এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

সুচিত্রা সেনের সকালের নাস্তা🌷

 সুচিত্রা সেনের সকালের নাস্তা🌷


সকালের নরম আলো যখন জানালার পর্দা ছুঁয়ে ঘরে পড়ে, তখন তার দিনটা শুরু হতো এক পরিমিত নাস্তার টেবিল দিয়ে।

চিরকাল রুচিশীল সুচিত্রা সেনের সকালের শুরুটা ছিল স্নিগ্ধ আর পরিপাটি—

 • হালকা লিকার চা, লেবু আর মধু মিশিয়ে

 • দু’টুকরো ব্রাউন টোস্ট, সামান্য মাখন লাগানো

 • মাঝে মাঝে সিদ্ধ ডিম

 • এক ছোট পাত্রে মৌরি বা শুকনো ফল


নাস্তা কখনোই ভারী নয়, বরং ছিল তার স্টাইলের মতোই মৃদু আর মার্জিত।


সুচিত্রা সেন—এক কিংবদন্তী, যাঁর সকালের নাস্তাও ছিল একরকম শিল্প।

চুপচাপ, নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত।

সবচেয়ে বড় পাতা জাতের উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি হলো ভেন্না গাছ।

 সবচেয়ে বড় পাতা জাতের উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি হলো ভেন্না গাছ।


ভেন্না বিনা চাষেই বর্ষাকালে গজায় এবং হেমন্ত ও শীতকালে ফুল ও ফল ধরা শুরু করে।গাছের বয়স দুই থেকে তিন মাস হলে শাখায় শাখায় ফুলের কাঁদি হয়। ভেন্না  তৈল তরকারি রান্না ও পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। গরম ভাতের সাথে খেলে খাবারে রুচি বাড়ে। এ তেল নিয়মিত ব্যবহারে মাথা ঠাণ্ডা থাকে। শরীরের যেকোনো কালো দাগ বা আগুনে পোড়া দাগ মিলাতে এ তেল বিশেষ কার্যকরী।ডোবা-নালার নোংরা পচা পানিতে নামার আগে এ তেল শরীরে মেখে নিলে শরীর চুলকায় না এবং জোঁক কামড়ায় না। এর কাঁচা বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে বিশেষ কার্যকর। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগলেও তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।

গল্প: নষ্ট মেয়ে 18+ গল্প।ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পুরু* ষাঙ্গের প্রথম স্পর্শ! 

-পেয়েছিলাম ১৫ বছর বয়সে। যখনি যৌবনে পা রাখি ঠিক তখনি রাকিব আমাকে এক প্রকার জোর করেই  দ র্ষ*ন  করেছিলো। 


-রাকিব হচ্ছে  আমার মামাতো ভাই,  তো একদিন মায়ের কাছে বায়না ধরলাম মা আমি  মামার বাসায় ঘুরতে যাবো। 


-মা বলেছিলো না আমি  যখন যাবো তোকে সাথে নিয়েই যাবো।  কিন্তু  আমি  হার মানার পাত্রি ছিলাম না।  আমি  এক প্রকার জোর করেই  মামার বাসায় বেড়াতে আসি। 


- আসার সময়  মা শুধু  বলেছিলো যে মেয়ে বাবা মার কথা শুনে না যাই হোক আল্লাহ্  তার ভালো  করেনা।  এই কথাটি শুনে আমি হেসে বলেছিলাম।


- শগুনের দোয়ায় কি মা গরু মারা যায়।  এই কথাটি শোনার পরে মা আর কোন কথাই বলেনি।  তাই আমি  ও কোন প্রকার আর কথা না বাড়িয়ে মামার বাসায় চলে আসি। 


এসেই দেখি মামি বসে আছে। 


-আসসালামু  ওয়ালাইকুম মামি কেমন আছেন?


-ওয়ালাইকুম আসসালাম! আরে পাখি যে।  হঠাৎ  করে কোন খোজ খবর না দিয়েই আসলি যে। 


( ওহ হ‍্যা আমার নাম কিন্তু  পাখি বলতেই ভূলে গিয়েছিলাম ) 


পাখি: মামি মনটা ভিষন  খারাপ  ছিলো। বাসায় কিচ্ছু ভালো  লাগতেছিলো না মাকে বললাম মা মামা মামির বাসায় যাই।  তো মা বললো যে আমি যখন যাবো তখন সাথে নিয়ে যাবো।  আমি  বললাম না আমি  আজকেই যাবো। আর আজকেই আসলাম তাও আবার জোর করে। 


মামি :  হুম এসেছো খুব ভালো  করেছে।  এখানে থাকো দেখবা অটোমেটিক  মন ফ্রেশ হয়ে গেছে। 


পাখি : হুমম।  আচ্ছা  মামি রাকিব ভাইয়া কোথায়  দেখতেছি না যে। 


তো পাখির কথা শুনে ওর মামি রাকিব কে ডাকতেছে। 


মামি : রাকিব এই রাকিব বাহিরে আয় দেখ কে এসেছে।


একটু পরে রাকিব আসে। 


রাকিব : কি হয়েছে মা ডাকতেছো কেনো। 


মামি: পাখি এসেছে ওকে গেস্ট রুমে পাঠিয়ে দিলাম যা দেখা করে আয়। 


রাকিব : ঠিক আছে মা যাচ্ছি। 


এর পরে সোজা রাকিব গেস্ট রুমে চলে আসে। এসেই দেখে যে পাখি পোশাক  চেন্স করতেছে। এটা দেখে রাকিব একটু গালা হাসর দেয়। 


গালা হাসরের শব্দ পেয়ে পাখি চমকে উঠে আর নিজের পোশাক ভালো  করে। 


পাখি : ভাইয়া তুমি  কখন আসলে রুমে। 


রাকিব : এই তো এই মাত্র  আসলাম এসেই দেখি তুই.......?  থাক আর লজ্জা  পেতে হবে না। আমি কিচ্ছু দেখিনাই। 


রাকিবের এমন কথায় পাখি একটু লজ্জা  পেয়ে যায়। 


পাখি : হুমম ঠিক আছে।  তুমি  কেমন আছো। 


রাকিব : হুম ভালো  আছি রে তুই। 


পাখি: হুম ভালো  আছি আমি ও। তুমি  তো অনেক বড় হয়ে গেছো। 


রাকিব : তুই ও অনেক বড় হয়েছিস। আর অনেক সুন্দর  বটে হয়েছিস। 


পাখি :  থাক পাম দিতে হবে না আর। 


রাকিব : পাম না রে সত্যি  বলতেছি। মনে ত হয় 4/5 Bf  বানাইছিস। 


পাখি: আরে তুমি  কি যে বলো না। আমি ত এখনো ছোট্ট  প্রেমেই করিনাই। 


রাকিব : আচ্ছা  থাক পরে কথা হবে। তুই চেন্স কর সব কিছু আমি গেলাম আমার  রুমে। 


এর পরে রাকিব রুমে এসে ভাবতে থাকে পাখির সেই পোশাক চেন্স করার দৃশ্য । উফফ কি যে ভালো  লাগতেছিলো কেনো যে গালা হাসর দিতে গলাম।  আর এই চান্স কি কখনো পাবো।  কেমন করে হয় হোক পাখি কে পটাতেই হবে সেই জি*নিস হয়েছে দেখতে? 


এই ভবতেছে আর পরতেছে।  পরায় যেনো মনেই আসতেছে না পাখিকে দেখার পর থেকে। মাথায় শুধুমাত্র  একটা চিন্তাই  আসতেছে কেমন করে হয় হোক পাখির সাথে শারী*রিক  সম্পর্ক করতেই হবে?


-যেই ভাবা সেই কাজ। 


রাতে যখন সবাই খাওয়া দাওয়া করে  নিজ নিজ রুমে ঘুমিয়ে পরে এই ফাকে রাকিব ঠিক রাত যখন 12 টা বাজে  সোজা পাখির রুমে চলে যায়।   


-কিন্তু  গিয়ে দেখে দরজা লক করা ভিতর থেকে।  আবার নিজের রুমে এসে রাকিব এক্সট্রা যে চাবি থাকে ওই চাবি নিয়ে গিয়ে দরজার লক খুলে ভিতরে ডুকে।  


আবার লক করে দেয় যাতে কেউ বুজতে না পারে ভিতরে কেউ আছে। 


-তো ভিতরে এসে দেখে যে পাখি ঘুমের ঘোড়ে আছে।  এই অবস্থায়  যেনো পাখি কে একটি ঘুমন্ত পরি মনে হচ্ছিলো। 


এই সব দেখে রাকিব আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। সোজা গিয়ে পাখির শরীরের  উপর উঠে পরে ইচ্ছে মতো পাখি কে কিস করতে থাকে গলায়, ঘাড়ে, বিভিন্ন  স্থানে।  যখনি পখির ঠোটে কিস করতে ধরেছে ঠিক তখনি পাখি জেগে উঠে। 


পাখি: এইইইইই  কে আপনি  আর আমার  রুমে কি করতেছেন। ছারুন আমাকে । 


পাখির এমন চিল্লাচিল্লি  শুনে রাকিব হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে আর বলতে থাকে। 


রাকিব : এই পাখি আমি রাকিব। 


পাখি : তুমি  আমার রুমে এসে কি করতেছো এই সব হ‍্যা  তোমার  লজ্জা  করে না। 


রাকিব : এই বেশি কথা বলিশ না। আমি যা করতেছি করতে দে না হলে। 


পাখি : না হলে কি হ‍্যা।  ছি: ছি : ছি : তোমার  মন মানুষিকতা এতোটাই খারাপ। 


রাকিব : চুপ কর যদা চুপ না করিশ তো। এখানেই মে*রে  ফেলবো  বালিশ চাপা দিয়ে।


পাখি : প্লিজ আমাকে ছেরে দাও।আমি তোমার  বোন হই। 


রাকিব : আবার কথা বলিশ।  আর একটি কথা বললে মে*রে ফেলবো বললাম? 


তো রাকিবের এমন কথায়  পাখিও ভিষন  ভয় পেয়ে যায়। কারন যেই ছেলের সাহস এই রকম সে পারে না এমন কোন কাজ নেই করতে। 


এর পরে পাখি আর একটি কথা ও বলে না চুপ চাপ কান্না  করতে থাকে আর এ দিকে রাকিব পাগলা কুত্তার মতো  পাখির সাথে শারীরিক  মেলা মেশা করতে থাকে। 


প্রায়  ১ ঘন্টা  পরে পাখি কে ছেরে দেয়। নিজের খায়েশ মিটিয়ে। 


রাকিব : এই কথা যদি কেউ জানে তোর খবর খারাপ আছে।  আর যদি ও বলিশ  তোর মান সন্মান সব যাবে আমার কিচ্ছু হবে না। মাথায় রাখিস এই কথা। 


এটা বলেই রাকিব আবার দরজা খুলে নিজের রুমে চলে আসে। 


পাখি যেনো এই সব বিশ্বাস  এই করতে পারতেছিলো না। কারন রাকিব কে অনক ভালো  ছেলে মনে করেছিলো। আর সেই ছেলেই কিনা ছি : ভাবতে লজ্জা  লাগতেছে। 


-পাখি মনে মনে ভেবে রাখে সকাল বেলায় মামি কে সব কিছু বলে দিবো।  এতে আর যাই হোক রাকিবের সাথে বিয়েটা হবে। না হলে এই মুখ কাওকে দেখাইতে পারবো না। 


এটা ভেবে সেই রাতে পাখি কোন রকমে ঘুমিয়ে পরে। 


-ত পরের দিন সকাল এলায় উঠেই পাখি সোজা মামির কাছে যায়। 


মামি : কি রে পাখি এত সকাল সকাল উঠলি যে। 


পাখি : মামি রাকিব ভাইয়া না। 


মামি : রাকিব কি করেছে দুষ্টুমি করেছে। 


পাখি : না মামি কাল রাতে ঘুম যাওয়ার পরে  রাকিব ভাইয়া আমার  রুমে এসে আমার  সাথে.... শারীরিক  মেলা মেশা করেছে। 


এটা শুনার পরে যেনো রাকিবের মা শরীর  এ 140° ভোল্টের  শর্ট খায়। 


মামি : এই কি বলেছিস এই সব মাথায় আছে তর হ‍্যা। আমার  ছেলের নামে মিথ্যা  অপোবাদ দিস লজ্জা  করতেছ না। তর রুম ত লক করা ছিলো রাকিব কেমনে ডুকবে হ‍্যা।   আর একসট্রা চাবি যেটা ওটা আমার  রুমেই আছে। 


পাখি : মামি বিশ্বাস  করো আমার  কথা। 


মামি: ওহ আমি  বুজে গেছি তর সব প্লান,  তুই অন্য  ছেলের সাথে রাত কাটাইছিস!  এখন পেটে বাচ্চা  আসবে কি করবি ভেবে না। পেয়ে আমাদের বাসায় এসেছিস আর আমার  ছেলেকে ফাসাইতে চাচ্ছিস?  এখন বুজলাম তর মা আসতে দেয়নি তবুও কেনো তুই জোর করে এসেছিস। 


পাখি : মামি এ সব কিচ্ছু না রাকিব......? 


মামি : এক দম চুপ তর মা বাবা কে ফোন দিয়ে ডাকতেছি ওয়েট। 


এর পরে রাকিবের মা পাখির মা বাবা কে ফোন দিয়ে সব টা খুলে বলে।  এই কথা শুনার পরে তো ওরাব অবাক হয়ে যায়। 


প্রায় 20 মিনিট পরে পাখির মা এসেই সোজা,,,,,,,,,, 


পরবর্তী  পর্বের জন্যে  অপেক্ষায়  থাকুন ধন্যবাদ ? ভূল তূটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট এ জানাবেন  আশা করি ♥


গল্প: নষ্ট মেয়ে

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বই "তিন শূন্যের পৃথিবী" (Three Zeros World) মূলত একটি নতুন অর্থনৈতিক দর্শন তুলে ধরে, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত একটি সমাজ তৈরির পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।

 ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বই "তিন শূন্যের পৃথিবী" (Three Zeros World) মূলত একটি নতুন অর্থনৈতিক দর্শন তুলে ধরে, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত একটি সমাজ তৈরির পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।


মূল বক্তব্য ও ধারণা:


১. শূন্য দারিদ্র্য (Zero Poverty):

ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন যে, প্রচলিত পুঁজিবাদী অর্থনীতি দরিদ্রদের সুবিধাবঞ্চিত রাখে। তিনি ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা এবং স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার পথ দেখিয়েছেন।


২. শূন্য বেকারত্ব (Zero Unemployment):

তিনি প্রচলিত চাকরিনির্ভর মানসিকতা পরিবর্তন করে উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, প্রত্যেক মানুষ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং সঠিক সহায়তা পেলে তারা আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে।


৩. শূন্য কার্বন নিঃসরণ (Zero Net Carbon Emission):

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য ড. ইউনূস পরিবেশবান্ধব ব্যবসা ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন।


বইটির মূল শিক্ষা:


✔ সামাজিক ব্যবসার শক্তি: প্রচলিত মুনাফাকেন্দ্রিক ব্যবসার পরিবর্তে সামাজিক কল্যাণকেন্দ্রিক ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

✔ উদ্যোক্তাবৃত্তির গুরুত্ব: চাকরির পেছনে না ছুটে স্বনির্ভর হওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

✔ টেকসই উন্নয়ন: পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়ন একসঙ্গে করতে হবে।


"তিন শূন্যের পৃথিবী" বইটি মূলত একটি দার্শনিক ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যেখানে সমাজের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে নতুন অর্থনৈতিক মডেলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।


📨 অর্ডার করতে ইনবক্সে মেসেজ করুন।


#তিন_শূন্যের_পৃথিবী #মুহাম্মদ_ইউনূস #গ্রন্থনগর

ডাঃ ভিতলকাস ও হোমিওপ্যাথি  প্রথম পর্ব


 ডাঃ ভিতলকাস ও হোমিওপ্যাথি 


প্রথম পর্ব


★ জন্ম --- ১৯৩২ সালের ২৫শে জুলাই, গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে, 


★ মাধ্যমিক লেভেলের পড়াশোনা শেষ করে এথেন্সের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন, এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক হন, 


★ দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি পেয়ে চলে যান, এবং সেখানে চাকরিতে জয়েন করেন, তখন তার বয়স ২৫ বছর। 


★ ১৯৫৯ সাল, ভিতলকাসের বয়স তখন ২৭ বছর, দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটছে তার প্রবাসী জীবন, 


★ একদিন সন্ধ্যায় তিনি তার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান। ঐ বন্ধুটি হোমিওপ্যাথির বইপত্র পড়তেন। তার টেবিলে ছিল উইলিয়াম বোরিকের একটি মেটিরিয়া মেডিকা, 


★ যারা পড়াশোনা করতে ভালোবাসে তারা যে কোন বইপত্র পেলেই পাতা উল্টে দেখতে চায়। কি ব্যাপারের বই কৌতূহলবশতঃ দুই চার লাইন পড়তেও চায়। ভিতলকাসও তেমনি বইটি উল্টেপাল্টে দেখতে থাকলেন। 


★ তার ইচ্ছা হলো এই বইটি তিনি কিনে ভালভাবে পড়বেন। বন্ধুটির কাছ থেকে বইটি কেনার প্রাপ্তিস্থান জেনে নিলেন। 


★ পরদিনই তিনি নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে বইটি কেনেন এবং গোড়া থেকেই পড়তে শুরু করেন। 


★ প্রতিটি ঔষধ পড়তে তার খুব মজা লাগছিল, খুব ভালো লাগছিল। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি বলেছেন, এমন কি খাওয়ার সময়ও টেবিলে বইটি রেখে তিনি পড়েছিলেন। 


★ দুই দিনের মধ্যে তিনি বোরিকের মেটিরিয়া মেডিকা বইটি পড়ে শেষ করেন।   

   

★ তিনি লিখেছেন --

 " গভীর প্রেমঘটিত ব্যাপারের মতন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপরে একটা নেশায় যেন আমাকে পেয়ে বসে "। 


★ বইটি পড়ে শেষ করার পরের দিনই তিনি আবার ওই দোকানে যান এবং হোমিওপ্যাথি বিষয়ক আরো গোটা দশেক বই কেনেন।  


★ কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা সময় তিনি ঐসব হোমিওপ্যাথিক বইগুলি পড়তে থাকেন। 


★ হোমিওপ্যাথিকে তিনি এতটা বেশি ভালোবেসে ফেললেন যে মনে করলেন কোন প্রতিষ্ঠানিক হোমিওপ্যাথিক স্কুল বা কলেজে তিনি ভর্তি হয়ে পড়বেন। 


★  ইংল্যান্ডের ডাঃ ক্লার্কের এক ছাত্র ডাঃ নোয়েল পুডেফাটস সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি ছোট হোমিওপ্যাথিক স্কুল খুলে ছিলেন। স্কুলটির নাম ছিল -- নোয়েল পুডেফাটস স্কুল। 


★ ভিতলকাস এখানে ভর্তি হলেন, এবং ১৯৬২ সালে ঐ কলেজের একটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট পেলেন। 


★ হোমিওপ্যাথির প্রতি ঐ স্বল্প শিক্ষায় তিনি সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি খোঁজ করতে থাকলেন কোথায় আরও ভালোভাবে বিশদে হোমিওপ্যাথিক কোর্স পড়া যায়! 


★ ঐ সময় হোমিওপ্যাথি শিক্ষার পীঠস্থান ছিল কলকাতার " দ্য ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ "।


★  ভিতলকাস চাকরি ছেড়ে কলকাতায় এলেন এবং দ্য ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলেন।  হোমিওপ্যাথির উপর তিনি D M S কোর্স করলেন। 


★ এরপর দেশে ফেরার আগে তিনি বোম্বেতে যান এবং বোম্বে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজেও পুনরায় সেখানকার লাইসেনসিয়েট ডিপ্লোমা শিক্ষালাভ করেন৷ 


★ তিনি গ্রীসে ফিরলেন। তার মনে হয়েছিল হোমিওপ্যাথির উপর যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন তা প্র্যাকটিক্যাল বা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই তিনি নিজে আরও বইপত্র জোগাড় করে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে গভীর অধ্যায়নে মনোনিবেশ করেন। ধ্যানমগ্ন ঋষির ন্যায় তিনি দিনরাত হোমিওপ্যাথির উপরে পড়াশোনায় মগ্ন থাকলেন। 


★ তখন গ্রীসে হোমিওপ্যাথির বিশেষ প্রচলন ছিল না। গ্রীসের থেকে ইউরোপের সুইজারল্যান্ডে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রচলন বেশি থাকায় ভিতলকাস সুইজারল্যান্ড যাত্রা করেন। এখানকার গস্টাড নামের একটি শহরে তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আরম্ভ করেন এবং অচিরেই একজন  ভালো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নাম করেন। 


★ ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৭, মাত্র ১ বছর সুইজারল্যান্ডে থাকার পর ভিতলকাস নিজের দেশ গ্রিসে ফেরার মনস্থির করেন। 


★ ১৯৬৭ সালে তিনি রাজধানী এথেন্সেে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং আগ্রহী কিছু চিকিৎসককে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাদানও শুরু করেন। 


★ আস্তে আস্তে সেখানকার মানুষজন এবং চিকিৎসক সমাজ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে পরিচিত হয়ে ওঠে। মডার্ন এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়েও অনেক চিকিৎসক তার কাছে হোমিওপ্যাথিক প্রশিক্ষণ নিতে আসতে থাকেন। 


★ বহির্বিশ্বের হোমিওপ্যাথদের সাথে যোগাযোগ করে মাত্র দু বছরের মধ্যে ১৯৬৯ সালে তিনি এথেন্সে ২৪তম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করেন। 


★ এই বছরেই তিনি একটি হোমিওপ্যাথিক মেটিরিয়া মেডিকা লিখলেন। বইটির নাম দিলেন ---হোমিওপ্যাথি,  মেডিসিন অফ দ্যা নিউম্যান। 

বইটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কাছে  জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা লাভ করে। বইটিতে তিনি মাত্র ৫২ টি ঔষধ লিখেছিলেন। 


নিচে বইটির একটি পাতার স্ক্রিনশর্ট দিলাম। 


( লেখাটা কন্টিনিউ হবে )

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ১৪-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ১৪-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন - বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ - দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা।


পহেলা বৈশাখ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।


আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টা - পহেলা বৈশাখকে সম্প্রীতির প্রতীক বলে অভিহিত।


পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ লেখা পুনঃপ্রবর্তন করলো বাংলাদেশ। 


প্লট কেলেঙ্কারি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা।


সারাদেশে একযোগে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ শুরুর সিদ্ধান্ত।


গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় নিহত ৩৭ 


লাহোরে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বের খেলায় বাংলাদেশের জয় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

কুঁজো বুড়ির কথা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 

 কুঁজো বুড়ির কথা

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 


এক যে ছিল কুঁজো বুড়ি। সে লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে চলত, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ত। বুড়ির দুটো কুকুর ছিল। একটার নাম রঙ্গা, আর একটার নাম ভঙ্গা।


বুড়ি যাবে নাতনীর বাড়ি, তাই কুকুর দুটোকে বললে, 'তোরা যেন বাড়ি থাকিস, কোথাও চলে-টলে যাসনে।'


রঙ্গা-ভঙ্গা বললে, 'আচ্ছা।' তারপর বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে, কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ছে। এমনি করে সে খানিক দূর গেল।


তখন এক শিয়াল তাকে দেখতে পেয়ে বললে, 'ঐ রে, সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি, তোকে তো খাব!'


বুড়ি বললে, 'রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?'


শুনে শিয়াল বললে, 'আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।' বলে শিয়াল চলে গেল।


তারপর বুড়ি আবার লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা ঠক-ঠক করে নড়ছে। এমনি করে আরো খানিক দূর গেল।


তখন এক বাঘ তাকে দেখতে পেয়ে বললে, 'ঐ রে সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি তোকে তো খাব!'


বুড়ি বললে, 'রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?'


শুনে বাঘ বললে, 'আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।' বলে বাঘ চলে গেল।


তারপর বুড়ি আবার লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে, আর তার মাথাটা ঠক-ঠক করে নড়ছে। এমনি করে সে আরো খানিক দূর গেল।


তখন এক ভাল্লুক তাকে দেখতে পেয়ে বললে, 'ঐ রে, সেই কুঁজো বুড়ি যাচ্ছে। বুড়ি তোকে তো খাব!'


বুড়ি বললে, 'রোস, আমি আগে নাতনীর বাড়ি থেকে মোটা হয়ে আসি, তারপর খাস। এখন খেলে তো শুধু হাড় আর চামড়া খাবি, আমার গায়ে কি আর কিছু আছে?'


শুনে ভাল্লুক বললে, আচ্ছা, তবে মোটা হয়ে আয়, তারপর খাব এখন।' এই বলে ভাল্লুক চলে গেল। বুড়িও আর খানিক দূর গিয়েই তার নাতনীর বাড়ি পৌঁছল। সেখানে দই আর ক্ষীর খেয়ে-খেয়ে এমনি মোটা হল যে, কী বলব! আর একটু মোটা হলেই সে ফেটে যেত।


তাই সে তার নাতনীকে বললে, 'ওগো নাতনী, আমি তো বাড়ি চললুম। এবারে আর আমি চলতে পারব না। আমাকে গড়িয়ে যেতে হবে। আবার পথে ভাল্লুক, বাঘ আর শিয়াল হাঁ করে বসে আছে। আমাকে দেখতে পেলেই ধরে খাবে। এখন বল দেখি কী করি?'


নাতনী বললে, 'ভয় কী দিদিমা? তোমাকে এই লাউয়ের খোলটার ভিতরে পুরে দেব। তাহলে বাঘ ভাল্লুক বুঝতেও পারবে না, তোমাকে খেতেও পারবে না।'


বলে, সে বুড়িকে একটা লাউয়ের খোলার ভিতর পুরে, তার খাবার জন্যে চিড়ে আর তেঁতুল সঙ্গে দিয়ে, হেঁইয়ো বলে লাউয়ে ধাক্কা দিলে, আর লাউ গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।


লাউ চলেছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে বলছে—

লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়, 

খাই চিড়ে আর তেঁতুল, 

বীচি ফেলি টুল্-টুল। 

বুড়ি গেল ঢের দূর!


পথের মাঝখানে সেই ভাল্লুক হাঁ করে বসে আছে, বুড়িকে খাবে বলে। সে বুড়ি-টুড়ি কিছু দেখতে পেলে না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। লাউটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে বুড়িও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, 'বুড়ি গেল ঢের দূর!' শুনে সে ভাবলে, বুড়ি চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।

লাউ চলছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে বলছে—

লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়, 

খাই চিড়ে আর তেঁতুল, 

বীচি ফেলি টুল-টুল।

বুড়ি গেল ঢের দূর!


আবার খানিক দূরে বাঘ বসে আছে বুড়িকে খাবে বলে। সে বুড়িকে দেখতে পেলে না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। সেটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে, বুড়িও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, 'বুড়ি গেল ঢের দূর।' শুনে সে ভাবলে বুড়ি চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা, আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।

লাউ চলছে আর বুড়ি তার ভিতর থেকে বলছে—


লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়, 

খাই চিড়ে আর তেঁতুল, 

বীচি ফেলি টুল্-টুল্।

বুড়ি গেল ঢের দূর!


খানিক দূরে সেই শিয়াল পথের মাঝখানে বসে আছে। সে লাউ দেখে বললে, হুঁ! লাউ কিনা আবার কথা বলে। ওর ভিতরে কী আছে দেখতে হবে।' তখন সে হতভাগা লাথি মেরে লাউটা ভেঙেই বলে কিনা, 'বুড়ি তোকে তো খাব!'


বুড়ি বললে, 'খাবি বইকি! নইলে এসেছি কি করতে? তা, আগে দুটো গান শুনবিনে?' শিয়াল বললে, 'হ্যাঁ, দুটো গান হলে মন্দ হয় না। আমিও একটু-আধটু গাইতে পারি।'


বুড়ি বললে, 'তবে ভালোই হল। চল ঐ ঢিপিটায় উঠে গাইব এখন।' বলে বুড়ি সেই ঢিপির উপরে উঠে সুর ধরে চেঁচিয়ে বললে, 'আয়, আয়, রঙ্গা-ভঙ্গা, তু-উ-উ-উ-উ!'


অমনি বুড়ির দুই কুকুর ছুটে এস, একটা ধরলে শিয়ালের ঘাড় আর একটায় ধরলে তার কোমর। ধরে টান কি টান। শিয়ালের ঘাড় ভেঙে গেল, কোমর ভেঙে গেল, জিভ বেরিয়ে গেল, প্রাণ বেরিয়ে গেল, তবু তারা টানছেই, টানছেই, খালি টানছে।

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

Lightning Arrester কী?

 চিত্রটি হলো একটি Lightning Arrester বা বজ্রনিবারক যন্ত্রের। Lightning arrester বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে উচ্চ ভোল্টেজের সার্জ থেকে রক্ষা করে দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র।


নিচে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:


#Lightning Arrester কী?



Lightning arrester হলো এমন একটি সুরক্ষা যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে বজ্রপাত বা অতিরিক্ত ভোল্টেজ (Surge Voltage) থেকে রক্ষা করে। এটি মূলত বিদ্যুৎ লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং যখনই উচ্চ ভোল্টেজের সার্জ আসে, তখন এটি সেই অতিরিক্ত শক্তিকে মাটিতে নির্গত করে দেয়।


চিত্রের বাম পাশে ফিজিক্যাল গঠন:


1. End Fitting: এটি arrester-এর উপরের ও নিচের অংশ, যেখানে তার সংযুক্ত হয়।


2. Wrap: ভিতরে থাকা ধাতব অক্সাইড রেজিস্টরকে ঘিরে রাখে এবং বাহ্যিক পরিবেশ থেকে সুরক্ষা দেয়।


3. Metal Oxide Resistor: এটি arrester-এর মূল কার্যকর অংশ। স্বাভাবিক ভোল্টেজে এটি উচ্চ রেজিস্ট্যান্স প্রদান করে, কিন্তু হঠাৎ উচ্চ ভোল্টেজ এলে এটি কম রেজিস্ট্যান্স হয়ে বিদ্যুৎকে গ্রাউন্ডে পাঠায়।


4. Silicon Rubber Sheds: এগুলো হল ইনসুলেটিং ফিনস বা রেইন শেড। এগুলো বজ্রনিবারককে পরিবেশগত আর্দ্রতা, ধুলা এবং দূষণ থেকে সুরক্ষা দেয়।


5. Insulating Bracket: এটি arrester-কে বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটির সাথে ইনসুলেট করে সংযুক্ত রাখতে সাহায্য করে।


6. Disconnector: যদি arrester-এর ভিতরে কোন ত্রুটি হয় বা এটি নষ্ট হয়ে যায়, তখন এটি লাইন থেকে arrester-কে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে—যাতে মূল লাইনে সমস্যা না হয়।


চিত্রের ডান পাশে সার্কিট ডায়াগ্রাম:


1. Power Line Circuit: যেখানে lightning arrester সংযুক্ত থাকে।


2. Spark-Gap: এটি দুটি ইলেকট্রোডের মধ্যবর্তী একটি ফাঁকা জায়গা। স্বাভাবিক ভোল্টেজে এখানে আর্ক হয় না, কিন্তু উচ্চ ভোল্টেজ আসলে এখানে স্পার্ক তৈরি হয় ও বর্তমান প্রবাহিত হয়।


3. R - Non-Linear Resistor: এটি একটি ধাতব অক্সাইড রেজিস্টর (প্রায়শঃ ZnO)। এর রেজিস্ট্যান্স স্বাভাবিক ভোল্টেজে বেশি এবং অতিরিক্ত ভোল্টেজে কমে যায়। এর ফলে সার্জ গ্রাউন্ড হয়ে যায়।


4. Earth Connection: অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে চলে যায় এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে রক্ষা করে।


Lightning Arrester কিভাবে কাজ করে?


1. স্বাভাবিক অবস্থায়, lightning arrester কোনো কার্য সম্পাদন করে না। এটি ওপেন সার্কিটের মতো আচরণ করে।


2. যখন বজ্রপাত বা সার্জ ভোল্টেজ হয়, তখন arrester দ্রুত কাজ করে। Spark-gap এর মধ্যে আর্ক হয়। তখন Non-linear resistor এর রেজিস্ট্যান্স কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে চলে যায়। অন্যদিকে সার্জ চলে যাওয়ার পর arrester আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।


ব্যবহারের স্থান: সাবস্টেশন, ট্রান্সমিশন লাইন, ট্রান্সফরমার ইত্যাদিতে।

ঢাকার প্রথম লাইব্রেরী হলো ‘রাজা রামমোহন রায়’ লাইব্রেরী যা প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্মসমাজের হাত ধরে। ১৮৬৯ সালে

 ঢাকার প্রথম লাইব্রেরী হলো ‘রাজা রামমোহন রায়’ লাইব্রেরী যা প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্মসমাজের হাত ধরে। ১৮৬৯ সালে ব্রাহ্মসমাজের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অভয়চন্দ্র দাশ পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্মসমাজের মন্দিরে লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ১৯১০ সাল থেকে নিজস্ব ভবনে যাত্রা শুরু হয় লাইব্রেরীটির।


বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও লেখকদের পদধূলি পড়েছে এই লাইব্রেরীতে। ১৯২৬ সালে শ্রী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী) আমন্ত্রণে একটি নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এই লাইব্রেরীতে আসেন। এমনকি সেই সমাবেশে বক্তব্যও দেন তিনি। এছাড়াও বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত, ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের মত গুণীজনদের পদচারনায় সর্বদা মুখরিত থাকত লাইব্রেরীটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় এই লাইব্রেরীতে নিয়মিত পড়তে আসতেন বহুভাষাবিদ ও পন্ডিত ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৩০ সালে এই লাইব্রেরীতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ এবং লাবণ্য গুপ্ত। কবি জীবনানন্দ দাশের মা কবি কুসুমকুমারী দাশ, কবি বুদ্ধদেব বসু, মুহম্মদ আব্দুল হাই, কাজী মোতাহার হোসেন, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর মত মনীষীরা নিয়মিত যাতায়াত করতেন এখানে। এছাড়াও কবি সুফিয়া কামাল এবং শামসুর রাহমানও এই পাঠাগারের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন।


স্মৃতি বিজড়িত এই লাইব্রেরীতে এক সময় প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বই সংরক্ষিত ছিল। রাজা রামমোহন রায়ের মুদ্রিত পুস্তকের প্রথম সংস্করণ, বেদান্ত দর্শন, পারসি ভাষায় লেখা তোফায়াতুল মোহাম্মাদিন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্রসহ সমকালীন সাহিত্যিকদের রচনাবলীর প্রথম সংস্করণ, গিরিশচন্দ্র সেন অনূদিত পবিত্র কোরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদের সংস্করণ, ২৫০ বছর পূর্বে খ্রিস্টান মিশনারি কর্তৃক ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলায় ছাপানো বইয়ের কপি এই লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার মূল কপি ও পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক পুনর্মুদ্রিত কপি, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা, ঢাকা নিউজ, বেঙ্গল টাইমস, তত্ত্ববোধিনী, তত্ত্বকোমুদি, শান্তিনিকেতন, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, হিতবাদী, বসুমতি, বিচিত্রা ও ঢাকা প্রকাশ পত্রিকার প্রথম থেকে শেষ সংখ্যা পর্যন্ত পত্রিকাগুলোর কপি সংরক্ষিত ছিল এখানে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের মধ্যে ছিল ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী ৫০ বছরের সকল সরকারি গেজেট।


শতবর্ষী এই লাইব্রেরীটি একাধারে বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষী হিসেবে পার করেছে প্রায় ১৫৫ বছর। বর্তমানে এই লাইব্রেরীর দুর্লভ বইগুলোর কোনটিরই অস্তিত্ব নেই। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা করে নিজেদের ক্যাম্প বসিয়েছিল এখানে। এখানকার সমস্ত বই লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এমনকি কেজি দরে বিক্রি করে ঠোঙা বানানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়েছিল বইগুলো! ১৯৭২ সালের ১০ই মে দৈনিক বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫শে মার্চের এক রাতেই এখন থেকে লোপাট হয়েছিল প্রায় ২০ হাজারের বেশি দুষ্প্রাপ্য বই ও নথি। স্বাধীনতার পর কর্তৃপক্ষ লুট হওয়া বইগুলো ফেরাতে চড়ামূল্যে কেনার বিজ্ঞাপন করলেও কোন সাড়া মেলেনি। পুরান ঢাকার তিন নং লয়াল স্ট্রিট গলির ‘রাজা রামমোহন রায় পাঠাগার’ ভবনটির অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক জরাজীর্ণ এই ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়ায় ২০০৪-২০১৪ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল লাইব্রেরীটি। ২০১৪ সালে পুনরায় এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে এর জৌলুস একদম হারিয়ে গেছে। লাইব্রেরীটির সংগ্রহে রয়েছে মাত্র ৬০০টি বই; পাঠক প্রায় নেই বললেই চলে। দেয়ালে ধরেছে ফাটল, খসে পড়েছে পলেস্তারা, ছুটে যাচ্ছে বইয়ের বাঁধাই। আইনি জটিলতায় থেমে আছে মূল ভবনের সংস্কারের কাজ। ভবন সংস্কারের জন্য ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ থেকে বার বার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এমন চলতে থাকলে হয়ত কালের পরিক্রমায় একসময় হারিয়ে যাবে লাইব্রেরীটি; ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবে কালের সাক্ষী ‘রাজা রামমোহন রায় পাঠাগার’-এর নাম!


Jobaida Rahman Mysha

Team Science Bee

রসগোল্লা সৈয়দ মুজতবা আলী

 রসগোল্লা

সৈয়দ মুজতবা আলী


আমার এক বন্ধু প্রায়ই ইউরোপ-আমেরিকায় যান। এতই বেশি যাওয়া আসা করেন যে তার সঙ্গে কোথাও দেখা হলে বলবার উপায় নেই, তিনি বিদেশে যাচ্ছেন না ফিরে আসছেন।


ঝান্ডুদা ব্যবসায়ী লোক। তিনি নেমেছেন ইতালির ভেনিস বন্দরে জাহাজ থেকে। চুঙ্গিঘরের যাবতীয় প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে শেষটায় লিখেছেন, এক টিন ভ্যাকুয়াম প্যান্ড মিষ্টান্ন। মূল্য দশ টাকা।


ঝান্ডুদার বাক্স-পেঁটরায় এত সব জাত-বেজাত হোটেলের লেবেল লাগানো থাকত যে, অগ ও বুঝতে পারত এগুলোর মালিক বাতুভিটার তোয়াক্কা করে না। তার জীবন কাটে হোটেলে হোটেলে। আন্ত লা কিন্তু সেগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে আরমভ করলে, প্রথম ভাগের ছেলে যে-রকম বানান ভুল করে করে বই পড়ে। লোকটার চেহারাও বদখত। টিঙটিঙে রোগা, গাল দুটো ভাঙা।


চুঙ্গিওলা শুধালে, ওই টিনটার ভেতর কী?

—সুইটস।

—ওটা খুলুন।

—সে কী করে হয়? ওটা আমি নিয়ে যাব লন্ডনে। খুললে বরবাদ হয়ে যাবে যে! চুঙ্গিওলা যেভাবে ঝান্ডুদার দিকে তাকালেন তাতে যা টিন খোলার হুকুম হল, পাঁচশ টেরা পিটিয়ে কোনো বাদশাও ওরকম দুকুমজারি করতে পারতেন না।


ঝান্ডুদা মরিয়া হয়ে কাতর নয়নে বললেন, ‘ব্রাদার, এ টিনটা আমি নিয়ে যাচ্ছি আমার এক বন্ধুর মেয়ের জন্য লন্ডনে, এটা খুললে সর্বনাশ হয়ে যাবে।


এবার চুঙ্গিওলা যেভাবে তাকালে, তাতে আমি হাজার স্ট্র্যাটরার শব্দ শুনতে পেলুম।


বিরাট-লাশ ঝান্ডুদা পিঁপড়ের মতো নয়ন করে সকাতরে বললেন, ‘তাহলে ওটা ডাকে করে লন্ডন পাঠিয়ে দাও, আমি ওটাকে সেখানেই খালাস করব।’


কিন্তু আশ্চর্য, চুঙ্গিওলা তাতেও রাজি হয় না। আমরা সবাই কাইটাকে বোঝাবার চেষ্টা করলুম, ঝান্ডুদার প্রস্তাবটি অতিশয় সমীচীন এবং আইনসঙ্গতও বটে। চুঙ্গিওলার ভাবখানা সে পৃথিবীর কোনো ভাষাই বোঝে না।


ঝান্ডুদা তখন চটেছেন। বিড়বিড় করে বললেন, ‘তবে খুলছি। কিন্তু ব্যাটা তোমাকে না খাইয়ে ছাড়ছি নে।’


তারপর ইংরেজিতে বললেন, ‘কিন্তু তোমাকে ওটা নিজে খেয়ে পরখ করে দেখতে হবে।’ ওটা সত্যি সুইটিস কিনা।


শয়তানটা চট করে কাউন্টারের নিচ থেকে টিন-কাটার বের করে দিল। ঝান্ডুদা টিন-কাটার হাতে নিয়ে ফের চুঙ্গিওলাকে বললেন, ‘তোমাকে কিন্তু ওই মিষ্টি পরখ করতে হবে নিজে, আবার বলছি।’


চুঙ্গিওলা একটু শুকনো হাসি হাসল। শীতে বেজায় ঠোঁট ফাটলে আমরা যেরকম হেসে থাকি।


ঝান্ডুদা টিন কাটলেন। 

কী আর বেরুবে? বেরুল রসগোল্লা। কাঁটাচামচের তোয়াক্কা না করে রসগোল্লা হাত দিয়ে তুলে প্রথমেই বিতরণ করলেন বাঙালিদের। তারপর যাবতীয় ভারতীয়দের, তারপর সবাইকে অর্থাৎ ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, এবং স্পাইনিয়ার্ডদের।


তামাম চুঙ্গিঘর তখন রসগোল্লা গিলছে। আকাশে বাতাসে রসগোল্লা। চুঙ্গিঘরের পুলিশ বরকন্দাজ চাপরাশি সকলেরই হাতে রসগোল্লা।


ওদিকে দেখি, ঝান্ডুদা আপন ভূঁড়িটি কাউন্টারের ওপর চেপে ধরে চুঙ্গিওলার দিকে ঝুঁকে পড়ে বলছেন বাংলাতে ‘একটা খেয়ে দেখ।’ হাতে তার একটি সরেস রসগোল্লা।


চুঙ্গিওলা ঘাড়টা একটু পেছনের দিকে হটিয়ে গভীর রূপ ধারণ করেছে। ঝান্ডুদা নাছোড়বান্দা। সামনের দিকে আর একটু এগিয়ে বললেন, “দেখছ তো, সবাই খাচ্ছে। চেখে দেখ, এ বস্তু কী?


চুঙ্গিওলা ঘাড়টা আরও পিছিয়ে নিল। লোকটা অতি পাষণ্ড। একবারের তরে ‘সরি-টরি’ও বলল না।


হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, ঝান্ডুদা তামাম হুঁড়িখানা কাউন্টারের ওপর চেপে ধরে ক্যাঁক করে পাকড়ালেন চুঙ্গিওলার কলার বাঁ হাতে, আর ডান হাতে থেবড়ে দিলেন একটা রসগোল্লা ওর নাকের ওপর। আর সঙ্গে সঙ্গে মোটা গলায় বললেন, ‘তুমি খাবে না? তোমার গুষ্টি খাবে। ব্যাটা, তুমি মস্করা পেয়েছ? পইপই করে বললুম, রসগোল্লাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে, তা তুমি শুনবে না!’


ততক্ষণে কিন্তু তাবৎ চুঙ্গিঘরে লেগে গেছে ধুধমার। আর চিৎকার চেঁচামেচি হবেই না কেন? এ যে রীতিমতো বেআইনী কর্ম। কর্মটির জন্য আকছারই জেলে যেতে হয়।


ঝান্ডুদার কোমর জাবড়ে ধরে আমরা জনাপাঁচেক তাকে কাউন্টার থেকে টেনে নামাবার চেষ্টা করছি। তিনি পর্দার পর পর্দা চড়াচ্ছেন, ‘খাবিনি, ও পরান আমার, খাবিনি ব্যাটা।’ চুঙ্গিওলা ক্ষীণকষ্ঠে পুলিশকে ডাকছে। কিন্তু কোথায় পুলিশ? চুঙ্গিঘরের পাইক, বরকন্দাজ, ডাণ্ডাবরদার, আসসরদার বেবাক চাকর-নফর বিলকুল বেমালুম গায়েব। এ কি ভানুমতী, এ কি ইন্দ্রজাল।।


ইতোমধ্যে ঝান্ডুদাকে বহুকষ্টে কাউন্টারের এদিকে নামানো হয়েছে। চুঙ্গিওলা রুমাল দিয়ে রসগোল্লার থ্যাবড়া মুছতে যাচ্ছে দেখে তিনি চেঁচিয়ে বললেন, ‘ওটা মুছিসনি, আদালতে সাক্ষী দেবে।’ 


কে একজন ঝান্ডুদাকে সদুপদেশ দিল, ‘পুলিশ ফের এসে যাবে। ততক্ষণে আপনি কেটে পড়ুন।’


তিনি বললেন, ‘না, ওই যে লোকটা ফোন করছে। আসুক না ওদের বড়কর্তা।’


তিন মিনিটের ভেতর বড়কর্তা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলেন। ঝান্ডুদা বড় সাহেবের সামনে গিয়ে বললেন, ‘সিন্নোর, বিফো ইউ প্রসিড, অর্থাৎ কিনা ময়না তদন্ত আরম্ভ হওয়ার পুর্বে আপনি একটি সুইটস চেখে দেখুন।’ বলে নিজে মুখে তুললেন একটি, আমাদের সবাইকে আরেক প্রস্থ বিতরণ করলেন। বড়কর্তা একটি মুখে তুলেই চোখ বন্ধ করে রইলেন আড়াই মিনিট। চোখ বন্ধ অবস্থায়ই আবার হাত বাড়িয়ে দিলেন। ফের আবার।

টিন তখন ভোঁ ভোঁ ।

চুঙ্গিওলা তার ফরিয়াদ জানাল।

কর্তা বললেন, ‘টিন খুলেছ তো বেশ করেছ, না হলে খাওয়া যেত কী করে?’ আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এখানে দাড়িয়ে আছেন কী করতে? আরও রসগোল্লা নিয়ে আসুন।’ আমরা সুড়সুড় করে বেরিয়ে যাবার সময় শুনতে পেলুম। বড়কর্তা চুঙ্গিওলাকে বলছেন, ‘তুমিও তো একটা আস্ত গাড়ল। টিন খুললে আর এই সরেস মাল চেখে দেখলে না?’


আমি গাইলুম,


রসের গোলক, এত রস কেন তুমি ধরেছিলে হায়।

ইতালির দেশ ধর্ম ভুলিয়া লুটাইল তব পায়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...