এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

২  মিনিট সময় নিয়ে লেখাটা পড়লে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন।

 #২ মিনিট সময় নিয়ে লেখাটা পড়লে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন।


এক ডিভোর্সি বোনের খোলাচিঠি।


জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।


আমি তেত্রিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতে। সংসারও টিকে ছিল অনেকগুলো বছর। আমাদের একটা মেয়েও আছে, ওর বয়স ৮ বছর।


আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু বদমেজাজি। অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ রাগের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।


সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার মেজো বোন তো রীতিমত অপমান করত!


আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”


নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।


ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।


একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!


এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।


আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।


আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।


ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।


ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?


আমার ভাইবোন আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।


কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।


কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।


এর পরের কয়েক বছর ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!


আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।


এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো। ভাই মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।


প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তু

,,,,,,,,

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসঃ

 ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসঃ


★ ভুতের গলিঃ

এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে। 


★ এলিফ্যানট রোডঃ

পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো "হাতির ঝিল" এ গোসল করাতে, তারপর "রমনা পার্ক"এ রোঁদ পোহাতো। 

সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিলো, যার নামকরণ হোলো "হাতির পুল"


★ ধানমন্ডিঃ

এখানে এককালে বড় একটি হাট বোসতো। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।


★ গেন্ডারিয়া 

 ইংরেজি শব্দ Grand Area  থেকে এসেছে, এখানে আগের দিনের অভিজাত ধনী ব্যাক্তিগন থাকত। 


★ মহাখালিঃ

মহা কালী নামের এক মন্দীরের নাম থেকে হয়েছে বর্তমানের মহাখালী।


★ ইন্দিরা রোডঃ

এককালে এ এলাকায় "দ্বিজদাস বাবু" নামে  এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসাস্থান, অট্টলিকার পাশের সড়কটি নিজেই নির্মাণ করে বড় কন্যা "ইন্দিরা" নামেই নামকরণ।


★ পিলখানাঃ

ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হোতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হোতো যেসব জায়গায়, তাকে বলা হোতো পিলখানা। বর্তমান "পিলখানা" ছিলো সর্ববৃহৎ।


★ কাকরাইলঃ

ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মিঃ ককরেল। নতুন শহর তৈরী করে নামকরণ হোলো "কাকরাইল"।


★ রমনা পার্কঃ 

অত্র এলাকায় বিশাল ধনী রম নাথ বাবু মন্দির তৈরী করেছিলো "রমনা কালী মন্দির"। মন্দির সংলগ্ন ছিলো ফুলের বাগান আর খেলাধুলার পার্ক। 

পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় "রমনা পার্ক"।


★ গোপীবাগঃ

গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজ খরচে "গোপীনাথ জিউর মন্দির" তৈরী করেন। পাশেই ছিলো হাজারো ফুলের বাগান "গোপীবাগ"।


★ টিকাটুলিঃ

হুক্কার প্রচলন ছিলো। হুক্কার টিকার কারখানা ছিলো যেথায় সেটাই "টিকাটুলি"।


★ তোপখানাঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।


★ পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, প্ল্যাটুন থেকে নামকরন হয় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন, নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানো পল্টন ছিল বানিজ্যিক এলাকা।


★ বায়তুল মোকারম নামঃ 

১৯৫০-৬০ দিকে প্রেসিডেন্ট আয়ুবের সরকারের পরিকল্পনা পুরানো ঢাকা-

নতুন ঢাকার যোগাযোগ রাস্তার। তাতে আগাখানীদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাড়িঘর চলে যায়।

আগাখানীদের নেতা আব্দুল লতিফ বাওয়ানী (বাওয়ানী জুট মিলের মালিক) সরকারকে প্রস্তাব দিলো, তারা নিজ খরচে এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মসজিদ তৈরী করবে। 

এটা একটা বিরাট পুকুর ছিল "পল্টন পুকুর", 

এই পুকুরে একসময় ব্রিটিশ সৈন্যরা গোসল কোরতো। ১৯৬৮ সনে মসজিদ ও মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয়।


★ পরীবাগঃ

পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।


★ পাগলাপুলঃ ১৭ শতকে এখানে একটি নদী ছিল, 

নাম-পাগলা। 

মীর জুমলা নদীর উপর সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন।

অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত। সেখান থেকেই জায়গার নাম "পাগলাপুল"।


★ ফার্মগেটঃ

কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম হোলো ফার্মগেট।


★ শ্যামলীঃ

১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী।


★ সূত্রাপুরঃ

কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর। এ এলাকায় এককালে অনেক শূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিলো । সেই থেকেই জায়গার নাম হোলো সূত্রাপুর।

(সংগৃহীত)



দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লি হীরক খনি, , মানব নির্মিত সব থেকে গভীরতম ও বৃহত্তম গর্ত

 " দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলি হীরক খনি, মানব নির্মিত সব থেকে গভীরতম ও বৃহত্তম গর্ত "





************************************************


" কিম্বারলি হীরক খনি " দক্ষিণ আফ্রিকা::--


আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় অন্তরীপের কিম্বারলিতে অবস্থিত কিম্বারলি হীরক খনিকে বলা হয় পৃথিবীতে মানুষের হাতে খোঁড়া গভীরতম এবং বৃহত্তম গর্ত। 


এই হিরের খনির ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক প্রাথমিকভাবে ২৪০ মিটার পর্যন্ত খনন করে কেবল গাইতি আর বেলচার সাহায্যে এবং এসময় তারা সেখান থেকে ৩ লাখ টনেরও অধিক মাটি অপসারণ করে। পরে অবশ্য জায়গাটি মাটি ও পাথরের ধ্বংসাবশেষ দ্বারা প্রায় ২৫ মিটার অংশ পুরোপুরি ভরাট হয়ে যায়। 


অবশিষ্ট ২১৫ মিটারের ৪০ মিটার জলে ভরে যাওয়ায় বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে মাত্র ১৭৫ মিটার অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।


দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলি ডায়মন্ড মাইন ‘দ্য বিগ হোল’ নামেও অধিক পরিচিত। ১৮৬৬ সালে এখানে প্রথমবারের মতো খনন কাজ শুরু হয় শেষ হয় ১৯১৪ সালে। একে মানুষের হাতে খোঁড়া বৃহত্তম গর্ত বলা হলেও এতে রয়েছে একাধিক বিতর্ক। ‘জ্যাগারসফন্টেইন’ নামে দক্ষিণ আফ্রিকারই অপর একটি খনি কে এই রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন অনেক গবেষক। 


এই খনি থেকে প্রায় তিন হাজার কেজি হীরা উত্তোলন করার পর এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিম্বারলি, জ্যাগারসফন্টেইন কিংবা ব্লুমফন্টেইন বৃহত্তম হীরার খনি যেটিই হোক না কেন, প্রতিটি খনিই স্থানীয় মানুষের অবিশ্বাস্য পরিশ্রম এবং সাহসী পদক্ষেপের নিদর্শন হয়ে আছে।


কক্সবাজার আগমন ইচ্ছুক সম্মানিত পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শ ।

 কক্সবাজার আগমন ইচ্ছুক সম্মানিত পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শ ।

১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন।

২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন।

৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম। 

৫. কিটকটে বসে কোন ম্যাসেজ বয় কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেন না, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন অথবা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। ( ম্যাসেজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারে), ট্যুরিস্ট পুলিশ ম্যাসেজ বয়দের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিরক্ত করলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন। 

৭. বিচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনারা ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন। 

৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন এবং মোবাইল নাম্বার ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।

৯. বিচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন। 

১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন।

১১. কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন। 

১২. হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন।

১৩. স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

১৪. কক্সবাজার বীচ এলাকা ও এর আশপাশ নিরাপদ তবে সন্ধ্যার পর ঝাউবন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় না যাওয়ায় উত্তম।

১৫. জোয়ার-ভাটার সময় দেখে নিন। ভাটার সময় পানিতে নামবেন না। লাল পতাকা দেখলে বীচে গোসল পরিহার করুন।

১৬. যে কোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন ডিউটি অফিসার ০১৩২০১৫৯০৮৭, এএসপি ০১৩২০১৫৯২০৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ০১৩২০১৫৯০৩৫

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন ২৪/৭ পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় একান্তই কাম্য। 


Collected




শনিবার, ১ জুন, ২০২৪

আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার রেসিপি,,,,,,,

 🍏 আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার রেসিপি 


 উপকরণঃ 


১. আপেল, 

২. লাল চিনি, 

৩. পানি

৪. কাচের জার

৫.  কাঠের চামচ


প্রস্তুত প্রণালিঃ 


>>১ কেজি আপেল একটি বড় পাত্রে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন ২ ঘন্টা, এতে করে আপেলে থাকা ফরমালিন পানিতে দ্রবীভূত হয়ে আপেল ফরমালিন মুক্ত হবে।


>>এরপর আপেল গুলোকে টুকরা করে কেটে নিন। একটি কাচের জারে আপেল গুলো ঢেলে, তাতে পানি এবং ৪ টেবিল চামচ লাল চিনি দিয়ে ১টি কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিন। কাচের জারে এমন পরিমান পানি দিবেন যাতে জারের উপর থেকে ১ ইঞ্চি খালি থাকে। 


>>এর পর ১টি পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে জারের মুখ ডেকে বেঁধে দিন, এতে করে জারের ভিতর কিছুটা বাতাস চলাচল করবে, যা ভিনেগার তৈরীতে বাধ্যতামূলক। এভাবে জারটি স্বাভাবিক তাপমাত্রার স্থানে (যেখানে কিছুটা কম আলো আছে) রেখে দিন, খেয়াল রাখবেন স্থানটি যেন বদ্ধ কোন স্থান না হয়। বদ্ধ স্থানে রাখলে জারের ভিতর ফাঙ্গাস হতে পারে।


>>প্রতিদিন একবার করে জারের কাপড়ের ঢাকনা খুলে কাঠের চামচ দিয়ে ভিতরে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিবেন, প্রতিদিন না পারলেও অন্তত দুই দিন পরপর এভাবে নাড়বেন। 


>>১৫ দিন পর জারে আবার চার টেবিল চামচ লাল চিনি দিয়ে নেড়ে দিবেন। আপনি হয়তো ভাবছেন চিনি খাওয়া তো নিষেধ তাহলে চিনি দিব কেন!! আসলে এই চিনি তো আপনার খাওয়ার জন্য না এটা আপনার উপকারী বন্ধু লক্ষ কোটি ব্যাকটেরিয়ার খাবার, ওরা এসব খেয়ে রিষ্টপুষ্ট হয়ে আপনার পাকস্থলীতে আপনার বন্ধু হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত হবে। 


>>পুরো ৪৫ দিন কিন্তু কাঠের চামচ দিয়ে নাড়তে হবে। এভাবে মোট ৪৫ দিন পর পাতলা কাপড়ে বয়ামের পুরোটা ঢেলে ছেকে নিবেন, অবশ্যই মনে রাখবেন ছাকার সময় যে পাত্রে ঢালবেন সেটি যেন কাচের পাত্র হয়। 


>> ছেঁকে নিয়ে পুনরায় কাচের বোতলে বা জারে নিবেন, এই অবস্থায় অন্তত আরও পনেরো দিন রেখে দিবেন তাতে প্রতিদিনই আপনি দেখবেন আস্তে আস্তে ভিনেগার অনেকটা পরিস্কার হয়ে বোতলের নিচে মাদার (অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া) জমবে। 


>>অতঃপর এটি খাওয়ার উপযোগী হবে। এই পর্যায়ে যদি আপনার কাছে লিটমাস পেপার থাকে তাহলে এসিডিটির মাত্রা চেক করে নিতে পারেন। আমরা সবাই জানি আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার এ ৫% এসিডিটি থাকে।


👉বিঃ দ্রঃ পুরো প্রক্রিয়ায় কোনভাবেই কোন ধাতব পাত্র, চামচ বা ঢাকনা ব্যবহার করা যাবে না। যদি ব্যবহার করেন তাহলে গাজন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হবে না আর পারফেক্ট ভিনেগারও হবে না।



একা  একা কিভাবে কম খরচে দেশ-বিদেশ ঘুরবেন?

 একা একা কিভাবে কম খরচে দেশ-বিদেশ ঘুরবেন?


উত্তর খুব সিম্পল - আপনার ট্রাভেল টেষ্ট বদলান।


যদি খরচ কমাতে চান তাহলে সাধারণ একটা কনসেপ্ট মাথায় রাখেন, যে আপনি ঘুরতে আসছেন আরাম-আয়েস করতে নয়।


নিচে কয়টা পয়েন্ট উল্লেখ করেছি যেগুলো ফলো করলে আপনি কম বাজেটের মধ্যেই আপনার জার্নী শেষ করতে পারবেন।


*****এয়ার টিকিট 


টিকিটের দাম নির্ভর করে সময়ের উপরে। ধরেন আপনি যখন চায়না যাবেন ঠিক তখন চায়নাতে নিউ ইয়ার হবে।আর এই সময়ে খুব স্বাভাবীক ভাবেই আপনার মত আরো অনেকেই চায়না যাওয়ার প্লান করতেছে।এখন কথা হচ্ছে চাহিদা যেখানে হবে দামও সেখানেই হবে।এমতাবস্থায় আপনার উচিত সেই টিকিটটি ২-৩ মাস আগে কেটে রাখা।


এছাড়া শনিবার-রবিবার প্রায় সকল দেশেই সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।ট্রাভেল ডেট সামনে থাকা অবস্থায় শনিবার-রবিবার মিলায়ে টিকিট কাটলে দাম একটু বেশী পরবেই।

এখানেও উচিৎ ২-৩ মাস আগে টিকিট কেটে রাখা।


টিকিট কাটার জন্য অনেক এপ্স আছে -কিছু বিশ্বস্ত ota হচ্ছে trip.com / kiwi.com /Expedia.com/ ইত্যাদি।টিকিট কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন সাইটে যাচাই করে দেখবেন, দাম কিছুটা হলেও তারতম্য থাকে।এছাড়া আপনি ওয়ান ওয়ে রুট দিয়েও ট্রাই করতে পারেন।দাম যাচাই এর জন্য বেষ্ট ota হচ্ছে kayak/sky scanner (এরা থার্ড পার্টি হিসবে কাজ করে)


এছাড়া আপনি এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও কাটতে পারেন,যেখানে আপনি মেম্বার হয়ে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন।যে পয়েন্ট দিয়ে আপনি ভবিষ্যতে টাকা ছাড়াই টিকিট কাটতে পারেন।এটা অবশ্য যারা ফ্রিকুয়েন্ট ট্রাভেল করে তারাই ব্যবহার করে।


একটা জরুরি কথা - ভিসার জন্য যে টিকিট লাগে সেটা আপনি অনলাইন থেকে বিনা পয়সায় পাবেন না।অনেক এয়ারলাইন আছে যারা টিকিট হোল্ড করে রাখে ২৪/৪৮ ঘন্টা তবে সেটাও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।


আর হ্যা চেকিং ব্যাগেজ দিলে নরমালি এয়ার ফেয়ার বেশী আসে তাই বাজেট নিয়ে ঘুরতে চাইলে ব্যাকপ্যাক ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে।লাগেজ নিয়ে বাজেট ট্রাভেল করা যায়না।


আমি ২০১৯ সালের দিকে - সিউল-জাকার্তা-মালাং-সিয়াপ রিয়েপ- ব্যাংকক-ইয়াংগুন-হ্যানয়-সিউল রুটের টিকিট কেটেছিলাম মাত্র ৭২০০০০ উওন দিয়ে যেটা বাংলা টাকায় ৬০০০০ এর মত আসে।২/৩ দিন ঘাটাঘাটি করে ভিন্ন ভিন্ন এপ্স দিয়ে এই রেট মিলাইছিলাম।


*****বাসস্থান


আপনি যেকোন দেশেই ডরমিটরি অথবা হোষ্টেল পাবেন।এইসবে থাকার খরচ খুবই কম।উদাহরণ সরুপ ধরুন আপনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ৩ রাত থাকবেন, এখন ব্যাংককে অনেক ধরনের থাকার অপশন আছে।তিন তারকা হোটেলে থাকলে আপনার ৩০-৪০ ডলার খরচ হবে নরমালি সেখানে হোষ্টেল অথবা ডরমিটরিতে থাকলে আপনার ৫-৮ ডলার খরচ হবে।


আমাদের আসলে হোষ্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা নাই এজন্য হয়তো ভাবি যে যদি মাল-সামান চুরি হয়ে যায়।আসলে ডরমিটরিগুলোতে ১/২ টা পারসোনাল লকার থাকে, একটাতে আপনি আপনার ব্যাগ রাখতে পারবেন আর আরেকটা তে আপনি আপনার মূল্যবান জিনিস রাখতে পারবেন।


এছাড়া আপনি নতুন নতুন মানুষের সাথে কমিউনিকেশন করার বড় একটা সুযোগ পাবেন,যেটা হোটেলের বদ্ধ রুমে পাবেন না।


প্রায় ডরমিটরিতে খাবার জন্য হালকা-পাতলা স্ন্যাকস ও থাকে।তাছাড়া ট্যুর বাস/গ্রুপ ট্যুর লন্ড্রি সার্ভিস ইত্যাদি সুবিধাও এগুলোতে পাবেন।


আসলে  থাকবেন কই এটা ডিপেন্ড করে কই যাইতাছেন তার উপর।যদি স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে "বালি" যান তাহলে আমি কখনোই সাজেষ্ট করবো না হোষ্টেলে থাকতে।একা গেলে মেইন ট্যুরিস্ট এড়িয়া বাদ দিয়ে থাকার ট্রাই করেন, ভাড়া কম পাবেন।


***** খাবার-দাবার


আমরা যে কোন দেশে গেলেই বাংলা খাবার খুজি, এখন বাংলা খাবার খুজলে খরচ বেশি হবেই।বিদেশে এক বেলার বাংলা খাবারের খরচ দিয়ে আপনি লোকাড ফুড কম হলেও দুই বেলা ট্রাই করতে পারবেন।লোকাল ফুড ট্রাই করেন, স্ট্রিট ফুড ট্রাই করেন তাইলেই খরচ কমে যাবে।যেসব দেশে বাংলাদেশী বেশী যেমন সিঙ্গাপুর, মিডলইস্ট, মালয়েশিয়া এসব দেশে আবার বাংলা খাবারের দাম কম।


লোকাল ফুড ট্রাই করাটাও এক ধরনের অভিজ্ঞতা, আর ভ্রমণ করতে গিয়ে যদি অভিজ্ঞতাই না নিতে পারেন তাহলে সেই ভ্রমণের সার্থকতাই নাই আমার মতে।রুচিতে প্রবলেম হলে ভেজিটেবল/এগ ফ্রাইড রাইস খান, যেটা কিনা প্রায় সব দেশেই পাবেন।যাওয়ার আগে অনলাইনে একটু ঘাটলেই ওই দেশের খাবারের নাম পাবেন।আগেই ঠিক করে রাখেন কোনটা আপনার জন্য ভাল হবে।


আর হ্যা - বিদেশে গিয়া নাইট ক্লাবে ঢুকবেন তাইলে তো ভাই খরচ হবেই।


***** যাতায়াত


যাতায়াতের ক্ষেত্রে টেক্সি এড়িয়ে চলুন।টেক্সি মানেই অতিরিক্ত খরচ।লোকাল ট্রান্সপোর্ট ইউজ করলে খরচ কমে যায়।প্রায় সকল দেশেই ট্যুরিস্ট পাস পাওয়া যায় যেটা কিনা ১/৩/৭ বিভিন্ন মেয়াদে পাবেন।উন্নত অনেক দেশে আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়েও ভাড়া দিতে পারবেন।আর এইসব কার্ড এয়ারপোর্ট থেকে কিনবেন না, এয়ারপোর্টে নরমালি এসব কার্ডের দাম বেশী রাখে।


ট্যুরিস্ট সেন্টার অথবা কনভিনিয়েন্স স্টোর থেকে কিনলে দাম একটু কম পরে।যেসব দেশে লোকাল ট্রান্সপোর্ট কম সেখানে আপনি বাইক ভাড়া করে ঘুরতে পারেন যদি আপনার কাছে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে।অনেক জায়গায় আবার লাইসেন্স ছাড়াও বাইক ভাড়া নেয়া যায়।বাইক ভাড়া করার ক্ষেত্রে আপনার ডিপোজিট রাখতে হয় অথবা পাসপোর্ট জমা দিতে হয়।আর হ্যা বাইক ভায়ারা নেয়ার আগে অবশ্যই সেই বাইকের একটা ভিডিও করে রাখবেন, ঝামেলা থেকে বাচার জন্য।


আর যদি ট্যাক্সি নিতেই হয় তবে এপ্স ইউজ করার ট্রাই করেন।বিভিন্ন দেশে Uber,grab, Go-Jek ইইত্যাদি আছে যা আপনি মোবাইল এপ্স দিয়েই ইউজ করতে পারবেন।


আরো একটা পয়েন্ট, আর সেটা হচ্ছে - ধরুন আপনি একা একা ফিলিপাইন গেলেন এখন আপনি দুই দিনের জন্য শহরের বাহিরে যাবেন সেক্ষেত্রে একা একা গেলে অনেক খরচ হয়ে যাবে।আপনি ওই দেশে লোকাল কোন গ্রুপের সাথে যাওয়ার চেষ্টা করলে খরচ একটু হলেও কমে যাবে।ফেসবুকে ওই দেশের উক্ত স্থানের জন্য অনেক ইভেন্ট পাবেন, আপনি যাওয়ার আগেই সেই ইভেন্টের সাথে যোগাযোগ করে রাখলে কম খরচে শহরের বাহিরে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।


এগুলো আপনি যাওয়ার আগে অনলাইন থেকে রিসার্চ করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।


***** ইন্টারনেট 


ইন্টারনেট সাথে থাকলে আপনার সময় বেচে যাবে।এই ইন্টারনেট সিম এয়ারপোর্ট থেকে না নিয়ে অফিসিয়াল স্টোর থেকে নেয়ার ট্রাই করুন।একটু কষ্ট হবে, তবে ভ্রমনে গিয়ে কষ্ট না করলে মজা নাই।এয়ারপোর্টে সিমের দাম ২/৩ গুন বেশী থাকে,আর কম মেয়াদের প্যাকেজ পাওয়া যায় না নরমালি।সেখানে অফিসিয়াল স্টোর থেকে আপনি ১ দিনের ও প্যাকেজ পাবেন তাও সাশ্রয়ী মূল্যে।


ইন্টারনেট থাকলে আপনার চলাফেরা করা সহজ হবে।খুব সহজেই আপনি আপনার ডেস্টিনেশন খুজে পাবেন।আপনি যাষ্ট গুগল ম্যাপে গিয়ে লিখবেন tourist attraction near me আর গুগল সাথে সাথেই আপনাকে আপনার আশেপাশে ঘোরার মত জায়গা সাজেষ্ট করে দেবে।


***** কারেন্সি


এয়ারপোর্ট থেকে কিছুই করবেন না।আর যে দেশ থেকে যাবেন সেখান থেকে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করলে রেট সবসময়ই কম পাবেন।যে দেশে যাবেন তাদের দরকার ডলার তাই তাদের চেয়ে বেশী রেট কেউ দিতে পারবে না।

আর এক্সচেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো হচ্ছে বেষ্ট তাও যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। একেক দোকানে একেক রেট থাকে, ঘুরে ঘুরে রেট যাচাই করার ক্ষেত্রে সরমের কিছুই নাই।


***** ভাষা


অন্য দেশে ট্রাভেলিং করা ক্ষেত্রে এডভান্টেজ পাওয়ার জন্য লোকাল কিছু বেসিক সেনটেন্স শিখে রাখা ভাল।লোকাল ভাষায় সালাম, গুড মর্নিং ইত্যাদি বললে সেদেশের মানুষ এমতেই খুশী হয়ে যায়।এতে করে হতেও পারে বিভিন্ন জায়গায় আপনি ডিসকাউন্ট পেয়ে গেলেন।


বা দ্যা ভাষা উম,এ,আহা এগুলা না বইলা গুগল ট্রান্সলেট ইউজ করার ট্রাই কইরেন।


***** আরো কিছু কথা  


১. যে দেশে যাবেন তাদের চার্জিং সিস্টেম জেনে যাবেন। যেমন জাপানে আপনি তিন- পিনওয়ালা চার্জার ছাড়া ফোন চার্জ দিতে পারবেন না।  


২.লোকাল মার্কেট কোথায় আছে সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে পারেন,যেখান থেকে আপনি কম দামে মার্কেটিং করতে পারবেন।  


৩.বিদেশে যাওয়ার আগে ইভিসা কপি ২ টা সাথে করে নিয়ে যাওয়ার ট্রাই কইরেন।  


৪.নরমালি হোটেল বুকিং এর হার্ড কপি লাগে না তাও এক কপি সাথে রাখতে পারেন।  


৫.হোটেল বুকিং এর জন্য 𝗯𝗼𝗼𝗸𝗶𝗻𝗴/𝗮𝗴𝗼𝗱𝗮 ইত্যাদি থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই হোটেল বুকিং দিতে পারবেন।  


৬.খালি পানির বোতল রাখার চেষ্টা করুন - জীবন মানেই পানি তবে এই পানির বোতলের দাম সব দেশেই বেশী।  


৭.পাওয়ার ব্যাংক খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা জিনিস।  


৮.ভিসা/অন্যান্য সবকিছু নিজে করার চেষ্টা করুন, যদি সম্ভব হয়।এতে খরচ যেমন কমে যাবে তেমন অভিজ্ঞতাও বাড়বে।  


৯.নাইট-ক্লাবে যাওয়া বাদ দিতে হবে।অনেক অনেক মানুষ দেখি যারা লুকায়ে লুকায়ে হলেও নাইট ক্লাবে যায়, এসবে গেলে খরচ তো হবেই।  


১০.দূর যাত্রার ক্ষেত্রে নাইট বাস/ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন।এক্ষেত্রে এক রাতের হোটেল ভাড়া বেচে যাবে।  


১১.গুগল/𝗰𝗵𝗮𝗽 𝗴𝗽𝘁 ব্যবহার করা শিখুন।আপনি যাষ্ট প্রশ্ন করবেন আর এরা আপনাকে সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবে।  


১২. 𝗾𝘂𝗼𝗿𝗮,𝗿𝗲𝗲𝗱𝗶𝘁 কমিউনিটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুব সহজেই নিতে পারেন।  


১৩.𝗰𝗼𝘂𝗰𝗵𝘀𝘂𝗿𝗳𝗶𝗻𝗴 এপ্স ইউজ করতে পারেন, যদিও এখন এই এপ্স পে মডেল ইউজ করে।আমি ইন্দোনেশিয়াতে ফ্রিতে একজনের বাসায় ছিলাম ২০১৯ এর দিকে।  


আরো অনেক কিছু আছে যেটা আপনি সাহস করে একা ঘুরতে বের হলে আস্তে আস্তে শিখে যাবেন।আসলে অভিজ্ঞতা কাউকে শিখেয়ে দেয়া যায়না।এখানে যত কথা বলেছি তা শুধুই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, হয়তো সব কথা এত অল্প লেখায় বলা সম্ভব হয়নি।আপনার যদি আরো কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে কমেন্ট করে বলতে পারেন আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো উত্তর দেয়ার।  


ছবিটি ২০১৯ এর শেষের দিকে - ২৪ দিনের জন্য একটা সোলো ট্যুরে গিয়েছিলাম তখনকার।জায়গাটা হচ্ছে থাইল্যান্ডের উত্তর দিকের চিয়াং মাই শহরের গোল্ডেন ট্রায়াংগেল, যেটা কিনা তিন দেশের বর্ডার।


srabontrails


অনেক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যবর্তী কোণ  বের করতে বলা হয়,,,

 অনেক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যবর্তী কোণ  বের করতে বলা হয়। এই ধরণের অংক এই সর্টকাট নিয়মে আমরা মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডে উত্তর বের করতে পারি।


শুধু মাত্র ১টি সুত্র মনে রাখলেই, মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘড়ির, ঘন্টা ও মিনিট এর কাটার মধ্যেবর্তী কোণের দূরত্বের নির্নয়ের নিচের অংক গুলোর উত্তর করতে পারবেন


টেকনিকঃ (11×M – 6O×H)÷2

এখানে, M=মিনিট

H=ঘন্টা

উদাহরনঃ যদি ঘড়িতে ২ টা ৪০ মিনিট হয়, তবে ঘণ্টার কাটা ও মিনিটের কাটা কত ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করে।

সূত্র: (11 × M – 6O × H)÷2, (এখানে M এর স্থানে মিনিট ও H এর স্থানে ঘন্টা বসাতে হবে)


সমাধানঃ

(11 × 4O–6O×2)÷2

= 160(উঃ)

[বিঃদ্রঃযদি কোনের মান 180° অতিক্রম করে(অর্থাৎ 180 ° চেয়ে বেশি হয়)তবে প্রাপ্ত মানকে ৩৬০ থেকে বিয়োগ করে কোন এর মান নির্নয় করতে হবে]


ঘড়ি বৃত্তান্ত ঃ

ঘড়িসংক্রান্ত সমস্যাতে ঘড়ি বলতে আপনাকে তিনটি কাটা (ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড) যুক্ত ১২ ঘন্টার ঘড়ি (এনালগ) বুঝতে হবে।


আমরা জানি,

১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট

১ মিনিট = ৬০ সেকেন্ড


ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা ৬০ সেকেন্ডে ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, সেকেন্ডের কাটা প্রতি সেকেন্ডে ঘোরে = ৩৬০/৬০ = ৬ ডিগ্রী


ঘড়ির মিনিটের কাটা ৬০ মিনিটে ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, মিনিটের কাটা ১ মিনিটে ঘোরে = ৩৬০/৬০ = ৬ ডিগ্রী


ঘড়ির ঘন্টার কাটা ১২ ঘন্টায় ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, ঘন্টার কাটা ১ ঘন্টায় ঘোরে = ৩৬০/১২ = ৩০ ডিগ্রী


সংখ্যায় সংখ্যায়ঃ

১ দিন বা ২৪ ঘন্টায়,

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একে অপরের সাথে সমকোণ উৎপন্ন করে = ৪৪ বার [নোট-১]

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একটি অপরটির ওপরে অবস্থান করে = ২২ বার [নোট-২]

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একটি অপরটির ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে = ২২ বার [নোট-৩]


গুরুত্বপূর্ণ সূত্রঃ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘড়ির মিনিট ও ঘন্টার কাটা একে অপরের সাথে কত ডিগ্রী কোণ উৎপন্ন করে তার একটা সূত্র রয়েছে। সূত্রটি নিম্নরূপ:

ক টা খ মিনিটে ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাটার মধ্যকার কোণের পরিমাপ = |(৬০ক – ১১খ)|/২ ।

যেমন, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাটার মধ্যকার কোণের পরিমাপ = |(৬০*২ – ১১*৩০)|/২ = |(১২০ – ৩৩০)|/২ = |(১২০ – ৩৩০)|/২ = ২১০/২ = ১০৫ ডিগ্রী

.

ভাষাগত জটিলতাঃ

20 minutes past 10 মানে হলো ১০টা বেজে ২০ মিনিট বা ১০:২০টা।

20 minutes to 10 মানে হলো ১০টা বাজতে ২০ মিনিট বাকি, বা ৯:৪০টা।

——- ‘past’ লেখা নাকি ‘to’ লেখা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ।


আরও:

reflex angle কথাটার মানে হলো প্রবৃদ্ধ কোণ। কোনো কোণের পরিমাপ ১৮০ ডিগ্রী অপেক্ষা বড় এবং ৩৬০ ডিগ্রী অপেক্ষা ছোট হলে, তাকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলা হয়। একটি কোণের পরিমাপ যদি ৩০ ডিগ্রী হয়, তবে ঐ কোণটির প্রবৃদ্ধ কোণটি হবে = ৩৬০ – ৩০ = ৩৩০ ডিগ্রী।


নোট ১ঃ প্রতি ঘন্টায় ২বার করে ২৪ ঘন্টায় ৪৮ বার করার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দুপুর ও রাত ২:০০টা থেকে ২:৫৯ এবং ৮:০০টা থেকে ৮:৫৯ এই ৪ ঘন্টায় ১বার করে সমকোণ উৎপন্ন হয়।

নোট ২: প্রতি ঘন্টায় ১বার করে ২৪ ঘন্টায় ২৪ বার করার কথা, কিন্তু সকাল ও রাত ১১:০০ থেকে ১১:৫৯ এই সময়ে কাটা দুটি একটি অপরটির ওপরে অবস্থান করে না।

নোট ৩: প্রতি ঘন্টায় ১ বার করে ২৪ ঘন্টায় ২৪ বার করার কথা, কিন্তু ভোর ও সন্ধ্যে ৫:০০টা থেকে ৫:৫৯ এই দুই ঘন্টায় কাটা দুটি একটি অপরটির বিপরীতে অবস্থান করে না।

সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে, কলম্বিয়া,,,,,,,,

 "  সবকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও এই দ্বীপ আজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ "


***********************************************


পৃথিবীর বিভিন্ন মহাসাগরের মধ্যে রয়েছে নানারকম অজানা দ্বীপপুঞ্জ। কতগুলি রয়েছে নিজস্ব স্বাধীনতা নিয়ে আবার কতগুলি রয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্রের অধীনে। এরকমই একটি অজানা দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে কিছু তথ্য রইল আজ আমাদের এই পর্বে।


সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে, কলম্বিয়া::-- 


কলম্বিয়ার উত্তরে ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট একটি দ্বীপ সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে। বিভিন্ন ইন্টারনেটের তথ্য থেকে একথা বলা হয় যে এটিই বিশ্বের সবথেকে ঘিঞ্জি দ্বীপ।


বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি দ্বীপে নেই পর্যাপ্ত পানীয় জল, টয়লেট, হাসপাতাল, নেই কোনও পুলিশ, অসুখ হলে হাসপাতালও নেই। চারধারে সমুদ্র। তবু এ ঘিঞ্জি দ্বীপে দিব্যিই থাকেন কয়েকশো মানুষজন।


শহরে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে অনেকেই হয়তো বলবেন বিনা পয়সায় থাকতে দিলেও এখানে থাকব না। কারণ এখানে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই অভাব রয়েছে। তবুও এইসব নেইয়ের দ্বীপে কিন্তু মানুষের বাস সারা পৃথিবীকেই অবাক করে। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ।


চারধারে নীল জলরাশির সমুদ্র। তার মাঝে প্রায় ২ একর জমি নিয়ে কোনরকমে টিকে রয়েছে একটা দ্বীপ। সেই দ্বীপেই কমসেকম ১২০০ মানুষের বাস।এই দ্বীপে গায়েগায়ে লেগে আছে বসতবাড়ি। অন্যান্য ঘরবাড়ির সামান্য ফাঁক গলে তবেই নিজের বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।


এই দ্বীপের বসবাসকারী সাধারণ মানুষের শরীর খারাপ হলে ছোট্ট একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। সেখানে যেটুকু চিকিৎসা ব্যবস্থা তাতে বড় ধরনের কোন অসুখ করলে  মানুষের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। পানীয় জল সরবরাহের জন্য কোনও জলের পাইপ নেই। দিতে বসবাসকারী মানুষদের সমুদ্রপথে পানীয় জল আনতে হয় দূরবর্তী কলম্বিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে।


দ্বীপটিতে নেই কোন স্থায়ী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তবে বর্তমানে কিছু সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে। তাই দিয়ে যেটুকু বিদ্যুৎ জোটে। কোনও রকম প্রশাসনিক বিভাগ নেই এই দ্বীপে। বলা হয় এখানে নাকি চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেই না। এই সব কিছু নেইয়ের দ্বীপেই কিন্তু ঠাসাঠাসি করে বাস করেন মানুষজন।


কিন্তু একথা একবার ভেবে দেখুন তো যেখানে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের অভাব রয়েছে সেখানে এভাবে মানুষের বসবাস সত্যি বিশ্ববাসীকে অবাক করে তোলে। প্রতিদিনের জীবনযাপন





ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

 ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। গড়ের মাঠের জেলখানা সরিয়ে তৈরি হয় এই স্মৃতিসৌধ। একটু জোরে হাওয়া দিলেই বিভিন্ন দিকে ঘুরে যায় ভিক্টোরিয়া পরী। জর্জ অরওয়েলের ১৯৩৯ সালে লেখা ‘1984’ উপন্যাসের সেই বিখ্যাত ‘বিগ ব্রাদার ইস ওয়াচিং ইউ’ স্লোগানটার কথা মনে পড়ে? ওই উপন্যাস লেখারও অন্তত আঠারো বছর আগে প্রায় সেই রকমই একটা স্লোগান উঠেছিল গত শতকের বিশের দশকের গোড়ায় কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির পর। কিন্তু কেন? কারণ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ভবনের মূল গম্বুজের উপরে বসানো সেই বিখ্যাত ‘পরী’!

বিশাল আকার সৌধের প্রধান হলের ঠিক মাথায় রয়েছে একটা গম্বুজ আর গম্বুজের বাইরের দিকে একটা পারা বা মার্কারি দিয়ে ভরা ব্রোঞ্জের গ্লোব। গ্লোবের উপর দাঁড়িয়ে আছে প্রায় সাড়ে ছয় টন ওজনের ব্রোঞ্জের তৈরি এক নারীমূর্তি, বাঁ হাতে একটি লম্বা শিঙা ফুঁকছে। ডান হাতে একগুচ্ছ ফুল, পেছনে দুটো পাখা। মূর্তির বৈশিষ্ট হল, একটু জোরে হাওয়া দিলেই সে ঘুরে যায় বিভিন্ন দিকে। আর তাই নিয়েই সে যুগে তৈরি হয়েছিল নানা গুজব। শোনা যায়, কেউ কেউ রটিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এঞ্জেল ইস ওয়াচিং ইউ’। অর্থাৎ ওই পরী নাকি ব্রিটিশদের চর। ২০০ ফুট উঁচু থেকে চারিদিক ঘুরে কলকাতাবাসীদের উপর নজর রাখছে।

১৯০১ সাধারণাব্দের জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু হয়। লন্ডন থেকে মৃত্যু সংবাদের টেলিগ্রাম তৎকালীন ভারতের রাজধানী কলকাতার লাটভবনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল। পরের দিন থেকেই দেশের অভিজাত সম্প্রদায় রানির মৃত্যুতে শোক পালনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল। বাঙালিও অংশ নিল সেই শোক পালনের প্রতিযোগিতায়। পাথুরিয়াঘাটার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের উদ্যোগে হিন্দু পারলৌকিক বিধি অনুসারে মৃত্যুর তারিখ থেকে বারো দিনের দিন সঙ্গীত সমাজের ব্যবস্থাপনায় অসংখ্য মানুষ মাতৃবিয়োগের সমান শোকচিহ্ন অর্থাৎ সাদা ধুতি ও সাদা উত্তরীয় পরে খালিপায়ে গড়ের মাঠে কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করল। পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট অর্থাৎ, বর্তমান বিধান সরণির উপর বিডন স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে মেছুয়াবাজার স্ট্রিট অর্থাৎ, বর্তমান কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিট পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার উপর ফুটপাথ ধরে চারটি সারিতে কাঙালি ভোজন বা দরিদ্রনারায়ণ সেবা করানো হল। মেনু ছিল— খিচুড়ি, কপির তরকারি, দই, বোঁদে এবং ভীমনাগের দেওয়া সন্দেশ। খিচুড়ি তৈরি করতে লেগেছিল, সাড়ে চার টাকা মণ দামের দেড় শো মণ বালাম চাল, সেই পরীমাণ ডাল, ১২ মণ ঘি, হলুদ, লঙ্কা প্রভৃতি মশলা। সেই সময়ে ভারতের গর্ভনর জেনারেল ছিলেন লর্ড কার্জন। তাঁর প্রস্তাব অনুসারে ভিক্টোরিয়ান যুগের নানা শিল্পবস্তু দিয়ে সাজানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, নাম হবে ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল’। ময়দানের দক্ষিণ অংশে ক্যাথিড্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর যেখানে আগে একটা জেলখানা ছিল, সেই জায়গা পছন্দ হল কার্জন সাহেবের। সৌধ তৈরির জন্য সেই জেলখানাকে সরিয়ে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হল আলিপুরে। সেটাই এখন আলিপুর সেন্ট্রাল জেল নামে পরীচিত, যা আবার এখন স্বদেশি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে। ৫৪ একর জমির উপর সেই সৌধ তৈরির কাজ শুরু হল। ১৯০৬-এর ৪ জানুয়ারি, রানির নাতি জর্জ প্রিন্স অফ ওয়েল্‌স, বা পরবর্তীকালের রাজা পঞ্চম জর্জ, কলকাতায় এসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গেলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের। স্যর উইলিয়ম এমারসনের নকশায় বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে সাদা মার্বেলের এই সৌধ তৈরি হতে সময় লেগেছিল প্রায় পনেরো বছর। খরচ হয়েছিল এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা, যার সবটাই এসেছিল রাজা-মহারাজা ও সাধারণ মানুষের দেওয়া দান থেকে। মাটি থেকে ৮ ফুট উঁচু, ৩৯৬ ফুট লম্বা এবং ২২৮ ফুট চওড়া মূল সৌধের চারদিকে চারটে টাওয়ার। ভিতরের দুটো তলা মিলিয়ে অনেকগুলো ঘর সাজানো হল বিভিন্ন শিল্পবস্তু দিয়ে। ১৯২১ সাধারণাব্দের ২৮ ডিসেম্বর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দ্বার উদ্ঘাটন করেন প্রিন্স ওফ ওয়েলস এডোয়ার্ড অ্যালবার্ট।



চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করছেন তিনি 

 চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করছেন তিনি 


মে ৩০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ, শহরের চাকরি ছেড়ে নিজের হোমটাউনে ফিরে বেছে নিলেন কৃষকের পেশা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি এখন দারুণ সফল। কিভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেলেন এই তরুণ কৃষক, চলুন শোনা যাক সেই গল্প। 


ফসলের ক্ষেত। এখানে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে বাড়ছে উৎপাদন। ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন তরুণ কৃষক। নাম তার থাং সিনছেন। 


থাং সিনছেন বলেন, ‘শুরুতে আমি শুধু চেয়েছিলাম নতুন ব্যক্তিগত মূল্য ও নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করতে। সেইসময় আমি স্থানীয় কিউয়ি শিল্পকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ফিরে আসি। বেশ গভীরভাবে গবেষণা করে বুঝতে পারি যে, সমস্যাগুলো শুধু যে পণ্য বিক্রির সময় হয় তা নয়, চাষের কাজ চলার সময়ও নানা রকম সমস্যা হয়। এখানে যে ফলগুলো উৎপন্ন করা হতো সেগুলো আকার আকৃতিতে স্টান্ডার্ড এর চেয়ে ছোট।’ 


দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু সিটির ছিয়ংলাই কাউন্টির বাসিন্দা থাং একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ। দুই বছর আগে ২৮ বছর বয়সী থাং সিনছেন ছেংতু সিটির একটি ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি সেই চাকরি ছেড়ে তার হোমটাউন ছিয়ংলাই কাউন্টিতে চলে আসেন। তিনি ১৩ হেকটর এলাকার একটি ফলের বাগান এবং ৬৬ হেকটর জমিতে ধানক্ষেত গড়ে তোলেন। 


তিনি তার খামার সাজিয়ে তোলেন ড্রোন, সেন্সর এবং অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি দিয়ে। তিনি তার উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তিনি চার হেকটর জমিতে কিউয়ির পরিবর্তে কমলার চাষ শুরু করেন। তিনি ৯.৩ হেকটর জমিতে  পুরনোর বদলে নতুনভাবে কিউয়ি গাছ লাগান। মাটির গুণগতমান উন্নত করেন। গতানুগতিক চাষপদ্ধতির সমস্যাগুলো মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেন।

থাং সিনছেন আরও বলেন,  আমরা যখন নতুনভাবে ফলের বাগান সাজাই তখন যন্ত্রপাতি , স্বয়ংক্রীয় যান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু জায়গা ছেড়ে রাখি।’ 

তিনি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদিত ফল বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি এআই সরটার প্রয়োগ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানসম্পন্ন ফল বেছে নেয়া হয়। তিনি ইন্টারনেটে শর্ট ভিডিও তৈরি করে প্রেচার করতে থাকেন। তার শর্ট ভিডিওগুলো লাখ লাখ ভিউ হয়। গত বছর ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কমলা এবং ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কিউয়ি বিক্রি করেন। 

থাং সিনছেন বলেন, ‘ আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে সমস্যা দূর করা। বাজারের রুচির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, বিশাল পরিমাণে উৎপাদন এবং হাজার হাজার কৃষক যেন গ্রহণ করে সেটি দেখতে হয়।’


তিনি বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন এবং ফল উৎপাদনে সাফল্যও পেয়েছেন। কৃষিখামারে তার এই সাফল্য চীনের বর্তমান গ্রাম পুনরুজ্জীবনের ধারায় ইতিবাচক অবদান রাখছে। 


শান্তা/মিম 

তথ্য: সিসিটিভি 

China_Agriculture

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...