এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪

একবার হযরত আবু বক্কর (রাঃ)নামাজে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন।,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একবার হযরত আবু বক্কর (রাঃ)নামাজে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন।নামাজ শেষে একজন সাহাবী তাকে জিজ্ঞেস করলেন-❤️


 “হে আবু বক্কর আপনি নামাজে দাঁড়িয়ে কান্না করলেন কেন"?❤


হযরত আবু বক্কর (রাঃ)-এর চোখ বেয়ে তখনো পানি ঝরছে।এই কথা শুনে তার অন্তরে যেনো আবার ঢেউ উঠলো। তিঁনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললেন-

 “হে ভাই আমি কোরআনের এক আয়াত পড়ে কান্না করেছি”।❤️


তখন সে সাহাবী জানতে চাইলেন কোন সে আয়াত যা আপনাকে ক্রন্দন করালো? 

তখন আবু বক্কর (রাঃ) বললেন- 'সেই আয়াতটি হলো “হে বান্দা আমি তোমার জানমাল কিনে নিলাম। বিনিময়ে আমি তোমাকে জান্নাত দিয়ে দিলাম”। ( আত-তাওবা, আয়াতঃ১১১)❤️


সাহাবী ভেবেছিলেন জাহান্নামের শাস্তির কোন আয়াত হবে হয়তো‚ এজন্য আবু বকর এমন কান্না করেছেন। কিন্তু এই আয়াত শুনে সাহাবী একটু অবাক হলেন এবং আবু বকর (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করে বললেন- ‘হে আবু বকর‚ এত খুশির খবর। আল্লাহ আমাদের জানমালের বিনিময়ে আমাদের জান্নাত দান করবেন। এখানে কান্নার কি আছে? তখন হযরত আবু বক্কর (রাঃ) সেই সাহাবী কে বললেন– ‘হে প্রিয় ভাই আমার। আজকের আগে হলে আমিও এই আয়াত পড়ে খুশি হতাম। কিন্তু আজ এমন একটি ঘটনা ঘটেছে‚ যার ফলে আমি কান্না করতে বাধ্য হয়সছি’। তখন সেই সাহাবী (রাঃ) জানতে চেয়ে বললেন  – ‘হে আবু বক্কর আমাকেও বলুন কি এমন ঘটনা’! ❤️


তখন আবু বক্কর (রাঃ) বলতে শুরু করলেন– ‘হে ভাই‚ আমার একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো আজও আমি আমার দোকানে গেলাম। কিন্তু সকাল বেলা এক মহিলা আমার দোকানে আসলেন। তিনি বেশ কিছুদিন আগে আমার কাছ থেকে কাপড় নিয়েছিলেন। আজ এসে বললেন– ‘আবু বক্কর‚ আপনার দোকান থেকে বহু আগে কাপড় নিয়েছিলাম। আজ ফেরত দিয়ে আমার টাকা ফেরত নিতে এলাম❤️


আমি বল্লাম আপনি তো অনেক আগে কাপড় নিয়েছিলেন। এত দিন পরে আবার ফেরত কেন! মহিলাটি বললেন – ‘আবু বক্কর, আপনার কাপড় আমার পছন্দ হয়নি। আপনি আমার টাকা দিন এবং আপনার কাপড় ফেরত নিন❤️


এই আয়াত পড়ে আমি এই চিন্তা করে কান্না করছি‚ যদি হাশরের ময়দানে আল্লাহ আমাকে বলে ফেলেন– ‘হে আবু বক্কর‚ তোমার জানমাল ফেরত নাও এবং এর বিনিময়ে যে জান্নাত দিয়েছিলাম তা ফেরত দাও।কেনোনা তোমার নামাজ‚ তোমার কোরবানি‚তোমার রোজা‚তোমার জিহাদ‚তোমার জিকির আমার পছন্দ হয়নি❤️


তাহলে তখন আমি জবাবে কী বলবো! সেদিন তো তাহলে আমার নিজের কাছে আর কিছুই থাকবেনা। বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমার। এই চিন্তা করে আমি কান্না করি”❤️


আল্লাহুআকবর ❤

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৬-০১-২০২৪ খ্রি:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৬-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


দেশের  উন্নয়ন অভিযাত্রা ত্বরান্বিত করতে আরও চীনা সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরতর করতে চায় বাংলাদেশ - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতার পাশাপাশি অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চায় সরকার - বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ দেশে পালিত হবে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস।


গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমান লোকদের ওপর ইসরাইলী সৈন্যের হামলায় ২০ জন ফিলিস্তিনী নিহত ।


আজ ব্লুমফন্টেইনে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

চৈতী হাওয়া  ___কাজী নজরুল ইসলাম,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চৈতী হাওয়া 

___কাজী নজরুল ইসলাম

হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর,

আজ্‌কে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার!

আজ্‌কে তোমার জন্মদিন-

স্মরণ-বেলায় নিদ্রাহীন

হাত্‌ড়ে ফিরি হারিয়ে-যাওয়ার অকূল অন্ধকার!

এই -সে হেথাই হারিয়ে গেছে কুড়িয়ে-পাওয়া হার!


শূন্য ছিল নিতল দীঘির শীতল কালো জল,

কেন তুমি ফুটলে সেথা ব্যথার নীলোৎপল?

আঁধার দীঘির রাঙলে মুখ,

নিটোল ঢেউ-এর ভাঙলে বুক,-

কোন্‌ পূজারী নিল ছিঁড়ে? ছিন্ন তোমার দল

ঢেকেছে আজ কোন্‌ দেবতার কোন্‌ সে পাষাণ-তল?


অস্ত-খেয়ার হারামাণিক-বোঝাই-করা না’

আস্‌ছে নিতুই ফিরিয়ে দেওয়ার উদয়-পারের গাঁ

    ঘাটে আমি রই ব’সে

    আমার মাণিক কই গো সে?

পারাবারের ঢেউ-দোলানী হান্‌ছে বুকে ঘা!

আমি খুঁজি ভিড়ের মাঝে চেনা কমল-পা!


বইছে আবার চৈতী হাওয়া গুম্‌রে ওঠে মন,

পেয়েছিলাম এম্‌নি হাওয়ায় তোমার পরশন।

 তেম্‌নি আবার মহুয়া-মউ

 মৌমাছিদের কৃষ্ণ-বউ

পান ক’রে ওই ঢুল্‌ছে নেশায়, দুল্‌ছে মহুল বন,

ফুল-সৌখিন্‌ দখিন হাওয়ায় কানন উচাটন!


প’ড়ছে মনে টগর চাঁপা বেল চামেলি যুঁই,

মধুপ দেখে যাদের শাখা আপ্‌নি যেত নুই।

 হাস্‌তে তুমি দুলিয়ে ডাল,

 গোলাপ হ’য়ে ফুটতো গাল

থর্‌কমলী আঁউরে যেত তপ্ত ও-গাল ছুঁই!

বকুল শাখা-ব্যকুল হ’ত টলমলাত ভুঁই!


চৈতী রাতের গাইত’ গজল বুলবুলিয়ার রব,

দুপুর বেলায় চবুতরায় কাঁদত কবুতর!

 ভুঁই- তারকা সুন্দরী

 সজনে ফুলের দল ঝরি’

থোপা থোপা লা ছড়াত দোলন-খোঁপার’ পর।

ঝাজাল হাওয়ায় বাজত উদাস মাছরাঙার স্বর!


পিয়ালবনায় পলাশ ফুলের গেলাস-ভরা মউ!

খেত বঁধুর জড়িয়ে গলা সাঁওতালিয়া বউ!

 লুকিয়ে তুমি দেখতে তাই,

 বলতে, ‘আমি অমনি চাই!

খোঁপায় দিতাম চাঁপা গুঁজে, ঠোঁটে দিতাম মউ!

হিজল শাখায় ডাকত পাখি “ বউ গো কথা কউ”


ডাকত ডাহুক জল- পায়রা নাচত ভরা বিল,

জোড়া ভুর” ওড়া যেন আসমানে গাঙচিল

 হঠাৎ জলে রাখত্‌ে পা,

 কাজলা দীঘির শিউরে গা-

কাঁটা দিয়ে উঠত মৃণাল ফুটত কমল-ঝিল!

ডাগর চোখে লাগত তোমার সাগর দীঘির নীল!


উদাস দুপুর কখন গেছে এখন বিকেল যায়,

ঘুম জড়ানো ঘুমতী নদীর ঘুমুর পরা পায়!

 শঙ্খ বাজে মন্দিরে,

 সন্ধ্যা আসে বন ঘিরে,

ঝাউ-এর শাখায় ভেজা আঁধার কে পিঁজেছে হায়!

মাঠের বাঁশী বন্‌-উদাসী ভীম্‌পলাশী গায়অ

বাউল আজি বাউল হ’ল আমরা তফাতে!

আম-মুকুলের গুঁজি-কাঠি দাও কি খোঁপাতে?

 ডাবের শীতল জল দিয়ে

 মুখ মাজ’কি আর প্রিয়ে?

প্রজাপতির ডাক-ঝরা সোনার টোপাতে

ভাঙা ভুর” দাও কি জোড়া রাতুল শোভাতে?


বউল ঝ’রে  ফ’লেছ আজ থোলো থোলো আম,

রসের পীড়ায় টস্‌টসে বুক ঝুরছে গোপাবজাম!

 কামরাঙারা রাঙল ফের

 পীড়ন পেতে ঐ মুখের,

স্মরণ ক’রে চিবুক তোমার, বুকের তোমার ঠাম-

জামর”লে রস ফেটে পড়ে, হায়, কে দেবে দাম!


ক’রেছিলাম চাউনি চয়ন নয়ন হ’তে তোর,

ভেবেছিলুম গাঁথ্‌ব মালা পাইনে খুঁজে ডোর!

 সেই চাহনি নীল-কমল

 ভ’রল আমার মানস-জল,

কমল-কাঁটার ঘা লেগেছে মর্মমূলে মোর!

বক্ষে আমার দুলে আঁখির সাতনরী-হার লোর!


তরী আমার কোন্‌ কিনারায় পাইনে খুঁজে কুল,

স্মরণ-পারের গন্ধ পাঠায় কমলা নেবুর ফুল!

 পাহাড়তলীর শালবনায়

 বিষের মত নীল ঘনায়!

সাঁঝ প’রেছে ঐ দ্বিতীয়ার-চাঁদ-ইহুদী-দুল!

হায় গো, আমার ভিন্‌ গাঁয়ে আজ পথ হ’য়েছে ভুল!


কোথায় তুমি কোথায় আমি চৈতে দেখা সেই,

কেঁদে ফিরে যায় যে চৈত-তোমার দেখা নেই!

 কন্ঠে কাঁদে একটি স্বর-

 কোথায় তুমি বাঁধলে ঘর?

তেমনি ক’রে জাগছে কি রাত আমার আশাতেই?

কুড়িয়ে পাওয়া বেলায় খুঁজি হারিয়ে যাওয়া খেই!


পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না’,

এই তরীতে হয়ত তোমার প’ড়বে রাঙা পা!

 আবার তোমার সুখ-ছোঁওয়ায়

 আকুল দোলা লাগবে না’য়,

এক তরীতে যাব মোরা আর-না-হারা গাঁ

পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না’।।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 





মানুষ – কাজী নজরুল ইসলাম,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মানুষ

– কাজী নজরুল ইসলাম


                 গাহি সাম্যের গান-

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!

নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,

সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।-

                  পূজারী, দুয়ার খোলো,

ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’

স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়,

দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!-

জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ

ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোলো বাবা, খাইনিকো সাত দিন!’

সহসা বন্ধ হলো মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,

তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে!

                  ভুখারি ফুকারি কয়,

ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’


মসজিদে কাল শিরনি আছিল, অঢেল গোস্ত-রুটি

বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!

এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন,

বলে ‘বাবা, আমি ভুকা-ফাঁকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’

তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা – ‘ভ্যালা হলো দেখি লেঠা,

ভুখা আছো মরো গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?’

ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – ‘তা হলে শালা,

সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!

                  ভুখারি ফিরিয়া চলে,

                  চলিতে চলিতে বলে-

‘আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,

আমার ক্ষুধার অন্ন তা’বলে বন্ধ করনি প্রভু!

তব মসজিদ-মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবি,

মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি!’

কোথা চেঙ্গিস, গজনি-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়?

ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার!

খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?

সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি-শাবল চালা!

                  হায় রে ভজনালয়,

তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়!

                  মানুষেরে ঘৃণা করি

ও কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি

ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে,

যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে,

পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! -মূর্খরা সব শোনো,

মানুষ এনেছে গ্রন্থ; -গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।

আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ

কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর, -বিশ্বের সম্পদ,

আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে

তাঁদেরি রক্ত কম-বেশি করে প্রতি ধমনীতে রাজে!

আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ,

কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ।

হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,

আমিই কি জানি কে জানে কে আছে আমাতে মহামহিম।

হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদী ঈসা,

কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা?

কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি?

হয়ত উহারই বুকে ভগবান্‌ জাগিছেন দিবারাতি!

অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান উচ্চ নহে,

আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ-দহে,

তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয়

ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!

হয়তো ইহারি ঔরসে ভাই ইহারই কুটির-বাসে

জন্মিছে কেহ- জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে!

যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে

আজিও বিশ্ব দেখনি,-হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে!


ও কে? চন্ডাল? চম্‌কাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব!

ওই হতে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।

আজ চন্ডাল, কাল হ’তে পারে মহাযোগী-সম্রাট,

তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দীপাঠ।

রাখাল বলিয়া কারে করো হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে!

হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল সাজে!

                  চাষা বলে কর ঘৃণা!

দেখো চাষা-রূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না!

যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,

তারাই আনিল অমর বাণী-যা আছে রবে চিরকাল।

দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী,

তারি মাঝে কবে এলো ভোলা-নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি!

তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে,

দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে।

                        সে মার রহিল জমা-

কে জানে তোমায় লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কিনা ক্ষমা!

বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ, দু’চোখে স্বার্থ-ঠুলি,

নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হ’য়েছে কুলি।

মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা-মথিত-সুধা,

তাই লুটে তুমি খাবে পশু? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা?

তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দোদরীই জানে

তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোনোখানে!

                        তোমারি কামনা-রানি

যুগে যুগে, পশু, ফেলেছে তোমায় মৃত্যু-বিবরে টানি।

,,,,,,,,,,,

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪

মোট ১১ টা আমল দেওয়া আছে। প্রথম ৪ টা কোনমতেই বাদ দিবেন না,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মোট ১১ টা আমল দেওয়া আছে। প্রথম ৪ টা কোনমতেই বাদ দিবেন না

প্লিজ।


এরপর যে যে কয়টা ইচ্ছা হয় করবেন। সব লেভেল পার করতে

হবে এমন কথা নেই। করতে পারলে ভালো।

...

# Level_1 : (আশা করি এই লেভেল টা সবাই প্রতিদিন করবেন। )

------------

১। আয়াতুল কুরসী – প্রতি ফরজ নামাযের পরই একবার করে পড়বেন

অবশ্যই অবশ্যই। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার।

.

২। সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার (বিঃ দ্রঃ

অনেকে মুখস্ত করেন নি। দ্রুত করে নিবেন। লিখে দিচ্ছি, বাংলা

উচ্চারণে। আরবী ফন্ট অনেকের কাজ করেনা।

.

"আ-মানার-রাসুলু বিমা- উনজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা

বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির

রুসুলিহ। ওয়া 'ক্বলু সামি’না, ওয়া আতা’ না, গুফরা নাকা, রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।

লা~ ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক

তাসাবাত। রব্বানা লা~ তু আখিজনা- ইন্ নাসিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল

আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্ববলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিল

না মা-লা~ ত্ব কতালানা বিহ। ওয়া আ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আনতা

মাওলানা, ফানসুরনা আ’লাল ক্বওমিল কা-ফিরিন"

.

(এটার ফযিলত তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমতুল্য!!! আর কি চাই বলুন! এত মর্যাদাপূর্ণ

ইবাদাত, না করতে পারলেও করার সমান সওয়াব হয়ে যাবে এটা পড়লেই!!

সুবহান আল্লাহ্। কতই না বরকতময় এই দুই আয়াত! )

.

৩। সুরা ইখলাস পাঠ করা – ১০ বার, না পারলে ৩ বার। ( প্রতি ৩ বার পড়লে

একবার কুরআন খতমের সওয়াব হয় ইন শা আল্লাহ)

.

৪। দশবার দরুদ

শুধু "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" পড়লেও হয়ে যাবে। (একবার দরুদ

পড়লে দশবার আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, রাসূল ﷺ খুশি হন; বিচার দিবসে তাঁর

শাফায়াত পাওয়া সহজ হবে ইন শা আল্লাহ)

__

সাথে রাসূল (স) এর ঘুমানোর দুয়া "আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া"

পড়ে নেয়া। ডান কাধ হয়ে শোয়া।

________________

# Level_2 :

-------------

৫। ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহা’মদুলিল্লাহ ,৩৪ বার আল্লাহু আকবার

পড়া

.

৬। দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাস পড়ে

তাতে ফুঁ দিবেন: তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব

মাসেহ করবেন। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের

সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার।)

.

# Level_3 :

--------------

৬। ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

যে ব্যাক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’

পড়বে।তার গোনাহ মাফ হইয়া যাইবে,যদিও তা সাগরের ফেনা থেকেও

বেশী হয়’। (বুখারী ও মুসলিম)

.

৭।

প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্হাদু আন লা-~ইলাহা

ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা~ শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া

রাসূলুহূ) ।

এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে

পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

................

# Level_4 :

----------------------------

৮। ঘুমাচ্ছেন, ঘুম যখন ভেঙ্গে যাবে---- তখন এইটা পড়ে নিবেন--

« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ

ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ‏» ‏« ﺭَﺏِّ

ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ ».

লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া

হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদুলিল্লাহি, ওয়া লা~ ইলা-হা

ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল

‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী

.

অর্থ- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো

শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর

ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া

কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান

আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং

(সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা

করুন”।

__

উবাদা ইবনু সামিত (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ( ﷺ ) বলেছে‘ন, “যদি কারো

রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় অতঃপর সে উপরের যিকিরের বাক্যগুলো পাঠ

করে এবং এরপর সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার

দু‘আ করে বা কিছু চায় তবে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর

উঠে ওযু করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল

করা হবে।”

(সহীহ বুখারী, ১/৩৮৭, নং ১১০৩)

.

৯। প্রত্যেক সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়িদুল ইস্তিগফার পড়া। ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দুয়া।

~~~~~

রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ

করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে

মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।

ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ

ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী, ওয়া

আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন

শাররি মা সানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বি যাম্বী ফাগফিরলী

ফা ইন্নাহূ লা~ ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

.

১০। সূরা মুলক (কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে)

.

১১। তাহাজ্জুদ (ফরজ সালাতের পর আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়, দুয়া কখনো

লক্ষ্যভ্রস্ট হয়না)

_________

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে

সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং মন্দ কাজ করতে

নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।

[ সুরা ইমরান ৩:১০৪ ]

.

✪পোস্ট টি যতপারেন শেয়ার করে


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


বরবটি কিভাবে আবাদ চাষাবাদ করবেন,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 #বরবটি_কিভাবে_আবাদ_চাষাবাদ_করবেন:


#জলবায়ুঃ

অপেক্ষাকৃত উচ্চ তাপমাত্রায় বরবটি ভালো জন্মে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বরবটি গাছ ভালো জন্মে। 


#মাটিঃ

দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ ৫.৫ থেকে ৭.৫-এর মধ্যে হলে সেসব মাটিতে বরবটি চাষ করা যায়।


বীজ বপনের সময়ঃ

বরবটির বীজ বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে উপযুক্ত সময়। 

তবে আশ্বিন-কার্তিক মাসেও বীজ বপন করা যায়।


#বরবরি_জাতঃ

নাইস গ্রীন/ বান্টি/ লালতীর -১০৭০/শক্তি / কেগরনাটকি/আলো/ তন্নী/বারি বরবটি-১/সবুজ সংকেত/কেগর নাটকী/ গ্রীন ফিল্ড/ ইউনাইটেড-৫৮/ ইউনাইটেড-৫৭০/ /স্টিকলেস/গ্রীণ-১১২০/বরবটি-৫০৫


#জমি_তৈরিঃ

জমি পরিষ্কার করে ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। সার মিশিয়ে জমি সমান করার পর তা বেড আকারে খন্ড করতে হবে। 


#বেড তৈরিঃ

বেডের আকার হবে ১ মিটার চওড়া ও জমির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী লম্বা। প্রতি বেডের মাঝে ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া নালা থাকবে। নালার গভীরতা হবে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। নালার মাটি তুলে দুপাশের বেড উঁচু করে দিতে হবে। প্রতি বেডের মাঝে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে জোড়া সারি দাগ টানতে হবে। 


#বীজ_বপনঃ

 সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার পর পর ১টি করে বীজ বুনে দিতে হবে। একই সময় পলিব্যাগে কিছু চারা তৈরি করে রাখলে যেসব জায়গায় বীজ গজাবে না সেসব ফাঁকা জায়গায় পলিব্যাগের চারা রোপণ করে পূরণ করা যাবে। মার্চ থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সাধারণত বরবটির বীজ বোনা হয়।


#বীজ হারঃ

শতক প্রতি ৪০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন।


#রোপণ দূরত্বঃ

বরবটি সারি থেকে সারি ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বীজ/চারা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে বীজ বুনতে হয়।


#সার পরিমান

প্রতি শতকে সারের পরিমান:

গোবর ৪০ কেজি

ইউরিয়া ৮০০ গ্রাম 

টিএসপি ৮০০ গ্রাম 

পটাশ ৭৫০ গ্রাম 

জিপসাম ৩০০ গ্রাম

জিংক ৩০ গ্রাম 

বোরন ৩০ গ্রাম 


বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে সারের পরিমান:

গোবর ১২০০ কেজি

ইউরিয়া ২৫ কেজি

টিএসপি ২৫ কেজি

পটাশ ২২ কেজি

জিপসাম ১০ কেজি

জিংক ১ কেজি

বোরন ১ কেজি


#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ

জমি তৈরির সময় সম্পূর্ণ গোবর সার, টিএসপি, জিপসাম, বোরন, জিংক অক্সাইড এবং ১/৩ ভাগ এমওপি সার বীজ বপনের পূর্বে জমির সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । পরবর্তীতে ইউরিয়া এবং এমওপি সার বীজ বপনের ২০ এবং ৪০ দিন পর অর্থাৎ চারার বৃদ্ধি পর্যায়ে, ফুল- ফল ধরার সময় দুই ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে।


#সেচঃ

জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজন অনুসারে শুকনার সময় সেচ দিতে হবে। নালার মধ্যে পানি ঢুকিয়ে সেচ দিলে গাছের শিকড় সে পানি টেনে নিতে পারে। 


#পানি_নিষ্কাশনঃ

বৃষ্টির পানি যাতে আটকে না থাকে সেজন্য নালার আগাছাও পরিষ্কার করে দিতে হবে ।


#আগাছা_পরিষ্কারঃ


জমি সব সময় আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।


#বাউনি_দেয়াঃ


চারা বড় হলে মাচা বা বাউনি দিতে হবে। ঠিকমতো বাইতে পারলে বীজ বোনার ৪০-৪৫ দিন পরই ফুল-ফল ধরে। না হলে ফল ধরতে দেরি হয়ে যায়। প্রতি বেডের ঠিক মাঝখানে বা বরবটির দুটির সারির মাঝে বেডের দুপাশে ১.৫ মিটার লম্বা দুটি বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার মাথায় শক্ত জিআই তার টেনে বাউনির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সারিতে প্রতি দুটি বরবটি গাছের মাঝে একটি করে কাঠি বা কঞ্চি পুঁতে সেসব কাঠির মাথা জিআই তারের সাথে ইংরেজী ‘এ’ অক্ষরের মতো বেঁধে তার সাথে গাছ লতিয়ে দেয়া যেতে পারে। বরবটির জন্য বাউনি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বরবটির লতা যত বেশি মুক্তভাবে বাইতে পারে তত বেশি ফলন বাড়ে।


#ফসল তোলাঃ

বীজ বোনার ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর থেকেই বরবটি তোলা শুরু করা যায়। হাত দিয়ে বোঁটা ছিঁড়ে বরবটি তোলা যায়। তবে ছুরি দিয়ে বোঁটা কেটে তোলা ভালো। এতে গাছের ক্ষতি কম হয়। কচি অবস্থায় ফল তুলতে হবে। যখন দেখা যাবে ফলে বীজ গঠিত হয়েছে কিন্তু বীজ পুষ্ট ও পরিপূর্ণভাবে বড় হয়নি, খোসার রং স্বাভাবিক সবুজ আছে, বরবটির খোসা মসৃণ আছে, বীজ ফুলে যাওয়ায় বরবটি গিঁট গিঁট ও কুঁচকানো হয়নি এরূপ অবস্থায় বরবটি তুলতে হবে।


#ফলনঃ

হেক্টরপ্রতি ১৬ থেকে ১৭ টন।


নতুন কোন ভালো জাত থাকলে কমেন্টে জানাবেন


মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা

ব্লকঃ ভোটমারী,কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



আগের দিনের কবিতা












 

অনেকেই নতুন বাগান করতে চাচ্ছেন তারা জিজ্ঞেস করেন ভাই কিভাবে শুরু করব,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 অনেকেই নতুন বাগান করতে চাচ্ছেন তারা জিজ্ঞেস করেন ভাই কিভাবে শুরু করব? আমার অভিজ্ঞতা নেই। আমার বাগান করার শখ কেউ পরামর্শ দিলে আমি বাগান শুরু করতে চাই।

তাদের জন্য পরামর্শ ( যারা ১ম বাগান শুরু করবেন)


১. যে সবজী গুলি বীজ থেকে সহজেই হয়, রোগ বালাই কম, যত্ন ও পরিচর্যা কম সে গুলি দিয়ে শুরু করেন। 

যেমনঃ সিম,করলা, লাউ, ধুন্দল,শসা,কুমড়া, বরবটি, চাল কুমড়া,ডেরস,মুলা ও গাজর।

২. শাকের বীজ এর জার্মিনেট ভাল হয়, পরিচর্যা কম, অল্প সময়ে খাওয়া যায়।বড় ও ছোট পাত্রে অল্প মাটিতে করতে পারেন।

পানি দেয়া ছাড়া তেমন কিছু করতে হয় না।

যেমনঃ লাল শাক, ডাটা, পালং শাক, পাট শাক, কলমি শাক, ধনে পাতা, লেটুস ইত্যাদি। 

৩. ফুলের বীজ থেকে অনেকেই চারা করতে পারেন না তারা বাল্ব/ কন্দ জাতীয় ফুল লাগাতে পারেন ১ম দিকে। বাল্ব থেকে সাধারণত ১০০% চারাই হয় এবং দ্রুত ফুল আসে। 

যেমনঃ রজনীগন্ধার ও গ্লাডিওলাস বাল্ব। 


উপরের লিস্টের ম্যাক্সিমাম ই আপনি সারা বছর জুড়ে করতে পারবেন।




বাড়ির টবে লাগান এলাচ গাছ, ফলন হবে দুর্দান্ত, শিখে নিন বিশেষ পদ্ধতি,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাড়ির টবে লাগান এলাচ গাছ, ফলন হবে দুর্দান্ত, শিখে নিন বিশেষ পদ্ধতি। 


সুগন্ধি মশলা হিসেবে এলাচের (Cardamom) বেশ খ্যাতি রয়েছে। অনেকেই বাজার থেকে এলাচ কিনে থাকেন। তবে বাড়িতেও সহজেই এই মশলা চাষ করা সম্ভব। এটি যেমন রান্নার কাজে লাগবে তেমনি এলাচের গাছ বাড়ির শোভাও বৃদ্ধি করবে।


এলাচ যে শুধুমাত্র স্বাদ এবং গন্ধেই ভরপুর তাই নয় এর মধ্যে পুষ্টিগুণও বর্তমান। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাড্রেট, কোলেস্টেরল, ক্যালোরি, ফ্যাট, ফাইবার, নিয়াসিনের মত উপাদান। হৃদযন্ত্রের জন্য এলাচ খুব উপকারী। এছাড়া সর্দি কাশি কিংবা ফুসফুসের সমস্যা এবং রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এলাচ হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি এলাচের খাদ্যগুণের কারণে ক্যান্সারের অনেক কোষ বৃদ্ধি পায়না। বাড়ির সাধারণ পাত্রেই এলাচ চাষ করা সম্ভব। কারণ এলাচ গাছ তেমন বড় হয় না।


১. বাজার থেকে এলাচের বীজ পাওয়া যাবে।এলাচের বীজ মুলত সাধারন এলাচই। তবে সবুজ ভাব এলাচ হলে চারা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিনে নিয়ে আসার পরে একটি বায়ুরোধক পাত্রে সারারাত বীজগুলিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে।


২. বীজ থেকে চারা বের করার জন্য একটা পাত্রে বীজ জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে এর মধ্যে কালো এবং লাল মাটি মেশাতে হবে। তবে এর পরিবর্তে গোবর ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৫ দিনের মধ্যেই চারা বড় হতে শুরু করবে।


৩. গাছে যাতে পোকামাকড় না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ পোকামাকড়ের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধা পায়।


৪. সকাল এবং সন্ধ্যের সময় নিয়মিত গাছে জল দিতে হবে। এইভাবে গাছের সঠিক পরিচর্যা করলে ১ মাসের পর থেকেই গাছটি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।


ঘরোয়া পদ্ধতিতে এইভাবে এলাচ চাষ করলে বাড়িতে বসেই এই সুগন্ধি মশলা পাওয়া যাবে।


পোষ্টটি শেয়ার করে দিন। 

যে কোন জিজ্ঞেসায় কমেন্ট করুন।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


PABL-টাটাক্সন ২০ এস এল (প্যারাকোয়াট ২০% এস এল),,,, কৃষিবিদ শুভ ইসলাম ফেইসবুক থেকে

 PABL-টাটাক্সন ২০ এস এল (প্যারাকোয়াট ২০% এস এল)


জৈব-রসায়ন (Bio-Chemistry): সালোকসংশ্লেষণের সময় সুপারঅক্সাইড উৎপন্ন হয় যা কোষের ঝিল্লি এবং সাইটোপ্লাজমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে কোষের গঠন এবং ব্যাপ্তিযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যায় ফলে আগাছা মরে যায়।


কাজের ধরন/Mode of Actionঃ

সবুজ উদ্ভিদের ক্লোরোপ্লাস্টে PABL-টাটাক্সন ২০ এস এল কাজ করে। এখানে, সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতি উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য শর্করা তৈরি করতে হালকা শক্তি শোষণ করে। PABL-টাটাক্সন ২০ এস এল সঠিকভাবে ফটোসিস্টেম  নামে পরিচিত জৈব রাসায়নিক সিস্টেমকে লক্ষ্য করে। এটি বিনামূল্যে ইলেকট্রন তৈরি করে, যা সালোকসংশ্লেষণকে পরিচালিত করে। PABL-টাটাক্সন ২০ এস এল আয়ন এই ইলেকট্রনের সাথে বিক্রিয়া করে "মুক্ত র‌্যাডিক্যাল" গঠন করে। অক্সিজেন দ্রুত মুক্ত র‌্যাডিক্যালকে সুপারঅক্সাইডে রূপান্তরিত করে। এগুলি কোষের ঝিল্লির অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদানগুলির সাথে সহজেই প্রতিক্রিয়া জানায়। এই নাটকীয় রাসায়নিক  পরিবর্তনের ফলে, ঝিল্লি ধ্বংস হয়ে যায় এবং কোষের বিষয়বস্তু ফুটো হয়ে মিশে যায় এবং আরও ধ্বংসের কারণ হয়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এত দ্রুত ঘটে যে PABL-টাটাক্সন ২০ এসএল এর কোন পরিমাপযোগ্য স্থানান্তর ঘটে না।




কৃষিবিদ শুভ ইসলাম ফেইসবুক থেকে 


নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন।  নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন।  মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে...