এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ইচ্ছেমাফিক নাপা খাওয়ার কুফল। (সচেতনতামূলক পোস্ট) 

 — ইচ্ছেমাফিক নাপা খাওয়ার কুফল। (সচেতনতামূলক পোস্ট) 


আমাদের মাঝে যারা ব্যথা বা হালকা জ্বর হলে নাপা অথবা নাপা এক্সট্রা, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খায়। পোষ্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে শেয়ার করলাম। সবাই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।


চেম্বারে রুগী এসেছে....

আমিঃ জিজ্ঞাসা করলাম, কি সমস্যা?

রোগীঃ স্যার কিডনি ডেমেজ, সেরাম ক্রিয়েটিনিন ১৪, হিমোগ্লোবিন ৮.৪।

আমিঃ কবে থেকে সমস্যা?

রোগীঃ স্যার ১ মাস হলো ধরা পরছে।

আমিঃ ধরেই ১৪ হয়ে গেলো কি করে? আগে টের পান নি?

রোগীঃ না স্যার, বুমী ভাব,পা গুলা ফুলা লাগায় ডাক্তার এর কাছে গেলে , ডাক্তার সেরাম ক্রিয়েটিনিন লেভেল পরীক্ষা করে দেখে ১৪। এটা দেখে ডাক্তার সাহেব বলছে ডায়লাইসিস করার জন্য। 


আমিঃ আচ্ছা আপনি কি কখনো নাপা, নাপা এক্সটা, পেরাসিট্যামল,ব্যাথার ঔষধ অনেক দিন খেয়েছেন?

রোগীঃ জি স্যার, নাপা খাইতাম একটু শরীর খারাপ লাগলেই। 

আমিঃ অ্যাহ্, কি ক্ষতিটাই না করলেন। কে বলছে আপনাকে কথায় কথায় নাপা, নাপা এক্ট্রা খাইতে?

রোগীঃ স্যার, এগুলাতো অনেকেই খায়। তাই আমিও খাইতাম।

আমিঃ আমি আমার এইটুকু বয়সে যতো রুগী দেখেছি তার মধ্যে ৭০% কিডনী ডেমেজ এর রোগী এবং এই সকল কিডনি রোগীদের মধ্যে ৭০-৮০% হয় কিছু দিন ব্যাথার ঔষধ খেয়েছে , না হয় নাপা, নাপা এক্সট্রা , প্যারাসিটামল খেয়েছে , না হয় এলার্জির ঔষধ দীর্ঘ  দিন খেয়েছে।

রোগীঃ আগে জানলে কি আর খাইতাম? স্যার এই কথা বলার মানুষ পাই নাই, তাই জানতাম ও না।


‘সময় থাকতে বুঝলে ভালো, না হয় যখন বুঝবেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে’।


লেখা- Dr. Syed Golam Gous Ashrafi (কপি)

ঘরের_নরপশু পর্বঃ০১  ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাবা, মাহিন চাচ্চু আমার হি*সু করার জায়গাতে খুব ব্যথা দেয় আর চাচ্চু যেটা দিয়ে হি*সু করে ওটা আমাকে ধরতে বলে। চাচ্চু এত্তো পঁচা কেন বাবা? বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছিলাম এমন সময় আমার পাঁচ বছরের মেয়ে সামিয়া কোন ভূমিকা ছাড়াই উপরের কথাগুলো বললো। আমি ল্যাপটপ থেকে মুখ ফিরিয়ে অবাক নয়নে আমার বাচ্চা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি। ও এসব কী বলছে? এতোটুকু বাচ্চার মুখেতো কখনো মিথ্যা আসার প্রশ্নই ওঠেনা। নিজের মেয়ের মুখে ছোট ভাইয়ের ব্যপারে এরকম অ'শ্লীল কর্মকান্ডের কথা শুনে আমার শরীরটা মুহূর্তেই ঘামে ভিজে চুপ চুপ করছে। আমি নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রেখে সামিয়াকে কাছে টেনে নিয়ে বললাম, 

 -আচ্ছা মামনী এগুলো তোমার আম্মুকে বলবা না। তোমার চাচ্চুকে আমি খুব করে মে'রে দিবো ঠিক আছে? 

 আমার মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে বললো, 

 -আচ্ছা বাবা। 

 -আর শোনো তোমার চাচ্চুর কাছে আর কখনো যাবে না ঠিক আছে? 

 -আচ্ছা। 

 এই বলে মেয়েটি দৌড়ে পাশের ফ্ল্যাটের মেয়েটির সাথে খেলতে চলে গেল। আমি এখনো নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিনা। ছিহ. মাহিন শেষ পর্যন্ত নিজের এতোটুকু ভাতিজির সাথে? এসব কথা যদি আমার স্ত্রী তামান্না জানতে পারে তবে খবরটি গ্রামের বাবা মায়ের কাছে পৌছে দিতে একটুও সময় নিবেনা। আজ রাতে যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী বললো, 

 -শোনো তোমাকে একটি কথা বলতাম কিছু মনে করবেনাতো? 

 -না বলো। 

 -আসলে মাহিনের কাজগুলো আমার কাছে কেমন যেনো ভালো লাগছে না। 

 -কেনো কী হয়েছে? 

 -আসলে কীভাবে যে বলি তুমি বিশ্বাস করবে কীনা জানিনা। 

 -এতো তালবাহানা না করে বলে ফেলো। 

 -আসলে বিকালে যখন শুকানো কাপর ছাদ থেকে আনতে যাই তখন মাহিনকে দেখি আমার সেলোয়ার আর ব্রা নাকে নিয়ে গন্ধ শুঁকছে। 

 তামান্নার কথা শুনে আমি শোয়া থেকে বসে পরলাম। একদিকে তামান্না অন্যদিকে সামিয়া। আমি কী করবো কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা। দুদিন পর হঠাৎই পাশের বাসার মেয়েটি নিখোজ হয়, মেয়েটি সামিয়ার সমবয়সী ছিল। হঠাৎ এভাবে মেয়েটির নিখোজ হওয়ায় আশেপাশের মানুষ সবাই অবাক হয় কেননা মেয়েটি বাহিরে কখনো বের হতোনা। সর্বোচ্চ আমাদের বাসায় এসে সামিয়ার সাথে খেলাধুলা করতো। আমার সামিয়ার মতোই মেয়েটিও ওর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই তাদের কষ্টটা চোখে পরার মতো। এলাকার মানুষের ধারণা কল্লা কাটারা ধরে নিয়ে গেছে। 


পুলিশ অনেক খোজাখুজি করার পরেও কোন সূত্র পেলো না।

 আমার স্ত্রী তামান্না এহেন ঘটনায় সামিয়াকে একদম আগলে রাখছে।


 এমনকি ওয়াশরুমে গেলেও সাথে করে নিয়ে যায়। এদিকে মাহিনের ঘটনা আমি প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। 


আরো দুদিন পার হয়ে গেলো মেয়েটির কোন খোজ পাওয়া গেলনা। মাহিন আজ হঠাৎই বলে,


 ভাইয়া এখানে আর ভালো লাগছে না। কাল বাড়িতে চলে যাবো। আচ্ছা ঠিক আছে। 

 এতোদিন মাহিন কখনো বাড়িতে যাওয়ার নাম তুলেনি কিন্তু আজ কেন বললো?


 আমি চিন্তা করলাম থাক চলে গেলেই ভালো ও থাকলে আমার আরো সমস্যা। বিকালে বারান্দায় বসে আছি সামিয়াকে কোলে নিয়ে এমন সময় সামিয়া বললো, বাবা মাহিন চাচ্চু নাহ রুমিকে ক'ল্লা কা'টাদের কাছে দিয়ে এসেছে। সামিয়ার কথায় আমি হন্তদন্ত হয়ে প্রশ্ন করলাম, তুমি কীভাবে দেখলে আম্মু?


 ঐদিন মাহিন চাচ্চু রুমিকে চকলেট দিয়ে কোথায় যেনো নিয়ে যায়, চাচ্চু আমাকে চকলেট দেয়নি। আমার এতোটুকু চালাক মেয়ের প্রতিটি কথা যেনো তীরের মতো আমার কানে এসে বিঁধছে। আমার কাছে এই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেলো যে মাহিন কেন বাড়িতে যেতে চায়? তবুও সন্দেহের বসে এসব করা ঠিক হবেনা। তাই সুযোগ বুঝে মাহিনের অনুপস্থিতিতে ওর রুমে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করতে লাগলাম যে কিছু পাওয়া যায় কীনা? 


 হঠাৎ বিছানাটা উল্টাতেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। একি এতো ক'ন'ড'মের প্যাকেট এগুলো দিয়ে ও কী করে? ক'ন'ডম প্যাকেটের পাশেই চোখ পরতে একটি ছোট কানের দুল দেখলাম। হ্যাঁ কানের দুলটি আর কারো নয় বরং পাশের ফ্ল্যাটের রুমি মেয়েটির। আমার এক মুহূর্ত বুঝতে বাকী রইল না যে রুমির নিখোজ হওয়ার ব্যাপারে একমাত্র আমার ছোট ভাই মাহিনই দায়ী।

আমি কিছু বলিনি মাহিন কে,এই বিষয়ে,

আজকাল মাহিন কেমন আজব আচরণ,

করে, আমি তেমন পাত্তা দিলাম না কিন্তু,

মাহিন এই কাজ করছে আমার বিশ্বাস হয় না।

কিছু দিন পর একটা লা'শ পাওয়া যায় এক নদীতে, পুলিশ সুপার জানায় এটা রুমি মেয়েটার লা'শ, তাদের মা বাবা অনেক

কান্না করে এর বিচার চায়, রুমির লা'শ দেখে আমি নিজেই ভয়ে কাঁপতে লাগলাম।

এই ভাবে চলে গেলো কিছু দিন,


এক দিন আমি আর তামান্না একটা কাজের জন্য বাইরে গেলাম, বাসায় সামিয়া আর মাহি একা, রেখে গেলাম,


আস্তে প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেলো ‌,

বাসায় গিয়ে আমি যা দেখলাম এটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, তামান্না জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,,,,,,

চলবে,,,,,,,


ঘরের_নরপশু

পর্বঃ০১ 

নেক্সট পার্ট গুলো সবার আগে নতুন পেজে দেয়া হবে নীল লেখায় চাপ  দিয়ে সবাই নতুন পেজ ফলো করুন 👉 শুন্য-𝐂𝐡𝐢𝐫𝐤𝐮𝐭

তোহা ভাবী তার ব্লা*'উ*জের বোতাম খুলতে খুলতে বললেন

 তোহা ভাবী তার ব্লা*'উ*জের বোতাম খুলতে খুলতে বললেন


" এখন তোর সাথে যা করবো তাতে চুপচাপ সায় দিবি,বুঝলি? 


তোহা ভাবীর কথায় ঘাবড়ে গিয়ে বললাম " ভাবী তুমি আমার সাথে এসব কি করতে চাচ্ছো? আমি তো তোমার দেবর হই  "


" তাতে কি?দেবর জন্যই তো তোর সাথে করবো।এখন কোনো বাড়তি কথা না,দেখবি এমন সুখ দিবো যে..."


একথা বলে তোহা ভাবী আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।আমাদের কারোর শরীরে এতটুকুও কাপর নেই।ড্রিমলাইটে ভাবীর সুঠাম বক্ষ আমার দৃষ্টিগোচর হলো।তোহা ভাবী হিংস্র হায়েনার মতো আমার ঠোঁ'টে ঠোঁ'ট স্পর্শ করে কিস করলে লাগলেন। তারপর বেশ খানিক্ষন আমি নিষিদ্ধ এক পৈশাচিক আনন্দ মেতে উঠলাম।


সবশেষে তোহা ভাবী বললো " বাহ্,যতটা ভেবেছিলাম তার থেকে দেখছি কয়েক ধাপ উপরে উঠে গেছিস তুই।এইটুকু বয়সেই খুব পেকে গেছিস "


আমি কিছুটা লজ্জায়,ভয়ে বললাম " ভাবী কেউ যদি জানতে পারে এইসবের তাহলে তো.... "


ভাবী আমার ঠোঁ'টে নখ রেখে কথা থামিয়ে বললেন " কেউ কিচ্ছু টের পাবে না "


" আর বাবা মা যদি জানতে পারে.. "


" এইসব আবেগি কথা রাখ তো।তোর বাবা-মায়ের জন্যই আজ আমার এই অবস্থা। তবে মনে হচ্ছে এখন থেকে আমার সেই দুঃখের দিন শেষ হলো "


" মানে? "


" এতো মানে জানতে হবে না তোকে।সময় হলে ঠিকি জানতে পারবি "


একথা বলে তোহা ভাবী বু'কের উপর শাড়ির আঁচলটা কোনোরকমে রেখে বেড়িয়ে গেলেন।আমি দরজা লাগানোর জন্য দরজার কাছে যেতেই তোহা ভাবী আবার এসে বললেন 


" বলতে ভুলে গেছি,আজ রাতে রেডি থাকবি বুঝলি? দুইটার দিকে আসবো "


এতটুকু বলে আমার ঠোঁ'টে খুব গাঢ় একটা চু'মু একে দিয়ে চলে গেলেন।আমি দরজা চাপিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার শেষ করলাম।বিছানার শুয়ে ফোনটা হাতে নিতেই অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসলো


" খুব বড় ভুল করে ফেললে মি.জায়ান।তুমি বুঝতেও পারছো না তোমার আড়ালে কত বড় চক্রান্ত চলছে "


আমার বু'ক ছ্যাত করে উঠলো।তড়িঘড়ি করে রিপ্লাই দিলাম 


" কে আপনি?আর কি ভুল করেছি আমি? "


সাথে সাথে সিন হয়ে রিপ্লাই আসলো " ল্যাপটপের সামনে যাও "


লেপটপের সামনে যেতেই আপনাআপনি একটা ভিডিও চালু হয়ে গেলো,সেখানে তোহা ভাবী আর আমার কর্মকান্ড স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।কিভাবে সম্ভব এটা? ল্যাপটপ আপনাআপনি কিভাবে ভিডিও রেকর্ড করলো?


তবে কি কেউ লুকিয়ে আমার ঘরে নজর রাখছে?শেষ রাতটুকু আমি ছটফট করে কাটালাম।ছয়টার দিক নিচে জল খেতে গিয়ে দেখি তোহা ভাবী চা বানাচ্ছেন।আমি কাছে গিয়ে বললাম 


" তুমি ঘুমাবে কখন? "


ভাবী ব্যাস্ত ভঙ্গিতে বললো " ঘুমাবো মানে? উঠলাম ই তো মাত্র।কি ভুলভাল বকছিস? "


আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিলো।হতভম্ব হয়ে বললাম " তুমি রাতে ঘুমিয়েছিলে? "


" রাতে মানুষ ঘুম ছাড়া কি করে? "


" আমাদের মধ্যে যেসব হলো সেগুলো কি তাহলে? "


" যেগুলো মানে?কি হয়েছে আমাদের মধ্যে? "


আমি কিছু না বলে সোজা ঘরে এসে ফ্লোরে বসে পড়লাম।রাতে তোহা ভাবী আমার সাথে এইসব করে এখন পুরোপুরি অস্বীকার কেন যাচ্ছে?রাতে তার মানে ওইটা তোহা ভাবী ছিলো না?তাহলে কে ছিলো?এর রহস্য কি?


চলবে?


নিশি_আমার_তুই_🌼

পর্ব_১

জ্বীনের তাল পত্র? ,, পারসোনাল সোসাইটি ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জ্বীনের তাল পত্র?? 


নবাবপুর তখনো আজকের মতনই জমজমাট!! 


প্রতিটা রন্ধে রন্ধে খালি টাকা!


কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতো দিনে!

অবশ্য এখন প্রতি মিনিটেই কোটি টাকার লেনদেন হয়!


ননবেঙ্গলী একজন উঠতি বয়সী লোক সবকিছু ছেড়ে বিক্রি করে নবাবপুরে এসে একটি খুপরি দোকানে উঠেছেন!


এই দোকানই তার সবকিছু! 


এখানেই থাকেন, খাওয়া দাওয়া করেন।সমস্যা হয় প্রাকৃতিক সাড়া দেয়ার কাজে!


সেটারো ব্যবস্থা আছে বটে।তবে সেটা পাশের মার্কেটে!চাইলেই যাওয়া আসা করা যায় না।তবে কাজ চলে যা!


তারকাঁটার ব্যবসা করেন।এখানে ব্যবসা হয় ঘড়ি ধরে!


ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু সাথে শুরু হয় ব্যবসা ব্যাংক লেনদেন বন্ধ ব্যবসাও বন্ধ!


এখনো নবাবপুরের আদর্শ ব্যবসায়ী বলতে যা বুঝায় বেলাল সেটা হননি।


তার ক্যাপাসিটি কম তাই দিনে হাজার বারোশ পর্যন্ত ব্যবসা হয়!


এতেই তার চলে যায়।প্রতি ওয়াক্ত নামাজ একদম নিয়ম মেনে আদায় করেন।আজান দেয়া মানেই তার কার্যক্রম জামাত আদায় করা পর্যন্ত স্থগিত থাকে


রাত্রে দোকানেই যেহেতু থাকেন সেখানেই তাহাজ্জুদ কুরআন পাঠ করেন


এভাবেই তার দিন চলে যাচ্ছিলো!! 


এদিকে ২০১২ সালের ঘটনা।আমি ঘটনাক্রমে সেই ব্যবসায়ীর দোকানের পাশে দাড়িয়ে একটা ফ্রেম দেখে থমকে দাড়াই


তখন নবাবপুর তথা দেশের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে উনি ১০০ জনে থাকবেনই!


তো ফ্রেম দেখে অবাক হয়েছিলাম।সেই ফ্রেমে বাঁধানো আছে কোন গাছের পাতা!


পাতায় কিছু পোকামাকড় সাদৃশ্য কিছু লেখা ছিলো!


দোকানে গেলে আপনি যত টাকারই মাল কিনেন না ক্যান?


সেই ফ্রেম বরাবর দাড়াতে পারবেন না।তারাই সরিয়ে দিবে!


তো যাইহোক পুরোনো ঘটনায় যাই।একদিনের কথা।বেলাল তাহাজ্জুদ পড়ে দোকানের বাইরে এসে দাড়ালেন


লোডশেডিং চলছে।ভেতরে ভালো গরম!


বাধ্য হয়ে বাইরে আসা।আজকে মনে হচ্ছে ফজর পড়েই ঘুমাতে হবে।কে জানে এর মধ্যে কারেন্ট আসবে কি না!


হঠাৎ ধরাম করে কিছু একটা পড়লো!


পড়েই সেটা মাটিতে বাউন্স করেই একদম বেলাল এর দোকানে ঢুকে গেল!


দ্রুত চার্জার লাইট নিয়ে ভেতরে ঢুকে জিনিসটা খুঁজে পেলেন


একটা তালপাতার হাতপাখার মতন জিনিস।পুরো পাতায় আঁকা বুকি করা!


জাদুটোনা??


তাকে ঘায়েল করার কেউই নাই।এখানে উনি ভীনদেশী! 


একটা উঁচু জায়গায় রেখে দিতেই কারেন্ট চলে আসলো


সেদিনই উনার ফজর নামাজ মিস হলো


অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখলেন তার দোকানের বাইরে একটা অদ্ভুত প্রানী দাড়িয়ে আছে!


সে দোকানে ঢোকার জন্য হাজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে! 


সকালে কাজের ব্যস্ততায় সেই তালপাতার কথাই মনে রইলো না


কাজ কর্ম শেষ করে দোকানে গা এলিয়ে দিতেই মনে পড়লো তালপাতার কথা!


অদ্ভুত লেখা সব।কি আছে এখানে??


কোন নিশি পাখি নিয়ে যাচ্ছিলো??


তার ঠোঁট ফসকে পড়ে গেছে??


সেটা খুবই যত্নে রাখলেন।চাইলেই ফেলে দিতে পারতেন


সেদিনই স্বপ্ন দেখলেন সেই অচেনা প্রানী দলবদ্ধ হয়ে এসেছে!


তারাও নানান চেষ্টা করছে দোকানে ঢোকার!


অনেকদিন কেটেছে। তালপাতার কিছু ব্যপার তাকে ভাবাচ্ছে!


সেটা যেখানেই রাখেন না ক্যান??জায়গা মতন পাওয়া যায় না!


অবশ্য রাত্রে রাখা জায়গায় ঠিক থাকে। আর প্রতি রাত্রে সেই একই রকম স্বপ্ন! 


অচেনা প্রানী হয়ে দাড়ায় থাকে।যেন তারা দোকান খোলার অপেক্ষায় থাকে!


ব্যবসা হু হু করে বাড়তেই থাকলো!


ব্যস্ততা শেষে সময় পাওয়া যায় না।তবু আমল এদিক-সেদিক করেন নি!


বছর শেষ হতে না হতেই বেলাল দুটো দোকান একটি বিশাল গোডাউন এর মালিক হলেন


পরের বছর কিনলেন তিনতলা রেডিমেড একটি বাড়ি


স্থির করলেন হজ্বে যাওয়ার।


একদম শেষদিকে সেই তালপাতার দিকে চোখ গেল


কি মনে করে সাথে নিলেন!


তার বিখ্যাত একটি ইউনিভার্সিটি তে যাওয়ার কথা। আপন ভাগ্নে সেখানে চান্স পেয়ে পড়াশোনা করে!


তাকে আলাদা দাওয়াত দিয়ে রেখেছে!


যাইহোক হজ্ব এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গেলেন ভাগ্নের কাছে!


তার কাছে আসার একটাই মতলব তালপাতা দেখানো এবং প্রতিদিন দেখা স্বপ্নের ব্যখা জানা!


পৃথিবীর বিখ্যাত ইসলামি ইউনিভার্সিটি বলে কথা!


ভাগ্নে মেহমানদারির চূড়ান্ত করলো।


তার জন্যই এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে বলেই বিগলিত হচ্ছে ভাগ্নে


তার তালপাতা নিয়ে একজন অধ্যাপক এর নিকটে গেল


ভাগ্নে আগেই নাকি তার অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করেছিলো।উনিই সব নিয়ে দেখা করতে বললেন!


অধ্যাপক বেলালের চেয়ে বেশি আগ্রহী হলেন তার কাছে রাখা সেই তালপাতার দিকে!


উনি বলতে গেলে ছিনিয়ে নিলেন!


চোখ বড়বড় করে দেখলেন আর নিজের ভাষায় কি সব বলতে লাগলেন!


ভদ্রলোক মিশরীয়! 


আল আজহার ইউনিভার্সিটির সাবেক প্রভাষক! 


এবার তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন "এইটা তালপত্র।প্রাচীনকাল এর নানান পত্র এখানে লিখা হতো।তখনকার খাতা নোটবুক! 


এটা সাধারণ কোন তালপত্র নয়।এটা জ্বীনের কিতাব!


এখানে তাদের জন্য কোন দিক নির্দেশনা অথবা বিধিনিষেধ লেখা আছে!


প্রয়োজনীয় কিছু অবশ্যই আছে!


এটা কোন জ্বীনে কাছ থেকেই ছিটকে পড়েছে সোজা তোমার দোকানে। তুমি স্পর্শ করায় তারা এটা আর গ্রহন করতে পারছে না।এদিকে এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ 


তারা তোমার রেখে দেয়া জায়গা থেকেই পাঠ করে।


তোমার প্রতি তারা কৃতজ্ঞ তুমি ফেলে দাও নি।অথবা নষ্ট করে ফেলো নাই


তারা এসে তোমার এখানে সেটা দেখে এবং পাঠ করে!


তুমি এটা স্বযত্নে একটি জায়গায় রেখে দিও।তারা তোমাকে স্বপ্নে জ্বালাবে না 


এইটা করলেই হবে! 

তোমার সমস্যা শেষ হবে!


বেলাল এসে সেই থেকে দোকানের সামনে তালপত্র সংরক্ষণ করে রেখে দিলেন!


তার স্বপ্ন দেখা শেষ হলো!


ঘটনায় লিখা নাম,ঠিকানা,ব্যক্তি কাল্পনিক! 


বাকি ঘটনা বিশ্বাস না করলেও সত্যি!!

ঘটনা প্রায় 4000 বছর আগের । বিষয় মিশরের পিরামিড

 [ঘটনা প্রায় 4000 বছর আগের । বিষয় মিশরের পিরামিড ]


আমি যা লিখেছি তা পড়তে আপনার সময় লাগবে কয়েক মিনিট ।‌ অথচ গত কয়েকদিন অনেকগুলো ঘন্টা আমাকে ব্যয় করতে হয়েছে এতটুকু লেখার জন্য । আমার ছোট মেয়েটার অনেক দিনের কান্না এই লেখার সাথে জড়িত, তাকে অনেকবার আমার সঙ্গ না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে । 


পিরামিড নিয়ে অনেক আগে পড়েছিলাম,  কিছু লেখা হয়নি তখন । রকমারি এর সোহাগ ভাইয়ের সাক্ষাৎকারে তার নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে ওঠার পেছনে যে কারণগুলো ছিল তার একটা ছিল পিরামিড, যা তার মাঝে চিন্তার খোরাক জুগিয়ে ছিল ‌। আমার লেখার উদ্দেশ্যে তাই, যদি আরো কারো চিন্তার খোরাক হয় ।


একটা পিরামিডে ব্যবহার হয়েছে প্রায় 23 লাখ লাইম স্টোন ব্লকস । একেকটা ব্লকের ওজন ৫০ থেকে ৭০ টন ।‌ অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ টা পাঁচ টনী ট্রাক লাগবে এক একটা স্টোন বহন করতে । আর এ স্টোনগুলা আনা হয়েছে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে তোরা নামক স্থান থেকে । অর্থাৎ ৫০/৭০ টনের এক একটা লাইম স্টোন ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে আনা হয়েছে, আর এরকম স্টোন ২৩ লাখ, তাও আবার একটা পিরামিডের জন্য ।


এত গেল টেনে আনার কথা, এবার এগুলো উপরে উঠানো নিয়ে বলি । একটা পিরামিড প্রায় 480 ফিট উচূ । এর থেকে নিচুও আছে ।

আমরা দাবি করি মানব সভ্যতায় আমরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছি । আমাদের অত্যাধুনিক ক্রেণগুলো, সর্বোচ্চ 20 টন ওঠাতে পারে । তাহলে 4000 বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়ারা কি দিয়ে ৭০ টনের একটা ব্লক উঠালো, তাও আবার 480 ফিট উপরে ? আর শুধু কি উঠিয়েছে ? গাণিতিক আর জ্যামিতিক নিয়ম মেনে একেবারে নিখুঁতভাবে একটার পর একটা বসিয়েছে ।


আর এই পাথরগুলো লাইমস্টোন বলা হলেও এগুলো তা থেকে আলাদা কিছু । এবং এরকম পাথর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই । এবং এগুলো ভীষণ শক্ত । কতটা শক্ত ধারণা করতে পারেন ? একটা ধারণা দেই, দ্বাদশ শতকে সুলতান আল আজিজ পিরামিড ধ্বংস করতে আসেন । ১০০০ সৈনিক ৮ মাস চেষ্টার পর মাত্র দুটো পাথর পিরামিড থেকে খসাতে পেরেছিল । পিরামিডের গায়ে খসে যাওয়া দুটো পাথরের ওই গর্ত এখনো বিদ্যমান । সুলতানা আর সাহস না করে রাজপ্রাসাদে আরামের জন্য চলে গেলেন ।


এবার আসেন ওরিয়েন্ট কোরিলেশন থিউরিতে । মিশরীয়রা  তিন তারকাকে দেবতা মানতো । এই তিনটা তারার নাম হল Almitak, Alnilam, Mintaka । তারা যে দেবতার পুজো করতো তার নাম ছিল ওয়াইরিশ । সে ছিল মৃত্যু আর জন্মের দেবতা । তাদের ধারণা ছিল তাদের এই দেবতা এই তিন তারকায় বসবাস করত । বড় তিনটার পিরামিড নিয়ে আমরা কথা বলছি। যেগুলো রাতে এ তিনটা তারার সাথে এদের মাথা নিখুঁতভাবে এলাইন করা । যেন উপর থেকে কেউ আকাশের তারার সাথে সমন্বয় করে নিখুঁতভাবে অ্যালাইন করে মাটিতে তিনটি পিরামিড বসিয়েছে । যেটা এরিয়েল ভিউ ছাড়া অসম্ভব ‌। আর তা কিভাবে সম্ভব এরোপ্লেন উড়োজাহাজ আর স্যাটেলাইট তো এ যুগের গল্প । শুধু পিরামিডের মাথা নয়, পিরামিডের ভিতরে যে তিনটি চেম্বার (কিংস চেম্বার, কুইন্স চেম্বার, বেজ চেম্বার ) আছে, ওই চেম্বার থেকে সুরঙ্গ গুলো বাহিরের দিকে আসার যে পথ, সে পথ এই তিনটি তারকার সাথে এলাইন করা । 


এতে এত বেশি সুরঙ্গ আর অ্যাঙ্গেল আছে যে সবগুলো সুরঙ্গ এখনো  বের করা সম্ভব হয়নি । আবার সুরঙ্গের ভেতরে আছে গ্রানাইটের চত্বর । অধিকাংশের মত এটা মমি রাখার স্থান । যদিও কোন পিরামিডের ভিতরেই কোন মমি পাওয়া যায়নি । যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা হলো এগুলো হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল । আর গ্রানাইটের এত বড় স্কয়ার বার  কিভাবে এত চিকন সুরঙ্গ দিয়ে সেখানে পৌঁছানো হলো । আর এই গ্রানাইট এত নিখুঁতভাবে কিভাবে কাটা সম্ভব হল আজ থেকে চার হাজার বছর আগে, আমাদের এই  অত্যাধুনিক যুগের লেজার কাটার ছিল না তখন । অথচ গ্রানাইট পৃথিবীতে ডায়মন্ডের পরে সবচাইতে শক্ত পদার্থ ।


আর সুরঙ্গের ভেতরের সুরঙ্গ খুঁজতে গিয়ে আরেক মজার কাহিনী , রিমোট কন্ট্রোল ক্যামেরা আর অত্যাধুনিক গ্রিল দিয়ে সুরঙ্গ ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে একটা সময় ক্যামেরা কোন কারণ ছাড়াই অফ হয়ে যায় । মিশরীয় গভর্নমেন্ট এরপর এই প্রজেক্ট বন্ধ ঘোষণা করে । পিরামিডের রহস্যময় সব সুরঙ্গ আবিষ্কার এখনো অধরাই রয়ে আছে ।


জেনে অবাক হবেন পিরামিড গুলো যেখানে গড়ে উঠেছে এ স্থানগুলো পৃথিবীর একেবারে মধ্যভাগে অবস্থিত ।

কম্পাস আবিষ্কার হয়নি তখনও, তখনও মানুষ জানতো না পৃথিবীর গোল, কেউ কেউ বলতো পৃথিবী চ্যাপ্টা । মানুষ পথ চলতো তারকা ধরে ।‌ কিভাবে একেবারে হিসাব করে পৃথিবীর মাঝখানে পিরামিড বসলো , তাও আবার নর্থপোলকে তাক করে । আর এত ভারী পিরামিড বসানোর জন্য প্রয়োজন ছিল খুব শক্ত ভুমির এবং পৃথিবীর ওই জায়গাটাই সবচেয়ে শক্ত ।

এবং ওই জায়গাটা একেবারেই সমতল । আপনি পানি ঢাললে সর্বত্র পানি সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়বে । আর সমতল না হলে অত ভারী পিরামিড এত বছর ধরে এত ঝড় ঝাপটা ভূমিকম্পে এত বছর ধরে বসে থাকবে কেন । 


সমালোচকরা বলবে এগুলো এমনি এমনি হয়েছে । আচ্ছা এ প্রশ্নের জবাব কিভাবে দিবেন ? আমরা জানি একুশে জুন পৃথিবীতে দিন সবচেয়ে বড় আর রাত সবচেয়ে ছোট । এই দিন বিকেল বেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সূর্যের অবস্থান হয় দুই পিরামিডের মাঝামাঝি, সেখানে অবস্থিত তাদের স্ফিংস দেবতা, ঠিক মাথার উপরে । আর স্ফিংসতো আরেক আশ্চর্য ব্যাপার, এত বড় একটা মূর্তি একটা পাথরে তৈরি, যা পৃথিবীর আশ্চর্যতম মূর্তিগুলোর একটি ।


পিরামিড তৈরি হয়েছে অধুনা আবিষ্কৃত বল এবং সকেট থিওরি ধরে । তার মানে হল তাপের সাথে বস্তু যেমন বেড়ে যায় এটা তা না ,পিরামিড তাপ বিস্তার প্রতিরোধ করে, গরমে তা বাড়ে না । আর পিরামিডে রয়েছে শক প্রুফ টেকনোলজি । আজকের অত্যাধুনিক যুগের ভূমিকম্পেও ভাঙবে না এরকম অত্যাধুনিক বাড়ির মত । আমরা কিন্তু ঘটনা বলছি ৪০০০ বছর আগের । আমাদের মত তারা অত্যাধুনিক ছিল না ! যারা অত্যাধুনিক ছিল আমাদের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি । হিসাব তাই বলে ।


পিরামিড গড়ে উঠেছিল 20 বছরে 20000 শ্রমিকের পরিশ্রমে । 481 ফুট মানে ৪৮ তলা বিল্ডিং এর সমান । আর ওজন ৬০ লক্ষ টন, যা প্রায় বারোটা বুর্জ খলিফার সমান । এর প্রত্যেকটা কর্নার ৫১.৫° অ্যাঙ্গেল ধরে করা । আর ৫০ থেকে ৭০ টন এক একটা পাথর আনা হয়েছে দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে । ব্যবহার করা হয়েছে দড়ি, কাট, নৌকা আর শ্রম বল ।  তাহলে যদি ২০ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক একটা পিরামিড তৈরি করে তাহলে অত দূর থেকে অত ভারী ওজনের একটা পাথর এনে, মাটি থেকে ৪২১ ফিট উঠাতে এবং জায়গামতো নিখুঁতভাবে বসাতে তারা সময় নিয়েছে দেড় মিনিট ‌। নূন্যতম বুদ্ধিসম্পন্ন নিরক্ষর মানুষও বলবে এটা তো অসম্ভব । তাহলে কি বলবেন মানবজাতির ইতিহাসে আমরাই সেরা ? নাকি আমাদের চেয়েও সেরা কেউ ছিল ।


কেউ কেউ বলে তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল এলিয়েনদের । সে ধারণাকেও মিথ্যে করে দেয় পিরামিডের ভেতরে সুরঙ্গ আর চেম্বারে পড়ে থাকা মানুষের কঙ্কাল । ধারণা করা হয় এগুলো সেই শ্রমিকদের কঙ্কাল যারা পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে মারা যায় । এবং কংকালে আঘাতের চিহ্ন আছে অর্থাৎ পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে তারা ব্যাথা দিয়েছিল এবং তার চিকিৎসা করা হয়েছিল । গবেষণায় তাই উঠে এসেছে ।


মিশরে একটা অদ্ভুত টেম্পল আছে যার নাম ডেন্ডারা লাইট । এখানে রয়েছে অত্যাশ্চর্য আর অদ্ভুত সব কিছু । একটাও উদাহরণ দেই, সেখানে দেয়ালে আঁকা রয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্বের চিত্র । আজ থেকে চার হাজার বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়া অশিক্ষিতরা বিদ্যুতের ব্যবহার জানতো !!!


পিরামিড নিয়ে লেখা শেষ হবে না । আর একটা মজার তথ্য দিয়ে শেষ করছি । পিরামিডের ভেতরটা পুরোটাই এসি, কোন প্রকার এয়ারকন্ডিশন মেশিন ছাড়াই । পিরামিডের দাঁড়িয়ে আছে, উত্তপ্ত মরুভূমির উপরে । এমন ভাবে তৈরি করা, ওখানে বাতাসের এমনভাবে আনাগোনা যে তার ভিতরে সব সময় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী থাকে । যা সব চাইতে আরামদায়ক তাপমাত্রা ।


.


আমাদের চেয়েও সেরা জাতি পৃথিবীতে এসেছিল , সেটা বলেছেন আমাদের রব পবিত্র কোরআনে ।


যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি ‌। (সূরা ফজর : ০৮)

.


এ পিরামিড তাদের গল্প, যাদের কথা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন :  ফেরাউন এবং মুসা আঃ ।


পিরামিড অক্ষত হয়ে আজব আর আশ্চর্য  বিষয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজো । আর  ফেরাউনও শায়িত আছে সেখানে, খুবই যত্নের সাথে সুরক্ষা নিয়ে ।


ফেরাউন রয়ে যাবে দৃষ্টান্ত হয়ে এমনটাই বলেছেন আমাদের রব,


‘আজ আমি তোমার দেহকে (বিনষ্ট হওয়া থেকে) বাঁচিয়ে দিলাম, যাতে তুমি পরবর্তীকালের মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারো। আর নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন ’ । (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)


#BCSআইকন


#history #sorotan #science #old

ছবি একটা আধুনিক ভবনেরর

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ - ০৩-০২-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ - ০৩-০২-২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে একটি ‘কমান্ড সেন্টার’ তৈরির নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নিতে কুয়েতের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান।

টেকসই ও ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছাতে তিতুমীর কলেজের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

জুলাই আগস্টের গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটানোর পর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করুক মানুষ তা চায় না –-- বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

যথাযথ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপিত --– মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ঢল।

টানা চার মাস ধরে দেশে মাসিক রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি --- রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে প্রকাশ।

কানাডা, মেক্সিকো এবং চায়নার পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এবং ঢাকায় বিপিএল ক্রিকেটে এলিমেনিটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের জয়- ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি চিটাগং কিংস ও ফরচুন বরিশাল।

মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

 #মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর


সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার যাবতীয় কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করে। দিবা শাখার একটি স্কুলেও সে পড়ে। পড়ালেখায় সে পিছিয়ে নেই। শুধু প্রকৃতির কোনো কিছুর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠেনি; সে সময়ই বা তার কোথায়? তার নিজের জীবন আর কাজ নিয়েই সে ব্যস্ত। প্রকৃতিতে নয়, নিজের কাজেই সে শান্তি খুঁজে পায়। বন্যা তার কাজ দিয়ে, কথা দিয়ে মিসেস সালমাকে এমন করে নিয়েছে যে মিসেস সালমাও বন্যাকে পরিবারের অন্য সদস্যের মতোই মনে করে।


ক. মিনু কার বাড়িতে থাকত?

খ. ষষ্ঠ ইন্দ্ৰিয় বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়— তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘বন্যার শিক্ষা ছিল প্রাতিষ্ঠানিক, আর প্রকৃতি হচ্ছে মিনুর পাঠশালা’– কথাটি বিশ্লেষণ করো।


প্রশ্নের উত্তর

ক মিনু দূরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে থাকত।


খ. ষষ্ঠ ইন্দ্ৰিয় বলতে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরে একটি বিশেষ দিক অর্থাৎ মনকে বোঝানো হয়েছে।

প্রত্যেক মানুষেরই পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে। লেখক এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরে মানুষের ভেতরে এক প্রকার অদৃশ্য অনুভূতির কথা বলেছেন। সে অনুভূতির উৎস হলো মানুষের মন বা হৃদয়। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলতে এই মনকেই বোঝানো হয়েছে।


গ. শারীরিক অক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থার বিচারে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

‘মিনু’ গল্পের মিনু বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে। বাবা-মা না থাকায় দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় থাকে। সে বাড়ির সকল কাজ মনোযোগ দিয়ে করে । তার কোনো সঙ্গী না থাকায় প্রকৃতির সঙ্গেই গড়ে উঠেছে সখ্য। যে স্বপ্ন দেখে তার বাবা একদিন ফিরে আসবে। আর এই স্বপ্নই তাকে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সাহায্য করে।


উদ্দীপকের বন্যা যে বাসায় কাজ করে, সেই বাসার সে সদস্যের মতো হয়ে উঠছে। সে স্কুলে পড়ে, নিজের জীবন ও কাজ নিয়েই তার ব্যস্ততা। পারিবারিকভাবেও সে সবার সাথে মিশে গেছে, কিন্তু মিনু তা পারেনি। কাজ আর আত্মভাবনায় ডুবে থাকে মিনু। বন্যার তেমন দুঃখ না থাকলেও মিনুর মধ্যে বাবার জন্যে প্রতীক্ষার কষ্ট লক্ষ করা যায়। তাই দুজনের মধ্যে অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।


ঘ. বন্যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করলেও মিনু শিক্ষা লাভ করেছে প্রকৃতি থেকে।


‘মিনু’ গল্পে মিনু একই সাথে বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং পিতামাতা হারা এতিম। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা না পাওয়ায় প্রকৃতিকেই সে আপন করে নিয়েছে। মনে মনে সে সৃষ্টি করেছে কল্পনার জগৎ। ভোরবেলার নতুন সূর্যকে নিজের জ্বালানো চুল্লির সঙ্গে তুলনা করতেই তার ভালো লাগে। হলদে পাখি দেখে তার মনে পুলক জাগে। ভোরের শুকতারাকে সে নিজের সই বানিয়েছে, কেননা এত ভোরে সেই তাকে সঙ্গ দেয়। প্রকৃতি থেকেই সে প্রতিনিয়ত শিক্ষালাভ করে।


অন্যদিকে উদ্দীপকের বন্যা বাড়ির কাজ করলেও সে পেয়েছে গৃহকর্তার ভালোবাসা। সে স্কুলে গিয়ে শিক্ষালাভের সুযোগ পায়। পরিবারের সদস্যের মতোই জীবন অতিবাহিত করে। তাই তাকে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।


অর্থাৎ বন্যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও মিনুর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। সে বিরূপ সমাজে বসবাস করায় মানুষের সহানুভূতি পাচ্ছে না। আর তাই পাঠশালারূপ প্রকৃতি থেকেই মিনু শিক্ষা লাভ করেছে । প্রকৃতি তার নিয়মের মাধ্যমে মিনুকে শিক্ষা দিয়ে চলেছে।

এমন সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার দিতে ভুলবেন না।


Collected


শহরের অল্প জায়গায় দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন: লাভজনক উদ্যোগ বদরুল আলম 


 শহরের অল্প জায়গায় দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন: লাভজনক উদ্যোগ

বদরুল আলম 

০১/০২/২০২৫


বর্তমান সময়ে নগর জীবনে কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে এটি সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। সিলেটের খোজারখলার উদ্যোক্তা Mitu Shah  ঠিক এমনই একটি অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন—তিনি অল্প জায়গায় দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করে দেখিয়েছেন যে শহরেও কৃষিপ্রধান ব্যবসার সফলতা সম্ভব।  


ছোট জায়গায় পশুপালন: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ  

শহরের বাড়িতে পশুপালন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হলেও আধুনিক ব্যবস্থাপনার কারণে এটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উন্নত জাতের দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করলে অল্প জায়গায় বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়। খামারের জায়গা ছোট হলেও, উপযুক্ত খাবার, পরিচর্যা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করলে এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হতে পারে।  


Mitu Shah এর উদ্যোগ: সফলতার গল্প  

সিলেটের খোজারখলার মিঠু শাহ তার বাড়ির সীমিত জায়গায় দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন শুরু করেন। প্রথমদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও, আধুনিক পদ্ধতিতে খামার পরিচালনা করে তিনি ভালো লাভ করতে সক্ষম হন। তার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে—  


1. উন্নত জাতের পশু নির্বাচন: উচ্চ দুধ উৎপাদনক্ষম গরু ও ছাগল পালন করা।  

2. সঠিক খাদ্য সরবরাহ: পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে পশুর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো।  

3. স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা: নিয়মিত টিকা ও চিকিৎসার মাধ্যমে পশুগুলোকে সুস্থ রাখা।  

4. অল্প পরিসরে আধুনিক খামার: সীমিত জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।  


নগর পশুপালনের ভবিষ্যৎ  

মিঠু শাহের মতো উদ্যোক্তাদের সফলতা দেখে অনেকেই এ ধরনের উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন। শহরের বাড়িতে পশুপালন করলে একদিকে যেমন স্থানীয়ভাবে দুধ, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব, অন্যদিকে এটি একটি লাভজনক ব্যবসার পথ খুলে দেয়।  


উপসংহার  

নগর জীবনে অল্প জায়গায় দুধাল গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ। সিলেটের মিঠু শাহের মতো আরও উদ্যোক্তারা যদি এই পথে এগিয়ে আসেন, তবে এটি শহরাঞ্চলে একটি নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করবে। সঠিক পরিকল্পনা ও আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এটি হতে পারে একটি টেকসই ও লাভজনক ব্যবসা।

#শহুরে_খামার #দুধাল_গরু #ছাগল_পালন #ভেড়া_পালন #লাভজনক_ব্যবসা #সিলেট #উদ্যোগ #গ্রামীণ_উন্নয়ন #টেকসই_ব্যবসা

বিবাহের সময় মেয়েকে লেখা খতিব উবায়দুল হক রহ. এর ঐতিহাসিক চিঠি ====

 বিবাহের সময় মেয়েকে লেখা খতিব উবায়দুল হক রহ. এর ঐতিহাসিক চিঠি

==================================

খতিব উবায়দুল হক রহ.- এর বড় মেয়ে রায়হানা হক সিলেটে তার দাদীর কাছে থাকতেন। যখন তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো; তখন তিনি মেয়েকে উপদেশমূলক চিঠি লিখেন। সময়টা ছিলো ১৯৭৫ সাল। নিজের মেয়েকে আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে নভেম্বরের ১৬ তারিখে একটি পত্র লিখেছিলেন।


আলেম, লেখক ও সাংবাদিক এহসান সিরাজ  এর সৌজন্যে পাঠকের জন্য চিঠিটির আংশিক তুলে ধরা হলো।


স্নেহের…!

রায়হানা


এক বছর থেকে তোমার স্কুল শিক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তুমি লেখাপড়া ছেড়ে দিবে। বরং এখন আরো বেশি বেশি পড়া উচিত। লেখার চর্চাও করা দরকার। বিশেষভাবে দীনি কিতাবাদি এবং উর্দু বেহেশতী জেওর নিয়মিত পড়বে। দৈনিক দাদিজানের কাছে বসে বেহেশতী জেওর থেকে তিনি যতটুকু বলবেন ততটুকু পড়বে। তার কাছে জিজ্ঞেস করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে।


কিতাব ছাড়াও আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যাধিক জরুরী। তা অর্জন করতে না পারলে ডিগ্রি অর্জন করার কোনো মূল্য থাকে না। এ জিনিসটি হচ্ছে ‘ছালিক্বা’ তথা আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জন এবং গৃহস্থ বিষয়ক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার শিক্ষা গ্রহণ। যে নারী এগুলো খেয়াল করে না, তাকে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। মানুষ তাকে ঘৃণা করে। পক্ষান্তরে যে মেয়ে এগুলো খেয়াল রাখে, লোকে তার তারিফ করে, সম্মান করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে এগুলো অর্জন হয় না, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনার মাধ্যমেই তা শিখতে হয়।


 

ছালিক্বা কাকে বলে? এর অর্থ কী? ছালিক্বা মানে—

১. প্রতিটি কাজ সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়া।

২. নিজ দায়িত্বে ঘরের প্রতিটি কাজ সম্পাদন করা। কারো জন্য বসে না থাকা।

৩. ঘরের ছোট বড় সবার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

৪. ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

৫. ঘরের প্রতিটি বস্তু যথাস্থানে হেফাজতে রাখা।

৬. ছোট-বড় সবার মর্জি মোতাবেক খাবার পরিবেশন করা ও তাদের অন্যান্য চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

৭. সবার সাথে নম্র ব্যবহার করা।

৮. বড়দের সেবা ও সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ করা।

৯. ঘরে মেহমান আসলে তাদের সমাদর করা।

১০. ঘরে যা প্রয়োজন হতে পারে আগে থেকেই খেয়াল রাখা। এক সপ্তাহ পর কিসের প্রয়োজন হতে পারে, তা এখনই স্মরণ করিয়ে দেয়া।

১১. যে কাজে একবার দোষারোপ করা হয়, সে কাজে আবার যেন দোষারোপ করতে না হয়।


মোটকথা, ছলিক্বাসমৃদ্ধ মেয়ে সবসময় সুখে থাকবে। অন্যের সন্তুষ্টি পাবে। তার ঘর বেহেশতের নমুনা হবে। এসব বই পড়ে অর্জন করা যায় না। বুদ্ধি দিয়ে শিখতে হয়, আচার ব্যবহার থেকে শিখতে হয়। যার বয়বহার ভালো, তার কাছ থেকে শিক্ষা নিবে, যার ব্যবহার মন্দ, তার অনুসরণ করবে না।


আমার এ পত্রটি বুঝে শুনে দু’তিনবার পড়বে। যা বুঝে আসবে না, দাদী অথবা মাকে জিজ্ঞেস করে বুঝে নেবে। পত্রটি হেফাজত করে রাখবে। উপরোক্ত বিষয় সামনে রেখে নিজের মধ্যে কী কী ত্রুটি আছে, তা ভেবে দেখবে। নিয়মিত নামাজ পড়বে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে। এতে যেন ত্রুটি না হয়। এখানে সবাই ভালো আছে।


ইতি

উবায়দুল হক

১৬/১১/১৯৭৫

সরস্বতী পূজার আগে কুল কেন খায় না!

 সরস্বতী পূজার আগে কুল কেন খায় না!


একবার সরস্বতী দেবীকে তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব হিমালয়ের পাদদেশে তাঁর আশ্রমে তপস্যা করছিলেন। তপস্যা শুরুর পূর্বে তাঁর তপস্যা স্থলের কাছে একটি কুল বীজ রেখে শর্ত দেওয়া হলো যে যখন এই কুলবীজ অংকুরিত হয়ে চারা, চারা থেকে গাছ, গাছের ফুল হতে নতুন কুল হবে কুল পেঁকে ব্যাসদেবের মাথায় পতিত হবে, সেইদিন তার তপস্যা পূর্ণ হবে এবং এর থেকে বোঝা যাবে যে  সরস্বতী দেবী তাঁর ওপর তুষ্ট হয়েছেন। ব্যাসদেবও সেই শর্ত মেনে নিয়ে তপস্যা শুরু করলেন।


ধীরে ধীরে বেশ কয়েক বছরে এই কুলবীজ অংকুরিত হয়ে চারা, চারা থেকে বড় গাছ, বড় গাছের ফুল থেকে নতুন কুল হয় এবং একদিন তা পেকে ব্যাসদেবের মাথায় পতিত হয়। তখন উনি বুঝতে পারলেন যে তাঁর তপস্যা পূর্ণ হয়েছে। কুল এর আরেক নাম বদ্রী, তপস্যার সাথে বদ্রী এর সম্পর্ক থাকায় ঐ স্থানের নাম বদরিকাশ্রম নামে প্রচার হয়ে যায়।


দিনটি ছিল শ্রীপঞ্চমীর দিন। সেদিন বেদমাতা সরস্বতীকে বদ্রী/কুল ফল নিবেদন করে অর্চনা করে তিনি ব্রহ্মসূত্র রচনা আরম্ভ করেন ও সরস্বতী দেবী তুষ্ট হয়েছিলেন। তাই সেই দিনের আগে অনেকে কুল ভক্ষণ করে না। শ্রীপঞ্চমীর দিন সরস্বতী দেবীকে কুল নিবেদন করার পরেই কুল ভক্ষণ করা হয়। 


দেবীভক্তরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। তবে নিত্য পূজাকারী ভগবদ্ভক্তরা সরস্বতী পূজার আগেও ভগবানকে নিবেদন করে কুল বা বরই প্রসাদ গ্রহন করতে পারেন। সেই শাস্ত্র প্রমান বিষ্ণু-ধর্মোত্তর এবং শ্রীহরিভক্তিবিলাস ৯/৪০৬ এ উল্লেখ রয়েছে।


🕉️ নবমন্নং ফুলং পুষ্পং নিবেদ্য মধুসূদনে।

পশ্চাদ্ভুঙক্তে স্বয়ং যশ্চ তস্য তুষ্যতি কেশবঃ।।


📄 শ্রীমধুসূদনকে যিনি নূতন অন্ন, নূতন ফল(মৌসুমী ফল), ফুল প্রভৃতি অর্পণ করিয়া পরে নিজে ভোজন করেন, শ্রীকেশব তাহাকে অত্যন্ত প্রীতি করেন।


আরও বলা আছে,

🕉️ অম্বরীষ নবং বস্ত্রং ফলমন্নং রসাদিকম্।

কৃত্বা বিষ্ণুপভুভক্তন্ত্ত সদা সেব্যং হি বৈষ্ণবৈঃ।।


📄 হে মহারাজ অম্বরীষ! বৈষ্ণব ব্যক্তিগন নূতন কাপড়, প্রাপ্ত ফুল, নূতন ফল, অম্ল এবং রস প্রভৃতি সব দ্রব্যই শ্রীভগবানে সমর্পন করিয়া গ্রগন করিবেন।

~ (বিষ্ণুস্মৃতি, গৌতমাম্বরীষ সংবাদ)


📑 তাই, যারা প্রতিদিন ভগবানের মহাপ্রসাদ গ্রহন করেন, সরস্বতী পুজার পূর্বেও ভগবানকে কুল/বরই নিবেদন করে সেই প্রসাদ গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু যারা ভগবানকে নিবেদন না করে নিজেরা গ্রহন করেন তাদের ক্ষেত্রে বিধি হচ্ছে তারা সরস্বতী পুজা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন এবং এই পঞ্চমীর দিনে সরস্বতী মাতাকে নিবেদন করে সেই বরই গ্রহন করবেন।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...