এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে" -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,,,,,

 "নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে"

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

রয়েছ নয়নে নয়নে,

হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে

হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

বাসনা বসে মন অবিরত,

ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।

স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত

জাগিছ শয়নে স্বপনে।

সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ

তুমি আছ তার আছে তব কেহ

নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও

সেও আছে তব ভবনে।

তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর

সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,

কাল পারাপার করিতেছ পার

কেহ নাহি জানে কেমনে।

জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি

তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,

যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি

যতো জানি ততো জানি নে।

জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন

লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর

তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই

কোনো বাঁধা নাই ভুবনে।

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

রয়েছ নয়নে নয়নে।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

সতেরো বছর বয়স মুগ্ধ হওয়ার বয়স,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সতেরো বছর বয়স মুগ্ধ হওয়ার বয়স। মুগ্ধতাটা সাধারণত তৈরি হয় মেয়েদের ঘিরে। গ্রামের সুন্দরীতমা মেয়ে, বন্ধুর বোন, বিয়ে খেতে গিয়ে কোনো সুন্দর চোখের মেয়েকে দেখে কল্পনায় হারিয়ে যাওয়া এগুলোই 

সেই বয়সের স্বাভাবিকতা। আমার ক্ষেত্রে কিন্তু এসব কিছু ঘটত না। 

এক রাজনীতি, স্লোগান, মিছিল ছাড়া কোনো কিছুতেই মুগ্ধ হতে পারতাম না আমি। 

বন্ধু শফিক একবার হাওর দেখাতে নিয়ে গেল। বিপুল আয়োজন। শফিকের নানাবাড়ি ভাটি অঞ্চলে, ওর মামারা জমিদার শ্রেণির, নৌকায় রাত্রি যাপনের সুবন্দোবস্ত। গায়ক দল প্রস্তুত ছিল প্রকৃতির সঙ্গে মেলানো গান গাওয়ার জন্য। শফিকের মুগ্ধতার মাত্রা একটু বেশিই। পানিতে জ্যোৎস্নার আলো দেখে আর বলে, ‘এত সুন্দর দুনিয়া ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে তাই না রে সরদার?’

আমি দুনিয়া ছাড়ার চেয়েও তখন নৌকা ছাড়া নিয়ে বেশি চিন্তিত। আর ঠাÐা লেগেই কিনা হাঁচি দিতে শুরু করলাম বারবার। গায়করা গান গায় আমি দেই হাঁচি। দুটোর সুর আর স্বর মিলে অদ্ভুত একটা পরিবেশ। 

শফিক বলে, ‘সরদার গান ধর। গান গা। এই দুনিয়া কী সুন্দর।’

শফিকের চাপাচাপিতে সুন্দর দুনিয়া দেখতে গিয়ে খুব কিছু খুঁজে পেলাম না।

পানি বয়ে চলছে, চলুক, তাতে আমার কী! 

জ্যোৎস্না উপচে পড়ছে, পড়–ক, তাতে আমার কী!

আমার বরং এর চেয়ে শীতের রাতে কম্বলের নিচে শুয়ে থাকাটাকেই ভালো বন্দোবস্ত মনে হয়। 

শফিকের প্রকৃতিপ্রেমের মতো ভয়ও ছিল একটু বেশি। বললাম, ‘শফিক নৌকা ডুবে গেলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। আমার মনে কেমন যেন একটা ভয় ঢুকেছে। আজ না হয় থাক।’

শফিক বলে, ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় তোর ভয় লাগছে! দেখ, চেয়ে দেখ আমরা এখন স্বর্গে। এখানে ভয়ের কিছু নেই।’

স্বর্গ দেখার চেষ্টা করেও খুব সুবিধা করতে পারলাম না। দ‚রে আরেকটা ছোট নৌকা দেখা যাচ্ছে। শফিকের মতো কোনো মক্কেল হয়তো। আর কী! কিচ্ছু না। ফালতু আর একঘেয়ে সব কারবার। 

এই যার মুগ্ধতার সীমানা সেই আমি মুগ্ধ। ক্যাপ্টেন রফিককে দেখে। 

এমন মাতিয়ে রেখেছিল যে কোন দিক দিয়ে তিন ঘণ্টা সময় গেল টেরই পেলাম না।

হাতে এক মুঠো মাটি নিয়ে বলল, ‘আমাদের দুই নম্বর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ কি বলেন জানো? তিনি তোমাদের মতো যোদ্ধাদের হাতে এই মাটি দিয়ে বলেন, এই হলো তোমার প্রিয় বাংলাদেশের মাটি। কিন্তু এই এক মুঠো মাটিতে আমার চলবে না। আমার চাই পুরো দেশ।’

মেজর খালেদ মোশাররফকে দেখিনি। হয়তো তিনি সে রকম মুগ্ধ করা মানুষই হবেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন রফিক যেভাবে বলল তাতে মনে হলো, খালেদ মোশাররফও এত সুন্দর করে বলতে পারেন না। এতটা নাড়া দেয়ার ক্ষমতা আর কোনো মানুষের নেই। 

ক্যাপ্টেন রফিক আবার বলেন, ‘আরেকটা কথা আছে তার। 

শুনতে চাও?’

শিহরণে সবাই মাথা নাড়তেও ভুলে যায় যেন। 

তিনি রক্তভেজা কবিতার মতো করে বলে চলেন, ‘এই যে কথাটা সেটা আমার খুব প্রিয়। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশ জীবিত যোদ্ধা চায় না। তার চাই মৃত সৈনিক।’

কথাটা ঠিক বুঝলাম না কিন্তু বললাম না, এগুলো আমার কাছে দ‚র গ্রহ থেকে ভেসে আসা সুন্দরতম কবিতা। বোঝার দরকার নেই। 


অন্ধ গলিতে ফুলের গন্ধ থেকে নেওয়া 

বইটি সংগ্রহ করতে পারেন রকমারি থেকে- https://www.rokomari.com/book/111041/andho-golite-fuler-gandho

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



বিতিরে দু'আয় কুনুত হিসেবে পড়ার জন্য সুন্নাহ সম্মত এই দু'আটি শিখে নিন,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিতিরে দু'আয় কুনুত হিসেবে পড়ার জন্য সুন্নাহ সম্মত এই দু'আটি শিখে নিন ।

▬▬▬▬▬▬▬▬◖🌻◗▬▬▬▬▬▬▬▬

ভূমিকা: বিতর অর্থ বেজোড়। বিতর সালাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। যা এশার ফরয সালাতের পর হতে ফজর পর্যন্ত সুন্নাত ও নফল সালাত সমূহের শেষে আদায় করতে হয়। যদি কেউ বিতর পড়তে ভুলে যায় অথবা বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে যায়, তাহলে স্মরণ হলে কিংবা রাতে বা সকালে ঘুম হতে জেগে উঠার পরে সুযোগ মত তা আদায় করবে। অন্যান্য সুন্নাত-নফলের ন্যায় বিতরের ক্বাযাও আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে দিনে কাযা পড়লে জোড় পড়তে হবে। অর্থাৎ যিনি এক রাকাআতে অভ্যস্ত তিনি দুই রাআকাত, যিনি তিন রাকাআতে অভ্যস্ত তিনি দুই সালামে চার রাকাআত পড়বেন। বিতর সালাত এক, তিন, পাঁচ, সাত ও নয়, এগারো, তেরো রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। তিন রাকআত বিতর পড়লে দুটি নিয়মে পড়তে হবে; হয় এক তাশাহহুদে একই সাথে তিন রাকআত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে দুই রাকআত পড়ার পর তাশাহুদ পড়ার জন্য বসা যাবে না। আবার আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, দুই রাকাআত পড়ে সালাম ফিরাতে হবে। তারপর আরো এক রাকাআত পড়তে হবে।

.

বিতর সালাতে কুনুত পড়া মুস্তাহাব। তবে মাঝে মধ্যে না পড়লেও কিংবা পড়তে ভুলে গেলেও সালাতের কোন সমস্যা হবেনা ইনশাআল্লাহ। বিতিরের কুনুত রুকুর আগে বা পরে পড়া যাবে। তবে অধিক উত্তম হচ্ছে রুকুর পরে অর্থাৎ রুকু করে দাঁড়িয়ে তারপর কুনুত পড়বেন তারপর সোজা সিজদায় চলে যাবেন। কুনুত পড়ার সময় হাত উত্তোলন করা জায়েজ, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে প্রমান রয়েছে। আজ আমরা বিতিরের জন্য সুন্নাহ সম্মত একটি দু'আ শিখবো ইনশাআল্লাহ। হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রখ্যাত সাহাবী হাসান বিন আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে সংকলন করেছেন। হাসান বিন আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন; রাসূলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু বাণী শিখিয়ে দিয়েছেন সেগুলো আমি বিতিরের নামায দোয়ায়ে কুনুত হিসেবে পড়ি:


 اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ ، وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ  


মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া’আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান আ-দাইতা তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা’আলাইতা"। (আরবির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় লেখা কোনোভাবেই শতভাগ সম্ভব নয়; তাই আরবি টেক্সট মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন, পাশাপাশি আরবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ুন, না হয় ভুল শিখতে হবে)।

.

অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সাথে আমার দায়িত্বও গ্রহণ করুন। আপনি আমাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। কেননা আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই। নিশ্চয় আপনি যাকে নৈকট্য দান করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। আপনি যার সাথে শত্রুতা করেন, সে সম্মানিত হতে পারে না। আপনার কল্যাণ অবারিত হোক এবং আপনার মর্যাদা সমুন্নত হোক। (আবু দাউদ হা/১৪২৫; তিরমিযী হা/৪৬৪, নাসায়ী হা/১৭৪৫, ইবনু মাজাহ্ হা/১১৭৮, মুসনাদে আহমাদ হা/১৭১৮, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১০৯৫; হাদীসটি সহীহ)

.

এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন—

.

 اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ

(আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইত) অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন।

.

وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ 

(ওয়া আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইত) অর্থ: আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন।

.

وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ،

(ওয়াতা ওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত) অর্থ: আপনি যাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সাথে আমার দায়িত্বও গ্রহণ করুন।

.

وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ 

(ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ‘ত্বাইত) অর্থ: আপনি আমাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। 

.

وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ ،

(ওয়াক্বিনী শাররা মা- ক্বদ্বইত) অর্থ: আপনি (আমার ভাগ্যে ) যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান

.

إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ ،

(ইন্নাকা তাক্বদ্বী ওয়ালা ইউক্বদা আলাইক) অর্থ: কেননা আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই।

.

وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ ،

(ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইত) অর্থ: আর নিশ্চয় আপনি যাকে নৈকট্য দান করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। 

.

وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ،

(ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান আ-দাইত) অর্থ: আপনি যার সাথে শত্রুতা করেন, সে সম্মানিত হতে পারে না।

.

تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ  

(তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা’আলাইত) অর্থ:আপনার কল্যাণ অবারিত হোক এবং আপনার মর্যাদা সমুন্নত হোক।

.

‎প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত সম্পূর্ণ দু'আটি বিভিন্ন সূত্রে সহীহ সনদে সাব্যস্ত হয়েছে। দু'আটি একটু বড় হলেও এর অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার। দু‘আটির অর্থের দিকে লক্ষ করলেই এর বিরাট গুরুত্ব সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যদিও দু'আটি একটু বড় হয়ে গেছে তবুও কয়েকদিন সময় নিয়ে বারবার পড়লে আশা করি মুখস্ত হয়ে যাবে  ইনশাআল্লাহ। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত বিতরের জন্য এই কুনুতটি মুখস্থ করা নেওয়া, এবং বিতির সালাতে পাঠ করা। দু'আটি পড়ার নিয়ম হচ্ছে, বিতিরের শেষ রাকআতে প্রথমে রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পাঠ করে রুকু থেকে “সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে উঠে সোজা হয়ে প্রশান্তির সাথে দাঁড়াবেন এবং কান বা কাঁধ বরাবর দুই হাত উঠিয়ে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করবেন। তারপর বলবে- رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‘রব্বানা লাকাল হাম্দ’ বলবেন। অথবা বলবে- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ ‘রব-বানা ওয়া লাকাল হাম্দু হাম্দান কাছীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি।’ তারপর হাত তুলে কিংবা হাত তোলা ছাড়া কুনুতের উপরোক্ত দু'আটি পাঠ করবেন সাথে অন্য দু'আও পড়তে পারেন। আর জামআতে ইমামের পিছনে পড়লেে মুক্তাদীগণ আমীন আমীন বলতে পারবেন।দু'আটি পাঠের সময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি সুধাণা রাখবেন।তারপর কুনুত শেষে আল্লাহু আকবর বলে সিজদায় চলে যাবেন। অতঃপর  সিজদার তাসবিহ 

 سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى

সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা। ৩/৫/৭ বার পড়ে নেবেন। তারপর বৈঠকে তাশাহুদ দুরুদ এবং অন্যান্য দু'আ পড়ে সালাম ফিরাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী) 

 . 

মহান_রবের_আশ্রয়ে ধারাবাহিক (৩৬ তম পর্ব) পূর্বের পর্বগুলোর লিংক কমেন্টে দেখুন। সিরিজটি ৪০ পর্যন্ত চলবে—ইনশাআল্লাহ। 

_________________________ 

আপনাদের দ্বীনি ভাই 

জুয়েল মাহমুদ সালাফি 

#Jewelmahmudsalafi

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




জুম'আর দিনের অত্যন্ত দামী একটি সুন্নত আমল হচ্ছে রাসূল ﷺ এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⭕ জুম'আর দিনের অত্যন্ত দামী একটি সুন্নত আমল হচ্ছে রাসূল ﷺ এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা। তাই আসুন আমরা জুম'আর দিনের ফজিলতপূর্ণ সময়টুকু দরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে অতিবাহিত করি ইন শা আল্লাহ।


১) আল্ল-হুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ, ওয়া 'আলা আ~লি মুহাম্মাদ

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ


২) আল্ল-হুম্মা সল্লি'আলা মুহাম্মাদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক 'আলা মুহাম্মাদ

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ • اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ


৩) আল্ল-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম 'আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ-


اللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ


৪) ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু 'আলা রসূলিল্লাহ


وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ


৫) সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম

 صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ


➡️ বাংলায় উচ্চারণের ক্ষেত্রে এই [ ' ] চিহ্নটি দ্বারা আরবী হরফ আইনের উচ্চারণ এবং এই [ - ] চিহ্নটি দ্বারা ১ আলিফ টান দিয়ে পড়াকে বুঝানো হয়েছে।


🔲 উপরোক্ত দরূদ শরীফগুলো দৈনিক কমপক্ষে ১০০ বার করে পাঠ করার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ।


⭕ জুম'আর দিন আসরের শেষ মূহুর্তে অর্থাৎ মাগরিবের পূর্ব মূহুর্তে দোয়া কবুল করা হয়। আর তাই আপনারা এই সময়টিতে আল্লাহর প্রশংসা এবং দরূদ শরীফ পাঠ করে বেশি বেশি করে দোয়া করুন। আপনাদের দোয়াও কবুল করা হবে ইন শা আল্লাহ। [আবু দাউদ- ১০৪৮] 💝✅




পাখি – বন্দে আলী মিয়া ফেইসবুক থেকে নেওয়া,,,

 পাখি

– বন্দে আলী মিয়া


খাঁচার দুয়ার আলগা পাইয়া উড়ে গেছে পাখি বনে,

ছোট কালো পাখি উড়ে গেছে দূর নীল নভ অঙ্গনে।

শূন্য খাঁচাটি অনাদরে হোথা পড়ে আছে এক ধারে,

খোকা বসি পাশে অশ্রুসজল চোক মোছে বারে বারে।

একদা খোকন দূর দেশে গিয়ে এনেছিল এক পাখি,

সারাদিন তারে করিত যতন সযতনে বুকে রাকি।

ছোট কালো পাখি কুচকুচে দেহ-রেশম পালক তার,

দুটি চোখে তার বনের স্বপন জাগে দূর পারাবার।

এত ভালোবাসা, এতযে সোহাগ, পোষ তবু মানে নাই,

খাঁচার প্রাচীরে পাখা ঝাপটিয়া, পথ খুঁজিয়াছে তাই ।

খোকা চায় পাখি – পাখি চায় বন-স্বাধীন মুক্ত প্রাণ,

কন্ঠে তাহার জাগে ক্ষণে ক্ষণে নীল আকাশের গান।

খোকা ভাবে মনে, এ পাখি তাহার-গান সে শোনায় তায়

জানে না তো কভু কান্না তাহার সুর হয়ে বাহিরায়।

গান শুনি তার মুগ্ধ হইয়া ভেবেছিল খোকা মনে-

পোষ মানিয়াছে, ভুলে গেছে বন – রবে সে তাহার সনে।

আদর করিয়া খাঁচার দুয়ার দিল একেবারে খুলি

মন কভু কারো বশ নাহি মানে, সে কথা গেল যে ভুলি।

সহসা পাখিটি কালে ডানা মেলি উড়ে গেল দূর দেশে,

তারি শোকে আজ খোকার নয়ন অশ্রুতে যায় ভেসে।




খুলনার পীর সাহেব ২০২৪ জানুয়ারি


 

এই  নিয়মে সবজি চাষ করলে আপনার সবজি কেনা লাগবে না।,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এই নিয়মে সবজি চাষ করলে আপনার সবজি কেনা লাগবে না।


এটা এমন একটা মডেল যেখানে আপনি সারা বছর আপনার পছন্দনীয় প্রায় সবগুলো সবজি চাষ করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও নিরাপদভাবে।


এই নিয়মে চাষ করলে আপনাকে কোনো রাসায়নিক সার, কীটনাশক দিতে হবে না। একবার বেড তৈরী করে নিলে দীর্ঘ সময় শাক সবজি খেতে পারবেন।


সারাবছরের সবজি গুলোকে আমরা দুই সিজনে ভাগ করি, গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন।

এই মডেল টা ২৪ ফিট বাই ২৪ ফিট। নরমালি সবজির বেড থাকবে ৫টা (মাঝখানে), তবে দুই মাথায় মাচায় হয় এমন সবজির জন্য আরো দুটি বেড হবে, মোট ৭ টা বেড। মাঝখানের ৫ টা বেড হবে ১৬ ফিট করে লম্বা আর ২ ফুট ৪ ইঞ্চি চওড়া, বেড গুলো হবে উত্তর দক্ষিন মুখি, বেডের মাঝখানে মাঝখানে নালা গুলো হবে ১০ ইঞ্চি চওড়া। দুই মাথায় মাচা গুলো হবে ৩ ফিট চওড়া আর ২৪ ফিট লম্বা।

এবার দেখে নিন কি কি সবজি লাগাবেন।


গ্রীষ্মকালীন সবজিঃ


পূর্ব দিকের মাচায় একদিক থেকে ঝিঙ্গা, কাকরোল, পটল, বরবটি,

মাঝখানের ৫ টা বেডের (পূর্ব থেকে)

প্রথম বেডে টমেটো এবং বেগুন

দ্বিতীয় বেডে মিষ্টি আলু ও কচু

তৃতীয় বেডে কাচা মরিচ 

চতুর্থ বেডে ডাটা শাক, পাট শাক

পঞ্চম বেডে ঢেড়স (ভেন্ডি)

পশ্চিম দিকের মাচায় একদিক থেকে মিষ্টি কুমড়ো, শসা। 

উত্তর ও দক্ষিন মাথায় ৩ টি করে মোট ৬ টি পেঁপে গাছ। 


শীতকালীন সবজিঃ


পূর্ব দিকের মাচায় একদিকে লাউ, আরেক দিকে খীরা।

মাঝখানের বেড গুলোর (পূর্ব দিক থেকে)

প্রথম বেডে টেমেটো ও বেগুন,

দ্বিতীয় বেডে মূলা ও গাজর,

তৃতীয় বেডে কাচা মরিচ,

চতুর্থ বেডে লাল শাক ও পালং 

পঞ্চম বেডে ফুলকপি ও বাধাকপি

পশ্চিম দিকের মাচায় একদিকে শীম, অন্যদিকে উস্তা করলা। পেপে গাছ গুলোর গোড়ায় পুদিনা, ধনিয়া।


আপনার পরিবারের জন্য বিষমুক্ত নিরাপদ শাক সবজি সর্বরাহের দ্বায়িত্ব আপনার। এই জিনিস গুলো কেউ আপনাকে বলবে না। নিজে করুন, অন্যকে করতে উৎসাহিত করুন।




আসেন কৃষি বাজেট করি।,,,,,,,,, কৃষি বার্তা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আসেন কৃষি বাজেট করি।


কি করবেন এটা আগে নির্ধারণ করি।

শাকসবজি টা দিয়ে শুরু করুন। 


কমপক্ষে ৫ ধরনের শাকসবজির বীজ সংগ্রহ করুন পছন্দ মতো। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা খরচ করুন। 

যদি সম্ভব হয় গ্রাম থেকে বীজ সংগ্রহ করুন। 

এবং পরবর্তী বছরের জন্য বীজ এখান থেকে রেখে দিন। আর যাতে কিনতে না হয়। মাচা করতে ৭০০ টাকা রাখুন। 


মুরগি পালন শুরু করুন। 


৫ টা মুরগি দিয়ে শুরু করেন ২৫০০ টাকা 

ছোট খোপ ৩০০০ টাকার মধ্যে করুন। ধীরে ধীরে বাড়ান।

১৫ টার জন্য এই মডেল টা করতে পারেন। 

৭-৮ হাজার  হবে ৫-১০ বছরের জন্য নিরাপদ। ডিম ও মুরগি কিনতে হবে না।


মাছ পালন। 


এটা একটু ব্যয় বহুল আধুনিক পদ্ধতিতে ছোট ফিসট্যাংক  খরচ পড়বে ৩৫ হাজার টাকার মতো।

অক্সিজেন সাপ্লাই মেশিন সংযুক্ত পানির আউট লাইন সংযুক্ত থাকে। ফলে মাছ ভালো ভাবে পালন করা যায়। এ ধরনের ১২/১২ ফিট ফিসট্যাংক ১০ বছর চলে যাবে। সখ ও সাধ্যের সমন্বয়  হয়।


এই হচ্ছে ফিরিস্তি। 

এখানে আপনি যেটুকু পারবেন করবেন।

শাক সবজি, মুরগি ও মাছ চাইলে সব বা যে কোন একটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।

কোন বাধ্য বাধকতা নাই।

যে যেটুকু পারেন সেটুকুই করুন।

সব কিছু শুরু করতে পারেন ৫০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে। 


সাহস করুন, দরকার হলে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করুন, লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই। 


সংগ্রহীত।



বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪

ইউনিক সার্ভিস ঢাকা-বরিশাল- পটুয়াখালী-কুয়াকাটা নিয়মিত চলাচল করছে,,,, বাস লাভার ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ইউনিক সার্ভিস ঢাকা-বরিশাল- পটুয়াখালী-কুয়াকাটা নিয়মিত চলাচল করছে। নিম্নে সকল রুটের আপডেট সিডিউল দেওয়া হলোঃ


ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সিডিউল 

 ঢাকা মুগদা-বরিশাল-কুয়াকাটা 


🔳কোচ নং১৫০১ সকাল ৬:১৫

🔳কোচ নং ১৫০৩ সকাল ৭:১৫

🔳কোচ নং ১৫০৪ সকাল ৮:১৫

🔳কোচ নং ১৫০৬ সকাল ৯:১৫

🔳কোচ নং ১৫০৮ সকাল ১০:১৫ 

🔳কোচ নং ১৫১১ সকাল ১১:১৫ 

🔳কোচ নং ১৫১৩ দুপুর ১১:১৫

🔳কোচ নং ১৫১৭ দুপুর ১:৪৫

🔳কোচ নং ১৫১৯ দুপুর ২:৪৫ 

🔳কোচ নং ১৫২১  বিকাল ৪:০০

🔳কোচ নং ১৫২৩ বিকাল ৫:৪৫ 

🔳কোচ নং ১৫৫৩ রাত ১০:৪৫ 

🔳কোচ নং   ৪০১ রাত ১২:১৫ 


বরিশাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এর নতুন টাইম সিডিউল 

বরিশাল নথুল্লাবাদ থেকে 


🔳কোচ নং ১৬০০ সকাল ৮:৩০

🔳কোচ নং ১৬০১ সকাল ১০:০০ 

🔳কোচ নং ১৬০২ সকাল ১১:০০

🔳কোচ নং ১৬০৩ দুপুর ১২:০০

🔳কোচ নং ১৬০৪ দুপুর ১:০০

🔳কোচ নং ১৬০৬বিকাল ৪:০০

🔳কোচ নং ১৬০৭ বিকাল ৫:০০

🔳কোচ নং ১৬০৮সন্ধ্যা  ৬:০০

🔳কোচ নং  ৬০১ সন্ধ্যা ৭:৩০ চট্টগ্রাম 

🔳কোচ নং  ১৬১১ রাত ৮:০০

🔳কোচ নং ১৬১৩ রাত ৯:০০

🔳কোচ নং ১৬১৫ রাত ১১:০০


কুয়াকাটা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর শিডিউল 


🔳কোচ নং ১৬০০ সকাল ৬:০০

🔳কোচ নং ১৬০১ সকাল  ৭:০০

🔳কোচ নং ১৬০২ সকাল ৮:০০

🔳কোচ নং ১৬০৩ সকাল ৯:০০

🔳কোচ নং ১৬০৪ সকাল ১০:০০

🔳কোচ নং ১৬০৫ দুপুর  ১:০০

🔳কোচ নং ১৬০৬ দুপুর  ২:০০

🔳কোচ নং ১৬০৭ দুপুর ৩:০০

🔳কোচ নং  ৬০১ বিকাল ৪:৩০ কুয়াকাটা-চট্টগ্রাম 

🔳কোচ নং ১৬০৮বিকাল ৫:০০ 

🔳কোচ নং ১৬১১ সন্ধ্যা ৬:০০

🔳কোচ নং ১৬১৩ রাত ৮:০০


প্টুয়াখালি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শিডিউল 


🔳কোচ নং ১৬০০ সকাল ৭:১৫ 

🔳কোচ নং ১৬০১ সকাল ৮:৪৫

🔳কোচ নং ১৬০২ সকাল  ৯:৪৫

🔳কোচ নং ১৬০৩ সকাল ১০:৪৫

🔳কোচ নং ১৬০৪ সকাল ১১:৪৫

🔳কোচ নং ১৬০৫ দুপুর ২:৪৫ 

🔳কোচ নং ১৬০৬ দুপুর ৩:৪৫

🔳কোচ নং ১৬০৭ বিকাল ৪:৪৫

🔳কোচ নং  ৬০১  সন্ধ্যা ৬:০০ পটুয়াখালী-চট্টগ্রাম

🔳কোচ নং ১৬০৮সন্ধ্যা ৬:৪৫ 

🔳কোচ নং ১৬১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫ 

🔳কোচ নং ১৬১৩ রাত  ৯:৪৫ 


#Unique #Bus_Lover #tranding #buslovers #buslover #travelagent #tourguide #tourist #travel #vlog #reels #tour


বাস লাভার ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সত্য সবসময় তিতা হয়,,,,,,, Gm মাছুমবিল্লাহ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ওমরাহ করার হার খুব বেড়ে গেছে। আশে পাশে অনেকেই টাকার গরমে হুটহাট একাধিকবার ওমরা করে ফেলছে। ট্রাভেল এজেন্টদের বিভিন্ন অফার ও এতে ভুমিকা রাখছে। ইহরামের পোষাকসমেত ছবিতে অনেকের ফেসবুক ওয়াল ঝলমল করছে। শুধু নুর আর নুর। কাউকে থাইল্যান্ডের নাইটক্লাবের গল্পের সাথে ওমরাহ করার গল্প বলতে ও শোনা যাচ্ছে। মন শুধু ঘুরছে। মূহুর্তে ব্যাংকক এর বার থেকে মক্কা গিয়ে পাপমুক্তি নিয়ে আবার পাতায়া চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন তালের লোক বিভিন্ন তালে ওমরাহ করছে। টাকার ইবাদতে ঘুরাঘুরির মজা ও কম নয়। সবচেয়ে দুশ্চরিত্রবান লোকটি ও এখন একাধিকবার ওমরায় যায় তবে চরিত্র পাল্টায়না, কিন্তু ওমরার চেয়ে কুচরিত্র পাল্টানো বেশী জরুরী আল্লাহর কাছে।


ওমরাহ অতিরিক্ত কর্তব্য আর যাকাত /দান-সদাকা ফরয কিন্তু কয়জন মুসলিমই এই গুরুত্ব দেয় যে নিজ পরিবার, আত্মীয় বা সমাজের দারিদ্রতা বিমোচনের পরে ওমরা করবে? চারিদিকে লোক দেখানো ইবাদতের হিড়িক। লোক দেখানো দান-খয়রাত আর মানব সেবার ফাঁপা বেলুন ওড়ানো। প্রচারণাহীন দানে এই দেশের লোক খুব একটা মজা পায়না।


এদিকে নায়িকারা স্বল্প পোষাকে নাচ বিক্রি করে ওমরায় যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্যের বাজারে আগুন লাগিয়ে কাবা শরীফে পৌছে মানুষের জন্য দোয়া করছে, টাকা পাচারকারী দেশকে পঙ্গু করে ওমরায় গিয়ে কালো টাকা সাদা করছে, রাজনীতিবিদরা শোষণের পাপমুক্তির জন্য সৌদি রাজপরিবারের বিশেষ অতিথি হয়ে একেবারে হেরেমের ভেতরে ঢুকে নামাজ পড়ছে।


ইবাদত আমরা টাকায় কিনি আর সৌদি বিক্রি করে, অদ্ভুত বটে! প্রতি বছর হজ্জ ও ওমরা বাবদ সৌদি আরব আনুমানিক $12 বিলিয়ন রাজস্ব আহরণ করে যা তাদের অপরিশোধিত তেল বিক্রির আয়ের চেয়ে ও বেশী। কোন কোন রিপোর্ট অনুসারে এই অংক সৌদির মোট রাজস্বের 30%। মানে কারো ইবাদত, কারো আয়ের পথ। উইন উইন সিচুয়েশন!


যাই হোক যেকোন ভালো কাজ মানুষকে করতে হবে, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, তবে সবচেয়ে জরুরী নিজেকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। মানুষ হওয়ার যথেষ্ট উপাদান কুরআনে আছে। চারিদিকে হাজী সাহেবের অভাব নেই কিন্তু মানুষের অভাব প্রকট। দেখা যায় রাসুলের রওজায় যাওয়ার জন্য ব্যাকুল ও পেরেশান আশেকে রাসুলের হয়তো ন্যুন্যতম মনুষ্যত্ববোধ ও নেই। অনেকেই আল্লাহর অনেক আদেশ নিষেধের ধার ধারেনা কিন্তু হজ্জ বা ওমরা করে নিজের মত করে বেগুণাহ মাসুম হয়ে যায়। কিন্তু মুসলিম না হয়ে হাজী হয়ে কি লাভ? আল্লাহ কি শেখাতে চাইল, আমরা কি শিখছি ?


প্রতারণামুলক ধার্মিকতা, নাস্তিকতার চেয়ে ভয়াবহ!


#সংগৃহীত


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...