এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

টমাস ফুলার,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টমাস ফুলার


আমেরিকার ইতিহাস অকল্পনীয় হিংস্রতার ইতিহাস, কালো মানুষের বিরুদ্ধে সাদাদের নির্মম দাসত্বের ইতিহাস, নেটিভ আমেরিকান (রেড ইন্ডিয়ান)-দেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরে শেষ করে তাদের জমি, তাদের দেশ দখলের ইতিহাস। 


১৭২৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাকে বিক্রি করে দেয়া হয় দাস হিসেবে, তার নাম টমাস ফুলার। তাকে ভার্জিনিয়ার ক্যালকুলেটর বা অসাধারণ গণিতবিদ বলা হতো। যেমন, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল দেড় বছরে কতগুলো সেকেন্ড হবে। দুই মিনিটের ভেতর তিনি মনে মনে অংক করে বলে দিয়েছিলেন ৪৭,৩০৪,০০০। তখন তারা তাকে প্রশ্ন করল, একজন মানুষ যদি ৭০ বছর, ১৭ দিন, ১২ ঘন্টা বেঁচে থাকে, তাহলে সে সর্বমোট কত সেকেন্ড বেঁচে থাকল। দেড় মিনিটের ভেতরে তিনি মানসাংক করে বলে দিলেন, ২,২১০,৫০০, ৮০০। 


বেশ ক'জন পণ্ডিত যারা তার অংক যাচাই করছিলেন, তাদের একজন লাফিয়ে উঠলেন, খুব খুশি হয়ে যে অবশেষে টমাসের অংকে ভুল ধরা গেছে। উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে তিনি বললেন, টমাসের উত্তর ঠিক নয়, সে বেশি সেকেন্ড বলেছে, আসলে মোট সেকেন্ড কম হবে। টমাস খুব ঠাণ্ডা মাথায় ভদ্রতা বজায় রেখে জবাব দিলেন, "দেখুন, ও সম্মানিত প্রভু, আপনি তো লিপ ইয়ার হিসেবের ভেতরে ধরেন নাই। লোকটা যদি এত দিন বেঁচে থাকে, তাহলে যতগুলো লিপ ইয়ার হয়, আমি সেই হিসেবও করে ফেলেছি। এবার আরো ভালো করে যাচাই করে দেখুন। দেখবেন আমার উত্তর একেবারেই সঠিক।"


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


ছবিতে যেটি দেখছেন সেটি হচ্ছে টাকা ! এখনো ব্যবহার হয় এটির.... ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছবিতে যেটি দেখছেন সেটি হচ্ছে টাকা ! এখনো ব্যবহার হয় এটির.... 


আমাদের পৃথিবীতে মুদ্রার ইতিহাস খুবই বিচিত্র ! মুদ্রার ইতিহাসে তিনটি ধাপ পেরিয়ে আজকে আমরা কাগজের মুদ্রা ব্যবহার করছি ! খুব প্রাচীনকালে বা ইতিহাসের প্রথম দিকের কথা যদি বলি তখন মানুষ বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নিজের চাহিদা পূরণ করতো ‌। তবে এতেও মানুষের চাহিদা সম্পন্নরূপে পূরণ না হওয়ায় মুদ্রার আবির্ভাব হয়।


তখনকার সময়ে মুদ্রা বা টাকা ছিল বিভিন্ন ধরনের পাথর, শামুকের খোলস ইত্যাদি ইত্যাদি । ছবিতে যেটি দেখছেন এটিও একটি মুদ্রা বা টাকা ! 


সব থেকে অবাক করার বিষয় হচ্ছে এই মুদ্রাটি এখনো ব্যবহার হয় ! সভ্যতার শুরুর দিকে বা প্রাচীনকালে এই ধরনের মুদ্রার প্রচলন ছিল। তবে এখনো এই ধরনের মুদ্রার ব্যবহার সত্যিই অবিশ্বাস্য ! 


ছবির মুদ্রাটি দেখুন, এই মুদ্রাটিই আস্ত একটি মানুষ থেকে বড় ! প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপে ব্যবহার হয় এই ধরনের মুদ্রা ! সাগরের মাঝখানে একটি আদিবাসী গোষ্ঠী বলতে পারেন তাদের যারা আজও সেই ইতিহাসের প্রথম দিকে রয়েছে । 


প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটির নাম Yap ! এই পাথরটি বা টাকাটির ওজন একটি মোটরসাইকেল থেকেও বেশি ! সেখানকার লোকেরা এই পাথরটিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নাড়াতে পারে না । যেহেতু এটি একটি মুদ্রা তাই সেখানকার মানুষেরা আমাদের মতই এর ব্যবহার করে তবে এটির স্থান পরিবর্তন করানো যায় না বলে এটি সর্বদা একই স্থানে থাকে । অর্থাৎ যিনি প্রথমে এর মালিক ছিলেন তার কাছেই থাকে শুধু প্রতিবার গ্রামবাসীরা এটা জানে যে বর্তমানে এটি কোন ব্যক্তির মালিকানা ভুক্ত ! 


আমি জানতে চাই ~



চমৎকার একটি ঘটনা,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চমৎকার একটি ঘটনা 


জিবরাইল (আ:) আল্লাহ তায়ালাকে একদিন জিজ্ঞেসা করলেন, আল্লাহ আপনি সবচেয়ে বেশি খুশি হন কিসে?


আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই তখন, যখন আমার বান্দা আমাকে সিজদা করে। অতঃপর জিবরাইল (আ:) আল্লাহ কে সিজদা করলেন ৩০ হাজার বছর ধরে। জিবরাইল (আ:) মনে মনে খেয়াল করলেন আমার থেকে এত বড় দামি সিজদা দুনিয়ায় আর কেউ করতে পারবে না আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই আমার প্রতি খুশি হবেন। 


জিবরাইল (আ:) আল্লাহ তায়ালার দিকে মতাজ্জির হয়ে রইলেন।  কিন্তু আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন সংবাদ জানানো হলো না। 


জিবরাইল (আ:) আল্লাহ তায়ালা কে জিজ্ঞেসা করলেন, "হে আমার রব, আমি যে এত বড় সিজদা করলাম আপনি কি আমার সিজদার প্রতি খুশি হন নাই? 


আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন, "আমি তোমার প্রশ্নের জবাব দেবো, তার আগে তুমি একটু আমার আরশে আজিমের দিকে তাকাও।"


জিবরাইল (আ:) তাকিয়ে দেখলেন আল্লাহর কুদরতি নূর দ্বারা লিখা রয়েছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।


জিবরাইল (আ:) আল্লাহ তায়ালা কে জিজ্ঞেসা করলেন, "হে আল্লাহ, আমার সিজদার সঙ্গে ওই কালেমার কি সম্পর্ক?


আল্লাহ তায়ালা বললেন, "ও জিবরাইল আমি আল্লাহ এই দুনিয়া তৈরি করব। ওই দুনিয়ায় মানবজাতি ও জ্বীন জাতির হেদায়েতের জন্য লক্ষাধিক নবী ও রাসুল কে পাঠাব। 


 সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে পাঠাব। ওই নবীর উম্মতের উপর আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করব আর প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ১৭ টা রাকাত আমার জন্য ফরজ করব। প্রত্যেক টা রাকাতের মধ্যে দুটি করে সিজদা হবে আর প্রত্যেকটা সিজদার মধ্যে তিনবার করে "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" পাঠ করবে। 


জিবরাইল তুমি জেনে রাখো আমার ওই মাহাবুব নবীর উম্মত যখন সিজদায় গিয়ে "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" বলে আমাকে ডাক দিবে। জিবরাইল তুমি ৩০ হাজার বছর সিজদা করে যে নেকি পেয়েছো। আমি আল্লাহ আমার বান্দার আমল নামায় তার থেকে ৪০ হাজার গুন বেশি নেকি লিখে দিব।


সুবহানাল্লাহ্ 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

নকশী কাঁথার মাঠ-১৩ __জসীম উদ্‌দীন,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নকশী কাঁথার মাঠ-১৩

__জসীম উদ্‌দীন

একটি বছর হইয়াছে সেই রূপাই গিয়াছে চলি,

দিনে দিনে নব আশা লয়ে সাজুরে গিয়াছে ছলি |

কাইজায় যারা গিয়াছিল গাঁয়, তারা ফিরিয়াছে বাড়ী,

শহরের জজ, মামলা হইতে সবারে দিয়াছে ছাড়ি |

স্বামীর বাড়ীতে একা মেয়ে সাজু কি করে থাকিতে পারে,

তাহার মায়ের নিকটে সকলে আনিয়া রাখিল তারে |

একটি বছর কেটেছে সাজুর একটি যুগের মত,

প্রতিদিন আসি, বুকখানি তার করিয়াছে শুধু ক্ষত |


ও-গাঁয়ে রূপার ভাঙা ঘরখানি মেঘ ও বাতাসে হায়,

খুঁটি ভেঙে আজ হামাগুড়ি দিয়ে পড়েছে পথের গায় |

প্রতি পলে পলে খসিয়া পড়িছে তাহার চালের ছানি,

তারও চেয়ে আজি জীর্ণ শীর্ণ সাজুর হৃদয়খানি |

রাত দিন দুটি ভাই বোন যেন দুখেরই বাজায় বীণ |

কৃষাণীর মেয়ে, এতটুকু বুক, এতটুকু তার প্রাণ,

কি করিয়া সহে দুনিয়া জুড়িয়া অসহ দুখের দান!

কেন বিধি তারে এত দুখ দিল, কেন, কেন, হায় কেন,

মনের-মতন কাঁদায় তাহারে “পথের কাঙালী” হেন ?

সোঁতের শেহলা ভাসে সোঁতে সোঁতে, সোঁতে সোঁতে ভাসে পানা,

দুখের সাগরে ভাসিছে তেমনি সাজুর হৃদয়খানা |

কোন্ জালুয়ার মাছ সে খেয়েছে নাহি দিয়ে তায় কড়ি,

তারি অভিশাপ ফিরেছে কি তার সকল পরাণ ভরি !

কাহার গাছের জালি কুমড়া সে ছিঁড়েছিল নিজ হাতে,

তাহারি ছোঁয়া কি লাগিয়াছে আজ তার জীবনের পাতে !

তোর দেশে বুঝি দয়া মায়া নাই, হা-রে নিদারুণ বিধি

কোন্ প্রাণে তুই কেড়ে নিয়ে গেলি তার আঁচলের নিধি |

নয়ন হইতে উড়ে গেছে হায় তার নয়নের তোতা,

যে ব্যাথারে সাজু বহিতে পারে না, আজ তা রাখিবে কোথা ?

এমনি করিয়া কাঁদিয়া সাজুর সারাটি দিবস কাটে,

আমেনে কভু একা চেয়ে রয় দীঘল গাঁয়ের বাটে |

কাঁদিয়া কাঁদিয়া সকাল যে কাটে—দুপুর কাটিয়া যায়,

সন্ধ্যার কোলে দীপ নিবু-নিবু সোনালী মেঘের নায়ে |

তবু ত আসে না ! বুকখানি সাজু নখে নখে আজ ধরে,

পারে যদি তবে ছিঁড়িয়া ফেলায় সন্ধ্যার কাল গোরে |

মেয়ের এমন দশা দেখে মার সুখ নাই কোন মনে,

রূপারে তোমরা দেখেছ কি কেউ, শুধায় সে জনে জনে |

গাঁয়ের সবাই অন্ধ হয়েছে, এত লোক হাটে যায়,

কোন দিন কিগো রূপাই তাদের চক্ষে পড়ে নি হায় !

খুব ভাল করে খোঁজে যেন তারে, বুড়ী ভাবে মনে মনে,

রূপাই কোথাও পলাইয়া আছে হয়ত হাটের কোণে |

ভাদ্র মাসেতে পাটের বেপারে কেউ কেউ যায় গাঁরষ

নানা দেশে তারা নাও বেয়ে যায় পদ্মানদীর পার |

জনে জনে বুড়ী বলে দেয়, “দেখ, যখন যখানে যাও,

রূপার তোমরা তালাস লইও, খোদার কছম খাও |”

বর্ষার শেষে আনন্দে তারা ফিরে আসে নায়ে নায়ে,

বুড়ী ডেকে কয়, “রূপারে তোমরা দেখ নাই কোন গাঁয়ে !”

বুড়ীর কথার উত্তর দিতে তারা নাহি পায় ভাষা,

কি করিয়া কহে, আর আসিবে না যে পাখি ছেড়েছে বাসা |

চৈত্র মাসেতে পশ্চিম হতে জন খাটিবার তরে,

মাথাল মাথায় বিদেশী চাষীরা সারা গাঁও ফেলে ভরে |

সাজুর মায়ে যে ডাকিয়া তাদের বসায় বাড়ির কাছে,

তামাক খাইতে হুঁকো এনে দ্যায়, জিজ্ঞাসা করে পাছে ;

“তোমরা কি কেউ রূপাই বলিয়া দেখেছ কোথাও কারে,

নিটল তাহার গঠন গাঠন, কথা কয় ভারে ভারে |”

এমনি করিয়া বলে বুড়ী কথা, তাহারা চাহিয়া রয়,—

রুপারে যে তারা দেখে নাই কোথা, কেমন করিয়া কয় !

যে গাছ ভেঙেছে ঝড়িয়া বাতাসে কেমন করিয়া হায়,

তারি ডালগুলো ভেঙে যাবে তারা কঠোর কুঠার-ঘায় ?

কেউ কেউ বলে, “তাহারি মতন দেখেছিন একজনে,

আমাদের সেই ছোট গাঁয় পথে চলে যেতে আনমনে |”

“আচ্ছা তাহারে সুধাও নি কেহ, কখন আসিবে বাড়ী,

পরদেশে সে যে কোম্ প্রাণে রয় আমার সাজুরে ছাড়ি ?”

গাঙে-পড়া-লোক যেমন করে তৃণটি আঁকড়ি ধরে,

তেমনি করিয়া চেয়ে রয় বুড়ী তাদের মুখের পরে |

মিথ্যা করেই তারা বলে, “সে যে আসিবে ভাদ্র মাসে,

খবর দিয়েছে, বুড়ী যেন আর কাঁদে না তাহার আশে |”

এত যে বেদনা তবু তারি মাঝে একটু আশার কথা,

মুহুর্তে যেন মুছাইয়া দেয় কত বরষের ব্যথা |

মেয়েরে ডাকিয়া বার বার কহে, “ভাবিস না মাগো আর,

বিদেশী চাষীরা কয়ে গেল মোর—খবর পেয়েছে তার |”

মেয়ে শুধু দুটি ভাষা-ভরা আঁখি ফিরাল মায়ের পানে ;

কত ব্যথা তার কমিল ইহাতে সেই তাহা আজ জানে |

গণিতে গণিতে শ্রাবণ কাটিল, আসিল ভাদ্র মাস,

বিরহী নারীর নয়নের জলে ভিজিল বুকের বাস |

আজকে আসিবে কালকে আসিবে, হায় নিদারুণ আশা,

ভোরের পাখির মতন শুধুই ভোরে ছেড়ে যায় বাসা |

আজকে কত না কথা লয়ে যেন বাজিছে বুকের বীনে,

সেই যে প্রথম দেখিল রূপারে বদনা-বিয়ের দিনে |

তারপর সেই হাট-ফেরা পথে তারে দেখিবার তরে,

ছল করে সাজু দাঁড়ায়ে থাকিত গাঁয়ের পথের পরে |

নানা ছুতো ধরি কত উপহার তারে যে দিত আনি,

সেই সব কথা আজ তার মনে করিতেছে কানাকানি |

সারা নদী ভরি জাল ফেলে জেলে যেমনি করিয়া টানে,

কখন উঠায়, কখন নামায়, যত লয় তার প্রাণে ;

তেমনি সে তার অতীতেরে আজি জালে জালে জড়াইয়া টানে,

যদি কোন কথা আজিকার দিনে কয়ে যায় নব-মানে |

আর যেন তার কোন কাজ নাই, অতীত আঁধার গাঙে,

ডুবারুর মত ডুবিয়া ডুবিয়া মানক মুকুতা মাঙে |

এতটুকু মান, এতটুকু স্নেহ, এতটুকু হাসি খেলা,

তারি সাথে সাজু ভাসাইতে চায় কত না সুখের ভেলা !

হায় অভাগিনী ! সে ত নাহি জানে আগে যারা ছিল ফুল,

তারাই আজিকে ভুজঙ্গ হয়ে দহিছে প্রাণের মূল |

যে বাঁশী শুনিয়া ঘুমাইত সাজু, আজি তার কথা স্মরি,

দহন নাগের গলা জড়াইয়া একা জাগে বিভাবরী |


মনে পড়ে আজ সেই শেষ দিনে রূপার বিদায় বাণী—

“মোর কথা যদি মনে পড়ে তবে পরিও সিঁদুরখানি |”

আরও মনে পড়ে, “দীন দুঃখীর যে ছাড়া ভরসা নাই,

সেই আল্লার চরণে আজিকে তোমারে সঁপিয়া যাই |

হায় হায় পতি, তুমি ত জান না কি নিঠুর তার মন ;

সাজুর বেদনা সকলেই শোনে, শোনে না সে একজন |

গাছের পাতারা ঝড়ে পরে পথে, পশুপাখি কাঁদে বনে,

পাড়া প্রতিবেশী নিতি নিতি এসে কেঁদে যায় তারি সনে |

হায় রে বধির, তোর কানে আজ যায় না সাজুর কথা ;

কোথা গেলে সাজু জুড়াইবে এই বুক ভরা ব্যথা |

হায় হায় পতি, তুমি ত ছাড়িয়া রয়েছ দূরের দেশে,

আমার জীবন কি করে কাটিবে কয়ে যাও কাছে এসে !

দেখে যাও তুমি দেখে যাও পতি তোমার লাই-এর লতা,

পাতাগুলি তার উনিয়া পড়েছে লয়ে কি দারুণ ব্যথা |

হালের খেতেতে মন টিকিত না আধা কাজ ফেলি বাকি,

আমারে দেখিতে বাড়ি যে আসিতে করি কতরূপ ফাঁকি |

সেই মোরে ছেড়ে কি করে কাটাও দীর্ঘ বরষ মাস,

বলিতে বলিতে ব্যথার দহনে থেমে আসে যেন শ্বাস |


নক্সী-কাঁথাটি বিছাইয়া সাজু সারারাত আঁকে ছবি,

ও যেন তাহার গোপন ব্যথার বিরহিয়া এক কবি |

অনেক সুখের দুঃখের স্মৃতি ওরি বুকে আছে লেখা,

তার জীবনের ইতিহাসখানি কহিছে রেখায় রেখা |

এই কাঁথা যবে আরম্ভ করে তখন সে একদিন,

কৃষাণীর ঘরে আদরিনী মেয়ে সারা গায়ে সুখ-চিন |

স্বামী বসে তার বাঁশী বাজায়েছে, সিলাই করেছে সেজে ;

গুন গুন করে গান কভু রাঙা ঠোঁটেতে উঠেছে বেজে |

সেই কাঁথা আজো মেলিয়াছে সাজু যদিও সেদিন নাই,

সোনার স্বপন আজিকে তাহার পুড়িয়া হয়েছে ছাই |


খুব ধরে ধরে আঁকিল যে সাজু রূপার বিদায় ছবি,

খানিক যাইয়া ফিরে ফিরে আসা, আঁকিল সে তার সবি |

আঁকিল কাঁথায়—আলু থালু বেশে চাহিয়া কৃষাণ-নারী,

দেখিছে তাহার স্বামী তারে যায় জনমের মত ছাড়ি |

আঁকিতে আঁকিতে চোখে জল আসে, চাহনি যে যায় ধুয়ে,

বুকে কর হানি, কাঁথার উপরে পড়িল যে সাজু শুয়ে |

এমনি করিয়া বহুদিন যায়, মানুষে যত না সহে,

তার চেয়ে সাজু অসহ্য ব্যথা আপনার বুকে বহে |

তারপর শেষে এমনি হইল, বেদনার ঘায়ে ঘায়ে,

এমন সোনার তনুখানি তার ভাঙিল ঝরিয়া-বায়ে |

কি যে দারুণ রোগেতে ধরিল, উঠিতে পারে না আর ;

শিয়রে বসিয়া দুঃখিনী জননী মুছিল নয়ন-ধার |

হায় অভাগীর একটি মানিক ! খোদা তুমি ফিরে চাও,

এরে যদি নিবে তার আগে তুমি মায়েরে লইয়া যাও !

ফিরে চাও তুমি আল্লা রসুল ! রহমান তব নাম,

দুনিয়ায় আর কহিবে না কেহ তারে যদি হও বাম !


মেয়ে কয়, “মাগো ! তোমার বেদনা আমি সব জানি,

তার চেয়ে যেগো অসহ্য ব্যথা ভাঙে মোর বুকখানি !

সোনা মা আমার ! চক্ষু মুছিয়া কথা শোন, খাও মাথা,

ঘরের মেঝেয় মেলে ধর দেখি আমার নক্সী-কাঁথা !

একটু আমারে ধর দেখি মাগো, সূঁচ সুতা দাও হাতে,

শেষ ছবি খানা এঁকে দেখি যদি কোন সুখ হয় তাতে |”

পাণ্ডুর হাতে সূঁচ লয়ে সাজু আঁকে খুব ধীরে ধীরে,

আঁকিয়া আঁকিয়া আঁখিজল মুছে দেখে কত ফিরে ফিরে |

কাঁথার উপরে আঁকিল যে সাজু তাহার কবরখানি,

তারি কাছে এক গেঁয়ো রাখালের ছবিখানি দিল টানি ;

রাত আন্ধার কবরের পাশে বসি বিরহী বেশে,

অঝোরে বাজায় বাঁশের বাঁশীটি বুক যায় জলে ভেসে |

মনের মতন আঁকি এই ছবি দেখে বার বার করি,

দুটি পোড়া চোখ বারবার শুধু অশ্রুতে উঠে ভরি |

দেখিয়া দেখিয়া ক্লান্ত হইয়া কহিল মায়েরে ডাকি,

“সোনা মা আমার! সত্যিই যদি তোরে দিয়ে যাই ফাঁকি ;

এই কাঁথাখানি বিছাইয়া দিও আমার কবর পরে,

ভোরের শিশির কাঁদিয়া কাঁদিয়া এরি বুকে যাবে ঝরে !

সে যদি গো আর ফিরে আসে কভু, তার নয়নের জল,

জানি জানি মোর কবরের মাটি ভিজাইবে অবিরল |

হয়ত আমার কবরের ঘুম ভেঙে যাবে মাগো তাতে,

হয়ত তাহারে কাঁদাইতে আমি জাগিব অনেক রাতে |

এ ব্যথা সে মাগো কেমনে সহিবে, বোলো তারে ভালো করে,

তার আঁখি জল ফেলে যেন এই নক্সী-কাঁথার পরে |

মোর যত ব্যথা, মোর যত কাঁদা এরি বুকে লিখে যাই,

আমি গেলে মোর কবরের গায়ে এরে মেলে দিও তাই !

মোর ব্যথা সাথে তার ব্যথাখানি দেখে যেন মিল করে,

জনমের মত সব কাঁদা আমি লিখে গেনু কাঁথা ভরে |”

বলিতে বলিতে আর যে পারে না, জড়াইয়া আসে কথা,

অচেতন হয়ে পড়িল যে সাজু লয়ে কি দারুণ ব্যথা |


কানের কাছেতে মুখ লয়ে মাতা ডাক ছাড়ি কেঁদে কয়,

“সাজু সাজু ! তুই মোরে ছেড়ে যাবি এই তোর মনে লয় ?”

“আল্লা রসুল ! আল্লা রসুল !” বুড়ী বলে হাত তুলে,

“দীন দুঃখীর শেষ কান্না এ, আজিকে যেয়ো না ভুলে !”

দুই হাতে বুড়ী জড়াইতে চায় আঁধার রাতের কালি,

উতলা বাতাস ধীরে ধীরে বয়ে যায়, সব খালি ! সব খালি !!

“সোনা সাজুরে, মুখ তুলে চাও, বলে যাও আজ মোরে,

তোমারে ছাড়িয়া কি করে যে দিন কাটিবে একেলা ঘরে !”


দুখিনী মায়ের কান্নায় আজি খোদার আরশ কাঁপে,

রাতের আঁধার জড়াজড়ি করে উতল হাওয়ার দাপে।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আদর্শ শাশুড়ী-বৌ'মা।,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 .  বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই দুটো করে মা-বাবা হয়।

.দু'জনেরই দুটো বাবা-মায়ের প্রতি সমান খেয়ার রাখা জরুরী।

.                         আদর্শ শাশুড়ী-বৌ'মা।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


ইনি আমার বরের মা, মানে আমার শাশুড়ি। আমায় 'চুলানি' বলে ডাকে, কারণ আমি নাকি এনার সাথে প্রচন্ড ঝামেলা করি। ঝামেলা করবো নাই বা কেন! স্কুলের টিচার আমার মা প্রফেশন ও সংসার সামলে হাঁপিয়ে উঠতো, কিছু বায়না করলে তাই তার কাছে সময় হয়ে ওঠেনি সেসব দেখার ও শোনার। সবটুকু তাই জমিয়ে রেখেছিলাম ছোট থেকে, এখন আমার সমস্ত জেদ, আবদার মেটানোর দায়িত্ব এই শাশুড়ির। 

পরের দিন রান্না কোনটা হবে আগে আমার কাছে শুনে বাকিদের মতামত নেন, কারণ খাওয়া নিয়ে নাকি আমার খুব বায়না, এই খাবোনা তো সেই খাবোনা ! 


মনে আছে, সবাই মিলে এক বিয়েবাড়ি গেছিলাম বছর তিন আগে, শাশুড়ির এক তুতো দাদার মেয়ের বিয়ে। অনুষ্ঠান বাড়িতে আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে একজন জিজ্ঞেস করেছিলো- এটা কে? শাশুড়ি বলেছিল, আমার মেয়ে। শুনে সেই তুতো দাদা ব্যঙ্গ করে বলেন, হুহ্! বউমাকে মেয়ে বানাচ্ছে! - শাশুড়ি শুধু হেসেছিল । 

আমাদের এই সম্পর্ক অনেকের বদ হজম তুলিয়ে দেয়। বিয়ের পর কেন আমি পড়াশোনা চালিয়ে গেলাম, কেন আমি বিজনেস করছি, কেন তথাকথিত 'বউ' সেজে থাকিনা.. কেন উনি আমায় এইভাবে মাথায় তুলে রেখেছেন! কতজনের কত চিন্তা! 

হাজারটা কেন-কে উতরে, আমার হাজারটা বায়না উতরে বলতে পারি, তুমি না হলে আমায় কে সামলাতো মা? 


আমার মা রায়গঞ্জের বাড়িতে গেলে বলে, তুই একটুও বদলাসনি! এখনও সেই আগের মতোই অগোছালো..ভাবলাম বিয়ে হয়ে মেয়েটা বুঝি পাল্টেছে.. আমি মনে মনে বলি, আমায় 'অগোছালো'ই থাকতে দিয়েছে আমার নতুন মা-টা, এমনই থাকি নাহয়!


👉সংগৃহীত এবং কপি পোস্ট। 


❤️ ❤️


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৭-০২-২০২৪,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৭-০২-২০২৪ 


আজকের শিরোনাম:


‘স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ, শান্তি-প্রগতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।


নির্বাচন বর্জনের খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে  জাতিসংঘ - বললেন ঢাকায় ‍নিযুক্ত সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি।


জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজ চলছে - জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী।


আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৩-তম সম্মেলন শুরু - বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।


গাজায় অব্যাহত ইসরাইলী হামলার কারণে পদত্যাগ  ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর।


ঢাকায় বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গান গেয়েই তিনি ব্রিটিশ  সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন -,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গান গেয়েই তিনি ব্রিটিশ  সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন -


ভয় কি মরণে থাকিতে সন্তানে

মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।

তাথৈ তাথৈ দ্রিমি দ্রিমি দং দং

ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে।’


সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়েই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। বাংলায় ঘরে বসে নেই কেউ। অগ্নিঝরা সেই দিনে গানের সম্ভার আর যাত্রাপালা দিয়ে  দেশের শোষিত- বঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে স্বদেশী চেতনার জাগরণ ঘটাতে সমগ্র বাংলা যিনি চষে বেড়িয়েছেন। গান গেয়েই তিনি ব্রিটিশ  সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নয় দেশ ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ চারণকবি মুকুন্দ দাস।


পিতার নাম গুরুদয়াল দে আর মাতা শ্যামাসুন্দরী দেবী। বাবা কাজ করতেন বরিশালে এক ডেপুটির আদালতে। মুকুন্দ দাসের বাবার দেওয়া নাম ছিল যজ্ঞেশ্বর দে তবে যগা নামেই ডাকতেন সবাই। যজ্ঞেশ্বরের জন্মের পর ঐ গ্রামটি পদ্মায় তলিয়ে গেলে তারা সপরিবারে চলে আসেন বরিশালে। বরিশালের বজ্রমোহন স্কুলে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু। সংসারে অসচ্ছলতার কারনে পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি।


চাকরি থেকে অবসর নিয়ে গুরুদয়াল বরিশালে একটি ছোট মুদি দোকান দিয়েছিলেন। আর এই দোকানটি নিয়েই শুরু হয় মুকুন্দের কর্মজীবন। ছোটবেলা থেকে শুনে শুনেই গান গাইতে পারতেন। বরিশালের তৎকালীন নাজির বীরেশ্বর গুপ্ত একটি কীর্তনের দল গঠন করেছিলেন। ১৯ বছর বয়সে সেই দলে যোগ দেন যজ্ঞেশ্বর। অল্পদিনের মধ্যেই তার গায়করূপে সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। বৈষ্ণব সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূত যজ্ঞেশ্বরের গলায় হরিসংকীর্তন ও শ্যামাসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হন। এরপর রামানন্দ সাধুর  নিকট  থেকে বৈষ্ণবমন্ত্রে দীক্ষা নেওয়ার পর যগার নাম হয় মুকুন্দ দাস।

একসময় মুকুন্দ দাস নিজেই একটি র্কীতনের দল গড়ে তোলেন। বিভিন্ন পূজাপার্বনে কীর্তনের এই দল নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে তাকে যেতে হতো। এভাবে অনেক কীর্তনীয়া দলের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।


কালীসাধক সনাতন চক্রবর্তী ওরফে সোনা ঠাকুরের প্রেরণায় প্রবল দেশাত্ববোধে উদ্ধুদ্ধ হন মুকুন্দ।দেশের মানুষকে পরাধীনতা ও নানা প্রকার সামাজিক দুর্দশার বিরুদ্ধে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এসময় তিনি গান ও যাত্রাপালা রচনায় মনোনিবেশ করেন।১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বরিশালে ইংরেজবিরোধী বিক্ষোভ দানা বেধে উঠে। মুকুন্দ নিজে এ বিক্ষোভে অংশ নেন এবং একের পর এক গান, কবিতা ও নাটক রচনা করতে থাকেন।

স্বদেশী আন্দোলন বিশেষ করে বিদেশী পণ্য বর্জন আন্দোলনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ‘বঙ্গনারী রেশমিচুড়ি আর পরো-না’ তাঁর এই গানটি একসময় গ্রামে গ্রামে তীব্র উন্মাদনা জাগিয়েছিল।

এরপর বরিশালের হিতৈষী পত্রিকায় লিখতে শুরু করেন মুকুন্দদাস। সেই সময়ে বিভিন্ন দেশবরেণ্য নেতা এমনকি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন।


এভাবেই এক সময় মুকুন্দদাস  বরিশালের অশ্বিনী কুমার দত্তের সংস্পর্শে আসেন এবং তার আগ্রহে মাতৃপূজা নামে একটি নাটক রচনা করেন। ইংরেজ সরকার মাতৃপূজা নাটকটি বাজেয়াপ্ত করে। 

জেল থেকে মুক্তিলাভের পর মুকুন্দদাস দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাশচন্দ্র বসুর অনুপ্রেরণায় নতুন করে যাত্রার দল গঠন করে পুনরায় পালা রচনায় মনোনিবেশ করেন।১৯১৬ সালে চিত্তরঞ্জন দাশের আমন্ত্রনে কলকাতায় যান তিনি। কলকাতায় থাকাকালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাথে দেখা করেন। কবি মুকুন্দকে গান গেয়ে শোনান ও নিজের লেখা কয়েকটি বইও উপহার দেন।  বাংলার জনগণ তাকে চারনকবি আখ্যা দেন। গান করে সারাজীবন সাতশোর মত মেডেল ও বহু পুরস্কার পান তিনি। তার রচনার মধ্যে আছে- সাধনসঙ্গীত, পল্লীসেবা, ব্রক্ষচারিনী, পথ, সাথী, সমাজ প্রভৃতি।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



গাছের অণুখাদ্য (micro-nutritions):,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🌴গাছের অণুখাদ্য (micro-nutritions):

টবে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক ভুলের কারণে ফসলের উন্নত ফলন অসম্ভাব্য হতে পারে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখা উচিত ১ টা গাছের বেঁচে থাকতে ১৭ টা উপাদান প্রয়োজন হয়। তাই সুষম সার বা অনুখাদ্য ব্যবহার করা জরুরি।

 গাছে এই ১৭ টি উপাদানের যে কোন একটির অভাব থাকলে গাছ অল্প কিছু দিনের মধ্য আস্তে আস্তে দুর্বল  হয়ে যায় এবং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ শুরু হয়।

গাছের অনুখাদ্যর অভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মধ্যে নিম্নলিখিত রয়েছেঃ


১. পাতা হলুদ হয়ে ঝড়ে পড়া, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে ।

২. ফুল-ফল ঝড়ে পড়া,

৩. ফলের সাইজ ছোট হয়ে যাওয়া,

৪. গাছের গ্রোথ থেমে যাওয়া ইত্যাদি।

৫. বিভিন্ন ক্ষতিকর কীট পতঙ্গের আক্রমন বেড়ে জায় ।

তাই প্রতিটা গাছে অনুখাদ্য ব্যবহার জরুরি।

গাছের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপাদান সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে এই অণুখাদ্য তৈরী করা হয়। এটি প্রয়োগ করলে বাড়তি কোনো সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়  না। যা একবার ব্যবহার করলে আগামি ৪-৫ মাস আর কোন সার ব্যবহার করতে হবে না।


🎁 সাথে পাচ্ছেন ছাদ বাগান ও কৃষির নির্দেশনা মূলক গাইডলাইন বই সম্পূর্ণ ফ্রি ...।।


বিঃদ্রঃ গাছের টবের কিনারা বরাবর রাউন্ড করে নালা করে উপরে উল্লেখিত মাত্রায় প্রয়োগ করে মাটিতে ঢেকে দিতে হবে। ৪-৬ মাস পরপর


আপনার গাছ সুরক্ষিত রাখতে অর্ডার করুন আমাদের বিশেষ ভাবে তৈরিকৃত অনুখাদ্য।

অর্ডার করতে অর্ডার Ordar Now বাটনে ক্লিক করুন

 অথবা ফোন করুন

☎01862597475


লিলিয়াম ফুলের কন্দ সংরক্ষণ পদ্ধতি:,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 লিলিয়াম ফুলের কন্দ সংরক্ষণ পদ্ধতি: 


সাধারণত লিলিয়াম bulbs/কন্দ থেকে জন্ম নেয়।‌ 

একটা কন্দ থেকে সাধারণত একটা গাছ জন্ম নেয় এবং ফুল ফুটা শেষ হলে গাছ মারা যায়। তবে গাছ মারা গেলেও মাটির নিচে কন্দ তাজা থাকে এবং এই কন্দ থেকে পরবর্তীতে আবার গাছ হয়।‌ সঠিক ভাবে কন্দ/বাল্ব সংরক্ষণ করলে বছরের পর বছর একই বাল্ব থেকে ফুল পাওয়া যায় ।

ফুল ফুটার পর বাল্ব মাটিতে রেখে দিলে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য বাল্ব মাটি থেকে তুলে সংরক্ষণ করে রাখা হয় পরবর্তী সিজনের জন্য ‌। 

কন্দ সংরক্ষণের বিস্তারিত পদ্ধতি কমেন্টে দেওয়া আছে.....


লিলিয়াম 

lilium 

lbs


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



দারিদ্র্যের কারণে এসএসসির পর আর পড়তে পারেননি হায়দার আলী।,,,,৷

 দারিদ্র্যের কারণে এসএসসির পর আর পড়তে পারেননি হায়দার আলী। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালান। কিছুদিন পোশাক কারখানায় কাজও করেছেন। পরে গ্রামের বাড়িতে ফিরে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। তখন শিক্ষকতা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। 


পণ করেন পড়াশোনা করে বিএ পাস করবেন। ভর্তি হন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। জীবিকার জন্য সারা দিন ভ্যান চালান আর রাতে পড়াশোনা করেন। সাত বছর পরিশ্রমের পর বিএ পাস করে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।


হায়দার আলীর বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। পেশায় ভ্যানচালক হায়দার চার সন্তানের বাবা। বড় মেয়েকে উচ্চমাধ্যমিকের পর বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র ছেলে এসএসসি পাস করেছে। অন্য দুই মেয়ে নবম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। 


সম্প্রতি হায়দার আলীর হাতে বিএ পাসের সনদ তুলে দেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।


স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, ১৯৭৯ সালে রামনগর গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারে হায়দার আলীর জন্ম। চার বছর বয়সে বাবা কাঞ্চন আলী খানের সঙ্গে খুলনায় চলে যান। দিনমজুর বাবার আয়েই সংসার চলত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা মারা যান। এরপর মা মোমেনা বেগম সংসারের হাল ধরেন। ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাস করে খুলনার খালিশপুরে সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজে ভর্তি হন হায়দার আলী। কিন্তু অভাবের কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।


হায়দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, অভাবের কারণে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন। পরে পোশাক কারাখানায়ও চাকরি করেন। ২০০৬ সালে গ্রামের বাড়িতে ফিরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করেন। ২০১২ সালে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘এসএসসি পাস করে লেখাপড়ার কী বোঝ?’ এরপর সিদ্ধান্ত নেন আবার পড়াশোনা শুরু করবেন। পণ করেন ডিগ্রি পাস না করে কাউকে প্রাইভেট পড়াবেন না।


২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউটোরিয়াল কেন্দ্র নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন হায়দার আলী। ২০১৬ সালে জিপিএ ২ দশমিক ৮৩ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। একই কলেজে বিএ পাস কোর্সে ভর্তি হন। চার বছর পর ২০২০ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ দশমিক ৫৩ পেয়ে বিএ পাস করেন। সম্প্রতি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিরোজপুরের উপ-আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বিএ পাসের সনদ হায়দার আলীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।


হায়দার আলী বলেন, ‘আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একজন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন। এরপর সিদ্ধান্ত নিই বিএ পাস করব। জীবিকার জন্য ভ্যান চালাতে শুরু করি। পাশাপাশি পড়াশোনা চলে। সারা দিন ভ্যান চালিয়ে রাতে পড়াশোনা করতাম। মাঝেমধ্যে ক্লাস করতাম। এভাবে ৭ বছর পড়াশোনা করে এইচএসসি ও বিএ পাস করেছি। এমএ পাস করার ইচ্ছা আছে।’ তিনি বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছয়জনের সংসার চালাতে কষ্ট হয়, একটা চাকরি পেলে ভালো হতো।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে হায়দার আলী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সনদ পেয়েছি। তখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা আমার হাতে সনদ তুলে দেওয়ার সময় বলেন, “আপনার একটা ছবি তুলতে চাই।” আমি তাঁর সঙ্গে ছবি তুলি। পরে তিনি ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে।’


নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম আলী শেখ বলেন, ‘আমি হায়দার আলীকে চিনি। তিনি আমাদের টিউটোরিয়াল কেন্দ্র থেকে বিএ পাস করেছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর বিএ পাস নিয়ে অনেকে প্রশংসামূলক পোস্ট, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন। পিরোজপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ কোর্স চালু নেই। এ জন্য তাঁকে বরিশালে যোগাযোগ করতে হবে।’



নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...