এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াছমিন আমেরিকা প্রবাসী। 

 বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াছমিন আমেরিকা প্রবাসী। 


বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।

দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে।


আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেন এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। 


২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। এরপর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।


কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন অধ্যাপক আউয়াল।

তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এই জন্য এতো কষ্ট করে ওদের মানুষ করেছিলাম?

অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গা*লি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। 

ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে।

এ অধ্যাপক আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

🇯🇵অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরিব, মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে। 

তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ববোধটাও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ


(Collected from Bani ছিরন্তনি)

শুভার্থী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 পিরোজপুরের মাদ্রাসাছাত্রী আমিনাকে 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদসূচক চিঠি...


যেই চিঠি দেখে বোঝা যায় সেই সময় রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা সকল প্রকার বাঙালীর কাছে কত বেশি ছিলো! সময়টা ১৯৪০ এর দিকে।


শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন মহাফেজখানায় রবীন্দ্রনাথের কয়েক হাজার চিঠির সচিবকৃত অবিকল নকল সংরক্ষিত আছে। কবির হাতে লেখা মূল চিঠি প্রাপকের কাছে ডাকে পাঠানোর আগে তাঁর সচিব চিঠির অনুলিপি করে রাখতেন। তাঁকে লেখা ভক্ত–অনুরাগী ও অন্যদের মূল চিঠি কবি সযত্নে রক্ষা করতেন।

এমনই একটি চিঠি রবীন্দ্রভবনের নথিতে পাওয়া যায় দুই দশক আগে। চিঠিটি জনৈক কিশোরী আমিনা মোজাহারের লেখা। তারিখ ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ। তৎকালীন বৃহত্তর বরিশালের অবিভক্ত বাকেরগঞ্জ জেলার পিরোজপুর মহাকুমার স্বরূপকাঠি থানার আকলম গ্রাম থেকে পাঠানো কয়েক লাইনের সম্বোধনহীন ছোট চিঠি। নিচে লেখিকার ঠিকানা: চতুর্থ শ্রেণি, আকলম আহমদিয়া জুনিয়র মাদ্রাসা, স্বরূপকাঠি, বাকেরগঞ্জ।


কাজী আমিনা মোজাহার কাজী মোজহার উদ্দীন আহমদ ও হাকিমুন্নেছার কন্যা। স্বরূপকাঠির আকলম আহমদিয়া জুনিয়র মাদ্রাসার ওই তালেবে এলেম- পরবর্তীতে বরিশাল সৈয়দানুন্নেসা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (১৯৪৭), ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে আইএ (১৯৪৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স এবং এমএ (১৯৫৮) পাস করেন। হলি ক্রস কলেজ ও ময়মনসিংহ মুমিনুন্নেসা কলেজে শিক্ষকতার পর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি সওগাতসহ অন্যান্য সাময়িকপত্রে রচনা প্রকাশ করেন এবং ভাষা ও বিরচন নামে পাঠ্যবই লেখেন। পরিণত বয়সে আমিনা চারণ করেছেন তাঁর রবীন্দ্রস্মৃতি। পাঠ্যবইয়ে আর চয়নিকায় কবির কবিতার সঙ্গে প্রথম পরিচয় তাঁর। প্রবেশিকা পাঠ্য বাংলা সংকলনে ‘শা–জাহান’ কবিতার আবৃত্তি শুনেছিলেন। পাঠ্যবইয়ে শামসুন্নাহার মাহমুদ ও আনোয়ারা [বাহার] চৌধুরীর লেখা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে প্রবন্ধ পড়েছেন। তাঁর নিজের কথায়:

‘আমি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে একটা মধুর আত্মীয়তা অনুভব করতে লাগলাম। আর এই স্পর্ধাটুকুই তাঁকে চিঠি লিখতে উদ্বুদ্ধ করলো আমাকে।...একদিন অতি সঙ্গোপনে বাড়ির সবাইকে লুকিয়ে একখানা চিঠি লিখে ফেললাম।’


এক গরমের দুপুরে পোস্টমাস্টার আমিনার বাবাকে ডেকে পাঠালেন। মোজহার উদ্দীন রবীন্দ্রনাথের প্রতীক [মনোগ্রাম] আঁকা চিঠিটি মেয়েকে দিলেন।

চিঠি পাওয়ার পর বালিকার প্রতিক্রিয়া:

‘আমি পড়তে পারলাম না। আমার সমস্ত হৃদয়মন বারবার শিহরিত হতে লাগল। আমি বিছানায় শুয়ে কাঁদলাম। বাবাও জোহরের নামাজ পড়ে জায়নামাজে বসে মোনাজাত করতে করতে কাঁদলেন।’ (উদ্ধৃত, কাজী সাইফুদ্দীন ওমর, ‘স্বরূপকাঠির প্রত্যন্ত পল্লীগ্রামে রবীন্দ্রনাথের চিঠি’)।


আমিনার যে সম্বোধনহীন চিঠির আশীর্বাদী উত্তর দিয়েছিলেন কবি, সেই চিঠির পাঠ:

➡️ আকলম

১৩ই জ্যৈষ্ঠ

আপনি আমাকে চিনেন না। কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। বাংলা বইয়ের মধ্যে আপনাকে দেখেছিও। আপনি আমাদের ছোট ছেলেমেয়েদের খুব ভালবাসেন। আবার আমরা চিঠি লিখলে উত্তরও নাকি দেন। তাই আমি চিঠি লেখছি (ক.) উত্তর দিবেন কিন্তু। আচ্ছা আপনাকে কি বলে ডাকব?

কুমারী আমিনা মোজাহার

চতুর্থ শ্রেণী

আকলম আহমদিয়া জুনিয়র মাদ্রাসা

পো. স্বরূপকাঠি, বাকেরগঞ্জ।


↔️ কবির ছোট আশীর্বাদী চিঠির বয়ান:

GOURIPUR LODGE

KALIMPONG

কল্যাণীয়াসু

তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুশি হলুম। আমার আশীর্বাদ গ্রহণ কর। ইতি ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭

শুভার্থী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


ছবিতে সেই আমিনা মোজাফফর যাকে রবীন্দ্রনাথ পত্র পাঠান।


সংগৃহীত✍️

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

৪০ বছর পর থেকে শরীরে বিভিন্ন রোগ অজান্তে বাসা বাঁধতে শুরু করে,,

 ৪০ বছর পর থেকে শরীরে বিভিন্ন রোগ অজান্তে বাসা বাঁধতে শুরু করে,,

 এই জন্য যে সকল মেডিকেল টেস্ট করা জরুরী। 

প্রতিবছরে কমপক্ষে একবার পরীক্ষা করা ভালো।


(১).কোলেস্টেরল পরীক্ষা করতে হবে।

যেমন-Lipid Profile.


(২).রক্তের ডায়াবেটিস আছে কিনা জানতে হবে।

যেমন-GTT.

 

(৩). থাইরয়েডের পরীক্ষা করতে হবে।

যেমন-TSH.


(৪).কিডনির ফাংশান টেস্ট করতে হবে।

যেমন-S.Creatinine.


(৫).লিভার ফাংশন ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।

যেমন-S.BILIRUBIN, SGPT, SGOT.

 

(৬).রক্তে কোন রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে

যেমন-CBC.


(৭).প্রোস্টেট নির্দিষ্ট এন্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।

যেমন-PSA.

 

(৮).উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা করতে হবে। 

যেমন-ECG.


(৯). পেটের ভিতরে যে কোন সমস্যা থাকলে পরীক্ষা করতে পারেন। যেমন-USG OF WHOLE ABDOMEN.


(১০). বুকের যেকোন সমস্যার জন্য করতে পারেন। 

যেমন-X-RAY CHEST P/A VIEW.


 (১১). প্রস্রাবের যে কোন সমস্যার জন্য করতে পারেন। 

যেমন-URINE RE/ME.


-Doctor Mohammad Ali.

বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়" — একটি রম্য রচনা

 "বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়"

— একটি রম্য রচনা


বিয়ে একটা ইনস্টিটিউশন। কেউ কেউ বলেন, এটা একটা পবিত্র বন্ধন। আমি বলি, এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে তোমার মেজাজ, সহ্যশক্তি, মনোসংযোগ— সবকিছুর পরীক্ষা হয় রোজ রোজ।


বিয়ের পর পুরুষটা বুঝতে পারে, ওর শব্দভান্ডারে 'হ্যাঁ সোনা,বেবী, ওগো কিগো', 'তুমি ঠিক বলছো', আর 'আমি দুঃখিত'— এই তিনটা বাক্যই আসল অস্ত্র। আর মহিলারা? তারা বুঝে যায়, সংসার চালাতে গেলে রান্নার চেয়ে বেশি জরুরি হলো কানের জোর আর মুখের গতি।


একবার বউ বলল,

– “তুমি কখনো আমার কথা মন দিয়ে শোনো না।”

আমি চমকে বললাম,

– “তা আমি এখন কী করছি!”

সে বলল,

– “তুমি তো জানোই না, আমি কী বলেছি!”

আমি বললাম,

– “তাই তো! তুমি আবার বলো!”

সে বলল,

– “না, এখন বলব না। যখন দরকার হবে, তখন বলব, আর তখন না শুনলে কেলেঙ্কারি হবে।”


এই হলো বিবাহ নামক ধাঁধাঁর এক কোণা। বাকি কোণাগুলো আরও ভয়ানক।


সপ্তাহে একদিন রুটি খাওয়ার কথা বললে, সে বোঝে তুমি তাকে রান্না থেকে অব্যাহতি দিতে চাইছো না— তুমি তাকে উপেক্ষা করছো। আর যদি বলো, “চলো বাইরে খেতে যাই”— সে বলে, “মানে তোমার মনে হচ্ছে আমার রান্না ভালো না?”


বিবাহিত জীবন মানে হলো— প্রতিদিন সকালবেলা একটা যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, আর রাতে সেই যুদ্ধের রিপোর্ট লেখা।


আমার বন্ধু বলেছিল,

– “বউয়ের সঙ্গে তর্ক করিস না, কারণ শেষ পর্যন্ত যদি তুই জিতেও যাস, হারতে তোকেই হবে।”

আমি হেসে বললাম,

– “তাহলে তর্ক করি কেন?”

সে বলল,

– “কারণ, আমরা তো মানুষ… বোকা নই!”


সংসারে প্রেম থাকে না বললে ভুল হবে। প্রেম থাকে, তবে সেটা চা খাওয়ার সময় শেষ বিস্কুট কে খাবে তা নিয়ে। ভালোবাসা থাকে, কিন্তু সেটা কে রিমোট কন্ট্রোল ধরবে তা নিয়ে।


আর একটা কথা, কেউ যদি বলে, “ওদের কখনো ঝগড়া হয় না”— বুঝে নাও, ওরা কথা বলে না।


তাই বলি, বিবাহ হলো এক চিরন্তন নাটক, যেখানে দুজন প্রধান চরিত্র সারাজীবন চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজেদের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অন্যজনকে পরিচালনা করতে। তবে শেষ পর্যন্ত গল্পটা মিষ্টি হয়— যদি কেউ একজন অভিনয় করতে জানে, আর অন্যজন সহ্য করতে।


" অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছিলেন- ম্যারেজ ইজ এ পারমানেন্ট ডিসএগ্রিমেন্ট,,,,মানে স্থায়ী একটা মতের অমিল।


স্বামী আর স্ত্রীর মতের মিল হলে, বিবাহিত জীবনের সমস্ত স্বাদই চলে গেল।

সেই দাম্পত্য জীবন আলুনি তরকারির মতো। চিনি আর দুধ ছাড়া চায়ের মতো। লেজ- কাটা বেড়ালের মতো। গোঁফ - কামানো বাঘের মতো। শব্দহীন ঝরনার মতো। নিঃশব্দ হাটের মতো। ফ্যাঁস আর ফোঁস এই হল দাম্পত্য জীবন।

আমি ফ্যাঁস করব, তিনি ফোঁস করবেন। লাগাতার খিচিমিচিরের নাম বিয়ে। কি বড়, কি ছোট জীবনের যে- কোন ব্যাপারে   দুজনের দুরকম মত।

কোন বিশ্বসংস্থার ক্ষমতা নেই সেখানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার। "


‌------সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়


একদম! নিচে আরও মজাদার, খাঁটি রম্য রচনার ঢংয়ে "বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়" সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব দিলাম—


"বিবাহ-বিশ্ববিদ্যালয়: দ্বিতীয় বর্ষের সিলেবাস"


প্রথম বর্ষে স্বামী শিখে যায়, স্ত্রীর কথায় মাথা নাড়ানোই সর্বোত্তম জ্ঞান।

দ্বিতীয় বর্ষে এসে সে বুঝে যায়, কবে কোন কথায় নাড়াতে হবে, আর কবে চুপ করে থাকা শ্রেয়।


স্ত্রী জিজ্ঞেস করল,

– “আমি মোটা হয়ে গেছি?”

স্বামী জানে, এটা প্রশ্ন নয়— এটা একটা মাইনফিল্ড।

সে যদি বলে, “না, একদম না”— স্ত্রী বলবে, “তুমি খেয়ালই করো না আমি কত কষ্টে ডায়েট করি!”

আর যদি বলে, “হ্যাঁ”— তাহলে পরের দুই সপ্তাহের চা ছাড়া!


সংসার হলো এক অলিম্পিক খেলা—

“তর্কবাজি, মানভাঙানো, কাপ ধোওয়া ও রিমোট দখল”— এই চার ইভেন্টে স্বামী-স্ত্রী প্রতিদিন গলা ছেঁড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করে।


আর সন্তান থাকলে, সে হয় “ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং”-এর অংশ।

কার কোলে ঘুমাবে, কার পাশে বসে খাবে, কে তাকে গল্প শোনাবে— এসব নিয়ে প্রতিদিনই সংসারে রণভেরি।


একদিন সকালে আমি হালকা মন খারাপে বললাম,

– “ঘরে একটু শান্তি চাই।”

স্ত্রী বলল,

– “বাহ! তুমি কি ডিভোর্স চাও?”

আমি বললাম,

– “না মানে একটু টিভির আওয়াজ কমাও।”

সে বলল,

– “তুমি আবার আমাকে দোষ দিচ্ছো!”


এই হলো বিবাহিত জীবনের কেমিস্ট্রি। যেখানে H2O মানে পানি না— মানে হলো "হ্যাঁ হুজুর ও ওগো"।


তবুও, দিনের শেষে যখন দু’জনে একসাথে খেতে বসি, ছেলেমেয়েরা পাশে খেলে— তখন বুঝি, এই “ঝগড়া-ঝাটি সংসার”টাই আসলে সবচেয়ে শান্তির জায়গা।

তবুও মাঝে মাঝে রিমোটটা আমার হলে ভালো হতো!

ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।

 ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।


ধানের অন্যতম শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং। এটি কারেন্ট পোকা নামেও পরিচিত। এগুলোর গায়ের রঙ বাদামী বা গাঁড় বাদামী হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক পোকা লম্বা ও খাটো দু' ধরনের হয়ে থাকে। এগুলোর দেহ খুবই নরম এবং স্ত্রী পোকার পেট পুরুষ অপেক্ষা বেশি বড়। পূর্ণবয়স্ক পোকা ৩.৫ থেকে ৫.০ মিঃ মিঃ লম্বা হয়ে থাকে। লম্বা পাখা বিশিষ্ট পূর্ণবয়স্ক বাদামী ফড়িং গুলো প্রথমে ধান ক্ষেতে আক্রমণ করে। এরা পাতার খোলে এবং পাতার মধ্য শিরায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৭ থেকে ৯ দিন সময় লাগে। বাচ্চা গুলো ৫ বার খোলস বদলায় এবং পূর্ণবয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে ১৩ থেকে ১৫ দিন সময় নেয়।


জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমন:


*পোকার বংশবৃদ্ধি কম থাকতেই জৈবিক দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। 


* আক্রান্ত জমির পানি ৭-৮ দিনের জন্য সরিয়ে ফেলতে হবে। 


* আক্রমণ প্রবণ এলাকায় প্রতিরোধী জাত যেমন ব্রি ধান-২৮, ৩৩, ৩৫, বিনা ধান-৭ চাষ করা। 


* ধান গাছ হাত দিয়ে ভাগ-ভাগ করে ফাঁকা করে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া। 


* আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ না করা। 

আক্রমণ প্রবণ এলাকায় ২৫ সেমি দূরে-দূরে চারা রোপন করতে হবে। 


* সর্বোপরি আলোর ফাঁদ ব্যাবহার করে জমিতে হাঁস ছেড়ে দেওয়া, ক্ষেতে ডালপালা পুঁতে বা জমিতে উপকারী পোকার আক্রমণ বাড়ানো।


রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা:


শতকরা ৫০ ভাগ ধান গাছে ২-৪টি ডিমওয়ালা স্ত্রী পোকা অথবা ১০টি বাচ্চা পোকা প্রতি গোছায় পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা। যেমন: আইসোপ্রোকার্ব গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মিপসিন বা সপসিন ২.৬ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা । ( ১০ লিটার পানিতে ২৬ গ্রাম মিপসিন বা সপসিন মেশালে ৫ শতাংশ জমি স্প্রে করা যাবে।) অথবা পাইমেট্রোজিন+নিটেনপাইরাম জাতীয় কীটনাশক ( যেমন- পাইরাজিন, হপারশট, পাইটাফ, প্লেনাম ইত্যাদি) অথবা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ইমিটাফ ১২৫ মিলি/ হেক্টর (০.২৫ মিলি/ লি) হারে বা ইমপেল (০.৫ মিলি/ লি) হারে অথবা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ক্লাসিক ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছের গোঁড়ায় স্প্রে করা। বাদামী গাছ ফড়িং গাছের গোঁড়ায় থাকে এ জন্য স্প্রে দ্বারা গাছে কীটনাশক ঔষধ ছিটানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়া ভালো ভাবে ভিজেয়ে স্প্রে করতে হবে।


করনীয়:


১। যে সব এলাকায় সব সময় বাদামী গাছফড়িং এর উপদ্রব হয় সে সব এলাকায় তাড়াতাড়ি পাকে ( যেমন: বিনাধান-৭ বা ব্রি ধান৩৩ ) এমন জাতের ধান চাষ করুন । 


২। চারা থেকে চারা ৩০ সে.মি ও লাইন থেকে লাইন ৪০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগান। 


৩। জমিতে সুষম পরিমাণে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহারের জন্য এনপিকে গুটি প্রয়োগ করুন ।


৪। ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।

MD. MONSUR ALI PERSONAL: ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও...

MD. MONSUR ALI PERSONAL: ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও...:  ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ। নিচে ছাগল পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো: ১. কম খর...

ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ।

 ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ। নিচে ছাগল পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো:


১. কম খরচে বেশি লাভ

ছাগল পালন শুরু করতে গরু বা মহিষের মতো বড় পশুর তুলনায় অনেক কম বিনিয়োগ লাগে। অল্প পুঁজি নিয়ে সহজেই ছাগল খামার গড়া যায়।


২. দ্রুত বংশবৃদ্ধি

ছাগল বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং একবারে সাধারণত ২-৩টি করে বাচ্চা হয়। ফলে খুব দ্রুত একটা বড় খামার গড়ে তোলা সম্ভব।


৩. কম জায়গায় পালনযোগ্য

ছাগল পালনে বিশাল জায়গার দরকার হয় না। অল্প জায়গায় ঘর করে ও চারার ব্যবস্থা করে ছাগল পালন করা যায়, বিশেষ করে গ্রামের পাশাপাশি শহরের পাশ্ববর্তী এলাকাতেও।


৪. খাদ্য ব্যবস্থাপনা সহজ

ছাগল তুলনামূলকভাবে সহজে খাবার গ্রহণ করে। ঘাস, লতা-পাতা, গাছের পাতা ইত্যাদি খেয়েই তারা বাঁচতে পারে। ফিড খরচ কম, আবার ঘাস চাষ করেও খাবারের জোগান নিশ্চিত করা যায়।


 ৫. মাংস ও দুধে চাহিদা বেশি

বাংলাদেশে ছাগলের মাংসের চাহিদা সবসময়ই বেশি। এটি সুস্বাদু ও তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। আবার কিছু জাতের ছাগল দুধও দেয়, যেমন জামুনাপাড়ি, সুড়াহি ইত্যাদি।


 ৬. ঔষধি ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত হয়

ছাগলের দুধ ও মলমূত্র থেকে কিছু আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ প্রস্তুত হয়। কিছু প্রসাধনী পণ্যে ছাগলের দুধ ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে বিদেশে।


 ৭. ঈদুল আজহায় বাড়তি আয়

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ছাগল পালন করলে একবারেই বড় অঙ্কের আয় করা যায়। কোরবানির সময় ছাগলের দাম বাড়ে এবং ভালো মানের ছাগল বিক্রি করে ভালো লাভ হয়।


৮. বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়ক

ছাগল পালন এককভাবে বা সমবায় ভিত্তিতে শুরু করে একজন বেকার যুবক বা নারী নিজেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারেন। এটা পরিবারকেও স্বনির্ভর করে।


 ৯. জৈব সার উৎপাদন

ছাগলের বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবে কৃষি জমিতে ব্যবহার করা যায়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং রাসায়নিক সার নির্ভরতা কমায়।


 ১০. রপ্তানির সম্ভাবনা

ভালো জাতের ছাগল বা তাদের মাংস বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ছাগলের মাংসের চাহিদা আছে।


আপনি যদি স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক কোনো উদ্যোগ খুঁজে থাকেন, তবে ছাগল পালন হতে পারে একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।


#কৃষি 

#বাংলাদেশ 

#ছাগলের_খামার 

#কালেক্টেড

কালান্তর/নারী)                  __রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

 সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার পেশা কী?


রোগী: আমি একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট্যান্ট।


সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন?


রোগী: সে কিছু করে না, সে গৃহিণী।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সকালের নাস্তা কে বানায়?


রোগী: আমার স্ত্রী, কারণ সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সকাল কয়টায় ওঠেন আপনার স্ত্রী?


রোগী: ভোর পাঁচটার দিকেই উঠে যায় সে, ঘরদোর ঝাড়ু দিয়ে তারপর নাস্তা বানাতে হয়। এ কিছু না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসতে হয় না?


রোগী: হয়। আমার স্ত্রী নিয়ে যায়, নিয়ে আসেও সে-ই। কারণ, সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আপনার স্ত্রী ওখানেই বসে থাকেন?


রোগী: না না। ওখানে বসে থাকলে বাজার করবে কে? বাজার শেষ করে বাড়ি যায় সে, তারপর রান্নাবান্না করে, জামাকাপড় ধোয়। আপনাকে তো বললামই, সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে কী করেন আপনি?


রোগী: বিশ্রাম নিই। কারণ, সারাদিনের কাজের ধকলে শরীর আর কুলিয়ে ওঠে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন তখন?


রোগী: আমার জন্য চা বানায়, বাচ্চাদের পড়তে বসায়, তারপর রাতের খাবার রাঁধে। রাতের খাওয়া শেষে থালাবাটি ধুয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ায়। এসব করতে তার সমস্যা হয় না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: এবার আপনার সমস্যাটি বলুন। দেখি আমি কী করতে পারি।


রোগী: কাজ শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীর বেকার জীবনের সুখ দেখে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। এ কি স্বাভাবিক ঈর্ষাকাতরতা? নাকি কোনো রোগ?


সাইকিয়াট্রিস্ট: এটা অসুস্থতা। এর নিরাময় খুবই সহজ, যদি আমার প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেন। আগামী এক সপ্তাহ আপনি কাজ থেকে একটু আগে বেরুবেন, তারপর আমার দেওয়া এই তালিকার মানুষগুলোর সবাইকে, দৈনিক একজন করে খুঁজে বের করে, তাদের কর্মকাণ্ড মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করবেন। সবার কাজ দেখা শেষ হলে, আমার কাছে আসবেন আবার; যদি আসার প্রয়োজন আছে মনে করেন তো! এই নিন তালিকা:


১ম দিন- অফিসের পিয়ন

২য় দিন- হাসপাতালের নার্স

৩য় দিন- কাজের মেয়ে

৪র্থ দিন- বাচ্চাদের আয়া

৫ম দিন- রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি

৬ষ্ঠ দিন- ধোপা

৭ম দিন- ঝাড়ুদার


এক সপ্তাহ পর ওই ভদ্রলোক আর আসেননি মানসিক ডাক্তারের চেম্বারে।


যে কাজে অসুস্থতার জন্য ছুটি নেই, যে কাজে সাপ্তাহিক বন্ধ নেই, যে কাজে দৈনিক ৮ ঘণ্টার নিয়ম নেই, যে কাজে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা অন-কল হাজিরা দিতে হয়, সেই সনদবিহীন কাজটির সাহায্য পেয়েই আমি আপনি আমরা সবাই নিশ্চিন্ত থাকি।


"আপনি কোনো কাজ করেন, নাকি স্রেফ হাউজওয়াইফ?" — ভেতরে ন্যুনতম শিক্ষা থাকলে কোনো নারীকে এই প্রশ্নটি আর করবেন না আজকের পর থেকে।


"গৃহিণীরূপে জননীরূপে মেয়েদের 

যে-কাজ সে তার আপন কাজ,

        সে তার স্বভাবসঙ্গত"


.                    (কালান্তর/নারী) 

                __রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🌹🙏

এক রাজা ছিলেন, যার ছিল চারজন স্ত্রী।

 এক রাজা ছিলেন, যার ছিল চারজন স্ত্রী।


চতুর্থ স্ত্রীকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। সোনা, হীরা, দামি পোশাক—সব দিয়ে সাজাতেন তাকে। সবসময় তার খেয়াল রাখতেন।


তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন রূপসী ও আকর্ষণীয়। রাজা তাকে নিয়েই গর্ব করতেন, কিন্তু মনে মনে ভয়ও করতেন—এই স্ত্রী হয়তো একদিন কাউকে ভালোবেসে তাকে ছেড়ে চলে যাবে।


দ্বিতীয় স্ত্রী সবসময় রাজার পাশে ছিলেন। সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সাহায্য করতেন, বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন, কিন্তু ভালোবাসার জায়গায় তিনি তেমন গুরুত্ব পাননি।


প্রথম স্ত্রী ছিলেন সবচেয়ে অবহেলিত। তিনি নীরবে সব সহ্য করতেন, রাজাকে সবসময় ভালোবেসে পাশে থাকতেন, কিন্তু কখনোই তার প্রাপ্য ভালোবাসা পাননি।


একদিন রাজা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বুঝলেন, সময় ফুরিয়ে এসেছে। তখন ভাবলেন, মৃত্যুর পরে কে তার সঙ্গী হবে?


প্রথমে চতুর্থ স্ত্রীকে বললেন,

“তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছি, তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে?”

সে স্পষ্ট বলল, “না, একদম না!”—এবং চলে গেল।


এরপর তৃতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল,

“আমি কেবল মৃত্যুর দিন পর্যন্ত থাকতে পারি, এরপর আমি নতুন জীবন শুরু করব।”


দ্বিতীয় স্ত্রী বলল,

“আমি তোমার কবর পর্যন্ত যাব, কিন্তু সেখানেই আমার পথ শেষ।”


হঠাৎ রাজা শুনলেন, কারও শান্ত কণ্ঠস্বর—

“আমি তোমার সঙ্গে যাব, যেখানেই যাও না কেন।”


রাজা অবাক হয়ে দেখলেন, সেই কণ্ঠ প্রথম স্ত্রীর।

তাকে এতটাই ক্লান্ত, দুর্বল আর অবহেলিত দেখাচ্ছিল যে, রাজার চোখে জল এসে গেল।


তিনি বললেন,

“আমি যদি তোমার যত্ন নিতাম! আজ বুঝছি, আসলে তুমিই ছিলে সবচেয়ে আপন!”


গল্পের শিক্ষাঃ


এই চার স্ত্রীর প্রতিটি আমাদের জীবনের একেকটি প্রতীক—


চতুর্থ স্ত্রী হলো আমাদের শরীর, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি যত্ন নিই, সাজাই; কিন্তু মৃত্যুর পর এটাই আমাদের প্রথম ছেড়ে যায়।


তৃতীয় স্ত্রী হলো সম্পদ, যেটা মৃত্যুর পর অন্যের হয়ে যায়।


দ্বিতীয় স্ত্রী হলো পরিবার ও বন্ধু, যারা কেবল কবর পর্যন্তই আমাদের সঙ্গে থাকে।


আর প্রথম স্ত্রী হলো আমাদের আত্মা, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি, অথচ মৃত্যুর পরে একমাত্র ওটাই আমাদের সঙ্গে থাকে।


জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই, কিন্তু আত্মার যত্ন নিতে ভুলবেন না। কারণ সেই আত্মাই আপনার চিরসঙ্গী,,,,

Nusrat Chowdhury 

#viralpost #fb #foryouシ #viralpost2025シ #viralpost2025 #views1m #everyoneシ゚ #story #storytelling #storytime

ভুলের  ভুলভুলাইয়া খেলা 

 ভুলের 

ভুলভুলাইয়া খেলা 


দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি এটা আরো খারাপ হয়, এটা পনির হয়ে যায়। দই এবং দুধের চেয়ে পনিরের মূল্য অনেক বেশি।


আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে আরো মূল্যবান করে তোলে।


ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন? তিনি বলছিলেন, 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'


ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।


কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই সবই নতুন শিক্ষা।'


বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।'


'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার !


কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না !


মাঝে মাঝে ভুল লিখো তাহলে যে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে।


বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'


বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'


কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'


অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'


হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'


এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'


কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!


যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!


পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! মুছা না গেলে চিত্র হয় না!


কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!


তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি।

আপনার ভুলগুলিকে আপনাকে নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে শিখি যা নিখুঁত করে তোলে!


সৌজন্যে আঞ্জুমান আরা

নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন।  নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন।  মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে...