এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

পুরুষালী ফেইসবুক গল্প পিউ ভট্টাচার্য

 রাত তখন সাড়ে বারোটা, ঘন ঘন হাতের ঘড়িটার দিকে দেখতে দেখতে খুব তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে হেঁটে আসছিলো পেশায় 'বার ডান্সার' শালিনী। এক্ষুণি বাড়ি গিয়ে মেসোকে খেতে দিতে হবে। পঙ্গু মেসো, বাপ মা মরা মেয়েটার ওই মেসোই একমাত্র পরিবার। আজ বড্ড রাত হয়ে গেছে, তাই বড় রাস্তার মোড়ে এসে সাত পাঁচ না ভেবে পাশের অন্ধকার একটা শর্টকাট গলি ধরলো ও ...


গলিটার ঠিক মুখেই তখন বসে স্মার্টফোন ঘাঁটছে কুশল।  রাত বারোটায় ইন্টারন্যাশনাল মেন'স ডে শুরু হয়েছে, তাই টপাক করে একটা পোস্টে লাভ রিয়্যাক্ট দিয়েই, "Mens are the symobol of responsibility"  কমেন্ট করে মুখটা তুলতেই চোখে পড়লো সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া মেয়েটার দিকে। আর দেখা মাত্রই সেইদিকেই চোখ আটকে গেলো ওর! ছিপছিপে চেহারা, শর্ট স্কার্ট, স্ট্রেট চুল, স্লিভলেস টপ, টকটকে লাল লিপস্টিক, উফফ্ !! 


দেরি করলোনা কুশল আর এক মুহুর্তও, ঝটপট উঠে দাঁড়িয়ে ফোনটা পকেটে ঢুকিয়েই হাঁটা দিলো মেয়েটার পিছনে পিছনে। একটু তফাৎ রেখে হাঁটতে হাঁটতে অন্ধকারে চোখ সয়ে আসতেই চোখ দিয়েই ভালো করে চেখে নিচ্ছিলো মেয়েটার সুডোল চেহারাটা, ঠোঁট কামড়ে কামড়ে দেখছিলো ওর তাড়াহুড়োয় এগিয়ে চলা চঞ্চল নিতম্বটা, লোমহীন মোলায়েম পা গুলো!


এইভাবে যেতে যেতে মেয়েটা যখন গিয়ে পৌঁছয় এই কালো নিকষ গলিটার একদম মাঝখানে, ঠিক তখনই মেয়েটার ব্যাগের মধ্যে থেকে হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে ওঠে! আর সঙ্গে সঙ্গে ও দাঁড়িয়ে গিয়ে ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করতে যায়...


ব্যাস্, এই সুযোগ! এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করেনি কুশল! শালিনী ফোনটা বের করে কানে দিয়ে শুধু বলেছে "হ্যালো মেসো?", আর তক্ষুনি পিছন থেকে দৌড়ে এসে বাঘের মতো শালিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, ওকে গায়ের জোরে জাপটে ধরতেই, হঠাৎ কোত্থেকে একটা আধলা ইঁট এসে ভীষণ জোরে আঁছড়ে পড়লো কুশলের মাথায়! আর সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ একটা গোঙানির শব্দ করে কুশল শালিনীকে ছেড়ে দিয়ে ধপাস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েই জ্ঞান হারালো!


-----


এক মুহুর্ত সব চুপ! শালিনী এখন হাঁপাচ্ছে। বিস্ফারিত চোখে ও প্রথমে অবাক হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা খয়েড়ি-সাদা চুলের ছেলেটাকে দেখে, তারপর মুখ তুলে তাকালো সামনের দিকে। দেখলো, একটু দূরে অন্ধকার পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছেঁড়া জামা পরা, উসকো খুশকো চুলের বদ্ধ পাগল! সে তখনও দাঁত মুখ খিঁচিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা কুশলকে দেখছে আর রাগে ফুঁসছে! নোংরা কালো হাতটা তখনো থরথর করে কাঁপছে পাগলটার। অন্ধকার বলেই বোধহয় কুশল দেখতে পায়নি, যে একজন দূর থেকে ওর এই অসভ্যতামিটা লক্ষ্য করছিলো ... 


হাত থেকে ফোনটা পড়ে গিয়েছে শালিনীর, চোখদুটো বিস্ফারিত নেই আর, স্তিমিত হয়ে এসেছে অল্প জলে। নিজের অজান্তেই কীভাবে যেন হাত দুটো জোর করে শালিনী নমস্কারের ভঙ্গিতে তুলে ধরেছে পাগলটার দিকে। ঠোঁট দুটো তিরতির করে কাঁপছে ওর! আর,


পাগলটার নোংরা লাল দাঁতে, তখন শান্তির হাসি, দায়িত্ব পালনের হাসি !


-- পিউ --

শাবানা যত নায়কের সঙ্গে সিনেমা করেছেন তাঁদের তালিকাঃ,,,,,,

 🌺বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শাবানা যত নায়কের সঙ্গে সিনেমা করেছেন তাঁদের তালিকাঃ


(১) রাজ্জাক

(২) আলমগীর

(৩) জ‌সিম

(৪) ওয়াসিম

(৫) ফারুক

(৬) সো‌হেল রানা

(৭) বুলবুল আহ‌মেদ

(৮) জাফর ইকবাল

(৯) ই‌লিয়াস কাঞ্চন

(১০) নাদিম

(১১) খসরু

(১২) প্রবীর মিত্র

(১৩) মিঠুন

(১৪) এ‌টিএম শামসুজ্জামান

(১৫) আনন্দ

(১৬) ফয়সাল

(১৭) রা‌জেশ খান্না

(১৮।) মেহফুজ

(১৯) জা‌ভেদ

(২০) উজ্জ্বল

(২১) রহমান

(২২) শওকত আকবর

(২৩) হাসান ইমাম

(২৪) আ‌জিম

(২৫) মান্নান

জানেন গুড় থেকে কিভাবে এলো গৌড় দেশ?

 জানেন গুড় থেকে কিভাবে এলো গৌড় দেশ?


খুবই পরিচিত একটি শব্দ হল গুড়, এককালে বাঙালি ঘরে অতিথি এলে গুড়-জল দিয়ে অভ‍্যর্থনা জানানো হতো। বাঙালি ঘরের শিশুরা দুধ-গুড় আর গুড়-মুড়ি খেয়ে বড়ো হতো। এখনকার মতো তখন প‍্যাকেটজাত শিশুখাদ্য ছিল না। আর এই প্রিয় গুড় থেকেই দেশটার নাম হয়ে গেল গৌড়দেশ, সংক্ষেপে “গৌড়।”

প্রাচীন বাংলার ( অন্য বানানে “বাঙলা” ) নাম ছিল গৌড়। পাঁচটি মৌলিক ভাগে বিভক্ত হয়ে পুরো দেশটি পরিচিত ছিল পঞ্চগৌড় নামে


১) পঞ্চগৌড়ের প্রথম ভাগ ছিল লাল মাটির দেশ “রাঢ়।” ভাগীরথীর পশ্চিম তীরের এলাকায় অবস্থিত আজকের বীরভূম, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মুর্শিদাবাদ, দুমকা, সাহেবগঞ্জ, দেওঘর, গোড্ডা, ধানবাদ, পুরুলিয়া, সিংভূম, রাঁচির পূর্ব অংশ, গিরিডির দক্ষিণ-পূর্ব অংশ নিয়ে ছিল রাঢ়। সবচেয়ে বড়ো এই এলাকা


২) গৌড়ের দ্বিতীয় এলাকা ছিল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের ব-দ্বীপ এলাকা। এর নাম ছিল “সমতট, ” সাধারণভাবে বলা হতো “বাগড়ি।” পূর্ব মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা এবং বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, গোয়ালন্দ, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ছিল এই এলাকায়।

এই সমতটের রাজা ভগীরথ পদ্মা থেকে গঙ্গা, জলঙ্গী প্রভৃতি একশোটি খাল কেটে তাকে সমুদ্রের সঙ্গে জুড়েছিলেন। সেজন্য গঙ্গার আরেক নাম হয়ে যায়, শতমুখী। রামায়ণের সগর রাজা ছিলেন এই সমতটের রাজা। তাঁর “সগর” নাম থেকেই হয়েছে “সাগর।”


৩) তৃতীয় অংশ ছিল বরেন্দ্র। গঙ্গার উত্তরে আজকের মালদহ ও দিনাজপুর এলাকা।


৪) গঙ্গার উত্তর তীরে ছিল বিদেহ বা মিথিলা। রাজা মিথি এই দেশ জয় করে ত্রিহোত্রীয় যজ্ঞ করেছিলেন। তাই এর আরেক নাম তিরহুত অর্থাৎ তীরভূমি। পঞ্চগৌড়ের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ছোট এলাকা।


৫) এর পরের অংশ “বঙ্গ।” গৌড়দেশের নদীমাতৃক এলাকা অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশের ঢাকা অঞ্চল ছিল এই এলাকার অন্তর্ভুক্ত।

আর বঙ্গের কাছাকাছি এলাকা পরিচিত ছিল “বঙ্গাল” নামে। অনেকে মোগল যুগের লেখক আবুল ফজলের “আইন-ই-আকবরী” থেকে “বঙ্গাল” শব্দের ব‍্যাখ‍্যা করেন, “বঙ্গ” + “আল” = বঙ্গাল অর্থাৎ আল দিয়ে ঘেরা যে দেশ, তার নাম “বঙ্গাল” বলে থাকেন।


কিন্তু বৌদ্ধযুগ থেকেই “বঙ্গাল” শব্দটির ব‍্যবহার রয়েছে। চর্যাপদে দেখা যাচ্ছে, “ভুসুকু আজ তু বঙ্গালী ভইলী।” কাজেই মোগল আমলের বহু আগে থেকেই এই দেশের নাম “বঙ্গাল।” বঙ্গের কাছাকাছি যে অঞ্চল, তার নাম ছিল “বঙ্গাল।” সংস্কৃতে যা ছিল গৌড়দেশ, বাংলায় তা হয়ে যায় “বাঙলাদেশ।” ফিরে আসি গৌড়ের নামকরণ প্রসঙ্গে। এই দেশ ছিল আখের গুড়, তাল গুড়, খেজুর গুড়ে সমৃদ্ধ এলাকা। বৈদিক শব্দ “গুড়।” এই “গুড়” শব্দের সঙ্গে তদ্ধিত “ষ্ণ” প্রত‍্যয় যোগে উৎপন্ন হয় “গৌড়” শব্দ। এখান থেকে তৈরি গুড় রপ্তানি হতো বিভিন্ন দেশে। এমনকি, যখন পোর্তুগীজরা এদেশে এসেছিলেন, তখন তাঁরা এদেশ থেকে মূলত গুড় ও চিনি রপ্তানি করতেন। এজন্য তাঁরা এদেশের সপ্তগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দর দুটিকে ব‍্যবহার করতেন। এভাবেই গুড়ের দেশ হিসেবে ব‍্যাপক অর্থে পঞ্চ গৌড় মিলে গোটা উত্তর ভারতের নাম হয়ে যায় “গৌড়দেশ।” আর সাধারণভাবে “গৌড়দেশ” বলতে বোঝায় “বাঙলা।” বৌদ্ধযুগের পরে ব্রাহ্মণদের গাঞি-গোত্রাদি নির্ধারণের জন্য প্রয়াগে একটি বড়ো মেলা বসেছিল। অনেক আলোচনার পর শেষে ভারতের দশ শ্রেণির ব্রাহ্মণকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচ শ্রেণির ছিল উত্তর ভারতের এবং এঁদের নাম দেওয়া হয়েছিল “পঞ্চগৌড়ী। জম্মু, কাশ্মীর, পাঞ্জাবের সারস্বত ব্রাহ্মণ এবং রাজস্থান, হরিয়াণার গৌড় ব্রাহ্মণ। এই ব্রাহ্মণরা গৌড়দেশ থেকে গিয়েছিলেন বলে এঁদের বলা হয়েছে গৌড় ব্রাহ্মণ। এঁরা মাছ-মাংস খেতেন না। আর বাঙলার ব্রাহ্মণরা মাছ-মাংস খেতেন বলে তাঁরা স্বীকৃতি পাননি।

অন্যদিকে, অন্য পাঁচ শ্রেণির ব্রাহ্মণ ছিলেন পঞ্চ দ্রাবিড়ী ব্রাহ্মণ। এঁদের মধ্যে ছিলেন উত্তর প্রদেশের কনৌজী ব্রাহ্মণ, গুজরাটের নাগর ব্রাহ্মণ এবং উত্তর বিহারের মৈথিলী ব্রাহ্মণ। যাই হোক, গুড় থেকেই যে গৌড় হয়েছে তা বোঝা গেল। গুড় বাংলায় একটি জনপ্রিয় খাদ‍্য। শীতকালে খেজুর গুড় শীতের নতুন বার্তা বয়ে আনে। তাই শীতকালে খেজুর গুড় থেকে তৈরি পাটালির সংস্কৃত নাম “নববার্তা, ” যা থেকে চলতি কথায় হয়েছে “নবাত।” অন্যদিকে, ফাল্গুনে তৈরি এখো গুড় অর্থাৎ আখের গুড়ের ব‍্যাপক ব‍্যবহার হয় বাঙালির দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন ধরণের নাড়ু, আরশে তৈরিতে।

তাই গুড় বৈদিক যুগ থেকে এখনো সমান জনপ্রিয়। গুড় থেকে গৌড় নামটিও সার্থক।


সংগৃহীত।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০১-১২-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০১-১২-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের সব অপচেষ্টা রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালেন দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।


ঢাকা ও নতুন দিল্লির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ নিরসন করতে হবে ভারতকে - মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার।


চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা।


দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের পাঁয়তারা করছে একটি গোষ্ঠী - বললেন ধর্ম উপদেষ্টা -  ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান।


কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল।


শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।


ইউক্রেন সরকারের আওতাধীন ভূখণ্ড ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হলে যুদ্ধের অবসান হতে পারে - বললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।


কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ গতকালের দুই উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে আবারো প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করবে আজ।

এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত

 এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ

(মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ - ৬ জুলাই ২০২০) 

তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে'জন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস", "ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বুকের মধ্যে খানে", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা", "সবাই তো ভালোবাসা চায় ", "চাঁন্দের সাথে রাতের পিরিতি", "পদ্ম পাতার পানি নয়" ইত্যাদি।

কিশোর ছয় বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। চলচ্চিত্রে তার প্রথম গান মেইল ট্রেন (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই"। তিনি বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি সারেন্ডার (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (মরণোত্তর), ২০২৪ ভূষিত করে। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন এন্ড্রু কিশোর।

এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন। মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব- কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন 'কিশোর'। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন। 

এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

এক  অস্থির জেনারেশন তৈরি করছি আমরা। বিলিভ অর নট এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোনো লক্ষ্য নাই

 এক অস্থির জেনারেশন তৈরি করছি আমরা। বিলিভ অর নট এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোনো লক্ষ্য নাই। এদের আদর্শিক কোনো এমবিশান নাই। পবিত্র কোনো মিশন নাই।


এরা বই পড়ে না, নিউজপেপার পড়ে না। আউটডোর খেলাধুলায়ও এদের অনীহা।


এরা রৌদ্রে হাঁটতে পছন্দ করে না। বৃষ্টিতে ভিজতে চায় না। কাঁদামাটি, ঘাস, লতাপাতায় এদের এলার্জি। এরা আধা কিলোমিটার গন্তব্যে যেতে আধা ঘন্টা রিক্সার জন্য অপেক্ষা করে।

এরা অস্থির। প্রচণ্ডরকম অস্থির এক জেনারেশন।


এরা অপরিচিত সিনিয়রদের সালাম দেবে না। পাশ কাটিয়ে হনহন করে চলে যাবে। অথবা গা ঘেষে পা পাড়া দিয়ে চলে যাবে। সরি বলার টেণ্ডেন্সি এদের মধ্যে নাই। এরা অনর্থক তর্ক জুড়ে দেবে। না পাবেন বিনয়ী ভঙ্গি, না পাবেন কৃতজ্ঞতাবোধ। এদের উদ্ধত আচরণ, সদম্ভ চলাফেরায় আপনি ভয়ে কুকড়ে যাবেন। সংযত হওয়ার উপদেশ দিতে চাইলেই বিপদ, নাজেহাল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।


আপনি পাব্লিক বাসে চড়ছেন, দেখবেন খালি সীটটায় জায়গা পেতে সবচেয়ে জুনিয়র ছেলেটা বেশি প্রতিযোগিতা করবে। আপনাকে ধাক্কাটাক্কা দিয়ে সটান বসে পড়বে। তার বয়সের দ্বিগুন এই আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না।


বলছিলাম এই জেনারেশনের কথা। সবচেয়ে ভয়াবহ ফিতনার কথা যে মজলিসে এই জেনারেশন দাঁড়িয়ে থাকার কথা, সেই মজলিসে তারা নিজের জন্য চেয়ার খোঁজ করে। যেখানে চুপ থাকার কথা, সেখানে জ্ঞান দিতে চেষ্টা করে।


সারা রাত ধরে অনলাইনে থাকে, সারা সকাল ঘুমায়। এরা সূর্যোদয় দেখে না, সূর্যাস্ত দেখে না। সূর্যোদয়ে বিছানায় থাকে, সূর্যাস্তে মোবাইলে থাকে।


এরা ফার্স্টফুডে আসক্ত।

এরা আউটডোর খেলা অপছন্দ করে। এরা ইনডোরে স্বস্তি পায়। নিদৃষ্ট করে বললে মূলত অনলাইন গেম তাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি।


এরা ইতিহাস পড়ে না। সাহিত্য বুঝে না। এরা নজরুল চিনে না, রবীন্দ্রনাথ চিনে না, ফররুখ চিনে না। সাদী, রুমি, হাফিজ ত বহু অচেনা প্রসঙ্গ। এরা বই বুঝে না, বই পড়ে না, বই কিনে না৷


এরা নন-স্কিলড। এরা হাঁটতে পারে না, দৌড়াতে পারে না, গাছে চড়তে জানে না, সাতার কাটতে পারে না। সাগর পাড়ি দেওয়ার সেই দু:সাহসিকতা নাই, পাহাড় কেটে পথ তৈরি করার সেই অদম্য মনোবল নাই। এদের উচ্ছ্বাস নাই। আবেগ নাই। সৎ সাহস নাই। এদের একটাই স্কিল- স্মার্ট ফোন দ্রুত স্ক্রল করতে পারা৷


এদের না আছে মূল্যবোধ, না আছে শ্রদ্ধাবোধ, না আছে শৃঙ্খলাবোধ।

কখন চলতে হবে, কখন থামতে হবে, কখন বলতে হবে, কখন শুনতে হবে এরা জানে না।

বিয়ের আসরে ছেলের বাবা হাসিমুখে বললেন,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিয়ের আসরে ছেলের বাবা হাসিমুখে বললেন,

"বেয়াই সাহেব, বিয়েতো হয়ে যাচ্ছে তো আমার ছেলের জন্য বলছিলাম যে পাঁচ লাখ টাকা আর একটা বাইকের ব্যবস্থা করলে সুবিধা হতো। 


আসলে চাইতাম না তবুও ওর অফিসে যাতায়াতের জন্য বাইকটা খুবই প্রয়োজন ছিল। আর আমারও কিছু ঋণ-টিন আছে ওগুলাও পরিশোধ করতাম। ছেলে তো আমার একটাই। আমার যা আছে সবই তো ওর আর ওর মানে আমার বউমার।"

মেয়ে পক্ষের সকলে এই কথা শুনে চুপ করে রইলো। কিছুক্ষণ বাদেই কাজি সাহেব আসলেন বিয়ে পড়ানোর খাতা পত্র নিয়ে। যখন কাবিনের কথা উঠলো তখন মেয়ের বাবা কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কাজি সাহেবকে বললেন,

"আপনি দশ লাখ টাকা কাবিন লিখেন।"

এই কথা শুনে ছেলের বাবা ফুঁসে উঠে বললেন,

"দশ লাখ টাকা কাবিন? মগের মুল্লুক নাকি? আমার ছেলের সামর্থ্যও তো দেখতে হবে নাকি?"

মেয়ের বাবা সামান্য হেসে বলেন,

"মেয়ে তো আপনাদের কাছেই থাকবে তো দশ লাখ কাবিন হোক আর এক কোটি হোক তাতে কি আসে যায়?"

ছেলের বাবা রাগমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন,

"যত যাই বলেন আমি এতো টাকা কাবিন দিবো না।"

মেয়ের বাবা ভরা মজলিসে সামান্য অট্টহাসি দিয়ে বলেন,

"দশ লাখ টাকা কাবিন দিতে আপনার ভয় যে ছেলে বউয়ের যদি কোনোভাবে ডিভোর্স হয়ে যায় তাহলে আপনার দশ লাখ টাকা গচ্চা যাবে আর এদিকে আপনি ঠিকই আমার কাছে ছেলের জন্য বাইক আর পাঁচলাখ টাকা নগদ চাচ্ছেন। বিষয়টা কেমন হয়ে গেলো না?"

"কিসের সাথে কি মিলান? জামাইকে শ্বশুর বাড়ি থেকে এসব টুকটাক তো সবাই দেয়। এটাতো সমাজেরই নিয়ম।"

মেয়ের বাবা ঠান্ডা মাথায় বললেন,

"যৌতুক নেওয়া যদি সমাজের নিয়ম হয় তাহলে কাবিনও বেশি দেওয়া সমাজের নিয়ম। একচোখে সবকিছু দেখলে হয় নাকি বেয়াই সাহেব?"

ছেলের বাবা এবার রাগান্বিত স্বরে বলেন,

"আমার ছেলে বড় চাকরি করে। দরকার হলে আপনার এখানে ছেলেকে বিয়ে দিবোনা, মেয়ের অভাব আছে নাকি?"

"আমার মেয়েও কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, তাকেও আমি নিজের টাকা পয়সা খরচ করে এতোদূর এনেছি আর আপনিও আপনার ছেলের জন্য কষ্ট করেছেন, তাহলে যৌতুক কেনো মেয়ের বাবাকেই দেওয়া লাগবে? আর এখানে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে গেলে ক্ষতি কিন্তু আপনারই। থানায় কল দিয়ে যদি বলি যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছেন তাহলে জেলে যাবেন কিন্তু আপনারাই। তাই ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েন।"

মেয়ের বাবার কথা শুনে ছেলে পক্ষের সবাই চুপ। নিরবতা ঠেলে মেয়ের বাবা পুনরায় বলে উঠলেন,

"যাইহোক আপনাদের সাথে আমারও আর আত্মীয়তা করার সখ নেই। এখনই এই অবস্থা আর বিয়ের পর আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার করবেন না তার কি গ্যারান্টি? তার থেকে বরং আমার এই বিয়ের আয়োজনের যেই খরচটা হলো সেটা দিয়ে কেটে পরুন। নাহলে বিষয়টা থানা পর্যন্ত গেলে কত কি হয়ে যাবে ভাবতে পারছেন?"

ছেলের বাবাসহ ছেলে পক্ষের সকলের মাঝে পিনপতন নীরবতা।


মেয়ের বাবা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

"যত যাই হোক আমি অন্ততঃ তোকে কোনো ছোটলোকের কাছে বিয়ে দিবো না। আমার রাজকন্যা আমৃত্যু যেনো রাজকন্যার মতোই থাকে সেই ব্যবস্থাই করবো।"

গল্পটি কেমন লাগলো জানাবেন। একটু কমেন্টে রেস্পন্স করবেন। আজকাল ফেসবুকের রিচ নেই বললেই চলে।

একটা কাক ভালোবেসেছিল এক ময়ূরকে,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একটা কাক ভালোবেসেছিল এক ময়ূরকে। সে প্রায়ই ময়ূরের পিছে পিছে ঘুরে বেড়াত। ময়ূর এটা বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে কাককে এড়িয়ে চলতো। এভাবে দীর্ঘদিন কেটে যায়। 


একদিন ময়ূর তার বাসার সামনে একটা হলুদ খাম দেখতে পেল। সেই খামের ভিতরে একটা ছোট্ট কালো রঙের ফুল। ময়ূর বুঝতে পারল কাকই খামের ভিতরে ফুল পাঠিয়েছে।

 

কয়েকদিন পর কাকের সাথে ময়ূরের দেখা হলো। ময়ূর বলল, "তোমার শরীর যেমন কালো রঙের, তেমনি তোমার রুচিও কালো। তাই তো এত ভালো ভালো রঙের ফুল থাকতে কালো ফুল পাঠিয়েছো!"

কাক ময়ূরের কথা শুনে দু:খ পেয়ে চলে গেল।

 

বেশ কিছুদিন ময়ূর আর কাকের দেখা পেল না। এভাবে সপ্তাহ গেল, মাস গেল, বছর পেরিয়ে গেল। কাকের সন্ধান আর ময়ূর পেল না। অবশ্য ময়ূর কাকের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টাও কখনো করে নি। 


কয়েক বছর পর হঠাৎ করে কাকের সাথে ময়ূরের দেখা হয়ে গেল। ময়ূর কাককে দেখে বলল, "আমার রূপ দেখে সবাই আমাকে ভালোবাসতে চায়। তুমিও তো ভালোবাসতে চেয়েছিলে। তবে আমাকে জয় করার চেষ্টা আর করলে না কেন?"


কাক জবাব দিল, "তোমার সাথে জীবনে একদিনই আমার কথা হয়েছিল। তুমি যতদিন আমার সাথে কথা বলো নি; ততদিন মনে হয়েছিল, সুন্দর রূপের আড়ালে একটা সুন্দর মনও লুকিয়ে আছে। কিন্তু যখন দেখলাম, ফুলের মতো জিনিসকেও তুমি রঙ দেখে বিচার করো; তখনই বুঝেছিলাম মরীচিকার পিছে ছুটে চলেছি। তাইতো নিজেকে সরিয়ে নিলাম।"


ময়ূর বলল, "এখন যদি তোমাকে পেতে চাই, তবে কি তুমি আমাকে ভালোবাসবে?"


কাক বলল, "চোখের নেশা কেটে গেছে। চোখের নেশা কেটে গেলে ময়ূরের সৌন্দর্যও আর চোখে ধরা পড়ে না। তখন ময়ূরকেও কাকের মতো লাবণ্যহীন মনে হয়। জীবনের আসল বাস্তবতা তখন চোখের সামনে দীপ্তিমান হয়ে ফুটে ওঠে। এই বাস্তবতা-ই সঠিক পথের দিশা দেয়। বাস্তবতাকে ভুলে আবেগে আবার গা ভাসালে দিশাহীন নাবিকের মতো অথই সাগরে ঘুরপাক খাব।"


কাক ও ময়ূর বিপরীত দিকে হাঁটা শুরু করল। ধীরে ধীরে দু'জনার দূরত্ব বাড়তে লাগল। এ দূরত্ব যত বাড়বে "জীবন" নামক সমুদ্র থেকে তারা তত বেশি মুক্তা সংগ্রহ করতে পারবে।

হাল ছেড়ে দেবেন না | নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন,  সাফল্য আসবেই আসবে । 

 --------------------------------------------------------------------------

হাল ছেড়ে দেবেন না | নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন,  সাফল্য আসবেই আসবে । 

________________________________________________


১৭ বছর বয়সে, তিনি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন।

২৫ বছর বয়সে, তার মা মারা যান।

২৬ বছর বয়সে, তিনি ইংরেজি শেখানোর জন্য পর্তুগালে চলে যান।

২৭ বছর বয়সে, তিনি বিয়ে করেন।

তাঁর স্বামী তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করতেন। তাদের ঘরে একটি কন‍্যা সন্তানের জন্ম হয়।

২৮ বছর বয়সে, তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং তিনি গুরুতর বিষণ্নতায় ডুবে যান।

৩০ বছর বয়সে, তিনি এই পৃথিবীতে থাকতে চাননি।

তবে, তিনি তাঁর সমস্ত আবেগকে একটি জিনিস করার জন্য নির্দিষ্ট করেছিলেন যা তিনি অন্য কারও চেয়ে ভাল করতে পারেন।

আর সেটা ছিল 'লেখালেখি করা'।

৩১ বছর বয়সে, তিনি অবশেষে তাঁর প্রথম বই প্রকাশ করেন।

৩৫ বছর বয়সে, তিনি, ৪টি বই প্রকাশ করে ফেলেন এবং তাঁকে বছরের সেরা লেখক হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল।

৪২ বছর বয়সে, প্রকাশের প্রথম দিনে তার নতুন বইটির ১১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল।

এই মহিলা হলেন জে.কে. রাউলিং। ৩০ বছর বয়সে কীভাবে তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন তা মনে আছে?

৩০ বছর বয়সে যদি আত্মহত্যা করতেন জে কে রাউলিং, তবে আমরা কি হ্যারি পটার পেতাম?

আজ, হ্যারি পটার হল একটি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড যার মূল্য $১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।


রাউলিং জনপ্রিয় কল্পকাহিনী হ্যারিপটার সিরিজের রচয়িতা, যা তাকে বিশ্বজুড়ে সম্মান ও জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এ সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার জিতেছেন। সারা বিশ্বে হ্যারি পটার সিরিজের ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয়েছে।

তাই কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, কঠোর পরিশ্রম করুন, সাফল্য আসবেই আসবে ।

Collected,,,

ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প,,,,, রুচির রঙ্গরস পেইজ থেকে নেওয়া

 -"স্যার আমার আপনাকে ভালো লাগে খুব।" 

সটান বলে বসলো আমার ছাত্রী রুবি, শুনে অবাক হলাম আমি। রুবি আমার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী যেমন চঞ্চল তেমন অবাধ্য, কিন্তু মেয়েটা মেধাবী সেটা জানতাম। তবে হঠাৎ করে এমন কথা সে বলে বসবে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার মেসবাড়ির একটা ঘরে টিউশন পড়িয়ে আমি নিজের লেখাপড়া চালাই আর গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাই। রুবি যে বড় বাড়ির মেয়ে তা জানি, ওর বাবা লেখাপড়া নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে আসেন মাঝেমাঝে দুঃখ করে বলেন মেয়েটার ছেলেমানুষি আর গেল না, সিরিয়াস নয় ফিউচার নিয়ে। রুবি যে সত্যিই ছেলেমানুষ তা আবার প্রমাণ হল মেয়েটা আমার চেয়ে কতো ছোট, অবুঝ না হলে কেউ চাকরি জোটাতে না পারা গরীব টিউশন মাষ্টারকে ভালো লাগার কথা বলে? আমি রুবিকে ধমকের সুরে বললাম -"এসব কি ধরনের কথা? আর এরকম যেনো না শুনি। না হলে তোমার বাবাকে সবটা জানাবো।"

দেখলাম রুবির চোখটা জলে ভরে গেল, হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বেরিয়ে গেল সে। বাকি ছাত্রছাত্রীরা আগেই রেরিয়ে গেছিল তাই জানাজানি হল না ব্যাপারটা। মেয়েটাকে কাঁদতে থেকে খারাপ লাগলো, আমি বুঝি এই বয়সে এমন অনেক কিছু মনে হয়, ভালো লাগা ভালোবাসা হয় তারপর বাস্তব বুঝতে শিখলে ও নিজেই বুঝে যাবে ও ভুল করেছিল। রাতে শুয়ে রুবির মুখটা ভেসে উঠলো, ওর বলা কথাটা কানে বাজছিল আপনাকে ভালো লাগে স্যার। মনে মনে ভাবলাম কদিন পরেই ঠিক হয়ে যাবে। আমার নিজের ছয় বছরের সম্পর্ক ভেঙে গেল প্রেমিকা কারো স্ত্রী হয়ে গেল একটা সরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি বলে, আর বাচ্ছা মেয়েটা কতো বোকা! 


ভালো নাম্বার পেয়ে মাষ্টার্স পাশ করে, জমানো টাকা সব শেষ করে বি এড করেও আমি টিউশন মাষ্টার। আমি বাড়ির বড় ছেলে, বেকার বড় ছেলে। পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি হয় না কেস হয়ে যায়, কতোবার ইন্টারভিউতে আটকে গেছি। শেষ বয়সে এসে বাবা মাকে বলতে শুনি মরার আগে তাদের সুখশান্তি স্বাচ্ছন্দ্য কিছুই দিতে পারিনি, এতো লেখাপড়া শিখিয়ে কোনো লাভ হয়নি সত্যিই আমি অপারগ বটে। প্রেমিকা বড় অস্থির ছিল আমার সরকারি চাকরি নিয়ে, বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর বাবার ঠিক করা চাকুরিজীবী ছেলের সাথে ঘর বেঁধেছে। আমার চোখের জল অসহায়ত্ব কিছুই চোখে পড়েনি তার। এরপর বয়স বেড়েছে টিউশন মাষ্টার উপাধি পাওয়ার পর আর কেউ ভালোলাগা ভালোবাসার কথা বলেনি, আমারও কাউকে নিয়ে এই ধরনের কিছু ভাবতে মন চায়নি। বাড়িতে অবশ্য বলেছে গ্রামের কোনো মেয়েকে বিয়ে করে চাষের কাজ শুরু করতে। আমি তা শুনিনি নিজের লক্ষ্য পূরণের শেষ চেষ্টাটুকু ছাড়তে নারাজ ছিলাম আমি, আর ঠিক করেছিলাম বিয়েই করবো না। ভালোবেসে দেখেছি ভালোবাসার চেয়ে প্রফেশনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর এটাও ঠিক কারো বাবা মা ই চাইবে না নিজের মেয়ের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে। তবে রুবি ব্যাতিক্রম ছিল, যেটাকে আমি ছেলেমানুষি ভেবে ভুল করেছিলাম। 


কিছুদিনের মধ্যেই রুবির মধ্যে অনেকগুলো পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম, আগের চেয়ে অনেক শান্ত লাগে ওকে। পড়া ঠিকঠাক করে আনে, আগের মতো ওর খাতায় ছবি এঁকে বোঝানোর জন্য হুটোপুটি করে না। চুপচাপ নিজের সাইকেল নিয়ে পড়তে আসে নির্দিষ্ট সময়ে, আগের মতো আর দেরি করে না। সত্যি বলতে ওর এই চেঞ্জটা আমার ভালো লাগেনি ওকে প্রাণবন্ত অবস্থায় বেশি ভালো লাগতো। একদিন রাত বারোটায় রুবির কল পেলাম বললো -"শুভ জন্মদিন, আপনি বারণ করেছেন বলে আর কিছু বলি না কিন্তু আমার আপনাকে ভালো লাগে।" আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না, বাইরে কে একজন বলে উঠলো-" দাদা পার্সেল আছে।"

বাইরে বেরিয়ে একটা বক্স পেলাম তাতে ছিল একটা সুন্দর কেক আর একগুচ্ছ লাল গোলাপ। সাথে মোড়ানো কাগজটা খুলতেই দেখলাম একটা স্কেচ, আমার ছবি। কি সুন্দর, আমি যখন পড়াই সেই মূহুর্তের একটা ছবি এঁকেছে রুবি। কতোটা ভালোভাবে দেখলে আর দক্ষতা থাকলে যে এমন ভাবে আঁকা যায় তা ভাবতেই অবাক হলাম। আজ বহু বছর পর আমাকে আমার জন্মদিনটা মনে করিয়ে দিল কেউ, ভাবতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। কেকটা খুলে দেখলাম আমার পছন্দের ফ্লেভারের, পাগলিটা কিভাবে জানলো কি জানিজানি! কেকটা একটু খেয়ে তুলে রাখলাম পরের দিন স্টুডেন্টদের দেবো বলে। 


এরপর পড়ানোর সময় প্রায় দেখতাম রুবি আমাকে দেখছে, চোখে চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে যেতো। আমিও ওর মিষ্টি ফর্সা মুখটার দিকে তাকিয়ে ভাবতাম কি দেখে আমাকে ভালো লাগলো ওর! আর বুঝতাম ধীরে ধীরে আমিও ওর মায়ায় জড়িয়ে পড়ছি, একটু একটু করে আমার মন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে রুবি আমার শত চাওয়াতেও আটকাতে পারলাম না মনকে। এইভাবে আরও একটা বছর কেটে গেল সেদিন রুবিদের ব্যাচের লাস্ট ক্লাস ছিল। মনটা বিষাদে ভরে ছিল আমার, দেখলাম রুবির চোখ ছলছল করছে। শেষ ক্লাসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রশ্ন বুঝিয়ে শেষ করলাম ক্লাস, দেখলাম রুবি শুধু আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। একে একে সবাই বাড়ি চলে গেল, সেদিন রাতে ঘুম এলো না আর চোখে, জেগে ভাবছিলাম অনেক কিছু। হঠাৎ বেজে উঠলো ফোনটা, তাকিয়ে দেখলাম রুবির কল। 


-"আপনি আমাকে ভুলে যাবেন তাই না?"

-"ভুলে তো তুমি যাবে, লেখাপড়ার চাপ আরো বাড়বে। তবে তোমার ছেলেমানুষি গুলোকে মিস করবো।"

-"আচ্ছা কাউকে ভালোবাসা কি অন্যায়?"

-"মোটেই তা নয়, কিন্তু কাকে ভালোবাসার কথা বলছোবলছো, সেটা ম্যাটার করে। কল্পনা আর বাস্তব এক নয়।"

-"আমি কি আপনার যোগ্য নই।" 

-"না আমি তোমার যোগ্য নই, সমাজের চোখে।" 

-"এমন কেনো বললেন?"

-"আমার পরিচয় কি জানো? গরীব টিউশন মাষ্টার। কারো বাড়ির লোক এমন কারো সাথে সম্পর্ক মেনে নেবে?"

-"কিন্তু ভালো থাকাটা আসল।" 

-"ভালো থাকতে গেলে ভালোবাসার সাথে সামর্থ্যটাও দরকার, সামর্থ্য মানে টাকা। আমার সেটা আমার নেই।"

-"আজ নেই, ভবিষ্যতে হবে।"

-"আমার সে সম্ভবনা নেই বললেই চলে, চাকরি পাওয়ার বয়স শেষ হতে চলেছে।" 

-"আমি চাকরি করলেই তো এক ব্যাপার হবে, দুজনের দিব্যি চলে যাবে।"

-"সত্যি তুমি ছেলেমানুষ, তুমি আমার দায়িত্ব নেবে?"

-"না দুজনে দুজনের দায়িত্ব নেবো। আমাকে দু বছর সময় দিন, আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন?"

-"দু বছরে একটা চাকরি জোগাড় করতে পারবে? চাকরির বাজার যে খারাপ।" 

-"চেষ্টা করবো প্রাণপণ চেষ্টা করবো, আমি আপনার সাথে থাকতে চাই।"

-"আচ্ছা তাই হোক দু বছর পর আমাদের আবার দেখা হবে, সেদিন চাকুরিজীবী হওয়ার পরেও যদি তোমার আজকের বলা কথাগুলো নর্ম্যাল মনে হয় তো আমি সানন্দে রাজি।"


দিন এগিয়ে চললো রুবির চেষ্টা দেখে মুগ্ধ হলাম আমি পাগলের মতো পড়ে মেয়েটা, মাঝে মাঝে কথা হয় আমার সাথে পড়াশোনার কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করে। একবারের জন্য আমাদের সে রাতের বলা কথা উচ্চারণ করেনি সে। একটার পর একটা পরীক্ষা পাশ করতে থাকে সে আমি ভাবি এই জগতে সত্যি এমন মানুষ ছিল! দুটো বছর কেটে গেছে গঙ্গার ঘাটে বসে আছি আমি, পাশে এসে ধপ করে বসলো রুবি। হতাশ গলায় বললো -"পারলাম না আমি।"

আমি মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম -"পারলে না বলে যে পারবে না এমনটা তো নয়, লেগে থাকতে হবে।"

-"আপনি আর আমার জন্য অপেক্ষা করবেন না তাই না?"

-"ইচ্ছে তো করছে না, কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তুমি চাকরি করে বেকার ছেলের দায়িত্ব নিতে চাইলেও আমি চাই স্বাবলম্বী অবস্থায় তোমাকে পেতে। আমি চাকরি পেয়েছি অনেক অপেক্ষার পর এবার তোমার টার্ন। তবে মনে হয়না খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে কারণ তুমি আমার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী। খুব তাড়াতাড়ি তোমার বাবার সাথে কথা বলবো দেখি উনি মেনে নেন নাকি?"

রুবি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো, আমারো ওকে ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না একটুও। 


এই স্বার্থের জগতে এখনো কিছু মানুষ স্বার্থহীন ভাবে ভালোবাসে, সে ভালোবাসাটা একদম খাদহীন। এরকম মানুষগুলোকে আগলে রেখে আপন করে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।

🫥

🖊️শ্রাবন্তী মিস্ত্রী

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...