এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

 বই পড়ার গতি বাড়াও ৬ টি চমৎকার কৌশলে

 বই পড়ার গতি বাড়াও ৬ টি চমৎকার কৌশলে


বইকে বলা হয় মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখনকার এ সময়ে মানুষের বই পড়ার আগ্রহ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বই পড়ার গতি নিয়ে আমাদের অনেকের মাঝেই বেশ হতাশা কাজ করে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে এই বই পড়ার ক্ষীণ গতিও হতে পারে একটি কারণ। কিন্তু একটু কুশলী হওয়া গেলেই কিন্তু বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলা যায় আমাদের বই পড়ার গতিকে।

চলো শিখে নেওয়া যাক ৬টি এমন কৌশল যা আমাদেরকে দ্রুত পড়তে অনেকখানি সাহায্য করবে।


১) শব্দ করে নয় পড়তে হবে মনে মনে:

জোরে জোরে শব্দ করে পড়লে পড়া মনে থাকে, এটা আমাদের অনেকেরই ধারণা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা সত্যি হলেও জোরে জোরে শব্দ করে পড়া আমাদের পড়ার গতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। আমি আমার নিজের যাচাই করা অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমি যখন জোরে জোরে পড়ি তখন মিনিটে ১৩৪ টা শব্দ পড়তে পারি। অথচ যখন মনে মনে পড়ি তখন ওই এক মিনিটে পড়ে ফেলা শব্দের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ২১৩ তে গিয়ে দাঁড়ায়।

আর তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায় যে, জোরে জোরে পড়ার চাইতে মনে মনে পড়লে বই পড়ার গতি বেড়ে যাবে অনেকাংশে। বই পড়ার গতি বাড়াতে চাইলে এখন থেকেই জোরে জোরে পড়ার পরিবর্তে অভ্যাস করো মনে মনে পড়ার।


২) সাহায্য নাও আঙ্গুল কিংবা কোনো গাইডের:

মনোযোগকে যদি বলা হয় পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষণস্থায়ী বস্তু তাহলে খুব একটা ভুল হবে না। আর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পড়তে বসলেই আমাদের আকাশ-কুসুম চিন্তাগুলো মাথায় নাচানাচি শুরু করে দেয়। আর তাই পড়তে পড়তে মনোযোগ হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয় আমাদের জন্যে। এক্ষেত্রে প্রায় সময়ই আমরা হারিয়ে ফেলি কিংবা ভুলে যাই যে বইয়ের ঠিক কোন অংশ বা লাইনটা পড়ছিলাম। এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে কলম কিংবা পেন্সিল। আঙ্গুলের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। পড়ার সময় পেন্সিল দিয়ে লাইনগুলো মার্ক করে নিলেই এই হুট করে মনোযোগ হারিয়ে ফেলাজনিত সমস্যায় আর বিব্রত হতে হবে না। আর কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুল ব্যবহার করে পড়লে এমনিতেই একটু বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। মনোযোগ সরে গেলে কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুলও চলা বন্ধ করে দেবে!

তাই এখন থেকে কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুল দিয়ে লাইনগুলো ধরে ধরে পড়লেই আর হুট করে হারিয়ে যাওয়ার সমস্যাটার সম্মুখীন হতে হবে না।


৩) একটি একটি করে নয় পড়ো একাধিক শব্দ একত্রে:

ধরা যাক, কারো এক হাতের একটা আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতে হবে অন্য হাতে সে ঠিক কয়টা আঙ্গুল দেখিয়েছে। অন্য হাতের দিকে না তাকানো সত্ত্বেও অধিকাংশই সাধারণত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়। বিষয়টা হলো, একটা বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু সেই বিন্দু চারপাশের অনেক কিছুই আমাদের নজরে আসে। এই ট্রিকটাকে কিন্তু দ্রুত বই পড়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায়।

তাই বই পড়ার সময় আমরা যাতে বইটাকে চোখ থেকে কিছুটা দূরে রেখে পড়ি, এতে করে অনেকগুলো শব্দ একসাথে পড়া সম্ভব হবে। আর তাতে বই পড়ার গতিও বাড়বে অনেকাংশে!


৪) সময় ও লক্ষ্য ঠিক করে পড়তে বসার অভ্যাস করতে হবে:

একটা বই নিয়ে পড়তে বসার কিছুক্ষন পরই নোটিফিকেশন বিড়ম্বনায় মনোযোগ বিসর্জন দিয়ে  পড়ার গতির বারোটা বাজিয়ে পড়ার পুরো আগ্রহ হারিয়ে ফেলাজনিত সমস্যার সম্মুখীন বই পড়ার সময় আমাদের সবার প্রায়ই হতে হয়। এক্ষেত্রে একটা ট্রিক অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়তে বসার আগে ঘড়ি দেখে ঠিক কতখানি পড়া হবে আর কতক্ষন পড়া হবে সেই লক্ষ্যমাত্রাটা নির্ধারণ করে সেটা অনুযায়ী পড়তে হবে। ধরা যাক ঠিক সন্ধ্যা ৭ টায় কেউ ১ ঘন্টার জন্যে পড়তে বসবে বলে ঠিক করলো, সে ওই এক ঘন্টায় তার পড়ার গতি অনুযায়ী ২০ পৃষ্ঠা পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ওই এক ঘন্টায় তার কাজ হবে যে কোনোভাবে সেই ২০ পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করা। এবং ওই এক ঘন্টায় তাকে থাকতে হবে অন্য সব ধরণের কাজ থেকে দূরে। এবং ঘড়ি ধরে এক ঘন্টা পর যাচাই করতে হবে যে সে তার ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কতখানি সক্ষম হলো।

এভাবে লক্ষ্যমাত্রা আর সময় নির্ধারণ করে পড়ার অভ্যাস করলেও পড়ার গতি বাড়বে অনেকখানি। আর নোটিফিকেশন ও তখন আর মনোযোগ নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।


৫) বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশে চোখ বুলিয়ে নিলে ধারণা মিলবে বই সম্পর্কে:

কোনো নতুন বই পড়া শুরুর আগে বইয়ের সূচিপত্র, ভূমিকা, শুরু আর শেষের দিকের কিছু অংশ আগে থেকেই পড়ে নেওয়া যেতে পারে। কোনো মুভি দেখার আগে ট্রেলার যেরকম ভূমিকা রাখে এটা অনেকটা সেই কাজ করবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে কোনো উপন্যাস বা গল্পের শেষ যদি পড়া শুরুর আগেই জেনে যাওয়া হয় তাহলে তো পুরো লেখাটাই জলে যাবে। এই ট্রিকটা গল্প, উপন্যাসের জন্যে প্রযোজ্য নয়। আত্ম উন্নয়নের বইগুলো এখনো আমাদের অনেকের কাছে নিরস বই হিসেবে খ্যাত। এই ধরণের বই পড়ার অভ্যাস করতে ইচ্ছুক যারা তারা এই ট্রিকটা কাজে লাগাতে উপকৃত হবে।

তাই, আগে থেকেই সূচিপত্র দেখে নিজের প্রয়োজনসাপেক্ষে কয়েকটি টপিক আগেভাগে পড়ে যদি পুরো বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মায় ব্যাপারটা খারাপ হবে না!


৬) বই পড়ার সময় ডিকশনারি কে না বলতে হবে:

অন্য ভাষা তথা ইংরেজি বই পড়তে গিয়ে সচরাচর আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি সেটা হলো পড়তে পড়তে হুট করে কোনো অপরিচিত শব্দে গিয়ে আটকে যাওয়া। সেক্ষেত্রে আমরা সাহায্য নেই ডিকশনারির। ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ডিকশনারি অর্থাৎ ফোনের ডিকশনারি অ্যাপও কিন্তু পড়ার গতি এবং আগ্রহ কমাতে ভীষণ কার্যকরী। একবার একটা শব্দের অর্থ জানতে ফোনে হাত দিলে পুনরায় আবার বইয়ে ফেরত যাওয়াটা অসম্ভবের কাছাকাছি। এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে তাহলে নতুন শব্দের অর্থ জানা হবে কী করে? এক্ষেত্রে পড়তে হবে কনটেক্সট বুঝে। আর বাড়াতে হবে পড়ার পরিমাণ। তাহলেই সমৃদ্ধ হবে শব্দভান্ডার।

এভাবেই একটা সময় দেখা যাবে গোটা একটা বই পড়া শেষ হয়ে গেছে ডিকশনারির সাহায্য ছাড়াই।

ওপরের আলোচ্য ৬ টি দারুণ কৌশলের অনুসরণের মাধ্যমে তাহলে আজ থেকেই শুরু হয়ে যাক বই পড়ার চমৎকার অভ্যাস!


- স্টুডেন্ট হ্যাকস

কাজের মেয়ের গ*র্ভে আমার সন্তান পর্ব -১,.. ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কাজের মেয়ের গ*র্ভে আমার সন্তান পর্ব -১

.

আমি পরিচয় গোপনের স্বার্থে নিজের নামটা বললাম না । আমার বর্তমান বয়স ৩২ বছর। ঘটনাটা আজ থেকে ৫ বছর আগের তখন আমার বয়স ২৭ বছর। পেশায় আমি একজন ডাক্তার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। আমি গ্রামের ছেলে , বাবা মা মারা যাওয়ার পর সমস্ত কিছু বেঁচে কলকাতায় নিউটাউনে একটা ফ্ল্যাট কিনে সেখানেই বসবাস শুরু করেছি। আগে যেখানে থাকতাম সেখানে কাজ করার জন্য একজন মাসি ছিল। কিন্তু নতুন জায়গায় উঠে এসে প্রবলেমে পড়ে গেলাম। এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও কাজের লোক পাচ্ছি না। পশের ফ্ল্যাটে একজন ৪৫ বছরের মেয়ে কাজ করে। তাকে অনেক বলার পরেও সে রাজি হল না। সে বলল সে অলরেডি দুটো বাড়ির কাজ করছে আর নতুন কাজ নিতে পারবে না। আমি বললাম অন্য যদি কেউ থাকে তার সাথে একটু যোগাযোগ করিয়ে দিতে।


দুদিন পর রাত আটটা নাগাদ ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছিলাম, হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। দরজা খুলে দেখি সেই কাজের মাসি। সাথে অন্য আর একটা মেয়ে আছে । মাসি বলল দাদাবাবু আপনার কাজের লোকের প্রয়োজন বললেন তাই মিনতি কে নিয়ে এলাম। ওর একটা কাজের খুব প্রয়োজন। কিন্তু একটা শর্ত আছে…… আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি শর্ত। ওর থাকার কোন জায়গা নেই আপনি যদি ওকে এখানে থাকতে দেন তাহলে। আমি বললাম না না তা কি করে হয়…. কথাটা বলা শেষ হবার আগেই মিনতি আমার দুই পা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলো।


আমি কোনো রকমে মিনতিকে ছাড়িয়ে দাঁড় করালাম। জিজ্ঞাসা করলাম কি হলো কাঁদছো কেন এভাবে। মাসি বলল ও বাঁজা সেই কারণেই ওর স্বামী ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন ওর যাবার কোন জায়গা নেই, যদি একটু দয়া করেন তাহলে মেয়েটা বেঁচে যাবে। এরকম একটা দুঃখের কথা শুনে আমি আর না বলতে পারলাম না। জিজ্ঞাসা করলাম সাথে জিনিসপত্র কিছু এনেছো? বলল না এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তারপরে আমি মিনতিকে ফ্ল্যাটে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।আমার ফ্ল্যাটটি যথেষ্ট বড়ো টোটাল চারটি রুম, দুটো বেডরুম, ‌একটা কিচেন…. আর একটা ছোট সার্ভেন্ট রুম। যাইহোক এবার আপনাদের একটু মিনতির শরীরের বর্ণনা দিই। মিনতির বয়স ২৫ বছর, হাইট পাঁচ ফুট , শরীরের রং শ্যাম বর্ণ, রোগা পাতলা শরীর, আর dud বলতে কিছুই নেই, শরীর এতটাই রোগ যে মনে হচ্ছে একটা কলাগাছে কেউ কাপড় জড়িয়ে রেখেছে। সুতরাং মুখের গঠন ভালো হলেও শারীরিক গঠনের কারণে মিনতিকে সুশ্রী বলা চলে না। ঘড়ির দিকে তাকালাম তখন সাড়ে আটটা বাজে। মিনতি কে বললাম ওদিকে রান্নাঘর সবকিছুই আছে যাও দুজনের রান্না চাপাও আমি একটু আসছি। এই বলে আমি বেরিয়ে গেলাম। ফিরলাম এক ঘন্টা পর।


একটা অনেক পুরনো শাড়ি পরে এসেছে মেয়েটা। যে শাড়িটা পড়ে ছিল সেটাও জায়গায় জায়গায় ছেড়া। তাই বাইরে থেকে মেয়েটার জন্য দুখানা শাড়ি সায়া ব্লাউজ , আর চার জোড়া Bra প্যা*ন্টি*র সেট। মিনতির হাতে সেগুলো দিয়ে বললাম এগুলো নাও স্নান করে কাপড় গুলো চেঞ্জ করে নিও । মেয়েটার চোখের কোনে কিছুটা জল ‌ । আমি রেগে বললাম আমি কান্না একদম পছন্দ করি না এখানে থাকতে হলে হাসি খুশিতে থাকতে হবে। যাও গিয়ে স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ো ডাইনিং টেবিলের খাবার রাখা হয়েছিল আমি খাবার খেয়ে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠলাম আটটা বেজে গেছে। নটা নাগাদ ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে আমি চেম্বারে চলে গেলাম। ফিরে আসলাম বারোটা নাগাদ। ফ্লাটে এসে চমকে যাই। গোটা ফ্ল্যাটটা সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে রেখেছে মেয়েটা। খুশি হয়ে মিনতি প্রশংসা করি, মিনতি বললো এটাই তো ওর কাজ।........

.

.

#চলবে........... …..

পরবর্তী পর্ব দেখতে চোখ রাখুন👉 Family Queen 2.0 ✅

 দুই বাগানের এক মালি পর্ব -১ ⚠️ প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের জন্য 🔞 .

 দুই বাগানের এক মালি পর্ব -১

⚠️ প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের জন্য 🔞

.

এই কাহিনির শুরু যখন আমি ক্লাস ৩ থেকে ৪ এ উঠেছি। আমার বাবা একটা বেসরকারি এন জি ও তে চাকরি করে, মা হাউস ওয়াইফ। আমরা অল্প কিছুদিন হলো নতুন শহরে এসে উঠেছি, আমাদের ২ তলা বাসা, উপরে বাড়িওয়ালা আংকেল তার ছেলে আর তার মা থাকেন। আংকেল এর বয়স প্রায় ৬০ বছর তার দুই বিয়ে, বড় বউ অনেক দিন আগে তার ছেলে মেয়ে নিয়ে, অন্য শহরে চলে গেছে। ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, তারা আর বিশেষ খবর নেয় না। দ্বিতীয় বিয়ে অনেক বছর পরে বাড়ির সবার জোড়াজুড়ি তেই করা, তাও কয়েকমাস আগে সে মারা যায়। তার পর থেকে আংকেল এর মা ওনাদের বাসায় থাকেন। ওনার ছেলে আমার ২ বছর এর বড় কিন্তু ওর মায়ের অসুস্থতার জন্য সেও ২ বছর পিছিয়ে আমার সাথেই পড়ছে তাকে আমি ওস্তাদ বলেই ডাকতাম।


এবার আসি আমাদের কথায়, আমাদের পরিবারে, আমার বাবা (৩৮), মা (৩০), আর আমি। আমাদের যথেষ্ট সুখেই জীবন চলছিলো, আংকেল এর ছেলে আমার ভালো বন্ধু, আমরা একসাথে পড়ি, খেলি, এমনকি খাওয়া দাওয়া আর ঘুমাই ও একসঙ্গে। আমাদের পরিবার এই নিয়ে যথেষ্ট খুশি, দুই পরিবার এ অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো আমাদের সুবাদে। এতে বাবা নিশ্চিন্ত হতে পারলো, কারণ মাস এর শেষে বাবাকে ওডিট জমা দিতে হেড অফিস এ যেতে হয়, মাথার উপর আংকেল আর দাদি( আংকেল এর মা) থাকলে বাবা ও বেশ নিশ্চিন্ত হতে পারে। তার পর থেকে আমরা মায়ের সাথে আমাদের ঘরে থাকতাম। মাঝে মধ্যে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে মা চলে যেতেন বাবার কাছে। আর বাবা না থাকলে দাদি মাঝে মধ্যেই এসে মায়ের সাথে ঘুমাতেন।


একবার বাবার অডিট চলছিল, তখন আংকেল দের গ্রামের বাড়ি যাবার কথা চলছে, যেহেতু বাবা বাড়ি ছিলো না, তাই তাদের সাথে আমরাও গেলাম ওদের গ্রামের বাড়ি। রাতে, আমরা টিভি দেখছিলাম আর পাশের ঘরে, মা দাদি গল্প করছিলো। তারা কথা বলছিল আংকেল এর বিয়ের বিষয় নিয়ে, কারন তার ছেলে অনেক ছোট তার দেখা শোনার জন্যও একজন মা দরকার, যদিও আমার মা এখন তা করছে।এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা অনেক গভীরে গেলো, শেষ পর্যন্ত দাদি মা কে রাজি করালো, যে মা আংকেল এর দিকেও খেয়াল রাখবে।পরদিন আমরা গ্রামে ঘুরে বেড়ালাম, রাতে আবার তাদের সেই পুরনো আড্ডা যমে গেলো, এবারে তাদের কথার সারাংশ এই দাড়ালো, মা কে আংকেল এর সাথে একটা অস্থায়ী বা হিল্লে বিয়ে দেয়া হবে, এর জন্য তাদের ধর্ম মতে মায়ের একটা নতুন নাম রাখা হবে, এটা শুধুমাত্র মা কে তাদের পরিবারের একটা অংশ করে নেয়ার জন্য। সেই রাতেই একজন কাজী ডেকে নিয়ে এসে তাদের বিয়ে দেয়া হলো। এর পর থেকে, মা রোজ রাতে একবার আংকেল এর অষুধ খাওয়ার বেপারে খোজ খবর নিতে যেতেন। মাঝে মধ্যেই দাদি মা কে বলতেন, আংকেল এর সাথে গিয়ে থাকতে, কিন্তু মা বরাবর ই না করত।


কিছুদিন কেটে যাবার পর মা আর আংকেল এর সম্পর্ক কিছুটা স্বভাবিক হতে শুরু করে। প্রায়ই তারা একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা মজা করে, আংকেল এর ঘরে মা গেলে তিনি মায়ের হাত ধরে টানাটানি করতেন, মা অবশ্য কিছু বলত না। একবার বাবার মাসিক অডিট এর সময়, মা এর সাথে বাবার ভিষণ ঝগড়া লাগে, মায়ের বক্তব্য ছিলো, বাবা মা কে সময় দেয় না কিন্তু বাবা ও জানিয়ে দেয় যে, সে কাজের চাপের মধ্যেও যথেষ্ট সময় দিচ্ছে। পরদিন বাবা চলে গেলে, রাতে আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে, ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম, শুনতে পেলাম পাশের ঘরে মা কাদছে, আর দাদি তাকে শান্তনা দিচ্ছে। একটু পর, দাদি উপরে চলে গেলো একটু পরে,আংকেল কে নিয়ে এসে পাশের ঘরে রেখে তাকে বলে গেলো মা এর মন খারাপ, তাকে সঙ্গ দিতে। আমার আর ওস্তাদ এর বুঝতে বাকি রইলো না, আমাদের বেশ কৌতুহল হলো, আমরা দুজনেই পর্দার আড়াল থেকে দেখতে লাগলাম।


মা আর আংকেল জানালার পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলো, একটু পর, মা কাঁদতে শুরু করলো, আংকেল তার চোখ মুছিয়ে দিয়ে, মা কে এনে বিছানায় বসালেন এবং তিনি নিজেও মায়ের পাশে বসলেন। মা কিছু বলতে যাচ্ছিলো, কিন্তু তিনি মা কে থামিয়ে দিয়ে, মায়ের ঠোঁটে চুমু খেতে শুরু করলেন। মা প্রথমে কিছুটা আপত্তি করলেও পরে আর আপত্তি করেন নি। আংকেল বেশ আনন্দের সাথেই মা এর ঠোঁট জোড়া চু*ষছিলেন এবং মা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। এক সময় পর মা তাকে সঙ্গ দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ এরকম চলার পর আংকেল মা কে বিছানায় শুয়ে দিল, তার পর আস্তে আস্তে ব্লাউজ এর হুক খুলে দিতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো মায়ের এক জোড়া রসালো দ*ধ আংকেল বেড়িয়ে আসা মাই গুলো খেতে শুরু করল আর এক হাতে একটা মাই নিয়ে খেলতে লাগলো।


মা বেশ মজা পাচ্ছিলো এতে, দেখলাম সে আংকেল এর মাথা তার বুকের কাছে টেনে ধরে রেখেছে, আর আংকেল কে বার বার আদর করে দিচ্ছে।আংকেল এর পর মা এর শাড়ি আর পেটিকোট খুলে তাকে সম্পুর্ন ন্যাংটা করে ফেললো তারপর নিজের ফতুয়া আর লুঙ্গি খুলে বিছানায় চলে গেলো । কিছুক্ষণ তারা আবার চুমু খেল, এবারে দুজনেই বেশ আগ্রহের সাথে একে অপরকে আদর করতে লাগলো।


আংকেল এর পর কিছুটা নিচে নেমে দ*ধ খেতে শুরু করলো, আর এক হাতে, মায়ের গুদামঘরে আঙ্গুল বুলিয়ে দিতে লাগলো আমি দেখলাম তার কালো আর মোটা ডান্ডা অনেক বড়ো হয়ে একদম ফুলে উঠেছে । এদিকে মা চাপা গলায়, সিৎকার করছিলো আর এক হাতে আংকেল এর ডান্ডা নিয়ে খেলছিলো , এক সময় আংকেল দ*ধ খাওয়া শেষ করে, মা এর গুদামঘরে মুখ দিয়ে খেতে লাগলেন, এবারে মা আর থাকতে পারছিলো না, সে আনন্দে আহহহ….উহহহহহহ….. করছিলো আর কাপছিল।.....

.

.

#চলবে............ 

পরবর্তী পর্ব দেখতে চোখ রাখুন👉 Family Queen 2.0 ✅

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ০৩-০২-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ০৩-০২-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


টঙ্গীর তুরাগতীরে বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু আজ।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাপানের - প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বললেন দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী - দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ।


সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন একনেকে।


রমজানে স্থিতিশীল থাকবে নিত্যপণ্যের দাম - বাণিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস।


তরুণ প্রজন্ম মেধাভিত্তিক ও পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দুশো ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।


কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের - পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেশ তিনটির।


মিরপুরে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্স-রংপুর রাইডার্সের এবং প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংস- ফরচুন বরিশালের মোকাবেলা করবে।

প্রাণ/ঘাতি রোগ টিটেনাস

 🔴🔴প্রাণ/ঘাতি রোগ টিটেনাস😢!


টিটেনাস একটি প্রাণ/ঘাতী রোগ, যা Clostridium tetani নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত মাটি, ধুলো, লালা, এবং প্রাণীর মলমূত্রে থাকে এবং শরীরে যেকোনো কা/টা বা খোঁ/চা লাগার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। বিশেষ করে, জং ধরা পেরেক বা নোংরা কিছু দিয়ে আঘাত পেলে এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।।


রোগটি শুরুতে সাধারণ মনে হলেও দ্রুতই মারাত্মক রূপ নেয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে, যার ফলে পেশীগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং শরীর বাঁকা হয়ে যায়। এমন দুর্ঘটনা ঘটলে কোনোভাবেই অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিটেনাস ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। প্রতিরোধই এই রোগের সর্বোত্তম সমাধান।


.....ধন্যবাদ💞

Follow- Dr-Habib Khan

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

লোভ ফেইসবুক গল্প

 মাঝরাতে মা তার যুবতী মেয়েকে ভাইপোর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো,


"যেভাবেই হোক, আজ লেফটেন্যান্ট ইরফান তালুকদারকে হাত করবি। সেটা হোক মুখের বুলি দিয়ে নয়তো দেহ দিয়ে।"


অধরা মেয়েটা মায়ের প্ল্যান আঁচ করে ভীত কণ্ঠে শুধালো, "ইরফান ভাই কি ভুলবে আমাতে? আমার ভীষণ ভয় করছে, মা!"


মেয়ের কথা শুনে খ্যাঁক খ্যাঁক করে উঠলো মমতা। বললো,


"এতো সুন্দর দেহ দিয়ে করবিটা কি, যদি একটা জোয়ান ছেলেকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতেই না পারোস?"


"কিন্তু, ইরফান ভাই সবার মতো নয়, মা।"


"শোন, অধরা, পুরুষ মানুষ রাতের অন্ধকারে নারীর দেহ পাইলে মোম হইয়া যায়। সেই দেহটা হোক সুন্দর কিংবা কুৎসিত! উপরে উপরে পুরুষ যতই কঠোর হোক, এরা একবার নারীর দেহের স্পর্শ পাইলে সেই কঠোরতাকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। শরীরের কা/মে ঠিকই ধরা দেয়। আমি কি বলছি, তুই বুঝতে পারছিস?"


অধরা চনমনে দু'দিকে মাথা নাড়িয়ে বললো,


 "বুঝেছি।"


ভেতরে ভেতরে সে-ও ইরফান ভাইকে নিজের করে পেতে চায়। কিশোরী বয়স থেকেই মা তাঁকে লেলিয়ে দিয়েছে মানুষটার প্রতি। সেই থেকেই মানুষটাকে নিয়ে ওর কত কল্পনা-জল্পনা! কিন্তু, আফসোস, ইরফান ভাই তাঁর সঙ্গে সবসময় রাস্তার কু/কুরটার মতো ব্যবহার করেন। কখনো অধরাতে ভুলেনি সে, ভুলেও কখনো আশকারা দেয়নি। আজ যদি মায়ের কথাতে মানুষটা যদি সারাজীবনের জন্য ওর হয়, ক্ষতি কি? এসব ভাবতেই চকচক করে উঠছে অধরার লোভাতুর দু-চোখ। মানুষটাকে নিজের, একান্তই নিজের করে পাওয়ার বাসনায় যুবতী মেয়েটির বক্ষস্থল জুড়ে হিমশীতল শিহরণ বয়ে গেলো! "আহ্! মানুষটি ওর হতে চলছে!" এতটুকু ভাবতেই মেয়েটার ভেতরটা শীতল হয়ে এলো।


মমতা সতর্ক চোখে আশেপাশে একবার তাকিয়ে, মেয়ে'কে ঠেলে ইরফানের রুমে ঢুকিয়ে দিলো। নীরবে আরো একবার সতর্ক করে দিলো,


"এই ছেলেটাকে কোনোভাবে হাতছাড়া করা যাবে না, অধু!"


মেয়ে তাঁকে আশ্বাস দিলো। মমতা বাঁকা হেসে ওখান থেকে দ্রুত সরে গিয়ে সিঁড়ির পাশটাতে ঘাপটি মে'রে রইলো। ওর কোটিপতি বোনপতীর একমাত্র ছেলে, লেফটেন্যান্ট ইরফান তালুকদা। ছেলেটা দেখতে যেমন সুদর্শন, তেমনই বাপ-বেটা টাকা-পয়সার মালিক। এক বাপের এক পুত! কোনোভাবে একবার নিজের মেয়ে'কে কলকাঠি নাড়িয়ে ছেলেটার গলায় ঝুলিয়ে দিতে পারলেই, রাজপুত্র, রাজ্য দু’টোই থাকবে হাতের মুঠোয়। আর আজ সেটার মোক্ষম একটা সুযোগও রয়েছে। মমতার বড় বোন, মৌসুমি তালুকদারের বাড়িতে আজ একটা বিশেষ অনুষ্ঠান চলছে, সেই উপলক্ষে ওরা এসেছে। এছাড়াও, রয়েছে ঘরভর্তি মেহমান। এর মধ্যে, কোনোভাবে যদি মেয়েটা ঘটনাটা নিয়ে এগিয়ে যায়, তাহলেই আজ রাতে মমতার দুর্দান্ত প্ল্যানটা যুতসই মতো লেগে যাবে। এসব ভাবতেই মমতা আরো একবার বিজয়ী হাসলো আর মেয়ের সংকেতের অপেক্ষায় করতে লাগলো।


°

অন্ধকার রুমটাতে নিঃশব্দে হাতড়াতে হাতড়াতে ইরফানের খাটের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো, অধরা। খাটের একপাশে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে কেউ। সুনসান নিশুতি রাতে অধরা মানুষটির ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে সেই মানুষটির অস্তিত্ব অনুভব করলো। অমনি তার কপালে সূক্ষ্ণ ভাঁজ পড়ল। ইরফান ভাই ফিরেছে? কখন এলো উনি? অধরার জানা মতে, ইরফান বাহিরে, ফেরেনি এখনো। ওর তো আরো পরে আসার কথা ছিলো। মানুষটা কখন ফিরলো? হয়তো অধরা টের পায়নি, এই ভেবে নিজের ভাবনা গুলো থেকে বেরিয়ে এলো মেয়েটা। আগেপিছে আর কোনোকিছু না ভেবেই ঘুমন্ত মানুষটার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ সেই মানুষটা থম মে'রে চুপচাপ থাকলে-ও যুবতী মেয়ের কামু/কী আবদার উপেক্ষা করতে পারেনি। আচমকা, পুরুষালি দু'টো শক্ত হাত অধরার আপ'ত্তিকর জায়গাগুলো ছুঁয়ে দিলো।


ইরফান ভাই তবে টোপ গিলেছে?! 


এই ভেবেই আচমকা অধরা সাজানো নাটক মতে উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠলো,


"ইরফান ভাই, কি করছেন? ছাড়ুন, ছাড়ুন আমায়। প্লিজ.... আমার এতো বড় সর্বনা/শ করবেন, ইরফান ভাই!"


মমতা এতক্ষণ তোক্কে তোক্কে রয়েছিলো। লাগাতারে অধরার উচ্চস্বরের চিৎকার শুনতে পেয়েই সে বেরিয়ে এলো। সেই সাথে এমন ভাব করলো, যেন সে কিচ্ছুই জানে না। মমতা ঘুম ঘুম ভাণ ধরে বিচলিত কণ্ঠে মেয়ে'কে ডাকলো,


"অধরা? এই অধরা, কি হয়েছে? কি হয়েছে, কি হয়েছে মা?"


বলতে বলতে দরজার সামনে ছুটে গেলো মমতা। ভেতর থেকে ওদের দরজা আটকানো। মমতা কাঠের দরজাটায় শব্দ করে মেয়ের নাম ধরে অনর্গল ডাকছে। মুহূর্তেই বাড়িসুদ্ধ মানুষ এসে ঘিরে ধরলো ওদেরকে। মাঝরাতে অধরার এলোপাথাড়ি চিৎকার শুনে হতবুদ্ধ তারা। সবার চোখে-মুখে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে সংশয়। ইরফান তালুকদারের রুমে অধরা কি করছে? দরজা ভেতর থেকে আটকানো কেন? ভেতরে কি চলছে?


তান্মধ্যে, ভীড় ডিঙিয়ে মৌসুমি তালুকদার বোনের কাছে ছুটে এলো। বিচলিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,


"কি হয়েছে, কি হয়েছে মমতা? অধরা চিৎকার করলো কেন?"


মমতা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানালো, "জানি না, আপা।"


মৌসুমি তালুকদারের কপালে গোটা দুয়ে সূক্ষ্ম ভাঁজ পড়ল। তার ছেলের রুম থেকে মধ্যরাতে একটা মেয়ে "ইরফান ভাই" বলে ডাকছে কেন? ঘটনা আঁচ করতে তার বেশিক্ষণ আর ভাবতে হলো না। তবুও, তিনি জানেন তার ছেলে কক্ষনো এমন কিছু করবে না। ছেলের প্রতি অগাধ বিশ্বাস তার আছে। তার ছেলেটা যে একটু অন্যরকম। তাহলে ঘটনা কি? মৌসুমি আর কালবিলম্ব না করে, দরজা থেকে মমতাকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই মিহি স্বরে ডাকলো অধরাকে,


"ভেতরে কি হয়েছে, অধরা? দরজাটা খোলো মা?"


বেশ কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলো, অধরা। মুহূর্তেই, দরজা ডিঙিয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে প্রবেশ করলো একঝাঁক প্রশ্নবিদ্ধ মানুষ। পুরো রুম এখনো অন্ধকার। মৌসুমি এসে ত্রস্ত রুমের লাইট অন করে দিলো। মুহূর্তেই আলোকিত রুমটাতে এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার ঘটে গেলো। রুমে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি মানুষ কিছু সময়ের জন্য বাক্যহারা হয়ে গেলো।


খাটের মাঝখানে সটান হয়ে শুয়ে আছে এক যুবক। তার পুরো শরীরটাতে চাদর টানা, মুখটাও দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রুমের এক কোণায় ভয়ার্ত, এলোমেলো কাপড়ে অধরাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। এরপর আর ঘটনা বুঝতে কারো বেশিক্ষণ লাগলো না। মুহূর্তেই, রুমভর্তি মানুষগুলোর মধ্যে চললো তুমুল উত্তেজনা, চাপা মুখ চাওয়াচাওয়ি। এসবের সবকিছু উপেক্ষা করে মৌসুমি এসে দ্রুত অধরাকে একটা বিছানার চাদর দিয়ে গা ঢেকে দিলো। অধরা ততক্ষণাৎ খালাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে উঠলো,


"খালামনি...!"


মৌসুমি তালুকদার মেয়েটাকে বুকের মাঝখানটাতে টেনে নিলো। এরমাঝে, পাশ থেকে গম্ভীর কণ্ঠে মৌসুমের শ্বাশুড়ি "ইসাবেলা" অধরাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলো,


"এ্যাই মেয়ে, তুমি ইরফানের রুমে কি করে এলে? তোমার তো ইরাদের সঙ্গে ঘুমানোর কথা ছিলো।


অধরার সেই উত্তর ছিলো ঠোঁটের আগায় সাজানো। সে বেশ রয়েসয়ে বললো,


"আসলে, এক রুমে এতজন শোয়াতে আমার খুব গরম লাগছিল। তাই আমি একটু বাহিরে আসছিলাম। এরপর, ইরফান ভাইয়ের রুমে উঁকি দিয়ে দেখি রুমটা খালি। তাই, আমি আর ইরাদের কাছে না গিয়ে এখানেই শুয়ে পড়েছি। তাছাড়া, আম্মু বলছিলো ইরফান ভাই আজ রাতে বাসায় ফিরবে না। সেই ভেবেই আমি এখানে শুয়েছিলাম। কিন্তু, উনি উনি..... "


বলতে বলতে ফের কেঁদে ফেললো, অধরা। এর পরেরটুকু বুঝতে কি আর কারো অসুবিধা আছে? মেয়ের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে, পাশ থেকে মমতা বেগমও মেয়ে'কে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লো। হা-হুতাশ শুরু করলো। সবটা দেখে গ;

/র্জে উঠলো, ইশতিয়াক তালুকদার। তার বাড়িতে এসব কি চলছে? বিছানায় শুয়ে থাকা যুবকটির এতবড় সাহস? কে সে? ইরফান? মাঝরাতে অধরার দিকে হাত বাড়িয়েছে? এতো অধঃপতন হয়েছে ওর? ইশতিয়াক তালুকদার তীব্র ক্রো'ধ নিয়ে ছেলের দিকে এগিয়ে গেলো আর ছুঁড়ে ফেললো যুবকটির গায়ে থাকা চাদরটি। মুহূর্তেই, অনাকাঙ্ক্ষিত আর অপ্রত্যাশিত ভাবে বেরিয়ে এলো একটি মুখ। ইরফানের জায়গায় রয়েছে তালুকদার বাড়ির চাকরটি। ইশতিয়াক তালুকদার যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল, সেই সঙ্গে মানুষটা ভারি বিস্ময়ও হলো। সে বিরশ কণ্ঠে বারকয়েক আওড়াল,


"আরাফাত, আরাফাত? তুমি, তুমি এখানে?"


আরাফাত থরথর করে কেঁপে উঠল। সবটা দেখে, মমতার মাথায় যেন বিশাল আকাশটা ভেঙে পড়লো। এসব কি হয়ে গেলো? ইয়া আল্লাহ! বেচারা মমতা, হতবুদ্ধ হয়ে মাথা ঘুরিয়ে মেঝেতে ধপাস করে পড়ে গেলো। অধরা আকাশ-পাতাল কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠলো,


"নাআআআআআ....."


সবাই যখন এদের নিয়ে ব্যস্ত, আচমকা শুট-বুট পরিহিত গমগমে আওয়াজে রুমে উপস্থিত হলো এক যুবক। গায়ে তার এখনো পেশাদার ইউনিফর্ম। তাঁকে দেখেই ভীড়ের মাঝ থেকে হাসলো শ্যামময়ী একটি মুখ। সেই অবয়বের মেয়েটা দ্রুত ছুটে এসে যুবকটির পাশে দাঁড়ালো, মিহি কণ্ঠে ডাকলো,


"ইরফান ভাই?"


চলবে....


#লোভ

#সূচনা_পর্ব

লেখনীতে: #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী


(খুব ছোট গল্প হবে এটা, ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।যারা গল্প পড়বেন, রেসপন্স করবেন। গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন। )

শিক্ষনীয় গল্প,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শিক্ষনীয় গল্প


একটি হরিন যখন বাচ্চা জন্মের নিকটবর্তী সময়ে উপনীত হল, তখন সে জঙ্গলের একপ্রান্তে অবস্হান নিল।


হঠাৎ, যখন সে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছিল, আকাশ বজ্রপাত ও ঝলকানি শুরু করল,বনে আগুন লাগল,হরিনটি উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখে শিকারি তীর নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।


সে ডানদিকে তাকিয়ে দেখলো একটি ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে।


হরিন বিভ্রান্ত:

একদিকে সিংহ,অপরদিকে শিকারি,

আরেক দিকে আগুনের লেলিহান শিখা,

বাকি যে দিকটা ছিল সেখান দিয়ে বয়ে গেছে উত্তাল নদী।

ঝুঁকিগুলো সব দিকেই রয়েছে এবং তার কোনো উদ্ধারকারীও নেই।

এমতাবস্হায় হরিনটি কোন উপায় না দেখে সে তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিকেই নজর দিলো।


এরপরেই বজ্রপাত শিকারীকে অন্ধ করে দিল।

শিকারীর লক্ষ্যভ্রষ্ঠ তীর এসে ক্ষুধার্ত সিংহের গায়ে লাগল।ভারী বৃষ্টিপাত আগুনকে নিভিয়ে দিল।হরিনটি শান্তিমতো তার সন্তান জন্ম দিলো।

এর থেকে শিক্ষা:

আপনার জীবনের এমন কিছু মূহুর্ত থাকে যখন আপনি প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাঁধার সম্মুখীন হন।

তখন আপনি নিজে থেকে যা করতে পারেন তার প্রতি মনোনিবেশ করুন এবং বাকী একজনকে ছেড়ে দিন যিনি সমস্ত মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলেন।

তিনিই আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা।


আরও একটি গুরুত্তপূর্ন কথা----

---এমনটি কখনো বলবেন না : হে প্রভু, আমি অনেক বিপদে আছি........

---বরং, বলুন: হে বিপদ, আমার একজন মহান রব আছেন।


আরবি গল্প অবলম্বনে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।

 ❤️💚বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।

১) ব্লাড প্রেসার।

২) ব্লাড সুগার।

🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷

১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা,

২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা,

৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা,

৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।

🔸পাঁচটি জিনিস খাবার থেকে যত পারুন এড়িয়ে চলুন।

১) লবন,

২) চিনি,

৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ।

৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার

৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।

🔸পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।

১) সব রকমের সবুজ শাক

২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি

৩) ফলমূল,

৪) বাদাম,

৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।

🔸মানসিক শান্তি বা সুখী হতে  সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।

১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু,

২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার,

৩) সবসময় সুচিন্তা,

৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়,

৫) অল্পেতে খুশি হওয়ার চেষ্টা,

৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা,

৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।

🔸ছয়টি জিনিষের চর্চা রাখুন।

১) অহংকার না করা,

২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা,

৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা,

৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা ।কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত ।

৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন

🔸সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।

১) কর্য,

২) লোভ,

৩) আলস্য,

৪) ঘৃণা,

৫) সময়ের অপচয়,

৬) পরচর্চা,পরনিন্দা 

৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি

🔸পাঁচটি জিনিষ কখনোই করবেন না।

১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া,

২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা,

৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া,

৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেওয়া,

৫) একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া,

সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হোন

“সুস্থ্য থাকুন - ভাল থাকুন - ভাল রাখুন”

নিয়মিত মোটিভেশনাল ভিডিও পেতে  পেইজটি ফলো করুন। 

ধন্যবাদ। #collected

কেউ বিষ খেলে কী করবেন 

 ✅ কেউ বিষ খেলে কী করবেন ??

 জানা থাকলে বেঁচে যাবে অনেক জীবন!

পরিবারের কারো সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে যে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে৷ 


আবার কেউ মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে রাগের বশবর্তী হয়ে জীবন ধ্বংসকারী কোন ওষুধ পান করে৷ এছাড়াও বড়দের অসতর্কতার কারণে বাচ্চারা ভুলবশত বিষ পান করে।


প্রায়ই বিষপানের রোগী পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উলেখযোগ্য: কীটনাশক পান করা, অনেক পরিমাণে ঘুমের ঔষধ খাওয়া, কেরোসিন পান করা, ধুতরার বীজ খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া, কোনো ঔষধ ভুলক্রমে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলা, বিষাক্ত মদ্যপান বা অতিরিক্ত মদপান ইত্যাদি৷ 


বিষপানের রোগী আসা মাত্র বিষপানের ধরণ সম্পর্কে আন্দাজ করা সম্ভব৷ সাধারণভাবে বিষপানের পর দেরী না করে নিম্নরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং হাসপাতালে পাঠাতে হবেঃ-

১) রোগী শ্বাস নিতে না পারলে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।

২) সজ্ঞান রোগীকে সর্বপ্রথম একগ্লাস পানি বা দুধ পান করানো ভালো। কারণ এতে বিষ পাতলা হয়ে যায় ও বিষের ক্ষতির প্রভাব কমে আসে৷ 

৩) শিশুদের ক্ষেত্রে আধা গ্লাসের মতো পানি বা দুধ রোগীকে পান করানো ভালো৷ ৪) অজ্ঞান রোগীকে তরল দেয়া যাবে না৷ তাকে সুবিধাজনক স্থানে শুইয়ে দিতে হবে।


রোগীকে বমি করানো উচিত কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কারণ সকল বিষপানের পর বমি করানো যাবে না৷ রোগীর শরীরে খিঁচুনি থাকলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোগীকে বমি করানো যাবে না৷ কিছু বিষ যা প্রবেশের সময় মুখ, মুখগহ্বর ও অন্ননালীতে প্রদাহের বা দগ্ধতার সৃষ্টি করে অথবা ফুসফুসে প্রবেশ করে সংক্রমণের সৃষ্টি করে এরূপ বিষপানের রোগীকে কোনক্রমেই বমি করানো উচিত নয়৷ কারণ বমি করার সময় উল্লেখিত পদার্থগুলো পুনরায় ক্ষতিসাধন করে ক্ষতের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।


পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষঃ

----------------------------

১) অম্ল বা এসিড।

২) ক্ষার বা এলকালি

৩) গৃহে ব্যবহৃত বিশোধক

৪) গোসলখানা পায়খানা নর্দমা পরিষ্কারকারক বিশোধক।


প্রদাহ সৃষ্টিকারী বিষঃ

----------------------

১) কেরোসিন

২) তারপিন তেল

৩) রঙ এবং রঙ পাতলাকারক দ্রব্য

৪) পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য।


রোগী কোন ধরনের বিষ পান করেছে তা রোগীর মুখ, মুখগহ্বর ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে অতি সহজেই অনুমান করা যায়ঃ-

১) পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষপানে রোগীর মুখ ও মুখগহ্বরে পোড়া ক্ষত বা ফোসকা দেখা যাবে।

২) কেরোসিন জাতীয় বিষপানে রোগীদের শ্বাসে উক্ত দ্রব্যের গন্ধ পাওয়া যাবে।


৪ ঘণ্টার ভেতর বিষ খেয়ে থাকলে এবং জ্ঞান থাকলে রোগীকে নিম্নলিখিতভাবে বমি করানো যেতে পারেঃ

১) মুখের মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে বমি করানো যায়।খারাপ স্বাদযুক্ত ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম স্বল্প গরম দুধসহ বা স্বল্প গরম লোনা পানি পান করালে অনেকেরই সহজে বমি হয়ে যায়৷ 

২) তিতা কোন দ্রব্য মুখের মধ্যে দিয়েও বমি করানো যেতে পারে


বমি করানোর সময় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে যেন বমিকৃত কোনো জিনিস বা পানীয় ফুসফুসে প্রবেশ না করে৷ এজন্য বমি করানোর সময় রোগীর মাথা নিচের দিকে ও মুখ পাশে কাত করিয়ে রাখতে হবে৷ হাসপাতালে রোগীকে বিষ অপসারণের ক্ষেত্রে রাইলস টিউবের (একটি বিশেষ নল) সাহায্যে করা যেতে পারে৷


বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর ঔষধ প্রয়োগঃ কিছু বিষকে নিষ্ক্রিয় করার ঔষধ রয়েছে৷ রোগী কোন বিষ দ্বারা আক্রান্ত তা জানতে পারলে সেই বিষকে নিষ্ক্রিয় করা ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীর অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব৷ এক্ষেত্রে চিকিৎ্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷


মাইকেল মধুসূদন দত্তের দশটি জনপ্রিয় কবিতা।

 ☘️  মাইকেল মধুসূদন দত্তের দশটি জনপ্রিয় কবিতা।

✅ কেউ বিষ খেলে কী করবেন ??

 জানা থাকলে বেঁচে যাবে অনেক জীবন!

পরিবারের কারো সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে যে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে৷ 


আবার কেউ মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে রাগের বশবর্তী হয়ে জীবন ধ্বংসকারী কোন ওষুধ পান করে৷ এছাড়াও বড়দের অসতর্কতার কারণে বাচ্চারা ভুলবশত বিষ পান করে।


প্রায়ই বিষপানের রোগী পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উলেখযোগ্য: কীটনাশক পান করা, অনেক পরিমাণে ঘুমের ঔষধ খাওয়া, কেরোসিন পান করা, ধুতরার বীজ খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া, কোনো ঔষধ ভুলক্রমে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলা, বিষাক্ত মদ্যপান বা অতিরিক্ত মদপান ইত্যাদি৷ 


বিষপানের রোগী আসা মাত্র বিষপানের ধরণ সম্পর্কে আন্দাজ করা সম্ভব৷ সাধারণভাবে বিষপানের পর দেরী না করে নিম্নরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং হাসপাতালে পাঠাতে হবেঃ-

১) রোগী শ্বাস নিতে না পারলে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।

২) সজ্ঞান রোগীকে সর্বপ্রথম একগ্লাস পানি বা দুধ পান করানো ভালো। কারণ এতে বিষ পাতলা হয়ে যায় ও বিষের ক্ষতির প্রভাব কমে আসে৷ 

৩) শিশুদের ক্ষেত্রে আধা গ্লাসের মতো পানি বা দুধ রোগীকে পান করানো ভালো৷ ৪) অজ্ঞান রোগীকে তরল দেয়া যাবে না৷ তাকে সুবিধাজনক স্থানে শুইয়ে দিতে হবে।


রোগীকে বমি করানো উচিত কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কারণ সকল বিষপানের পর বমি করানো যাবে না৷ রোগীর শরীরে খিঁচুনি থাকলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোগীকে বমি করানো যাবে না৷ কিছু বিষ যা প্রবেশের সময় মুখ, মুখগহ্বর ও অন্ননালীতে প্রদাহের বা দগ্ধতার সৃষ্টি করে অথবা ফুসফুসে প্রবেশ করে সংক্রমণের সৃষ্টি করে এরূপ বিষপানের রোগীকে কোনক্রমেই বমি করানো উচিত নয়৷ কারণ বমি করার সময় উল্লেখিত পদার্থগুলো পুনরায় ক্ষতিসাধন করে ক্ষতের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।


পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষঃ

----------------------------

১) অম্ল বা এসিড।

২) ক্ষার বা এলকালি

৩) গৃহে ব্যবহৃত বিশোধক

৪) গোসলখানা পায়খানা নর্দমা পরিষ্কারকারক বিশোধক।


প্রদাহ সৃষ্টিকারী বিষঃ

----------------------

১) কেরোসিন

২) তারপিন তেল

৩) রঙ এবং রঙ পাতলাকারক দ্রব্য

৪) পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য।


রোগী কোন ধরনের বিষ পান করেছে তা রোগীর মুখ, মুখগহ্বর ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে অতি সহজেই অনুমান করা যায়ঃ-

১) পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষপানে রোগীর মুখ ও মুখগহ্বরে পোড়া ক্ষত বা ফোসকা দেখা যাবে।

২) কেরোসিন জাতীয় বিষপানে রোগীদের শ্বাসে উক্ত দ্রব্যের গন্ধ পাওয়া যাবে।


৪ ঘণ্টার ভেতর বিষ খেয়ে থাকলে এবং জ্ঞান থাকলে রোগীকে নিম্নলিখিতভাবে বমি করানো যেতে পারেঃ

১) মুখের মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে বমি করানো যায়।খারাপ স্বাদযুক্ত ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম স্বল্প গরম দুধসহ বা স্বল্প গরম লোনা পানি পান করালে অনেকেরই সহজে বমি হয়ে যায়৷ 

২) তিতা কোন দ্রব্য মুখের মধ্যে দিয়েও বমি করানো যেতে পারে


বমি করানোর সময় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে যেন বমিকৃত কোনো জিনিস বা পানীয় ফুসফুসে প্রবেশ না করে৷ এজন্য বমি করানোর সময় রোগীর মাথা নিচের দিকে ও মুখ পাশে কাত করিয়ে রাখতে হবে৷ হাসপাতালে রোগীকে বিষ অপসারণের ক্ষেত্রে রাইলস টিউবের (একটি বিশেষ নল) সাহায্যে করা যেতে পারে৷


বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর ঔষধ প্রয়োগঃ কিছু বিষকে নিষ্ক্রিয় করার ঔষধ রয়েছে৷ রোগী কোন বিষ দ্বারা আক্রান্ত তা জানতে পারলে সেই বিষকে নিষ্ক্রিয় করা ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীর অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব৷ এক্ষেত্রে চিকিৎ্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷

১. বঙ্গভাষা 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;-

তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,

পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ

পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।

কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।

অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ,

মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;-

কেলিনু শৈবালে; ভুলি কমল-কানন!

স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে-

``ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,

এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?

যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!''

পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে

মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে॥


২. কপোতাক্ষ নদ 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে |

সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ;

সতত ( যেমতি লোক নিশার স্বপনে

শোনে মায়া-যন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে

জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!---

বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,

কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?

দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্ম-ভূমি-স্তনে!

আর কি হে হবে দেখা?---যত দিন যাবে,

প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে

বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে

বঙ্গজ-জনের কানে, সখে, সখা-রীতে

নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে

লইছে যে তব নাম বঙ্গের সঙ্গীতে!


৩. কবি 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


কে কবি--- কবে কে মোরে? ঘটকালি করি,

শবদে শবদে বিয়া দেয় যেই জন,

সেই কি সে যম-দমী? তার শিরোপরি

শোভে কি অক্ষয় শোভা যশের রতন?

সেই কবি মোর মতে, কল্পনা সুন্দরী

যার মনঃ-কমলেতে পাতেন আসন,

অস্তগামি-ভানু-প্রভা-সদৃশ বিতরি

ভাবের সংসারে তার সুবর্ণ-কিরণ।

আনন্দ, আক্ষেপ ক্রোধ, যার আজ্ঞা মানে

অরণ্যে কুসুম ফোটে যার ইচ্ছা-বলে;

নন্দন-কানন হতে যে সুজন আনে

পারিজাত কুসুমের রম্য পরিমলে;

মরুভূমে--- তুষ্ট হয়ে যাহার ধেয়ানে

বহে জলবতী নদী মৃদু কলকলে!


৪. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।

করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,

দীন যে, দীনের বন্ধু !-- উজ্জল জগতে

হেমাদ্রির হেম-কান্তি অম্লান কিরণে।

কিন্তু ভাগ্য-বলে পেয়ে সে মহা পর্বতে,

যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণ চরণে,

সেই জানে কত গুণ ধরে কত মতে

গিরীশ। কি সেবা তার সে সুখ সদনে !

দানে বারি নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী।

যোগায় অমৃত ফল পরম আদরে

দীর্ঘ-শিরঃ তরু-দল, দাসরূপ ধরি।

পরিমলে ফুল-কুল দশ দিশ ভরে,

দিবসে শীতল শ্বাসী ছায়া, বনেশ্বরী,

নিশায় সুশান্ত নিদ্রা, ক্লান্তি দূর করে।


৫. কমলে কামিনী 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


কমলে কামিনী আমি হেরিনু স্বপনে

কালিদহে | বসি বামা শতদল-দলে

( নিশীথে চন্দ্রিমা যথা সরসীর জলে

মনোহরা|)  বাম করে সাপটি হেলনে

গজেশে, গ্রাসিছে তারে উগরি সঘনে |

গুঞ্জরিছে অলিপুঞ্জ অন্ধ পরিমলে,

বহিছে দহের বারি মৃদু কলকলে|---

কার না ভোলে রে মনঃ, এ হেন ছলনে!

কবিতা-পঙ্কজ-রবি, শ্রীকবিকঙ্কণ,

ধন্য তুমি বঙ্গভূমে!যশঃ-সুধাদানে

অমর করিলা তোমা অমরকারিণী

বাগ্ দেবী!ভোগিলা দুখ জীবনে, ব্রাহ্মণ,

এবে কে না পূজে তোমা, মজি তব গানে?----

বঙ্গ-হৃদ-হ্রদে চণ্ডী কমলে কামিনী||


৬. অন্নপূর্ণার ঝাঁপি

 (চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


মোহিনী-রূপসী-বেশে ঝাঁপি কাঁখে করি,

পশিছেন, ভবানন্দ, দেখ তব ঘরে

অন্নদা!বহিছে শূন্যে সঙ্গীত-লহরী,

অদৃশ্যে অপ্সরাচয় নাচিছে অম্বরে|----

দেবীর প্রসাদে তোমা রাজপদে বরি,

রাজাসন, রাজছত্র, দেবেন সত্বরে

রাজলক্ষ্মী; ধন-স্রোতে তব ভাগ্যতরি

ভাসিবে অনেক দিন, জননীর বরে|

কিন্তু চিরস্থায়ী অর্থ নহে এ সংসারে;

চঞ্চলা ধনদা রমা, ধনও চঞ্চল;

তবু কি সংশয় তব, জিজ্ঞাসি তোমারে?

তব বংশ-যশঃ-ঝাঁপি---- অন্নদামঙ্গল---

যতনে রাখিবে বঙ্গ মনের ভাণ্ডারে,

রাখে যথা সুধামৃতে চন্দ্রের মণ্ডলে||


৭. রসাল ও স্বর্ণ-লতিকা


রসাল কহিল উচ্চে স্বর্ণলতিকারে;--

“শুন মোর কথা, ধনি, নিন্দ বিধাতারে!

নিদারূণ তিনি অতি;

নাহি দয়া তব প্রতি;

তেঁই ক্ষুদ্র-কায়া করি সৃজিলা তোমারে|

মলয় বহিলে, হায়,

নতশিরা তুমি তায়,

মধুকর-ভরে তুমি পড় লো ঢলিয়া;

হিমাদ্রি সদৃশ আমি,

বন-বৃক্ষ-কুল-স্বামী,

মেঘলোকে উঠে শির আকাশ ভেদিয়া!

কালাগ্নির মত তপ্ত তপন তাপন,---

আমি কি লো ডরাই কখন?

দূরে রাখি গাভী-দলে,

রাখাল আমার তলে

বিরাম লভয়ে অনুক্ষণ,--

শুন, ধনি, রাজ-কাজ দরিদ্র পালন!

আমার প্রসাদ ভুঞ্জে পথ-গামী জন|

কেহ অন্ন রাঁধি খায়

কেহ পড়ি নিদ্রা যায়

এ রাজ চরণে|

শীতলিয়া মোর ডরে

সদা আসি সেবা করে

মোর অতিথির হেথা আপনি পবন!

মধু-মাখা ফল মোর বিখ্যাত ভুবনে!

তুমি কি তা জান না, ললনে?

দেখ মোর ডাল-রাশি,

কত পাখী বাঁধে আসি

বাসা এ আগারে!

ধন্য মোর জনম সংসারে!

কিন্তু তব দুখ দেখি নিত্য আমি দুখী;

নিন্দ বিধাতায় তুমি, নিন্দ, বিধুমুখি!”

যুদ্ধার্থ গম্ঙীরতার বাণী তব পানে!

সুধা-আশে আসে অলি,

দিলে সুধা যায় চলি,---

কে কোথা কবে গো দুখী সখার মিলনে?

“ক্ষুদ্র-মতি তুমি অতি”

রাগি কহে তরুপতি,

“নাহি কিছু অভিমান? ধিক্ চন্দ্রাননে!”

নীরবিলা তরুরাজ; উড়িল গগনে

যমদূতাকৃতি মেঘ গম্ভীর স্বননে;

আইলেন প্রভঞ্জন,

সিংহনাদ করি ঘন,

যথা ভীম ভীমসেন কৌরব-সমরে|

আইল খাইতে মেঘ দৈত্যকুল রড়ে:

ঐরাবত পিঠে চড়ি

রাগে দাঁত কড়মড়ি,

ছাড়িলেন বজ্র ইন্দ্র কড় কড় কড়ে!

ঊরু ভাঙ্গি কুরুরাজে বধিলা যেমতি

ভীম যোধপতি;

মহাঘাতে মড়মড়ি

রসাল ভূতলে পড়ি,

হায়, বায়ুবলে

হারাইলা আয়ু-সহ দর্প বনস্থলে!

ঊর্দ্দ্বশির যদি তুমি কুল মান ধনে;

করিও না ঘৃণা তবু নীচশির জনে!

এই উপদেশ কবি দিলা এ কৌশলে||


৮. সমাধি-লিপি     


দাঁড়াও, পথিক-বর, জন্ম যদি তব

বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধিস্থলে

(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি

বিরাম) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত

দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!

যশোরে সাগরদাঁড়ী কবতক্ষ-তীরে

জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি

রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী!


[স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিন দিন পরেই কলকাতা জেনারেল হাসপাতালে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পরলোক গমন করেন। তাঁকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড ক্রিশ্চিয়ান সেমেটারিতে সমাহিত করা হয়।তাঁর বিখ্যাত সমাধি-লিপি তিনি নিজেই লিখে গিয়েছিলেন।]


৯. ঈশ্বরী পাটনী 

(চতুর্দশপদী কবিতাবলী)


“সেই ঘাটে খেয়া দেয় ঈশ্বরী পাটনী |”

                 -অন্নদামঙ্গল |


কে তোর তরিতে বসি, ঈশ্বরী পাটনি?

ছলিতে তোরে রে যদি কামিনী কমলে,---

কোথা করী, বাম করে ধরি যারে বলে,

উগরি, গ্রাসিল পুনঃ পূর্ব্বে সুবদনী?

রূপের খনিতে আর আছে কি রে মণি

এর সম? চেয়ে দেখ, পদ-ছায়া-ছলে,--

কনক কমল ফুল্ল এ নদীর জলে---

কোন্ দেবতারে পূজি, পেলি এ রমণী?

কাঠের সেঁউতি তোর, পদ-পরশনে

হইতেছে স্বর্ণময়!এ নব যুবতী---

নহে রে সামান্যা নারী, এই লাগে মনে;

বলে বেয়ে নদী-পারে যা রে শীঘ্রগতি|

মেগে নিস্, পার করে, বর-রূপ ধরে

দেখায়ে ভকতি, শোন্, এ মোর যুকতি!


১০. মেঘনাদ ও বিভিষণ

 ( মেঘনাদবধ কাব্য থেকে, ষষ্ঠ সর্গের অংশবিশেষ )


"এতক্ষণে"--অরিন্দম কহিলা বিষাদে

"জানিনা কেমনে আসি লক্ষণ পশিল

রক্ষঃপুরে! হায়, তাত, উচিত কি তব

একাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,

সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ?--শূলী-শম্ভূনিভ

কুম্ভকর্ণ?ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী?

নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে?

চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?

কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা, গুরুজন তুমি

পিতৃতুল্য|ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে,

পাঠাইব রামানুজে শমন-ভবনে,

লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে|"

   উত্তরিলা বিভীষণ;--"বৃথা এ সাধনা,

ধীমান্!রাঘবদাস আমি; কি প্রকারে

তাঁহার বিপক্ষ কাজ করিব, রক্ষিতে

অনুরোধ?" উত্তরিলা কাতরে রাবণি;--

"হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে!

রাঘবের দাস তুমি? কেমনে ও মুখে

আনিলে ও কথা, তাত, কহ তা দাসেরে!

স্থপিলা বিধুরে বিধি স্থানুর ললাটে;

পড়ি কি ভূতলে শশী যান গড়াগড়ি

ধুলায়? হে রক্ষোরথি, ভুলিলে কেমনে

কে তুমি? জনম তব কোন্ মহাকুলে?

কেবা সে অধম রাম? স্বচ্ছ সরোবরে

করে ফেলি রাজ হংস পঙ্কজ কাননে;

যায় কি সে কভু, পঙ্কিল সলিলে,

শৈবালদলের ধাম? মৃগেন্দ্র কেশরী

কবে, হে বীর-কেশরী, সম্ভাষে শৃগালে

মিত্রভাবে? অজ্ঞ দাস, বিজ্ঞতম তুমি,

অবিদিত নহে কিছু তোমার চরণে|

ক্ষুদ্রমতি নর, শূর, লক্ষণ; নহিলে

অস্ত্রহীন যোধে কি সে সম্বোধে সংগ্রামে?

কহ, মহারথি, একি মহারথিপ্রথা?

নাহি শিশু লঙ্কাপুরে, শুনি না হাসিবে

এ কথা! ছাড়হ পথ; আসিব ফিরিয়া

এখনি! দেখিব আজি, কোন্ দেববলে,

বিমুখে সমরে মোরে সৌমিত্রি কুমতি!

দেব-দৈত্য-নর-রণে, স্বচক্ষে দেখেছ,

রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, পরাক্রম দাসের! কি দেখি

ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে?

নিকুম্ভিলা-যজ্ঞাগারে প্রগল্ ভে  পশিল

দম্ভী; আজ্ঞা কর দাসে, শাস্তি নরাধমে|

তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে

বনবাসী! হে বিধাতঃ, নন্দন-কাননে

ভ্রমে দুরাচার দৈত্য? প্রফুল্ল কমলে

কীটবাস? কহ, তাত, সহিব কেমনে

হেন অপমান আমি,--ভ্রাতৃ পুত্র তব?

তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে?"

   মহামন্ত্রবলে যথা নম্রশিরঃ ফণী,

মলিনবদন লাজে, উত্তরিলা রথী

রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে;--

"নহি দোষী আমি, বত্স; বৃথা ভর্ত্স মোরে

তুমি! নিজ কর্ম দোষে হায় মজাইলা

এ কনক-লঙ্কা রাজা, মজিলা আপনি!

বিরত সতত পাপে দেবকুল; এবে

পাপপূর্ণ লঙ্কা পুরী; প্রলয়ে যেমতি

বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কাল-সলিলে!

রাঘবের পদাশ্রয়ে রক্ষার্থে আশ্রয়ী

তেঁই আমি! পরদোষে কে চাহে মজিতে?"

  রুষিলা বাসবত্রাস! গম্ভীরে যেমতি

নিশীথে অম্বরে মন্দ্রে জীমূতেন্দ্র কোপি,

কহিলা বীরেন্দ্র বলী;--"ধর্মপথগামী,

হে রাক্ষসরাজানুজ, বিখ্যাত জগতে

তুমি;--কোন্ ধর্মমতে, কহ দাসে, শুনি,

জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি,--এ সকলে দিলা

জলাঞ্জলি? শাস্ত্রে বলে, গুণবান্ যদি

পরজন, গুণহীন স্বজন, তথাপি

নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ, পরঃ পরঃ সদা!

এ শিক্ষা হে রক্ষোবর, কোথায় শিখিলে?

কিন্তু বৃথা গঞ্জি তোমা! হেন সহবাসে,

হে পিতৃব্য, বর্বরত কেন না শিখিবে?

গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি|"


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...