব__০১
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
নিশাদ শোনো ঐ জ্বীনটা আমার শরীলে বাজেভাবে স্পর্শ করে।
সামিয়ার মুখে কথাটা শুনে অবাক হয়ে বললাম, আরে কি বলো। মাথা খারাপ হলো নাকি, কি বলছো এসব। তোমাকে জ্বীন স্পর্শ করে মানে কি।
-আরে হ্যাঁ সত্যি বলছি। আমি ঘুমালে আমাকে একটা জ্বীন এসে স্পর্শ করে। সুধু স্পর্শ না আরো অনেক কিছু করে আমি এসব মুখে বলতে পারবোনা।
সামিয়ার কথায় এবার সিরিয়াস হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম। তুমিকি এসব সত্যি বলছো। ভালো করে খেয়াল করে বলো।
আমার কথায় সামিয়া বললো, নিশাদ তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড, তোমার সাথে মজা করছিনা তোমার সাথে বিষয়টা শেয়ার করছি আমি এখনো কাউকে এই কথা বলিনি, কিভাবে বলবো, এসব কথা কি অন্য কাউকে বলা যায়, কেউ কি বিশ্বাস করবে। তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড হয়েও আমার কথা বিশ্বাস করছোনা তাহলে অন্য কেউ কিভাবে করবে।
সামিয়ার কথায় তখন আমি বললাম।
-আসলে আমাকে ভুল বুঝনা। তুমি যা বলছো সেটা আমি কেনো কেউই শুরুতে বিশ্বাস করবেনা।
আচ্ছা সামিয়া শোনো। তুমিযে বার বার বলছো একটা জ্বীন তোমাকে স্পর্শ করে। তুমি কিভাবে জানলা ওটা জ্বীন। ওটাতো মানুষ ও হতে পারে তাইনা।
আমার কথায় সামিয়া বললেন, না না ওটা মানুষ হতে পারেনা৷ ও তো আমাকে অদৃশ্য ভাবে স্পর্শ করে। তোমাকে এসব বলে বুঝাতে পারবোনা।
ওর কথায় তখন আমি বললাম। আচ্ছা শোনো। আজকে রাতে একটা কাজ করতে হবে। তুমি রাতের খাবার শেষে শুয়ে পড়বা, শুয়ে পরার আগে একটা কাজ করবা তোমার ফোনের ক্যামেরা অন করে টেবিলের উপরে রেখে বিছানার দিকে করে ঘুমাবা। সত্যি সত্যি ঘুমাবানা। ঘুমানোর ভান করবা। তুমি ঘুমানোর ভান করে শুয়ে থাকলে ঐ জিনিসটা তোমার রুমে আসবে আর তখনি ক্যামেরায় ধরা পড়বে ও আসলে জ্বীন নাকি কোন মানুষ।
তুমি আমার কথামত কাজ করো৷ দেখো এতে কি বুঝতে না পারলে তোমার মা বাবাকে বিষয়টা জানাবে, অথবা আমি তোমাকে নিয়ে কোন হুজুর বা কবিরাজের বাড়িতে যাবো।
কথাটা বলে ওর কপালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম ভয় পেওনা। এরকম অনেকের সাথে হয়। আমিতো আছি তাইনা। রাতে বেশি ভয় লাগলে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাবা কেমন।
আমার কথায় সামিয়া বললেন ঠিক আছে। আমি আজকে আসি হ্যাঁ। কালকে আবার দেখা হবে।
ওর কথায় আমি বললাম, আমি এগিয়ে দিয়ে আসি।
তখন ও বললো, বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে পারবা৷
ওর কথায় আমি মুসকি হেঁসে বললাম, না তা পারবোনা। তোমার মা বাবা আমাকে দেখলে সমস্যা হবে। আর কিছুদিন যাক তখন তোমাকে নিয়ে তোমার বাড়িতে যাবো সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। হবু শশুর বাড়ি এখন না হয় না গেলাম।
আমার কথায় সামিয়া বললেন, হইছে হইছে বাবার সামনে যেতে ভয় পাও এখন বড় বড় কথা বলছো। আচ্ছা এখন আসি গরম লাগছে।
ঠিক আছে যাও। সাবধানে যেও। বাড়িতে গিয়ে ম্যাসেজ দিও কেমন।
আমার কথায় হ্যাঁ উওর দিয়ে সামিয়া চলে গেলেন।
এদিকে আমিও চলে গেলাম বাড়িতে৷
সামিয়া বাড়িতে যাবার পর সেদিন রাতের ঘটনা।
আমার কথামতো সামিয়া রাতের খাবার শেষে ওর ফোনের ক্যামেরাটা অন করে ঘুমানোর ভান করে শুয়ে থাকে।
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়।
সামিয়ার কথামতো রাত তখন বারোটা কি একটা হবে এরকম একটা সময় সামিয়া ফিল করে তাঁর বিছানায় এসে কেউ ধপাস করে বসলো।
বিছানায় কেউ বসায়, সামিয়ার ভয় করতে শুরু করে।
সামিয়ার বার বার ইচ্ছে করছিলো চোখ খুলে দেখি কে আসলো।
কিন্তু পুরু বিষয়টা জানতে সামিয়া চুপ করে শুয়ে থাকে।
এর ঠিক কয়েক সেকেন্ড পর সামিয়া বুঝতে পারে ওর কমড়ে কেউ হাত রাখলো৷ হাতটা মনে হচ্ছে লোমে ভরা।
নিজের কমড়ে হাত রাখতে সামিয়া এক চিৎ*কার দিয়ে বিছানায় বসে আর পুরু রুমে তাকায় কিন্তু কাউকে দেখতে পারেনা। ওদিকে সামিয়ার চিৎ*কারে ওর মা বাবা ভাই ভাবি সবাই দৌড়ে আসায় সামিয়া উঠে দরজা খুলে দেয়।
দরজা খোলায় সবাই ঘরে এসে সামিয়াকে বলে৷ কি হইছে কি হইছে এভাবে চিৎ*কার দিলি কেনো।
সবার কথায় সামিয়া কথাটা লুকিয়ে বললেন।
ভয় পাইছি। স্বপ্নে ভয় পাইছি।
সামিয়ার কথায় ওর বাবা বললেন, ওহহ তাই বল। আমরা তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
তখন সামিয়ার মা সামিয়ার কাছে এসে দোয়া পড়ে ফু দিয়ে বললো। দোয়া কালাম পড়ে ঘুমা আশা করি কোন সমস্যা হবেনা৷ বেশি ভয় করছে কি আমিকি তোমার সাথে ঘুমাবো।
মায়ের কথায় সামিয়া বললেন না মা তোমরা যাও। বেশি সমস্যা হলে তোমাকে ডাকবো।
সামিয়ার কথায় ওরা চলে যাওয়ায় সামিয়া দরজা লাগিয়ে ওর ফোনের কাছে গিয়ে ফোনটা নিয়ে বিছানায় বসলেন।
বিছানায় বসে এতক্ষন ক্যামেরায় ভিডিও হওয়া ভিডিওটা দেখলেন কিন্তু ওখানে সে কাউকে দেখতে পেলেন না।
কাউকে দেখতে না পেরে সামিয়া শিওর হলেন ওর রুমে কোন মানুষ না কোন জ্বীন বা ভূত আসছে।
কিন্তু কোন জ্বীন কেনো ওর কাছে আসে।
এটা ভেবে ভয়ে সেই রাতে আর ঘুমায়নি সামিয়া।
পরেরদিন দুপুরবেলা সামিয়ার সাথে দেখা হওয়ায় ও বলে।
কাল রাতে কল করছিলাম ধরোনি কেনো। যানো কত ভয় করছিলো৷ ভয়ে আমি ঘুমাইনি সারারাত।
সামিয়ার কথায় ওকে বললাম। কেনো কালকে কি কেউ আসছিলো নাকি। তোমাকে যা করতে বলছিলাম করছো মোবাইলে ভিডিও করছো।
আমার কথায় ও কিছু না বলে ফোনটা বের করে আমাকে দিয়ে বললেন৷
-দেখো ভিডিওটা দেখো। ভিডিওতে কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। ওখানে কাউকে দেখা যাচ্ছেনা অথচ আমাকে কেউ স্পর্শ করছে। আমি বুঝতে পারছিলাম ঐ হাতটা লোমে ভরা। দেখো এটা সাভাবিক কিছু হতে পারেনা এখন কি করবো তুমি বলো।
সামিয়ার কথায় বেশ চিন্তিত হয়ে আমার একটা বন্ধুকে কল দিয়ে ভালো কোন কবিরাজের ঠিকানা নিলাম।
কবিরাজের ঠিকানা নিয়ে সামিয়াকে নিয়ে চলে গেলাম সেই কবিরাজের বাড়িতে৷
কবিরাজের কাছে গিয়ে ওনাকে সব ঘটনা খুলে বলায় ওনি বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে দেখাশোনা করলেন আর বললেন।
কিহহ বললেন, কবিরাজ কি বললেন সেটা জানতে পারবেন পরের পর্বে।
যাঁরা এই গল্পর পরের পর্ব খুঁজে পাবেন না তাঁরা আমার এই পেজ ভূতের গল্প লেখক এটাতে ঢুকে পড়বেন। আমি রোজ দুপুর দুইটার সময় গল্প পোস্ট করি।
যাঁরা এখনো আমার এই পেজটা ফলো করেননি করে দিন তাহলে গল্প পোস্ট করলে সামনে যাবে।
আরেকটা কথা আমার কিন্তু এটা একটা গল্প বাস্তব না, আমি বাস্তবের মত করে লিখছি। আমার এটা গল্পর সাথে অনেকের বাস্তব ঘটনা মিলে যাবে। মানে অনেক মেয়ে আছে তাদের সাথে এমনটা৷ যাদের সাথে এমনটা হয় রাতে জ্বীন আসে স্পর্শ করে। তাঁরা ভয় পাবেন না৷ বিষয়টা পরিবারকে জানান। অনেক ভালো জ্বীন আছে যাঁরা পছন্দ করে ভালোবাসে বলে কাছে আসে স্পর্শ করে। তাই ভয় পাবেন না।
এরকম ঘটনা কারো সাথে ঘটলে আমার সাথে কথা বলে দেখতে পারেন বা কমেন্টে জানাতে পারেন।
গল্পটা সবাই শেয়ার করে দিন সবার আইডিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন