এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

রবিঠাকুরের আদরের কণ্যা মাধুরীলতা দেবীর আজ ১৬/০৫/ ১০৬-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 রবিঠাকুরের আদরের কণ্যা মাধুরীলতা দেবীর আজ ১০৬-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি। 

      🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

মাধুরীলতা দেবী (বেলা) ঠাকুর। (জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৮৮৬—মৃত্যু: ১৬ মে ১৯১৮ সাল)। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দে ভাসিয়েছিল যে শিশু মেয়েটি, তার নাম কবি রেখেছিলেন ‘মাধুরীলতা’, তার ডাক নাম ছিল ‘বেলা’।

মাধুরীলতা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর জন্মের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বছর। মৃণালিনীর তখনো ১৩ পূর্ণ হয়নি।

কবির একান্ত স্নেহের দুলালী মাধুরীলতা বা বেলা ছিলেন অপরূপ সুন্দরী ও বুদ্ধিমান। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মাসহ বাড়ির আর সবারই প্রিয় ছিলেন, সবার কাছ থেকেই প্রচুর আদর পেতেন বেলা।

বাবা রবীন্দ্রনাথ যখন জমিদারি পরিদর্শনের জন্য মহালে যেতে আরম্ভ করেন, মাধুরীলতার বয়স তখন বছর চারেক। তখন থেকেই তিনি বাবাকে চিঠি লিখতে শুরু করেন। জোড়াসাঁকোয় রচিত, কবির বিখ্যাত কবিতা, ‘যেতে নাহি দিব,–তে ‘কন্যা মোর চারি বছরের’ উল্লেখে স্পষ্টই, কবিতাটি মাধুরীলতার কথা মনে করেই লেখা। তাঁর কাবুলিওয়ালা গল্পের ‘মিনি’ চরিত্রটি সম্পর্কে তিনি নিজেই হেমন্ত বালা দেবীকে চিঠিতে লিখে জানিয়েছিলেন—

‘মিনি আমার বড় মেয়ের আদর্শে রচিত, বেলাটা ঠিক অমনি ছিল। মিনির কথায় প্রায় বেলার কথাই সব তুলে দিয়েছি।’

শুধু সৌন্দর্য বা বুদ্ধিতে নয়, বালিকা মাধুরীলতার স্বভাবও ছিল স্নেহশীল ও দয়ালু। আর কেবল মানুষের প্রতি নয়, কীট পতঙ্গ অবধি, মাধুরীলতার মমতা ও করুণা প্রসারিত ছিল। তা লক্ষ্য করে বাবা রবীন্দ্রনাথ ‘ছিন্নপত্রাবলী’র একটি চিঠিতে লিখেছিলেন—

‘বেলার মনটি ভারী দয়ালু। খোকা (রথীন্দ্রনাথ) সেদিন একটি পিঁপড়ে মারতে যাচ্ছিল দেখে বেলা নিষেধ করার কত চেষ্টা করল, দেখে আমার ভারী আশ্চর্যবোধ হলো, আমার ছেলেবেলায় ঠিক এ রকম ভাব ছিল, কীট-পতঙ্গকে কষ্ট দেওয়া আমি সহ্য করতে পারতুম না।’

সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের তীক্ষ্ণ মনোযোগ ছিল। এর জন্য প্রভূত ব্যয় করতেও তিনি কুণ্ঠিত ছিলেন না। মেয়ের জন্য তিনি ইংরেজির শিক্ষিকা রেখেছিলেন। মেয়েদের শিক্ষিকার কাছে তার দাবি ছিল, ইংরেজি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে তাদের যেন পিয়ানো বাজানো ও সেলাই শিক্ষা দেওয়া হয়। লন্ডনে থাকাকালে ‘স্কট’ পরিবারের মেয়েদের শিক্ষা লাভের পদ্ধতি ও শিক্ষাক্রম দেখেছিলেন, নিজের কন্যাদের বেলায় সেই আদর্শ হয়তো তাঁর মনে প্রভাব ফেলেছিল।

গৃহশিক্ষিকা ও বাবার সযত্নে মাধুরীলতা মাত্র ১৩ বছরে এতটাই দক্ষতা অর্জন করেছিলেন যে, ইংরেজিতে কবিতা রচনা করতে পারতেন। ভাই রথীন্দ্রনাথের একাদশতম জন্মদিনে পনেরো ছত্রের একটি কবিতা উপহার দিয়েছিলেন যার শুরুটা ছিল—

Thin heart must be

As pure, As the, Lily that

Blooms on the tea,

মাধুরীলতার গৃহশিক্ষিকা ছিলেন মিস পার্সনস্, তিনি ছাড়াও লরেন্স ও মিস আ্যালজিয়োরের কথা জানা যায়।

১৯০০ সালের মাঝামাঝি, রবীন্দ্রনাথের কন্যা ‘বেলা’র বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন, তখনও তাঁর বয়স ১৪ পূর্ণ হয়নি।

কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর তৃতীয় ছেলে শরৎকুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে ১০ হাজার ৫ টাকা যৌতুক দিয়ে মাধুরীলতার বিয়ে হয় ১৯০১ সালের ১১ জুন। শরৎকুমারের বয়স তখন ৩০। রবীন্দ্রনাথের থেকে ৯ বছরের ছোট ও মৃণালিনী দেবীর চেয়ে ৪ বছরের বড় তখন জামাতা শরৎকুমার। যৌবনে বিবাহের প্রবক্তা রবীন্দ্রনাথ কেন যে এত তাড়াতাড়ি কন্যাদের বিবাহ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন, এটি তাঁর জীবনের একটি না–মেলা অঙ্ক। সে বিবাহ দিতে গিয়ে অনেক অপমান, লাঞ্ছনা ও আর্থিক ক্ষতি তাঁকে স্বীকার করতে হয়েছিল। কূলশীলের দিক দিয়ে শরৎকুমার বিশ্বকবির মেয়ের উপযুক্ত ছিলেন না বলে সে বিয়ে তাদের আত্মীয়স্বজনদের মনঃপূত হয়নি। এ জন্য অনেক আত্মীয়স্বজন সে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তৎকালীন সমাজবিরুদ্ধ এ বিয়ের জন্য কবিকে কিছু কিছু লাঞ্ছনাও ভোগ করতে হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের মেয়েদের মধ্য একমাত্র, মাধুরীলতারই বুদ্ধিচর্চার দিকে কিছুটা ঝোঁক ছিল। তাঁর লেখার হাতও ছিল ভালো। চমৎকার ছোট গল্প লিখতেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত নবপর্যায় বঙ্গদর্শনে মাধুরীলতার ‘সৎপাত্র’ গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। প্রাচীনপন্থী মুজফ্ফরপুর শহরে স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। স্বামীর বন্ধুদের নিজের হাতে নানারকম রান্না করে খাওয়ানো তার একটা বিশেষ শখ ছিল।

মা-ভাই–বোনের অকাল মৃত্যু মাধুরীলতাকে খুব অশান্ত করে তুলেছিল। শ্বশুরের টাকায় শিক্ষা সমাপ্ত করে শরৎকুমার বিলেত থেকে ফিরে এলে রবীন্দ্রনাথ মেয়ে জামাইকে তাঁর জোড়াসাঁকোর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেন। সেখানে আগে থেকেই কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরা দেবী সপরিবারে বসবাস করতেন। দুই বোনের সম্পর্ক তখন থেকেই কোনো অজ্ঞাত কারণে তিক্ত হয়ে উঠে। দুই বোনের সম্পর্কের এতই অবনতি ঘটে যে, তিন বছর পর শরৎ ও মাধুরীলতাকে জোড়াসাঁকোর বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে উঠতে হয়। মাধুরীলতা বিশ্বাস করতেন, তাদের দুই বোনের মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাঁটিতে বাবা রবীন্দ্রনাথ গোপনে কনিষ্ঠা কন্যা মীরা দেবীর পক্ষে থাকতেন। তখন থেকেই বাবার প্রতি তাঁর বিরূপতা জন্মে, সেই বিরূপতার রেশ তাঁর মৃত্যু অবদি ছিল। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর আত্মীয়–অনাত্মীয়, পরিচিত–অপরিচিত গোটা দেশের মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাননি শুধু তাঁর আদরের দুলালী মাধুরীলতা ও জামাই শরৎকুমার।

১৯১৭ সালে মাধুরীলতার ক্ষয়রোগ ধরা পড়লে রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত কন্যাকে দেখতে গিয়েছেন, চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছেন। মেয়েজামাই পছন্দ করতেন না, তবু কবি কন্যার পাশে গিয়ে বসে থাকতেন।

নিঃসন্তান মাধুরীলতা ১৭ বছর শরৎকুমারের সঙ্গে সংসার জীবন কাটান। শ্বশুর রবীন্দ্রনাথকে উপেক্ষা করলেও শরৎ ও মাধুরীর বৈবাহিক জীবন ছিল মধুর। ৪৮ বছর বয়সে স্ত্রী বিয়োগের পর আবার বিয়ে করাই ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু শরৎ তা করেননি।

মাধুরীলতার স্মরণে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে মাধুরীলতা বৃত্তি প্রবর্তন করেন। পলাতকা কাব্যগ্রন্থের শেষ প্রতিষ্ঠা কবিতাটি কন্যার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই লিখেছিলেন কবি—


এই কথা সদা শুনি ‘গেছে চলে-গেছে চলে’

তবু রাখি বলে

বলো না সে নাই

সে কথাটা মিথ্যা তাই

কিছুতেই সহেনা যে

মর্মে গিয়ে বাজে

মানুষের কাছ





নুসরাত ফাতেহ আলী খান 

নুসরাত ফাতেহ আলী খান ১৯৮০ সালে প্রথম ভারত সফর করেন! মূলত সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। রাজ কাপুর তার ছেলে ঋষি কাপুরের বিয়েতে গান গাওয়ার জন্য খান সাহাবকে আমন্ত্রণ জানান! সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বলিউডের সব বড়ো বড়ো গায়ক ও গায়িকারাও উপস্থিত ছিলেন।


চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, নুসরাত ফাতেহ আলী খান ৩০ মিনিট গান গাইবেন! কিন্তু নুসরাত যখন গান শুরু করলেন তখন রাজ কাপুর, ঋষি কাপুরসহ উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন! রাজ কাপুর এতোটাই মুগ্ধ হলেন যে, নুসরাত সাহাবকে অনুরোধ করে পুরো চার ঘন্টা গান শুনলেন! 

.

দুই

.

নুসরাত ফাতেহ আলী খানের তখন বিশ্বজোড়া নাম। ফ্রান্সের একটি কালচারাল ক্লাব নুসরাত সাহাবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানায়! নুসরাত সাহাব চিন্তা করলেন, ফ্রান্সের মানুষজন তো উর্দু বুঝবে না। তাই গানগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিয়ে যান। 


নুসরাত সাহাব যখন বললেন, তিনি ইংরেজিতে গান গাইবেন তখন উপস্থিত দর্শকরা আপত্তি জানালেন। তারা বললেন, আপনি আমাদের সাথে জুলুম করবেন না। আপনি উর্দু ভাষাতেই গান গাবেন! আমরা গানের সুরে গানের কথা বুঝে নিবো! 

.

তিন

.

একবার এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বলেছিলেন, '৯২ এ বিশ্বকাপ জেতার পেছনে নুসরাত ফাতেহ আলী খানেরও অবদান আছে। ৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে হারতে থাকে। দলের সবাই আপসেট, আমিও আপসেট! হোটেল রুমে নুসরাত সাহাবের গান শুনছিলাম। যখনই নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ...' গান শুনলাম, আমার ভিতরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে লাগল। পরের ম্যাচে নামার আগে আমি দলের সবাইকে নিয়ে নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু' গান শুনলাম। তারপর লক্ষ্য করলাম সবাই উজ্জীবিত ও আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। আমরা ফাইনালের দিনও গানটা শুনেই মাঠে নেমেছিলাম। '


তারপর ইমরান খান বলেন, 'নুসরাত সাহাবের গানে ও কণ্ঠে এমন কিছু একটা আছে, যা ব্যাখ্যাতীত! তার গান শুনে পাগল হবে না, এমন লোক দুনিয়ায় পাওয়া যাবে না!'

.

চার

.

১৯৯৩ সালের কথা! ভারতের রাজস্থান থেকে এক বয়স্ক লোক নুসরাত সাহাবের বাড়িতে আসলেন! নুসরাত সাহাবের সাথে দেখা করে বললেন, 'আমার মেয়ে বিয়েতে আমার থেকে কোনো উপহার নিতে চাচ্ছে না। তবে একটি আবদার করেছে। তার বিয়েতে আপনি গান গাইবেন-এই আবদারটুকু করেছে!' 


পাশেই নুসরাত সাহেবের সেক্রেটারি বসা ছিল। সেক্রেটারি বয়স্ক লোকটার কাছে ১ লাখ টাকা চাইল। তাহলে নুসরাত সাহাব আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইবে! 


তখন নুসরাত সাহাব বললেন, 'না! একটাও দিতে হবে না। আমি বিনা পয়সাতেই আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইতে যাবো!' 


বিয়ের দিন নুসরাস সাহাব ঠিকই তার দলবল নিয়ে উপস্থিত হলেন। বিয়েতে গান গাইলেন! গানের আসর শেষে ফেরার পথে নুসরাত সাহাব সেই মেয়েকে বিয়ের উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিলেন!


গান শুনলে কারোর কান্না আসে কিনা জানি না! তবে নুসরাত সাহাবের গান শুনলে চোখ দুটো ছলছল হয়ে যায়! নুসরাত সাহাবের গানে কী জাদু আছে, কেউ কি বলতে পারবে...!


collected 

দি  ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড"!

 “দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড"!


নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও পুরুষ মৌমাছি কেন স্ত্রী মৌমাছির সাথে মিলন করে?


এরা মৃত্যুর জন্য মোটেও ভয় পায় না।একজন মানুষকে মারতে হলে প্রায় ১১০০ হুলের বিষ প্রয়োজন। আনুমানিক ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য ১১০০ মৌমাছি প্রায় ৯০ হাজার মাইল পথ ঘুরতে হয়। যা কিনা চাদের কক্ষপথের প্রায় তিনগুণ!


ফুলের হিসাব করলে দেখা যায় ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলের পরাগরেণু স্পর্শ করতে হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা হয়। এসব তথ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি কর্মী মৌমাছি কি পরিমাণ পরিশ্রমী।


অপরদিকে রাণী মৌমাছি শুধু খায় আর ডিম পারে!


রাণী প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ডিম দেয়। পুরুষ মৌমাছির স্বভা বেশ অদ্ভুত। এরা জীবনেও কোন কাজ করে না, এমনকি কর্মী মৌমাছিকে এদের খাবার পর্যন্ত মুখে তুলে দিতে হয়। এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলিত হওয়া!


মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুরবেলা চাকের সর্বাধিক সক্ষম পুরুষ মৌমাছিগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভিড় জমায় যাকে বলা হয় পুরুষ ধর্মসভা!


ঠিক একই সময়ে চাক থেকে রাণী মৌমাছি ঘুরতে বের হয়, যাকে বলা হয় “দি মিটিং ফ্লাইট”


রাণী মৌমাছি হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায়। সে এসেই এক বিশেষ ধরণের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে শত শত পুরুষ মৌমাছি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর পরপরই রাণী মৌমাছি উড়ন্ত অবস্থায় পছন্দমত পুরুষের সাথে মিলন করে। রাণী মৌমাছি একেবারে পর্যায়ক্রমে ১৮-২০টা পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হতে পারে!


অদ্ভুত ব্যাপার হল, যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙ্গে যায় এবং তখনই মারা যায় পুরুষ মৌমাছি। এজন্যই এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড”।


একটি মৌচাক একটি মাত্র রাণী আ স্ত্রী মৌমাছি থাকে। রাণীকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে।


যদি কোন ডিম থেকে স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয় সে শিশু স্ত্রী মৌমাছিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে যেন রাণীর নজরে না আসে। রাণীর নজরে পড়লে ঐ শিশু স্ত্রী মৌমাছির নিশ্চিত মৃত্যু । শিশু রাণী মৌমাছিটি বড় হলে দুই রাণীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। এতে দুটি পথ খোলা থাকে । হয় যুদ্ধে মৃত্যু ( একজন অপর জনকে হত্যা করে মৌচাকের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে) না হয় দুজন আলাদা হয়ে পৃথক দুটি মৌচাক গড়ে তোলা।


অনাকাঙ্খিতভাবে যদি কোন রাণী মৌমাছি মারা যায় তবে সে খবর ১৫ মিনিটের মধ্যে সকল কর্মী মৌমাছি জানতে পারে এবং সম্মিলিতভাবে নতুন রাণী মৌমাছি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়।


আরো কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে, যা জানলে অবশ্যই অবাক হতে হবে; ৫০০ গ্রাম মধু তৈরিতে ২০ লক্ষ ফুল লাগে। শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি সারা জীবনে আধা চা চামচ মধু তৈরি করতে পারে। আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে মধু একমাত্র খাদ্য যা কখনোই পঁচে না!!!


(সংগৃহীত)

গোর্কির গল্প,,,,,ম্যাক্সিম গোর্কি,,,,,,,

 *গোর্কির গল্প*


ম্যাক্সিম গোর্কি একবার প্যারিস গেছেন। পৃথিবীর সাংস্কৃতিক রাজধানী। লেখক মানুষ। আলাপ করছেন। জানতে চাইছেন। বুঝতে চাইছেন মানুষ ও সমাজকে। এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হল। জানতে চাইলেন, পেশা কী? লোকটি জানাল, তার পেশা বাসে ট্রামে ওঠা লোকজনকে বিরক্ত করা বিশেষত, মেয়েদের বিরক্ত করা। পারলে অস্থানে কুস্থানে হাত দেওয়া। তো বিস্মিত গোর্কি বললেন, এতে তো লোকে আপনাকে মারবে! লোকটি বলল, মারে মাঝে ভালই মারে। আর মার খেলেই তো লাভ! 

লাভ? গোর্কি তো হতবাক। লাভ, কীসের লাভ?! 

গোর্কির বিস্ময়ের তোয়াক্কা না করে লোকটি জানাল, যদি সে শুধু মার খায় তাহলে সাত দিনের পয়সা ‘এক্সট্রা’ পায়। আর রক্ত-টক্ত বের হলে এক মাসের বাড়তি মাইনে ঠেকায় কে? আর হাত পা ভাঙলে তিন মাসের সবেতন ছুটি আর ছেলে বা বউয়ের চাকরির বন্দোবস্ত। আর এর বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হলে ডাবল ইনক্রিমেণ্ট বাঁধা।

গোর্কি শুনে ভাবলেন, লোকটির মাথায় নির্ঘাত গন্ডগোল। সেটা বুঝে লোকটি নিজের আইডেন্টিটি কার্ড দেখিয়ে বলল, এমন মানুষ প্যারিসে আরো তিন হাজার আছে। 

গোর্কি জানতে চাইলেন আপনার টাকা পেলে লাভ, কিন্তু যারা দেয়, তাদের কী লাভ? 

– কমিশন।

– কারা দেয়? গোর্কির জিজ্ঞাসা।

– বড় শিল্পপতি আর রাজনীতিকরা।

– কেন? তাদের কী স্বার্থ?

– আমরা রাস্তায় বাসে ট্রেনে ট্রামে যে সব ছোটখাট কেচ্ছা ঘটাই তা দেখে লোকে উত্তেজিত হয় আর সারাদিন তা নিয়ে আলোচনা করে। অফিসে ঘটনার রোমহর্ষক বিবরণ দেয়, বাড়িতে বউকে গিয়ে বলে, এই সমাজটা কী খারাপ হয়ে গেছে। এ দেশে আর থাকা চলে না। আর এই সময় শিল্পপতিরা যে ব্যাংকের টাকা ফেরত দেয় না, কর ফাঁকি দেয়, পুকুর নয় নদী চুরি করে,  লোকের জমি ভয় দেখিয়ে কেড়ে নেয়, জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়—সে নিয়ে কোন আলোচনাই হয় না। আমাদের ছোটখাট কেচ্ছা ওদের বড় বড় কেচ্ছাগুলোকে নিপুণভাবে চাপা দিয়ে দেয়। রাজনীতিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে কেউ টুঁ শব্দটি করে না। 


গল্পটি বলে গোর্কি পুঁজিবাদী সমাজে গণতন্ত্রের নাম করে ধনী আর ক্ষমতা ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের আঁতাতের স্বরূপটি উদ্ঘাটন করেন‌।


(সংগৃহীত)

আইজাক নিউটনের মা,,,,,,,,,,

 *আইজাক নিউটনের মা-*

" আপেল নিয়ে তো ঘাঁটাঘাটি করছিস, না ধুয়ে খাবি না কিন্তু!"


❤️ মায়েরা আর বদলালো না ❤️

ভীষন মজার। পড়ে দেখুন 👇


*আর্কিমিডিসের মা*


👉আচ্ছা তুই যে জামাকাপড় না পরে রাস্তা দিয়ে দৌড়ুলি তোর লজ্জা করল না? ভাল কথা  "ইউরেকা, ইউরেকা" বলে যে মেয়েটাকে ডাকছিলি সেটা কে??


*থমাস এডিসনের মা*


বাল্ব আবিস্কার করে তো আমাকে ধন্য করে দিয়েছ। যাও এখন আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়....চেহারাটা কি হয়েছে, তোর ঘুমের দরকার বুঝলি?


*আব্রাহাম লিঙ্কনের মা*-


এখন তো প্রেসিডেন্ট হয়েছিস? ভগবানের দোহাই এবার এই জঘন্য পুরোন কোট, আর এই অসহ্য টুপিটা ছাড়। দোকানে গিয়ে নিজের জন্য একটা ভাল দেখে পোষাক কিনে আন।


*জেমস ওয়াটের মা-*


তুই যদি এখন বসে বসে ঢাকনার ওঠানামা দেখিস তবে ভাত কিন্তু পুড়ে যাবে বলে দিলাম। গ্যাসটা বন্ধ কর।


*গ্রাহাম বেলের মা-*


তুই যে এই বোকা বোকা যন্ত্রটা ঘরে লাগিয়েছিস, ঠিক আছে। কিন্তু এটা নিয়ে দিনরাত মেয়েদের সাথে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করবি, তা কিন্তু চলবেনা একথা আমি আগেই বলে দিলাম।


*গ্যালিলিও গ্যালিলির মা*


👉কি ছাতার যন্ত্র বানিয়ে চাঁদ দেখার চেষ্টা করছিস? এটা তো কোন কাজেরই না। চাঁদ তো দূরের কথা এতে তো আমি মিলানোতে আমার বাপের বাড়ীই দেখতে পারছি না।


*অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মা*


আচ্ছা এটা তাহলে তোর গ্র্যাজুয়েট হবার ছবি? ভাল। আচ্ছা তুই চুল কাটিস না কেন? একটা জেল টেল কিছু ব্যাবহার কর। কি বিশ্রী অবস্থা হয়েছে চুলের।


*বিল গেটসের মা*


দিনরাত ইন্টারনেট ঘাঁটছিস। একদিন যদি দেখি 👉না উল্টোপাল্টা কিছু দেখছিস তবে তোর একদিন কি আমার  একদিন বলে রাখলাম।


*ড্যানিয়েল ফারেনহিটের মা-*

তোর এই গরম জল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বন্ধ কর। আমায় চা বানাতে হবে।


*রবার্ট বয়েলের মা*


ব্যাস্তানুপাতিক মানে বুঝেছি। তোর ভল্যুম অর্থাৎ পরিমান বেশী হলে প্রেশার মানে চাপ কমে যাচ্ছে এই তো? তোর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। তুই জোলাপ খা।


*ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের মা* 


কোথায়, কোন চুলোয় যাচ্ছ, কি আবিস্কার নিয়ে তুমি ব্যাস্ত,   ওসব নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই। যেখানে যাবে ফোন করবে না হলে অন্ততঃ দু লাইন লিখে একটা চিঠি পোষ্ট করবে।


*সারদা মা

একশো জনকে খাওয়াতে হবেনা কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্ত দেখলে তাকে একটু খেতে দিও।


(সংগৃহীত)

লাইক কমেন্ট শেয়ার করে আমার পেজের সাথেই থাকুন🙏🙏🙏


পোস্টদাতা--( বিপাশা ইসলাম)


আমার পরিচয় - সৈয়দ শামসুল হক

 আমার পরিচয়

- সৈয়দ শামসুল হক


আমি জন্মেছি বাংলায়

আমি বাংলায় কথা বলি।

আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।

চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।

তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?


আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে

আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।

আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে

আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।


এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে

এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে।

এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে

এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।


আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে

আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে।

আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে

আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।


এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে

এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।

এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে

এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।


আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে

আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।

এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে

শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে ?


তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-

‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’

একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই

সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।


পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-

কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।

শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;

অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;

একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;

আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস।


এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ?

যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;

তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-

চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।



❏ ছবি: সংগৃহিত

❏ বাংলাকবিতা

জনপ্রিয় ৪ বাঙালি লেখকের অদ্ভুত প্রেমের ঘটনা,,,,

 জনপ্রিয় ৪ বাঙালি লেখকের অদ্ভুত প্রেমের ঘটনা,,,,🙂 


প্রেম তো এমনই, রহস্যঘেরা। লেখকদের প্রেমের বেলায় সেটি আরো বেশি বৈচিত্র্যময়! কেউ অসময়ে প্রেমে পড়েছেন, কেউ–বা পড়ন্ত বেলায় প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রণয়াবদ্ধ হয়েছেন। জনপ্রিয় ৪ বাঙালি লেখকের অদ্ভুত প্রেমের ঘটনাগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো। 


১. দশ বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম 


মাত্র দশ বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচ বছর বয়সী মোহিনীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের বড়ভাই শ্যামাচরণ। দশ বছর বয়সী বঙ্কিম বিয়ের ব্যাপার-স্যাপার কীই–বা বোঝে! তবু অল্প দিনেই প্রেম হয়ে যায় তাদের মধ্যে। সেই টান এমনই ছিল যে প্রায়ই স্কুল ছুটির পর চার কিলোমিটার দূরের পথ পায়ে হেঁটে তিনি চলে যেতেন মোহিনীকে দেখবেন বলে। ‘বঙ্কিম–জীবনে দুই নারী’ নামে এক লেখায় অনিরুদ্ধ সরকার উল্লেখ করেন, স্কুলের বৃত্তির টাকা পেয়ে মোহিনীর জন্য উপহার কিনে নিয়ে যেতেন বঙ্কিম। বলাই বাহুল্য, কিশোর বয়সে দারুণ প্রেম জমেছিল তাদের মধ্যে। 


২. নির্যাতিত শান্তি দেবীর প্রেমে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 


শুধু বঙ্কিম নয়, বাঙালির প্রেমের অমর ধারাভাষ্যকার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনেও হানা দিয়েছিল প্রেম। বার্মার রেঙ্গুন থেকে যে প্রণয়ের সূচনা, সেই প্রেম আজীবন মনে রেখেছিলেন শরৎবাবু। রেঙ্গুনে এক দুইতলা বাড়ির ওপরতলায় থাকতেন শরৎ আর নিচতলায় থাকতেন এক মদ্যপ মিস্ত্রি। ঘরে ছিলেন মিস্ত্রির মাতৃহারা কন্যা। মিস্ত্রি তাঁর মেয়েকে খুব গালিগালাজ ও নির্যাতন করতেন। দূর থেকে ওই মেয়ের অশ্রুসজল চোখ দুটো পরখ করতেন শরৎ, তাঁর খুব মায়া হতো। একরাতে মেয়েটি দোতলায় এসে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লেন। আশ্রয় চাইলে তাঁকে আশ্রয় দিলেন শরৎ, পরে তাঁকে বিয়েও করলেন। সেই মেয়েই শান্তি দেবী। শরৎ খুব ভালোবাসতেন তাঁকে। শরৎচন্দ্রের রেঙ্গুনের বন্ধু লেখক গিরীন্দ্রনাথ সরকার ব্রহ্মদেশে শরৎচন্দ্র গ্রন্থে শরৎকে অভিহিত করেছিলেন ‘মহাস্ত্রৈণ’ বলে। তাঁর ভাষায়, ‘স্বপ্নবিলাসী শরৎচন্দ্রের প্রাণে ছিল অপূর্ব প্রেমের ভান্ডার, তিনি তাঁহার সমস্ত খুলিয়া দান করিয়াছিলেন স্ত্রী শান্তি দেবীকে।’

শরৎচন্দ্র ও শান্তির সংসারের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছিল। বেশ সুখের সংসার ছিল তাঁদের। হুট করে এক ঝড় এসে সবকিছু তছনছ করে দেয়। প্লেগে দুই দিনেই মারা যান শান্তি ও তাঁর ছেলে। দুটি প্রাণ শরৎচন্দ্রকে বিধ্বস্ত করে ঝরে পড়ে। তাঁর গান গাওয়া, ছবি আঁকা—সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রাণোচ্ছল চেনা শরৎচন্দ্র একেবারেই অচেনা হয়ে গেলেন। পরবর্তীকালে হিরন্ময় দেবীর সঙ্গে বাকি জীবন কাটালেও শান্তিকে তিনি কখনো ভুলতে পারেননি। 


৩. রমা চট্টোপাধ্যায়কে না করতে পারেননি স্ত্রী-হারা বিভূতিভূষণ 


বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবী মারা যান অল্প বয়সেই। স্ত্রীর অকালমৃত্যুতে ভীষণ মুষড়ে পড়েন বিভূতিভূষণ। স্ত্রীর মৃত্যুর কুড়ি বছর পর কৈশোরোত্তীর্ণ এক পাঠিকা রমা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জানাশোনার অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বিভূতিভূষণের প্রেমে পড়েন রমা। হুট করে একদিন বিয়ের প্রস্তাব করে বসেন। তখন বিভূতিভূষণ শার্ট খুলে তাঁর কাঁচাপাকা লোম দেখিয়ে বলেন, ‘দেখো, আমার অনেক বয়স হয়েছে, আর কদিনই বা বাঁচব?’ জবাবে রমা অবলীলায় বলেন, ‘আপনি যদি আর মাত্র একটা বছরও বাঁচেন, তাহলেও আমি আপনাকেই বিয়ে করব।’ এরপর বিভূতিভূষণ আর ‘না’ করতে পারেননি। ১৯৪০ সালের ৩ ডিসেম্বর রমার সঙ্গে আবারও বাঁধা পড়েন সাত পাঁকে। রমা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের সম্পাদিত আমাদের বিভূতিভূষণ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করেন। 


৪. প্রথম প্রেমিকা শোভনাকে ভুলতে পারেননি জীবনানন্দ দাশ 


কথাশিল্পী বিভূতিভূষণের প্রেম পূর্ণতা পেলেও প্রায় তাঁর সমসাময়িক কবি জীবনানন্দ দাশের প্রেম পূর্ণতা পায়নি বলে মনে করেন গবেষকেরা। তাঁর কবিতার মতো তাঁর প্রেমও ছিল রহস্যময় ও আঁধারঘেরা। জীবনানন্দ গবেষক ভূমেন্দ্র গুহ জীবনানন্দের জীবনে স্ত্রী লাবণ্য ছাড়াও যে গুটিকয় নারীকে আবিষ্কার করেছিলেন, তার মধ্যে মুনিয়া, শচি ও শোভনা অন্যতম। এঁদের মধ্যে শোভনা ছিলেন জীবনানন্দের প্রথম প্রেম। জীবনানন্দ তাঁকে কখনো ভুলতে পারেননি। নিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক-এর উৎসর্গপত্রে জীবনানন্দ যে শুধু ‘কল্যাণীয়েষু’ লিখেছিলেন, গবেষকদের মতে তা শোভনাকেই উদ্দেশ করেই। দিনলিপিতে জীবনানন্দ শোভনার নাম লিখতেন ‘বি-ওয়াই’ সংকেতে। প্রথমে সায় দিলেও পরে জীবনানন্দের জীবন থেকে সরে পড়েন শোভনা। 


সংগৃহীত

littledio madeisland জ্ঞান বিজ্ঞান ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন কিছু গ্রাম বা শহর রয়েছে যার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আজও আমাদের মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। সুদুর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এমনই একটি শহরের বৈশিষ্ট্য আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব তা সত্যি অবাক করবে আপনাদের।


বিশ্বের যে কোনও আধুনিক শহরে আধুনিক জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকে। ব্যাঙ্ক, রেস্তোরাঁ, ভালো পরিবহণ সহ আরও বেশ কিছু পরিষেবা। এগুলি ছাড়া শহুরে জীবনের কথা ভাবাই যায় না।


অথচ এই পৃথিবীতেই এমন একটি শহর রয়েছে যেখানে ব্যাঙ্ক রেস্তোরাঁ ইত্যাদি আপনি কিছুই পাবেন না। নেই পরিবহণের বিশেষ সুবিধা নেই। নাগরিকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় হেলিকপ্টারে করে। রাস্তায় যান চলাচল যেমন দেখা যায় না, তেমনই স্থানীয় লোকজনও পথে বিশেষ বের হন না।


 রাস্তায় মানুষের সংখ্যা এতটাই কম যে প্রাথমিকভাবে এই শহরকে দেখে জনশূন্য নগর বলেও ভ্রম হতে পারে। চলুন আজ আপনাদের জানিয়ে দিই বিশ্বের সেই শীতলতম শহরের কথা, যার পোশাকী নাম " লিটল ডিও মেড আইল্যান্ড "।


এই শহরের বসবাসকারী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়,খাবার,জ্বালানি, ঔষধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আসে নিকটবর্তী অন্য শহর থেকে এবং তাও শুধুমাত্র হেলিকপ্টারে করে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হেলিকপ্টারে করে দরকারি জিনিসপত্র ডেলিভারি করা হয় এই শহরের মানুষদের জন্য। 


অবশ্য শুধুমাত্র যে হেলিকপ্টারে করেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় তাই নয় কখনও আবার নৌ-যানেও করেও পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। এত সমস্যা থাকলেও এখানে চালু রয়েছে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা। এখানে শুধুমাত্র একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম আছে এবং তাও সেটি রয়েছে শহরের একমাত্র শিশুদের স্কুলে।


আমেরিকা এমনিতেই অত্যন্ত ঠান্ডা জায়গা। এখানকার তাপমাত্রা প্রায়ই মাইনাসে চলে যায়। কিন্তু এখানকার লিটল ডিও মেড আইল্যান্ডও কম নয়। এ কথা জানলে আপনারা অবাক হবেন এই স্থান থেকে রাশিয়ার দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। এই শহরের বিস্তৃতি মাত্র চার বর্গ কিলোমিটার। রাশিয়ার " বিগ ডায়োমেড দ্বীপ " এই শীতল শহরের একমাত্র নিকটবর্তী স্থান। এই দুটি দ্বীপের মধ্যে রয়েছে নীল সমুদ্র।


আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই দুটি দ্বীপই আলাস্কার কাছে বেরিং উপসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। জানলে অবাক হবেন যে লিটল ডিও মেড আইল্যান্ডের বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা মাত্র ৮০ জন। শীতের মরশুমে দুই দ্বীপের মাঝের জল পুরোপুরি জমে যায়, যার কারণে এটি নিজেই একটি বরফের সেতুতে পরিণত হয়ে যায়। আর ভালো ব্যাপার হল, এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াতও করতে পারেন।


গ্রীষ্মকালে এই জায়গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার আশেপাশে থাকে। শীতকালে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এই কারণে এখানে অনেক বন্য এবং ভয়ঙ্কর শিকারী প্রানী দেখা যায়। এই জায়গায় ঘণ্টায় প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেগে হিমশীতল বরফের বাতাস প্রবাহিত হয়।


১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে নির্মিত এই স্থানে প্রায় ২৫টি ভবন রয়েছে। এই সব ভবনগুলোর মধ্যে একটি স্কুল এবং একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে। এই এলাকাটি খুবই পাথুরে এবং এই কারণে এখানে রাস্তা তৈরি হয়নি।







littlediomadeisland 

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ১৯-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ১৯-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


আজ শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী একাদশ জাতীয় এসএমই মেলা - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ৭১ এর পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি।


সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে, বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ - মন্তব্য আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, শেখ হাসিনার বিকল্প আর কেউ নেই -  বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।


গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলী হামলায় ৮৩ জন ফিলিস্তিনী নিহত।


আইপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আজ হায়দ্রাবাদে পাঞ্জাব কিংস – সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ও গুয়াহাটিতে রাজস্থান রয়্যালস – কোলকাতা নাইট রাইডার্সের মোকাবেলা করবে।

কেয়ামতের আলামত,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন, 'কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইলম ওঠিয়ে নেয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে, হারজ বৃদ্ধি পাবে। (হারজ অর্থ খুনখারাবী) তোমাদের সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে, উপচে পড়বে।' (বুখারি, হাদিস ৯৭৯)

এ ছাড়াও কিয়ামতের আগে মানুষের মধ্যে যে ৫৬ আচরণের প্রকাশ ঘটবে। ১. নামাজের প্রতি মানুষের গুরুত্ব থাকবে না। ২. আমানতের খেয়ানত করবে। ৩. সুদের লেনদের করবে। ৪. মিথ্যা কথা বলাকে হালাল মনে করবে।

৫. সামান্য বিষয়ে অন্যের প্রাণ সংহার করবে। ৬. উচু উচু ভবন নির্মাণ করবে। ৭. আত্মিয়তার সর্ম্পক ছিন্ন করবে। ৮. ইনসাফ উঠে যাবে। ৯. জুলুম অত্যাচার ব্যাপক আকার ধারণ করবে। ১০. তালাক বেড়ে যাবে। ১১. আকস্মিক মৃত্যু বেড়ে যাবে।

১২. সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য মনে করা হবে। ১৩. দুর্নীতি পরায়ন মানুষদের সেবক মনে করা হবে। ১৪. অপবাদ আরোপের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ১৫. লোকেরা সন্তান নেয়া বন্ধ করে দিবে।

১৬. নীচ লোকেরা সম্পদশালী হবে। ১৭. ভদ্রলোকেরা নিষ্পষিত, লাঞ্চিত হবে। ১৮. আমানতের খেয়ানত হবে। ১৯. শাসক শ্রেণির লোকেরা অহরহমিথ্যা কথা বলবে। ২০. নেতৃবর্গ জালেম হবে।

২১. আলেম ও কারিগণ বদকার হবে। ২২. স্বর্ণের দামকমে যাবে এবং রুপার দাম বেড়ে যাবে। ২৩. গুনাহের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ২৪. জান মালের নিরাপত্তা কমে যাবে। ২৫. শরিয়তের দন্ড বিধি অকার্যকর হবে। ২৬. ব্যাপকভাবে মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে। ২৭. কোরআন শরিফ সঞ্জিত করা হবে।

২৮. দাসি স্বীয় মুনিবকে ভর্ৎসনা দিবে। ২৯. নিচু শ্রেণির লোকেরা দেশের শাসক বনে যাবে। ৩০. নারী-পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে। ৩১. পুরুষরা মহিলার বেশ এবং মহিলারা পুরুষের বেশ ধারণ করবে। ৩২. গাইরুল্লাহর নামে শপথ করা হবে। ৩৩. মুসলমানরাও নির্দ্বিধায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিবে। ৩৪. সম্মানের রেওয়াজ উঠে যাবে।

৩৫. দুনিয়া লাভের আশায় দ্বীন ইলম শিক্ষা করা হবে।৩৬. আখেরাতের কাজের দ্বারা দুনিয়া অর্জন করা হবে।৩৭. জাতীয় ও রাষ্ট্রিয় সম্পদকে নিজের মনে করা হবে।৩৮. আমানতের মালকে লুটের মাল মনে করা হবে। ৩৯.সমাজের নিচ ও নিকৃষ্ট লোককে নেতা বানানো হবে। ৪০.সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হবে। ৪১. বন্ধু বন্ধুর ক্ষতি করবে।

৪২. লোকেরা স্ত্রীর আনুগত্য করবে। ৪৩. বদকার লোকেরা মসজিদে শোরগোল করবে। ৪৪.গায়িকা মহিলাদের শাসন করা হবে। ৪৫. বাদ্য যন্ত্র ও এর উপকরণের যত্ন নেয়া হবে। ৪৬. মদের দোকান বেড়ে যাবে।

৪৭. জুলুম করাকে গর্বের বিষয় মনে করা হবে। ৪৮.আদালতে ন্যায় বিচার বিক্রি হবে। ৪৯. পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ৫০. কোরআনকে গানের সুরে তিলাওয়াত করা হবে। ৫১. হিংস্র পশুর চামড়া ব্যবহার করা হবে। ৫২. উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম প্রথম যুগের লোকদের উপর অপবাদ আরোপ করবে। ৫৩. আল্লাহর পক্ষ থেকে লাল বর্ণের তুফান আসবে। ৫৪. ভূমিকম্প আসবে। ৫৫. অথবা আকাশ থেকে পাথর বর্ষিত হবে। ৫৬. জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। (সুরা: ইসরা ৫৯, বুখারি, হাদিস ৯৭৯, তিরমিজি, হাদিস ২২১২, সুরা: হজ, আয়াত ১-২, তিরমিজি, হাদিস

১৪৪৭)


এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...