এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

প্রাচীন অনুরাধাপুরা (সিংহল বা অধুনা শ্রীলংকা) নামক রাজ্য শাসন করত ধাতুসেনা নামের এক রাজা,,,,শ

 প্রাচীন অনুরাধাপুরা (সিংহল বা অধুনা শ্রীলংকা) নামক রাজ্য শাসন করত ধাতুসেনা নামের এক রাজা। তাঁর ছিল তিন সন্তান। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলের নাম ক্যশপ, ছোট ছেলের নাম মোজ্ঞালানা। 


বয়সের বিচারে ক্যশপ সিংহাসনের দাবীদার হলেও, রাজ হারেমের রক্ষিতার গর্ভে জন্ম হয়েছিল বলে তাঁকে স্বীকৃতি না দিয়ে রাজ মাতার গর্ভে জন্মে নেয়া ছোট ছেলে মোজ্ঞালানাকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষনা করে ধাতুসেনা। অন্যদিকে ক্যশপকে রাজ কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ক্যশপকে ছোটবেলা থেকে এভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। সে খুশি খুশি রাজার আদেশে রাজসভার কাজ দেখভাল করতে লাগল। সমস্যা শুরু হল ধাতুসেনা যখন তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক করল।


আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগের কথা। মহা ধুমধাম করে সিংহলে মৌর্য্য বংশের স্থপতি মহান রাজা ধাতুসেনার একমাত্র কন্যার বিয়ে হয় তাঁরই আপন বোনের ছেলে মিগারার সাথে। যে ছিল অনুরাধাপুরা রাজ্যের সেনাবাহিনীর বীর জেনারেল, এক দুর্ধষ ক্ষত্রিয়। ধাতুসেনা তাঁর মেয়েকে অন্ধের মত ভালোবাসত। মেয়ের বিয়ের পর তাঁর শাশুড়ির সাথে কোন এক বিষয় নিয়ে একদিন ঝগড়া লাগল। রাজকন্যা এসে তার বাবার কাছে বিচার দিলে ধাতুসেনা তাঁর বোন ও মেয়ের শাশুড়িকে দরবারে তলব করে। ভালো মন্দ কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে ধাতুসেনা তার বোনের শিরচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে দেয়। ভরা মজলিসে তার জামাতা মিগারার চোখের সামনে রাজার হুকুম তামিল করা হয়।


মিগারার মনে তখন প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে। রাগের মাথায় উলটা পালটা কিছু না করে ধূর্ত মিগারা রাজনীতির মাধ্যমে রাজাকে ঘায়েল করার সিদ্ধান্ত নিল। এরপর শুরু হল তাঁর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, গেইম অফ থ্রোনস।


কিছুদিনের মধ্যেই মিগারা রক্ষিতা পুত্র ক্যশপের সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলল। মদ পান করিয়ে ক্যশপের মাথায় রাজ জামাতা সিংহাসনের ভুত ঢুকিয়ে দিল। ‘তুমিই যোগ্য, তুমিই রাজা, সিংহাসন তোমার অধিকার’- দুলাভাইয়ের এমন এহেন কানপড়া তথা মোটিভেশনাল স্পিচ শুনে ক্যশপ তাঁর পিতাকে একদিন রাজবাগানে জ্যান্ত পুঁতে হত্যা করে রাজ সিংহাসন দখন করে নেয়। প্রাণের ভয়ে ছোট ভাই মোজ্ঞালানা ভারতে পালিয়ে যায়।


অন্যায়ভাবে পিতাকে হত্যা করে রাজ্য দখল করার পর ক্যশপের মনে ভয় ঢুকে গেল। প্রতি রাতে তাঁর পিতার ভুত দেখতে লাগল। সেই সাথে সে আতঙ্কিত থাকত যে এই বুঝি তার ছোটভাই ভারতীয় তামিল বা পান্ডবদের নিয়ে হামলা করতে আসছে। নিজেকে আরও সুরক্ষিত করতে সে তার রাজ প্রাসাদ নতুন করে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ জারি করল। রাজ্যের সব প্রতিভাবান স্থপতি, শিল্পী ও রাজ করিগরদের সন্নিবেশ ঘটানো হল। প্রাচীন জ্ঞান বিজ্ঞান প্রজ্ঞা কলা কৌশলের এক অভুতপূর্ব ক্যামেস্ট্রির পর তৈরি হল, ‘সিগিরিয়া’- প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন, একটা ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল! বর্তমানে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।


হাজার ফুট উঁচু বিশালকায় এক পাথর কেউ যেন সমতলে বসিয়ে দিয়েছে। এই পাথরের উপরেই তৈরি করা হয়েছিল রাজা ক্যশপের নতুন প্রাসাদ ও দুর্গ, সিগিরিয়া বাংলা করলে এর অর্থ দাঁড়ায় সিংহ পাথর। বিশালকায় এই পাথরকে ঘিরে বানানো হয়েছিল বিশাল সব পরিখা। পরিখা পেড়িয়ে পৌঁছানো যেত পাথরের গোড়ায়। এরপর কারিগরেরা পাথর খোদাই করে বানিয়েছে একের পর এক সিঁড়ি। হাজার ফিট সিঁড়ির পর বানানো হয়েছিল বিশালকায় এক সিংহ তোড়ন। সেই তোরণের নিচের অংশ সিংহের পাঞ্জা দুটি আজও টিকে আছে। এরপর রাজ পরিবারদের জন্য মনোরম প্রাসাদ, প্রমোদের জন্য উদ্যান, ফল ফলাদির বাগান, আয়নার মত চকচকে পাথরের দেয়াল, দেয়ালে দেয়ালে আঁকা অনিন্দ্য সুন্দর অপ্সরাদের পেইন্টিং...


ভাবতে যতটা সহজ, আদতে কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন ছিল। পাথরের পাহাড়ের উপর পানির ব্যবস্থা কি হবে? পানির ব্যবস্থা ছাড়া দুর্গের তো প্রশ্নই উঠে না। প্রাচীন স্থপতিরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরী করল সারফেস/ সাব সারসেফ হাইড্রলিক সিস্টেম। রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ও হারনেসের জন্য বানানো হল একুয়াডাক্ট ও একুইফার। পুরো দুই হ্যাক্টর পাথর জুড়ে বানানো হল ওয়াটার চ্যানেল, কাটা হল বিশালকায় পুকুর ও অনিন্দ্য সুন্দর ফোয়ারা। পানির চ্যানেলগুলো ঘিরে বানানো হল গুচ্ছ বন ও উদ্যান। এ ইডেন অন দ্যা রক।


রাজা কশ্যপ খুব বেশিদিন তাঁর এই ইনভিন্সিবল ফোর্ট্রেস ভোগ করতে পারেনি। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে পালিয়ে যাওয়া মোজ্ঞালানা তাঁর পিতৃভূমি অনুরাধাপুরায় ফিরে আসে ও সৎ ভাই ক্যশপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে বসে। পুরাণে পাওয়া যায়, সম্মুখ যুদ্ধে এডভান্টেজ নেয়ার জন্য হাতির উপর বসে থাকা রাজা ক্যশপ একটু ঘুরে আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রাজার হাতি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হঠাৎ বামে চলে যাচ্ছে দেখে কশ্যপের সৈন্য বাহিনী ভেবে বসে রাজা বোধ হয় যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছে। এহেন ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে পুরো সৈন্য বাহিনী রাজাকে রেখে আত্মসমার্পন করে বসে। রাগে দুঃখে ক্ষোভে রাজা ক্যশপ ছুড়ি বের করে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করে। মোজ্ঞালানা সিংহাসনে বসে অনুরাধাপুরার রাজধানী আবার আগের জায়গায় নিয়ে যান ও সিগিরিয়াকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আশ্রমে পরিণত করেন।


এরপর ধীরে ধীরে একসময় সিগিরিয়া পরিত্যক্ত নগরী হয়ে যায়। বিশালকায় বন পুরো অঞ্চল ঢেকে ফেলে। লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যায় প্রাচীন এই নগরী। এর বহু বছর পর ১৮৩১ সালে ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার জোনাথান ফোর্বস খুঁজে বের করেন শ্রীলঙ্কার এই অষ্টম আশ্চর্য। সে এক ভিন্ন গল্প।





সুলতানা রাজিয়া ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম সুলতানা রাজিয়া। তিনি ছিলেন ভারত বর্ষের প্রথম নারী শাসক। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে তার ছিল সুখ্যাতি। 


সুলতানা রাজিয়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১২০৫ সালে। দৃপ্ত কঠিন ক্ষণজন্মা এই নারীর জীবন প্রদীপ নিভে গিয়েছিল ১২৪০ সালে। রাজকার্য পরিচালনার জন্য নামের আগে সুলতানা না হয়ে সুলতান হওয়াই হয়তো যুক্তিযুক্ত ছিল। 


সুলতানা রাজিয়ার বাবা শামস-উদ-দীন ইলতুিমশ ছিলেন দিল্লির সুলতান। ১২১০ সাল থেকে ১২৩৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে ইলতুিমশ নিজেও একজন দক্ষ শাসকের খ্যাতি অর্জন করেন। বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্ষোভ, বিদ্রোহ দমন করা ছিল তার কাজ। মৃত্যুর আগে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনয়নের বিষয়ে সুলতান ইলতুিমশ চিন্তায় পড়ে যান। কারণ ইতিমধ্যে তার বড় ছেলে নাসিরুদ্দিন মাহমুদ মারা গেছেন। সুলতান নিজ সন্তানদের মধ্যে নাসিরুদ্দিনের ওপর বেশি ভরসা করতেন। বাকি যে দুই ছেলে আছেন তাদের কেউই সিংহাসনে বসার যোগ্য ছিলেন না। এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়ে গেলেন সুলতান। এরই মধ্যে তার জ্যেষ্ঠ মেয়ে রাজিয়া বেশ বুদ্ধিমতী, চৌকস, প্রজাপ্রীতি ও যুদ্ধকৌশল শিখে গেছেন। তখন রাজ্য চালানোর দায়িত্ব মেয়ে সুলতানার ওপর দিয়ে নির্ভরশীল হন।


ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর নারীবিদ্বেষী আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার বিরোধিতা শুরু করেন। তাদের যুক্তি হলো, ইলতুৎমিশের পুত্র থাকার কারণে কন্যা উত্তরাধিকারী হতে পারে না।


 উত্তরাধিকারসূত্রে জেষ্ঠ্য পুত্র সিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু সুলতান ইলতুৎমিশ উইলে রাজিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করায় তার ভাইয়েরা কোন আপত্তি করতে পারেননি। কিন্তু নারী শাসনের বিরোধী আমির-ওমরাহগণ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। ফলে রাজিয়া তার অধিকার ছেড়ে দেন। তার সৎভাই রুকুনুদ্দিনকে সুলতান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 


রুকুনুদ্দিন রাজকার্যে অবহেলা করে বিলাসিতায় দিন যাপন করতে থাকেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়াকে সুলতানা হিসেবে মেনে নিতে রাজি হলেন। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে রুকুনুদ্দিনের মা রাজিয়াকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। এই ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর সভাসদেরা রাজিয়া সুলতানার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন।


১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়া সুলতানা সিংহাসনে বসেন। রাজিয়া একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ শাসক ছিলেন। তার সময়ে দাসবংশের শাসনকাল খুব সুদৃঢ় হয় এবং রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে। তার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি সাধিত হয়। তিনি যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেন। রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ লাগানো হয় এবং পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য কুয়ো খনন করা হয়। তিনি সাহিত্যিক, শিল্পী ও কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তার শাসনামলে সঙ্গীত ও চিত্রকলারও প্রভূত বিকাশ সাধিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন এবং নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি কবি ছিলেন এবং কুরআন পাঠ করতে পারতেন।


রাজিয়া সুলতানা অন্তঃপুরিকা ছিলেন না। তিনি প্রকাশ্য দরবারে রাজকীয় পোশাক পরিধান করে সিংহাসনে আরোহন করতেন। তিনি কোন ঘোমটা ব্যবহার করতেন না। পুরুষের বেশে তিনি আলখাল্লা এবং পাগড়ি পরে জনসম্মুখে আসতেন। তিনি সভাসদ, আমির-ওমরাহদের রাজ্য শাসন প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে আইন বা নির্দেশ জারি করতেন। 


তিনি দক্ষ অশ্বারোহী ছিলেন এবং বর্ম ও শিরস্ত্রাণ পরে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। দুর্ভাগ্যবশত রাজিয়া সুলতানার খোলামেলা রাজকীয় আচার-আচরণ রক্ষণশীল আমিরগণ মোটেই পছন্দ করতেন না। তিনি খুবই উদার ও জনদরদি শাসক ছিলেন। তিনি হিন্দুদের ওপর অর্পিত বর্ধিত কর বিলোপ করেন; কিন্তু তার এই পদক্ষেপ অনেক আমির মোটেও পছন্দ করেননি।


রাজিয়া সুলতানা জামালুদ্দিন ইয়াকুত নামের অতুর্কি বংশোদ্ভুত এক ব্যক্তিকে পছন্দ করতেন এবং তাকে আস্তাবলের প্রধান নিযুক্ত করেন। এই পদটি তুর্কি বংশোদ্ভূত কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ছিল। 


ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, জামালুদ্দিনের প্রতি রাজিয়ার এমন দুর্বলতা ছিল যে, তিনি শাসনকার্য পরিচালনায় কেবলই তার পরামর্শ গ্রহণ করতেন। অনেকে তাকে রাজিয়া সুলতানার প্রেমিক বলে অভিহিত করেন। 


জামালুদ্দিন ইয়াকুতের প্রতি মাত্রাধিক দুর্বলতা ও তাকে অধিক সুযোগ-সুবিধা দানের জন্য আলতুনিয়া নামের একজন গভর্নর রাজিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেন। জামালুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে রাজিয়া সুলতানা অশ্বপৃষ্ঠে চেপে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু বিদ্রোহী দলে অধিকসংখ্যক সৈন্য জামালুদ্দিন ও রাজিয়া পরাজিত হন।


জামালুদ্দিন যুদ্ধে নিহত হন এবং রাজিয়া আলতুনির হাতে বন্ধি হন। দিল্লিতে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার এই বিপর্যয়ের সংবাদ পেয়ে তার সৎভাইকে সুলতান হিসেবে ঘোষণা দেন। এদিকে বন্ধি অবস্থায় রাজিয়া আলতুনিয়াকে বিয়ে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 


১২৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিজের এবং আলতুনিয়ার সৈন্যবাহিনীসহ রাজকীয় বাহিনী দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেন। কিন্তু দিল্লির উপকণ্ঠে নতুন সুলতানের বাহিনীর সঙ্গে আলতুনিয়া ও রাজিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে রাজিয়া পরাজিত ও নিহত হন। এজন্য রাজিয়াকে বীর রানী বলা যায়। দিল্লির উপকণ্ঠে একটি সমাধি নির্মাণ করে সুলতানা রাজিয়াকে সমাহিত করা হয়।


১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর রাজিয়া ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। 


ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসতো না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন। 


ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে অবশ্যই তিনি নিজেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেতো না। 


ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাদের মধ্যে অন্যতম। যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশাহ আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তার নামটি নক্ষত্রের মতই জ্বলজ্বল করছে।


শাসক হিসেবে কেমন ছিলেন রাজিয়া? এ প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, তিনি একাধারে একজন দক্ষ প্রশাসক আর সেনাপতি হিসেবে নিজের গুরুত্ব তুলে ধরতে পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মেধাবী, বুদ্ধিমতী, রূপবতী এবং পরিশ্রমী। 


পিতা ইলতুৎমিশ যখন যুদ্ধের জন্য রাজধানী ত্যাগ করতেন, তখন মূলত রাজ্য পরিচালনা করতেন তার কন্যা এই রাজিয়াই। সত্যিকার অর্থে রাজপরিবারে সেই সময় রাজিয়ার চেয়ে যোগ্য আর দক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রেও নিজের সাহসিকতা প্রদর্শন করতে পেরেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হাতির পিঠে চড়ে একেবারে সামনে থেকে তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতেন।


তার মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা রয়েছে। একটি পক্ষ দাবি করেছেন, ১২৪০ পলায়নকালে তার একজন ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে। এই ভৃত্যই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।


আরেকটি পক্ষ দাবি করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাজিয়া এক কৃষকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি ঘুমালে কৃষক তার শরীরে রাজকীয় পোশাক দেখতে পায়। পোষাকে প্রচুর রত্ন লাগানো ছিলো। কৃষক সহজেই বুঝে যায় তাঁর সামনে ঘুমিয়ে থাকা নারী সাধারণ কেউ নন। কৃষকটি ধন-সম্পদের লোভে পড়ে ঘুমন্ত রাজিয়াকে হত্যা করে এবং রত্ন নিয়ে পালিয়ে যায়।


সৌজন্যে: – ইতিহাসের পাতা।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ০৬-০৪-২০২৪ ।,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ০৬-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


আজ পবিত্র শবে কদর - দেশবাসী ও মুসলিম উম্মার প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক মোবারকবাদ।


শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় জমে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ঈদের বাজার। 


ঈদ সামনে রেখে নাড়ির টানে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ - কোনো ভোগান্তি না থাকায় খুশি যাত্রীরা।


পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে - জানালেন ওবায়দুল কাদের - সন্ত্রাস দমনে পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে র‌্যাব ।


ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাশ।


 বিপিএল ফুটবলে আজ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র-মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব-বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের মোকাবেলা করবে।

ঢাকা থেকে বিলুপ্ত/ প্রায় বিলুপ্ত কিছু আদি পেশা। (ষষ্ঠ পর্ব),,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ঢাকা থেকে বিলুপ্ত/ প্রায় বিলুপ্ত কিছু আদি পেশা।

(ষষ্ঠ পর্ব)


সারপোষ কারিগর:

ঢাকায় বিশেষ প্রক্রিয়ায় পান, তামাক ও হুক্কা তৈরি হতো। হুক্কা অনেকের ঘরেই থাকতো, থাকতো পানের দোকানেও। বড়লোকেরা ব্যবহার করতেন স্ফটিক বা বিদরী হুক্কা, আর গরিবেরা তামা থেকে শুরু করে মাটির হুক্কা। চিলিমের আগুন ঢাকবার ধাতব পদার্থের তৈরি নকশা করা ছিদ্র বিশিষ্ট ঢাকনাকে বলা হতো সারপোষ। তিন রকমের সারপোষ ছিল। যেমন- তন্দুরি, ডিমের আকার এবং কাবায়ি। কাবায়ি এর একটি বিশেষ গুণ ছিল। তাওয়ার উপর রাখলে তার রং পরিবর্তিত হতো। উনিশ শতকের শেষের দিকে ঢাকায় মাত্র একজন কারিগর অবশিষ্ট ছিলেন বলে জানা যায়। তাকে ডাকতে হতো মহারানী পুত্র বলে, তা না হলে তিনি সাড়া দিতেন না। 


সিয়াহিওয়ালা:

ঢাকায় যারা লেখার কালি তৈরি করতেন এদের বলা হতো সিয়াহিওয়ালা। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। জেমস ওয়াইজ এর বর্ণনা অনুযায়ী ১৮৮০ সালের দিকে ঢাকায় ১০ ঘর সিয়াহিওয়ালা ছিলেন। 

বর্তমানে এ পেশাটি ঢাকা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


শানদার:

বেদেদের একটি শাখা শানদার। বেদেদের আদি যে ব্যবসা অর্থাৎ ফেরি করা, পাখি ধরে বিক্রি করা, খেলা দেখানো এগুলোতে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু ঢাকায় তারা বিশেষ একটি পেশা বেছে নেয়। ফারসি শাহানা থেকে এসেছে শানদার শব্দটি। এর অর্থ চিরুণি। নলখাগড়ার নরম কাঠ দিয়ে চিরুণির মতো ছোট একটি যন্ত্র তৈরি করতো তারা। ঢাকাবাসীরা যাকে বলতো হানা, উচ্চ বর্গীয়রা শাহানা। এর ভিতর দিয়ে সুতা চালানো হতো যে কারণে তাঁতি ও জেলেদের কাছে এ যন্ত্রের খুব চাহিদা ছিল। শাহানা থেকেই শানদার শব্দের উৎপত্তি। শানদারদের মতো এত ভালো শাহানা বা হানা কেউ তৈরি করতে পারত না। উনিশ শতকের দিকে বেদেদের এ বৃহৎ অংশ মুসলমান হয়ে যায়। শানদারারা ১৯০০ থেকে বসবাস করতেন ঢাকার দয়াগঞ্জে।


তেলি:

ঢাকা শহরে যে এককালে তেলি বা কলু নামের পেশার মানুষ বসবাস করত সেটি প্রায়  অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে এখন। ঘানিতে ভেঙে তেল তৈরির কাজে নিয়োজিত এই  পেশাজীবীদের মধ্যে যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল তারা চণ্ডাল শ্রেণিভুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ পেশার কিছু মানুষ দেখা গেলেও ঢাকায় এটি প্রায় অনুপস্থিতই বলা যায়। 


রাঙ্গাওয়ালা:

নিম্নবর্ণের সোনার বণিকদের মধ্যে ছিল রাঙ্গাওয়ালাদের স্থান। উনিশ শতকের শেষ দিকে ঢাকায় চার পাঁচটি পরিবার ছিল রাঙ্গাবালা। এরা দস্তার পাত কলকাতা থেকে আমদানি করে সেই পাত গলিয়ে কাজ করতেন। দুর্গাপূজার প্রতিমা সাজানোর কাজ ছিল তাদের। অলংকার তৈরি করে তা দিয়ে প্রতিমা সাজাতেন বা সাজ বিক্রি করতেন এ রাঙ্গাওয়ালারা। এ পেশাটি বর্তমানে দেখা যায় না। 


তাঁতি

ঢাকা শহরে যে বিপুলসংখ্যক তাঁতির বসবাস ছিল তা ভালোভাবেই জানা যায়। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই পেশায় যুক্ত থাকলেও তদানিংতন সময়ে প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়ের তাঁতিরা ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল। পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকাটি এ পেশার মানুষদের স্মৃতি বহন করে চলেছে। তবে বিশেষ বিশেষ পদবি দেখে  ঢাকার তাঁতিদের আবাসস্থল সম্পর্কে অনুমান করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁতিদের দেখা গেলেও ঢাকায় তাদের তেমন দেখা যায় না।


রাজমহল্লিয়া কুমহার:

ঢাকায় কুমারদের চারটি শাখা ছিল। রুদ্রপাল  বড় ভাগী কুমার  ছোট ভাগি কুমার ও মগী কুমার। এদের থেকে স্বতন্ত্র আরেক শ্রেণি কুমার বাস করতেন ঢাকায় এদের বলা হতো রাজমহল্লিয়া কুমহার। কুমহার নারীরা পাত্র গোল করতে সাহায্য করতেন আর পুরুষেরা পাত্রের উপর অংশ তৈরি করতন। জেমস ওয়াইজ এর তথ্য অনুযায়ী, গত শতকের আশির দশকে ঢাকার জাফরগঞ্জ, সুলতানগঞ্জ, কাওরান বাজার ও রায়ের বাজারে ২০০ কুমহার বসবাস করতেন। হিন্দি ও বাংলার মিশ্রণে এক নতুন ভাষা তৈরি করেছিলেন তারা।


রংরেজ:

ঢাকায় রংরেজ পেশা বেশ মর্যাদাকার ছিল বলে জেমস ওয়াইজ জানিয়েছেন। রংরেজকে ঢাকায় সাফি অর্থাৎ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতীক বলে গণ্য করা হযতো। এরা নিজেদের পেশার বাইরে বিয়ে করতেন না। বস্ত্র রঞ্জনে রংরেজরা অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাদের রঙের প্রধান উপকরণ ছিল কুমকুম। রং হতো দু'রকমের, গোলাপিও লাল। অন্যান্য রং মিশিয়ে মিশ্র রংও তারা তৈরি করতেন। তবে তাদের রং পাকা হতো না। বর্তমানে এ রংরেজ পেশাজীবীদের দেখা যায় না।


ঘাসি

ঘাস কাটার পেশায় একসময় এক শ্রেণির মানুষ নিয়োজিত ছিল। এরা চণ্ডাল শ্রেণির ছিল। নগরায়ণের চাপে উন্মুক্ত প্রান্তরের বিনাশ ঘটায় এখন এই পেশাজীবী শ্রেণিটি নেই। তবে ঘাস কাটার জন্য ঢাকার বিভিন্ন বাগান, অফিস বা সড়কে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বা মালিরাই কাজটি করে থাকে। তাছাড়া, পশুখাদ্যে জন্য অনেকে শ্রমজীবী মানুষের দ্বারস্থ হলেও ঘাসি নামটি আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে গেছে।


তথ্যসূত্র:

ক। নোটস অন রেসেস, কাস্টস অ্যান্ড ট্রেডস অব ইস্টার্ন বেঙ্গল, জেমস ওয়াইজ।

খ। ঢাকা: স্মৃতি-বিস্মৃতির নগরী: মুনতাসীর মামুন। 




শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ০৫-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ০৫-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


জনগণের সেবা করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ভোট নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 


বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধার - সশস্ত্র হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার - দৃঢ়ভাবে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের।


ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থন নির্ভর করছে গাজায় বেসামরিক জনগণের ক্ষতি ও মানবিক দুর্ভোগ নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর - বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।


দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে আজ।

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ০৪-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ০৪-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে পাশে থাকবে চীন - প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বললেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।


গাজায় ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলেন শেখ হাসিনা।


রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে নিউজিল্যান্ডের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান।


মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোন সংকট নেই, রাজনৈতিক বিরোধীতার জন্যই এসব  বলা হচ্ছে - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বিএফডিসি ও চলচ্চিত্র শিল্পকে স্বাবলম্বী করতে কাজ করছে সরকার - জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের আলোচনায় বললেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রা শুরু ।


গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ৭ ত্রাণকর্মীর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়।


আজ ঢাকায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে অষ্ট্রেলিয়া নারী দলের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

পাইল কত প্রকার কী কী,,,,,,,

 ক. পাইল কি?

খ. পাইল কত প্রকার কী কী?

গ.পাইল কেন করা হয়?

ঘ. কাস্ট-ইন-সিটু ও প্রি-কাস্ট পাইলের

মধ্যে পার্থক্য কী কী?

ঙ. পাইল ক্যাপ কাকে বলে?

চ. পাইল ক্যাপ কেন দেয়া হয়?

ছ. পাইল করার সময় যে বিষয়ে খেয়াল

করবেন।

জ. অতি সংক্ষিপ্ত ১-১৮ পর্যন্ত।

# # পাইল নিয়ে আরোও তথ্য জানা

থাকলে কমেন্টসে জানাবেন।

ক. পাইল

উত্তরঃ - পাইল হলো একটি গভীর

ভিত্তি।যার মাধ্যমে কাঠামোর

লোডকে স্থানান্তর করা হয়।যেখানে

মাটির ভারবহন ক্ষমতা খুবই কম সেখানে

পাইল করা হয়ে থাকে। পাইলের

মাধ্যমে কাঠামোর লোডকে ছড়িয়ে

দেওয়া হয়।সয়েল টেস্টের রিপোর্টের

ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

ভিত্তি গভীর হবে না অগভীর হবে।

সয়েল টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী

পাইলিংয়ের ডিজাইন করা হয়ে

থাকে।

খ. ব্যবহার অনুযায়ী পাইল সাত প্রকার।

যথা :-

১ ।বিয়ারিং পাইল

২ ।ফ্রিকশন পাইল

৩।শীট পাইল

৪ ।অ্যাংকর পাইল

৫।ব্যাটার পাইল

৬।ফেন্ডার পাইল

৭।কম্প্যাকশন পাইল

নির্মাণ সামগ্রী অনুসারে পাইল পাঁচ

প্রকার ।

যথা :-

১ ।স্যান্ড পাইল

২।টিম্বার পাইল

৩।কম্পোজিট পাইল

৪।কংক্রিট পাইল

৫।স্টিল পাইল

আমাদের দেশে প্রধানত দুই ধরণের

পাইলের কাজ করা হয়ে থাকে।

১। প্রি-কাস্ট পাইল।

২। কাস্ট ইন সিটু পাইল।

১। প্রি-কাস্ট পাইল

উত্তরঃ –এই পাইল সাধারণত কার্যস্থল

থেকে দূরে কোথাও সুবিধা মতো

স্থানে তৈরি করা হয়ে থাকে।

পাইলের ডিজাইন মেনে পূর্বেই

ঢালাই করা হয়ে থাকে।পরবর্তীতে

লে-আউট অনুযায়ী পাইলের উপর বল

প্রয়াগ করে নির্দিষ্ট স্হানে স্থাপন

করা হয়।পাইলের আকার গোলাকার

অথবা বর্গাকার হয়ে থাকে। এর পার্শ্ব

কভারিং ৫০-৭৫ মিমি।

২। কাস্ট ইন সিটু পাইল

উত্তরঃ –এই পাইলের ডিজাইন অনুযায়ী

নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন করে

স্বস্থানে তৈরি করা হয়।প্রথমে

বোরিং করে পরে লোহার খাঁচা

ঢুকিয়ে এই পাইল ঢালাই করা হয়। এর

আকার সব সময় গোলাকার হয়ে থাকে।

এর পার্শ্ব কভারিং ৭৫ মিমি।

আমাদের দেশে কাস্ট ইন সিটু পাইলের

চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ এর

নির্মাণ কাজ সহজ এবং যেখানে

সেখানে নির্মাণ করা যায়।

গ.পাইল করার কারণ :-

১। সুপার স্ট্রাকচারের ওজন যখন অত্যধিক

হয় এবং ভর অসমভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার

প্রয়োজন হয়।

২। মাটির উপরের স্তরের ভারবহন ক্ষমতা

কম হলে।

৩।যখন সাব সয়েলের পানির লেভেল

নিয়ত পরিবর্তনশীল হলে।

৪।খাল/গভীর ড্রেনেজ লাইন ভিত্তির

পাশে অবস্থিত থাকলে।

৫।নদী বা সমুদ্র উপকূলীয়ে এলাকায়

ভিত্তিতে পানির স্কোউরিং

ক্রিয়ার সম্ভবনা থাকলে।

৬।পার্শ্বস্হ চাপ প্রতিরোধের প্রয়োজন

হলে।

৭।মাটির উপরের স্তর প্রসারণ প্রকৃতির

হলে।

৮।মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ করতে।

ঘ. কাস্ট-ইন-সিটু ও প্রি-কাস্ট পাইলের

মধ্যে পার্থক্য হলো:-

কাস্ট - ইন-সিটু পাইল:-

১ ।নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন

করে স্বস্হানে ঢালাই করে যে পাইল

তৈরি করা হয় তাকে কাস্ট-ইন-সিটু

পাইল বলে।

২। লোহার কেসিং পাইপকে আঘাত

করে মাটিতে বসিয়ে তারপর কংক্রিট

ঢালাই করা হয়।

৩। পানির নিচে ব্যবহার করা যায় না।

প্রি-কাস্ট পাইল :-

১। কার্যস্হল থেকে দূরে সুবিধামতো

স্হানে ঢালাই করে যে পাইল তৈরি

করা হয় তাকে প্রি-কাস্ট পাইল বলে।

২। পাইলকে সরাসরি আঘাত করে

মাটিতে বসানো হয়।

৩।পানির নিচে বসানো যায়।

ঙ. পাইল ক্যাপ বলতে :-

উত্তরঃ - পাইলের মাথা মূলভিত্তির

মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন ।

কারণ পাইলের উপর যদি মূল বুনিয়াদ

তৈরি করা হয়, তবে যে কোন মুভমেন্টে

বুনিয়াদ স্হানান্তরিত হয়ে যেতে

পারে। ফলে বুনিয়াদের পার্শ্বসরণ তথা

অসম বসন হতে পারে। এ জন্য পাইলের

মাথা গুলো একই লেভেল করে

বুনিয়াদের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে

কংক্রিট দ্বারা ঢেকে দিতে হয়।

পাইল ও মূল বুনিয়াদের সংযোগ স্হলে

যে কাঠামো তৈরি করা হয়, তাকে

পাইল ক্যাপ বলে।

চ. পাইল ক্যাপ দেয়ার কারণ :-

উত্তরঃ - পাইলের মাথা মূলভিত্তির

মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন

অন্যথায় ভিত্তির সরণ তথা অসম বসন হতে

পারে। তাই পাইল ক্যাপ দেয়া হয়।

ছ.পাইলিং করার সময় যে বিষয়গুলো

খেয়াল রাখতে হবে

১।স্ট্রাকচারাল ডিজাইন অনুযায়ী

কাজ হচ্ছে কিনা।

২।প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং

মালামাল সাইটে ঠিকঠাক আছে

কিনা।

৩। যতক্ষণ পানিতে কাদা আসে ততক্ষণ

ওয়াস বোরিং করছে কিনা।

৪।একটি পাইল হতে আরেকটি পাইলের

নূন্যতম দূরত্ব ৬ ফুট আছে কিনা।

১।পাইলকে সাধারণত ৪ পদ্ধতিতে

বসানো যায়,

যথা:-

ক। ড্রপ হ্যামার দ্বারা

খ। স্টিম হ্যামার দ্বারা

গ। ওয়াটার জেট দ্বারা

ঘ। ওয়াস বোরিং দ্বারা

২। পাইলের কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি যন্ত্র

হলো

ক।রিক বা ত্রিপায়া

খ। চিজেল

গ।ট্রিমি পাইপ

ঘ।নজেল

ঙ।ক্যাসিং

চ।ড্রিলিং পাইপ

ছ।বাকেট

জ।হ্যামার

৩।পাইলের ডায়া ২০" হলে চিজেল বা

কাটার হবে ১৮"

অর্থাৎ ২" কম হবে।

৪।স্পাইরালএর সূত্র

Nπ(D+d)+8d

৫।পাইলের আয়তনের সূত্র ΠD²/4×H.

৬।পাইলের ক্লিয়ার কভার সাধারণত ৩"

হয়ে থাকে।

৮।স্যান্ড পাইলের ধারণাটি নতুন হলেও

ক্ষেত্রবিশেষে এটা বেশ কার্যকর।

সাধারণত ৪-৫ তলা বিশিষ্ট স্থাপনা

যেখানে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম

সেখানে স্যান্ড পাইল ব্যবহার করা হয়।

৯। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর সকল লোড

পাইলে স্থানান্তর করে।

১০। দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান হলে তাকে

বর্গাকার পাইল ক্যাপ বলে।

১১।দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বড় হলে

তাকে আয়তাকার পাইল ক্যাপ বলা হয়।

১২। পাইল ক্যাপের পুরুত্ব মাটির

বিয়ারিং ক্যাপাসিটি এবং

বিল্ডিংয়ের লোডের উপর নির্ভর

করে।

১৩। পাইল ক্যাপ এর রড সাধারণত

সিঙ্গেল জালী হয়, তবে অনেক

ক্ষেত্রে ডাবল জালীও হতে পারে।

১৪।বিয়ারিং পাইল মাটির অভ্যন্তরের

শক্ত স্তর পর্যন্ত পৌঁছায়।

১৫।ফ্রিকশন পাইল মাটির অভ্যন্তরের শক্ত

স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় না।

১৬।শীট পাইল রিটেনিং ওয়াল

হিসেবে কাজ করে।

১৭।অনুভূমিক টানা বল প্রতিরোধের জন্য

অ্যাংকর পাইল ব্যবহার করা হয়।

১৮।তীর্যক ভাবে যে পাইল ড্রাইভ করা

হয় তাকে ব্যাটার পাইল বলে।


#শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন। 


#নবীন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলে টাইমলাইন শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন। 

এরকম শিক্ষনীয় পোস্ট  পেতে পেইজে  #ফলো দিয়ে পাশে থাকুন ❤️❤️


Engr sharif khan joy 

শরীফ খান জয়








জীবনে কখনো কি কোন মৃতকে গোসল করিয়েছেন,,,,,,,

 জীবনে কখনো কি কোন মৃতকে গোসল করিয়েছেন? সুযোগ পেলে মৃতদের গোসল করাবেন, খুব কাছ থেকে দেখবেন মৃত্যুর পরে মানুষের দেহটা কত অসহায় হয়, মৃত্যুর পরে মানুষের মৃতদেহ কতটা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


সুযোগ পেলে রাতে লাশ পাহারা দিবেন। তখন বুঝতে পরবেন মৃত্যুর পরে প্রিয় মানুষটার লাশ রাতের বেলা আপনার কাছে কত অদ্ভুত লাগে, কত ভয়ের কারণ হয়ে উঠে, কত আতঙ্কের কারণ হয়ে যায়।


সুযোগ পেলে মৃত ব্যাক্তির শরীরে একটু হাত লাগিয়ে কিছুক্ষণ স্পর্শ নিবেন। আপনি তখন উপলব্ধির সুযোগ পাবেন এই পৃথিবীতে বিশাল প্রভাব-প্রতিপত্তি রেখে যাওয়া মানুষগুলো মৃত্যুর পরে কত নির্জীব রূপ ধারন করে।


সুযোগ পেলে আপনজনদের লাশ কবরে নামাবেন- খুব আগ্রহ নিয়ে শেষবারের মতো মৃতদেহের মুখটি দেখার চেষ্টা করবেন এবং বারবার উপলব্ধির চেষ্টা করবেন এই মৃতদেহের সাথে অনন্তকালের যাত্রার পথে এটাই আপনার জীবনের শেষ দেখা।


জীবনে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে কবরস্থানে গিয়ে নিরবে কিছুক্ষণ দাঁড়াবেন। এরপর মনে মনে চিন্তা করবেন জীবনের লাভ ক্ষতির হিসাবে এই মৃত মানুষগুলো এই পৃথিবীতে কি করে গেছেন? কাদের রেখে গেছেন? যাদের রেখে গেছেন তারা কি কখনও এই মৃত মানুষগুলোকে স্মরণ করার জন্য কবরস্থানের আশেপাশে আসে?


আমাদের সবার শরীরেই কমবেশী রক্তকণা আছে। একথা চিরসত্য যে আমাদের শরীরের প্রতিটি রক্তকণা শরীরে খুবই গুরুত্ব বহন করে। অথচ আমাদের শরীর থেকে কোন রক্তকণা বেরিয়ে গেলে সেটির যেমন কোন গুরুত্ব থাকে না তদ্রুপ আমাদের দেহ থেকে প্রাণটা বেরিয়ে গেলে আমাদের শরীরেরও অন্যের কাছে কোন মূল্য থাকে না।


আমাদের জীবনটা বড় বৈচিত্রময়। বেঁচে থাকতে আমরা এর জন্য ওর জন্য কত মায়া দেখাই, কত ভালবাসা দেখাই। এ আমার ছেলে তো সে আমার মেয়ে, এ আমার ভাই তো সে আমার বোন। অথচ মরে গেলে এই মানুষগুলোই সবার আগে তোড়জোড় শুরু করে কিভাবে মৃতকে দাফন করা যায়! কত দ্রুত মৃতকে কবরস্থ করা যায়! সেই চিন্তায় সবাই তটস্থ থাকে।


আমাদের জীবনটা আসলেই সাময়িক। এই সাময়িক জীবনটা মাত্র চল্লিশ-পঞ্চাশ-ষাট অথবা বড়জোর সত্তর বছরের সমষ্টি। অথচ এই জীবনে আমরা কখনো মৃত্যুর কথা না ভেবে কিভাবে অঢেল সম্পদ অর্জন করা যায় সেই চিন্তায় সর্বদা বিভোর থাকি।


এই পৃথিবীতে যার অঢেল সম্পদ আছে সে আরো সম্পদ চায়। যার সম্পদ নেই সে সম্পদ নেই ভেবে সর্বদা দুশ্চিন্তায় সময় কাটায়। আমাদের ১০% মানুষ ব্যতীত ৯০% মানুষেরই ধান্ধা ইহকাল আগে এবং পরকাল পরে। সম্পদ আগে এবং ইবাদত পরে।


এজন্য আমরা প্রায় সবাই দিনরাত চেষ্টা করি যে যেভাবে পারি, চুরি করে অথবা ডাকাতি করে অথবা অন্য কোন উপায়ে যাকে তাকে ঠকিয়ে যেভাবে পারি আগে সম্পদ অর্জন করি। এরপর এই অবৈধ সম্পদের অর্থে কয়েকবার হজ করে, মসজিদ মাদরাসায় বড় অংকের টাকা দান করে, গরীব এতিমখানায় খাইয়ে, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দানখয়রাত করে একেবারে বেহেস্ত কনফার্ম হয়ে যাবে।


রমাদান মাসে সারা পৃথিবীর মানুষ যেখানে ইবাদত মশগুলে সময় পার করে সেখানে বাংলাদেশের অনেকেই কিভাবে একে অন্যকে ঠকানো যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আমাদের দেশে সবাই মুসল্লি। মসজিদ মুসল্লিতে ভরপুর। কিন্তু ঈমানী শক্তিতে আমাদের মনোবল খুবই দুর্বল।


আমাদের দেশে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, যে সর্বদা নিজেকে ইসলামি ব্যক্তি হিসাবে সবখানে জাহির করে সেও সুযোগ পেলে সাধারণ কিছু টাকা-পয়সার কাছে হঠাৎ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। এজন্য বলি যে মৃত্যু চিরসত্য সে মৃত্যু নিয়ে আমরা খুব কমই চিন্তা করি।


আমাদের সততা সাধারণ টাকার কাছেই প্রতিনিয়ত হেরফের হয়ে যায়। অথচ মৃত্যুর পর একজন মৃত ব্যক্তির কি হিসাব নিকাশ শুরু হবে সেটি উপলব্ধি করতে পারলে আমরা কিছুতেই এত খারাপ হতাম না, আমরা কিছুতেই অন্যের হক মারার চিন্তা করতাম না, এমনকি আমরা কিছুতেই অন্যের সাথে দুর্ব্যবহারের চিন্তা করতাম না। মহান প্রভু সবাইকে এই বিষয়টি উপলব্ধির সুযোগ দিন। আমিন



বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাস্তব সমাজের চিত্র,,,,গল্প টা কেউ এড়িয়ে যাবেন না,,,

 বাস্তব সমাজের চিত্র,,,,গল্প টা কেউ এড়িয়ে যাবেন না,,,

১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!

.

২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!

.

৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!

.

৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!

.

৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!

.

৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!

.

৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?

আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!

কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!


-----------------------------------------------


বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"। এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!

.

খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!! যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!

.

যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!

.

হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে! যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই এই মানুষ রুপী  কুকুর হইতে সাবধান।

💗💗💗💗

গল্প টি শেয়ার করুন হয়তো আপনার একটি শেয়ার সমাজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে,মানুষ রুপী কুকুর থেকে অনেকে সাবধান ও হতে পারে,,,,, তাই শেয়ার করুন,,,





পিরামিড রহস্য ১,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

  ***পিরামিড রহস্য ১***


মিসরীয় সাতাতা জ্ঞান-বিজ্ঞানে কত দূর উন্নতি করেছিল, তার বড় নিদর্শন পিরামিড। আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছর আগে কীভাবে এগুলো তৈরি হলো, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। এলিয়েন কিংবা দেবতাদের মিথলজি ভেঙে আজকের বিজ্ঞান অনেকখানিই উদ্ধার করতে পেরেছে পিরামিড-রহস্য… একটা সময় পিরামিড-রহস্য ভেদ করা অসম্ভব মনে করা হতো। এই সুযোগে গুজব ব্যবসায়ীরা একে ভিনগ্রহীদের তৈরি স্থাপত্য বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।


সুইস লেখক এরিক ফন দানিকেনের মতো কিছু মানুষ পিরামিডের সঙ্গে এলিয়েনের মিথ জড়িয়ে লিখেছেন অজস্র বই। সেসব বই দেদার বিকিয়েছে বিশ্ববাজারে, কোটি কোটি ডলার ঘরে তুলেছেন লেখক আর তাঁদের প্রকাশকেরা। কিন্তু দিন বদলেছে, প্রযুক্তি আর গবেষণার সুবর্ণ সময়ে মানুষ ভাঙতে পেরেছে পিরামিড-রহস্যের আগল। এখন আর একে ভিনগ্রহী প্রাণী বা দানবাকৃতির মানুষের তৈরি স্থাপনা বলে চালানোর উপায় নেই।


পিরামিড তৈরির জন্য প্রাচীন মিসরীয়দের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, কারিগরি দক্ষতার জয়গান করছে আধুনিক বিজ্ঞান। অনেকখানিই উদ্ঘাটিত হয়েছে, কীভাবে তৈরি হয়েছিল এসব অক্ষয় কীর্তি।


**২.**পিরামিডের ইতিহাস মৃত্যুমোড়ানো। তাজমহলের মতো ভালোবাসার প্রতীক নয় পিরামিড।


প্রাচীন মিসরে ফারাও ও তাদের পারিবারিক কবরের রক্ষাকবচ এগুলো। পিরামিডের আগেও কবর ছিল রক্ষাকবচ। মাস্তাবা নামে একধরনের আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর তৈরি করে তার ভেতর লাশ রাখা হতো। মাস্তাবা আসলে চারকোনা ইট-পাথরের স্তূপের মতো। মৃত ব্যক্তির মর্যাদার ওপর নির্ভর করে এগুলো তৈরি হতো মাটি, ইট বা বিভিন্ন ধরনের পাথর দিয়ে।


হ্যাঁ, সেকালেই ইট তৈরি করতে জানত মিসরীয়রা। মাটি, খড়, বালু ইত্যাদি দিয়ে ইট তৈরি হতো। ফারাওদের মাস্তাবার দেয়াল তৈরি হতো লাইমস্টোন দিয়ে। এসব লাইমস্টোন বা চুনাপাথর পাওয়া যেত বর্তমান কায়রো ও এর আশপাশের অঞ্চলে। তবে এসব মাস্তাবা তৈরিতে খুব বেশি স্থাপত্যশৈলী দেখানো হতো, তা কিন্তু নয়। মাস্তাবার মূল কাঠামো থাকত মাটির ওপরে বসানো। অনেকটা মঞ্চ বা বেদির মতো। বাইরে থেকে দেখলে নিরেট মনে হবে। থাকত দুটি দরজা। একটা আসল, আরেকটা নকল। এসব দরজা দিয়ে ঢুকলে আপনি গিয়ে পড়বেন চারকোনা সরু টানেলের ভেতর। এই টানেলের ভেতর নামলে আর দেখতে হবে না। গভীর টানেলের ভেতর দিয়ে গিয়ে পড়বেন সত্যিকারের কবরখানায়। চারকোনা কফিনের মতো জায়গাটা। সেখানে থাকতেও পারে ফারাওয়ের মৃতদেহ। যদি মৃতদেহের হদিস পান, তাহলে ধরে নেবেন, সঠিক দরজা দিয়েই আপনি ঢুকেছিলেন। মৃতদেহের সঙ্গে মিলবে অজস্র ধনরত্ন আর ফারাওয়ের ব্যবহার্য দামি জিনিসপত্র। আর যদি কিছুই না পান অত দূর গিয়ে, ধরে নেবেন, নকল দরজা দিয়ে ঢুকেছিলেন। আবার আসল চেম্বারে ঢুকে রাজার মৃতদেহ আবিষ্কার করেও কিন্তু স্বস্তি নেই আপনার। কারণ, খাড়া চেম্বার বেয়ে ওপরে ওঠা দুঃসাধ্য। ধনরত্নশিকারি চোর আর ডাকাতদের হাত থেকে এগুলো রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবুও ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বেশির ভাগ ধনরত্নই। মাস্তাবার ব্যবহার মিসরীয়রা বহুকাল করেছে। কিন্তু এগুলো তাদের নিজস্ব আবিষ্কার নয়। সেকালে দজলা ও ফোরাত (অর্থাৎ ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস) নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। এই সভ্যতায় মাস্তাবার প্রচলন ছিল। সেখান থেকেই এ জ্ঞান পেয়েছিল তারা।


চলবে...


Source: কালের কণ্ঠ



সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...