একটা সময় ছিল, যখন মনে করা হত সার্টিফিকেট না থাকলে উপার্জন সম্ভব নয়—কাজ নেই, আয় নেই, স্বপ্নও যেন ফিকে। ইন্টারনেটের এই সময় একদমই ভিন্ন কথা বলে। আপনি ভাল রান্না করতে পারেন? সেটা থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন অনলাইনে।
সাধারণ চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাইরেও যারা পরিবার সামলান, ছোট শহর বা গ্রামে থাকেন, বা বাইরে চাকরি করার সুযোগ পান না—তাদের জন্য ঘরে বসেই কোর্স বিক্রি করে আয় করা এখন নতুন সুযোগ। আপনার সেলাই সুন্দর, হয়ত মোবাইলেই দারুণ ছবি তোলেন—এই ছোট ছোট দক্ষতাগুলিই হতে পারে আপনার কোর্সের বিষয়।
এই লেখায় থাকবে—কোন কোন বিষয় নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ছাড়াই কোর্স বানাতে পারবেন, কীভাবে সেটা বিক্রি করবেন, আর কীভাবে ক্রেতার আস্থা তৈরি করবেন। আপনার অভিজ্ঞতা আর গল্পই হতে পারে অন্যের শেখার উৎস ও অনুপ্রেরণা।
.
১. নিজের স্কিল খুঁজে বের করুন
সবচেয়ে আগে ভাবুন—আপনার কাছে এমন কী আছে, যা অন্যরা শিখতে চাইবে? অনেকে বলে, ‘আমি তো তেমন কিছু পারি না!’—আসলে আমাদের অনেকেরই ছোট ছোট দক্ষতা থাকে, যা নিজের কাছে তুচ্ছ লাগে।
ধরুন, আপনার হাতের রান্না এতই ভাল যে আত্মীয়-স্বজন সবসময় প্রশংসা করে। কিংবা বাচ্চার স্কুল প্রজেক্টে আপনি দারুণ কারুকাজ করেন। এসবই হতে পারে আপনার কোর্সের বিষয়।
একটা সহজ উপায়—একটা নোটবুক নিন, লিখে ফেলুন—“আমি কী কী জানি, যা অন্যকে শেখাতে পারি।” বন্ধুদের জিজ্ঞেস করুন—“তোমরা আমার কোন জিনিসটা শিখতে চাও?” অনেক সময় অন্যের চোখে আমাদের স্কিলগুলি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
আরেকটা বিষয়—যা শিখছেন, সেটা নিয়ে অন্তত ছয় মাস বা এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল। এতে শেখানোর সময় আপনি আত্মবিশ্বাসী থাকবেন।
.
২. হস্তশিল্প, ক্রাফট আর হোমডেকর
বাংলাদেশের লোকজ হস্তশিল্পের জন্য কোনো সার্টিফিকেটের দরকার হবে না। নকশিকাঁথা, হাতে বাঁধাই পুতুল, মৃৎশিল্প—এমন অনেক কাজই আছে, যা গ্রামের গৃহিণী থেকে শহরের তরুণী পর্যন্ত শিখতে আগ্রহী। আপনি যদি এই কাজগুলি নিজে করতে জানেন, তাহলে সহজেই ছোট ভিডিও টিউটোরিয়াল আকারে শেখাতে পারেন।
একটা ভাল হস্তশিল্প কোর্সে থাকবেই—কাঁচামাল কোথা থেকে আনবেন, কত দামে পাবেন, কোন কাজের জন্য কোন যন্ত্রপাতি দরকার হবে।
সবার আগে বেসিক নকশা দিয়ে শুরু করুন—ধাপে ধাপে দেখান কীভাবে হাতে ধরতে হবে, কোন ছোট ভুল কীভাবে এড়াবেন। কোর্সের শেষে ২-৩টা প্রজেক্ট দিন, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজের হাতেই পুরোটা তৈরি করতে পারে। চাইলে সেটাকে বিক্রি করার সহজ উপায়ও দেখাতে পারেন—যেমন ফেসবুক পেইজ বা লোকাল দোকানে দিয়ে আসা।
কেন মানুষ আপনার কোর্স কিনবে?
কারণ তারা বিশ্বাস করবে—আপনি নিজের হাতে কাজটা শিখেছেন, বানিয়েছেন, আর সেটাই হাতে ধরে দেখাচ্ছেন। আরেকটা কাজ করুন—ক্লাসের কিছু অংশ ফ্রি লাইভে বা ইউটিউবে দিন, দেখবেন অনেকেই আগ্রহ নিয়ে পুরো কোর্স কিনতে চাইবে।
.
৩. রান্না ও বেকিং
রান্নাকে শুধু ঘরের কাজ না ভেবে আয় করার বিষয় হিসাবেও দেখতে পারেন। মা-দাদির পুরনো রেসিপি, নিজের তৈরি ফিউশন বা হোম বেকিং—সবই শেখানো যায়। বেকিং শেখার চাহিদা এখন খুবই বেশি, কারণ হোম বেকারি বিজনেস চালু করতে চান এমন নারীরা সহজ অথেনটিক গাইড খোঁজেন।
আপনার কোর্সে রেসিপি হবে, সেটা তো থাকবেই। সঙ্গে থাকবে হাতেকলমে ভিডিও—ফ্রিজের তাপমাত্রা, ওভেনের সেটিং, ডেকোরেশন, খাবার পরিবেশন—সব।
রেসিপি কার্ড পিডিএফ আকারে দিন, যাতে শিক্ষার্থীরা হাতের কাছে রাখতে পারে। চাইলে কিচেন ম্যানেজমেন্ট, হাইজিন, অর্ডার ডেলিভারি—এসব নিয়ে ছোট মডিউল রাখুন।
অনেকেই খাবার বানাতে পারে, কিন্তু প্যাকেজিং আর কাস্টমারের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছানোই তাদের সমস্যা হয়—আপনি যদি সেটা শেখাতে পারেন, আপনার কোর্স সবার উপকারে আসবে!
.
৪. ফ্রিল্যান্সিং স্কিলস—আপনার অভিজ্ঞতাই হবে অন্যদের গাইড
অনেকেই ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে হলে ডিগ্রি লাগবে—আসলে একদমই না!
আপনি যদি ফাইভার, আপওয়ার্ক বা ফেসবুকের লোকাল গ্রুপ থেকে ছোট ছোট অর্ডার পেয়ে থাকেন, সেটাই হতে পারে বাস্তব অভিজ্ঞতা। কেউ যদি শোনে যে “আপনিও আমার মত একদিন প্রথম অর্ডার পেয়েছিলেন, ভুল করেছেন, শিখেছেন”—তাহলে তারা আপনার শেখানো পদ্ধতিই সহজে বুঝবে।
কোর্সে রাখবেন—প্রোফাইল সেটআপ, কীভাবে বায়ো লিখবেন, প্রপোজাল কেমন হবে, প্রাইস কত রাখবেন, কাস্টমারের সাথে কনভার্সেশন কীভাবে হবে।
অনেকে বলেন, ‘ইংরেজি পারি না, তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখা হবে না।’ আসলে শুরুটা আপনি বাংলায় করতেই পারেন: কীভাবে প্রোফাইল বানাবেন, কীভাবে প্রপোজাল লিখবেন, কেমন টুল ব্যবহার হবে। এসব প্রথমে বাংলাতেই শেখা ভালো। এতে ভয় কমে, বিষয়গুলি মাথায় গুছিয়ে যায়।
কিন্তু সত্যি কথা হল, ফ্রিল্যান্সিং একবার শুরু হলে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলতে, মেসেজ লিখতে, প্রেজেন্টেশন দিতে, দরকার হলে মিটিং করতে আপনার ইংরেজি জানতেই হবে। তাই শেখানোর সময়ই বার বার বলুন, বাংলায় শেখা শুধু বেসিক বুঝতে, কিন্তু ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করতে গেলে ধীরে ধীরে ইংরেজি প্র্যাকটিস শুরু করতেই হবে।
ইংরেজি শেখার ছোট ধাপগুলি একসাথে বলে দিন:
• দৈনিক ৫-১০টা প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং শব্দ শিখুন। যেমন — proposal, milestone, deliverables, revision, deadline, budget — এসব শব্দে অভ্যস্ত হয়ে যান।
• ছোট ছোট মেইল বা ক্লায়েন্টের মেসেজ পড়ে অনুবাদ করুন। দরকার হলে গুগল ট্রান্সলেট বা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করুন, কিন্তু চোখ বুলাতে থাকুন।
• নিজে প্র্যাকটিস মেসেজ লিখুন। মনে করুন, আপনি ১০ ডলারের কাজের প্রপোজাল দিচ্ছেন — কীভাবে politely বলবেন, সেটার খসড়া তৈরি করুন।
• বন্ধু বা ছোট গ্রুপে spoken practice করুন। জোরে পড়ুন—এতে উচ্চারণ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়বে।
• ক্লায়েন্ট মেসেজের কিছু রেডি ফরম্যাট বানিয়ে রাখুন। পরে দরকারে কপি করে একটু পরিবর্তন করে পাঠাবেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—ছোট কেস স্টাডি দিন। যেমন:
“আমি প্রথমে একেবারেই ইংরেজিতে কথা বলতে পারতাম না। প্রথম প্রপোজাল লিখতে গিয়ে Google Translate আর YouTube টিউটোরিয়াল মিলিয়ে লিখেছিলাম। প্রথম অর্ডারটা মাত্র ৫ ডলার হলেও সেটাই আমার আত্মবিশ্বাসের শুরু। ধীরে ধীরে প্রতিদিন অল্প অল্প শিখে আজ আমি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভাল ইনকাম করছি।”
এভাবে গল্প বললে নতুনরা বুঝবে, শুরুতে ভুল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যিনি চেষ্টা করেন, তিনিই টিকে থাকেন।
.
৫. সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন
সেলাই শিখতে চায় এমন মানুষের অভাব নেই—বিশেষ করে বিয়ের মৌসুমে ব্লাউজ, শাড়ির পাড় সেলাই, বেবি ফ্রক, স্কুল ড্রেস—সবকিছুরই চাহিদা আছে। আপনি যদি দর্জির কাছে কাজ শিখে থাকেন বা নিজের বাসায় জামা তৈরি করে থাকেন, সেটাই কোর্সের বিষয় হতে পারে।
আগে বেসিক থেকে শুরু করুন—মেশিন সেটআপ, কাপড় বাছাই, মাপ নেয়ার কৌশল। তারপর দেখান—একই ডিজাইনের ছোট ছোট ভ্যারিয়েশন কীভাবে করা যায়। সাধারণ ফিটিং সমস্যা আর্টিস্টিকভাবে মডিফাই করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
চাইলে “ঘরে বসে অর্ডার নিয়ে কীভাবে কাজ শুরু করবেন”—এমন ছোট বিজনেস টিপসও দিন। এতে ছাত্রীরা শুধু সেলাই শিখবে না, আয়ও শুরু করতে পারবে।
.
৬. মোবাইল ফটোগ্রাফি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশন—ছোট দোকানদারদের জন্য বাঁচার দাওয়াই
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছবি ভাল না হলে প্রোডাক্ট বিক্রি হয় না। DSLR না থাকলেও মোবাইল দিয়েই অসাধারণ ছবি তোলা সম্ভব। আর এই কাজ শেখাতে পারেন আপনিও—যদি নিজেই ফ্রেমিং, লাইট, এডিটিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন।
কোর্সে যা শেখাবেন—মোবাইলে ক্যামেরা সেটিং কীভাবে ঠিক করতে হয়, প্রোডাক্ট শুট আর পার্সোনাল ব্র্যান্ড শুটের টেকনিক, কম আলোতে কীভাবে ছবি তুলতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড সেটআপ, ছোট প্রপস, ফ্রি এডিটিং টুল—সব দেখান হাতে ধরে। নিজেই তোলা কিছু ছবি আগে-পরের তুলনায় দেখালে শিক্ষার্থীরা বুঝবে—আপনার শেখানো কাজে দিচ্ছে।
.
৭. শিশুদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট
ছোট বাচ্চাদের জন্য গল্প বলা, আঁকা শেখানো, হাতের কাজ শেখানো—সবকিছুই অনলাইনে শেখানো সম্ভব। অনেক মা-বাবা চান সন্তান মোবাইলে ভিডিও দেখার বদলে কিছু শেখুক। এই কোর্সগুলি ছোট ও কালারফুল হলে শিশুরাও আনন্দ পায়।
এ ধরনের কোর্সে ভিডিও ৫-৭ মিনিটের বেশি রাখবেন না—বাচ্চাদের মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন।
গানে গানে কবিতা শেখানো, কাগজের কারুকাজ, ছোট রঙের কাজ—সব সহজ ও মজার করে সাজান। বাবা-মার জন্য ছোট গাইড দিন—“কোর্স চলাকালে কীভাবে বাচ্চাকে সাপোর্ট দেবেন।” এতে তারা আপনাকে ভরসা করবে।
.
ভিডিও আর কন্টেন্ট তৈরি—খরচ কম, ফল বেশি
শুরুতে অনেকেই ভাবে ভাল কোয়ালিটির ভিডিও বানাতে স্টুডিও, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন দরকার। বাস্তবে, আপনার মোবাইল ফোন আর স্বাভাবিক আলোই যথেষ্ট। দিনের বেলা জানালার পাশে বসে ভিডিও করুন। চেষ্টা করুন যাতে কোনো শোরগোল না থাকে—দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন, ফ্যানের আওয়াজ এড়িয়ে চলুন।
ভিডিও শুট হয়ে গেলে সহজ এডিটিং টুল ব্যবহার করুন—CapCut, VN, Canva এর মত ফ্রি সফটওয়্যারেই প্রাথমিক সব কাজ হয়ে যাবে। লম্বা ভিডিওর বদলে বিষয় ভিত্তিক ছোট ছোট ক্লিপ বানান। এতে যারা শিখবে তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে এবং আপনার কন্টেন্টও আরও গোছানো মনে হবে।
.
কোর্সের দাম ঠিক করবেন কীভাবে?
অনেকেই শুরুতে ভেবে নেন দাম কম রাখলে বেশি বিক্রি হবে। কিন্তু খুব কম দামে কোর্স দিলে অনেকে কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ করে। আবার দাম একদম বেশি হলে প্রথমবার কেউ কিনতে চাইবে না। তাই বাজারে অন্যদের কোর্সের দাম দেখে নিন। নিজের সময়, শ্রম আর অভিজ্ঞতার দাম হিসাব করুন।
ছোট বেসিক কোর্স সবার হাতে পৌঁছাতে তুলনামূলক কম দামে দিন। পরে আপনার ছাত্রছাত্রীরাই যদি সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তারা আপনার অ্যাডভান্স লেভেলের কোর্স বা আলাদা মডিউল নিতে আগ্রহী হবে—সেটাতে আপনি ন্যায্য দাম রাখতে পারবেন।
.
গ্রাহকের আস্থা—আপনার বাস্তব গল্পই সবচেয়ে বড় প্রমাণ
প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট না থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়া খুব জরুরি। এক্ষেত্রে আপনার কাজই হবে সবচেয়ে বড় প্রমাণ। প্রথম দিকে কয়েকজনকে ডিসকাউন্ট বা একদম ফ্রি কোর্স দিন। তাদের কাছ থেকে রিভিউ, ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল সংগ্রহ করুন। এগুলি আপনার পেইজ বা প্রোমো ভিডিওতে ব্যবহার করুন।
সাথে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে একটা কমিউনিটি গ্রুপ চালু রাখুন—শিক্ষার্থীরা একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে৮৮৮৮8৯৯, আপনাকে ফিডব্যাক দেবে। এতে নতুনদের আস্থা বাড়বে।
কিছু অংশ ইউটিউবে ফ্রি রাখলে মানুষ আপনার শেখানোর ধরন বুঝতে পারবে, যা বিক্রির সম্ভাবনা বাড়াবে।
.
কোর্স মার্কেটিং—সঠিকভাবে ছড়িয়ে দিন
মার্কেটিং শুধু বিজ্ঞাপন নয়—আপনি কীভাবে আপনার কাজের মান মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছেন সেটাই মূল বিষয়।
প্রথমে নিজের ফেসবুক পেইজ ও প্রোফাইল থেকে শুরু করুন। ক্লাসের ছোট অংশের ক্লিপ, বিক্ষিপ্ত লাইভ সেশন বা টিজার পোস্ট দিন। যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য ইউটিউবে সংক্ষিপ্ত ফ্রি ক্লাস আপলোড করুন।
প্রথম কিছু শিক্ষার্থীকে স্পেশাল অফার দিন, ছাড় দিন। পেমেন্ট সিস্টেম সহজ রাখুন—বিকাশ, নগদ, রকেটের মত লোকাল অপশন থাকলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনার কোর্স কিনতে পারবে।
.
শুরু করার আগে ছোট চেকলিস্ট
• নিজের স্কিল ও বিষয় নির্ধারণ করুন
• কনটেন্ট পরিকল্পনা লিখে ফেলুন
• ভিডিও রেকর্ড করুন
• সহজ এডিটিং করে ভিডিও গুছান
• দাম ঠিক করুন
• প্রথম ব্যাচের রিভিউ সংগ্রহ করুন
• শিক্ষার্থীদের জন্য কমিউনিটি তৈরি করুন
• নিয়মিত প্রোমোশন চালিয়ে যান—ভয় পাবেন না
.
প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের বদলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, শেখানোর সহজ ভাষা আর আন্তরিকতাই হবে সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট। আর এই গল্পটাই অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। হাতে থাকা মোবাইল আর একটু সাহস—এই দুই থাকলেই শুরু করা সম্ভব। আজই এক ধাপ এগিয়ে যান, নিজের ছোট কোর্সের মধ্যে গড়ে তুলুন বড় স্বপ্নের ভিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন