এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো,,,৷ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়।

একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর বিলাসিতা । খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, 'আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!'

কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো।

একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে।

রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে।

জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে।

বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী!

আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!"

তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহন করে নিয়ে যেতে লাগলো। তার চারপাশের লোকজন তাকে প্রচণ্ড ভয় ও ঘৃণা করতে লাগলো।

এক গ্রীষ্মের দিনে বিচারক সেডান চেয়ারে খুব অস্বস্তি বোধ করেছিলো। সে সূর্যের দিকে তাকালো। আকাশে গর্বিতভাবে জ্বলজ্বল করছিলো সূর্য। বিচারকের উপস্থিতিতে সে একটুও নতজানু হয়নি।

"সূর্য কত শক্তিশালী!" বিচারক ভাবলো।

"আমি যদি সূর্য হতে পারতাম!"

তারপর সে সূর্য হয়ে উঠলো,

সকলের উপর প্রচণ্ডভাবে জ্বলে উঠলো,

ক্ষেত পুড়িয়ে দিলো।

কিন্তু একদিন একটা বিশাল কালো মেঘ তার এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে এলো। সূর্য আর তার আলো দিয়ে নীচের কোন কিছুকেই জ্বালাতে পারে না।

"এই মেঘটা কতই শক্তিশালী!" সূর্য ভাবছে।

"আমি যদি মেঘ হতে পারি!"

তারপর সে মেঘ হয়ে ওঠে। বৃষ্টি নেমে, বিদ্যুৎ চমকে সে মাঠ ও গ্রাম প্লাবিত করে দিতে লাগলো।

কিন্তু শীঘ্রই সে দেখতে পেলো যে- তাকে কোন বড় একটা শক্তি দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মেঘ বুঝতে পারলো এটা বাতাস।

"এটা কতটা শক্তিশালী!" মেঘ ভাবতে লাগলো।

"আমি যদি বাতাস হতে পারতাম!"

তারপর সে বাতাস হয়ে গেলো।

বাড়ির ছাদ উড়িয়ে দিলো, গাছ উপড়ে ফেলল।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বাতাস আবিষ্কার করলো সে এমন কিছুর সাথে ধাক্কা খাচ্ছে যাকে সে নাড়তে পারছে না কোনক্রমেই। সে দেখলো একটি বিশাল, সুউচ্চ পাথর দাঁড়িয়ে আছে।

"পাথর কতই না শক্তিশালী!" সে ভাবলো।

"আমি যদি একটা পাথর হতে পারতাম!"

তারপর সে একটা পাথরের খণ্ড হয়ে গেলো।

পৃথিবীর অন্যতম শক্ত পদার্থ।

কেউ তাকে নাড়াতে পারে না।

কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই সে লক্ষ্য করলো একটি হাতুড়ির শব্দ ভেসে আসছে। কেউ একজন পাথরটাকে ভাঙছে।

"আমার চেয়ে শক্তিশালী আর কে হতে পারে", পাথর ভাবছে।

সে নিচে তাকিয়ে তার অনেক নিচে একটা লোককে পাথর কাটতে দেখতে পেলো।

সে তার নিজেকে চিনতে পারলো।

---

আমাদের মৃত্যুর পর আমরা পিঁপড়ার খাদ্য হবো, সেই খাদ্যের কিছু অংশ পিঁপড়ার বৃষ্ঠাও হবে। সেখানেও আমরা থাকবো। সেটা হয়তো কোন গাছের খাদ্য হবে। সেই গাছ আবার হয়তো হবে খনিজ।

একটা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হবে একদিন। সেই গ্যাস দিয়ে রান্না করার সময় আমি দেখবো আমিই সামনে দাঁড়িয়ে রান্না করছি।

আমিই উনুনের গ্যাস , আমিই স্টিলের কড়াই।

আমিই সসপেনের ওপরের ডিম। আবার আমিই সেটা খাচ্ছি।

আমাদের সমস্ত অনুসন্ধানের শেষে আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাবো যেখান থেকে আমরা শুরু করেছিলাম

( সংগৃহীত )

হাসন রাজাঃ-- বাংলাদেশের  বিখ্যাত এক মরমী কবি,,,

 হাসন রাজাঃ-- বাংলাদেশের  বিখ্যাত এক মরমী কবি

-----------------------------------------------------------------------

লোকে বলে বলেরে

ঘর বাড়ি ভালো না আমার

কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার...

বিখ্যাত এই  মরমী গানের  কবি ও সাধক হাসন রাজা। হাসন রাজা  ১২৬১ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ ও ১৮৫৪ সালের ২৪ জনিুয়ারি সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। উনার প্রকৃত নাম ছিল দেওয়ান হাসন রজা চৌধুরী। 


তাঁর পিতার নাম দেওয়ান আলী রজা চৌধুরী। হাসন রাজার পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয়ই ছিল অযোধ্যাবাসী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হাসন রাজারা পরে  ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাঁরা সুনামগঞ্জ আসেন এবং সেখানেই জমিদারি পত্তন করে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন।


হাসন রাজার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। মাত্র পনেরো বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে সংসার ও জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত হয়। যৌবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৌখিন ও ভোগবিলাসী, কিন্তু পরিণত বয়সে সব বিষয়-সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে দরবেশ জীবন যাপন করেন।


 তাঁরই উদ্যোগে সুনামগঞ্জ হাসন এম ই স্কুল, অনেক ধর্ম-প্রতিষ্ঠান ও  আখড়া স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী ছাত্রের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও তিনি করতেন।


প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও হাসন রাজা ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি সহজ-সরল সুরে আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় এক হাজার আধ্যাত্মিক গান রচনা করে সুর দিয়ে নিজ আখড়ায় পরবেশন করতেন। 


স্থানীয় বাউল-ফকিরেরা পর্যায়ক্রমে  সেসব গান গেয়ে হাসন রাজাকে আরও বেশি  পরিচিত করে তোলে। হাসন রাজা ছিলেন একজন ঐশীপ্রেমী এবং সেই প্রেমে মাতোয়ারা হয়েই তিনি সকল  গান রচনা কতেন।


 তাঁর গানে প্রেম ও বৈরাগ্যময় আধ্যাত্মিক চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। তাঁর গানগুলি যেন হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের একটি মিলন ক্ষেত্র। তাই সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষজন তার গানের প্রতি গভীর আগ্রহী। 


তিনি গানের ভণিতায় নিজেকে ‘পাগলা হাসন রাজা’, ‘উদাসী’, ‘দেওয়ানা’,  ‘বাউলা’ ইত্যাদি বলে অভিহিত করেছেন। এক সময়ে তিনি কৈশোর ও যৌবনে শ্রীকৃষ্ণের নানাবিধ লীলায় অভিনয়ও করেছেন।


হাসন রাজার মুখ্য পরিচয় একজন মরমি কবি হিসেবে। তাঁর সম্পর্কে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার ভারতীয় দর্শন কংগ্রেসের অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে বলেছিলেন: ‘পূর্ববঙ্গের একজন গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধসূত্রেই বিশ্ব সত্য।


বর্তমানে হাসন রাজার যাবতীয় গানের সংগ্রহ গুলো  হাছন উদাস (১৯০৭), শৌখিন বাহার, হাছন বাহার ইত্যাদি গ্রন্থে তাঁর গানগুলি পর্যায়ক্রমে  সংকলিত হয়েছে।


 ১৯২২ সালের ৬ই ডিসেম্বর মরমী কবি গীতিকার ও সুরকার হাসন রাজার মৃত্যু হয়।


আজ এই বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত মরমী কবি হাসন রাজার  প্রয়াণ দিবস। আজকের  এই দিনে এই মহান মানুষটিকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

সীমানা পেরিয়ে ------★

 সীমানা পেরিয়ে ------★

১৯৭০ সালে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ের তিন মাস পর বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে একজোড়া মানব-মানবীকে পাওয়া যায়। পত্রিকায় প্রকাশের পর এই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হন আলমগীর কবির। অনুপ্রাণিত হন ইতালিয়ান পরিচালক লিনা ভেটমুলারের "সোয়েপ্ট অ্যাওয়ে" ১৯৭৪ থেকেও। চিত্রনাট্য সাজিয়ে ১৯৭৫ সালে শুরু করেন শুটিং।


১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় সম্পূর্ণ রঙিন ছবি সীমানা পেরিয়ে।


সীমানা - বলতে সাধারণত বোঝায় ভৌগোলিক সীমারেখা। কিন্তু ছবিতে সীমানা বলতে পরিচালক দেখিয়েছেন কিভাবে শ্রেণি-বৈষম্য ও সমাজের ভেদাভেদের সীমানা পেরিয়ে যেতে হয়।


অক্সফোর্ড পড়ুয়া আলমগীর কবির ছিলেন তুখোড় সাংবাদিক বামপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সাক্ষাত্কারও নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। জহির রায়হানের "স্টপ জেনোসাইড" নির্মাণেও ছিলেন সহযোগী।


স্বভাবতই তাঁর ছবির বিষয়বস্তু সমাজ,সাম্য ও শ্রেণি বিপ্লব। "সীমানা পেরিয়েও" তাই। জমিদারের নাতনি টিনা ও জমিদারদের দ্বারা নির্যাতিত পরিবারের জেলে কালু প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে একটি দ্বীপে ছয় মাস আটকে পড়ে। উঁচুতলার মানুষের প্রতীক টিনা নিচতলার মানুষ কালুকে ভয় পায়। কালু তোতলা,

অর্থাত্ তার মতোই নিচতলার মানুষদের থেমে থেমে সংগ্রাম করতে হয়।


কালুর তোতলামো সারাতে সহযোগিতা করে টিনা এবং ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে ধনী-গরিবের সীমানা তুলে দেয়। অবরুদ্ধ দ্বীপ থেকে নাগরিক জীবনে ফিরে টিনা জানতে পারে,ঘূর্ণিঝড়ে তার মায়ের মৃত্যু হয়। তার বাবা পুনরায় বিয়ে করে টিনারই এক বান্ধবীকে। অথচ টিনা-কালুর ভালোবাসা মেনে নিতে চায় না তার বাবা। টিনা তখন বলে - বাবা - ওরাই হলো সাইলেন্ট মেজরিটি। একদিন ওরা জাগবে। দুর্যোগকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে ছবিতে। দুর্যোগ এবং বিপ্লব এলে সবাই এক কাতারে চলে আসে,আসতে বাধ্য হয়।


ছবির বড় একটি অংশের শুটিং হয় কক্সবাজার নিকটবর্তী একটি দ্বীপে। ভাটার সময় ইউনিট সেখানে যেত,জোয়ারে শুটিং করে আবার ভাটার সময় ফিরে আসত। পাহাড় কেটে রাস্তাও তৈরি করতে হতো। কিছু অংশের শুটিং হয় এফডিসি,বেঙ্গল স্টুডিও এবং কালিয়াকৈরের জমিদারবাড়িতে। শুটিং ও বাস্তব জীবনে ইংরেজিতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন আলমগীর কবির। 


সহকারীদের নোটও দিতেন ইংরেজিতে। খুব বেশি টাকা দিতে পারবেন না জেনেও শেখার আগ্রহ থেকে অনেকেই যুক্ত হতে চাইতেন তাঁর ছবিতে। এ ছবিতে সহকারী হিসেবে মাঝপথে যুক্ত হন কাজী হায়াত্। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের পুরস্কার স্বরূপ ক্রেডিট লাইনে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নাম দেন আলমগীর কবির।


১৯৬৮ সালের "মিস ক্যালকাটা" জয়শ্রী রায় "পরবর্তী সময়ে জয়শ্রী কবির" ছবির নায়িকা। সত্যজিত্ রায়ের ছবির এই নায়িকা চমত্কার ইংরেজি বলতেন। তাঁর স্মার্টনেস,সৌন্দর্য ও ফ্যাশন সচেতনতা তখনকার নায়িকাদের মধ্যে এক ধরনের ঈর্ষাও তৈরি করেছিল। তবে শুটিংয়ে পরিচালকের প্রিয়পাত্র ছিলেন বুলবুল আহমেদ। বুলবুলের নিবেদনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে জয়শ্রীকে আরো মনোযোগী হতে বলতেন পরিচালক।


চারটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায় এই ছবি - শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বুলবুল আহমেদ - শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা আলমগীর কবির - শ্রেষ্ঠ সম্পাদক বশীর হোসেন ও শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক এম এ মোবিন। বাচসাস পুরস্কারে আলমগীর কবির হন শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার,বিশেষ পুরস্কার পান ভূপেন হাজারিকা। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের বিচারে সেরা ১০ বাংলাদেশি ছবির একটি - সীমানা পেরিয়ে।


তখনকার চার লাখ টাকায় নির্মিত হয় ছবিটি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য,নান্দনিক এ ছবিটি প্রত্যাশিত মুনাফা করতে পারেনি - জানিয়েছেন প্রদর্শক মিয়া আলাউদ্দিন। জানা যায়,আশানুরূপ ব্যবসা না করায় পরিবেশক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্মাণব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই প্রশ্ন আলমগীর কবিরকে ভীষণ কষ্ট দেয়।


ছবির গানে ও সুরে ভূপেন হাজারিকা অনন্য। তাঁর কণ্ঠে "মেঘ থমথম করে" ও আবিদা সুলতানার কণ্ঠে "বিমূর্ত এই রাত্রি আমার" এখনো দারুণ জনপ্রিয়।


কাহিনি,সংলাপ,চিত্রনাট্য,পরিচালনা ও প্রযোজনা - আলমগীর কবির -------

চিত্রগ্রহণ - এম এ মবিন -----

সংগীত পরিচালনা - ভূপেন হাজারিকা ------

অভিনয় - বুলবুল আহমেদ,জয়শ্রী কবির,কাফি খান,

মায়া হাজারিকা,গোলাম মোস্তফা ও তনুজা ------

সম্পাদনা - বশীর হোসেন -------

সার্বিক তত্ত্বাবধানে - কাজী হায়াত্ ------

মুক্তি - ১৯৭৭ -------

পরিবেশনা - আলমগীর পিকচার্স -------


------- সংগৃহীত

একটি নীতিমূলক গল্প ০,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ❣️💕 একটি নীতিমূলক গল্প 

একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল। 


একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য  পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত। 


পুরো দুই বছর ধরে, এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন। 


অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য  গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না। 


দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।


বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ, তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি!আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুল গুলিকে তুমি নিজের অজান্তে প্রতিদিন যখন আমরা ফিরে যাই,

তুমি তাদের জল দাও।

আমি দু'বছর ধরে ওখান থেকে ফুল তুলে এনে আমার টেবিলের সাজিয়ে রাখি। তুমি অপূর্ন না হতে তাহলেই ফুল ফুটতো না, এ ফুল আমি পেতাম না 


গল্পের নৈতিক:

আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বতন্ত্র ত্রুটি রয়েছে।এগুলি নিয়ে খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই।জীবনকে নিজের ছন্দে, নিজের মতো করে চলতে দেয়া উচিত।এতে জীবনের স্বাভাবিক  সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।ত্রুটিযুক্ত মানুষের ভেতরে যে সৎ গুনাবলী আছে, সেগুলোর সদব্যবহার যদি আমরা করতে পারি তাতে সুন্দর হয় সমাজ, সমৃদ্ধ হয় দেশ। ❣️💕💞


সংগৃহীত।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

রসুনের আচার রেসিপি,,,

 🌹🌹রসুনের আচার রেসিপি 

🌿উপকরণ :

রসুন-৫০০ গ্রাম। রসুন ছিলে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। 

শুকনো লাল মরিচ -৪/৫টা।

এলাচ-৩/৪টা।

দারচিনি-২টুকরা।

ধনিয়া -১টে চামুচ। 

জিরা-১টে চামুচ। 

সরিষা-১টে চামুচ। 

পাঁচ ফোড়ন-১টে চামুচ। 

এই সব উপকরণ একসাথে করে হালকা টেলে/ভেজে ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গুড়ো করে নিতে হবে।

🌿উপকরণ 

চুলায় প্যান বসিয়ে হাফ কাপ সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। 

তেল গরম হলে শুকনো লাল মরিচ ৪/৫টা।

এবং রসুন দিতে হবে। অল্প সময় নেড়ে নেড়ে রসুন ভেজে দিয়ে দিতে হবে-

তেঁতুলের ক্বাথ-হাফ কাপ।

চিনি-২টে চামুচ। 

হলুদ গুড়া-১চা চামুচ। 

মরিচ গুড়া-১চা চামুচ। 

গুড়ো করে রাখা আচারের মসলা-২টে চামুচ। 

লবন- স্বাদ মতো।

ভালো ভাবে নেড়ে মিশিয়ে অল্প সময়/৪/৫মিনিট জ্বাল করে নিতে হবে। তেলে ভাজতে ভাজতে রসুন নরম হয়ে যাবে।তখনই দিয়ে দিতে হবে ভিনেগার 2 টেবিল চামচ 


২/১বার নেড়ে মিশিয়েই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে পরিস্কার শুকনো কাচের বয়ামে ভরে রেখে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন রসুন গুলো তেলের নিচে ডুবে থাকে। 

মাঝে মাঝে রোদে দিলে এই আচার প্রায় এক বছরের মতো ভালো থাকবে।

#রসুনের আচার #tayebadoel

স্বামীপেডিয়া, স্বামী কত প্রকার ও কি কি?,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 স্বামীপেডিয়া, স্বামী কত প্রকার ও কি কি? 


১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):

এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। 


২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):

এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। 


৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।


৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):

এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।


৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।


৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):

এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।


৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):

এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। 


৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):

এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। 


৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):

এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।


১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।


১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): 

এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।


১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):

এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে। 


কার কোন টা...??!

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৮-১২-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৮-১২-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে আরও সহজ করা হচ্ছে বিচারিক কার্যক্রম - জানালেন প্রধান বিচারপতি।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে - বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব - এ সংক্রান্ত মামলা তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গঠনগুলোর প্রতি আহ্বান।


আগামী বছর জনগণ দেশে রাজনৈতিক সরকার দেখতে পাবে - বলেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।


বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসহযোগিতা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতও - বললেন নৌপরিবহণ উপদেষ্টা।


ভারত, বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালানোর অপচেষ্টা করছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি - মন্তব্য জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের।


দেশে স্বাধীন নির্বাচন চায় বিএনপি, ফলাফল যাই হোক মেনে নেয়া হবে - বললেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বন্দুকধারীদের হামলায় ছয় পাকিস্তানি সৈন্য নিহত।


আজ দুবাইয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।


শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে? 

 আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে? 


গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। 

রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে। 


চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না। 


আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ।


 এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত। 


সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।   


জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। 


আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে। 


ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়। 


আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। 


যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে। 


আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।


 তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’। 


সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া। 


একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না। 


আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে। 


আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।  


বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ। 


এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।   


সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তিনটা সাইন:


১. স্বপ্ন*দো-ষ হওয়া

২. নাভির নিচে লো+ম গজানো, কিংবা

৩. বয়স পনেরো বছরে উপনীত হওয়া


এরপর ইসলামি আইনমতে সে একজন পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে। 


আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি। 


Collected

শুভ জন্মদিন             নকুল কুমার বিশ্বাস,,,,,,, মেসবা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চাচায় চা চায় -


অভিনন্দন -


                 শুভ জন্মদিন

            নকুল কুমার বিশ্বাস

----------------------------------------------------

সঙ্গীতাঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ নকুল কুমার বিশ্বাস। 


তিনি একাধারে একজন কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং গীতিকার।


জন্ম ২ ডিসেম্বর ১৯৬৫ সালে মাদারীপুর জেলার দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের এক সঙ্গীত পরিবারে। 


পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তার অবস্থান পাঁচ। পিতা মাতা  প্রয়াত সুরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও শ্রীমতি মঙ্গলী দেবী।


         নকুলের জীবন ট্রাজেডি


নকুলের জীবনে বড় ট্র্যাজেডি জন্মের ছয় বছর পরই মাকে হারানো। ১৯৭৫ সালে মেজভাই হীরালাল বিশ্বাসের হাত ধরে গোপালগঞ্জে আসেন। লক্ষ্য ছিল যাত্রাদল দীপালি অপেরায় শিশুশিল্পী হিসেবে একটা সুযোগ পাওয়া। 


             সুযোগ মিলল তাঁর


শিশু নকুল অডিশন কক্ষে ছোট্ট আঙুলের ডগা দিয়ে হারমোনিয়ামে সুর তুলে মিষ্টি কণ্ঠে শুনিয়ে গেলেন একের পর এক গান। সেদিন নকুলের গান শুনে অবাক বনেছিলেন উপস্থিত সবাই!


      গানের শিক্ষক হিসেবে নকুল


মাদারীপুরের ওস্তাদ রণজিৎ দাইয়ের কাছে হারমোনিয়ামে রাগ সঙ্গীতের তালিম নেন নকুল। মাত্র ছয় মাসেই এটা আয়ত্ত করেন এবং প্রধান হারমোনিয়াম মাস্টার হিসেবে একটি স্কুলে শিক্ষক নির্বাচিত হন।


               কলকাতায় গমন


গুরু আশু মিয়ার কাছে বিখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের গল্প শুনতেন। 


মনে মনে ঠিক করলেন রবিশঙ্করের মতো বিখ্যাত হতে হবে। ১৯৮০ সালে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে পাড়ি জমান কলকাতায়।


ছোট্ট নকুল কলকাতায় গিয়ে সুভাষ বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রখ্যাত সেতারবাদক ওস্তাদ মোস্তাক আলী খানের নাতি শিষ্য শ্রী রণজিৎ বিশ্বাসের কাছে যান। তাঁর কাছে কিছুদিন সেতার শেখেন। সেখান থেকে ২৮০ টাকা দিয়ে কিনে নেন একটি সেতার। এরপর ফিরে আসেন দেশে।


              স্বদেশ প্রত্যাবর্তন


দেশে ফিরেই এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান, অভিনয়, নৃত্য দিয়ে মানুষের মন জয় করতে থাকেন। 


১৯৮৩ সালে বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। আশ্রয় নেন ওস্তাদ আমানউল্লাহ খানের বাড়ির ভাঙা বারান্দায়। তাঁর কাছে কিছুদিন তালিমও নেন।


               বেতারে চাকরি


সে বছরই তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক আসরে এককভাবে হারমোনিয়াম বাজানোর সুযোগ পান। 


উপস্থিত সবাই তাঁর পরিবেশনায় মুগ্ধ হন। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তাঁকে কেন্দ্রের ফান্ড থেকে এক হাজার টাকা পুরস্কারও দেন।


    এরপর বেতারে চাকরি হয় তাঁর


কিন্তু চাকরিতে তাঁর মন বসল না। ১৯৮৬ সালে তিনি আবারও গ্রামের বাড়িতে চলে যান এসএসসি পরীক্ষা দিতে।


         গীতিকার সুরকার নকুল


ওই সময় এক কবিয়ালের কিছু গান সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু কবিয়াল গান না দিলে অভিমান হয় তাঁর। 


নিজেই লেখা শুরু করেন। সেই থেকে আজ অবধি অন্য কারো লেখা গান করেননি তিনি। এসএসসি পাস করে পরের বছর আবার আসেন ঢাকায়।


              প্রথম অ্যালবাম


প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনকর্ড এন্টারপ্রাইজের ব্যানারে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম 'ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি'।


অ্যালবামটি হিট হয়। একই সঙ্গে গান ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। ১৯৯৬ সালে 'ইত্যাদি'তে প্রচারিত হয় তাঁর গাওয়া 'দাদা বিয়া করলাম ক্যান' গানটি। 


এই গানটি তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর টানা দশ বছর তিনি ইত্যাদিতে জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে জীবনমুখী গান নিয়ে হাজির হয়েছেন।


       কলকাতায় জনপ্রিয় নকুল


এর মধ্যে কলকাতার অডিও বাজারে লাগে নকুলের গানের ঢেউ। কলকাতার অডিও কোম্পানি জেএমডি থেকে ২০০১ সালে প্রকাশিত হয় নকুলের 'নদীয়ান নকুল' এবং ২০০৩ এএসডি অডিও কোম্পানির ব্যানারে প্রকাশিত হয় 'চাকরি নাই বুড়ো বাবার' নামে আরেকটি অ্যালবাম। ভারত-বাংলাদেশ মিলে এভাবে তাঁর প্রায় অর্ধশত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।


                  বিদেশ ভ্রমন


বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গান নিয়ে গেছেন ভারত, হংকং, কাতার, চীন, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে। অনেক উপাধিও অর্জন করেছেন।


                 সংসার জীবন


স্ত্রী এবং দুই সন্তান পলক কুমার বিশ্বাস ও মেয়ে প্রত্যাশা বিশ্বাসকে নিয়ে নকুলের সুখের সংসার।


              উল্লেখযোগ্য গান


তাঁর গানের মধ্যে 'চাচায় চা চায়', 'এই আমার পকেটে আছে', 'মানুষটা পাঁচ ফিট', 'হ্যালো হ্যালো মাই ডিয়ার', 'মাগো তুমি যেন না কাঁদো', 'পাঁচতলার ঐ চিলেকোঠায়', 'ভালো হইতে পয়সা লাগে না' ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।


ফেসবুক পরিবারের পক্ষে তাঁর জন্য রইল শুভ কামনা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।


-- মেসবা খান

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৭-১২-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৭-১২-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বড় প্রকল্প নেয়ার আগে রাজস্ব কতটা আসবে তা বিবেচনা করা দরকার - বললেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।


চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চন্দন দাস ও রিপন দাসের রিমান্ড মঞ্জুর।


কোনো দেশের আগ্রাসন সহ্য করা হবে না - হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানের।


বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে যাত্রী পরিষেবা সম্প্রসারণ করছে সৌদি এয়ারলাইন্স।


এবার জি,আই পণ্যের স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস।


গাজায় ইসরাইলী হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত।


আজ সিলেটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ড নারী দলের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...