এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

২০২৪ রোজা শবই কদর

 ⭕ লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করার বিজোড় রাত সমূহঃ-


🔲 আরবী মাসের দিন শুরু হয় রাতের মাধ্যমে অর্থাৎ প্রথমে রাত আসে, এরপরে দিন। উদাহরণস্বরূপঃ- আগামীকাল যদি ২৫ তম রোজা হয়ে থাকে, তাহলে ২৫ তম রোজার রাতটি শুরু হবে আজকে মাগরিব থেকে। অর্থাৎ ২৪ তম রোজার দিন শেষ হয়ে যেই রাতটি আসবে সেই রাতটিই হচ্ছে ২৫ তম রোজার রাত।


🔸 ২১ তম রাত্রি - ৩১ শে মার্চ  - রবিবার [দিবাগত রাত]


🔹 ২৩ তম রাত্রি - ০২ ই এপ্রিল - মঙ্গলবার [দিবাগত রাত]


🔸 ২৫ তম রাত্রি - ০৪ ই এপ্রিল - বৃহঃবার [দিবাগত রাত]


🔹 ২৭ তম রাত্রি - ০৬ ই এপ্রিল - শনিবার [দিবাগত রাত]


🔸 ২৯ তম রাত্রি - ০৮ ই এপ্রিল - সোমবার [দিবাগত রাত]


⭕ দিবাগত রাত মানে হচ্ছে দিন শেষে যেই রাতটি আসে।


🔲 রাসূল সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় ক্বদরের রাত্রিতে জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে রাত্রি যাপন করবে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ্‌ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। [বুখারী- ৩৫]



মঙ্গল রোভার বা মার্স রোভার হল মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে ভ্রমণ করার জন্য নকশাকৃত একটি মোটর যান। স্থির ল্যান্ডারের তুলনায় রোভারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে

 মঙ্গল রোভার বা মার্স রোভার হল মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে ভ্রমণ করার জন্য নকশাকৃত একটি মোটর যান। স্থির ল্যান্ডারের তুলনায় রোভারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে: এগুলি আরও অধিক অঞ্চল পরীক্ষা করতে সক্ষম, আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যের দিকে পরিচালিত করা যেতে পারে, শীতের মাসগুলিতে আবহাওয়ার জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল অবস্থানে নিজেদের স্থাপন করতে পারে এবং কীভাবে খুব দূরবর্তী রোবোটিক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সে সম্পর্কে জ্ঞানকে এগিয়ে নিতে পারে। মার্স রিকনেসান্স অরবিটার-এর মত অরবিটাল মহাকাশযানের চেয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যন পরিবেশন করে। আরও সাম্প্রতিক পরিবর্ধন হল মঙ্গল গ্রহের হেলিকপ্টার।২০২১ সালের মে পর্যন্ত, ছয়টি রোবোটিকভাবে চালিত সফল মার্স রোভার রয়েছে; নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি দ্বারা পরিচালিত প্রথম পাঁচটি মার্কিনদের ছিল (মঙ্গল গ্রহে অবতরণের তারিখ অনুসারে): সোজারনার (১৯৯৭), স্পিরিট (২০০৪–২০১০), অপরচুনিটি (২০০৪–২০১৮), কিউরিওসিটি (২০১২–বর্তমান) ও পার্সিভিয়ারেন্স (২০২১–বর্তমান)। ষষ্ঠটি হল চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত চুরুং (২০২১–২০০২)।


নাসা ২০২৬ সালের ২৪শে জানুয়ারি জানিয়েছিল যে অপরচুনিটি ও কিউরিওসিটি দ্বারা মঙ্গল গ্রহের বর্তমান গবেষণায় অটোট্রফিক, কেমোট্রফিক বা কেমোলিথোঅটোট্রফিক অণুজীবের উপর ভিত্তি করে একটি বায়োস্ফিয়ার সহ প্রাচীন জীবনের প্রমাণ অনুসন্ধান করবে, সেইসঙ্গে ফ্লুভিও-লাকুস্ট্রিন পরিবেশ (প্রাচীন নদী বা হ্রদ সম্পর্কিত সমভূমি) সহ প্রাচীন জল অন্তর্ভুক্ত যা বাসযোগ্য হতে পারে। বাসযোগ্যতা, ট্যাফনমি (জীবাশ্ম সম্পর্কিত) ও মঙ্গলে জৈব কার্বনের প্রমাণ অনুসন্ধান করা এখন নাসার একটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য।


নাসার কিউরিওসিটি রোভার, নিজস্বী বা সেলফি, ২০১৫


উইকিপিডিয়া


ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি,,,,,

 ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি

বীজ বোনার আগে প্রথমে ২৪ ঘন্টা ভিজানো উচিত। গভীরভাবে চাষ করতে হলে মাটিকে চাষের জমি তৈরি করতে হবে, যা চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে তৈরি হয়। সারির দুরত্ব হবে ৩০ ইঞ্চি। বীজ সারিতে ১৮ ইঞ্চি দূরে দূরে ২-৩ টি বীজ বোনতে হবে, যা জাত অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে। চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে, যেমন, শীতকালে গাছ ছোট হয়ে যেতে পারে। গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে। বীজের পরিমান হলে: জাত ভেদে প্রতি ২০-২৫ কেজি প্রতি শতক।


  মাটি 

দো-আশ ও বেলে দো-আশ মাটি ঢেঁড়শ চাষের জন্য ভালো। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়।


জাত

শাউনি, পারবনি কানি, বারি ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানি, পেন্টা গ্রিন, কাবুলি ডোয়ার্ফ, জাপানি প্যাসিফিক গ্রিন চাষ উপযোগী জাত।


ঢেঁড়স চাষের উপযুক্ত সময়

ঢেঁড়শ সারা বছর চাষ করা যায়। তবে গ্রীষ্মকাল চাষের উপযুক্ত সময়। ফাল্গুন-চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।


ঢেঁড়স চাষে বীজ

প্রতি শতকে ২০ গ্রাম এবং প্রতি হেক্টরে ৪-৫ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।


বীজ বপণ পদ্ধতি

বীজ বপণের আগে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হয়। মাটি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৭৫ সেন্টিমিটার। বীজ সারিতে ৪৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে ২-৩টি করে বীজ বুনতে হয়। জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার কমানো-বাড়ানো যায়। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে দূরত্ব কমানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ চারা রেখে বাকি চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হয়।


সার ব্যবস্থাপনাঃ

প্রতি শতকে গোবর ৭৫ কেজি, সরিষার খৈল ১.৭৫ কেজি, ইউরিয়া ২৩০ গ্রাম, টিএসপি ৩৫০ গ্রাম, এমওপি ২৩০ গ্রাম।


 

সারের নাম


শতক প্রতি সার


কম্পোস্ট


৭৫ কেজি


ইউরিয়া


২৩০ গ্রাম


টিএসপি


৩৫০ গ্রাম


পটাশ


২৩০ গ্রাম


সার প্রয়োগ 

জমি তৈরির সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপণ করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান দু’ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং ২য় কিস্তিতে দিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।


ঢেঁড়স চাষ ও পরিচর্যা

মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী ১০-১২ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।


পোকামাকড়


ঢেঁড়শের ফল ছিদ্রকারী পোকাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এছাড়া জাব পোকা, সাদা মাছি, ছাতরা পোকা, লাল গান্ধি ইত্যাদিও ক্ষতি করে।


রোগবালাই

হলদে শিরা স্বচ্ছতা ঢেঁড়শের প্রধান ক্ষতিকর রোগ। এছাড়া মোজেইক ও পাতায় দাগ রোগও দেখা যায়।


সংগ্রহ

বীজ বপণের ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে এবং ফুল ফোটার ৩-৫ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। জাতভেদে ফল ৮-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়।


উপকারিতা

ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এটি মানুষের হজমশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে থাকে!





সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ০২-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ০২-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


তিন দিনই থাকছে ঈদের ছুটি - মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত - বিদ্যমান শর্ত  শিথিল করে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা-২০২৪’ এর খসড়ায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন।


দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে জোরালো ভূমিকা পালনের  আহ্বান রাষ্ট্রপতির।


ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে ছাত্র সংগঠনটি - মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের। 


রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ানের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান।


দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা - ভোটগ্রহণ আগামী ২১শে মে।


সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত। 


আজ ঢাকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল।

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ০১-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ০১-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এডিবির জোরালো সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।


তথ্য পাওয়া জনগণের অধিকার, তথ্য প্রাপ্তিতে হয়রানি বন্ধে তথ্য কমিশনকে আরো তৎপর হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির। 


দেশে এসেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চালান - ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে - জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। 


ডিজেল ও কেরেসিনের দাম কমিয়েছে সরকার, মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন দাম। 


ভুটানি ভাষায় অনূদিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ। 


বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতাকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা  জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 


গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে জেরুজালেমে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে  হাজার হাজার ইসরায়েলি।


চট্টগ্রাম টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করবে বাংলাদেশ।

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

গোসলের পদ্ধতি ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⭕ রোজারত অবস্থায় কিংবা রোজাবিহীন অবস্থায় হায়েজ [ঋতুস্রাব], নেফাজ [সন্তান জন্মদানের পর ৪০ দিন পর্যন্ত প্রবাহিত রক্ত], স্বপ্নদোষ এবং স্ত্রী সহবাস জনিত কারনে গোসল ফরজ হয়ে থাকলে কিভাবে ফরজ গোসল আদায় করতে হবে আসুন সেই বিষয়ে জেনে নেইঃ-


🔲 গোসলের ফরজ হচ্ছে ৩ টি। আর এই ৩ টি ফরজের মধ্যে যেকোনো ১ টি ফরজ বাদ পড়লে ফরজ গোসল আদায় হবে না। আর ফরজ গোসল আদায় না হলে নামাজ, আমল, ইবাদত কোনো কিছুই কবুল হবে না।


🔸 গোসলের ফরজ সমূহঃ-


১) একবার কুলি করা, 


২) একবার নাকে পানি দেওয়া,


৩) একবার সম্পূর্ণ শরীরে পানি পৌছে দেওয়া।


🔹 ফরজ গোসলের সুন্নত সমূহঃ-


১) তিনবার গড়গড়ার সাথে কুলি করা,


২) তিনবার নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো,


৩) সম্পূর্ণ শরীরে ভালোভাবে পানি পৌছে দিয়ে গোসল সম্পন্ন করা।


🔸 ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়ার সহিত কুলি করা এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো ফরজ নয় বরং সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। তাই উপরোক্ত নিয়মে গোসলের ফরজ এবং সুন্নত সমূহ আদায় করে গোসল করা হলে ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।


🔹 তবে রোজারত অবস্থায় ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়ার সহিত কুলি করা এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবে না। এতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে তিনবার কুলি করতে হবে, তিনবার (হালকাভাবে) নাকে পানি দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ শরীরে পানি পৌছে দিতে হবে। -[রুদ্দুল মুখতার- ১/২৮৪, বাদায়েউস সানায়া- ১/১১২]


⭕ ফরজ গোসল করার নিয়ম ও পদ্ধতিঃ-


🔸 সর্বপ্রথম উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেওয়া, অতঃপর লজ্জাস্থান ও লজ্জাস্থানে যা লেগে আছে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা। এরপর পরিপূর্ণভাবে অজু করা। তারপর মাথার উপর তিনবার পানি ঢালা এবং শরীরের বাকি অংশে পানি পৌছে দেওয়া। গোসল শেষে উভয় পা ধুয়ে নেওয়া। এটিই হচ্ছে পরিপূর্ণভাবে গোসল করার সুন্নত পদ্ধতি। -[ফাতাওয়ায়ে আরকানুল ইসলাম- ২৪৮]


🔹 ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য মাথার চুল এবং পুরুষদের জন্য দাড়ি ও মাথার চুল ভালোভাবে ভিজাতে হবে।


🔸 উপরোক্ত নিয়মে গোসল করা হলে যদি অজু ভঙ্গ হয়ে না থাকে, তাহলে আর নতুন করে অজু করার প্রয়োজন হবে না। এই অজু দিয়েই নামাজ আদায় করা যাবে।


⭕ রাসূল ﷺ বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অংশ, পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ, পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। আর তাই নামাজ, রোজা, আমল, ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাত কবুল হওয়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা জরুরী।


🔲 তাই এখন থেকে আপনারা সবাই উপরোক্ত নিয়মে ফরজ গোসল আদায় করে নামাজ, রোজা, আমল, ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাত করবেন ইন শা আল্লাহ 💞✅



চাল কুমড়া চাষ পদ্ধতি,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চাল কুমড়া চাষ পদ্ধতি


চালকুমড়ার ভালো ফলনের জন্য উঞ্চ, প্রচুর সূর্যালোক এবং নিম্ন আর্দ্রতা প্রয়োজন। চালকুমড়া চাষের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা হলো ২০-২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চাষকালীন সময়ে উচ্চ তাপমাত্রা ও লম্বা দিন হলে পুরুষ ফুলের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং স্ত্রী ফুলের সংখ্যা কমে যায় যার ফলে ফলন কমে যায়। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটি এর চাষাবাদের জন্য উত্তম তবে চরাঞ্চলে পলি মাটিতে চালকুমড়ার ভালো ফলন হয়। 


উন্নত জাতঃ 

কুমড়ার বাংলাদেশে কুমড়ার কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি চালকুমড়া-১ নামের জাতটি বাংলাদেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যায়। 

এছাড়াও রয়েছে

বারি চালকুমড়া-১, 

ইপসা চালকুমড়া-১, 

জুপিটার, হীরা ৪৫১ এফ-১, 

হাইব্রীড চালকুমড়া সুফলা-১, 

হাইব্রীড চালকুমড়া বাসন্তী-নিরালা, 

হাইব্রীড চালকুমড়া বিজয় (উফশী-বিজয়),

হাইব্রীড চালকুমড়া সোনালী এফ-১, 

হাইব্রীড চালকুমড়া মাধবী, হাইব্রীড চালকুমড়া ইউনিক, 

হাইব্রীড চালকুমড়া সুপারস্টার।


বপনের সময়ঃ ফেব্রু - মে (ফাল্গুন থেকে আশ্বিন)  উপযুক্ত সময় ।


চাষপদ্ধতি: 

চারাগুলো রোপনের আগের দিন বিকালে পানি দিয়ে মাটি ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। পরের দিন বিকালে চারা রোপন করতে হবে। মাদাগুলোর মাটি ভালোভাবে ওলট-পালট করে, এক কোপ দিয়ে চারা লাগানোর জন্য জায়গা করে নিতে হবে। চারার পলিব্যাগের ভাঁজ বরাবর ব্লেড দিয়ে কেটে পলিব্যাগ সরিয়ে মাটির দলাসহ চারাটি নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর গর্তে পানি দিতে হবে। পলিব্যাগ সরানোর সময় এবং চারা রোপনের সময় সাবধানে থাকতে হবে যাতে মাটির দলা ভেঙ্গে চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। নতুবা শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে ঢলে পড়া রোগের জীবানু ঢুকবে এবং শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ হলে গাছের বৃদ্ধি দেরীতে শুরু হবে।

বীজের পরিমানঃ  জাত ভেদে শতক প্রতি ২.৫ - ৩ গ্রাম।


সার ব্যবস্থাপনাঃ

শতক প্রতি সারের পরিমাণ 

কম্পোস্ট -৮০  কেজি

ইউরিয়া- ৮০০ গ্রাম

টিএসপি -৭০০ গ্রাম

পটাশ -৬০০ গ্রাম

জিপসী (জিপসাম)- ৪০০ গ্রাম

২০ কেজি গোবর, 

অর্ধেক টিএসপি ও ২০০ গ্রাম পটাশ, 

সমুদয় জিপসাম, দস্তা, বোরণ জমি তৈরির সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। 


অবশিষ্ট গোবর (মাদা প্রতি ৫ কেজি), 

টিএসপি (মাদা প্রতি ৩০ গ্রাম), 

২০০ গ্রাম পটাশ (মাদা প্রতি ২০ গ্রাম), 

সমুদয় ম্যাগনাম (ম্যাগনেসিয়াম) (মাদা প্রতি ৫ গ্রাম) 


চারা রোপণের ৭-১০ দিন পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার ২০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ২০০ গ্রাম পটাশ (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম), ৩০-৩৫ দিন পর ২য় বার, ৫০-৫৫ দিন পর ৩য় বার ২০০ গ্রাম করে ইউরিয়া (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম) প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ৭০-৭৫ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া (মাদা প্রতি ১৫ গ্রাম) প্রয়োগ করতে হবে।


মাদার গর্তে বীজ বপন:

প্রতি মাদায় সারিতে ৪-৫ টি বীজ বপন করতে হবে। ৫-৭ দিনের মধ্যেই বীজগুলো গজাবে। চারা গজানোর কয়েকদিন পর প্রতি মাদায় ২-৩ টি সবল গাছ রাখতে হবে।


সেচ:

জমিতে যখনই রসের অভাব হবে তখনই সেচ দিতে হবে। চালকুমড়ার লতা বেশ রসালো ও নরম। তাই মাটি শুকিয়ে গেলে গাছ ঝিমিয়ে পড়ে এবং কচি ফল ও কুঁড়ি ঝরে যায়। শুষ্ক মৌসুমে ৫-৬ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। প্রতিবার সেচের পর গাছের গোঁড়ার মাটি চটা বেঁধে গেলে চটা ভেঙে দিতে হবে। বৃষ্টির পর অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে।


আগাছা: 

জমি  নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন । সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র  নিড়িয়ে আগাছা  বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।চারা অবস্থা থেকে রসুন  গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।


পোকামাকড়ঃ

চাল কুমড়ার স্কোয়াশ বাগ পোকা - এগ্রোইমিডা (ইমিডাক্লোরোপ্রিড) জাতীয় কীটনাশক  ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার।


সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনে  পেরিথ্রিন ১০ ইসি (সাইপারমেথরিন জাতীয় বালাইনাশক ১০ মিলি/ ১০ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে সকালের পরে সাঁজের দিকে স্প্রে করুন। স্প্রের পুর্বে খাবারযোগ্য লতা ও ফল পেড়ে নিন। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সবজি বিষাক্ত থাকবে।


ফলের মাছি পোকা- পেরিথ্রিন ১০ ইসি (সাইপারমেথ্রিন) জাতীয় কীটনাশক ( ১০ মিলি প্রতি ১০লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


রেড পামকিন বিটল/ লাল বিটল- পেরিথ্রিন ১০ ইসি (সাইপারমেথ্রিন) জাতীয় কীটনাশক ১০ মিলিলিটার প্রতি ১০লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। 

ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


রোগবালাইঃ

লিফ কার্ল - জমিতে সাদা মাছি দেখা গেলে (বাহক পোকা এগ্রোইমিডা ২০ এস এল  ( ইমিডাক্লোরোপ্রিড) জাতীয়  কীটনাশক  ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে।

গামি স্টেম ব্লাইট রোগ- ম্যাকক্্রগোল্ড 72 ডব্লিউপি ( ম্যানকোজেব 64 + মেটালক্সিল 4) জাতীয় ছত্রাকনাশক  ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম  মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে যেতে পারে।

ডাঊনি মিলডিউ রোগ- ম্যাকক্্রগোল্ড 72 ডব্লিউপি ( ম্যানকোজেব 64 + মেটালক্সিল 4) জাতীয় ছত্রাকনাশক ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম  মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে যেতে পারে।


ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ১১০ – ১৩০ কেজি।

-ধন্যবাদ


লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করার বিজোড় রাত সমূহঃ-

 ⭕ লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করার বিজোড় রাত সমূহঃ-


🔲 আরবী মাসের দিন শুরু হয় রাতের মাধ্যমে অর্থাৎ প্রথমে রাত আসে, এরপরে দিন। উদাহরণস্বরূপঃ- আগামীকাল যদি ২৫ তম রোজা হয়ে থাকে, তাহলে ২৫ তম রোজার রাতটি শুরু হবে আজকে মাগরিব থেকে। অর্থাৎ ২৪ তম রোজার দিন শেষ হয়ে যেই রাতটি আসবে সেই রাতটিই হচ্ছে ২৫ তম রোজার রাত।


🔸 ২১ তম রাত্রি - ৩১ শে মার্চ  - রবিবার [দিবাগত রাত]


🔹 ২৩ তম রাত্রি - ০২ ই এপ্রিল - মঙ্গলবার [দিবাগত রাত]


🔸 ২৫ তম রাত্রি - ০৪ ই এপ্রিল - বৃহঃবার [দিবাগত রাত]


🔹 ২৭ তম রাত্রি - ০৬ ই এপ্রিল - শনিবার [দিবাগত রাত]


🔸 ২৯ তম রাত্রি - ০৮ ই এপ্রিল - সোমবার [দিবাগত রাত]


⭕ দিবাগত রাত মানে হচ্ছে দিন শেষে যেই রাতটি আসে।


🔲 রাসূল সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় ক্বদরের রাত্রিতে জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে রাত্রি যাপন করবে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ্‌ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। [বুখারী- ৩৫]


🔰 আয়িশাহ (র.) বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যদি ক্বদরের রাত পেয়ে যাই তাহলে আমি কোন দু'আটি পাঠ করবো.? তখন রাসূল (স.) বললেন, তুমি পাঠ করবে-


« اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي »


উচ্চারণঃ- “আল্ল-হুম্মা ইন্নাকা 'আফু'উন কারীম, তুহি্ব্বুল 'আফওয়া ফা'ফু 'আন্নী”


অর্থঃ- “হে আল্লাহ, আপনি পরম ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন।” 

[তিরমিযী- ৩৬১৩, ইবনে মাজাহ- ৩৮৫০]


⭕ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি দোয়া, দোয়াটি ক্বদরের রাত ব্যতীত অন্য যেকোনো সময়ই ইস্তিগফার হিসেবে পাঠ করা যাবে। তাই আমাদের যাদের দোয়াটি মুখস্থ নেই, তারা এখুনি দোয়াটি মুখস্থ করে নিবো ইনশা আল্লাহ.. 💝✅

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম সুলতানা রাজিয়া।,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া ৭77

 ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম সুলতানা রাজিয়া। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে তার ছিল সুখ্যাতি। সুলতানা রাজিয়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১২০৫ সালে। দৃপ্ত কঠিন ক্ষণজন্মা এই নারীর জীবন প্রদীপ নিভে গিয়েছিল ১২৪০ সালে। রাজকার্য পরিচালনার জন্য নামের আগে সুলতানা না হয়ে সুলতান হওয়াই হয়তো যুক্তিযুক্ত ছিল। সুলতানা রাজিয়ার বাবা শামস-উদ-দীন ইলতুিমশ ছিলেন দিল্লির সুলতান। ১২১০ সাল থেকে ১২৩৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে ইলতুিমশ নিজেও একজন দক্ষ শাসকের খ্যাতি অর্জন করেন। বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্ষোভ, বিদ্রোহ দমন করা ছিল তার কাজ। মৃত্যুর আগে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনয়নের বিষয়ে সুলতান ইলতুিমশ চিন্তায় পড়ে যান। কারণ ইতিমধ্যে তার বড় ছেলে নাসিরুদ্দিন মাহমুদ মারা গেছেন। সুলতান নিজ সন্তানদের মধ্যে নাসিরুদ্দিনের ওপর বেশি ভরসা করতেন। বাকি যে দুই ছেলে আছেন তাদের কেউই সিংহাসনে বসার যোগ্য ছিলেন না। এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়ে গেলেন সুলতান। এরই মধ্যে তার জ্যেষ্ঠ মেয়ে রাজিয়া বেশ বুদ্ধিমতী, চৌকস, প্রজাপ্রীতি ও যুদ্ধকৌশল শিখে গেছেন। তখন রাজ্য চালানোর দায়িত্ব মেয়ে সুলতানার ওপর দিয়ে নির্ভার হন।


ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর নারীবিদ্বেষী আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার বিরোধিতা শুরু করেন। তাদের যুক্তি হলো, ইলতুৎমিশের পুত্র থাকার কারণে কন্যা উত্তরাধিকারী হতে পারে না। উত্তরাধিকারসূত্রে জেষ্ঠ্য পুত্র সিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু সুলতান ইলতুৎমিশ উইলে রাজিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করায় তার ভাইয়েরা কোন আপত্তি করতে পারেননি। কিন্তু নারী শাসনের বিরোধী আমির-ওমরাহগণ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। ফলে রাজিয়া তার অধিকার ছেড়ে দেন। তার সৎভাই রুকুনুদ্দিনকে সুলতান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। রুকুনুদ্দিন রাজকার্যে অবহেলা করে বিলাসিতায় দিন যাপন করতে থাকেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়াকে সুলতানা হিসেবে মেনে নিতে রাজি হলেন। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে রুকুনুদ্দিনের মা রাজিয়াকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। এই ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর সভাসদেরা রাজিয়া সুলতানার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন।

১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়া সুলতানা সিংহাসনে বসেন। রাজিয়া একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ শাসক ছিলেন। তার সময়ে দাসবংশের শাসনকাল খুব সুদৃঢ় হয় এবং রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে। তার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি সাধিত হয়। তিনি যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেন। রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ লাগানো হয় এবং পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য কুয়ো খনন করা হয়। তিনি সাহিত্যিক, শিল্পী ও কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তার শাসনামলে সঙ্গীত ও চিত্রকলারও প্রভূত বিকাশ সাধিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন এবং নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি কবি ছিলেন এবং কুরআন পাঠ করতে পারতেন।

রাজিয়া সুলতানা অন্তঃপুরিকা ছিলেন না। তিনি প্রকাশ্য দরবারে রাজকীয় পোশাক পরিধান করে সিংহাসনে আরোহন করতেন। তিনি কোন ঘোমটা ব্যবহার করতেন না। পুরুষের বেশে তিনি আলখাল্লা এবং পাগড়ি পরে জনসম্মুখে আসতেন। তিনি সভাসদ, আমির-ওমরাহদের রাজ্য শাসন প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে আইন বা নির্দেশ জারি করতেন। তিনি দক্ষ অশ্বারোহী ছিলেন এবং বর্ম ও শিরস্ত্রাণ পরে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। দুর্ভাগ্যবশত রাজিয়া সুলতানার খোলামেলা রাজকীয় আচার-আচরণ রক্ষণশীল আমিরগণ মোটেই পছন্দ করতেন না। তিনি খুবই উদার ও জনদরদি শাসক ছিলেন। তিনি হিন্দুদের ওপর অর্পিত বর্ধিত কর বিলোপ করেন; কিন্তু তার এই পদক্ষেপ অনেক আমির মোটেও পছন্দ করেননি।

রাজিয়া সুলতানা জামালুদ্দিন ইয়াকুত নামের অতুর্কি বংশোদ্ভুত এক ব্যক্তিকে পছন্দ করতেন এবং তাকে আস্তাবলের প্রধান নিযুক্ত করেন। এই পদটি তুর্কি বংশোদ্ভূত কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, জামালুদ্দিনের প্রতি রাজিয়ার এমন দুর্বলতা ছিল যে, তিনি শাসনকার্য পরিচালনায় কেবলই তার পরামর্শ গ্রহণ করতেন। অনেকে তাকে রাজিয়া সুলতানার প্রেমিক বলে অভিহিত করেন। জামালুদ্দিন ইয়াকুতের প্রতি মাত্রাধিক দুর্বলতা ও তাকে অধিক সুযোগ-সুবিধা দানের জন্য আলতুনিয়া নামের একজন গভর্নর রাজিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেন। জামালুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে রাজিয়া সুলতানা অশ্বপৃষ্ঠে চেপে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু বিদ্রোহী দলে অধিকসংখ্যক সৈন্য জামালুদ্দিন ও রাজিয়া পরাজিত হন। জামালুদ্দিন যুদ্ধে নিহত হন এবং রাজিয়া আলতুনির হাতে বন্ধি হন। দিল্লিতে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার এই বিপর্যয়ের সংবাদ পেয়ে তার সৎভাইকে সুলতান হিসেবে ঘোষণা দেন। এদিকে বন্ধি অবস্থায় রাজিয়া আলতুনিয়াকে বিয়ে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১২৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিজের এবং আলতুনিয়ার সৈন্যবাহিনীসহ রাজকীয় বাহিনী দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেন। কিন্তু দিল্লির উপকণ্ঠে নতুন সুলতানের বাহিনীর সঙ্গে আলতুনিয়া ও রাজিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে রাজিয়া পরাজিত ও নিহত হন। এজন্য রাজিয়াকে বীর রানী বলা যায়। দিল্লির উপকণ্ঠে একটি সমাধি নির্মাণ করে সুলতানা রাজিয়াকে সমাহিত করা হয়।


১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর রাজিয়া ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসতো না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন। ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে অবশ্যই তিনি নিজেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেতো না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাদের মধ্যে অন্যতম, যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশাহ আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তার নামটি নক্ষত্রের মতই জ্বলজ্বল করছে।


শাসক হিসেবে কেমন ছিলেন রাজিয়া? এ প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, তিনি একাধারে একজন দক্ষ প্রশাসক আর সেনাপতি হিসেবে নিজের গুরুত্ব তুলে ধরতে পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মেধাবী, বুদ্ধিমতী, রূপবতী এবং পরিশ্রমী। পিতা ইলতুৎমিশ যখন যুদ্ধের জন্য রাজধানী ত্যাগ করতেন, তখন মূলত রাজ্য পরিচালনা করতেন তার কন্যা এই রাজিয়াই। সত্যিকার অর্থে রাজপরিবারে সেই সময় রাজিয়ার চেয়ে যোগ্য আর দক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রেও নিজের সাহসিকতা প্রদর্শন করতে পেরেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হাতির পিঠে চড়ে একেবারে সামনে থেকে তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতেন।


তার মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা রয়েছে। একটি পক্ষ দাবি করেছেন, ১২৪০ পলায়নকালে তার একজন ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে। এই ভৃত্যই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।


আরেকটি পক্ষ দাবি করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাজিয়া এক কৃষকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি ঘুমালে কৃষক তার শরীরে


রাজকীয় পোশাক দেখতে পায়। পোষাকে প্রচুর রত্ন লাগানো ছিলো। কৃষক সহজেই বুঝে যায় তাঁর সামনে ঘুমিয়ে থাকা নারী সাধারণ কেউ নন। কৃষকটি ধন-সম্পদের লোভে পড়ে ঘুমন্ত রাজিয়াকে হত্যা করে এবং রত্ন নিয়ে পালিয়ে যায়।


সৌজন্যে – ইতিহাসের পাতা


হাইওয়ে পুলিশের কথা ২০২৪ ঈদ উপলক্ষে

 যারা ঈদে বাড়ি ফিরবেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। সম্প্রতি একটা কেমিক্যাল এর ব্যবহার তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে কিছু অসৎ মানুষের হাতে পড়েছে। কেমিক্যাল টার নাম হচ্ছে স্কোপোলামিন। এটা সাধারণত সাড়ে তিন ফিট দূর থেকেও বাতাসের মাধ্যমে একজন মানুষকে আসক্ত করতে পারে। এই কেমিক্যালটা আমাদের ন্যাসাল রুটের মাধ্যমে যখন ভেতরে প্রবেশ করে তখন মানুষের মস্তিষ্কের প্রাইমারি ইনিশিয়াল স্টেজ অফ থিংকিং সহজ বাংলায় বললে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যে কারণে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সামনে থাকা মানুষের নাচের পুতুলে পরিণত হয়। তখন আপনাকে ওই লোক যা কমান্ড দেবে আপনি সেটাই করবেন। এটা থেকে বাঁচতে আমি কিছু বিষয়ের কথা বলছি এগুলো মাথায় রাখবেন।


১. অপরিচিত কারো থেকে কোন কিছু খাবেন না সে যত ভালই মনে হোক না কেন।


২. সব সময় মাস্ক পরবেন।


৩. আপনার মুখের সামনে অপরিচিত কোন লোকের হাত আনতে দিবেন না হাতটা আপাত দৃষ্টিতে খালি মনে হলেও।


৪. যেন তারা লোকের কাছ থেকে মাস্ক কিনবেন না।


৫. একা যাত্রী হয়ে কোন গাড়িতে উঠবেন না।


৬. সিটে অথবা সিটের আশেপাশে পড়ে থাকা পানি কখনোই চোখে মুখে দিবেন না।


৭. অপরিচিত কোন লোক আপনার এড্রেস জানার জন্য কোন কাগজ হাতে দিতে চাইলে সেটা ধরবেন না।


৮. কোন কাগজ ঠিকানা দেখার বাহানা করে আপনার চোখের সামনে আনতে দেবেন না।


৯. গাড়ির ভেতরে কেউ আপনাকে মুখ দিয়ে বাতাস করার সাথে সাথে চিৎকার করে উঠবেন। আশেপাশে থাকা সবাইকে অবহিত করবেন যে আমি যদি অজ্ঞান হয়ে যাই তার জন্য আমার এই পাশে বসা লোক দায়ী।


১০. দেখতে একেবারে হুজুর, দেখে মনে হবে মৃত্যুর পরে ১০ হাজার ফেরেশতা ওনাকে গার্ডও বনা দেবে এরকম কোন লোক ইফতারের সময় ইফতার অথবা খেজুর দিলে খাবেন না। অনেক সময় মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য ছোলা এবং মুড়ির ভেতরে কোন কিছু দেওয়া থাকে না। সেটা আগে নিজেরা খেয়ে মানুষকে বিশ্বাস অর্জন করে ওটার মাঝখান দিয়ে হয়তো খেজুর অথবা পানির ভেতরে কিছু দিয়ে দিতে পারে।


১১. গাড়ির ভেতরে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না মনে রাখবেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আপনাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে তার চাইতে ভালো গাড়ির ভেতরে বন্ধুত্ব নাই হোক।

১২. মাস্ক বিষয়ে সতর্ক হবেন অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করবেন


১৩. আমার মোবাইলে ঘড়ির টাইমটা একটু ঠিক করে দেন এ কথা বলে হাতে কোন মোবাইল দিতে চাইলে সেটা নিবেন না। কারন স্কোপোলামিন আপনার হাতে লাগলে আপনি মনের অজান্তেই কখনো মুখের কাছে নেবেন এটা একটা স্বাভাবিক। আর ওটার জন্যই ফাঁদ পেতে ওয়েট করবে ওই লোক।



জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...