এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

অহর্নিশ তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

 এম এ ক্লাসের পরীক্ষা দিতে বসে এক সমস্যা হল ছাত্রটির। সেইদিন ছাত্রটির প্রিয় বিষয় দর্শনের পরীক্ষা। সব প্রশ্নের উত্তরই জানা। কিন্তু প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই তিন ঘন্টা সময় চলে গেল। বাড়িতে ফিরে মন খারাপ। ভাবলেন বাকি পরীক্ষা আর দেবেন না। পরিবারের লোকেরা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করাতে বাকি পরীক্ষা দিলেন। ফল বেরোতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করছে সেই ছাত্রটিকে । শোনা যায়, ব্রজেন্দ্রনাথের সেই উত্তরপত্রে পরীক্ষকেরা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ওই একটি উত্তরকেই মৌলিক গবেষণা হিসেবে গণ্য করা যায়।’’ সেনেটে এ নিয়ে জরুরি সভা বসেছিল। কী করা যায় ! সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একটা প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা নম্বর পাবেন, বাকি অলিখিত প্রশ্নের জন্য তার শতাংশের হারে নম্বর ধরে দেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটে এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রথম ও শেষ। তিনিই একমাত্র ছাত্র যিনি ওই বছর দর্শনে প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছিলেন ! ভাবা যায় !

একবার কলকাতা থেকে মুম্বই যাচ্ছেন বিখ্যত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসন। আচমকা দেখেন তাঁর প্রথম শ্রেণির কামরায় এলাহাবাদ স্টেশনে এক বাঙালি ভদ্রলোক উঠে পড়লেন | উঠেই তিনি শুরু করলেন কমলালেবু খাওয়া। থম্পসন ভাবলেন এই গেল ! বাঙালি ব্যাটা এ বার গোটা কামরাটা না কমলালেবুর খোসা ছড়িয়ে নোংরা করে ফেলে। কিন্তু তেমন কিছুই তো ঘটল না।বাঙালি ভদ্রলোকটি একটি প্যাকেটে তুলে রাখলেন কমলালেবুর খোসা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন থম্পসনও। শুরু হল আলাপ।

ইতিহাস নিয়েই শুরু কথাবার্তা। কিন্তু খানিক দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান— ভূ-ভারতে যতগুলি বিদ্যার শাখা আছে, তা সবই উঠে আসতে থাকল আলাপে। ঠিক আলাপ নয়, একতরফা বাঙালি ভদ্রলোকটিই বলে চলেছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড শুধুই শ্রোতা। মুম্বই স্টেশনটাও যেন কেমন তাড়াতাড়ি চলে এল। নামার সময় থম্পসন বলে গেলেন, ‘‘আপনার নাম জানতে চাইছি না। ভারতবর্ষে একজনই আছেন, যাঁর প্রজ্ঞা এমন প্রসারিত। আমি নিশ্চিত, আপনিই সেই ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।’’

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল | ‘আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়’ তাঁর সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘‘তাঁহার ন্যায় পণ্ডিত লোক বহু শত বৎসর ভারতবর্ষে জন্মে নাই এবং শীঘ্রই যে জন্মিবে তাহাও আমার মনে হয় না৷‌’’ ‘সুধীন্দ্রনাথ দত্ত’ জানিয়েছিলেন, ‘‘সক্রেটিস বংশের শেষ কুলপ্রদীপ’’৷‌ ‘চলন্ত বিশ্বকোষ’-এর মত বিশেষণে ভূষিত করেছিলেন ‘বিনয় সরকার’। ব্রজেন্দ্রনাথের প্রয়াণের পর ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ’ লিখেছিলেন, “… ‘সর্ববিদ্যাবিশারদ’ বলিয়া আখ্যা যদি কাহাকেও নিঃসংশয়ে দেওয়া যায় তবে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ তাহার উপযুক্ততম পাত্র।” ১৯৩৫ সালে তিনি ৭২ বছর বয়সে পদার্পণ করলে ভারতীয় দর্শন কংগ্রেস এক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ‘আচার্য শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল সুহৃদবরেষু’ শীর্ষক এক প্রশস্তিবাণী প্রেরণ করেছিলেন। কবিগুরু সেই প্রশস্তিবাণীতে লিখেছিলেন –

‘‘জ্ঞানের দুর্গম উর্ধ্বে উঠেছে সমুচ্চ মহিমায়

যাত্রী তুমি, যেথা প্রসারিত তব দৃষ্টির সীমায়

সাধনা-শিখরশ্রেণী …’’

ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসনের বন্ধু প্যাট্রিক সেডেড বলেছেন, ‘‘Seal was the greatest brain functioning in this planet’’।

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল- কে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য |

© অহর্নিশ

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

=================

বাংলার ইতিহাস জানতে চান ? যদি প্রকৃত ইতিহাস জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই "বাঙ্গালার ইতিহাস" । বাংলার ইতিহাস নিয়ে এইরকম গবেষণামূলক বই একটিও নেই ।

আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MP7d4v

নারিকেল চোরানো মেশিন

 বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে এমন একটি ব্যবসা নির্বাচন করা জরুরি যা ইউনিক, লাভজনক এবং ভবিষ্যৎমুখী। ডাব প্রক্রিয়াজাতকরণ এমনই একটি সম্ভাবনাময় খাত, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য হতে পারে একটি সেরা ও কার্যকর বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে ডাবের চামড়া ছাড়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি পরিকল্পিতভাবে উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ শুরু করা যায়, তাহলে এই ব্যবসায় দ্রুত সফলতা অর্জন সম্ভব।


ডাবের চামড়া ছাড়ার মেশিনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে খুব সহজেই কাঁচা ডাবকে প্রক্রিয়াজাত করা যায়। মেশিনের সাহায্যে ডাবের বাহ্যিক খোসা দ্রুত এবং সমানভাবে ছাড়ানো সম্ভব হয়, যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির তুলনায় অনেক দ্রুত, নিরাপদ এবং শ্রমসাশ্রয়ী। এই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ডাবকে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করলে তা ভোক্তাদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। কারণ আধুনিক ভোক্তারা এখন পরিচ্ছন্ন ও প্রস্তুত পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছে।


বিশ্ববাজারে প্রক্রিয়াজাত ডাবের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা প্যাকেটজাত ডাব পানিকে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। সেজন্য যদি এই ব্যবসা আন্তর্জাতিক মানে পরিচালিত হয়, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বড় পরিসরে লাভবান হওয়া সম্ভব।


এই ব্যবসায় নামতে চাইলে প্রথম ধাপে একটি মানসম্পন্ন ডাব চামড়া ছাড়ার মেশিন সংগ্রহ করতে হবে। এরপর নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে কাঁচা ডাব সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। উৎপাদিত পণ্য আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে অথবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিপণনের ব্যবস্থা করলে সহজেই বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব।


ডাব প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসা একটি স্থায়ী এবং লাভজনক খাত হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি, সঠিক মার্কেটিং এবং পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা যোগ হলে এটি উদ্যোক্তার জন্য একটি সফল ও সম্মানজনক ব্যবসা রূপে গড়ে উঠতে পারে।


বি:দ্র: নারিকেল ব্যবসায়ীরা কই? 🤓

এমন বিচার কি এখন হয়?? সিরিয়ার একটি শহরের নাম রাকা। সেখান থেকে খলিফা হারুনুর-রশিদের নিকট চিঠি আসলো।

 এমন বিচার কি এখন হয়??

সিরিয়ার একটি শহরের নাম রাকা। সেখান থেকে খলিফা হারুনুর-রশিদের নিকট চিঠি আসলো। 


চিঠিতে লেখা ছিল: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ,বিচার কাজ স্থগিত হয়ে আছে । খলিফা যেন দ্রুত ব্যবস্থা করেন । খলিফা চিঠির জবাব পাঠালেন । আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক আসবেন । এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক এসে যোগ দিলেন ।


বিচার কাজ শুরু হয়েছে । স্থানীয় প্রহরীরা একজন বৃদ্ধা মহিলাকে আসামী হিসেবে দরবারে হাজির করলেন । তার অপরাধ ছিল তিনি শহরের এক রেস্তারাঁ থেকে কিছু রুটি আর মধু চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পরেন ।


বিচারক: আপনি চুরি করেছেন?


– জ্বি ।


– আপনি কি জানেন চুরি করা কতো বড় অপরাধ ও পাপ ?


– জ্বি ।


– জেনেও কেন চুরি করলেন ?


– কারণ আমি গত এক সপ্তাহ যাবত অনাহারে ছিলাম । আমার সাথে এতিম দু’নাতিও না খেয়ে ছিল । ওদের ক্ষুধার্ত চেহারা ও কান্না সহ্য করতে পারিনি তাই চুরি করেছি। আমার আর এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না হুজুর ।


বিচারক এবার পুরো দরবারে চোখবুলালেন। বললেন কাল যেন নগর, খাদ্য,শরিয়া, পুলিশ প্রধান ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগন সবাই উপস্থিত থাকেন ।তখন এর রায় দেওয়া হবে ।


পরদিন সকালে সবাই হাজির হলেন । বিচারক ও যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে রায় ঘোষণা করলেন-“ বৃদ্ধা মহিলার চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৫০টি চাবুক, ৫০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা আর অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া করা হলো। 


তবে অকপটে সত্য বলার কারণে হাত কাটা মাফ করা হলো। বিচারক প্রহরীকে চাবুক আনার নির্দেশ দিয়ে নিচে নেমে ঐ বৃদ্ধা মহিলার পাশাপাশি দাঁড়ালেন ।


বিচারক বললেন যে নগরে একজন ক্ষুধার্তবৃদ্ধ মহিলা না খেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় চুরি করতে বাধ্য হয় সেখানে তো সবচেয়ে বড় অপরাধী সে দেশের খলিফা। আর আমি এসেছি খলিফার প্রতিনিধি হয়ে । 


আমি যেহেতু তাঁর অধীনে চাকরি করি তাই ৫০টি চাবুকের ২০টি আমার হাতে মারা হউক । আর এটাই হলো বিচারকের আদেশ । আদেশ যেন পালন করা হয় এবং বিচারক হিসাবে আমার উপর চাবুক মারতে যেন কোনো রকম করুণা বা দয়া দেখানো না হয়।


বিচারক হাত বাড়িয়ে দিলেন । দুই হাতে পর পর ২০টি চাবুক মারা হলো। চাবুকের আঘাতের ফলে হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে । ঐ অবস্থায় বিচারক পকেট থেকে একটি রুমাল বের করলেন । 


কেউ একজন বিচারকের হাত বাঁধার জন্য এগিয়ে গেলে বিচারক নিষেধ করেন। এরপর বিচারক বললেন “ যে শহরে নগর প্রধান, খাদ্য গুদাম প্রধান ও অন্যান্য সমাজ হিতৈষীরা একজন অভাব গ্রস্ত মহিলার ভরন-পোষণ করতে পারেন না। 


সেই নগরে তারা ও অপরাধী। তাই বাকি ৩০টি চাবুক সমান ভাবে তাদেরকে মারা হোক ।“


এরপর বিচারক নিজ পকেট থেকে বের করা রুমালের উপর ৫০টি রৌপ্য মুদ্রা রাখলেন । তারপর বিচারপতি উপস্থিত সবাইকে বললেন “যে সমাজ একজন বৃদ্ধমহিলাকে চোর বানায়, যে সমাজে এতিম শিশুরা উপবাস থাকে সে সমাজের সবাই অপরাধী। তাই উপস্থিত সবাইকে ১০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানা করা হলো।“


এবার মোট ৫০০দিনার রৌপ্য মুদ্রাথেকে ১০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানাবাবদ রেখে বাকি ৪০০টি রৌপ্য মুদ্রা থেকে ২০টি চুরি যাওয়া দোকানের মালিককে দেওয়া হলো। 

বাকি ৩৮০টি রৌপ্য মুদ্রা বৃদ্ধা মহিলাকে দিয়ে বললেন “ এগুলো আপনার ভরণপোষণের জন্য । আর আগামী মাসে আপনি খলিফা হারুনুর রশিদের দরবারে আসবেন । খলিফা হারুনুর রশিদ আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী । “


একমাস পরে বৃদ্ধা খলীফার দরবারে গিয়ে দেখেন ; খলিফার আসনে বসা লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে । মহিলা ভয়ে ভয়ে খলিফার আসনের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি সেদিনের সেই বিচারক। 

খলিফা চেয়ার থেকে নেমেএসে বললেন —আপনাকে ও আপনার এতিম দু’নাতিকে উপোস রাখার জন্য সেদিন বিচারক হিসেবে ক্ষমা চেয়েছিলাম ।


 আজ দরবারে ডেকে এনেছি প্রজা অধিকার সমুন্নত করতে না পারায় অধম এই খলিফাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ।

আপনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।

একটি শিক্ষনীয় গল্প এক মিনিট সময় নিয়ে হলেও সবাই পড়বেন উপকৃত হবেন!!

 👉একটি শিক্ষনীয় গল্প এক মিনিট সময় নিয়ে হলেও সবাই পড়বেন উপকৃত হবেন!!


একবার এক রাজা তার তিন মন্ত্রীকে ডেকে বললেন,এই নাও তোমাদের একটা করে খালি বস্তা দিলাম।তোমাদের কাজ হবে বনে গিয়ে বিভিন্ন ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভরে নিয়ে আসবে,দেখি কে কত তাড়াতাড়ি বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে আসতে পার।তিন জন চলে গেল জঙ্গলে।


🔶১ম মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা বলেছেন তাই ভালো ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা পূর্ণ করি এবং সেই মত জঙ্গলের ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা ভরে ফিরে আসল।


🔶২য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা তো সব ফল দেখবেন না তাই হাবিজাবি পচা ফল দিয়ে সে নীচের দিকে পূর্ণ করে,উপরের দিকে শুধু কিছু ভালো ফল দিয়ে বস্তা পূর্ণ করলো এবং ফিরে আসল।


🔶৩য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজার এত সময় কোথায় বস্তা খুলে খুলে দেখবে,সে শুধু দেখবে বস্তা পূর্ণ হয়েছে কিনা।জঙ্গলে মরা পাতা,ঘাস,কাঠ দিয়ে বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে এলো ।


তিন মন্ত্রী রাজার দরবারে হাজির,রাজা সবার বস্তা পূর্ণ দেখে খুশী হলেন।তিনি বস্তাগুলো খুলেও দেখলেন না।৩য় মন্ত্রী নিজের বুদ্ধির কথা চিন্তা করে নিজেকে বেশ বুদ্ধিমান মনে করতে লাগলো। রাজা একটু সময় নিয়ে তার মসনদে বসলেন এবং ঘোষণা করলেন,এই তিন মন্ত্রীদের তাদের বস্তা সহ ৭ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হোক এবং প্রত্যেককে তিনটা আলাদা আলাদা কক্ষে রাখা হোক।এই সাত দিন তাদের কোন প্রকার খাবার দেওয়া হবে না।


যেই কথা সেই কাজ,তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।১ম মন্ত্রী এই সাত দিন তার বস্তার ফল গুলো খেয়ে কাটিয়ে দিলেন।


দ্বিতীয় মন্ত্রী তার যত ভালো ফল ছিল ২ দিন খেতে পারলো,বাকী দিন পচা ফল খেয়ে কাটানোর চেষ্টা করলো কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন।


৩য় মন্ত্রীর বস্তায় কোন ফল ছিলোনা তাই তিনি না খেতে পেরে কারাগারেই মারা গেলেন ।


🌸এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় হলো-


যদি আমরা ফাঁকি না দিয়ে সঠিকভাবে শিখে, পড়ালেখা বা কাজ   করে বড় হই তবে এর ফল আমরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবো তখন ভোগ করতে পারবো ।

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

রসুনের এই উপকারীতার সত্যতা কতটুকু?

 রসুনের এই উপকারীতার সত্যতা কতটুকু?


একটি রসুনের টুকরো সারারাত কানের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখুন, আর সকালে উঠে দেখুন কী চমৎকার তার রেজাল্ট!


স্বাদ ছাড়াও রসুন শরীরের গরম, রোগ প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য প্রমাণিত হয়েছে! এখানে রসুনের কিছু অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে ব্যবহারের গুনাগুণ বর্ণিত হয়েছেঃ-


১। চুল ঝরে পড়ার হাত থেকে বাঁচায়ঃ এক কোয়া রসুনের টুকরো কেটে মাথার তালুতে ঘষুন। রসুনে থাকা প্রাকৃতিক তেল চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।


২। রসুনের চা ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি থেকে বাঁচায়ঃ রসুন চা সবচেয়ে সুস্বাদু চা হয়। রসুন চা তৈরি করতে দুটো রসুনের কোয়ার সাথে লবঙ্গ ফুটন্ত জলে দিন, আপনার স্বাদ অনুযায়ী আদা ও মধু যোগ করুন। আপনি ১০ মিনিটের মধ্যেই ভাল বোধ করবেন।


৩। রসুন ত্বকের ফুসকুরি দূর করতে সাহায্য করেঃ কিছু রসুনের তেল ফুসকুরি ওলা ত্বকে লাগান এবং চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। এটি অস্বস্তি থেকে মুক্ত এবং ঐ এলাকাটি মসৃণ করে এবং ফুসকুরি মুক্ত করে তুলবে।


৪। রসুন কানের ব্যাথা দূর করেঃ কানের ব্যাথা খুবই কষ্টকর। একটি রসুনের কোয়া কানে দিয়ে রাখুন সারা রাত আর দেখুন পরের দিন কেমন তাজা অনুভব করবেন যা আগে কখনও করেননি।


৫। ডাইবেটিসের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে রসুনঃ রসুন শরীরে উচ্চ ইনসুলিনের উৎপাদন কম করে। আর শরীরে অধিক গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। একজন ডাইবেটিক রোগীর রোজ রসুন খাওয়া দরকার, চা বা রান্নার মধ্যে দিয়ে ।


৬। রসুন রক্ত চাপ কমায়ঃ যদি হাইপারটেনশান রোগী দৈনিক ২-৩ টে করে রসুন চেবায়, তবে তাদের রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে যায়


৭। গাঁঠের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় রসুনঃ যেখানেই ব্যথা হয়, সহজেই রসুনের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে অস্টিওপরোসিস, অস্টিওমালিয়া এবং আর্থ্রাইটিসের এর মত রোগের ব্যথাও কমাতে।


অনলাইন সংগৃহীত তথ্য।

পুরোনো আমলে এক গ্রামে এক বুড়ো মানুষ থাকত। তার বিয়ে হয়েছিল বিশ বছর আগে, কিন্তু সে সন্তানের সুখ থেকে বঞ্চিত ছিল।

 পুরোনো আমলে এক গ্রামে এক বুড়ো মানুষ থাকত। তার বিয়ে হয়েছিল বিশ বছর আগে, কিন্তু সে সন্তানের সুখ থেকে বঞ্চিত ছিল।

অবশেষে বুড়োর বউয়ের পা ভারী হয়েছিল। নতুন নতুন জিনিস খেতে তার মন চাইত।

বুড়ো নিজের সাধ্যমতো তার জন্য খাবারের জিনিস এনে দিত।

একদিন বুড়োর বউয়ের খুব ইচ্ছে হল টক-মিষ্টি বরই খেতে।

গরমের মরশুমে বরই কোথায় পাওয়া যায়! তবুও বুড়ো বরইয়ের খোঁজে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে লাগল।

একদিন জঙ্গলে এদিক-ওদিক বরই খুঁজতে খুঁজতে সে একটা পুকুরের ধারে পৌঁছল, তখন তার চোখে পড়ল একটা বরইয়ের ঝোপ।

বুড়ো খুব খুশি হল। সে দুই হাতে বরই তুলতে শুরু করল।

ঝোলা ভর্তি বরই তুলতেই একটা মানুষখেকো কুমির জল থেকে তার বড় মুখ বের করে জোরে শ্বাস টানল।

তার শ্বাসে একটা প্রচণ্ড ঝড় উঠল, আর বুড়ো দুর্বলতার কারণে নিজেকে সামলাতে না পেরে পুকুরে পড়ে গেল।

বুড়ো নিজেকে সামলে পুকুর পাড়ে পৌঁছতে চাইছিল, কিন্তু কুমির তার পা ধরে ফেলল।

বুড়ো তাকে বলতে লাগল, “ভাই, টক-মিষ্টি বরইয়ের খোঁজে আমার পা পিছলে গেছে, আর যখন বরই পেলাম, তখন তুই আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালি।”

“তোর এই চালাকি আমার ওপর কোনো কাজ করবে না। অনেক দিন মানুষের মাংস খাওয়া হয়নি।

তোর শক্ত হাড় চিবোতে আমার খুব মজা লাগবে। আজ আমি তোকে খাব,” কুমির লালা ঝরিয়ে বলল।

“কেন? আমাকে তুই কেন খাবি?”

“কারণ তুই আমার অনুমতি ছাড়া আমার বরই নিয়েছিস।”

“ভাই, আমি এই বরই বাধ্য হয়ে নিচ্ছি। আমার বউয়ের এমন সন্তানসম্ভবা ।

আমি আর আমার বউ বহু বছর এর অপেক্ষা করে আছি । বুড়োর কথা শুনে কুমির বুঝে গেল।

“ওহ!” যদি এই কথা হয়, তবে আমি তোকে খাব না। তুই তোর পথ নে, কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।

“কী শর্ত?” বুড়ো জিজ্ঞেস করল।

“যদি ছেলে হয় তবে তোর, আর মেয়ে হলে আমার।”

“ঠিক আছে!” বলে বুড়ো বরইয়ের ঝোলা সামলে চলে গেল।

সে মনে মনে ভাবতে লাগল যে কুমির তাকে আবার কোথায় পাবে, আর যদি তার ঘরে ছেলে জন্মায় তবে তো কোনো সমস্যাই নেই।

বুড়ো তার বউয়ের সেবায় কোনো কমতি করত না। দিনের পর দিন উড়ে যেতে লাগল, আর একদিন বুড়োর ঘরে একটা সুন্দরী আর খুব স্বাস্থ্যবতী মেয়ে জন্মাল।

মেয়েটিকে দেখে তার কুমিরের কথা মনে পড়ল, আর সে ভয়ে কাঁপতে লাগল।

মেয়েটির রং ছিল গোলাপ ফুলের মতো। তার চোখ হীরের মতো ঝকঝকে ছিল।

সে পরীর মতো সুন্দরী আর নিষ্পাপ ছিল। এমন মেয়ে কুমিরের পেটে যাবে, এটা ভেবে বুড়ো দুঃখে কাঁপতে লাগল।

সে ভাবল যে এখন সে কখনো পুকুরের ধারে যাবে না।

বর্ষার মরশুম এল, আর নদীতে বন্যা হয়ে গেল। কুমির জলে ভেসে পুকুর থেকে বেরিয়ে খেতে চলে এল।

এখন তার শিকার সহজেই  পাচ্ছিল।

একদিন বুড়ো খেত থেকে সবজি তুলে আনছিল, তখন পথে কুমির তাকে থামিয়ে প্রশ্ন করল।

“কেন রে বুড়ো! আমার থেকে লুকোচ্ছিস কেন?

তুই আমার থেকে লুকিয়ে কোথায় পালাবি? সোজা বল, তোর ঘরে মেয়ে হয়েছে না ছেলে?”

“মেয়ে হয়েছে,” বুড়ো ভয়ে কাঁপা গলায় বলল।

“তাহলে সে আমার। আমার আমানতকে তুই এতদিন নিজের কাছে কেন রেখেছিস? তুই কি কথার খেলাপি করতে চাস?”

“এত ছোট মেয়েকে তোকে কীভাবে দিই?” বুড়ো বলল।

“চৌদ্দ বছর আগে তুই আমাকে কথা দিয়েছিলি । সে কি এখনো ছোট?

তুই বাপের চোখে দেখিস, সে বুড়ি হয়ে গেলেও তোর কাছে ছোটই থাকবে।

তুই আমাকে আর বোকা বানাতে পারবি না। আমি তোকে আর  ভালোভাবে থাকতে দেব না। দেখ, যদি তুই কালই মেয়েকে এনে আমাকে না দিস, তবে আমি তোদের তিনজনকে একে একে শেষ করে দেব,” কুমির বলল।

“সে আমার মেয়ে। নিজের রক্ত তোকে আমি কীভাবে দিই? লোকে কী বলবে?” বুড়ো প্রশ্ন করল।

“লোকে কী বলবে তা আমি জানি না। তুই কী বলিস? তোর কথার খেলাপি করতে চাস?” কুমির রেগে চিৎকার করে বলল।

“না না! তা নয়। আমি চাই যে আমার মেয়ে এটা না জানুক। আর…” বুড়ো বলতে বলতে থেমে গেল।

“তুই কী চাস, বল,” কুমির বলল।

“আমার মেয়ে পদ্মফুল খুব পছন্দ করে। তুই তোর পিঠে একটা পদ্মফুল রেখে পুকুরের জলের নিচে বসে থাক।

যখন মেয়ে খুশি হয়ে এটা নিতে যাবে, তখন তুই ওকে নিয়ে যাস।”

কুমিরের এই কৌশল পছন্দ হল।

পরের দিন যখন বুড়ো তার বউকে সব বলল, তখন মেয়ের মা বিচলিত হয়ে পড়ল।

সে নিজেকে দোষ দিচ্ছিল যে কেন সে বরই খাওয়ার ইচ্ছে করেছিল।

আজ তার মেয়ে মৃত্যুর মুখে যাচ্ছে। ভগবান তাকে মৃত্যু দিচ্ছে না কেন?

তার হৃদয় কাঁদছিল, কিন্তু সে মেয়েকে বলছিল, “মা, কতদিন হয়ে গেল তুই নানির বাড়ি যাসনি।

সে তোকে মনে করছে। তুই আজ তোর বাবার সঙ্গে নানির বাড়ি যা। দুদিন থেকে ফিরে আসিস।”

নানির বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে মেয়ে খুশি হয়েছিল। তার কাছে মামার বাড়ি স্বর্গের থেকে কম ছিল না।

সেখানকার সব কিছু তার পছন্দ ছিল। সেখানকার চাঁদ সুন্দর ছিল।

সেখানকার ফুল সুন্দর আর ফল রসালো ছিল।

নানির বাড়ি যাওয়ার খবর শুনে সে খুশিতে নতুন জামা পরে তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

বুড়ো তাকে নিয়ে জঙ্গল আর নালা পেরিয়ে সেই পুকুরের ধারে পৌঁছল আর মেয়েকে পুকুরের ধারে বসিয়ে বলল, “মা, তুই এখানে বসে থাক। আমি এখনই আসছি।” বুড়ো চলে গেল, কিন্তু ফিরে এল না।

ওদিকে মেয়ের চোখে পড়ল একটা অতি সুন্দর পদ্মফুল।

সে ভাবতে লাগল যে এত সুন্দর পদ্ম পুকুরের একেবারে কিনারায় ফুটে আছে, কিন্তু এখনো কেউ এটাকে ছোঁয়নি!

হয়তো কারো নজরে পড়েনি।

বুড়োর মেয়ে আস্তে আস্তে জলে নামল।

পদ্মফুলের দিকে হাত বাড়াতেই পদ্মটা একটু সরে গেল।

মেয়ে ভয় পেয়ে তার বাবাকে ডাকতে লাগল।

“হাঁটু জল হয়েছে বাবা,

পদ্মটা সরে যাচ্ছে।”

সে আবার এগোতে লাগল। পদ্ম আবার সরে গেল।

মেয়ে চিৎকার করে বাবাকে ডাকতে লাগল।

“বুক জল হয়েছে বাবা,

পদ্মটা সরে যাচ্ছে।”

বাবা সেখানে থাকলে উত্তর দিত। তাকে ভয় লাগছিল, সে ভাবছিল ফিরে যাই। ঠিক তখনই বড় বড় লাল চোখওয়ালা কুমির মুখ খুলে জলের ওপরে দেখা দিল। বুড়োর মেয়ে কুমিরকে দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করতে লাগল, কিন্তু তার চিৎকার জঙ্গলে মধ্যে হারিয়ে গেল। কিন্তু তার বাবা ফিরে এল না। কুমির তাকে তার বড় বড় থাবায় ধরে পুকুরের ওপারে একটা গুহার ভেতরে নিয়ে গেল আর সেখানে মেয়েকে ছেড়ে ফিরে এল।

মেয়ের নিষ্পাপতা আর সৌন্দর্য দেখে সে তাকে খাওয়ার ইচ্ছা সেই মুহূর্তে ত্যাগ করল। পথচারীরা যারা পুকুরে স্নান করতে বা জল খেতে আসত, তাদের সে পেট ভরে খেত আর তাদের কাছে যে খাবার থাকত, তা এনে এই মেয়েকে দিত। মেয়ে এই গুহায় পড়ে থাকত। কিন্তু কুমিরের ভয়ে সে কিছু বলত না।

এভাবে দিন কাটতে লাগল। চারদিকে এই পুকুরের কুমির মানুষখেকো নামে বিখ্যাত হয়ে গেল। ভয়ে কোনো পথচারী এই পুকুরের দিকে আসত না। কুমির ক্ষুধায় অস্থির হয়ে উঠল। সে পুকুরের বড় বড় মাছ খেয়ে শেষ করে দিল। এখন সে ক্ষুধায় মরতে লাগল। জঙ্গলের গরু-ছাগল-ভেড়াও সে ক্ষুধার তীব্রতায় খেয়ে ফেলল। এখন তার ভয়ে সেখানে কোনো জন্তু জল খেতে আসত না।

যখন তার প্রচণ্ড ক্ষুধা পেতে লাগল, তখন সে বুড়োর মেয়ের কাছে এসে তাকে তার লাল আর লোভী চোখে ঘুরতে লাগল। বুড়োর মেয়ে বুঝে গেল যে এখন তার পালা। কিন্তু কুমির তাকে সেদিন খেল না। ভাবতে লাগল যে এখন তার দাঁতে ধার নেই। সেগুলো কামারের কাছে ধার করিয়ে তারপর এই মেয়েকে খাবে। এটা ভেবে সে কামারের কাছে চলে গেল।

এদিকে বুড়োর মেয়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর উপায় ভাবতে লাগল। গুহায় যত সোনা-রুপোর গয়না কুমির এনে রেখেছিল, সে সব একত্র করে একটা ঝুড়িতে রাখল আর শুকনো পাতা আর ছোট ছোট কাঠ দিয়ে ঢেকে দিল। তারপর নিজের শরীরে কাদা মেখে নিজের চেহারা এক অন্ধ বুড়ির মতো করে ফেলল আর ঝুড়িটা কোমরে বেঁধে লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে লাগল।

গুহা থেকে বেরোতেই কুমির এসে পড়ল আর গর্জন করে জিজ্ঞেস করল, “তুই কে?” বুড়োর মেয়ে ভয়ে কাঁপতে লাগল, কিন্তু পরে নিজেকে সামলে বলতে লাগল, “আমি অন্ধ বুড়ি, হাড়ের মালা। আমার শরীরে কী আছে যে তুই খাবি? তুই তোর গুহায় যা। সেখানে তোর জন্য একটা স্বাস্থ্যবান মেয়ে আছে। তার হাড় চিবোতে তোর মজা লাগবে।”

কুমির তাকে চিনতে পারল না। তার মুখে মানুষের মাংসের স্বাদের কথা ভেবে জল এল আর সে দ্রুত গুহার ভেতরে চলে গেল। বুড়োর মেয়ে তার থেকে ছুটি পেয়ে ভয়ে দৌড়তে লাগল আর ঘন জঙ্গলে হারিয়ে গেল।

সে ভাবছিল যে যে মা-বাবা তাকে ধোঁকা দিয়ে কুমিরের হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের কাছে সে যাবে না। এই ভাবতে ভাবতে সে ঘন জঙ্গলে চলে যাচ্ছিল, তখন তাকে সিংহের গর্জন শুনতে পেল। তার হৃদয় জোরে জোরে কাঁপতে লাগল। সে ভয়ে এদিক-ওদিক লুকোনোর জায়গা খুঁজতে লাগল। এতক্ষণে একটা হাতির সমান উঁচু  সিংহ তার সামনে এসে দাঁড়াল। ভয়ে সে সামনে একটা বড় বটগাছের গুঁড়ির সঙ্গে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে  গাছের কাছে প্রার্থনা করতে লাগল, “হে গাছ, তুই ফেটে যা, আমি তোর মধ্যে ঢুকে যাই, আর তুই বন্ধ হয়ে যা।”

এটা শুনতেই গাছ সত্যি ফেটে গেল আর সে তার মধ্যে ঢুকে গেল, আর গাছ বন্ধ হয়ে গেল।

একদিন এক রাজকুমার শিকার করতে সেই জঙ্গলে এল। সে দাঁতনের জন্য একটা ডাল কাটতে লাগল, তখন তার কানে এই আওয়াজ এল, “রাজকুমার, আস্তে কাট, কোথাও আমার চোখ ফুটে না যায়, আমার নাক কেটে না যায়, আমার হাত ভেঙে না যায়।”

এই মিষ্টি আওয়াজ শুনে রাজকুমার অবাক হল আর দাঁতন না নিয়ে রাজমহলে ফিরে এল। সে সারা রাত সেই জাদুকরী গাছের কথা ভাবতে লাগল। রাজমহলে রাজকুমারের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। জ্যোতিষী আর পুরোহিত রাজকুমারকে বোঝাচ্ছিল, কিন্তু রাজকুমারের একটাই জেদ ছিল যে সে ওই গাছের সঙ্গে বিয়ে করবে। যদি তার বিয়ে ওই গাছের সঙ্গে না হয়, তবে সে প্রাণ দেবে।

রাজকুমার রাজার একমাত্র সন্তান ছিল। তার চোখে বিয়ের গুরুত্ব ছেলের জীবনের থেকে কমই ছিল। তাই রাজকুমারের ইচ্ছা পূরণ করা হল। ওই গাছের সঙ্গে তার বিয়ের রীতি পালন করা হল।

রাজকুমার সেই গাছকে সেখান থেকে উপড়ে তার মহলের কাছে বাগানে লাগিয়ে দিল। বুড়োর মেয়ে রাতের বেলা গাছ থেকে বেরিয়ে মহলের ভেতরে গিয়ে সব কাজ করে দিত আর সকাল হতেই আবার গাছের মধ্যে চলে যেত।

একদিন রাজকুমার লুকিয়ে বুড়োর মেয়ের এই সব কাজ দেখল। পরের দিন যখন বুড়োর মেয়ে গাছ থেকে বেরিয়ে মহলের ভেতরে গেল, তখন রাজকুমার সেই গাছটাকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলল।

বুড়োর মেয়ে দৌড়ে এসে বলল, “আহ! তুমি এটা কী করলে?”

এতে রাজকুমার বলল, “এত বড় মহল আছে, তুমি এখানে থাকতে পারো। এই সুন্দর বাগানে ঘুরতে পারো। বিনা কারণে এই গাছের অন্ধকারে কেন পরে থাকো? আর আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমি তোমাকে আমার রানি বানিয়ে নিয়েছি। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না!”

মেয়েটির মধ্যে ভালোবাসার ক্ষুধা ছিল। তার মনে হল যেন সারা জগতের সুখ তার কাছে এসে গেছে। সেই দিন থেকে দুজনে রাজমহলে হাসি-খুশি থাকতে লাগল।

নীতিকথা - মেঘ দেখে তুই করিসনে ভয় , আড়ালে তাহার সূর্য হাসে । দুঃখের শেষে অবশ্যই সুখ আছে । 

বন্ধুরা, গল্পটা পছন্দ হলে একটা লাইক আর তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলো না!


 #niosnews #motivationalwords #motivationalpost #InspirationalStory #motivationalsotry #motivationalstories #inspirational #motivation #inspiration #motivationalquotes #inspirationalquotes #motivationalstory

জমির দলিল আছে দখল নাই। তাহলে করণীয় কী?

 ✅ জমির দলিল আছে দখল নাই। তাহলে করণীয় কী?

আপনার কাছে জমির দলিল আছে, খতিয়ান আছে কিন্তু জমিটি ভোগ করতেছে অন্য কেউ। এ ক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? এক্ষেত্রে আপনি কি জোর খাটিয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে জমির দখলে যাবেন নাকি আদালতে যাবেন; বুঝতে পারেন না। কোনটি করলে আপনি আপনার জমি ফেরত পাবেন?


👉প্রথমে দেখি আপনি আপনার জমি থেকে কী কী কারণে বেদখল হতে পারেন?


✏️প্রভাবশালী মহল কতৃক জোরপূর্বক বেদখল,


🖍️বেদখল হওয়ার সময় নাবালক ছিলেন,


🖍️অন্যান্ন মালিকেরা আপনার অংশ সহ বিক্রি করে দিয়েছে,


🖍️ওয়ারিশ হিসেবে আপনার ভাগ আপনি পাননি।


🖍️জমির মালিক জমি বিক্রি করার পর পুনরায় অন্য কাউকে বিক্রি করেছেন এবং সে ব্যক্তিই এখন দখলে আছেন।


✅👉দখল উদ্ধারের সাথে যে আইনগুলি সম্পর্কিত:


👉ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮; ধারাসমূহ: ১৪৪, ১৪৫

👉সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭; ধারাসমূহ: ৮, ৯, ৪২

👉তামাদি আইন, ১৯০৮; ধারাসমূহ: ৫, ৮, ২৮


✅ সাধারণত ভুক্তভোগী যেখানে প্রতিকার চাইতে পারে:


১. এলাকার বা মহল্লার মাতব্বর বা সভাপতি, মেম্বার-চেয়ারম্যান বা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি: 

এভাবে সালিশ বসিয়ে বিরোধের সমাধান করতে পারলে ভালো, তবে ঘুষের লেনদেন না করা উচিত। কারণ সালিশের সিদ্ধান্ত আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় শুধু দু পক্ষ মেনে নিলেই এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে গিয়ে যেন কোনভাবেই কাল ক্ষেপন না করেন। বিশেষ করে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সমাধান করা ভালো।কারণ  কালক্ষেপন করার ফলে আপনি অনেক আইনি প্রতিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। 

দুষ্ট পক্ষের সালিশের নামে ষড়যন্ত্র ও করতে পারে যাতে করে কালক্ষেপন করে আপনার আইনি প্রতিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে। 


২. থানা: 

জমিজমার মালিকানা বা বিরোধ বিষয়ে থানা পুলিশের কোন ভূমিকা বা সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। যদিও থানায় বসে কেউ কেউ জমি বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ঘুষের লেনদেন থেকে বিরত থাকা উচিত কেননা থানার সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই যে কারণে এটি অমান্য করলে থানার কিছু করার থাকেনা। জমি বিরোধের ক্ষেত্রে পুলিশ আনুষঙ্গিক ভূমিকা পালন করে, আইন অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ পালনে কাজ করে কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। জমির মালিকানা ইস্যুতে একমাত্র দেওয়ানি আদালতকে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধের ফলে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি হলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে।


৩. ফৌজদারি আদালত: 

বেদখল হওয়ার প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।


৪. দেওয়ানি আদালত: 

এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।


👉এবার দেখি জমি থেকে বেদখল হলে আইন কী কী সুরক্ষা দেয়? তামাদি মেয়াদ অনুসারে আলোচনা।


১. বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রতিকার:  এটি একমাত্র ফৌজদারি প্রতিকার। এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তৎক্ষণাৎ প্রতিকার। মামলার সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে নেয়া হয়। দেওয়ানি মামলার মতো দীর্ঘসূত্রিতা নাই। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৪৫ ধারা বলে জমি থেকে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ মামলা করা হয়। এক্ষেত্রে একই আইনের ১৪৪ ধারা ও সংযুক্ত করা যায়। উক্ত আদালতে ১৪৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি অভিযোগ টি আমলে নিলে অভিযুক্ত পক্ষকে একটি নোটিশ দিবেন। নোটিশে স্থান ও তারিখ উল্লেখ করে হাজির হয়ে বক্তব্য পেশ করার জন্য বলবেন। এছাড়া তিনি পুলিশকে দখল বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। এটি একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক ফৌজদারি প্রতিকার। "যিনি দখলে আছেন তিনিই দখলে থাকবেন" এই নীতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ এ আদালতে জমির প্রকৃত মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ দখলে কে ছিল তা তদন্ত করে দেখা হয়। তাই শান্তিপূর্ণ দখলদার ব্যক্তি জমির প্রকৃত মালিকানা না হলেও তিনি এই প্রতিকার পাবেন অর্থাৎ তিনি দখল ফেরত পাবেন। এসময় প্রকৃত মালিকের প্রতিকার হলো দেওয়ানি আদালতে মামলা করা। আর প্রকৃত মালিক ও যদি অন্য কারো দ্বারা বেদখল হন তিনিও এই প্রতিকার পাবেন। এটিতে মামলার খরচাপাতি দেওয়ানি মামলা থেকে অনেক কম এবং সময় সাশ্রয়ী। তাই বেদখল হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা নিলে মামলার খরচ থেকে বেঁচে যায়। 


২. বেদখল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে প্রতিকার : বেদখল হওয়ার ২ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে এ পদক্ষেপ নেয়া যায়। অবশ্য ৬ মাসের মধ্যে এ পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি একটি দেওয়ানি প্রতিকার। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মোতাবেক এই প্রতিকার প্রদান করা হয়। এজন্য দেওয়ানি আদালতে দখল উচ্ছেদের মামলা করতে হবে। এ মামলায় ১৪৫ ধারার মতো মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধু প্রকৃত দখল কার ছিল সেটিই প্রমাণ করা হয়। তাই মালিকানা বিষয়ক প্রমাণাদি এ মামলায় তেমন গুরুত্ব বহন করেনা। যিনি প্রমান করতে পারবেন, তিনি শান্তিপূর্ণ দখলে ছিলেন, অপরপক্ষ বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করে তাকে বেদখল করেছেন। তাকেই আদালত দখল ফেরত পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এই মামলার খরচ দেওয়ানি আদালতের চেয়ে কম অর্থাৎ মামলার মূল্যমানের উপর এডভোলারাম কোর্ট ফি এর অর্ধেক। এ মামলায় প্রকৃত মালিক যদি তার জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তার করণীয় হলো সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা ও ৪২ ধারায় মামলা করতে হবে। 


৪. বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদি ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মার্জনার দরখাস্ত দাখিল করে আদালত উক্তরূপ মামলা করা যায়। এক্ষেত্রে ১২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ সমূহ আদালতের কাছে ব্যাখ্যা করতে হয়।


উপরিউক্ত তামাদি সময়সীমা নাবালক ও ওয়ারিশের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম আছে।


৪. বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদি ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মার্জনার দরখাস্ত দাখিল করে আদালত।

শিক্ষণীয়_পোস্টঃ এক ছাত্র তার শিক্ষককে প্রশ্ন করলো, স্যার মৃত্যুর পর পাপ-পুণ্যের হিসাব নিকাশ কেমন হবে?

 #শিক্ষণীয়_পোস্টঃ

এক ছাত্র তার শিক্ষককে প্রশ্ন করলো, স্যার মৃত্যুর পর পাপ-পুণ্যের হিসাব নিকাশ কেমন হবে?


🤔ছাত্রের প্রশ্ন শুনে শিক্ষক কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকলেন। তারপর পাঞ্জাবির পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে উদাহরণস্বরুপ ৭ জন ছাত্রদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। বণ্টনের প্রক্রিয়া ছিলো এমন— 

১ম জনকে ১০০ টাকা, ২য় জনকে ৭৫ টাকা, ৩য় জনকে ৫০ টাকা, ৪র্থ জনকে ২৫ টাকা, ৫ম জনকে ১০ টাকা,

৬ষ্ঠ জনকে ৫ টাকা এবং যে ছাত্র প্রশ্ন করেছিলো তাকে দিলেন ১ টাকা। 


💥প্রশ্নকারী ছাত্র স্যারের এমন বণ্টন দেখে অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ হলো, মনে ভীষণ কষ্ট পেলো। সে ভাবলো স্যার তাকে সবার সামনে অপমানিত করলেন, সবার সামনে ছোট করলেন। 


💥টাকা বণ্টনের পর স্যার মুচকি হেসে ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে বললেন, "আজ তোমাদের ছুটি। তোমরা এই টাকা পুরোপুরি খরচ করবে এবং আগামী সাপ্তাহিক বন্ধের পরদিন তোমরা উপস্থিত হয়ে খরচের হিসাব দেবে"। 


💥সাপ্তাহিক বন্ধের পরদিন ছাত্ররা ক্লাসে উপস্থিত হতে লাগলো, স্যার আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সবাই আসার পর স্যার সেই ৭ জনকে বললেন, তোমরা কীভাবে টাকা খরচ করেছ তা মনে রেখেছ ? ছাত্ররা হ্যাঁ বলল। 


💥স্যার সব ছাত্রদের স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়ে সবাইকে পায়ের জুতা খুলতে বললেন এবং উত্তপ্ত ছাদে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে টাকার হিসাব দিতে বললেন। 


💥প্রথমে এগিয়ে এলো যে ছাত্রকে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন সে। সে খালি পায়ে ছাদে দাঁড়ানোর পর স্যার প্রশ্ন করলেন, আমার দেওয়া টাকা তুমি কীভাবে খরচ করেছো তার হিসাব দাও?


💥এমনিতে রৌদ্রে উত্তপ্ত গরম ছাদ, তার উপর খালি পা। ছাত্র এক পা নামায় তো এক পা তোলে কষ্ট সহ্য করে খরচের হিসাব দিতে লাগলো—৫ টাকা দিয়ে এটা কিনেছি, ১০ টাকা দিয়ে ওটা খেয়েছি, ২০ টাকা দিয়ে ঐ জিনিস কিনেছি। 


💥এইভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করে সে সম্পূর্ণ হিসাব দিলো। তারপর এলো যাকে ৭৫ টাকা দিয়েছিলেন সে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে একে একে সবাই নিজেদের টাকা খরচের হিসাব উত্তপ্ত ছাদে দাঁড়িয়ে দিয়ে গেলো। 


💥সবার শেষে এলো যাকে ১ টাকা দিয়েছিলেন সে, অর্থাৎ যে ছাত্র পাপ-পুণ্যের হিসাব-নিকাশ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলো।


 💥সে হাসিমুখে দৌড়ে এসে ছাদে দাঁড়িয়ে তার ১ টাকা খরচের হিসাব দিয়ে স্যারের সামনে দাঁড়ালো। বাকিরা যখন নিজেদের উত্তপ্ত পুড়ে যাওয়া পায়ে জল ঢালছে, তখন সে দাঁড়িয়ে হাসছে। 


💥সবার হিসাব দেওয়া শেষে স্যার ছাত্রদের, বিশেষ করে প্রশ্নকারী ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে বললেন-এই হলো মৃত্যুর পর পাপ-পুণ্যের হিসাব-নিকাশের ছোট একটি নমুনা মাত্র।


💥মৃত্যুর পর আমাদের সবাইকে উত্তপ্ত লৌহের তাওয়াতে দাঁড়িয়ে এই হিসাব দিতে হবে। যার ক্ষমতা ও সম্পদ যতো কম, তার হিসাব ততো সহজ। 


প্রশ্নকারী ছাত্র ছলছল নয়নে স্যারের দিকে তাকিয়ে মনে মনে তার প্রতি ভালোবাসার কথা ভাবতে লাগলো এবং স্যারের প্রতি নিজের আগের ধারণার জন্য অনুতপ্ত হতে লাগলো। যাদের পরম করুণাময় গরিব করে রেখেছেন, তা পরম করুণাময় এর দোয়া/আশীর্বাদ ভেবে জীবনযাপন করা উচিত। তাই তিনি আমাদের যা দিয়েছেন তাই নিয়ে আমাদের খুশি থাকা উচিত। তিনি যাদের বেশি ক্ষমতা ও সম্পদ দিয়েছেন, তাদের হিসাবের খাতা অনেক বড় হবে। আর যাদের কম দান করেছেন, তাদের হিসাব তেমনি সহজ হবে। তাই আমাদের যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকতে হবে।

সংগৃহীত

ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে মাঝারি থেকে প্রায় শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় "ঝটিকা"। 11/04/2025

 ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে মাঝারি থেকে প্রায় শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় "ঝটিকা"।

এটি একটি ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় ও আংশিক বৃষ্টিবলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের সকল এলাকায় বৃষ্টি ঝড়ানোর সম্ভাবনা কম। তবে কভারেজের দিক থেকে অন্তত দেশের ৬০-৭০% এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।


এটি চলতি বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয়, যা ১০ ও ১১ তারিখে দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিভাগ ও রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি সক্রিয় হতে পারে। ও পরবর্তীতে ১৪ তারিখ হতে দেশের অনেক এলাকায় সক্রিয় হতে পারে।


অধিক সক্রিয় : সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ।

মাঝারি সক্রিয় : রাজশাহী, ঢাকা ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিভাগ।

কম সক্রিয় : খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাকি এলাকা।


নাম : প্রায় শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় ঝটিকা।

টাইপ : আংশিক বৃষ্টিবলয়।


কাভারেজ : দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা।


ধরন : ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয়।

সময়কাল : বিরতিসহ ১০ ই এপ্রিল থেকে ২২ শে এপ্রিল।


কালবৈশাখী : আছে বিভিন্ন এলাকায়।

বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত তীব্র।

বন্যা : নেই।

একটানা বর্ষন : ১০ ও ১১ তারিখে কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

সিস্টেম : একটি লঘুচাপ।

ঝড় :  এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। 

সাগর : বেশিরভাগ সময়েই প্রায় নিরাপদ থাকতে পারে।


নোট : বৃষ্টিবলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে।

ঝটিকায় অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে আকস্মিকভাবে ও সল্পস্থায়ীভাবে। হটাৎ উত্তর পশ্চিমে কালো মেঘ প্রচন্ড দমকা হাওয়া, তারপর বজ্রসহ বৃষ্টি এরপর আবহাওয়া পরিস্কার।


বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় টি ১০ ই এপ্রিল উত্তরবঙ্গ রংপুর বিভাগ ও কক্সবাজার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে।

ও ২২ শে এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।


*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।


বৃষ্টিবলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলতে পারে।


ঝটিকা চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।

ঝটিকা চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবে না ইনশাআল্লাহ।


মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় উত্তর পশ্চিম হতে দক্ষিণ পূর্ব দিকে।


বন্যার সতর্কতাঃ নেই।


বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র বজ্রপাত হতে পারে।


আসুন এক নজরে দেখে নেই... বৃষ্টি বলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ও বৃষ্টি বলয়ের ১৩ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা!


ঢাকা ৫০-৭০ মিলিমিটার, গড়ে ৬ দিন,

খুলনা ২০-৩০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন,

বরিশাল ২০-৩৫ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন,

সিলেট ৯০-১৩০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন,

ময়মনসিংহ ৫০-৭০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন,

রাজশাহী ৩০-৪৫ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন,

রংপুর ৬০-৯০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন,

চট্টগ্রাম ১৫-৫০ মিলিমিটার গড়ে ৩/৫ দিন।


আসুন এক নজরে দেখে নেই... বৃষ্টি বলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

জেলার নাম | বৃষ্টির পরিমান (মিমি)


সিলেট ১১০+


সুনামগঞ্জ ১১০+ 


হবিগঞ্জ ৯০+


মৌলভীবাজার ৬০+


রংপুর ৬০+


দিনাজপুর ৭০+


ঠাকুরগাঁও ৫৫+


পঞ্চগড় ৯০+


নীলফামারী ৮০+


লালমনীরহাট ৭০+


কুড়িগ্রাম ১০০+


গাইবান্ধা ৬০+


জয়পুরহাট ৬৫+


নওগাঁ ৫০+


বগুড়া ৪৫+


চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৫+


রাজশাহী ৪৫+


নাটোর ৪৫+


সিরাজগঞ্জ ৫০+


পাবনা ৪০+


খুলনা (উত্তর) ৪০+

খুলনা (দক্ষিন) ৩৫+


সাতক্ষীরা (উত্তর) ৩৫+

সাতক্ষীরা (দক্ষিণ) ৩৫+


বাগেরহাট (উত্তর) ৪০+

বাগেরহাট (দক্ষিন) ২৫+


যশোর ৪৫+


নড়াইল ৩৫+


মাগুরা ৫০+


ঝিনাইদহ ৪৫+


চুয়াডাঙ্গা ৪০+


মেহেরপুর ৪০+


কুষ্টিয়া ৪০+


বরিশাল ৩৫+


পিরোজপুর ৩৫+


ঝালকাঠি ৩০+


পটুয়াখালী ৩০+


বরগুনা ৩০+


ভোলা ৩০+


চট্টগ্রাম ২৫+


ফেনী ২৫+


লক্ষ্মীপুর ৩০+


চাঁদপুর ৩০+


কুমিল্লা (দক্ষিণ) ৩৫+

কুমিল্লা (উত্তর) ৪০+


ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৫+


খাগড়াছড়ি ৩০+


রাঙ্গামাটি ২৫+


বান্দরবান ৫০+


কক্সবাজার ৭০+


নোয়াখালী ৩৫+


ঢাকা ৫৫+


গোপালগঞ্জ ৪০+


মাদারীপুর ৪৫+


শরিয়তপুর ৫০+


ফরিদপুর ৪০+


রাজবাড়ী ৩৫+


মানিকগঞ্জ ৪৫+


মুন্সীগঞ্জ ৪৫+


নারায়ণগঞ্জ ৪৫+


নরসিংদী ৭০+


গাজীপুর ৬০+


টাঙ্গাইল ৫০+


কিশোরগঞ্জ ৭৫+


ময়মনসিংহ ৬৫+


জামালপুর ৮০+


শেরপুর ১০০+


নেত্রকোনা ৬০+

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ২৫+ মিলিমিটার।

২৪ পরগনা ২০+ 


*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতে পারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।

নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় ঝটিকা এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।


পূর্বাভাস তৈরি : বিডাব্লিউওটি।

গ্রাফিক্স : ECMWF Model from Windy


[কপিরাইট : বাংলাদেশে বিডাব্লিউওটি একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই বিডাব্লিউওটি ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]


*DISCLAIMER : এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন। 

এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।


ধন্যবাদ : বিডাব্লিউওটি।

প্রশ্নঃ লো ভোল্টেজে ফ্যান চালালে কি ফ্যান পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে?

 প্রশ্নঃ লো ভোল্টেজে ফ্যান চালালে কি ফ্যান পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে?


আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যান বলতে বুঝি সিলিং ফ্যান টেবিল ফ্যান,ওয়াল ফ্যান ,স্ট্যান্ড ফ্যান ইত্যাদি।দেখতে আলাদা হলেও সবই আসলে একই জিনিস।


সবই সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মোটর।কোনো মোটরের ক্ষমতা নির্ভর করে মূলত ভোল্টেজ আর কারেন্টের উপর।একই শক্তি পাওয়ার জন্য যদি ভোল্টেজ কমান তা হতে তার সাথে কারেন্ট বাড়াতে হবে আবার যদি কারেন্ট কমাতে চান তা হলে ভোলেজ বাড়াতে হবে। কিন্তু প্রতিটা মোটরেরই সর্বোচ্চ ভোল্টেজ বা কারেন্ট লিমিট আছে তার বেশী দেওয়া হলে সেটি অবধারিত ভাবে খারাপ হবে।


বিভিন্ন কলকারখানা থেকে আমাদের কাছে সাধারনত যে মোটরগুলি আসে রিওয়াইন্ডিং এর জন্য তাদের বেশীরভাগের কয়েল পুড়ে যাওয়ার কারন লো ভোল্টেজ।মনে করুন মেসিন একটা নির্দিষ্ট লোড নিয়ে কাজ করছে, হটাৎ করে ভোল্টজ লো হয়ে গেল এখন মোটর চাইবে তার শক্তি কন্সট্যান্ট রাখতে ফলে সাপ্লাই থেকে আরো বেশী কারেন্ট টানবে।


কোনো তারের ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় তখন তার টি গরম হতে থাকে এই তাপ উৎপাদনের হার তারের ভিতর দিয়ে যাওয়া কারেন্টের বর্গের সমানুপাতিক। মানে কারেন্ট দ্বিগুন বাড়লে তাপ চার গুন বাড়বে।

ঠিক এই কারনে লো ভোল্টেজে লোড সহ মোটর বেশী কারেন্ট টানে ফলে মোটরের ওয়াইন্ডিং এর তার খুব গরম হয়ে যায় এবং একসময় পুড়ে যায়।


এই লো ভোল্টেজ থেকে আমরা মোটরকে বাচানোর জন্য আন্ডারভোল্টেজ রিলে ও সার্কিট ব্রেকার লাগানোর পরামর্শ দিই। কাষ্টমার রা সাধারনত বড় মোটর গুলির প্রোটেকশন এর জন্য আমাদের বলেন কিন্তু ছোট মোটরগুলিই খারাপ হয় বেশী।


এত গেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল থ্রি ফেজ মোটরের কথা। এবার একটা মজাদার প্রশঙ্গে আসি। বলুন তো পাখা তে লোড কী? পাখার লোড কি সবসময় এক থাকে?


এক তো পাখার নিজের ব্লেডের ওজন কে তা প্রথমে তার স্থিতিজাড্য থেকে সরাতে হয় তাই ব্লেডের ওজন অবশ্যই একটা লোড লোড।


আর একটা লোড আছে তা হল ভিস্কাস ফ্রিকশান( viscous friction ) লোড। যারা ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন তারা ভালো বুঝতে পারবেন।দুটি তলের মধ্যে ভিস্কাস ফ্রিকশন তাদের রিলেটিভ ভেলোসিটির উপর নির্ভর করে।এর অর্থ হল এই যদি একটি বাতাসের স্তর আর পাখার ব্লেড কে তল হিসাবে কল্পনা করি তা হলে ফ্যানের ব্লেডের স্পীড যত বাড়বে বাতাস ফ্যানের ব্লেড কে ঘুরতে তত বেশী বাধা দেবে।এই বাধা টপকনোর জন্য ফ্যানের মোটর কে আরো বেশী শক্তি প্রদান করতে হবে। যারা ফ্যানের মোটর ডিজাইন করে তারা স্টেডি স্টেট পাওয়ার এর কথা বিবেচনা করেই ডিজাইন করে।


ভোল্টেজ কম হলে মোটর স্লো হয়ে যায় ফলে স্লিপ বেড়ে যায় ।যার ফলে রোটর কারেন্টের ফ্রীকোয়েন্সী বেড়ে যায় ফলে রোটরের পাওয়ার লস বেড়ে যায় ও রোটর গরম হতে শুরু করে। বেশীর ভাগ মোটরের রোটর সলিড স্কুইরেল কেজ টাইপের হওয়ার জন্য পোড়ে না কিন্তু স্টেটর ওয়াইন্ডীং পুড়ে যায়।


ভোল্টেজ যদি খুব কম না হয় (১৫০ ১৮০ভোল্ট) তা হলে চালাতে পারেন তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ভোল্টেজ এর কম হলে চালাবেন না।


মোটর ও ট্রান্সফরমার টেস্টিং ও বেসিক টু এডভ্যান্স নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের বই কমেন্ট সেকশন এ দেয়া আছে

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...