এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪

হ্যাপি রিডিং...,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি লাভ হচ্ছে?" একজন ছাত্র তার শিক্ষককে ঠিক এই প্রশ্নটি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল।

শিক্ষক এই ব্যাপারে মৌন ছিলেন, তিনি প্রথম দিন কোন উত্তর দিলেন না।

কিছুদিন পর নদীর ধারে সেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একদিন দেখা হয়, শিক্ষক ছাত্রকে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র দেখিয়ে বললো - "যাও, নদীর ধার থেকে পাত্রটি নিয়ে আমার জন্যে এক পাত্র পানি নিয়ে আসো", পাত্রটি সেখানে ময়লার মধ্যে মাটিতে পড়েছিল। 

ছাত্রটি কিছুটা বিভ্রান্তিবোধ করলো, এটা অযৌক্তিক উপদেশ, একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্র দিয়ে পানি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষকের উপদেশ অমান্য করা যাবে না, তাই সে মাটি থেকে পাত্রটি তুলে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেল পানি নিয়ে আসার জন্যে। 

পাত্র ভর্তি করে সে পানি নিয়ে উপরে উঠে এলো, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, কয়েকটা কদম দেওয়ার সাথে সাথেই পানিগুলো সব ছিদ্র দিয়ে নিছে পড়ে গেল।

সে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলো, কিন্তু সে ব্যার্থ হলো এবং হতাশাবোধ করলো। 

এভাবে আরও কয়েকবার চেষ্টা করার পরেও সে পানি নিয়ে পৌঁছাতে পারলো না, সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ল। 

তারপর সে শিক্ষকের নিকট ফিরে গিয়ে বললো - "আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমি এই পাত্রটিতে পানি নিয়ে আসতে পারবো না, এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমাকে ক্ষমা করুন।" 

ছাত্রের কথা শুনে শিক্ষক কোমল একটি হাসি দিলেন এবং ছাত্রকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বললেন - "না, তুমি ব্যর্থ হওনি। পাত্রটির দিকে তাকিয়ে দেখ, এটি এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, একদম নতুন একটি পাত্রের মত দেখাচ্ছে। ছিদ্রগুলো দিয়ে যতবারই পানি পড়েছে ততবারই পাত্রটির মধ্যে থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। যখন তুমি কোন বই পড় তখন তোমার সাথে একই ব্যাপার ঘটে, তোমার ব্রেইন হচ্ছে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রের মত, আর বইয়ের মধ্যে থাকা তথ্যগুলো হচ্ছে পানির মত। তাই যখন তুমি কোন বই পড় এর সব কিছু মনে রাখতে পারো না। কিন্তু তুমি একটা বই পড়ে এর সবগুলো তথ্য মনে রাখতে পারলে কিনা সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ন কোন বিষয় না। কারণ বই পড়ে তুমি যেসব ধারণা, জ্ঞান, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্দি এবং সত্য খুঁজে পাও সেগুলো তোমার মনকে পরিষ্কার করে, যতবার তুমি একটি বই পড়ে শেষ কর ততবার তোমার আধ্যাত্মিক রূপান্তর ঘটে, প্রতিবার তোমার পুনর্জন্ম হয়, ফলে তুমি আরও বিশুদ্ধ একজন মানুষে পরিণত হও। এটাই হচ্ছে বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য।"

হ্যাপি রিডিং...।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১২-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১২-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত। 


আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে - ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


 ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান।


সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জনের প্রাণহানি - তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন। 


কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস ।


মুম্বাইয়ে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে সাত উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১১-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১১-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর - দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা।


ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাত সকাল সাড়ে আটটায় - বায়তুল মোকাররমে এবারও  ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


 ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আজ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা সরকার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে - মন্তব্য মার্কিন থিংক ট্যাংকের।


 সোমালী জলদস্যুদের হাত থেকে শিগগিরই মুক্ত হবে বাংলাদেশী নাবিক ও জাহাজ - পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ।


ঈদের দিনে গাজায় এক শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলী বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত। 


জয়পুরে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪

ফেইসবুকে ছবিটা পেয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। কত সুন্দর মিনিংফুল একটি ছবি

 ফেইসবুকে ছবিটা পেয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। কত সুন্দর মিনিংফুল একটি ছবি। ইগো, অহংকার, রাগ এসবের মধ্যে আমরা বন্দি। অথচ সবার ভেতরেই একটা শিশু সুলভ মন আছে। যে মিশতে চায়। মিলে মিশে থাকতে চায়। কম্প্রোমাইজ করতে চায়। শিশুর মতোই একটু পরেই ভুলে যায় সবকিছুই। কারণ এই পৃথিবীতে আমরা অনেক একা। বড় একা।


তারা ভরা রাতে ছাদে শুয়ে নিরিবিলি আকাশের দিকে তাকালে বুঝা যায় কত ছোট আমাদের পৃথিবী। তার মাঝে কত কত ক্ষুদ্র আমরা।


ওই দিন আমার এক ফ্রেন্ড খুব হাইথট একটা কথা বলল। ওর কথাটা আমাকে অনেকক্ষন ভাবিয়েছে।


বলল, তোর হাতের মোবাইলটার মালিক তুই, মানে এই মোবাইলটা তোর কিন্তু মোবাইলটা কিন্তু তুই না। তেমনি এটা তোর হাত কিন্তু হাতটা তুই না। তোর হাতটা কেটে ফেলেও তুই বেঁচে থাকবি। এই পা, মাথা সব কিছুই তোর কিন্তু কোনটাই তুই না। তাহলে তুই কে? হু আর ইউ? হয়ার আর ইউ?


আমি কিছুক্ষন টাসকি খেয়েছিলাম। আসলেইতো আমি কে? আমার পরিচয় কি? আমার দেহের ভেতর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোথাও আমাকে পাইনি।  তার মানে জ্বীন ভুত মানুষের উপর যেভাবে ভর করে  আমরাও এই দেহটার মধ্যে ভর করে আছি। ব্রেন আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে। আর ব্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করি আমরা। কিন্তু আমি কে? কোথায় আমি? আমার পরিচয় কি? হাকিম তো আমার দেহটার নাম। 

তাহলে আমার হৃদয় ও মনের নাম কি?


পৃথিবীর জন্ম থেকে শুরু করে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর কেটে গেছে। সামনে আরো মিলিয়ন  বছর হয়তো টিকে থাকবে। তার মাঝে আমরা মাত্র কয়েকটা বছর থাকব। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র কয়েক ন্যানসেকেন্ড আমাদের স্থায়িত্ব।


তবুও কেন এতো মারামারি, এতো হানাহানি, এতো লোভ, এতো লালসা? এতো বিভেদ, এতো ভেদাভেদ, এতো দূরত্ব?


নিজের পরিচয় জানিনা অথচ অন্যের জাত বংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। হাস্যকর না?


মানুষের দেহের গতি খুব বেশি না। কিন্তু মানুষটার গতি বিদ্যুতের চাইতেও বেশি। মানুষ চাইলে মুহুর্তেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা চলে যেতে পারে সেখান ধাম করে মঙ্গলগ্রহে।


মানুষ চাইলে পৃথিবীটাকে মুহুর্তেই ধ্বংস করে ফেলতে পারে আবার চাইলে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে।


ভাল থাকুক মানুষ। ইগো, রাগ, হিংসার হাজতে বন্দি না থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পরুক। একে অপরের সাথে আঠার মত লেগে থাকুক জয় হউক মানবতার।




শৈশব ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাই। কারণ আজকে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি। আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পাড়েনি। আমি ভালো ভাবে  বুঝতে পারছিলাম। কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো। সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই।তখন বাবা আমার পিছন পিছন পিছন আসে।


বাবা :কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে। 

— না বাবা সমস্যা হয় নাই তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম। 

বাবা : ওওও তা আবার কখন যাবি 


(বাবার কথা শুনে কিছু টা অনেক টা অবাক হলাম এই মাএ বাড়ি আসলে আর এখন জিজ্ঞেস করছে কখন যাবি। একটা মুচকি দিয়ে বললাম) 


–  কিছু দিন পর চলে যাবো বাবা,, 

বাবা : ওহ্ এখন না এসে কিছু দিন পর আসতি।এখনো অনেক লেনাদেনা বাকি আছে আমাদের। 


বাবার কথা শুনে কিছু বললাম না,, তখন মা বললো 


মা : কিরে বাবা চলে আসলি কেন কোন সমস্যা হইছে 

— না মা সমস্যা হয় নাই। এমনি আসলাম তোমাদের দেখতে। 

মা : ওও আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আর,, আজকে আবার রাকিবের বিয়ে তুই যাবি নাহ্ তোর ভাইয়ের সাথে। 

— নাহ্ মা আমি আমি ক্লান্ত,, তাই যাবো নাহ্ 


আমি আমার মা বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম। বড় ছেলে বিয়ে করে নাই। তাকে জিজ্ঞেস করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাবে কি নাহ্।সবাই ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেলো  শুধু মা ছাড়া। সারা দিনের জার্নি করে আমি অনেক টা ক্লান্ত।তাই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুম ভাঙ্গে মানুষের হইচই শুনে। বুঝতে পারলাম বউ নিয়ে চলে আসছে এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বা দেখা হয় নাই। ওই ভাবে শুয়ে আছি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি কিছু খেয়েছি কি না। একটু পর ছোট বোন আসলো। 


মোন্তাহা  : ভাইয়া কেমন আছো তুমি 

— ভালো  তুই কেমন আচ্ছিস 

মোন্তাহা : ভালো ভাইয়া তুমি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওনি 

— আরে তেমন কিছু না খাওয়া হইছে আমার 

মোন্তাহা : ভাইয়া তুমি মিথ্যা টা ও ভালো ভাবে বলতে পারো নাহ্। তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসি। 


মানুষ বলে মা নাকি মুখ দেখে সন্তানের দুঃখ বোঝে কিন্তু আমার বেলা উল্টো। আমার আম্মুর মনে নাই আমি বাড়িতে আসছি।এতো খন যার সাথে কথা বললাম। সে হলো আমার ছোট বোন। এক মাএ আমার ছোট বোন আমার চেহারা দেখে বলতে পারে আমি কি চাই। তাই তো বুঝতে পারছে আমি কিছু খাই নাই।কিছু খন পর খাবার নিয়ে আসলো 


মোন্তাহা : ভাইয়া খাবার টা খেয়ে নাও। 

— হুম। 

মোন্তাহা : ভাইয়া একটা কথা বলি। 

— হুম বল কি বলবি। 

মোন্তাহা : আমার হাতে খাইয়ে দিবো তোমাকে। 

— হুম দে অনেক দিন হলো কারো হাতে খাবার খাই না। 


তার পর ছোট বোন।খাবার খাইয়ে চলে গেলো।রাতের বেলা সবাই আমার ঘরে আসলো। সাথে ছোট ভাই ও ছিলো আম্মু বললো। 


মা : নিলয় কি নিয়ে আসলি আসার সময়। আমাদের একটু দেখা 

— এনে ছিলাম অনেক কিছু। কিন্তু কা কে দিবো বুঝতে পারছি না।


 তখন বাবা বললো। 


বাবা :  কা কে দিবি মানে আমরা তোর পরিবার আমাদের কে দিবি। 


 একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম। 


 – তোমরা আমার পরিবার 


বাবা : কেনো 

— নাহ্ এমনিম আমি এখন কিছু খুলতে পারবো নাহ্। দুই দিন পড়ে খোলবো।


তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া। আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি। দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন পর,,,, 😢😢


আমরা সবাইকে ভালো রাখতে দিনের পর দিন কষ্ট করি,,,,।  

না খেয়ে থাকি,,,, রাতে ঘুম পড়ি না। 

ওষুধ হলে সেবা নেই না,,,, সেই অসুস্থ শরীর নিয়ে ডিউটি করি,,,,। 

 মাস শেষ হলে  নিজে খালি পকেটে থাকি,,, বাড়ি সব টাকা পাঠিয়ে দেয়,,,।


এই হলো-  প্রতিটা প্রবাসীদের জীবনের বাস্তব গল্প ও কাহিনী। 


এর কোন পরিবর্তন কারো জীবনে নাই

 আর হবে ও না। 

মা বাবা তার সন্তানের ভালো চায়,,,, সব করে মা বাবা সন্তানের জন্য। 

 তাদের রূণ শোধ করা যাবে না।  সব সময় দোয়া করে মা বাবাই সন্তানের জন্য। মা বাবার কোন দোষ নেই।  তারা যা করে সঠিক ও ভালো টাই করে। তবে ২-১জন ভিন্ন থাকে ও হয়। 


আল্লাহর কাছে মন থেকে চাই ও বলি,,,,

 আল্লাহ আপনি তো প্রবাসীর মনের কথা জানেন।


 আমাদের মাফ করে দিবেন,,,  সব কিছু উজাড় করে দিয়ে ও পরিবারের আপন হতে পারি না..!😔😔


ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 

সবাই প্রবাসীর কষ্ট বুঝে না যখন প্রবাসী হবে তখন বুঝবে। 😔😔

ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে' এবং একজন হেকিম হাবিবুর রহমান।

 'ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে' এবং একজন হেকিম হাবিবুর রহমান।


১৯৪৫ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর ঢাকা কেন্দ্রে প্রচারিত কথিকা-সিরিজ ‘ঢাকা আজছে পাচাস বারাস পেহলে’ ছিল হেকিম হাবিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ করা ঘটনার ধারাভাষ্য। ১৯৪৯ সালে ওই কথিকা ‘ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে’ নামে মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়। ওই পুস্তকে ঊনিশ শতকের শেষ দশক আগের ঢাকার সমকালীন সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রামাণ্য বিবরণ বিধৃত হয়েছে। এ গ্রন্থে সমকালীন ইতিহাসের এমন অনেক ঘটনা ও বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, যা সচরাচর প্রাপ্ত ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়নি। সেদিক থেকে এই পুস্তকটির গুরুত্ব অপরিসীম। 


ড. মো. রেজাউল করিম মূল উর্দু ভাষা থেকে বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন। গ্রন্থে ১৬টি অনুচ্ছেদে যথাক্রমে ইতিহাসের দৃষ্টিতে ঢাকা, ঢাকার শিল্প(মসলিন), টুপির কাহিনী, রমজান আগমন, ঢাকার রুটি, খাদ্য পরিবেশন, ঢাকার বিশিষ্ট খাবার, প্রসিদ্ধ খাবার, মিষ্টান্ন, পেশা, কুস্তি ও ব্যায়াম, খেলাধূলা, সংগীত, মেলা-পার্বণ, তবলা ও গান এবং হুক্কা, পান, চা প্রভৃতি বিষয়ে বিবরণ রয়েছে। গ্রন্থে ১৮৯৫ সালের ঢাকার ইতিহাস, সমাজ-সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ করা ঘটনার বিবরণ স্থান পেয়েছে। 


বিশ শতকের প্রথমার্ধে ঢাকা শহরে হেকিম হাবিব ছিলেন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি শুধু একজন চিকিৎসকই নন, ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যসেবী ও সমাজকর্মী। ১৮৮১ সালে ছোট কাটরায় তাঁর জন্ম। ঢাকা সরকারি মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর কানপুরে হজরত আশরাফ আলী থানভীর (র.) কাছ থেকে আরবি ব্যাকরণ ও লক্ষ্ণৌ, দিল্লি, আগ্রা থেকে ইউনানি চিকিৎসায় জ্ঞানার্জন করে ১৯০৪ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে ইউনানি চিকিৎসক হিসেবে এত খ্যাতি অর্জন করেন যে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৯ সালে তাঁকে ‘শাফাউল্ মুলক’ উপাধিতে ভূষিত করেন। 


হেকিম হাবিবুর রহমান নওয়াব সলিমুল্লাহর একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন, পাশাপাশি গ্রন্থ রচনায়ও মনোনিবেশ করেন। অনেক লেখার মধ্যে ঢাকা সম্পর্কিত তাঁর দুটি বিখ্যাত বই হলো—আসুদগান-এ-ঢাকা (১৯৪৬) ও ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে (১৯৪৯)। তাঁর কিছু অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে। ১৯০৬ সালে ঢাকা থেকে তিনি ‘আল মাশরিক’ নামক একটি উর্দু মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯২৪ সালে খাজা আদেলের সঙ্গে যৌথভাবে ‘জাদু’ নামের অন্য একটি মাসিক পত্রিকাও প্রকাশ করেন।


তার প্রতিষ্ঠিত তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ইউনানি মেডিকেল কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ইউনানি চিকিৎসার পথিকৃৎ। এখানে পড়াশোনা করা চিকিৎসকরা ডিপ্লোমা ইন ইউনানি মেডিসিন এন্ড সার্জারি উপাধি পেতো। এরই সাফল্যে পরবর্তীতে মিরপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইউনানি মেডিকেল কলেজে স্থাপন করে ব্যাচেলর ইন ইউনানি মেডিসিন এন্ড সার্জারি ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়। 


দীর্ঘ ৪০বছর তিনি বঙ্গে লিখিত আরবি, ফারসি ও উর্দু বই সংগ্রহ করে 'সুলাসা গুসালা' নামে একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করেন। ইনশায়ে শায়েকে মীর্জা গালিব ও ১৯শতকে ঢাকার উর্দু কবি খাজা হায়দার জান শায়েকের মধ্যকার পত্রাবলি তিনি সঙ্কলন করেন। তিনি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ও মুদ্রা সংগ্রহ করেছেন। ১৯৩৬ সালে তিনি স্বর্ণ ও রৌপ্য মিলিয়ে মোট ২৩১টি পুরনো মুদ্রা ঢাকা জাদুঘরে দান করে যান। ১৯৪৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


তথ্যসূত্র: 

ক। বাংলাপিডিয়া 

খ। ঢাকা পঞ্চাশ বছর আগে, প্রথমা প্রকাশনী

গ। ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে, হাশেম সুফি।





বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪

 ৮ই এপ্রিল ছিল প্রয়াণ দিবস | শ্রদ্ধাঞ্জলি |

 প্যারিসের এক রেস্তোরাঁয় একবার এক সুন্দরী ভদ্রমহিলা এক স্প্যানিশ চিত্রশিল্পীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন- উনি কি ১ মিনিটে তার ছবি এঁকে দিতে পারবে ?

সেই চিত্রশিল্পী ছবিটি আঁকার জন্য সময় নিলেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড। সেই ভদ্রোহিলা ছবিটি নিয়ে যেতে চাইলে চিত্রশিল্পী সেটার মূল্য চাইলেন (যেটা স্বাভবিকের চেয়ে একটু বেশী মনে হচ্ছিল)।

মহিলাটি চমকে জিজ্ঞেস করলো- তুমি ৩০ সেকেন্ডের জন্য এতো টাকা চাইছ ?

সেই চিত্রশিল্পী জবাবে বলেন- ৩০ সেকেন্ডের কাজটার জন্য আমাকে ৩০ বছর সাধনা করতে হয়েছে। সেই সময়ের মূল্য কত হতে পারে?


###


ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর ধাত্রী ভেবেছিলেন মৃতশিশুর জন্ম হয়েছে। এই কারণে ধাত্রী শিশুটিকে একটি টেবিলের উপর রেখে মায়ের সেবা-শুশ্রুষায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় শিশুটিকে টেবিলের উপর নিথর হয়ে পরে থাকতে দেখে তার কাকা এগিয়ে আসেন এবং তার মুখে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া শিশুটির মুখে নিক্ষেপ করা মাত্রই শিশুটি নড়াচড়া দিয়ে উঠে। তার মা জানিয়েছেন শিশুকালে তার মুখে প্রথম উচ্চারিত শব্দ ছিল ‘পিজ’ ‘পিজ’! ‘পিজ’ আসলে ‘লাপিজ’ শব্দের শিশুতোষ সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ। ‘লাপিজ’ অর্থ পেনসিল।


###


তাঁর খ্যাতিতে সবচেয়ে অবাক হয়েছিল তাঁর শিক্ষক, কারণ উনি তাঁকে মাত্র ১০ বছর বয়সে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন | কারন সেই ছাত্র বর্ণমালার কোনও অক্ষর মনে রাখতে পারত না,  ৭ কে বলতেন উল্টো নাক !


###


স্পেন ছেড়ে যখন তিনি ফ্রান্সে আসেন তখন তাঁর পরনে ছিল স্পেনের গ্রাম্য পোশাক, শ্রমিকের। মুখে গ্রাম্য ভাষা। সারা জীবন তিনি তা ত্যাগ করেননি | চুল কাটাতে কখনও তিনি বাড়ির বাইরে যেতেন না। নিজেই নিজের চুল কাটতেন, দাড়ি কাটতেন, নখ কাটতেন। কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের দিয়ে কাটিয়ে নিতেন। কারণ তাঁর স্প্যনিশ সংস্কার।এমন কি শেষ জীবনে বাড়িতে এসে একজন নাপিত তাঁর চুল, দাঁড়ি, নখ কেটে দিয়ে যেত l


তাঁর আচার-আচরনেও স্প্যানিশ রীতিনীতিই প্রকট হয়ে উঠত। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওলট-পালট করা শিল্পীর এইসব ব্যাপার-স্যাপার একেবারে অস্বাভাবিক না হলেও নজরে পড়ত। তিনি নিজেও বলতেন— ‘আমার শিল্পের প্রাথমিক প্রেরণা আমার গ্রাম এবং দেশের মানুষ।’


###


স্পেনের দুঃশাসক ফ্রাঙ্কোর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবসময়ই সরব ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েত ইউনিয়নে যাবার জন্যে ফ্রাঙ্কো-সরকারের ছাড়পত্র নিতে হবে বলে তিনি আর সেখানে যাননি। উল্টো তিনি ফ্রাঙ্কোর শাসনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ফ্রাঙ্কোর কাছ থেকে কাগজ নেবার মতো ঘৃণ্য কাজ আমি করতে পারি না।' এমনই প্রতিবাদী ও নির্ভীক ছিলেন তিনি |


###


গোয়ের্নিকা, উত্তর স্পেনের শহরতলি। তখন স্পেনের গৃহযুদ্ধ চলছে। জার্মান বাহিনী বোমা ফেলল ছোট্ট শহরটির ওপর। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। আর ধ্বংসের সেই ভয়াবহ চেহারা নিয়ে নিজের স্টুডিওতে ছবি আঁকা শুরু করলেন একজন শিল্পী। শোনা যায়, ছবির কাজ চলার সময় আচমকাই স্টুডিওতে হানা দেয় জার্মানরা। ছবি দেখিয়ে তারা প্রশ্ন করে, ‘কে করেছে?’ উত্তরও ছিটকে আসে, ‘তোমরা।’


চারদিকে ধ্বংসচিত্র, মানুষ চিৎকার করছে, এক মা আলো নিয়ে এগিয়ে আসছেন, কিউবিস্ট ধাঁচ ছবি জুড়ে। এটা তৈরির আগে ছবির মধ্যের বিভিন্ন এক্সপ্রেশনগুলোকে নিয়ে প্রায় দুশোর মতো স্কেচ করেছিলেন পিকাসো। তার অমর সৃষ্টিকর্ম ‘গোয়ের্নিকার’ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।


এ ‘গোয়ের্নিকা’ সৃষ্টি হয়েছে যার হাতে তিনি আর কেউ নন, তিনি পাবলো পিকাসো। 


দক্ষিন ফ্রান্সে থাকার সময় একবার পিকাসোর বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে খেতে এসে দেখলো পিকাসোর ঘরে তাঁর নিজের আঁকা কোনও ছবি নেই। বন্ধুদের একজন জিজ্ঞাসা করলো, "তোমার আঁকা কোনও ছবি নেই কেন পাবলো, তুমি কি তোমার ছবি পছন্দ কর না?"


পিকাসোর জবাব, "বরং উল্টোটাই সত্য, আমি অনেক পছন্দ করি, কিন্তু পিকাসোর আঁকা ছবিগুলোর অনেক দাম, আমার কেনার সামর্থ নাই"।


তিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন যে, একটা সময়  ছবি আঁকার জন্যে রং কেনার পয়সা ছিল না তার। পিকাসো তখন শুধু নীল রং দিয়েই ছবি আঁকতেন। তার এ সময়কে বলা হয় ‘ব্লু পিরিয়ড’। পিকাসো বলতেন, ‘আমার আবেগ কোনো রঙের অপেক্ষায় থাকে না। আমার যখন হলুদ রঙ থাকে না, তখন শুধু নীলেই আঁকতে পারি।’ মূলত নীল রঙে আঁকা পিকাসোর ছবিগুলো ধারণ করেছিল অন্য এক প্যারিসকে। 


পাবলো পিকাসো তখন দারুণ জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। একদিন চার্লি চ্যাপলিন গেলেন পিকাসোর সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনি কী করে ছবি আঁকেন, দেখতে এলাম।’


পিকাসো সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে গেলেন তার স্টুডিওর মধ্যে। সেখানে তিনি একটা ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিলেন। চ্যাপলিন দাঁড়িয়ে আছেন আর পিকাসো নিমগ্ন হয়ে ছবি আঁকছেন। হঠাৎ তুলি থেকে খানিকটা রং ছিটকে গিয়ে পড়ল চার্লি চ্যাপলিনের সাদা জামায়। পিকাসো আঁতকে উঠে বললেন, ‘ওহ্, আমি খুবই দুঃখিত চার্লি! দাঁড়াও, আমি এক্ষুনি স্পিরিট নিয়ে এসে রংটা মুছে দিচ্ছি।’


চ্যাপলিন একবার তার জামাটার দিকে তাকান, তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘কোনো দরকার নেই, তার চেয়ে আপনি বরং আমার প্যান্টের ওপর একটা সই দিয়ে দিন।’


পিকাসো ছিলেন সব রকম নির্যাতনের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠিত ধারনার বিরুদ্ধে। তবে ওই যে বলা হয়, তিনি ভেঙেছেন কেবল— এটা ঠিক না। যা কিছু ভেঙেছেন, তা গড়ার জন্যই। ভাঙার আনন্দে কোনও কিছু তিনি ভাঙেননি।


পাবলো পিকাসো, পৃথিবী যার আঁকার ক্যানভাস |


''শিল্পকলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মা থেকে দৈনন্দিন জীবনের ধুলা দূর করা ।'' - পাবলো পিকাসো 


গত ৮ই এপ্রিল ছিল প্রয়াণ দিবস | শ্রদ্ধাঞ্জলি |


Luthful Kabir এর সৌজন্যে


==========

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নামটাই যথেষ্ট ৷ এরপর আর কোনকিছু না লিখলেও চলে ৷

জননী ৷ দিবারত্রির কাব্য ৷ পদ্মানদীর মাঝি ৷ পুতুলনাচের ইতিকথা ৷ চতুষ্কোন ৷ বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক উপন্যাসগুলি দু'মলাটের মধ্যে ৷ ভাবা যায় ! তার উপর পাতা, প্রিন্টিং, বাঁধাই, প্রচ্ছদ কভার এককথায় ফাটাফাটি ৷ 

পাঁচটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

আমাজন লিংক : https://amzn.to/45u5vNw



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১০-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১০-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


দেশে আগামীকাল উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর - রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ - শরীক হতে পারবেন প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি। 


প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে শেষ মুহূর্তে বাস, ট্রেন ও নৌপথে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। 


অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি সর্বদাই গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই থাকা উচিত, তবে শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র 

ঈদ-উল-ফিতর। 


গতকাল মোহালীতে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাঞ্জাব কিংসকে হারালো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।

আসলে সুখ কোথায়?,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আসলে সুখ কোথায়?


আবুল মিয়া ফর্সা মানুষ, বউটা তাহার কালো

এই কারণে বউটা বেশি ,লাগে না তার ভালো।


বউটা আবার কালো হইলেও, বড় ঘরের বেটি

বাপের ঘরে খাইছে শুধু ,বড় মাছের পেটি।


ভালো খেয়ে বড় হওয়া ,এই বেচা*রির মুখে

স্বামীর ঘরের ভর্তা ভাজি ,পান্তা কি আর ঢোকে।


বউয়ের জ্বালা জামাই গরিব, স্বামীর বউ তার কালো

দুইজনেই কয় এমন সংসার, ভেঙ্গে দেওয়াই ভালো।


দুইজনেই ভুইলা তাদের, দুই মানিকের কথা

সোনার সংসার ভেঙ্গে দিল, এ দুই মাতা পিতা।


 নিজের ভুলে পথ হারিয়ে, পথভোলা এই নারী

নিজেই নিজের ঘর ভাঙ্গিয়া, গেল বাপের বাড়ি।


ভেবেছিল ভাইয়েরা তার, আগের মতই আছে

আগের মতই বাসবে ভালো টানবে বুকের কাছে।


বাপের বাড়ি গিয়ে দেখে ভাবনাটা তার ভুল

ভাই ভাবিদের হাতে এখন ,বিষ কাঁটা আর হূল।


কথায় কথায় কথার খুটার, হূল কাঁটা দেয় গায়

পাড়াপড়শি ও কাটা গায়ে ,লবণ দিয়ে যায়।


ভাই ভাবীদের কাছ থেকে এই, আঘাত পাওয়ার পর

বুঝতে পারে স্বামীর ঘরেই, নারীর আসল ঘর।


হেলায় হেলায় ঘর ভাঙ্গিয়া ,ঘর হারা এই নারী

চোখের জলে বক্ষ ভাসায় ,বইসা বাপের বাড়ি।


ওইদিকে তার স্বামী আবার, করছে আরেক বিয়ে

বিয়ে করে পড়ছে জ্বালায়, বাচ্চা দুটো নিয়ে।


এমনিতেই এই বাচ্চা দুটোর, মা নাই তাদের কাছে

এখন আবার সৎ মা তাদের, লেগে থাকে পাছে।


খানা খাদ্য খায় না ওরা ,সারাটা দিন ঝিমায়

এদের নিয়ে বাপটা পরছে, ফাটা বাঁশের চিপায়।


চিপায় পইরা বাপটা কান্দে, বাচ্চা বাপের দোষে

মা টা কান্দে ঘর হারাইয়া, ভাইয়ের ঘরে বসে।


এই যে এত কান্নাকাটি, এত চোখের জল

সবটা হইলো হেলায় হেলায় ,ঘর ভাঙ্গিবার ফল।


কারো বুকে ঘর ভাঙ্গিবার ,স্বপ্ন যদি জাগে

এদের একটু দেইখা নিও, ঘর ভাঙ্গিবার আগে।


এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো -

 এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো - 🙂


১. মাইর খাবার পরে কাঁদলে। 

২. মাইর খাবার পর না কাঁদলে। 

৩. না-মারা সত্ত্বেও কান্নাকাটি করলে। 

৪. খেলা নিয়ে বেশি মেতে থাকলে। 

৫. খেলতে গিয়ে মাইর খেয়ে আসলে বা কাউকে মারার নালিশ আসলে। 

৬. বড়দের আড্ডায় ঢুকলে। 

৭. বড়দের কথার উত্তর না-দিলে। 

৮. বড়দের কথায় ত্যাড়া উত্তর দিলে। 

৯. অনেকদিন মাইর না-খেয়ে থাকলে। 

১০. কেউ উপদেশ দেওয়ার সময় গুনগুন করে গান করলে। 

১১. বাড়িতে অতিথি এলে বা কারও বাড়ি গিয়ে সালাম না করলে। 

১২. অতিথি এলে তাকে খাবারের প্লেট দিতে যাওয়ার সময় প্লেট থেকে খাবার মুখে দিয়ে ধরা পড়লে। 

১৩. অতিথিরা খাওয়ার সময় খাবারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলে। 

১৪. অতিথি বাড়ি চলে যাওয়ার সময় তার সাথে যাওয়ার বায়না ধরলে। 

১৫. খেতে না-চাইলে। 

১৬. সন্ধ্যা নামার আগে বাড়ি না-ফিরলে। 

১৭. প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে খেয়ে চলে এলে। 

১৮. জেদ দেখালে। 

১৯. কারও সাথে মারামারি করে হেরে এলে। 

২০. কাউকে বেশ করে পিটিয়ে এলে। 

২১. স্লো মোশনে খেলে। 

২২. ফাস্ট ফরোয়ার্ড স্কেলে খেলে। 

২৩. সকালে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে। 

২৪. রাতে ঘুমোতে না-চাইলে। 

২৫. শীতকালে গোসল করতে না চাইলে। 

২৬. গ্রীষ্মকালে বেশিক্ষন গোসল করলে। 

২৭. অন্যের গাছ থেকে আম, পেয়ারা পেড়ে খেলে। 

২৮. স্কুলে টিচারদের কাছে মার খেয়েছি খবর পেলে। 

২৯. জোরে উচ্চারণ করে না পড়ে চুপচাপ বসে পড়ার ভান ধরলে বা বিড়বিড় করে পড়লে। 

৩০. পড়ার বইয়ের মধ্যে গল্পের বই রেখে পড়ছি ধরা পড়ে গেলে। 

৩১. পরীক্ষার আগে টিভি দেখলে। 

৩২. দুধ খেতে না চাইলে। 

৩৩. আচার চুরি করে খেলে। 

৩৪. উষ্ঠা খেয়ে পড়ে গেলে উঠিয়ে আবার মারা হতো। 

৩৫. কারও বাসায় বেড়াতে গিয়ে নিজের বাসা মনে করে লন্ডভন্ড করলে। 

৩৬. স্কুলের সামনের কোনো দোকান থেকে বাকিতে কিছু খেলে বা খেলনা কিনলে।

৩৭. দুপুরে না ঘুমালে।

৩৮. পাশের বাসার কেউ পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পাইলে।

৩৯. খাতার পৃষ্ঠা নষ্ট করলে।

৪০. বই দাগাদাগি করলে। 

৪১. শোকেস থেকে নতুন প্লেট, গ্লাস বের করলে। 

৪২. পুকুরে ডুবাইতে ডুবাইতে চোখ লাল করে ফেললে।


কালেক্টেড 🙂

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...