এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাড়িতে হাত দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারলেন তাঁর দাড়িতে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। 

 সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাড়িতে হাত দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারলেন তাঁর দাড়িতে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। আয়নাতে মুখ দেখে কবি রাগে অগ্নিশর্মা। গোটা ঘটনা ঘটে রবীন্দ্রনাথের অগোচরে। ভয়ঙ্কর রেগে গিয়েছিলেন কবি। অমন রাগতে তাঁর ঘনিষ্ঠরা অতীতে কোনওদিন দেখেন নি।

ধ্রুবতারাদের খোঁজে  


কলকাতা থেকে স্বনামধন্য চিকিৎসকের দল আসে। ডাঃ নীলরতন সরকার,ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখ। তারা কবিকে দিনের বেলায় ভালভাবে পরীক্ষা করে শারীরিক যন্ত্রনার কারণ শনাক্ত করতে পারলেন না।রবীন্দ্রনাথ মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত যন্ত্রনা অনুভব করছিলেন।

সিদ্ধান্ত হয় রবীন্দ্রনাথ কে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তাঁর দাড়ির ভেতরটা দেখতে হবে। তাঁর রাতের খাবারের সঙ্গে গোপনে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়।  কবি তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ডাক্তাররা তাঁর কানের কাছের চুল ও গালের কিছু অংশের দাড়ি কেটে তাঁকে ভালকরে পরীক্ষা করলেন এবং ওষুধপত্র দেওয়া হল। কবির চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা রবীন্দ্রনাথের গালের কাছে কিছু অংশের দাড়ি কেটে দিয়েছিলেন।  


রবীন্দ্রনাথের দাড়ির ওই দশা করে বিধান রায়, নীলরতন সরকার শান্তিনিকেতনে থাকার ভরসা পেলেন না। সেই রাতেই তারা কলকাতা পাড়ি দিলেন।  বনমালীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর দাড়ির এমন দশা কিভাবে হল। বনমালী কাঁদতে, কাঁদতে বললেন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এসব কিছুই জানে না। কবি নিয়মমত কফি খেতেন, কিন্তু সেদিন রাগে কফি খেলেন না। রবীন্দ্রনাথ এরপর বনমালী কে বললেন রথীন্দ্রনাথ কে ডেকে আনতে।  বনমালী ঘুরে এসে খবর দিল জরুরি কাজে ভোরবেলায় রথীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতন গিয়েছেন।

 ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


রবীন্দ্রনাথ আরও গুম হয়ে গেলেন, বনমালী যতবার খাবারের কথা বলে ততবার কবির কাছে ধমক খায়। কেউ রবীন্দ্রনাথের কাছে যেতে সাহস পান না। শেষ পর্যন্ত পুত্রবধূ প্রতিমাদেবী কবির সামনে গিয়ে বললেন তিনি না খেলে বাড়ির অন্যরা কেউ যে খাবার মুখে তুলবে না। তবুও যেন কবির রাগ কমে না। আবার রবীন্দ্রনাথ কে খাওয়ার অনুরোধ করলেন রথীন্দ্রনাথ জায়া। প্রচণ্ড ক্ষোভের সঙ্গে কবি জানালেন তাঁর দাড়িতে হাত দেওয়ার আগে তাঁকে কি একবার জিজ্ঞেস করার দরকার ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কবি খেয়েছিলেন। কিন্তু বাবার সামনে ভয়ে কয়েকদিন যান নি রথীন্দ্রনাথ। 


কবির জীবনের ভিন্ন ধরনের অনবদ্য এই কাহিনী লিখেছেন নন্দিনী অর্থাৎ পুপে। ঠাকুরবাড়ির মেয়ে না হলেও তাঁকে বুকে টেনে প্রতিমা মিটিয়েছিলেন মাতৃত্বের সাধ। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নাম নন্দিনী, তাঁর শিশুমনে ঘটনাটি এমন দাগ কাটে পরিণত বয়সে দাদামশাইয়ের কথা লিখতে গিয়ে অনবদ্য ছবিটি উপহার দিয়েছেন। 'পিতা পুত্রী' - তে নন্দিনী , রথীন্দ্রনাথ ছাড়াও লিখেছেন দাদামশাই রবীন্দ্রনাথের কথা। নন্দিনী আত্মপ্রকাশে বিমুখ ছিলেন, লিখেছেন কম। যদি আরও একটু বেশি লিখতেন, তাহলে আরও অনেক দুর্লভ ছবি উপহার দিতেন।আদরের নাতনিকে ছেড়ে রবীন্দ্রনাথ যখনই শান্তিনিকেতনের বাইরে গিয়েছেন, তাঁর মন উতলা হয়ে উঠেছে ফিরবার জন্য। ছোট্টো নাতনিটিকে ছেড়ে তিনি বেশীদিন থাকতে পারতেন না।

সংকলনে ✍🏻 অরুণাভ সেন।।

ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


RabindranathTagore 

rathindranathtagore 

PratimaDevi 

dhrubotaraderkhonje 

poupee


পুস্তক ঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার, ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০২-১২-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০২-১২-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আওয়ামী লীগের আমলে প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার - অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন।


সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ভূমিকার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা।


গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাচ্ছে ভারত - মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার।


২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি খালাস।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রিভিউ শুনানি আগামী ১৯শে জানুয়ারি।


গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২৪ ঘন্টায় নিহত ৪৭, আহত ১০৮।


ঢাকায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের মেয়েরা ওডিআই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে  - আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।

দাড়ি-বিলাপ """  প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মতে,দাড়ি শয়তান ও রাখে। দাড়ি নিয়ে কবির কবিতাটা পড়ুন মজা পাবেন সংক্ষিপ্ত   """""" কাজী নজরুল ইসলাম।,,,,

 প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মতে,দাড়ি শয়তান ও রাখে।

দাড়ি নিয়ে কবির কবিতাটা পড়ুন মজা পাবেন

সংক্ষিপ্ত 


""" দাড়ি-বিলাপ """  

 """""" কাজী নজরুল ইসলাম।


হে আমার দাড়ি!

একাদশ বর্ষ পরে গেলে আজি ছাড়ি

আমারে কাঙাল করি, শূন্য করি বুক!

শূন্য এ চোয়াল আজি শূন্য এ চিবুক!


তোমার বিরহে বন্ধু, তোমার প্রেয়সী

ঝুরিছে শ্যামলী গুম্ফ ওষ্ঠকূলে বসি!

কপোল কপাল ঠুকি করে হাহাকার –

‘রে কপটি, রে সেফটি (safety) গিলেট রেজার!’….


একে একে মনে পড়ে অতীতের কথা –

তখনও ফোটেনি মুখে দাড়ির মমতা!

তখনও এ গাল ছিল সাহারার মরু,

বে-পাল মাস্তুল কিংবা বিপল্লব তরু!


স্বজাতির ভীরুতার ইতিহাস স্মরি

বাহিয়া বি-শ্মশ্রু গণ্ড অশ্রু যেত ঝরি।

নারীসম কেশ বেশ, নারিকেলি মুখ,

নারিকেলি হুঁকা খায়! – পুরুষ উৎসুক


নারীর ‘নেচার’ নিতে, হা ভারত মাতা!

নারী-মুণ্ড হল আজি নর বিশ্বত্রাতা!


চলিত কাবুলিওয়ালা গুঁতো-হস্তে পথে

উড়ায়ে দাড়ির ধ্বজা, আফগানিয়া রথে

সুকৃষ্ণ নিশান যেন! অবাক বিস্ময়ে

মহিলা-মহলে নিজ নারী-মুখ লয়ে


রহিতাম চাহি আমি ঘুলঘুলি-ফাঁকে,

বেচারি বাঙালি দাড়ি, কে শুধায় তাকে?

চলিত মটরু মিয়াঁ চামারুর নানা,

মনে হত, এ দাড়িও ধার করে আনা


কাবুলির দেনা-সাথে! বাঙালির দাড়ি

বাঙালির শৌর্য-সাথে গিয়াছে গো ছাড়ি!

দাড়ির দাড়িম্ব বনে ফেরে নাকো আর

নির্মুক্ত হিড়িম্বা সতী, সে যুগ ফেরার!


জামাতারে হেরি শ্বশ্রু লুকান যেমনি!

‘রেজারে’ হেরিয়া শ্মশ্রু লুকাল তেমনি!…


ভোজপুরি দারোয়ান তারও দাড়ি আছে,

চলিতে সে দাড়ি যেন শিখীপুচ্ছ নাচে!

পাঞ্জাবি, বেলুচি, শিখ, বীর রাজপুত,

দরবেশ, মুনি, ঋষি, বাবাজি অদ্ভুত


বোকেন্দ্র-গন্ধিত ছাগ সেও দাড়ি রাখে,

শিম্পাঞ্জি, গরিলা – হায়, বাদ দিই কাকে!

এমন যে বটবৃক্ষ তারও নামে ঝুরি,

ঝুরি নয় ও যে দাড়ি করিয়াছে চুরি


বনের মানুষ হতে! তাই সে বনস্পতি আজ!

দাড়ি রাখে গুল্মলতা রসুন পেঁয়াজ!

হাটে দাড়ি, মাঠে দাড়ি, দাড়ি চারিধার,

লক্ষ খারে ঝরে যেন দাড়ি-বারিধার!


ঝরে যবে বৃষ্টিধারা নীল নভ বেয়ে

মনে হয় গাড়ি গাড়ি দাড়ি গেছে ছেয়ে

ধরণির চোখে-মুখে, সে সুখ-আবেশে

নব নব পুষ্পে তৃণে ধরা ওঠে হেসে!


মুকুরে হেরিয়া নিত বি-শ্মশ্রু বদন

লজ্জায় মুদিয়া যেত আপনি নয়ন।

হায় রে কাঙালি,

রহিলি তুই-ই হয়ে মাকুন্দা বাঙালি!


এতেক চিন্তিয়া এক ক্ষুর করি ক্রয়

চাঁছিতে লাগিনু গাল সকল সময়।


বহু সাধ্য-সাধনায় বহু বর্ষ পরে

উদিল নবীন দাড়ি!

ফেইসবুক গল্প

 *হাইকোর্টে একটি মামলায় সাক্ষী হিসাবে কাজের মাসি শিলার ডাক পড়েছে।*


বাদীপক্ষের দুঁদে উকিল 'প্রমথ বিশ্বাস' শিলা মাসি কে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন: *"আপনি আমায় চেনেন ??"*


শিলা মাসির উত্তর: *“ওমা চিনব না কেন ?? তুমি প্রমথ তো !! তোমায় ন্যাংটা বয়স থেকেই চিনি। পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে। মিথ্যা কথা বলতে। লোক ঠকানোয় ওস্তাদ ছিলে। লাগানি ভাঙানি ভালোই করতে। আরো অনেক গুন তোমার ছিল সে সব আর বলছি না। নিজেকে মস্ত কেউকেটা ভাবতে যদিও কানাকড়ির মুরোদ ছিল না। তোমাকে আমি ভালই চিনি।"*


প্রমথ বাবু স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। কোর্ট ঘরের অপর প্রান্তে বিবাদী পক্ষের উকিল "অসিত ধরে"র দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন: *“ওনাকে চেনেন ??"*


শিলা মাসির উত্তর: *“ওমা চিনব না কেন ?? ওতো অসিত। খুব ভাল করেই চিনি। অলস অকর্মণ্য। কারো সাথে সদ্ভাব ছিল না। পাঁড় মাতাল। শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল। বৌয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটে ছুঁড়ির সাথে ফষ্টিনষ্টি করে। তার মধ্যে একজন তোমার বৌ। ওকেও ছোট থেকেই চিনি।”*


*বিবাদী পক্ষের উকিল অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন।*


এমন সময় জজ সাহেব দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাবার পর নিচু গলায় শান্তস্বরে জজ সাহেব বললেন:


*“দুই গর্দভের একজনও যদি ওই মহিলাকে প্রশ্ন করো যে আমায় চেনে কিনা তাহলে তোমাদের আমি ফাঁসি কাঠে চড়াব।”* 🤣🤣🤣🤣🤣🤣😂

জীবন আপনাকে চমকে দিতে পারে

 জীবন আপনাকে চমকে দিতে পারে


এশিয়ার প্রথম নারী সাহিত্যিক হিসেবে এই বছর নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যিক হান কাং।৫৩ বছর বয়সী এই লেখিকাকে যখন নোবেল কমিটি থেকে ফোন দিয়ে খবরটা জানানো হয়, তিনি তখন তার ছোট ছেলেকে নিয়ে সবে ডিনার সারছিলেন। খানিকটা হেসে তিনি কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। ভীষণ সাদামাটা এবং প্রত্যাশাহীন লেখিকা হান কাং। যে কিনা শুধু ভালো লাগে বলেই লিখেন। পুরস্কারের প্রতিযোগিতার দৌঁড়ে নিজেকে শামিল করেন না।


২০১৬ সালে ৪৫ বছর বয়সে তার লেখিকা হিসেবে বলা যায় শুরু। যেখানে হয়তো অনেক নারী জীবনের শেষবেলা বলে এটাকে মনে করেন। "দ্য ভেজিটেরিয়ান" নামক সেই উপন্যাসেই মিলে বুকার পুরস্কার। ২০২৪ এ ৫৩ বছর বয়সে পেলেন নোবেল পুরস্কার।


আসলে আমরা অনেকে জীবনের শুরু বা শেষ বেলা নির্ধারণ করি বয়স দিয়ে।আদৌ কি সেটা হয়? আমি বারবার বলি জীবন যে কোন সময় যে কোন মুহুর্তে শুরু করা যায়। আর জীবন আমাদের চমকে দিতে পারে বারবার।


সংগৃহীত

একই বছর দুটি জুটিতে দুর্দান্ত সফলতার নজীর খুব নেই বললে চলে।

 একই বছর দুটি জুটিতে দুর্দান্ত সফলতার নজীর খুব নেই বললে চলে।

বিশেষ করে কোন নায়িকার ক্ষেত্রে। 


মৌসুমীর ক্রেজ,স্টারডম সে তো শুরুতে সুপারস্টার। 


এ ইতিহাস টাও মৌসুমীর জন্য।


১৯৯৪ সাল।


মৌসুমী সালমান শাহ - অন্তরে অন্তরে


মৌসুমী ওমর সানী - আত্ন অহংকার। 

সুপারহিট, 

বাম্পারহিট দুটি ছবির জুটি।


১৯৯৫ সাল।


মৌসুমী সালমান শাহ- দেনমোহর 


মৌসুমী -ওমর সানী- মুক্তির সংগ্রাম। 

ব্লকবাস্টার, 

সুপারহিট দুটি ছবির জুটি।


পরের বছর গুলোতে সানী,

 কাঞ্চন, 

রুবেল সব জুটির সাথেই বাম্পারহিট, 

সুপারহিট ছবি চলেছে।


একটা সময়ের পর সানী, 

কাঞ্চন জুটির বাইরে মৌসুমী মান্না জুটি  ইতিহাস খ্যাত। 

একই সাথে কখনও আমিন খান,

অমিত হাসান,

রিয়াজ,

ফেরদৌস কিংবা শাকিব খানের সাথে জুটিতেও সুপারহিট এমনকি নায়কবিহীন মৌসুমী বা নতুন নায়ক নিয়েও সুপার স্টারডমের কারনে দুর্দান্ত সফল লেডি মেগাস্টার মৌসুমী। 


যেমন - মেঘলা আকাশ,ইতিহাস।

চেতনাতে  নজরুল 🔥 --- রণজিৎ কুমার দেব।  ২৯/১১/২০২৪

 প্রবন্ধ 


চেতনাতে  নজরুল 🔥

--- রণজিৎ কুমার দেব। 

২৯/১১/২০২৪

------------------------------------


        বাংলাদেশের জাতীয় কবি হইয়াছেন তো অনেক পরে;  ইহার ও আগে, ষাটের দশক হইতে তিনি আমার হৃদয়ের কবি।  কাজী নজরুল ইসলাম।   হ্যাঁ;  নজরুলকে চাক্ষুষ দেখিবার সৌভাগ্য আমার হয় নাই;  কারণ তিনি যখন ভারতে আমি সেই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে আমার শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করিতেছিলাম আবার আমি যখন ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করিয়া  ভারতে চলিয়া আসি নজরুলকে সেই সময়ে বাংলাদেশ লইয়া যাওয়া হয়।  কাজীর কবিতা এবং বিভিন্ন রচনার মাধ্যমেই আমি কাজীকে চিনিয়াছি, জানিয়াছি।  কৈশোরে পাঠ্য বইয়ে যেমন পড়িয়াছি তেমনি রেডিওতে কাউকে গাইতেও শুনিয়াছি কাজীর সেই উদ্দীপনাময় কবিতা -- 'দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার হে, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুশিয়ার।'  ইহার পর হইতে ক্রমে ক্রমে কবি কাজী আমার চেতনার সাম্রাজ্য দখল করিয়া লইয়াছেন। 

 

          কাজী নজরুল মৃত্যুঞ্জয়ী।  নজরুল বাঁচিয়া রহিয়াছেন আমাদের প্রাণে,  রহিয়াছেন বাংলার প্রতিটি ধূলিকণায়।   নজরুল বাঁচিয়া রহিয়াছেন তাঁহারই সৃষ্টিতে, তাঁহার লেখায় কবিতায় গানে। কখনও দেশাত্মবোধের উদ্যমতায় কখনও প্রেমের মাদকতায় কখনও বা ভক্তিরসাপ্লুত গানে গানে।  


          মানবজাতিকে, --  বিশেষ করিয়া বাংলার মানুষের মধ্যে ইসলাম আর সনাতন ধর্ম্মের সমন্বয়ের দ্বারা বৃহত্তর বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করিতে নজরুল যাহা করিয়াছিলেন বা করিবার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন বাংলার কোনও কবি সাহিত্যিক বা বুদ্ধিজীবী এমন কি রবীন্দ্রনাথও ঠিক ততটা করেন নাই।  ধর্ম্মে ইসলাম কাজী নজরুল ছিলেন যথার্থই একজন আদর্শ মুসলমান।   নজরুল শুধুমাত্র বাঙ্গালীই ছিলেন না --  ছিলেন বাঙ্গলার পথপ্রদর্শক।   সর্বোপরি এই মানুষের সাম্রাজ্যে জাতি-ধর্ম্মের ঊর্ধ্বে কাজী নজরুল ছিলেন এক আদর্শ মানুষ, মহামানব।  আগেকার অনেক কবি লেখক স্বচ্ছল চিন্তাহীন জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই লেখিয়া গিয়াছেন,  কিন্তু দুঃখের নদীতীরে বসিয়া জীবন-সংগ্রামের মধ্য দিয়া দেশ সমাজ বিধ্বংসকারী ধর্মান্ধতা কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং তৎসহ পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে সংগ্রামী চেতনাকে জাগরিত করিয়া নজরুল যাহা লেখিয়াছিলেন তাহা নেহাৎ কাব্য নহে, হৃদয়ের গভীর হইতে উৎসরিত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।   অনেক কবিই বাঙ্গলাকে লইয়া বাঙ্গালীকে লইয়া ধর্মীয় ভাবধারায় বা সামাজিক প্রেক্ষাপটে কতই মিষ্টি-মধুর কবিতা গান প্রবন্ধ লেখিয়া গিয়াছেন কিন্তু নজরুলের অধিকাংশ লেখাই ছিল বাস্তবধর্মী,  ছিল প্রেরণামূলক বার্তাবহ।   নজরুলের লেখা প্রেম-বিরহের গান যেন বাঙালির হৃদয়ের গান, অতুলনীয়;  তবে সেই সবকিছুর পাশাপাশি তাঁহার লেখনী হইতে মাঝেমাঝে কালির বদলে বারুদ বাহির হইত;  যে বারুদ হইতে আগুন জ্বলিয়া কবিকে ‘বিদ্রোহী’ আখ্যায় ভূষিত করিয়াছিল সেই আগুন আজ পর্যন্ত  আমাদের মনের কলুষতা অজ্ঞানতা ভীরুতাকে অতি কিঞ্চিত হইলেও হয়তো বা পুড়াইতে সক্ষম হইয়াছে।   অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সেই আগুন হইতে জ্বালানো বাতি অন্ধকারের নাগপাশ ছিন্ন করিয়া আমাদেরকে আরও অনেকটা পথ দেখাইয়া লইয়া যাইবে।  


আমি সাম্যের গান গাই >


      মানুষ সত্য, খোদা-ঈশ্বর পরম সত্য,

              গাহি সেই সত্যের জয়গান;

      আত্মা হইতে উৎসরিত  

              ধর্ম্মের জয়গান। 

      আমি সাম্যের গান গাই;

              আমি যখনি গান গাই —

      কবি কাজী মোর জিহ্বাগ্রেতে 

              আসিয়া লহেন ঠাঁই। 

      ধর্ম্মের নামে কূটনীতি বিষে

              ছিঁড়িল নাড়ির টান,

      মানুষে মানুষে ভেদাভেদ রচি

              জাতি হ’ল খানখান। 

      নেই ভক্তি নিষ্ঠা প্রেমের বালাই

              মুখে ধর্ম্মের নাড়া,

      ধরমের নামে শুধু বিদ্বেষ,

              দিল হিংসা যে মাথাচারা। 

       ভণ্ডামি দেখে গরজে উঠিল 

              কন্ঠ সে প্রতিবাদী,

      তা’রি কম্পন লেগে জাগিল যে 

              একবিংশ শতাব্দী। 

     মাটির গন্ধে একে অন্যেরে

              টানিল বক্ষপাতি,

      লুকাইল মুখ ভণ্ড যতেক

              ঘুচিল জাতের বজ্জাতি। 

      কোথায় হিন্দু কোথায় বৌদ্ধ,

              ঈসাই মুসলমান,

      দু’চোখ মেলিয়া যাহারেই দেখি

              দেখি শুধু ইনসান্। 

      হে আমার কবি নজরুল !

              তুমি যদিও আজ অতীত —

      তুমি আমার দেবতা জাতির প্রেরণা,

              বাংলার পথিকৃৎ । 


                                🍀


Poet Kazi Nazrul Islam  ::   enjoying music rendered by Renu Bhowmick  ( 1970 ).

ফেইসবুক গল্প

 একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-

“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।


মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-

“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।

ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-

“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।


ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো। রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে। 


তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না। পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন। অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।


আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল। একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।


উপদেশঃ কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিৎ, হোক সেই বিপদ আপনাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

বন্ধুরা আজ কথা বলবো স্বর্নযুগের এক কমেডি ব্লকবাস্টার ছবি "যমালয়ে জীবন্ত মানুষ" নিয়ে 

 বন্ধুরা আজ কথা বলবো স্বর্নযুগের এক কমেডি ব্লকবাস্টার ছবি "যমালয়ে জীবন্ত মানুষ" নিয়ে


👇


যমালয়ে জীবন মানুষ ( অনুবাদ। যমের  আবাসে একজন জীবিত মানুষ ) হল একটি 1958 সালের ভারতীয় বাংলা ভাষার রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র যা প্রফুল্ল চক্রবর্তী  পরিচালিত এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযানের সদস্য অনন্ত সিং প্রযোজনা করেছেন। একই নামের দীনবন্ধু মিত্রের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি1958 সালে রাজকুমারী চিত্রমন্দিরের ব্যানারে মুক্তি পায়।তেলুগুতে দেবন্থাকুডু এবং তামিল ভাষায় নান কান্দা সোরগাম হিসাবে সি. পুল্লাইয়া দ্বারাপুনর্নির্মিত হয়েছিল। 


প্লট👇


গ্রামের ছেলে সিদ্ধেশ্বর (ওরফে সিধু) হরির মেয়ে মাধুরীকে ভালোবাসে। গ্রামের ধনী প্রধান হরি, সিধুকে জামাই হিসেবে মেনে নেবে না। যখন তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন হরি কিছু লোক পাঠায় যারা প্রায় সিধুকে হত্যা করে। হতবাক, মাধুরী আত্মহত্যা করে এবং সিধু বেঁচে থাকতে ভুল করে নরকে পাঠানো হয়। সে নরক এবং স্বর্গে একটি বিপ্লব শুরু করে এবং তার মৃত পোষা ষাঁড়ের সাহায্যে মৃত্যুর হিন্দু দেবতা, যমরাজ এবং চিত্রগুপ্তকে নরক থেকে তাড়া করে। তিনি যমরাজ এবং তার হেড ক্লার্ক চিত্রগুপ্ত কর্তৃক প্রণীত পুরানো নিয়ম ও নিয়মগুলিকে নির্মূল করেন, যখন বিচিত্রগুপ্ত তাকে সহায়তা করেন। তারপরে, বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী সিধুর কাছে আসেন এবং বিষ্ণু তাকে আশীর্বাদ করেন এবং তাকে তার প্রিয় মাধুরীর সাথে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেন। হরি তাদের সানন্দে গ্রহণ করে। 


কাস্ট👇


সিধুর চরিত্রে ভানু ব্যানার্জী

মাধুরী চরিত্রে বাসবি নন্দী

হরিনারায়ণের চরিত্রে ছবি বিশ্বাস

পাহাড়ি সান্যাল

যমরাজের চরিত্রে কমল মিত্র

তুলসী চক্রবর্তী

বিচিত্রগুপ্তের চরিত্রে জহর রায়

হরিধন মুখোপাধ্যায়

শ্যাম লাহা

নৃপতি চট্টোপাধ্যায়

লালুর চরিত্রে জীবেন বোস

অপর্ণা দেবী

অজিত চ্যাটার্জি

গেমার হিসেবে সুভোজিৎ সাহা


কথা ও সুত্র👉উইকিপিডিয়া


এই ছবিটা কে কতবার দেখেছেন কমেন্ট করে জানিও, ❤️


মোঘল এ আযম  বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তৎকালীন সময়ের  স্মরণকালের সর্বোচ্চ বাজেটে তৈরি ছবি ‘মোঘল-এ-আযম’ মুক্তি পায় ১৫ অক্টোবর, শুক্রবার। শুধু বিগ বাজেটের জন্যই নয়, নানা কারণেই এটি ঢালিউডের একটি বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ছিল।

 মোঘল এ আযম 

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তৎকালীন সময়ের  স্মরণকালের সর্বোচ্চ বাজেটে তৈরি ছবি ‘মোঘল-এ-আযম’ মুক্তি পায় ১৫ অক্টোবর, শুক্রবার। শুধু বিগ বাজেটের জন্যই নয়, নানা কারণেই এটি ঢালিউডের একটি বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ছিল।


২০০৩ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল, শুটিং শেষ করতেই সময় নিয়েছে ৪ বছর আর মুক্তি পায় শুভ-মহরতের সাত বছর পর। প্রয়াত নায়ক মান্না অভিনীত সর্বশেষ ছবি এটি।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে মান্না এ ছবিতে তার অংশের অভিনয় ও ডাবিং শেষ করেছিলেন।


মিজানুর রহমান দীপু (এমপি) পরিচালিত ও প্রযোজিত এ ছবিটি নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল।


আর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে  ‘মোঘল-এ-আযম’ ছিল স্বপ্নের ছবি।


ভারতের দিলীপ কুমার আর মধুবালা অভিনীত অবিস্মরণীয় ছবি ‘মোঘল-এ-আযম’ দেখেছেন বাংলাদেশের অনেক দর্শক।

কে আসিফ পরিচালিত ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি ভারতের সর্বকালের সর্বাধিক সফল ও জনপ্রিয় ৫টি ছবির তালিকায় জায়গা করে আছে। এই ছবিটি দেখেই পরিচালক-প্রযোজক মিজানুর রহমান দিপু অনুপ্রাণিত হন বাংলাদেশে ‘মোঘল-এ-আযম’ নির্মাণের। শুরুতে তার পরিকল্পনার কথা শুনে ঠোঁট উল্টেছিলেন অনেকেই। মুম্বাইতে যে জাঁকজমকভাবে ছবিটি তৈরি হয়েছে, তার ধারেকাছে পৌঁছানো সহজ কথা নয়। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য মরিয়া মিজানুর রহমান দীপু শুরুতেই দু হাত মেলে ছবিটির পেছনে শুরু করেন বিনিয়োগ। সেলিম চরিত্রে মান্না আর আনারকলি চরিত্রে শাবনূরকে কাস্ট করেন তাদের তৎকালীন সম্মানীর দ্বিগুণ অর্থে। অভিজ্ঞ অভিনেতা সোহেল রানাকে বাদশাহ আকবর চরিত্রে কাস্ট করার সময় তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে নির্মাতা বলেছিলেন, এ ছবির জন্য আমি আমার সব সহায়-সম্পত্তিও খরচ করতে প্রস্তুত। আপনি শুধু এ ছবির অভিনেতাই নন, আমার পরামর্শক। ছবির কোথায় কী প্রয়োজন আমাকে পরামর্শ দেবেন। বাস্তবেও প্রযোজনায় মিজানুর রহমান দীপু বিন্দুমাত্র ঘাটতি রাখেননি। যে টাকা তিনি খরচ করেছিলেন শুধু ছবির সেট ও পোশাক তৈরির কাজে, তা দিয়েই অনেক নির্মাতা ছবির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করেন।


সোহেল রানার মতে, একটি ঐতিহাসিক ছবির পেছনে এতো বিনিয়োগ বাংলাদেশে প্রোপটে ভাবতেও অবাক লাগে। তিনি বলেছিলেন, আমি অনেক পোশাকি ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু আমার অভিনীত সেরা পোশাকি ছবি ‘মোঘল-এ-আযম’।


ছবিটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না । একই ধরনের গৎবাঁধা কাহিনীতে অভিনয় করতে করতে যখন তিনি কান্ত, ঠিক সেই সময় তার কাছে আসে ‘মোঘল-এ-আযম’ ছবির প্রস্তাব। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ কুমারের করা যুবরাজ সেলিম চরিত্রটিতে নিজের অভিনয় নিয়ে তিনি ছিলেন বেশ সিরিয়াস। ছবিটিতে অভিনয়ের একপর্যায়ে মান্না এতোটাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন যে, সম্মানী নিতেই অস্বীকার করেন। যদিও পরিচালক-প্রযোজক তাতে সম্মত হননি। মান্না খুব আশা করেছিলেন এ ছবির মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজের স্বীকৃতি পাবেন। ছবিটি মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি বার বার তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় এবং নির্মাতার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে ছবিটি মুক্তি দিতে এতো দীর্ঘসময় লেগেছিল।


বিশাল ফিল্মসের ব্যানারে ‘মোঘল-এ-আজম’ ছবিতে মান্না, শাবনূর ও সোহেল রানাসহ আরো অভিনয় করেছেন নাসিমা খান, চন্দ্রিমা, টেলি সামাদ, নাসরীন, নাসির খানসহ আরও অনেকে। যুবরাজ সেলিম আর নর্তকী আনারকলির প্রেমকাহিনী নিয়ে নির্মিত এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক-প্রযোজক মিজানুর রহমান দীপু নিজেই। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন আলাউদ্দিন আলী এবং চিত্রগ্রহণ করেছেন রেজা লতিফ।


‘মোঘল-এ-আযম’ ছবির প্রযোজক-পরিচালক মিজানুর রহমান দীপু বলেন, এটি একটি বিগ এরেঞ্জমেন্টের ছবি। তাই শুটিং শেষ করতেই বছর তিনেক লেগে যায়। এরপর আমার নানা ব্যস্ততায় ছবিটির কাজ দীর্ঘসময় বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে ভেবেছিলাম কাজটাই শেষ করতে পারবো না। যাই হোক শেষপর্যন্ত ছবিটি দর্শকের কাছে যে পৌছে দিতে পারছি তাতে আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, প্রতিটি শিল্পীই এ ছবিতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সোহেল রানা, মান্না আর শাবনূর নিজেদের অভিনয় মেধার স্বার রেখেছেন এ ছবিতে। ছবিটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী ছিলেন প্রায়াত নায়ক মান্না। দুর্ভাগ্য তিনি ছবিটি দেখে যেতে পারলেন না।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...