এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

জীবনে সবচেয়ে বেশি বই পড়েছি বাছে বসে,,,,তৌহিদ এলাহি ফেইসবুক থেকে

 জীবনে সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করেছি বাসে বসে- তৌহিদ এলাহী


আমি তৌহিদ এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ভর্তি হবার পর পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাটিয়েছে বিভিন্ন লেখালেখি টিউশনি এগুলো করে। তাছাড়া পাশাপাশি চলতে মুভি দেখা বই পড়া খেলাধুলা এবং আড্ডা। তবে পড়াশোনার অভ্যাস ছিল। কিন্তু চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা আমি খুব একটা করিনি বললেই চলে। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সম্পাদকীয় গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তাম। চোখের সামনে যা কিছু দেখতাম সবকিছুই একবার হলেও করে ফেলতাম। 


অনার্স শেষ করার পর পর আমি প্রথম বিসিএস পরীক্ষা দেই এবং অবিশ্বাস্যভাবে প্রথমবার ঐ প্রিলিমিনারিতে টিকে যাই। এরপর রিটেন এ অংশগ্রহণ করি। রিটেন পরীক্ষায় পাট্রিয়টিজম টাইপের একটা রচনা এসেছিল যেখানে আমার দেখা একটা মুভির কিছু কিছু ডায়লগ একেবারে হুবহু কপি করে লিখে দিয়েছিলাম। নিজের লেখা রচনা অবশ্য ভালোই লেগেছিল।


প্রথম বারেই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে টিকে যাওয়া আমার কাছে খুব একটা কঠিন মনে হয়নি। আলাদা করে যদিও আমি কোনো প্রস্তুতি নেইনি। কিন্তু বিসিএস এর বিভিন্ন টপিকগুলোর একেবারে মৌলিক বিষয়গুলো সব সময় জানার চেষ্টা করতাম। সেইসাথে সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় পড়ে সবসময় আপডেট থাকতাম। 

বিসিএস ভাইভা দেওয়ার আগে আমি আইবিএ তে চান্স পাই এমবিএ করার জন্য। এখন চাকুরীর পাশাপাশি আমি এমবিএ করছি। আপনাদেরকে একটা মজার কথা বলতে চাই, আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করেছি ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়ে বাসে বসে বসে। 


অতটা বেশি প্রস্তুতি না থাকায় ভাইভা বোর্ডে গিয়ে অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া ভাইভাতে বেশিরভাগ প্রশ্ন করা হয়েছিল ইংরেজিতে। সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে আমার তেমন একটা জানা ছিল না বলে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। কিন্তু আমি আমার দুর্বলতা স্বীকার করেছিলাম সেই সাথে বলেছিলাম যে এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব আমি ইনশাআল্লাহ। 


এই ছিল আমার বিশেষ জীবনের গল্প। এটাই আমার প্রথম চাকরি এবং তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার যা করে জীবন শুরু হয় লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। কাজের প্রথম দিনেই অনেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে আমাদের বরণ করে নেন এবং তার কিছুদিন পর ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আমার ট্রান্সফার হয়। 


প্রশাসনিক কাজের সবচেয়ে ভালো দিক হলো আপনি কখনোই একঘেয়ে হয়ে যাবেন না এবং প্রতিদিন ঐ কাজের নতুন নতুন মাত্রা যোগ হবে। পরিচয় হবে নতুন নতুন মানুষের সাথে। ঠিক যেন চ্যালেঞ্জিং রোমাঞ্চিত একটা জীবন। আসলে বিসিএস থেকে শুরু করে আজকের অফিস জীবন পুরোটাই আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং গল্প বলে মনে হয়। 


— তৌ

হি

দ 

লা

হী

কপি
পেস্ট 

মিসওয়াকের ফজিলত,,,, তাবলীগ জামাত ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মিসওয়াকের ফজিলত। 

১/ মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে  ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। 

২/ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন  হয়। 

৩/ মৃত্যুর সময় কালিমা নছিব হয়। 

৪/ দৃষ্টি শক্তি ভালো  ও তীক্ষ্ণ  হয়। 

৫/ অন্তত পবিত্র হয়। 

 ৬/ খাবার হজম হয়। 

৭/ পিঠ মজবুত  হয়। 

,৮/ মুখে সুঘ্রাণ  হয়। 

৯/ পেটের রোগ দূর হয়। 

১০/ বার্ধক্য  বিলম্বে আসে। 

১১/ কন্ঠ পরিষ্কার হয়। 

১২/ জিব্বা পরিষ্কার  হয়। 

১৩ / দাঁত শক্ত হয়। 

১৪/ জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়। 

১৫/ নেকি বৃদ্ধি পায়। 

১৬/ শয়তান  অসন্তুষ্ট হয়। 

১৭/ মাথা ব্যাথা ও মাথার রোগ দূর হয়। 

১৮/ কফ দূর  হয়। 

১৯/ রসূলগন তার জন্য দোয়া  করে।

২০/ সন্তান  অধিক  হয়।

কপি
পেস্ট 

কাঁচের বোতলের মধ্যে ,,,,শখের বাগান ফেইসবুক প্রশ্ন কপি করা,,,

 কাচের বোতল এর মধ্যে গাছ? দেখে অবাক হচ্ছেন?

এর নাম Terrarium!

বিশেষ কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই, এটাই হতে পারে আপনার ঘরের জীবন্ত একটি শো পিস!

শুধু হালকা সূর্যের আলো পায় এমন জায়গায় রেখে দিন আর আপনার কাজ শেষ!

উপভোগ করুন প্রকৃতি নিজের ঘরেই!


উপকরণ 

1)গ্লাস জার

2)পাথর (সাদা হলে ভালো হয়)

3) অ্যাক্টিভেটেড চারকোল

4)মাটি ( 1 বছর পুরোনো গোবর সার যুক্ত ঝুরঝুরে মাটি হলে ভালো)

5)উপযোগী গাছ

6) মস 


এগুলোকে সঠিকভাবে  একটি কাচের জারে স্থাপন করলেই হয়ে যাবে একটি সুন্দর terrarium!

কপি
পেস্ট 

ভাংগা To কুয়াকাটা রেলপথ

 প্রস্তবিত "ভাঙ্গা জংশন - কুয়াকাটা" রেলপথের স্টেশন সমূহঃ

১) ভাঙ্গা জংশন , ভাঙ্গা, ফরিদপুর 

২) বড়ইতলা   ,মুকসুদপুর গোপালগঞ্জ

৩) টেকেরহাট   রাজৈর, মাদারীপুর 

৪) মাদারীপুর  সদর, মাদারীপুর,

৫) কালকিনি , কালকিনি, মাদারীপুর

৬) গৌরনদী, গৌরনদী, বরিশাল

৭) উজিরপুর,  উজিরপুর, বরিশাল

৮) বরিশাল  বাবুগঞ্জ, বরিশাল 

৯) বরিশাল সদর, কাশিপুর, বরিশাল

১০) দপদপিয়া , নলছিটি, ঝালকাঠি

১১) বাকেরগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

১২) বদরপুর  বদরপুর, পটুয়াখালী

১৩) পটুয়াখালী, সদর পটুয়াখালী

১৪) কুকুয়া কুকুয়া, আমতলী, বরগুনা

১৫) আমতলী, আমতলী, বরগুনা[

১৬) পায়রা সমুদ্রবন্দর,  কলাপাড়া, পটুয়াখালী

১৭) পায়রা বন্দর ইয়ার্ড , কলাপাড়া, পটুয়াখালী

১৮) লেমুপাড়া , বালিয়াতলী, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

১৯) কুয়াকাটা,  কলাপাড়া, পটুয়াখালী। 


এই রেলপথ টি চালু হলে ভোলা এবং পিরোজপুর জেলা ব্যাতিত বরিশাল বিভাগের সব জেলাই রেল নেটওয়ার্ক এর আওতায় চলে আসবে।

কপি
পেস্ট 

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

লিচু চোর,,, কাজী নজরুল ইসলাম,,,

বাবুদের তাল-পুকুরে

হাবুদের ডাল-কুকুরে

সে কি বাস করলে তাড়া,

বলি থাম একটু দাড়া।


পুকুরের ঐ কাছে না

লিচুর এক গাছ আছে না

হোথা না আস্তে গিয়ে

য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে

গাছে গো যেই চড়েছি

ছোট এক ডাল ধরেছি,


ও বাবা মড়াত করে

পড়েছি সরাত জোরে।

পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,

সে ছিল গাছের আড়েই।

ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,

ধুমাধুম গোটা দুচ্চার

দিলে খুব কিল ও ঘুষি

একদম জোরসে ঠুসি।


আমিও বাগিয়ে থাপড়

দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়

লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,

দেখি এক ভিটরে শেয়াল! …


সেকি ভাই যায় রে ভুলা-

মালীর ঐ পিটুনিগুলা!

কি বলিস ফের হপ্তা!

তৌবা-নাক খপ্তা…!

.

লিচু চোর

- কাজী নজরুল ইসলাম 

কপি
পেস্ট

স্বাধিনতার সুখ কবি রজনীকান্ত সেন,,,,

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,

"কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,

আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে

তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।"


বাবুই হাসিয়া কহে, "সন্দেহ কি তায়?

কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।

পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,

নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।" 

.

স্বাধীনতার সুখ - রজনীকান্ত সেন 

কপি
পেস্ট

আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগের কথা,,,, বিউটি বেল্ট ফেইসবুক থেকে কপি করা

আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগের কথা। ডিসেম্বর মাসের কনকনে শীতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষের ছুটি কাটাতে ভদ্রমহিলা তিন সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ী রওনা দিলেন চট্টগ্রাম থেকে। 


সাথে তার স্বামী। প্ল্যান হচ্ছে ১৫ দিন বাবার বাড়ী, শ্বশুরবাড়ি ঘুরে আবারও স্বামীর কর্মস্হল চট্রগ্রামে ফিরে যাওয়া। 


সব ভালোয় ভালোয় চলছিলো! আনন্দ উৎসবের কমতি নেই। ভাপা পিঠা হতে কবুতের ঝোল, চিতই পিঠা থেকে গরু ভুনা কি নেই সে আয়োজনে!!  


বাচ্চারা তখন দাদা বাড়ী মাতিয়ে তুলেছিলো। আর ৪ দিন পরেই বাবা এসে নিয়ে যাবে, কাজেই যতো পারো হুল্লোড় করে নাও! শাপলা তোলা, মাছ ধরা, পুকুরে দাপানো, কুতকুত খেলা স্বপ্নের মতো সময় কাটছিলো সবার। 


একদিন দাদীমা ঘরের তেল চকচকে দুটো হাঁস জবাই দিলেন। আজ রাতে তাঁর ছেলে আসবে। ছেলে সহ বৌমা, নাতি নাতনীরা হাঁস আর চালের রুটির আসর জমাবে। 


বড় উঠানে জবাই করা হাঁস রেখে বড় গামলায় উতরানো টগবগে পানি রেখে তিনি গেলেন বসার চৌকি আনতে রান্না ঘরে। তার একটু আগে এক পশলা হালকা বৃষ্টিতে উঠোন ছিলো ভয়ংকর পিচ্ছিল। রান্নাঘর থেকে বের হবার মুহূর্তে তিনি এক গগনবিদারী চিৎকার শুনলেন। ফিরে তাকাতেই তার পুরোটা শরীর অবস হয়ে গেলো। 


বাড়ীর সবচেয়ে ছোট নাতনিটি তাঁর, মাত্র চার বছরের, উঠোনে পা পিছলে টগবগে গরম পানিতে পড়ে গেছে। একা একা কখন সে উঠোনে নামলো কেউ খেয়াল করেনি। বিপদ তো না জানিয়েই আসে।


এরপরের দৃশ্যপট ভয়াবহ হৃদয়বিদারক। সবাই দৌড়ে এসে দেখে বাচ্চার পুরো বাম হাত গরম পানিতে প্রায় সিদ্ধ হয়ে গেছে। পরনে ছিলো ফুল হাতার সোয়েটার। কারা যেনো টেনে সোয়েটার উপরে ওঠাতেই হাতের চামড়াসহ কিছু মাংস সোয়েটারের সাথে পেঁচিয়ে উঠে গেলো। আর কিছু চামড়া হাতের নিচে ঝুলতে লাগলো। 


বাবুর চাচারা পাগলের মতো কাঁদতে কাঁদতে তাকে পিঠে ফেলে হাসপাতালে দৌড় দিলো। পুরনো এক সদর হাসপাতাল। ৪০ বছর আগে ওখানে ভালো ক্লিনিক বা চিকিৎসা সেবা তেমন ছিলো না। তবুও ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এটুকু বলে দিলেন, যেহেতু ডীপ বার্ণ জয়েন্ট সহ, পুরো হাত বাঁকা হয়ে যাবে। যদি প্রাণেও বেঁচে যায় কিন্ত পঙ্গুত্ব মেনে নিতেই হবে। 


ততোক্ষণে বাবাও চলে এলেন। সবার এক কথা বাচ্চাকে শুধু প্রাণে বাঁচাও। শুরু হলো চিকিৎসা, তৎকালীন যা সুযোগ ছিলো তাই দিয়ে। ডাক্তার বারবার সাবধান করেছিলেন,,মশারীর নিচে রাখবেন, ইনফেকশন হলে অবস্হা আরও খারাপ হবে। বাচ্চার সাথে অর্ধ পাগল মাও তখন আশ্রয় নিলেন মশারীর নিচে। 


একদিন পর পর ডাক্তার এসে ড্রেসিং করতো, বাচ্চার গগনচুম্বী চিৎকারে সবাই কাঁদতো, মা কানে আঙ্গুল চেপে রাখতেন। ড্রেসিং এর সময় উঠে আসতো পুড়ে যাওয়া চামড়া, সফট টিসু। আঙ্গুল যেনো একটার সাথে একটা জোড়া না লাগে সেজন্য ফাঁকে ফাঁকে বোর্ড দিয়ে রাখতেন ডাক্তার। আর মা দিন রাত অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিতেন যেনো বোর্ড সরে না যায়। নিয়ম করে ঔষধ খাওয়ানো, মলম লাগানো নিজের হাতের ওপর বাচ্চার হাত কায়দা করে ধরে রাখা, রাত দিন বসে কাটানো, ঘুম নেই, ঝিমুনি এলেও হাঁটুর ওপর থুতনি রেখে একটু......যদি বাচ্চার হাত নড়ে যায়! যদি ব্যথা পায়! যদি আঙ্গুল জোড়া লেগে যায় একের সাথে অন্যের!!.....এভাবে এক মাস!!


হুম। পুরো একমাস একই ভাবে বাচ্চার সাথে লেগে ছিলেন সেই মা। এক মাস পরে হাত কিছুটা শুকিয়ে এলো। বোর্ড সরিয়ে ডাক্তার শুধু মলম আর হালকা কিছু জয়েন্টের ব্যায়াম শিখিয়ে দিয়েছিলো। মা সেটাই করতো। 


দেড় মাস পরের ঘটনা। আজ সেই মা ভাত খাবেন। উনি ওয়াদা করেছিলেন যতোদিন তার বাচ্চা সুস্হ না হবে, যতোদিন বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনবেন, ততদিন তিনি বাচ্চা ছেড়ে কোথায় যাবেন না, ভাত স্পর্শ করবেন না, আল্লাহর কৃপা চাওয়া বন্ধ করবেন না। শুধু চা, একটু রুটি খেয়ে জীবন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। 


আস্তে আস্তে বাচ্চাটির হাত পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। সেই মা করেছেন অকল্পনীয় কষ্ট, আর একজন চিকিৎসক ঢেলে দিয়েছিলেন তাঁর সবটুকু মমতা এবং যত্ন। নিরলস ভাবে বাড়ীতে এসে ড্রেসিং করতেন, যত্ন নিতেন.... আর খারাপ এক আশংকা নিয়ে ফিরে যেতেন। 


কিন্ত, অবিশ্বাস্য ভাবে বাচ্চাটির বার্ন কনট্রাকচার হয়নি। পঙ্গু হয়ে যায়নি শিশুটি। 


আজ যখন আমি সেই হাত দিয়ে অপারেশন করি, রোগী দেখি, আল্ট্রাসনোগ্রাম করি, সেলাই, রান্না,বাগান, লেখালেখি সব, সব করি.... তখন প্রতিমুহূর্তেই আমার কর্মঠ হাত আমার মায়ের জন্য, সেই ডাক্তারের জন্য দোয়া করতে থাকে অবচেতন মনেই। 


আমার যা কিছু পারফেক্ট, যা কিছুতে আমার অর্জন, সে আমার আম্মুর সেই চার বছর বয়সের অবিশ্বাস্য এক অবদান। রূপকথা হার মানে যেখানে। 


রিনু। 

কপি
পেস্ট

অচল মামলা সচল করার পদ্ধতি,,,,এবং সালাউদ্দিন রিগ্যান ফেইসবুকে থেকে নেওয়া

 ‘অচল মামলা সচল করা’র গল্প!

(মামলা করতে চান? সময় নিয়ে হলেও গল্পটা পড়েন)


‘গাজী সেরাজদ্দিন। দাদার আমলে অনেক জায়গা-সম্পত্তি ছিল। বাবার আমলেই বিক্রি শুরু। নিজের আমলে তলানিতে তলিয়ে যায় সম্পত্তি। পাতিলের তলার ভাতে যে কারণে ‘কণা’ থাকে সে কারণে তলানির সম্পত্তিতেও সমস্যা থাকে। গাজী সেরাজদ্দিন মামলা করতে আসেন সদরে। এক আইনজীবী কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন ‘মামলা চলে না’। আইনজীবীর কথায় সেরাজদ্দিন খুশি হয়নি। কাগজপত্র ফেরত নিতে চাইলেই, আইনজীবী সাহেব,

- আমার পরামর্শ ফি?

- আমি তো আপনার পরামর্শ নিলাম না।

- কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে আমার সময় নষ্ট হয়েছে, সেই সময়ের মূল্য?

- সময় নষ্ট তো আমারও হয়েছে।


বে-কায়দায় পড়ে গেলে কোনো উকিলই মক্কেলের সাথে কথায় কুলিয়ে উঠতে পারেন না। মক্কেল কাগজপত্র নিয়ে চলে গেল পাশের চেম্বারে। পাশের চেম্বারে লোকজন গিজগিজ করছে। বাবার সাথে মাঝে মাঝে সদরে আসার কারণে সেরাজদ্দিনকে অনেকেই চেনে। উকিল সাহেবের নজর পড়তেই,

- গাজী সাহেব কী কারণে সদরে?

- আর বলবেন না, এক মাঠে মড়া উকিলের কাছে এসেছিলাম মামলা করতে। আমার দিনটাই মাটি করে দিলো। সারা দিন কাগজ নাড়াচাড়া করে এখন কয়, মামলা চলে না।

- কে বলে মামলা চলে না। চালাতে জানলেই চলতে শুরু করবে। খরচপাতি একটু বেশি লাগে, এই আর কী!


বেশি খরচ দিতেই চলতে শুরু করে মামলা। অচল মামলা সচল রাখতে গিয়ে উকিল সাহেব কখনো চঞ্চল, কখনো অস্থির এবং কখনো গম্ভীর হয়ে উঠতেন। উকিল সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে এরকম বিপরীত আচরণ করতেন সেরাজদ্দিনও। উকিল সাহেবের অস্থির ভাব দেখে স্বস্তির ভাব নিয়ে মামলার হালচাল জানতে চাইত সেরাজদ্দিন। উত্তরে আইনজীবী,

- অচল মামলা তো, বড় কষ্ট করে সচল রাখতে হচ্ছে।


সেরাজদ্দিনও মানুষ, হাবভাব দেখেই উকিল সাহেবের কষ্ট বুঝতে পারেন। উকিলের কষ্ট বুঝতে পারেন বলেই অন্যান্য মক্কেল যেখানে ১০ টাকা খরচ করে, সেখানে সেরাজদ্দিন খরচ করেন ২০ টাকা। নিজের পেটের খরচ কমিয়ে উকিল সাহেবের খরচ বাড়িয়ে দেন। বছর পাঁচেক পর মামলা দো-তরফাসূত্রে খারিজ হয়ে যায়।

- এত ভালো মামলা খারিজ হয়ে গেল?

উকিল সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত কণ্ঠে প্রশ্ন করেন সেরাজদ্দিন।

- হাকিম মামলা বোঝে না।

বিজ্ঞের মতো উত্তর দেয় বিজ্ঞ আইনজীবী।

- এখন কী করতে হবে?

বিষণ্ণ বদনে প্রশ্ন করেন সিরাজদ্দিন।

- আপিল করতে হবে।

বিজ্ঞের মতো উত্তর দেন আইনজীবী সাহেব।


আপিল দায়ের করতেই আবার চলতে শুরু করে মামলা। উভয় কোর্টের উকিল এক ব্যক্তি হলে কী হবে, নিম্ন আদালত আর আপিল আদালত এক নয়। আপিল আদালত বড় আদালত, খরচও বড়। সর্ব প্রকারের খরচ বাড়িয়ে দেয়া সত্ত্বেও উকিল সাহেবের খাটাখাটির কোনো মূল্যায়ন না করে বছর কয়েক পর বিজ্ঞ বিচারক নির্মমভাবে আপিলও খারিজ করে দেন।

-ওদের (হাকিমদের) মাথায় কিচ্ছু নেই। কী বই পড়ে হাকিম হয়েছে, বুঝতে পারলাম না। আমার ক্ষমতা থাকলে এসব মাথাবিহীন হাকিমদের বান্দরবান পাঠিয়ে দিতাম।


সেরাজদ্দিন কৈফিয়ৎ চাওয়ার আগেই সেরাজদ্দিনকে শুনিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে হাকিমের মাথা ও বিদ্যা-বুদ্ধির স্বল্পতা নিয়ে অনেক কথা বলেন বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেব। আবার আপিল হয়। আবার খারিজ হয়, হয় রিভিশনও। রিভিশনও শেষ হয়। এক দিন শেষ হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। মামলা চলাকালে মক্কেলের জ্বালা উকিল বুঝল- উকিলের জ্বালা মক্কেল বুঝল। দু’জনের মিলিত জ্বালা গত ২২ বছরেও বুঝল না বিচারক। মামলা সাথে সাথে জোয়ান সেরাজদ্দিন গাজীর টানটান চামড়াও ঢিলেঢালা হয়। ‘গাজী সেরাজদ্দিন’ নামটিও একসময় সংক্ষিপ্ত আকারে হয়ে পড়ে ‘ছিরোগাজী’।


শেষ বিচারের ভার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে এখন উকিলের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পালা। এক থলে কাগজপত্র নিয়ে গাজী সেরাজদ্দিন সে-ই আইনজীবীর চেম্বারের সামনে দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল, যে-ই আইনজীবী বলেছিলেন, মামলাটি চলে না। সেদিন প্রথম আইনজীবীর পারিশ্রমিক না দিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে চলে গিয়েছিল সেরাজদ্দিন। প্রথম আইনজীবীর অবজারভেশন যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণের জন্য মামলার ওপর পরোক্ষ নজর রাখতেন প্রথম আইনজীবীও। গাজী সেরাজদ্দিন ছিরোগাজী খেতাবসহ দ্বিতীয় আইনজীবীর চেম্বার থেকে বিদায় হয়ে যাওয়ার সময় খোঁচা দিয়ে,

- গাজী সাহেব, মামলার খবর কী?

প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হন্ হন্ করে বের হয়ে যায় ছিরোগাজী। উত্তর দেন দ্বিতীয় আইনজীবী। কারণ, প্রথম আইনজীবীর কথার খোঁচা লেগেছিল দ্বিতীয় আইনজীবীর গায়েও। দ্বিতীয় আইনজীবী প্রথম আইনজীবীর কাছে এসে,

- আপনি তো বলেছিলেন ‘মামলাই চলে না’। আমি ২২ বছর চালাইলাম। জুনিয়ার থেকে সিনিয়র হলাম, ছেলে-মেয়ে মানুষ করলাম, বাড়ি করলাম, গাড়ি করলাম, (বৃদ্ধাঙ্গুলি মুখের কাছে নিয়ে) আপনি কী করছেন?


- (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, মনে মনে) ঠিকই তো, মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেল, কিছুই তো করতে পারলাম না।

অচল মামলা সচল রাখতে কোনো কোনো আইনজীবীর ভাগ্যের চাকা খুলে গেলেও বন্ধ হয়ে পড়ে ক্লায়েন্টের জীবনের চাকা। ‘গাজী সেরাজদ্দিন’ সুন্দর নামটিও মামলাবাজ ‘ছিরোগাজী’তে রূপান্তর হয়ে এলাকায় হয়ে পড়েছিলেন উপহাসের পাত্র।


© তথ্যঃ নয়াদিগন্ত, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

কপি
পেস্ট

মোশাররফ করিমের কিছু নাটকের নাম,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

গুরু মোশাররফ করিম অভিনীত নিচের কাজ গুলো যারা এখনো দেখেননি তারা দেখবেন আশা করি প্রতিটি-ই ভাল লাগবে 


••বিবাহ যোগ্য 

••গোপন থাক সত্য 

••ভদ্রলোক

••হাসির পাত্র 

••গুডবয়


••মুগ্ধ ব্যকরণ

••বাদশা আলমগীরের লটারি

••এটাই ভালবাসা 

••গল্পওয়ালা

••ডিভোর্স ফটোগ্রাফি


••সাইজ ডাজেন্ট ম্যাটার

••পাগলমন 

••গল্প হলেও সত্যি 

••রাত প্রহরী ফুলন দেবী

••ভিউবাবা


••ভাইরাল মাসুদ

••আমি পাগল বলছি 

••উচ্চতর ভালবাসা

••লুকিয়ে বাঁচুক ভালবাসা


••বনলতা ও জোনাকির গল্প

••লাকি নাম্বার ওয়ান 

••মায়ার জালে 

••দোস্তি

♥ধুলোর শহরে রক্তজবা♥


••মাছের দেশের মানুষ 

••সোনা বউ

••তোমাকে চাই

••ওপেনটি বায়স্কোপ 

••ক্যারিয়ার 


••মিসটোরিয়াস জার্নি

♥ঠিকানা 

••ব্ল্যাক লাইট😍 

আজ কাল অনেকেই নবিজীর সুন্নতকে অস্বীকার করে,,,, ফাতেমা আয়াত ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আজকাল অনেকেই রাসূল (স) এর সুন্নাহ’কে অস্বীকার করে ইসলামের একমাত্র দলিল হিসেবে শুধুমাত্র কোরআনকে গ্রহণ করতে চাইছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার আমাকে ইমেইল ও ইনবক্স করেন এবং আমার মতামত জানতে চান।


আমি কখনো জবাব দেই না। কারণ আমি জানি যে আমি যতই কনক্লুসিভ উত্তর দেই না কেন, আমার জবাব কখনোই তাদের কাছে কনভিন্সিং হবে না। 


তারপরেও, আপনারা যেহেতু দাবী করেন যে কোরআন শতভাগ মেনে চলতে আপনাদের আপত্তি নেই, তাই আজ আপনাদের কোরআন থেকেই দুটো কথা বলি। 


সূরা হাশরের ৭নং আয়াতে আল্লাহ বলেন –

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا

রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও। 


আবার সূরা আহযাবের ২১ নং আয়াতে পাবেন –

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا 

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। 


এরকম আরও অনেক আয়াতেই আল্লাহ ও রাসূল (স) এর আনুগত্য করার কথা বলা আছে। কোরআন মানতে যেহেতু আপনাদের সমস্যা নেই, কাজেই আশা করব আপাতত এই দুটো আয়াত মেনে চলেবন।

©

Faatiha Aayat



কপি
পেস্ট 

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...