🔻জ্বরঠুঁটো (Fever blister) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ লক্ষণভিত্তিকভাবে নির্ধারিত হয়।🔻
---
✅ *১. Natrum Muriaticum*
- ঠোঁটে বারবার ফোসকা হয় ।
-শরীরের দিনে জ্বর হয়, রাতে ভালো থাকে।
- সূর্যের আলোয় গেলে মাথা ধরে।
- ঠোঁট ফেটে খসখসে হয়ে যায়। ঠোঁট, গাল -গলা শুকিয়ে যায়।
- জ্বালাপোড়া ও ব্যথা।
-রোগী গরম কাতর।বেশি ঘেমে যায়। গোসল করলে ভালো লাগে। চিকন চাকান এবং লবণ প্রিয়।
---
✅ *২. Rhus Toxicodendron*
- ঠোঁট বা মুখে চুলকায়, ঘা হয়
- জ্বালা ও ব্যথা সহ পানি বা পুঁজ ভর্তি ফোসকা ।
- ঠান্ডা ও সর্দির পর ঘা দেখা দেয়।
-রাতে অস্থিরতা বেশি কাজ করে। শরীরে রাত্রে বেশি জ্বর থাকে। রোগী শীতকাতর। ঠান্ডায় সকল সমস্যা বাড়ে।
---
✅ *৩. Apis Mellifica*
- ফোসকা ফুলে ওঠে, লালচে
- জ্বালাপোড়া খুব বেশি । হুল ফুটার মত ফোটে।
- ঠান্ডা জিনিসে আরাম পায়।
-রোগীর গরম বেশি। পানির পিপাসা থাকে না। সবকিছু ঠান্ডা ভালোবাসে।
---
✅ *৪. Hepar Sulphuris*
- ফোসকা ফেটে পুঁজ বের হয় ।
- খুব সংবেদনশীল, সামান্য ছোঁয়াতেও ব্যথা
- ঠান্ডায় বাড়ে।গরমে ভালো থাকে।
---
✅ *৫. Mezereum*
- ফোসকার আশপাশ শক্ত ও খোসা পড়ে
- তীব্র চুলকানি
- ঘন ঘন জ্বরঠুঁটো হলে উপকারী।
🔴🔴 *সাধারণ পরামর্শ:*
- Natrum Mur ও Rhus Tox – সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
- Potency ও ডোজ রোগীর অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় (৩০ বা ২০০ পটেন্সি সাধারণত ব্যবহৃত)
- বারবার জ্বরঠুঁটো হলে কনস্টিটিউশনাল চিকিৎসা প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন