এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

লিচুর ফল ঝরে যাওয়া সমস্যা‌।

 লিচুর ফল ঝরে যাওয়া সমস্যা‌।


লক্ষণ:


* ফল ঝরা লিচুর সাধারণ সমস্যা, ফল ধরার পর থেকে শুরু করে ফল পরিপক্কতা হওয়া পর্যন্ত ফল ঝরা চলতে থাকে।


* ফল বাদামী থেকে কাল রং ধারণ করে।


* গুটি অবস্থায় ফল ঝরে পড়ে অর্থাৎ ফল ধরার ২-৪ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ফল ঝরে।


কারণ: 


ছত্রাক, খরা/দীর্ঘ সময় আবহাওয়া শুষ্ক হলে, শারীরবৃত্তীয় কারণে ও গাছে পুষ্টির ঘাটতি/হরমোনের অভাব থাকলে ফল ঝরে পড়তে পারে ।


সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা:


* শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।


* মাটিতে জৈব সার সহ সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।


* ফল মটর দানা এবং মার্বেল আকার অবস্থায় প্রোটোজিম/প্লানোফিক্স/ফ্লোরা/মিরাকুলান/লিটোসেন/বাম্পার/বলবান এর যে কোন একটি অনুমোদিত মাত্রায় পানির সাথে মিশিয়ে  স্প্রে করতে হবে।


* গুটি বাধার পর জিংক সালফেট প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম হারে মিশিয়ে পর পর ৩ সপ্তাহ গাছে স্প্রে করলে ফল ঝরা ও ফল ফাটা বন্ধ হয় এবং ফলের আকৃতিও বড় হয়। রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।



রাস্তার ধারে 'মমি' এবং পিরামিড থেকে পাওয়া (বা চুরি করা) জিনিষ বিক্রয় করছেন এক স্থানীয় মিশরীয় বিক্রেতা। কায়রো, মিশর। ১৮৭৫ সালের ছবি।

 🔺রাস্তার ধারে 'মমি' এবং পিরামিড থেকে পাওয়া (বা চুরি করা) জিনিষ বিক্রয় করছেন এক স্থানীয় মিশরীয় বিক্রেতা। কায়রো, মিশর। ১৮৭৫ সালের ছব

(ছবি সৌজন্যে - ব্রিটিশ লাইব্রেরী, ইউনাইটেড কিংডোম।)


'মমি বিক্রি', এই শব্দবন্ধটি পড়ে অবাক লাগলেও, এটি একসময় মিশরে খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। আর এই বিক্রিবাটা হত রাস্তার ধারে এবং খোলা বাজারে। খ্রিস্টীয় ১৯ শতকে ধনী ইউরোপীয়ান এবং আমেরিকান ভ্রমনার্থীদের নিকট "ভ্রমণ স্মারক" (tourist souvenirs) রূপে 'মমি' বিক্রি মিশরের প্রায় সর্বত্র হত এবং এটি খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। নীচে ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমন ভাবেই রাস্তার ধারে বা খোলা বাজারে এগুলো বিক্রি করা হত মিশর ভ্রমণকারীদের জন্য, যাতে তাঁরা এগুলো নিজেদের দেশে, নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন।


ভিক্টোরিয়ান যুগে, ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের মিশর বিজয়, ইউরোপ ও ইউরোপীয়ানদের কাছে মিশর এবং মিশরের ইতিহাসের বন্ধ থাকা দরজা খুলে দিয়েছিল। সেই সময়ে ইউরোপীয়ান এলিট সমাজে মমি কে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হত না। খ্রিস্টীয় ১৮ শতকে, মিশরের রাস্তার ধার ও বাজার থেকে কেনা মমিগুলোকে ইউরোপে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে 'মজার জিনিষ' বলে সকলের সামনে প্রদর্শন করা হত। এমনকি ইউরোপে এই সময়ে 'মমি উন্মোচন' পার্টির আয়োজন পর্যন্ত করা হত। এই ধরণের পার্টিতে অতিথি অভ্যাগতদের সামনে মমির থেকে ব্যান্ডেজ খুলে সেগুলো কে উন্মুক্ত করা হত, এবং সেই দৃশ্য পানীয় সহযোগে, হাততালি দিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন পার্টিতে আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা।


ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে মিশর থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া মমির অন্য ব্যবহার হওয়াও শুরু হল। মিশর থেকে জাহাজ ভরে মানুষ ও পশুর মমি ব্রিটেন ও জার্মানি তে নিয়ে যাওয়া হত, সেখানে সেগুলি জমির সার রূপে ব্যবহার করা হত। মমির শরীর থেকে ব্যান্ডেজ খুলে, সেই ব্যান্ডেজ আমেরিকায় পাঠানো হত, সেখানে সেগুলি কাগজ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হত। বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়াইন তাঁর মিশর ভ্রমণের ডাইরি তে লিখে গিয়েছেন যে, মিশরে মমি কে লোকমটিভের জ্বালানি রূপেও ব্যবহার করা হত।


খ্রিস্টীয় ১৯ শতক এগিয়ে আসার সাথে সাথে, মিশরের মমি কেবলমাত্র ধনী ইউরোপীয় এবং মার্কিন প্রাইভেট সংগ্রাহকদের সংগ্রহের বিষয় বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। তাঁরা মিশর ভ্রমণকালে উচ্চ মূল্যে এগুলো ক্রয় করে নিতেন "ভ্রমণ স্মারক" রূপে। যাঁরা আবার একটা আস্ত মমি কিনতে পারতেন না বা পেতেন না, তাঁরা চোরা বাজার থেকে মমির শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন মাথা বা পা বা হাত কিনে নিয়ে নিজের দেশে নিয়ে যেতেন।


মমির জন্য মিশরের ছোট বড় কোনও পিরামিডই ধনী ইউরোপীয় এবং মার্কিনদের লোভের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। কেবলমাত্র যে পিরামিডগুলোর দরজা কোনও ভাবেই খোলা সম্ভব হয় নি বা যে পিরামিডগুলো তে অজানা মৃত্যু ফাঁদ ছিল, সেগুলোই লুঠের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। এটাও উল্লেখ্য যে মমির সাথে পিরামিডের ভিতরে থাকা বিপুল ঐশ্বর্য এবং জিনিসপত্রও যথেচ্ছ ভাবে লুঠ করে ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।


এই ব্যবসাতেও অবশ্য জালিয়াতি ছিল। ছিল জাল মমির উৎপাত। বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামির দেহ, বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ, গরীব মানুষের দেহ এবং যারা কোনও জটিল রোগে মারা গিয়েছেন তাঁদের দেহ, ক্রয় করে, সেই দেহ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মরুভূমির তপ্ত বালি তে পুঁতে রেখে বা বিটুমিন দিয়ে স্টাফ করে, সেগুলো কে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে তারপরে আবার চড়া রোদে শুকিয়ে প্রাচীন মমি বলে ধনী বিদেশিদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রয় করা হত।


(তথ্য সৌজন্যে - ব্রিটিশ লাইব্রেরী, ইউনাইটেড কিংডোম।)

কৃতজ্ঞতা Dr Nobiul Islam Sohel


Stay Curious SIS 

Siddiqui's International School



এখানে কিছু পড়লেই পাথর হয়ে যায় !!,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এখানে কিছু পড়লেই পাথর হয়ে যায় !! 


ন্যাট্রন হ্রদ (যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়) 🥶🥶🥶

_________________________________________


তানজানিয়ার লেক ন্যাট্রন আফ্রিকার ফৈ নির্মল হ্রদগুলির মধ্যে একটি। এর জলের সংস্পর্শে আসলে যেকোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ  সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে দুর্ঘটনাবসত এদের অনেকেই মারা যায়। 

 

 Natron লেকের ক্ষারীয় জলের pH 10.5 এর মতো এবং এটি এতই ক্ষারীয় যে এটি প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। জলের ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে যা পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে হ্রদে প্রবাহিত হয়। জলের সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না। 


পূর্ব আফ্রিকার ওই এলাকার দুটি ক্ষারীয় হ্রদের মধ্যে একটি হ্রদ ন্যাট্রন;  অন্যটি হ্রদ বাহি।  উভয়  হ্রদ যা কোনো নদী বা সাগরে জল নিষ্কাশন করে না।


আফ্রিকার গভীর অরণ্য অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে এক ওল্ডোনিও লেঙ্গাই। হ্যাঁ, ‘চাঁদের পাহাড়’-এর সেই আগ্নেয়গিরি, যার কাছেই হিরের খনির সন্ধান পেয়েছিল শঙ্কর। কিন্তু এই আগ্নেয়গিরির কাছেই রয়েছে আরও এক বিস্ময়, যার সন্ধান শঙ্কর জানত না। শঙ্কর কেন, বাইরের পৃথিবীর কেউই তখনও এই হ্রদের কথা জানতেন না। তাঞ্জানিয়ার আরুশা অঞ্চলে পাহাড়ি উপত্যকায় বিরাট একটি হ্রদ লেক নেট্রন। যার জল যে কোনো জীবিত প্রাণীকে পাথরে পরিণত করতে পারে। না না, গ্রীক পুরাণের মেডুসা বা রামায়ণের অহল্যার মতো কোনো রূপকথার গল্প নয়। এ একেবারে জলজ্যান্ত বাস্তব। হ্রদের চারপাশে এমন অনেক পাখির দেহাবশেষ পড়ে রয়েছে আজও, যাদের দেখলে পাথরের মূর্তি ছাড়া অন্য কিছু মনে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০১৩ সাল। লেক নেট্রনের ধারে ছবি তুলতে হাজির হয়েছেন ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার নিক ব্র্যান্ড। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে তাঁর চোখে পড়ে কয়েকটা পাথরের মূর্তি। ঠিক পাখির মতো। এবং অত্যন্ত নিখুঁত সেই মূর্তি। যেন বাস্তবের কোনো পাখিই প্রস্তরমূর্তি ধারণ করেছে। কাছে গিয়ে একটি মূর্তি তুলে নিলেন নিক। আর তারপরেই অবাক হলেন। মূর্তি নয়, আসলে পাখিরই মৃতদেহ। তার শরীরের ভিতরে রক্ত-মাংসের কিছু নমুনা তখনও অবশিষ্ট রয়েছে। শুধু বাইরের অংশটাই পাথরে বদলে গিয়েছে। একটি একটি করে পাখিকে তুলে নিয়ে গাছের ডালে বসিয়ে দিলেন নিক। তারপর ক্যামেরার শাটার সরিয়ে তাদের ছবি তুললেন। গোটা ইউরোপ জুড়ে প্রদর্শশালাগুলিতে ভিড় জমে গেল সেই ছবি দেখতে। নিক এই ছবিগুলির নাম রেখেছিলেন ‘অ্যালাইভ এগেইন ইন ডেথ’।


৫৭ কিলোমিটার লম্বা, ২২ কিলোমিটার চওড়া এবং প্রায় ১০ ফুট গভীর লেক নেট্রন। অথচ দীর্ঘদিন তার অস্তিত্বের কথা জানতেনই না কেউ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই হ্রদের কথা শুনেছিলেন, কিন্তু বাইরের পৃথিবীর কাছে তা ছিল একেবারে অপরিচিত। ১৯৫৪ সালে প্রথম এই হ্রদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। তাও কেবলমাত্র ফ্লেমিংগো পাখির আশ্রয়স্থল হিসাবে। বছরের সবসময় এখানে ফ্লেমিংগো পাখির দল উড়ে বেড়ায়। হ্রদের জলে খেলা করে। আর হ্রদের জলও যেন ফ্লেমিংগো পাখির গায়ের সঙ্গে মিল রেখেই কখনও গোলাপি তো কখনও টকটকে লাল। এইসবই অবাক করে রেখেছিল পর্যটকদের। এর থেকে বড়ো কোনো রহস্যের সন্ধান তাঁরা পাননি।


প্রায় ২৫ লক্ষ ফ্লেমিংগো পাখির বাস এই হ্রদের আশেপাশে। লম্বা লম্বা পা ফেলে তারা ঘুরে বেড়ায়, আর জলজ ঝাঁঝি খায়। তবে হ্রদের জল অবাক করেছিল গবেষকদের। তাঁরা এই জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, প্লিস্টোসিন যুগে তৈরি হওয়া এই হ্রদের তলদেশ লাভাগঠিত। আর তার মধ্যে রয়েছে ট্রনা ও নেট্রন নামের দুটি যৌগ। এই দুই যৌগের কারণেই জলের রং লাল। শুধু তাই নয়, জলে সোডিয়ামের পরিমাণও অত্যন্ত বেশি। পিএইচ মাত্রা সবসময় ১২ অঙ্কের বেশি থাকে। ১৯৯৮ সালে স্টুয়ার্ট অ্যান্ড স্টুয়ার্ট নামের একটি কোম্পানি এই হ্রদের ধারে সোডিয়াম নিষ্কাশনের জন্য কারখানা তৈরির চেষ্টাও করে। কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবেশকর্মীরা। কারণ, কারখানা তৈরি হলে হারিয়ে যাবে ফ্লেমিংগো-র বসতি।


তবে তখনও অবধি হ্রদের জলের খুনে চরিত্রের কথা কেউ জানতেন না। নিকের ছবিগুলির কথা জানাজানি হতেই তাই অবাক হয়েছিলেন সকলে। এমনটাও কি বাস্তবে সম্ভব? অসম্ভব যে নয় তা ছবিগুলিই প্রমাণ করে। কিন্তু এই জল ছুঁলেই জীবিত প্রাণীর শরীর পাথর হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয় বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, জলে সোডিয়ামের প্রভাবে ক্ষরতা এতটাই বেশি, যে কোনো জীবিত প্রাণীর চামড়া এতে পুড়ে যেতে বাধ্য। আর দীর্ঘক্ষণ জলের মধ্যে থাকলে ক্রমশ শরীরের সমস্ত কোষই মারা যেতে পারে। তখন সেইসমস্ত মৃত কোষকে পাথরের চেয়ে আলাদা কিছু মনে হবে না। নিক আসলে জলে পুড়ে যাওয়া সেইসব পাখিদেরই সন্ধান পেয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে ফ্লেমিংগো পাখিরা কীভাবে অবাধে ঘুরে বেড়ায়, সেও এক রহস্য।


রহস্যময় এই হ্রদের টানে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান। এখনও বসবাসের তেমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। পাহাড়ের গায়ে তাঁবু খাটিয়েই থাকেন পর্যটকরা। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। রক্তাভ হ্রদের উপরে ফ্লেমিংগো পাখির দল আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কিন্তু ভুল করেও সেই জলে পা ডুবিয়ে বসবেন না। তাহলে আপনার

 অবস্থাও হতে পারে নিক ব্র্যান্ডের ছবির পাখিগুলির মতোই।


Photo Credit : Photographer Nick Brandt (U.K.)



সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সুমেরীয় তারকা মানচিত্র।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সুমেরীয় তারকা মানচিত্র।


সুমেরীয় সভ্যতা মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাংশের একটি প্রাচীন সভ্যতা। এর অবস্থান ছিল আধুনিক ইরাক এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমেরীয় সভ্যতার সময়কাল খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০০ হতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০-এর মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরীয় সভ্যতার পতন ঘটে।


১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানীরা সুমেরীয় সভ্যতার বিতর্কিত কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা কাদামাটির তৈরি একটি ট্যাবলেটের রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছে। ধারণা করা হয় যে প্রাচীনকালে এই ট্যাবলেটে তথাকথিত Köfel’s নামক এক ঘটনার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। বৃত্তাকার স্টোনকাস্ট ট্যাবলেটটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ইরাকের নিনেভেতে অবস্থিত রাজা আশুরবানিপালের (খ্রি.পূ.৬৫০) ভূগর্ভস্থ লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার করা হয়।


দীর্ঘকাল ধরে একে অ্যাসিরিয়ান ট্যাবলেট বলে মনে করা হয়েছিল। আধুনিক কম্পিউটার বিশ্লেষণ এটি ৩৩০০ খ্রি.পূ. এর মেসোপটেমিয়ার আকাশের সাথে মিলেছে। এছাড়া, এটি আরও প্রাচীন সুমেরীয় অরিজিন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ট্যাবলেটটি একটি "অ্যাস্ট্রোল্যাব", যা প্রাচীনতম জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্র। এটি খণ্ডিত ডিস্ক-আকৃতির তারকা চার্ট নিয়ে গঠিত। এর কোণ পরিমাপের একক রিমের উপরে খোদাই করা আছে। এটি একটি অনবদ্য আবিষ্কার।


সুমেরীয়রা গণিত ব্যবহার করে চাঁদ ও গ্রহের গতি গবেষণা শুরু করে। ফলে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশ ঘটে। গ্রহ নক্ষত্রের গতির ছক এঁকে ক্যালেন্ডার তৈরিপূর্বক ঋতু নির্ণয় করে শস্যরোপনের সময় বের করতো। প্রথম দিকে পৃথিবীকে চাকতি ভাবলেও, পরে তাদের ধারণা হয় পৃথিবী গোলাকার। তারাই প্রথম পৃথিবীকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করে।




রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

পড়বেন হাদিসটি,,,,,,,

 পড়বেন হাদিসটি    ..."তোমরা কি জানো, মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?" রাসুল (সাঃ)

একদিন নবী করিম (সাঃ)এর একজন সাহাবী মারা গেলেন

রাসূল পাক (সাঃ) উনার জানাজা পড়ালেন I তারপর একদল সাহাবী মৃতদেহ কবর দেয়ার জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসলেন I সবার সাথে আমাদের নবী করিমও (সাঃ)হেঁটে হেঁটে আসলেন I

দুই জন সাহাবী কবর খুঁড়তে শুরু করলেন I

সবাই মৃত দেহকে ঘিরে বসে আছেন I

কবর খনন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন I

সবাই চুপচাপ, নীরব ও শান্ত একটি পরিস্থিতি I

নবীজি গভীর মনোযোগ দিয়ে কবর খোঁড়া দেখছিলেন একটু পর সবার দিকে তাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

"তোমরা কি জানো, মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?"

সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে নবীজি কে বললেন,

-ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমাদেরকে বলুন I

নবীজি একটু চুপ করে থাকলেন I সবাই উনার কাছে এসে ঘিরে বসলেন I মৃত্যুর পর আত্মার কি হয়, এই তথ্য তাঁদের জানা ছিল না I আজ সেটা নবীজির মুখে শুনবেন I কত বড় সৌভাগ্য I শুনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে নবীজির কাছে এসে বসলেন I

তিনি একবার কবরের দিকে তাকিয়ে মাথাটা তুলে আকাশের দিকে তাকালেন

তারপর তিনি গল্পের মত করে বলতে শুরু করলেনI

"শুনো, যখন মানুষ একেবারেই মৃত্যু শয্যায়, তখন সে মৃত্যুর ফেরেস্তাকে দেখে ভয় পেয়ে যায় I কিন্তু যে বিশ্বাসী ও ভালো মানুষ তাকে মৃত্যুর ফেরেস্তা হাসি মুখে সালাম দেন I তাকে অভয় দেন এবং মাথার পাশে এসে ধীরে ও যত্ন করে বসেন I তারপর মৃত প্রায় মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলেন,

-হে পবিত্র আত্মা ! তুমি তোমার পালনকর্তার ক্ষমা ও ভালোবাসা গ্রহণ করো এবং এই দেহ থেকে বের হয়ে আসোI

মুমিনের আত্মা যখন বের হয়ে আসে তখন সে কোন ধরণের ব্যথা ও বেদনা অনুভব করে না I

নবী আরো একটু ভালো করে উদাহরণ দিয়ে বললেন,

-মনে করো একটা পানির জগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর উপর থেকে এক ফোঁটা পানি যেমন নিঃশব্দে উপর থেকে নিচে নেমে আসে ঠিক তেমনি নীরবে ও কষ্ট ছাড়াই আত্মাটি তার দেহ থেকে বের হয়ে আসেI

সেই সময় দুই জন অন্য ফেরেস্তা বেহেস্ত থেকে খুব সুগন্ধি মাখানো একটা নরম সুতার সাদা চাদর নিয়ে আসেন এবং তারা আত্মাটিকে সেই চাদরে আবৃত করে আকাশের দিকে নিয়ে যান I

তারা যখন আকাশে পৌঁছান তখন অন্য ফেরেস্তারা সেই আত্মাটিকে দেখার জন্য এগিয়ে আসেনI

কাছে এসে সবাই বলেন,

সুবহানাল্লাহ ! কত সুন্দর আত্মা, কি সুন্দর তার ঘ্রান !

তারপর সবাই জানতে চান,

-এই আত্মাটি কার ?

উত্তরে আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারা বলেন,

-উনি হলেন, "ফুলান ইবনে ফুলান"

(নবী আরবিতে বলেছেন, বাংলায় হলো, "অমুকের সন্তান অমুক" )

বাকি ফেরেস্তা গন তখন আত্মাটিকে সালাম দেয়, তারপর আবার জিজ্ঞেস করে,

-উনি কি করেছেন ? উনার আত্মায় এতো সুঘ্রাণ কেন ?

আত্মা বহন কারী ফেরেস্তা গন তখন বলেন,

-আমরা শুনেছি মানুষজন নিচে বলা-বলি করছে, উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহর ভালো বান্দা, অনেক দয়ালু, মানুষের অনেক উপকার করেছেন I

এতটুকু বলার পর নবী একটু থামলেন I

তারপর সবার দিকে ভালো করে দৃষ্টি দিয়ে, উনার কণ্ঠটা একটু বাড়িয়ে বললেন,

এই কারণেই বলছি, সাবধান ! তোমরা কিন্তু মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে না I

তুমি মারা যাওয়ার পর মানুষ তোমার সম্পর্কে যা যা বলবে, এই আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারাও আকাশে গিয়ে ঠিক একই কথা অন্যদেরকে বলবেI

এই কথা বলে তিনি আবার একটু চুপ করলেন, কবরটার দিকে দৃষ্টি দিলেন I

আবার বলতে শুরু করলেন I

এই সময় মানুষ যখন পৃথিবীতে মৃত দেহকে কবর দেয়ার জন্য গোসল দিয়ে প্রস্তুত করবে তখন আল্লাহ তা'আলা আত্মা বহন কারী ফেরেশতাদেরকে বলবেন, "যাও , এখন তোমরা আবার এই আত্মাকে তার শরীরে দিয়ে আসো, মানুষকে আমি মাটি থেকে বানিয়েছি, মাটির দেহেই তার আত্মাকে আবার রেখে আসো I সময় হলে তাকে আমি আবার পুনরায় জীবন দিবো I"

তারপর মৃতদেহকে কবরে রেখে যাওয়ার পর দুই জন ফেরেস্তা আসবেন I তাদের নাম মুনকার ও নাকির I

তারা মৃতের সৃষ্টিকর্তা, তার ধর্ম ও নবী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন I

মুনকার নাকির চলে যাওয়ার পর,

আত্মাটি আবার অন্ধকার কবরে একাকী হয়ে যাবে I

সে এক ধরণের অজানা আশংকায় অপেক্ষা করবে I কোথায় আছে ? কি করবে ? এক অনিশ্চয়তা এসে তাকে ঘিরে ধরবে I

এমন সময় সে দেখবে, খুব সুন্দর একজন তার কবরে তার সাথে দেখা করতে এসেছেন I

তাঁকে দেখার পর আত্মাটি ভীষণ মুগ্ধ হবে I এতো মায়াবী ও সুন্দর তার চেহারা, সে জীবনে কোন দিন দেখেনি I

আত্মাটি তাকে দেখে জিজ্ঞেস করবে,

-তুমি কে ?

সেই লোকটি বলবে,

-আমি তোমার জন্য অনেক বড় সু- সংবাদ নিয়ে এসেছি, তুমি দুনিয়ার পরীক্ষায় উর্তীর্ণ হয়েছো, তোমার জন্য আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের ব্যবস্থা করেছেন, তুমি কি সেটা একটু দেখতে চাও?

আত্মাটি ভীষণ খুশি হয়ে বলবে,

-অবশ্যই আমি দেখতে চাই, আমাকে একটু জান্নাত দেখাও I

লোকটি বলবে,

-তোমার ডান দিকে তাকাও I

আত্মাটি ডানে তাকিয়ে দেখবে কবরের দেয়ালটি সেখানে আর নেই I সেই দেয়ালের দরজা দিয়ে অনেক দূরে সুন্দর বেহেস্ত দেখা যাচ্ছে I

বেহেস্তের এই রূপ দেখে আত্মাটি অনেক মুগ্ধ হবে ও প্রশান্তি লাভ করবে I

এবং সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করবে,

-আমি সেখানে কখন যাবো ? কিভাবে যাবো ?

লোকটি মৃদু হেসে বলবেন,

- যখন সময় হবে, তখনই তুমি সেখানে যাবে ও থাকবেI আপাততঃ শেষ দিবস পর্যন্ত তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে I ভয় পেও নাI আমি তোমার সাথেই আছি I তোমাকে আমি সেই দিন পর্যন্ত সঙ্গ দিবো I

আত্মাটি তখন তাকে আবারো জিজ্ঞেস করবে,

-কিন্তু তুমি কে ?

তখন লোকটি বলবে,

-আমি তোমার এতদিনের আমল, পৃথিবীতে তোমার সব ভালো কাজের, তোমার সব পুণ্যের রূপ আমি, আজ তুমি আমাকে একজন সঙ্গীর মত করে দেখছো I আমাকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্যই এখানে পাঠিয়েছেন I

এই কথা বলে, লোকটি আত্মাটির উপর যত্ন করে হাত বুলিয়ে দিবেন

এবং বলবেন,

-হে পবিত্র আত্মা ! এখন তুমি শান্তিতে ঘুমাও I নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নাও I

এই কথা বলার পর, আত্মাটি এক নজরে বেহেস্তের দিকে তাঁকিয়ে থাকবে এবং একসময় এই তাকানো অবস্থায় গভীর প্রশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়বে I

নবীজি এতটুকু বলে আবার একটু থামলেনI

সাহাবীরা তখন গায়ের কাপড় দিয়ে ভেজা চোখ মুছলেন I

(বুখারী ও মুসনাদের দুইটি হাদিস অবলম্বনে)

আল্লাহ আমাদের পবিত্র আত্মা হওয়ার তাওফিক দান করুন..........…...আমীন।



জিবনে ১ বার হলেও যে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল (সাঃ)।,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

    ⭕জিবনে ১ বার হলেও যে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল (সাঃ)।


⭕ফজিলত ৪ রাকাত নামাজের বিনিময়ে জীবনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করেন মহান রব্বুল আলামীন ইনশাআল্লাহ🤲🤲


⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুল তাসবিহ নামাজ দুই নিয়মে পড়া যায়। দুইটি নিয়মই হাদিসে এসেছে। তাই দুইটি নিয়মই আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।


⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের প্রথম নিয়ম:


১) প্রথমে ওজু করে পাক-পবিত্র হয়ে, পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে মনে মনে এই নিয়ত করবেন যে, আমি কেবলামুখী হয়ে চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ এর নফল নামাজ আদায় করতেছি)


২) তারপর উভয় হাত কানের লতি বরাবর (মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবেন) উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধবেন এবং বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবেন।


৩)  এবার ছানা পড়তে হবে (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক। 


৪) তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।


৫)  সূরা ফাতিহা শেষ করার পর যেকোন একটি সূরা পাঠ করতে হবে (চার রাকাতেই সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য একটি সূরা পড়তে হবে)।


৬) সূরা মিলানোর পর রুকূতে যাওয়ার আগে ১৫ বার (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ اللهُ اَكْبَرُ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে। 


৭) অতঃপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে। 


৮)  রুকু হতে উঠার সময় পড়বেন “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এবং সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়বেন “রব্বানা লাকাল হামদান,,,,,,,,”। রুকূ হতে দাঁড়ানো অবস্থায় (হাত ছাড়া থাকবে) ১০ বার উক্ত তাসবিহটি পড়তে হবে। 


৯) তারপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।


১০) দুই সিজদার মাঝে বসে ১০ বার পড়তে হবে।


১১) আবার সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।


১২)সিজদা শেষ করে আবার ১০ বার পঠে ২য় রাকাআত এর জন্য দাড়িয়ে যাবেন এই হলো সর্বমোট ৭৫ বার।


⭕এভাবে প্রতি রাকাতে মোট ৭৫ বার হবে। এনমভাবে প্রতি রাকাতে ৭৫ বার করে পড়তে হয়। চার রাকাতে সর্বমোট ৩০০ বার হবে।


রাসূল (সাঃ) তার চাচাকে বলেন হে চাচা তুমি পারলে দিনে ০১ বার আমলটি করবা সম্ভব না হলে প্রতি জুম্মায় ১ বার তাও সম্ভব না হলে মাসে একবার এবং এটিও সম্ভব নাহলে বছরে ০১ বার অতঃপর যদি তাও সম্ভব না হয় সারাজীবনে ১ বার হলেও আমল করবা,,,সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন। 


খুব আফসোস এর সাথে বলতে যারা না জেনে বলেন এই নামাজের কোনো অস্তিত্ব নেই কিনবা বিদাত আরো অনেক কিছু তাদের জন্য আমি বলি রাসূলে পাক (সাঃ) সিহাহ্ সিত্তার অন্যতম হাদিস অস্বীকার করে গুনাহ্গার হইয়েননা,,ভুল/বাদ/বাতিল এসব বলার আগে নিচের রেফারেন্স ২টা মিলিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ এবং আরো রেফারেন্স লাগলে ইনবক্সে নক দিবেন।


(আবু দাউদ ১২৯৭,

সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৭ নং হাদিস)


শিরোনামঃ মানব যৌনতার ইতিহাস অধ্যয়ন।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শিরোনামঃ মানব যৌনতার ইতিহাস অধ্যয়ন।


প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যৌন আচরণের সামাজিক গঠনবাদ এর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক গভীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সুইস বিচারপতি জোহান বাচোফেনের কাজ যৌনতার ইতিহাসের গবেষণায় একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল। অনেক লেখক, উল্লেখযোগ্যভাবে লুইস হেনরি মরগান এবং ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, বাচোফেন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং এই বিষয়ে বাচোফেনের ধারণাগুলির সমালোচনা করেছিলেন, যা প্রায় পুরোপুরি প্রাচীন পুরাণে ঘনিষ্ঠ পাঠ থেকে আঁকা ছিল। ১৮৬১ সালে তাঁর বই মাদার রাইট: অ্যান ইনভেস্টিগেশন অফ দি রিলিজিয়াস অ্যান্ড জুরিডিকাল ক্যারেক্টার অফ ম্যাট্রিয়ার্কি ইন দ্য এনসাইন্ট ওয়ার্ল্ড -এ বাচোফেন লিখেছেন যে, শুরুতে মানুষের যৌনতা ছিল বিশৃঙ্খল ও এলোমেলো। এই অনুষঙ্গ আরো কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো।


ভারত:

যৌনতার ইতিহাসে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। যৌন সম্পর্কের প্রথম যে সাহিত্যে যৌন মিলনের বিষয়টিকে বিজ্ঞান হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তার লিখন থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের যৌন সম্পর্কের নতুন যুগের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির শুরুটা ভারতেই হয়েছিল। এটা বলা যায় যে ভারত প্রথম যৌনশিক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, যৌনতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম প্রমাণ হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম এবং জৈন ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থগুলি থেকে আসে এই প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ, যৌনতা, বিবাহ এবং উর্বর প্রার্থনার বিষয়ে নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। বেশ কয়েকটি বৈদিক রীতিতে যৌন যাদু বৈশিষ্ট্যযুক্ত, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আচার অশ্বমেধ যজ্ঞ, যে যজ্ঞ প্রধান রানীর যৌন অনুকরণে মৃত ঘোড়ার সাথে শুয়ে থাকার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। স্পষ্টতই এটি উর্বরতার অনুষ্ঠান যা রাজ্যের উৎপাদনশীলতা, সামরিক শক্তি রক্ষা এবং বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে। এমনকি শাসক শ্রেণীর পক্ষে বংশীয় উত্তরসূরি রক্ষার উপায় হিসাবে বহুবিবাহ অনুশীলন করা অনেক সংস্কৃতিতে সাধারণ ছিল। 


চীন:

চীনের যৌনতাবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, কনফুসিয়াসের মতো নৈতিক নেতারাও নারীর সহজাত বৈশিষ্ট্যের চূড়ান্ত বিবরণ দিয়েছেন। প্রথম থেকেই, মহিলাদের কুমারীত্ব কঠোরভাবে পরিবার ও সম্প্রদায় দ্বারা প্রয়োগ করা হতো এবং পণ্য হিসাবে তাদের আর্থিক মূল্য সংযুক্ত হত। প্রথাগত সমাজে যে কোনও ধরনের সামাজিক মর্যাদার অধিকারী একজন ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী অবশ্যই তাঁর পিতা বা দাদা তাঁর জন্য বাছাই করতো, পরে ঐ ব্যক্তি তার উপপত্নীর আকারে আরও কাঙ্ক্ষিত যৌন অংশীদার গ্রহণ করতে পারতো। তদুপরি, তার দখলে থাকা দাসীরাও তার কাছে যৌন উপলব্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, সমস্ত পুরুষের এত কিছু করার আর্থিক সংস্থান ছিল না।


জাপান :

প্রায়শই বিশ্বের প্রথম উপন্যাস বলা হয়, গেঞ্জি মনোগাতারি  কে, যা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে লেখা, যুবরাজ গেঞ্জির যৌন মিথস্ক্রিয়াকে বিস্তারিতভাবে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। 

জাপানি যৌনতা সম্পর্কে ভুল ধারণার আবাস হ'ল জাপানী বাইজি প্রতিষ্ঠান। বেশ্যা হওয়ার পরিবর্তে এই মহিলারা সংগীত এবং সংস্কৃত কথোপকথনের মতো শিল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ডারা তার পুরুষ গ্রাহকের সাথে অ-যৌন মিথষ্ক্রিয়ার জন্য উপলব্ধ ছিলেন। এই মহিলারা স্ত্রীদের থেকে পৃথক ছিলেন, কারন বাইজি ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের সাধারণত গৃহকর্ম সম্পাদন করা ছাড়া অন্য কোনও কিছু করতে হতো না। বাইজিরা অ-যৌন সামাজিক ভূমিকা পালিত করতো যা সাধারণ মহিলারা বা স্ত্রীরা পূরণ করতে পারতো না, এই পরিষেবার জন্য তাদের ভাল পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। তাই বলে বাইজিরা যৌনতা প্রকাশ করার সুযোগ পেতো না, তা নয়। প্রত্যেক বাইজির এমন কোনও পৃষ্ঠপোষক থাকতো যার সাথে সে যৌন ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করতো, তবে এই যৌন ভূমিকা তার পেশাদারী দায়িত্বের অংশ ছিল না।


রোমান প্রজান্ত্রে:

নাগরিকদের নিজের দেহকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুরুষ যৌন ধারণার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। [৩] বিবাহ পরবর্তী নারী যৌনতা উৎসাহিত করা হতো। রোমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন "সত্যিকারের মানুষ" নিজেকে এবং অন্যকে উভয়কেই ভালভাবে পরিচালিত করার কথা বলে এবং অন্যের ব্যবহার বা সন্তুষ্টির বশীভূত হওয়া উচিত নয়। 


ইহুদিবাদ:

ইহুদি আইন অনুসারে, বিবাহের সময় লিঙ্গকে অভ্যন্তরীণভাবে পাপপূর্ণ বা লজ্জাজনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, বা জন্মগ্রহণের উদ্দেশ্যে এটি কোনও প্রয়োজনীয় মন্দ নয়। যৌনতা স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত এবং পবিত্র কাজ হিসাবে বিবেচিত। কিছু নির্দিষ্ট বিকৃত যৌন চর্চা মারাত্মক অনৈতিক হিসাবে বিবেচনা করা হত কখনও কখনও মৃত্যুর দ্বারা শাস্তিযোগ্য। 


খ্রিস্টান:

খ্রিস্টধর্ম যৌনতার বিষয়ে দুটি নতুন ধারণা নিয়ে ইহুদিদের মনোভাবকে পুনরায় জোর দিয়েছে। প্রথমত, পুনরাবৃত্তিযুক্ত ধারণা ছিল যে বিবাহ একেবারে একচেটিয়া এবং অবিচ্ছেদ্য, বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে আরও দিকনির্দেশনা রেখেছিল এবং এই আইনের পিছনে কারণ এবং নীতিগুলি প্রসারিত করেছিল। দ্বিতীয়ত, ওল্ড টেস্টামেন্টের সময়ে বিবাহ প্রায় সর্বজনীন ছিল, ইডেনের মোট বিবাহের ধারাবাহিকতায়, তবে নতুন নিয়মে, গতিপথটি নতুন আকাশে ও নতুন পৃথিবীতে বিবাহ না করার লক্ষ্যে এগিয়ে গেছে। 


হিন্দু ধর্ম:

হিন্দু ধর্ম একটি শিল্প, বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন হিসাবে যৌনতার প্রতি একটি উদার মনোভাব গ্রহণ করেছিল। যৌন সম্পর্কিত ভারতীয় সাহিত্যের সর্বাধিক বিখ্যাত গ্রন্থ হ'ল কামসূত্র আধ্যাত্মিক এবং ব্যবহারিক উভয় সুস্পষ্ট যৌন লেখার এই সংগ্রহটি মানব বিবাহ ও যৌন মিলনের বেশিরভাগ দিককে অন্তর্ভুক্ত করে। একে এই আকারে রুপ দিয়েছিলেন ঋষি বাৎস্যায়ন। 


ইসলাম ধর্ম:

ইসলামে কেবল বিবাহের পরে যৌন মিলনের অনুমতি দেওয়া হয় এবং বিবাহ পরবর্তী সময়ে যৌনমিলন আর পাপ বা লজ্জাজনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। আসলে এটি স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত এবং পবিত্র কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়। কিছু নির্দিষ্ট বিকৃত যৌন চর্চাকে মারাত্মক অনৈতিক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং কখনও কখনও মৃত্যুর দ্বারা শাস্তিযোগ্য। 


পশুকামিতা:

পশুকামিতা হলো মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে যৌন ক্রিয়াকলাপ - সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে আসে। যৌন প্রসঙ্গে মানুষ ও প্রাণীর চিত্র কদাচিৎ চিত্রিত হয় ইউরোপে পাথুরে শিল্পকর্মে, নব্যপ্রস্তরযুগে যার সূচনা হয় প্রাণীদের গৃহপালনের শুরু থেকেই।


পতিতাবৃত্তি:

বেশ্যাবৃত্তি হ'ল যৌন পরিষেবা বিক্রয়, যেমন ওরাল সেক্স বা যৌন মিলন। পতিতাবৃত্তিটিকে "বিশ্বের প্রাচীনতম পেশা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। গনোরিয়া কমপক্ষে ৭০০ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছে এবং প্যারিসের একটি জেলা এর সাথে জড়িত যা "লে ক্লাপিয়ার্স" পূর্ব নামে পরিচিত। যেখানে ঐ সময়ে পতিতাদের খুঁজে পাওয়া যায়। 


বিংশ শতাব্দী: যৌন বিপ্লব

দ্বিতীয় যৌন বিপ্লব ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে পশ্চিম জুড়ে যৌন নৈতিকতা এবং যৌন আচরণে যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছিল। যৌন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত পরিবর্তনের একটি কারণ হ'ল গর্ভাবস্থায় যাওয়ার ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন। তাদের মধ্যে প্রধান ছিল, সেই সময়কার, প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল। একই সাথে অনেক দেশে গর্ভপাত সম্পর্কিত উদারনীতি যেন মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ না ডেকে আনে তার জন্য নিরাপদে এবং আইনিভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা বন্ধ করা সম্ভব করে তোলে।


বিঃদ্রঃ গুগল এবং উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে প্রবন্ধটি সাজানো।


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৪-০৩-২০২৪ ।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৪-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ।


জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দল আওয়ামী লীগ অন্যদিকে ক্ষমতার দল বিএনপি -মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের।


সাইবার অপরাধ দমনে দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার - জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ ও নাবিকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী - তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সোমালি জলদস্যুদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।


মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে - এ ঘটনার নেপথ্যের কুশিলবদের শাস্তি দিতে ভ্লাদিমির পুতিনের অঙ্গীকার।


সিলেটে প্রথম টেষ্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে গতকালের ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে আজ আবার ব্যাটিং শুরু করবে শ্রীলংকা।


বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনটি জিনিস নিয়মিত চেক করবেন,,,,,

 বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনটি জিনিস নিয়মিত চেক করবেন।

১) ব্লাড প্রেসার।

২) ব্লাড সুগার।

৩) লিপিড প্রোফাইল।


🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷

১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা,

২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা,

৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা,

৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।


🔸পাঁচটি জিনিস খাবার থেকে যত পারুন এড়িয়ে চলুন।

১) লবন,

২) চিনি,

৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ।

৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার

৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।


🔸পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।

১) সব রকমের সবুজ শাক

২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি

৩) ফলমূল,

৪) বাদাম,

৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।


🔸মানসিক শান্তি বা সুখী হতে  সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।

১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু,

২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার,

৩) সবসময় সুচিন্তা,

৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়,

৫) অল্পেতে খুশি হওয়ার চেষ্টা,

৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা,

৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।


🔸ছয়টি জিনিষের চর্চা রাখুন।

১) অহংকার না করা,

২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা,

৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা,

৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা ।কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত ।

৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন


🔸সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।

১) কর্য,

২) লোভ,

৩) আলস্য,

৪) ঘৃণা,

৫) সময়ের অপচয়,

৬) পরচর্চা,পরনিন্দা 

৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি


🔸পাঁচটি জিনিষ কখনোই করবেন না।

১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া,

২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা,

৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া,

৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেওয়া,

৫) একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া,


সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হোন।

“সুস্থ্য থাকুন - ভাল থাকুন - ভাল রাখুন”

সংগৃহীত তথ্য❤️


শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

পরমাণুর নিষিদ্ধ যুগ,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 # ***পরমাণুর নিষিদ্ধ যুগ***


স্বর্ণযুগে একজন দার্শনিক ছিলেন গ্রিসে। তার নাম লিউসিপ্পাস। তিনি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেন, কোনো বস্তুকে ইচ্ছামতো একের পর এক ভাঙা যাবে না। ভাঙতে ভাঙতে এমন একটা অবস্থায় পৌঁছবে, তখন আর বস্তুটিকে শত চেষ্টা করলেও সম্ভব নয় ভাঙা।


বস্তুটি পৌঁছবে একটা ক্ষুদ্রতম আকারে। কিন্তু সেই ক্ষুদ্রতম আকারের নাম-ধাম, বৈশিষ্ট্য কেমন হবে এ কথা বলে যাননি লিউসিপ্পাস। পরমাণুতত্ত্বের সবচেয়ে আলোচিত প্রবক্তা ডেমোক্রিটাস। লিউসিপ্পাসের ছাত্র।


ডেমোক্রিটাস বস্তুর ক্ষুদ্রতম অবস্থার নাম দিলেন, ‘অ্যাটোম’। অ্যাটোম শব্দের অর্থ অবিভাজ্য। বাংলায় আমরা যাকে বলি ‘পরমাণু’। লিউসিপ্পাসের মতো ডেমোক্রিটাসের পরমাণুকেও আধুনিক পরমাণুর সাথে মেলানো যাবে না।


কিন্তু ডেমোক্রিটাসের সাফল্যটা অন্য জায়গায়। তিনি বস্তুর ক্ষুদ্রতম কণার যে নামটা দিয়েছিলেন। আড়াই হাজার বছর পরেও সেই ‘অ্যাটোম’ নামটা বহাল তবিয়তে রয়েছে বিজ্ঞানের রাজ্যে।


ডেমোক্রিটাসের জীবদ্দশায়ই জন্ম সর্বকালের অন্যতম সেরা দার্শনিক অ্যারিস্টোটলের। সব কিছুতেই তিনি পাণ্ডিত্যের বহর দেখিয়েছেন।


সমাজে ব্যাপক প্রভাব ছিল তাঁর। তাঁর কথাকে অমর বাণী মনে করত গ্রিকবাসী। পরবর্তীকালে অনেক ধর্মগ্রন্থেই অ্যারিস্টোটলের মতের প্রতিফলন দেখা গেছে। দার্শনিক হিসেবে যত দূরদর্শীই হোন অ্যারিস্টোটল, বিজ্ঞানবক্তা হিসেবে তাঁর ব্যর্থতা অনেক। ডেমোক্রিটাসের পরমাণুতত্ত্ব মানতে পারেননি অ্যারিস্টোটল। তিনি ভাবতেন, বস্তুকে ইচ্ছামতো একের পর এক ভাঙা যায়। সেই মত তিনি প্রকাশ্যে প্রচারও করেন। তাঁর কথা ধর্মের বাণীর মতো। তাই সবাই গ্রহণ করল অ্যারিস্টোটলের মত। পরবর্তী সময়ে খ্রিস্টধর্মেও সেই মতের প্রতিফলন দেখা যায়।


তবে ডেমোক্রিটাসকে সবাই কিন্তু উড়িয়ে দেননি। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকের দার্শনিক ছিলেন এপিকারুস। ছিলেন তিনি শিক্ষকও। এপিকারুস পরমাণুবাদকে গ্রহণ করেছিলেন পরম মমতায়। তাঁর পড়ানোর বিষয়গুলোতে যুক্ত করেন পরমাণুবাদ। পরমাণুবাদের ওপর ভিত্তি করে তিনি বেশ কিছু পাঠ্য বইও লেখেন।  খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে আবির্ভাব ঘটে লুক্রেটিয়াস নামে আরেক কবি ও দার্শনিকের। রোমান ছিলেন তিনি। তিনি এপিকারুস দর্শনে অনুপ্রাণিত হন। একটি দীর্ঘ কবিতায় এপিকারুসের পরমাণুবাদ তুলে ধরেন তিনি।


এরপর আবার পরমাণুবাদের অন্ধকার যুগের শুরু। খ্রিস্টধর্মের প্রভাব দিন দিন বাড়তে থাকে। সমাজে শক্তিশালী জায়গা করে নেয় অ্যারিস্টোটলের দর্শন। মধ্যযুগ। পোপ ও পাদ্রিদের ব্যাপক দাপট তখন। সেই দাপটের কাছে তুচ্ছ ইউরোপীয় সম্রাটরাও। তাইতো পোপ আর তার চ্যালারা বিজ্ঞান চর্চার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে পেরেছিল। মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল হাইপেশিয়া, ব্রুনোকে। গ্যালিলিওকে দেওয়া হয়েছিল কঠিন সাজা।


অ্যারিস্টোটল পরমাণু ধারণা মানতে পারেননি। ধর্মও সেটা মানবে কেন? খ্রিস্ট ধর্মে তাই পরমাণুর কথাও বলা পাপ। তখন লুক্রেটিয়াসের লেখা বইটিকে নাস্তিকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়। ধ্বংস করা হয় তাঁর বইয়ের সব কপি। একটা কপিই কেবল টিকে ছিল। ১৪১৭ সালে সেটা উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। তৈরি করা হয় সেটার প্রতিলিপিও।


সূত্র : ব্রিটানিকা



সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...