এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৮-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৮-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


সারাদেশে চলমান তীব্র তাপদাহে জনজীবনে অস্বস্তি - আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


তীব্র তাপদাহের মধ্যে আজ খুলছে দেশের সব স্কুল-কলেজ - বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি ও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম।


ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি  - শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন ওবায়দুল কাদের।


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন।


‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি’ দিবসে আজ ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান।


কম্বোডিয়ার এক সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ সৈন্য নিহত।


 সিলেটে বাংলাদেশ ও ভারত নারী দলের মধ্যে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আজ।

রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কথায় গাঁথা সুরের মেলা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ১। Internet আবিষ্কৃত হয় 1969 সালে।

২। Email আবিষ্কৃত হয় 1971 সালে।

৩। Hotmail আবিষ্কৃত হয় 1996 সালে।

৪। Google আবিষ্কৃত হয় 1998 সালে।

৫। Facebook আবিষ্কৃত হয় 2004 সালে।

৬। Youtube আবিষ্কৃত হয় 2005 সালে।

৭। Twitter আবিষ্কৃত হয় 2006 সালে।

৮। বিশ্বে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৬৯সালে

৯। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার চালু হয়

১৯৯৩ সালে।

১০। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার সবার

জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে।

১১। বাংলাদেশে 3g চালু হয় 14

OCTOBER,2012।

১২। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম

কম্পিউটার "IBM-1620 ‘ যা স্থাপিত হয়

বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনে ১৯৬৪

সালে।

১৩। ২১মে ২০০৬ সালে কক্সবাজারের

ঝিলংজা-তে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের

মাধ্যমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলে

যুক্ত হয়।

১৪। বাংলাদেশর বিজ্ঞানীরা

প্রথমাবারের মতো ‘জীবনরহস্য‘ উন্মোচন

করেছেন মহিষের।

১৫। ২০১৩সালে দেশি পাটের জীবন রহস্য

উন্মোচনে নেতৃত্ব দেন ড মাকসুদুল আলম।

১৬। ১৯৮১ এপসন কোম্পানি সর্বপ্রথম

ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রচলন করেন তার

নামঅসবর্ন-১।

১৭। বিশ্বের একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘরটি

অবস্থিতযুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়।

১৮। বাংলা সামাজিক মাধ্যম ‘‘বেশত‘‘ চালু

হয় ২৮ ফ্রেব্রু ২০১৩।

১৯। বাংলাদেশের ‘টেলিফোন শিল্প

সংস্থা লিমিটেড(টেশিস) কর্তৃক তৈরী

প্রথম ল্যাপটপ --এর নামদোয়েল।

২০। জাতিসংঘ রেডিও বাংলা যাত্রা শুরু

করে ২১ ফ্রেব্রু:২০১৩।

২১। বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্চিন

‘‘পিপীলিকা‘‘ উদ্ধোধন করা হয় ১৩এপ্রিল,

২০১৩।

২২। বাংলাদেশে দ্রুত গতির ইন্টারনেট

‘‘ওয়াইম্যাক্স‘ চালু হয় >>June,2009, Banglalion।

২৩। বাংলাদেশে কবে , কোথায় সাইবার

ক্যাফে চালু হয় ১৯৯৯ সালে,বনানীতে।

২৪। বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন

কোম্পানীর সিটিসেল ডিজিটাল, ১৯৯৩

সাল।

২৫। বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল

টেলিফোন ব্যবস্থা চালূ হয় ৪ জানুয়ারী,

১৯৯০।

২৬। বাংলাদেশে কখন থেকে কার্ড ফোন

চালূ হয় ১৯৯২ সালে।

২৭। প্রথম ডিজিটার জেলা যশোর।

২৮। প্রথম ওয়াই ফাই নগর সিলেট।

২৯। সাইবার সিটি সিলেট।

৩০। প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

মিঠাপুকুর ,রংপুর।

=> GIF এর পূর্ণরূপ — Graphic Interchangeable

Format

=> BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap

=> JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert

Group

=> PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network

=> Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity

=> HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer

Protocol

=> HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer

Protocol Secure

=> URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator

=> IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol

=> VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information

Resource Under Seized

=> UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile

Telecommunication System

=> RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming

=> AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave

=> SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File

=> AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec

=> JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor

=> JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive

=> MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll

=> 3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation

Partnership Project

=> 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project

=> MP4 এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 video file

=> SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module

=> 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation

=> GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile

Communication

=> CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple

Access

=> AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding

=> SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash

=> WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video

=> WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio

=> WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio

1) GOOGLE : Global Organization Of Oriented

Group Language Of Earth

2) YAHOO : Yet Another Hierarchical Officious

Oracle

3) WINDOW : Wide Interactive Network

Development for Office work Solution

4) COMPUTER : Common Oriented Machine

Particularly United and used under Technical and

Educational Research

5) VIRUS : Vital Information Resources Under

Siege

6) UMTS : Universal Mobile Telecommunications

System

7) AMOLED: Active-matrix organic light-emitting

diode


 ★OLED : Organic light-emitting diode

9) IMEI: International Mobile Equipment Identity

10) ESN: Electronic Serial Number

11) UPS: uninterrupted power supply

12) HDMI: High-Definition Multimedia Interface

13) VPN: virtual private network

14) APN: Access Point Name

15) SIM: Subscriber Identity Module

16) LED: Light emitting diode

17) DLNA: Digital Living Network Alliance

18) RAM: Random access memory

19) ROM: Read only memory

20) VGA: Video Graphics Array

21) QVGA: Quarter Video Graphics Array

22) WVGA: Wide video graphics array

23) WXGA: Wide screen Extended Graphics Array

24) USB: Universal serial Bus

25) WLAN: Wireless Local Area Network

26) PPI: Pixels Per Inch

27) LCD: Liquid Crystal Display

28) HSDPA: High speed down-link packet access

29) HSUPA: High-Speed Uplink Packet Access

30) HSPA: High Speed Packet Access.

কথায় গাঁথা সুরের মেলা 


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৭-০৪-২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৭-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:…


প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান। 


ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক - পারস্পরিক সহযোগিতায় ৫টি দলিল স্বাক্ষরিত। 


উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে - আবারো হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের। 


জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডে সহায়তা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে - বার্লিনে জলবায়ু সংলাপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বললেন সাবের হোসেন চৌধুরী। 


মাদক পাচার ও মাদকের অপব্যবহার শীর্ষক মরিশাসে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। 


ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 


বিপিএল ফুটবলে আজ দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি খেলা।

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সিমেন্ট এর বস্তার গায়ে উপাদান এর পরিমাণ দেয়া থাকেঃ আসুন দেখে নেই এর কার্যাবলি কি এবং কেমন......

 সিমেন্ট এর বস্তার গায়ে উপাদান এর পরিমাণ দেয়া থাকেঃ আসুন দেখে নেই এর কার্যাবলি কি এবং কেমন......


১। লাইম বা চুন (CaO) : সিমেন্টে প্রায় ৬৩% চুন থাকে। ক্যালসিয়াম সিলিকেট ও ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট তৈরির জন্য পর্যাপ্ত চুন থাকা আবশ্যক। এর পরিমাণ কম হলে সিমেন্টের শক্তি হ্রাস পায় এবং জমাটবদ্ধতার সময় ত্বরান্বিত করে। চুনের পরিমাণ অধিক হলে সিমেন্ট খুঁতযুক্ত হয় এবং এর প্রসারণ ও সংসক্তি হারিয়ে ফেলে।


২। সিলিকা (SiO2) : সিমেন্টে প্রায় ২২% সিলিকা থাকে। এটা চুনের উপস্থিতিতে ডাই-ক্যালসিয়াম সিলিকেট ও ট্রাই- ক্যালসিয়াম সিলিকেটে রূপান্তরিত হয়। এটা সিমেন্টের শক্তি বৃদ্ধি করে।


৩। অ্যালুমিনা (Al2O3) ঃ সিমেন্টে প্রায় ৭% অ্যালুমিনা থাকে। এটা ক্লিংকার গঠনের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং সিমেন্টের অন্যান্য যৌগকে সহজে পানির সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটা সিমেন্টের জমাটবদ্ধতা ত্বরান্বিত করে। এটার আধিক্য সিমেন্টকে দুর্বলকরে।


৪। ম্যাগনেশিয়া (MgO) : সিমেন্টে ম্যাগনেশিয়ার পরিমাণ ২% এর অধিক হওয়া উচিত নয়। এটার আধিক্য সিমেন্টের জন্য ক্ষতিকর এবং এটা সিমেন্টের শক্তি কমিয়ে দেয় ।


৫। আয়রন অক্সাইড (Fe2O3) : সিমেন্টে আয়রন অক্সাইডের পরিমাণ প্রায় ৩%। এটা সিমেন্টের কাঠিন্য ও শক্তি উন্নত করে।সিমেন্টের বর্ণও এটার উপর নির্ভর করে। আয়রন অক্সাইড উচ্চতাপে ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনার সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাই ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনোফেরাইট গঠন করে। এ যৌগটির উপরই সিমেন্টের শক্তি ও কাঠিন্য নির্ভর করে।


৬। ক্যালসিয়াম সালফেট (CaSO4) বা জিপসাম : সিমেন্টে ক্যালসিয়াম সালফেটের পরিমাণ প্রায় ৮%। এটা জিপসাম (CaSO4, 2H2O) হিসেবে সিমেন্ট ক্লিংকারের সাথে মিশিয়ে মিহি পাউডারে পরিণত করা হয়। এটা সিমেন্টের জমাটবদ্ধতার গতি মন্থর করে । সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে ৩-৪% জিপসাম মিশালে প্রাথমিক জমাটবদ্ধতার সময় 30 মিনিটের কম হয় না এবং চূড়ান্ত জমাটবদ্ধতার সময় ১০ ঘণ্টার অধিক হয় না ।


৭। সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO) : সালফার ট্রাই-অক্সাইডের পরিমাণ ২% এর অধিক হওয়া অনুচিত। এর আধিক্য সিমেন্টকে খুঁতযুক্ত করে।


৮। ক্ষারকীয় দ্রব্য : ক্ষারকীয় দ্রব্যের পরিমাণ ১% এর অধিক হওয়া অনুচিত। সিমেন্টের কাঁচামালে যে ক্ষারকীয় দ্রব্য থাকে পোড়ানোর সময় তা দূরীভূত হয়। এটার আধিক্য নির্মাণকে লোনাক্রান্ত করে।



গৌড় মালদহের ভুলে যেতে বসা এক ইতিহাস... 

 গৌড় মালদহের ভুলে যেতে বসা এক ইতিহাস... 


গৌড় বাংলার এককালীন রাজধানী এবং অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি নগর যার অবস্থান বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। এটি লক্ষণাবতী বা লখনৌতি নামেও পরিচিত। প্রাচীন এই দুর্গনগরীর অধিকাংশ পড়েছে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় এবং কিছু অংশ পড়েছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। শহরটির অবস্থান ছিল গঙ্গানদীর পূর্ব পাড়ে, রাজমহল থেকে ৪০ কিমি ভাটিতে এবং মালদার ১২ কিমি দক্ষিণে। তবে গঙ্গা নদীর বর্তমান প্রবাহ গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে অনেক দূরে।

পাণিনির ব্যাকরণে, কৌটিল্যের অর্থ শাস্ত্রে বাৎসায়নের কামসূত্রে গৌড়পুর বা গৌড়ের নাম পাওয়া যায়। বাৎস্যায়নের কামসূত্র-এ গৌড়ের সমৃদ্ধির কথা বিশেষভাবে জানা যায়। এই গ্রন্থমতে বঙ্গ থেকে দক্ষিণ কলিঙ্গ পর্যন্ত গৌড়ের বিস্তার ছিল। হর্ষবর্ধনের অনুশাসনলিপি থেকে জানা যায়, মৌখরীর রাজা ঈশান বর্মণ গৌড়বাসীকে পরাজিত করে সমুদ্র পর্যন্ত বিতারিত করেন। এই লিপি অনুসারে ধারণা করা যায়, গৌড় সুমুদ্রের নিকটবর্তী এলাকায় ছিল। রাষ্ট্রকূট-রাজ প্রথম অমোঘবর্ষের অনুশাসনলিপিতে মুর্শিদাবাদকে এর একটি অঞ্চল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এই অনুশাসনে এক বলা হয়েছে 'গৌড়-বিষয়'। সম্ভবত এই 'গৌড়-বিষয়' থেকে গৌড়দেশ নামটি সৃষ্টি হয়েছিল। বরাহমিহির তাঁর বৃহৎ-সংহিতা গ্রন্থে গৌড়কে পুণ্ডবর্ধন, সমতট, তাম্রলিপ্ত প্রভৃতি অঞ্চল থেকে পৃথক এলাকা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।


ইতিহাস:-


শক্তিসঙ্গমতন্ত্র মতে গৌড়ের অনুসারে গৌড় ছিল বিস্তীর্ণ জনপদ। কুর্ম ও লিঙ্গপুরাণ মতে, সূর্যবংশীয় শ্রাবস্তী পুত্র বংশক গৌড়দেশে শ্রাবস্তী নগরী তৈরি করেন। বর্তমানে এই প্রাচীন নগরী অযোধ্যা প্রদেশের অন্তর্গত। স্কন্দপুরাণে  সারস্বত, কনোজ, উৎকল, মিথিলা ও গৌড় অঞ্চলের বসবাসকারী ব্রাহ্মণদেরকে বলা হয়েছে পঞ্চগৌড় ব্রাহ্মণ। এর ভিতরে মিথিলা ও বঙ্গের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ছিল গৌড়। বাণভট্টের শ্রীহর্ষচরিতে পাওয়া যায়, রাজ্যবর্ধন ও হর্ষবর্ধনের সময় গৌড়ে নরেন্দ্রগুপ্ত নামক একজন রাজা ছিলেন।


আধুনিক ঐতিহাসকদের মতে খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রাজা স্কন্ধগুপ্ত (৪৫৫-৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দ)-এর মৃত্যুর পর পরবর্তী অযোগ্য শাসকরা রাজত্ব করেন। এই সময় গুপ্তরাজ বংশের উত্তরাধিকারদের মধ্যে আত্মকলহের সুযোগে সাম্রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে একাধিক রাজবংশের উত্থান ঘটে। হুনরা গান্ধার, পাঞ্জাব থেকে শুরু করে মালব পর্যন্ত দখল করে। এর পাশাপাশি দক্ষিণে বলভীর  মৈত্রবংশ, থানেশ্বররের পুষ্যভূতি বংশ, কনৌজের মৌখরীবংশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। এই রাজ্য দুটি হলো- স্বাধীন বঙ্গরাজ্য ও স্বাধীন গৌড়রাজ্য।


৫২৫ থেকে ৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে বঙ্গরাজ্য প্রবল দাপটে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সময় পৃথক রাজশক্তি হিসেবে গৌড় ততটা শক্তিশালী ছিল না। এরপর চালুক্য-রাজ কীর্তিবর্মণ-এর আক্রমণে বঙ্গরাজ্য হীনবল হয়ে পড়ে। কিন্তু গৌড় শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয় এবং বঙ্গরাজ্যের একটি অংশ গৌড়রাজ্য দখল করে। এই সময় উত্তর ভারতের রাজা মৌখরী গৌড়রাজ্য বারবার আক্রমণ করতে থাকে।  মৌখরী রাজ বংশের ঈশান বর্মণ গৌড় রাজাকে পরাজিত করে, তাঁর রাজ্য থেকে বিতারিত করেন। একই সময় চালুক্য রাজারাও গৌড় আক্রমণ করা শুরু করে। ফলে অচিরেই গৌড়রাজ্য ক্ষীণবল হয়ে পড়ে।


গৌড়রাজ্যের এই হীনাবস্থার ভিতরে শশাঙ্কের গৌড়ের রাজা হন। সম্ভবত তিনি মগধ ও গৌড়ের অধিপতি মহাসেনের অধীনে মহাসামন্ত হিসেবে কিছুদিন রাজ্য শাসন করেন। তিনি উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের গুপ্তবংশীয় শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে, ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে গুপ্তশাসকদের নিয়ন্ত্রণ থেকে গৌড়কে মুক্ত করে একটি স্বাধীন রাজ্যের পত্তন ঘটিয়েছিলেন। গঞ্জামের তাম্রলিপি থেকে জানা যায়, শশাঙ্ক ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ। ধারণা করা হয়— পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গা'র (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেলস্টেশনের কাছে কর্ণসুবর্ণ ছিল।


শশাঙ্কের মৃত্যুর পর কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মন কর্ণসুবর্ণকে নিজের রাজ্যভুক্ত করেছিলেন। ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর শশাঙ্কের মানবদেব নামক এক পুত্র রাজ্য পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর জয়নাগ নামক জনৈক সামন্ত গৌড়ের সিংহাসনে বসেন। তিনি  ভাস্করবর্মনের অধিকারভুক্ত থেকে কর্ণসুবর্ণকে মুক্ত করেন। এই রাজা নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন। তবে জয়নাগ সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানা যায় না।


সেন শাসনামলে লক্ষ্ম‌ণাবতী বা লখনৌতি উন্নতি লাভ করে।লক্ষনাবতী নগরের নামকরণ করা হয়েছে সেন রাজা লক্ষ্মণ সেনের নামানুসারে। সেন সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনের আগে গৌড় অঞ্চলটি পাল সাম্রাজ্যের অধীনের ছিল এবং সম্ভবত রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল এর প্রশাসনিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ শহর থেকে দশ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় ও পাণ্ডুয়া (প্রাচীন নাম গৌড়নগর ও পাণ্ডুনগর )। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ যুগে পাল বংশের রাজাদের সময় থেকে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে (৬০৫ বঙ্গাব্দে) মুসলমান শাসকেরা গৌড় অধিকার করবার পরেও গৌড়েই বাংলার রাজধানী থেকে যায়। ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ (৭৫৭ বঙ্গাব্দ) থেকে রাজধানী কিছুদিনের জন্য পাণ্ডুয়ায় স্থানান্তরিত হলেও ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে (৮৬০ বঙ্গাব্দে) আবার রাজধানী ফিরে আসে গৌড়ে, এবং গৌড়ের নামকরণ হয় জান্নাতাবাদ।

অনুমান করা হয় ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মধ্যে বিজয়নগর (বিজয় সেনের এর প্রতিষ্ঠিত নগর) ও গৌড় সবথেকে নগরায়িত বলে সুপরিচিত ছিল।


বড় সোনা মসজিদ বা বারো দুয়ারী:-


গৌড়ের স্থাপত্য কীর্তিগুলির মধ্যে এটি সবথেকে বড়। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এটির নির্মাণ কার্য্য শুরু করলেও তিনি এ কাজ সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। তার পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন (নুসরাত শাহ) ১৫২৬ সালে এই কাজ সম্পন্ন করেন। এর উচ্চতা ২০ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৬৮ ফুট ও প্রস্থ ৭৬ ফুট।


দাখিল দরওয়াজা:-


এটি গৌড় দুর্গে প্রবেশের প্রধান দ্বার। এটি ৬০ ফুট উঁচু ও ৭৩ ফুট চওড়া এই দরওয়াজাটি ছোট ছোট ইট ও পাথর দিয়ে তৈরী করেছিলেন সম্ভবতঃ সুলতান রুকনউদ্দীন (বারবক শাহ)। ভিতরের পথটি বেশ চওড়া, তাই সওয়ারী সহ হাতি অনায়াসে এই দরওয়াজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারতো। এই দরজার দুপাশ থেকে তোপধ্বনি করে সুলতান ও ঊর্ধ্বতন রাজপুরুষদের সম্মান প্রদর্শন করা হত। তাই এই দরওয়াজার আর এক নাম সেলামী দরওয়াজা।


লোটন মসজিদ:-


কোতোয়ালি দরওয়াজা থেকে ১ কিমি উত্তরে রয়েছে এই লোটন মসজিদ। এখানে ইঁটের উপর রংবেরঙের মীনার কারুকার্য ছিল, বর্তমানে যার প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই, তবে খুব ভাল করে দেখলে বোঝা যায় এর সামান্য অস্তিত্ব । ছাদের গম্বুজের নিচের দিককার সৌন্দর্য অপূর্ব।


লুকোচুরি দরওয়াজা:-


১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দে (১০৬২ বঙ্গাব্দে) বাংলার সুবেদার শাহ সুজা গৌড় দুর্গে প্রবেশ করবার জন্য এই লুকোচুরি দরওয়াজাটি তৈরি করেন। উচ্চতা ৬৫ ফুট ও চওড়া ৪২ ফুট। দুইদিকে প্রহরীদের ঘর ও ওপরে নহবতখানা আছে।


কদম রসুল মসজিদ:-


লুকোচুরি ফটক বা দরোয়াজা দিয়ে গৌড় দুর্গে ঢোকার পর ডানদিকে রয়েছে কদমরসুল সৌধ। এখানে রয়েছে হজরত মুহাম্মদের পদচিহ্ন, যেটা সুদূর আরব থেকে পীর শাহ জালাল ইয়েমেনী এনেছিলেন পাণ্ডুয়ার বড় দরগায়, সেখান থেকে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এটিকে নিয়ে আসেন গৌড় দুর্গে। তার পুত্র সুলতান নসরত শাহ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে (৯৩৭ বঙ্গাব্দে) একটি কষ্ঠি পাথরের বেদির ওপর পদচিহ্নটি স্থাপন করে তার ওপর কদম রসুল সৌধ নির্মাণ করেন।


চিকামসজিদ :-


এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই স্থাপত্যটি ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে (৮৫৭ বঙ্গাব্দে) তৈরি। পূর্বে এটি সম্ভবত সমাধিস্থল ছিল। তবে কথিত আছে যে সম্রাট হুসেন শাহ এটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করতেন। স্থাপত্যটির ভিতরের দেয়ালে অনেক হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি রয়েছে। পরবর্তী কালে এখানে চামচিকার উপদ্রব শুরু হলে এর নাম হয় চামকান মসজিদ বা চিকা(চামচিকা থেকে) মসজিদ।


বিশেষ অনুরোধ :

সংগৃহীত তথ্যে কোনো ভুল থাকলে দয়া করে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। এই পোস্টটি করার উদ্দ্যেশ্য অতীত ইতিহাস কে জানার চেষ্টা ও তার স্বল্প পরিসরে বিস্তার, যদি কারো কে কিছু সংযোজন করতে হয় ইনবক্স বা কমেন্ট এ আহ্বান জানাই।

পোকা চেনার উপায় : 

 মিলিবাগ দমনে করণীয়।


পোকা চেনার উপায় : 


চুনের মত সাদা বর্ণের এবং মোম জাতীয় পাউডার দ্বারা নরম দেহ আবৃত থাকে।


ক্ষতির ধরণ : 


এরা কচি ফল, পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়, ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়া দেখা যায়।এর আক্রমণে পাতা ঝরে যেতে থাকে এবং ডাল মরে যায়।এভাবে এক সময় পুরো গাছই মরে যায়।


ব্যবস্থাপনা :


আক্রান্ত গাছ টি, প্রথমেই অন্যান্য গাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে।


আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন: ইমিটাফ বা, এডমায়ার বা, টিডো বা, নাইট্রো )

১ লিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে আক্রান্ত স্থানে।


ওষুধ স্প্রে করার সঠিক সময়: 


বিকাল/সন্ধ্যা বেলায়। (রোদের ভেতরে কখনো কীটনাশক স্প্রে করা যাবে না।এতে পাতা বার্ন হয়ে যাবে।)


যে ডাল গুলো বেশি মিলিবাগ আক্রান্ত সেই ডাল গুলো গাছ থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে।


পূর্ব-প্রস্তুতি :


নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।গাছের ডাল গুলো রেগুলার চেক করুন।সাদা সাদা মতো কিছু দেখলে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।

প্রতি ১০ / ১৫ দিন পর পর নিম তেল স্প্রে করুন সব গাছে।


মিলিবাগ দমনে ঘরোয়া উপায়:


সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় (ডিটারজেন্ট বা লিকুইড ভিম বা স্যাম্পু মেশানো পানি বেশি ভালো হয়)

অথবা নিম তেল আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুঁড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

আক্রান্ত অংশ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করতে হবে।


খুব জোরে পানি স্প্রে করেও প্রাথমিক অবস্থায় এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


বি.দ্রঃ একদম কম আক্রান্ত হলে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলেই হয়, কিন্তু আক্রান্ত বেশি হলে গাছ ফেলে দিতে হবে অথবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে।

কবিত্ব যে মারাত্মক একটা অসুখ সে বিষয়ে তাঁর মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না

 কবিত্ব যে মারাত্মক একটা অসুখ সে বিষয়ে তাঁর মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না। মনে করতেন প্রতিভা এক ধরনের পাগলামি। অথচ যেদিন বায়রণের' Corsair ' প্রকাশ হল সেদিন বিক্রি হল দশ হাজার কপি। সেকাল কেন একালেও কোন কবির কবিতার বই একদিনে অত কপি বিক্রি স্বপ্ন।


লোকে বায়রণের কবিতা পড়তেন মন্ত্রমুগ্ধের মত, কবিতাই ছিল তাঁর অসাধারণ জনপ্রিয়তার মূল কারণ, কবিতার নায়ক হিসেবে পাঠকরা বায়রণকে ভেবে নিতেন। স্বয়ং গ্যেটে বায়রণ সম্পর্কে বলেছিলেন লোকে ইংরেজরা যাই বলে বলুক ইংল্যান্ডের সত্যি যদি কিছু দেখাবার থাকে তবে শেকসপীয়রের পরে বায়রণ।হয়ত বায়রণের কবিতার প্রথম দিকের দ্যুতি আজ আর নেই,কবিত্বের বিচারে তিনি শেলী,কীটসের নীচে! কিন্তু রোম্যান্টিক কবির মূর্তি হিসেবে নিঃসঙ্গ এবং রহস্যময় জীবন কাটানোর জন্য বায়রণ চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। তখন বায়রণের পর পর কাব্যগ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়েছে।শেলী,কিটসের মত দুজন তরণ আব্যপ্রয়াসী অপলক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলেন বায়রণকে।তারা মনে করতেন বায়রণ তাদের চেয়ে অনেক বড় কবি। স্বয়ং কিটস বলেছিলেন " হায় আমি যদি বায়রণের মত লিখতে পারতাম। 


কাব্য প্রতিভা প্রকাশের আগেই বায়রণের প্রেমিক প্রতিভার বিকাশ।ষোলো বছর বয়সে প্রথমবার উন্মত্ত ভালবাসায় পড়েছিলেন। প্রেমিকার নাম মেরি সাওয়ার্থ।ট্রিনিটি কলেজে পড়ার সময় কবিতার বই প্রকাশ হল বায়রণের। আপত্তি উঠল সেই বই নিয়ে, নিজের হাতে বায়রণ বইয়ের সব কপি পুড়িয়ে ফেললেন। মেয়েরা সত্যি চুম্বকের মত তাঁকে টানত, অনেক রমণীর সাথে বায়রণ সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে সর্বাগ্ৰে নাম করতে হয় ক্যারোলিনের। বায়রণকে চোখে দেখার আগে তিনি তিনি তাঁর কবিতা পড়ে তাঁর সম্বন্ধে জেনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। নির্লজ্জতা ছিল ক্যারোলিনের, বায়রণের প্রতি উন্মাদ ভালবাসা জানাতে তিনি কখনও স্থান কাল পাত্রের তোয়াক্কা করেন নি।সব পার্টিতে বায়রণের কণ্ঠলগ্না হয়ে থাকতেন।এমন কি নিজের সব রত্ন অলঙ্কার প্রেমিক কে দিতে চেয়েছিলেন। উভয়ের প্রকাশ্য প্রেমলীলায় দেশে ঢি-ঢি পড়ে গেল। তবে শ্রেষ্ঠ কবি আর অভিজাত পরিবারের রমণীর প্রেমে এল বাধা এল, লন্ডনে গসিপ চর্চার বিষয় বায়রণের প্রেম। সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত তিক্ত হল। ওদিকে বায়রণকে বিয়ে করলেন অ্যান ইসাবেলা মিলব্যাঙ্ক।


তবে তারা সুখী হননি,মিলব্যাঙ্ক একদিন বায়রণ কে ছেড়ে গেলেন।মানুষ হিসেবে বায়রণ ছিলেন সংবেদনশীল,স্বভাবে বেপরোয়া হলেও উদার, অভিমানী।একের পর এক কাব্যগ্ৰন্থে তখন অসমান্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীতে সবার সব দিন সমান যায় না। বায়রণের জন্য ইংল্যান্ড আর নিরাপদ নয়।কারণ নেপোলিয়ন কে তিনি পছন্দ করতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠল সেই সব অভিযোগ প্রায় রাজদরবারে পৌঁছে যায়। তবে আদালতের কাঠগড়ায় না উঠলেও জনগণের বিচারে তিনি দোষী। শেষ পর্যন্ত কবি যেদিন মাতৃভূমি ছাড়লেন সেদিন বায়রণ কে দেখে অসংখ্য রমণী চোখের জল ফেলে।প্রেমিকারা বায়রনের জন্য কী-ই না করেছে। যেমন এক অভিজাত পরিবারের সুন্দরী মহিলা বায়রনকে প্রেম নিবেদন করার জন্য বালকের ছদ্মবেশ ধরেছিল। আবার কেউ প্রেম নিবেদনের জন্য  ইংল্যান্ড থেকে ইতালি পর্যন্ত পুরো রাস্তা তার পিছু নিয়েছিল।

সেই বছর বায়রণের শ্রেষ্ঠ কাব্য 'ডন'প্রকাশিত হয়।জেনিভায় এসে শেলীর সাথে বন্ধুত্ব হল।প্রবাসেও তিনি অনেক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।কুমারীর থেকে বিবাহিতা রমণীর সাথে তাঁর সম্পর্ক হয়েছে।গ্ৰীসের প্রতি তীব্র ভালবাসা ছিল তখন তুর্কীদের আক্রমনে গ্ৰীস বিপর্যস্ত। সেইসময় শরীর অসুস্থ হয়, মৃত্যুর আগে বারবার বলেছেন কেন একবার দেশে ফিরলেন না। তবে মাতৃভূমিতে না ফিরলেও ভাবপ্রবণ জনপ্রিয় ইংরেজ কবি লর্ড বায়রন- ‘ইংল্যান্ডের রোমিও’ হিসেবে জনপ্রিয়।ইংরেজি সাহিত্যের সর্বকালের সর্বাধিক আলোচিত কবিদের একজন লর্ড বায়রন। প্রয়াত হয়েছিলেন  ১৯ এপ্রিল বয়স তখন মাত্র ৩৬ বছর ।কবির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।।


পুস্তক ঋণ,বরণীয় মানুষ,স্মরণীয় বিচার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

Immage courtesy- Wikipedia

জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার: আজ ২২ এপ্রিল। ১৯০৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন 

 জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার:


আজ ২২ এপ্রিল। ১৯০৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন 

জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার (২২ এপ্রিল, ১৯০৪-ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৯৬৭)। তিনি ছিলেন একজন পদার্থবিদ এবং ম্যানহাটন প্রকল্পের পরিচালক। এই ম্যানহাটন প্রকল্পই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়।


জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার নিউ ইয়র্ক সিটিতে ২২ এপ্রিল, ১৯০৪-এ এলা ফ্রিডম্যান, একজন শিল্পী এবং জুলিয়াস এস. ওপেনহেইমার, একজন টেক্সটাইল ব্যবসায়ীর কাছে জন্মগ্রহণ করেন। ওপেনহাইমাররা ছিল জার্মান-ইহুদি অভিবাসী কিন্তু ধর্মীয় ঐতিহ্য বজায় রাখে নি। ওপেনহাইমার নিউইয়র্কের এথিক্যাল কালচার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। যদিও জে. রবার্ট ওপেনহেইমার বিজ্ঞান এবং মানবিক উভয়ই সহজে আঁকড়ে ধরেছিলেন (এবং বিশেষত ভাষায় ভাল ছিলেন), তিনি ১৯২৫ সালে হার্ভার্ড থেকে রসায়নে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন।


ওপেনহাইমার তার পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং জার্মানির গোটিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ডক্টরেট অর্জনের পর, ওপেনহাইমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং বার্কলেতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়ান। তিনি একজন সু-সম্মানিত শিক্ষক এবং একজন গবেষণা পদার্থবিদ উভয়ের জন্যই সুপরিচিত হয়েছিলেন - একটি সাধারণ সমন্বয় নয়। ১৯৪০সালে, ওপেনহাইমার ক্যাথরিন পিউনিং হ্যারিসনকে বিয়ে করেন এবং তাদের জ্যেষ্ঠ সন্তানের জন্ম হয়। হ্যারিসন, বার্কলেতে একজন উগ্র ছাত্র, ওপেনহাইমারের বন্ধুদের মধ্যে অনেক কমিউনিস্টদের একজন ছিলেন।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খবর আসে যে নাৎসিরা পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও আমেরিকানরা ইতিমধ্যে পিছনে ছিল, তারা বিশ্বাস করেছিল যে তারা নাৎসিদের প্রথমে এত শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করার অনুমতি দিতে পারবে না। ১৯৪২ সালের জুনে, ওপেনহাইমারকে ম্যানহাটন প্রকল্পের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছিল, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের দল যা একটি পারমাণবিক বোমা তৈরিতে কাজ করবে।ওপেনহাইমার নিজেকে এই প্রকল্পে নিক্ষেপ করেছিলেন এবং নিজেকে শুধুমাত্র একজন উজ্জ্বল বিজ্ঞানীই নয়, একজন ব্যতিক্রমী প্রশাসক হিসেবেও প্রমাণ করেছিলেন। তিনি লস আলামোস, নিউ মেক্সিকোর গবেষণা কেন্দ্রে দেশের সেরা বিজ্ঞানীদের একত্রিত করেন।


তিন বছরের গবেষণা, সমস্যা সমাধান এবং মূল ধারণার পর, প্রথম ছোট পারমাণবিক যন্ত্রটি ১৬ জুলাই, ১৯৪৫-এ লস আলামোসের ল্যাবে বিস্ফোরিত হয়। তাদের ধারণা কাজ করে প্রমাণ করার পরে, ট্রিনিটি সাইটে একটি বড় আকারের বোমা তৈরি করা হয়েছিল এবং বিস্ফোরিত হয়েছিল। এক মাসেরও কম সময় পরে, জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল ।


বোমাগুলো যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তাতে অস্থির ওপেনহাইমার। তিনি নতুন কিছু তৈরি করার চ্যালেঞ্জে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মধ্যে প্রতিযোগিতায় এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলেন যে তিনি-এবং অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানী এই প্রকল্পে কাজ করছেন-এই বোমাগুলির কারণে যে মানবিক ক্ষতি হবে তা বিবেচনা করেননি।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর, ওপেনহাইমার আরও পারমাণবিক বোমা তৈরির বিরোধিতা শুরু করেন এবং বিশেষভাবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী বোমা তৈরির বিরোধিতা করেন, যা হাইড্রোজেন বোমা নামে পরিচিত।

দুর্ভাগ্যবশত, এই বোমাগুলির উন্নয়নে তার বিরোধিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তি কমিশনকে তার আনুগত্য পরীক্ষা করতে বাধ্য করে এবং ১৯৩০-এর দশকে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কমিশন ১৯৫৪ সালে ওপেনহাইমারের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।


১৯৪৭ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত, ওপেনহেইমার নিউ জার্সির প্রিন্সটনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৩ সালে, পারমাণবিক শক্তি কমিশন পারমাণবিক গবেষণার উন্নয়নে ওপেনহেইমারের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাকে মর্যাদাপূর্ণ এনরিকো ফার্মি পুরস্কার প্রদান করে।


ওপেনহাইমার তার অবশিষ্ট বছরগুলি পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা এবং বিজ্ঞানীদের সাথে সম্পর্কিত নৈতিক দ্বিধাগুলি পরীক্ষা করে কাটিয়েছেন। ওপেনহাইমার ১৯৬৭ সালে ৬২ বছর বয়সে গলার ক্যান্সারে মারা যান।

জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৯ কৌশল-??

 জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৯ কৌশল-??


>>>১. মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে।


২. বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।


৩. ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।


৪. যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।


৫. পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।


৬. ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম।


৭. রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।


৮. এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়।


৯. দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।


নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।

><>এই বিষয় গুলো লক্ষ করলে কমে যাবে আপনার বিদুৎ বিল

><>ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন



কলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন‌ই শুরু হয় না তাঁদের জন্য।

 কলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন‌ই শুরু হয় না তাঁদের জন্য।

কলগেট জিনিসটা আগে মাজন ছিল না, ছিল সাবান। কি ভাবছেন, ছিল সাবান, হয়ে গেল টুথপেস্ট? না না, একটা লোকের পদবি ছিল কলগেট। ইংল‍্যাণ্ডের লোক ছিলেন রবার্ট কলগেট ( ১৭৫৮ - ১৮২৬)। তাঁর বৌয়ের নাম ছিল সারা বাউলস। রবার্ট সাহেব ছিলেন কৃষিজীবী মানুষ। কিন্তু তাঁর দোষ ছিল তিনি পলিটিক্স নিয়ে ভাবতে ভালবাসতেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের গুণগ্রাহী ছিলেন আর আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থক। এই অপরাধের দরুণ ইংল্যান্ডের বুকে আর তাঁর থাকার সুবিধা হল না। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। তাড়া খেয়ে চাটিবাটি গুটিয়ে রবার্ট সাহেব বৌ বাচ্চা সমেত পাড়ি দিলেন আমেরিকায়। সেখানে মেরিল্যান্ড প্রদেশের বাল্টিমোরে ঠাঁই নিলেন। সেটা ১৭৯৮ এর মার্চ মাস। ওখানে তিনি আরেকটি লোকের সঙ্গে পার্টনারশিপে সাবান আর মোমবাতি তৈরির কারখানা ফাঁদলেন। পরে চলে গেলেন নিউ ইয়র্কের ডেলাওয়ার কাউন্টিতে। পার্টনারশিপ কারবার দু বছরের বেশি টিঁকল না। তারপর তাঁর ছেলে উইলিয়াম কলগেট একটা সাবান তৈরির কারখানায় শিক্ষা নবিশিতে লাগলেন। সেটা ১৮০৪। এই উইলিয়াম কলগেট (২৫ জানুয়ারি, ১৭৮৩ - ২৫ মার্চ, ১৮৫৭) গোড়াপত্তন করলেন কলগেট পামোলিভ কোম্পানির। ১৯৫০ এর দিকে কপিরাইটার অ্যালিসিয়া টোবিন বিজ্ঞাপন করেছিলেন It Cleans Your Breath While It Cleans Your Teeth"। আর ক্রমেই দাঁতের মাজন হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল কলগেট। এমনকি অতি সাধারণ মানুষের কাছে কলগেট হয়ে গেল দাঁতের মাজনের প্রতিশব্দ।

এখন কলগেট পামোলিভ একটা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ এ জানা গিয়েছে চৌত্রিশ হাজার কর্মচারী এই সংস্থায় বেতনভুক হিসেবে কাজ করে। এই কোম্পানির নেট আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার, আর এদের সম্পত্তির মোট অর্থমূল‍্য হল ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার। কলগেট পামোলিভ কোম্পানির হেড কোয়ার্টারের ঠিকানা হল ৩০০, পার্ক অ্যাভিনিউ, মিডল টাউন, ম‍্যানহাটান, নিউ ইয়র্ক, ১০০২২, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। 

আজ থেকে ২১৮ বছর আগে ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম কলগেট সাবান আর বাতি তৈরির   ব‍্যবসা ফাঁদেন। তার চৌদ্দ বছর পর তিনি সাবান তৈরির কারখানা খুললেন। গোড়ায় অবশ‍্য তিনি একটা সাবান তৈরির কারখানায় বয়লার ঘরে শিক্ষা নবিশ হিসাবে কাজ শিখেছিলেন। আজ থেকে ১৫১ বছর আগে ১৮৭৩ এ উইলিয়াম কলগেট মারা যাবার অনেকদিন পর কাচের জারে করে সুগন্ধি টুথপেস্ট বিক্রি শুরু করে কলগেট। ১৮৯৬ তে সেই টুথপেস্ট টিউবে ভরে বিক্রি করা শুরু হল। 

গোড়ায় পামোলিভ বলে কিছু ছিল না। ১৮৯৮ তে পাম তেল আর অলিভ তেল থেকে সাবান তৈরির ফরমূলা তৈরি করলেন বারডেট জে জনসন। তিনি উইসকনসিন প্রদেশের মিলাওয়াকিতে পামোলিভ নামে কারবার ফা়ঁদলেন। ১৯২৮ এর পহেলা জুলাই কলগেট আর পামোলিভ আর পীট একজোট হল। আর ১৯৫৩ তে কারবারের নাম হল কলগেট পামোলিভ।

কলগেটের গোড়াপত্তন করেছিলেন যিনি এটি তার ছবি,, ছবিটি কলগেটের মৃত্যুর অনেক পরে আঁকা।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...