এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

আমেরিকার ভিসা ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে দিতে পারলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। 

 আমেরিকার ভিসা ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে দিতে পারলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। নিচে এমন কিছু প্রশ্ন দেওয়া হলো যেগুলোর উত্তর দিতে পারলেই সাধারণত ভিসা অফিসার সন্তুষ্ট হন:


১. আপনি কেন আমেরিকা যেতে চান?


এই প্রশ্নের উত্তর হতে হবে পরিষ্কার, সুনির্দিষ্ট ও সত্যনিষ্ঠ। যেমন:


"আমি উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছি।"


"আমি পর্যটনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।"


"আমি ব্যবসায়িক মিটিংয়ে যাচ্ছি।"


২. আপনি কোথায় যাচ্ছেন? (গন্তব্য, শহর বা প্রতিষ্ঠান)


যেটি বলবেন, সেটির সাথে আপনার ডকুমেন্ট মিলতে হবে। যেমন:

"আমি নিউ ইয়র্ক যাচ্ছি, আমার আত্মীয় সেখানে থাকেন।"


৩. আপনার সেখানে কে আছে বা স্পনসর কে?


যদি আত্মীয় থাকে, তার নাম, সম্পর্ক, স্ট্যাটাস এবং প্রুফ দিতে হবে।


যদি নিজেই খরচ করেন, তাহলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ঠিক থাকতে হবে।


৪. আপনার দেশে ফেরার নিশ্চয়তা কী?


এই প্রশ্নে আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন যে আপনি অবৈধভাবে থেকে যাবেন না। যেমন:


“আমার পরিবার এখানে থাকে।”


“আমার স্থায়ী চাকরি আছে।”


“আমি ব্যবসা করি বা পড়ালেখা শেষ করে ফিরে আসব।”


৫. আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?


ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন, চাকরি বা ব্যবসার প্রমাণ দেখাতে হবে।


৬. কতদিন থাকবেন এবং কোথায় থাকবেন?


আপনার ট্রিপের দৈর্ঘ্য এবং অ্যাকমোডেশনের ঠিকানা জানা থাকতে হবে।


৭. আপনার ভিসা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা কী?


এটা ভিসা অফিসারকে আশ্বস্ত করবে আপনি ফেরত আসবেন।


আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ভিসা (যেমন: স্টুডেন্ট, ট্যুরিস্ট, বিজনেস) নিয়ে প্রশ্ন থাকে, তাহলে সেটি বললে আরো নির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারি। চাইলে আমি প্রতিটি প্রশ্নের আদর্শ উত্তরও তৈরি করে দিতে পারি।


#Dubai #qatar #riyad

কেন মসলা ভাঙা ব্যবসা করবেন?

 বর্তমানে গৃহস্থালি ও হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে সুপার শপ পর্যন্ত প্রতিদিন প্রসেস করা মসলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঘরে তৈরি বিশুদ্ধ মসলা এখন সবার পছন্দ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন মসলা ভাঙার মেশিনে ব্যবসা, যা ছোট পরিসরেই সম্ভব এবং লাভজনক।


কেন মসলা ভাঙা ব্যবসা করবেন?


✔ সারা বছর চাহিদা থাকে

✔ বিশুদ্ধতা থাকলে বিক্রি বাড়ে

✔ শুরুতে বাড়ি থেকেই শুরু করা যায়

✔ নারীদের জন্য দারুণ হোম বেইজড উদ্যোগ

✔ প্যাকেটজাত করে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করা যায়


যে মসলা গুঁড়ো করা যায়:


শুকনো মরিচ


ধনে


জিরা


হলুদ


দারুচিনি


এলাচ


লবঙ্গ


গরম মসলা

(অনেকেই নিজেদের রেসিপি অনুযায়ী মিশ্র মসলা তৈরি করেন)


মেশিনে যা সুবিধা পাবেন:


✔ স্টেইনলেস স্টিল বডি—ফুড গ্রেড সেফ

✔ দ্রুত ও গুছিয়ে গুঁড়ো করা যায়

✔ সহজে পরিষ্কার করা যায়

✔ বিদ্যুৎ খরচ কম

✔ স্বল্প শব্দে কাজ করে


প্রাথমিক বিনিয়োগ কত লাগবে?


মোট প্রাথমিক খরচঃ ২০,০০০ - ৫০,০০০ টাকা


কোথায় বিক্রি করবেন?


স্থানীয় মুদি দোকান


কাঁচাবাজার


সুপার শপ


অনলাইন (Facebook Page, WhatsApp Order)


নিজ এলাকায় হোম ডেলিভারি


মাসিক আয়ের সম্ভাবনা:


৫০০ কেজি মসলা ভাঙলে ও প্যাকেট করলে


প্রতি কেজিতে লাভ ১০০-২০০ টাকা


মাসে আয় হতে পারে ৫০,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত!


যোগাযোগ করুন ও শুরু করুন আজই!


ট্রাস্ট মেশিনারি সলিউশন

মোবাইলঃ 01711-223344 / 01819-556677

অফিসঃ মোহাম্মদপুর, ঢাকা (সারা বাংলাদেশে ডেলিভারি)

Facebook Page: @TrustMachineryBD

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিদ ড. এলিস সিলভার তার একটি বইয়ে দাবি করেছিলেন, মানুষ আদতে পৃথিবীর প্রাণী নয়

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিদ ড. এলিস সিলভার তার একটি বইয়ে দাবি করেছিলেন, মানুষ আদতে পৃথিবীর প্রাণী নয় – বরং আমাদেরকে বহির্জাগতিক কেউ অনেক হাজার বছর আগে এই গ্রহে এনে ফেলেছে। তার দাবি অনুযায়ী, মানুষের দেহে এমন কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য আছে যা পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া অন্য প্রাণীদের সঙ্গে মেলে না। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের মেরুদণ্ডে অনেক সময় ব্যথা হয়, যা তার মতে পৃথিবীর তুলনায় কম মাধ্যাকর্ষণবিশিষ্ট কোনো গ্রহে আমাদের উৎপত্তির ইঙ্গিত দেয়। ড. সিলভার বলেন, মানুষেরা খুব সহজেই সূর্যের তাপে পুড়ে যায় – যা প্রমাণ করে আমরা সূর্যের এমন তীব্র আলোর জন্য তৈরি নই। অন্যদিকে, পৃথিবীর অনেক প্রাণী যেমন গিরগিটি প্রতিদিন সূর্যের নিচে থাকতে পারে, অথচ মানুষ যদি কয়েকদিন সূর্যের তাপ সহ্য করে, তাতেও সমস্যায় পড়ে। তিনি আরও বলেন, মানুষের শিশুদের মাথা অনেক বড় হয়, যার কারণে প্রসবকালীন সময়ে মায়েদের ঝুঁকি থাকে – যা পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় না। আরও একটি অদ্ভুত বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন, তা হলো – আমাদের দেহঘড়ি ২৪ ঘণ্টা নয়, বরং ২৫ ঘণ্টার মতো দিনের জন্য অভ্যস্ত। ঘুম-বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টির প্রমাণও পেয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। ড. সিলভারের মতে, মানুষের দেহ সবসময় কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত থাকে। তিনি বলেন, সম্ভবত মানুষের দেহ পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খায়নি – কারণ আমরা এখানকার জন্য পুরোপুরি উপযোগী নই। তিনি ধারণা দেন যে, আদিম মানব হোমো ইরেক্টাসদের কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে ক্রসব্রীড করা হয়েছিল। হতে পারে সেটি ছিল আলফা সেন্টোরি নামক নিকটবর্তী কোনো তারা-ব্যবস্থার প্রাণী – যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪.৩৭ আলোকবর্ষ দূরে। এমনকি তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন – হয়তো পৃথিবী একটি ‘কারাগার গ্রহ’, যেখানে আমাদের রাখা হয়েছে শাস্তিস্বরূপ। কারণ, আমরা একটি সহিংস প্রজাতি এবং আমাদেরকে এখানে রাখা হয়েছে যতক্ষণ না আমরা শিষ্ট হয়ে উঠি।


জীবনের উৎপত্তি অন্যত্র হয়েছিল – এমন ধারণা শুধু এলিস সিলভারই দেননি। ১৯৯৮ সালে টেক্সাস ও মরক্কোতে পড়া দুইটি উল্কাপিণ্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলোর বয়স প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর এবং এর মধ্যে পানির অস্তিত্ব ও জৈব যৌগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, এই উল্কাপিণ্ড দুটি বৃহস্পতি ও মঙ্গল গ্রহের মাঝামাঝি এক অ্যাস্টারয়েড বেল্ট থেকে এসেছিল।এইসব তথ্য ও যুক্তি সামনে এনে ড. এলিস সিলভার মনে করেন, মানুষ হয়তো সত্যিই পৃথিবীর প্রাণী নয়  বরং আমরা এখানে এসেছি অন্য কোনো জগত থেকে।

ম্যাজিস্ট্রেট: তুমি চুরি করেছ?

 ম্যাজিস্ট্রেট: তুমি চুরি করেছ?


চোর: না হুজুর। আমি শুধু কবিগুরুর নির্দেশ পালন করেছি!


ম্যাজিস্ট্রেট: তার মানে?


চোর: গতকাল মাঝরাতে একটা গান ভেসে এল..."আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে"।

ভাবলাম আমিই-বা বসে থাকি কেন? আমিও যাই, তাই বেড়িয়ে পড়লাম!


ম্যাজিস্ট্রেট: তারপর?


চোর: উদাস মনে হাঁটছি, হঠাৎ একটা বাড়ি থেকে আওয়াজ এল..."এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে"।

মনে হল আমাকেই ডাকছে। টুক করে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়লাম।


ম্যাজিস্ট্রেট: বলো কি!


চোর: ঘরে ঢুকেই শুনলাম..."ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে"।

বেশ আনন্দ পেলাম। বুঝলাম, আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কি করব ভাবছি, তখন শুনতে পেলাম..."এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল"।

রবীন্দ্রনাথের আদেশ তো আর অমান্য করা যায় না! সব মালপত্র একজায়গায় জড়ো করে বেঁধে ফেললাম। সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এল..."আজি দখিন দুয়ার খোলা"।

পেছনের দরজা দিয়ে যখন বেড়িয়ে পড়লাম তখন বেরসিক পুলিশ এসে আমাকে ধরল। আমি কত বোঝাবার চেষ্টা করলাম, আমি চুরি করিনি, কেবলমাত্র রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি! ওরা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি, কোমরে দড়ি বেঁধে সোজা আপনার কাছে নিয়ে এসেছে।


ম্যাজিস্ট্রেট: ঠিক আছে, ঠিক আছে, তোমাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন?


চোর: "এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিনও।"


ম্যাজিস্ট্রেট: যখন জেলে থাকবে, তখন তুমি রবীন্দ্রনাথকে কি বলবে?


চোর: "ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?"

আমাদের মাঝে ভালোবাসার মাদকতা থাকাটা জরুরী, ভীষন জরুরী!

 আমরা সে****ক্স ছাড়া একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরিনা

এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই কিন্তু মানুষটার কাছে যাওয়া যায়না! দুজন মানুষ ১০০ স্কয়ার ফিট একটা রুমের ভেতর বছরের পর বছর থেকেও মাঝে মাঝে কাছে আসতে পারেনা!

আমি এরকম বেশ কিছু দম্পতিকে চিনি, যারা বহু বছর পরও সংসারের মানে বুঝে উঠতে পারেনি!


সংসার করতে করতে একসময় মানুষ ধরে নেয়, একই বালিশে ঘুমানো! একই টেবিলে খাওয়া!


একই রুমে ঘুরাঘুরি করা আর মাঝে মাঝে সঙ্গমে অংশগ্রহন করাটাই সংসার! ব্যপারটা কি আসলে তাই?


তাহলে, কিছু সংসার কখনো কখনো টিকে না কেন? তারাও তো একই বিছানায় ঘুমায়! একই টেবিলে খাবার খায়! একজন অন্যজনকে সঙ্গমে কো-অপারেট করে! তবুও, সংসারগুলো ভাঙে কেন?


তুমি একটা মানুষের সাথে আছো! পাশে আছো! চোখের সামনে আছো! তবুও মাঝখানে একটা দূরত্ব থাকে! এই দূরত্বটা অন্যরকম! বলা যায় না! বুঝানো যায় না! সহ্যও করা যায় না!

কারো বুকের উপর শুয়েও মাঝে মাঝে নিজেকে একা লাগে!


দাম্পত্য জীবনে আমি আসলে কি চাই? সবই চাই, যা যা সবাই করে! আমি সেটাও চাই, যেটা অনেকেই করে না!


সংসার মানে আসলে অভ্যাস! এই কনসেপ্টটা থেকে আমরা কেন জানি বের হতে পারি না! অভ্যাস অবশ্যই, তবুও সবই কি অভ্যাস? নতুন কিছুই কি থাকে না?


আমরা একই ছাদের নিচে থাকি, অথচ কখনো একসাথে আকাশ দেখি না! কখনো সমুদ্র পাড়ে বসে কফির মগ হাতে নিয়ে নির্ভরশীলতার কাঁধে মাথা রাখি না!


আমরা কখনো জিজ্ঞেস করিনা " তুমি কেমন আছো? তোমার মন খারাপ কেন?" আমরা হাত ধরে বসে থাকি না! আমরা সঙ্গম ছাড়া একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরি না!

আমরা বুঝি না, আমার সমস্ত সময় তার সাথে কাটানোর পরও তাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন!

আমরা শরীরের দিক থেকে কাছে আসি রোজ রোজ! অথচ,আমাদের মনের দূরত্ব বেড়ে চলে!


রান্না করার জন্য বুয়া রাখলেও হয়! সঙ্গমের জন্য পতিতাই এনাফ! তবুও সংসার কেন করা লাগে?

সংসারের ডেফিনেশনটা শুধু নিঃশ্বাসের আদ্রতা অনুভব করার মাঝেই সীমাবদ্ধ না!

এর বাইরেও অনেক কিছু থাকে!


আমি একা! তুমি একা! আমরা একা! প্রচন্ড রকমের একা! একই বিছানায় নগ্ন শরীরের উপরও একা! সঙ্গম শেষেও আমরা একা!


অথচ, দিনশেষে আমার একটা আশ্রয় প্রয়োজন হয়! একজন মানুষ প্রয়োজন হয়! একটা ব্যক্তিগত নির্ভরশীলতার জায়গা প্রয়োজন হয়! সমঝোতা প্রয়োজন হয়! কারো কন্ঠস্বরে আমার জন্য একটু গভীর ভালোবাসা প্রয়োজন হয়!


একটা পবিত্র স্পর্শ প্রয়োজন হয়!

এই স্পর্শটা কামনার স্পর্শ নয়! এটা একটা ভালোবাসার স্পর্শ! কাম ছাড়া ভালোবাসা পূর্নতা পায়না এটা ঠিক! তবে কাম ও যে সবসময় ভালোবাসার জন্ম দিতে পারে না, এটাও ঠিক!


সংসারকে অভ্যাস বলে চালিয়ে দেওয়া মানুষরা আসলে ভালোবাসার দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যেতে চায়! যে দাম্পত্যে প্রেম থাকে না, সেখানে অভিনয় করে বাঁচতে হয়!

এরকম অনেক দম্পতিই আছে, যারা শুধু অভিনয় করেই একটা জীবন একটা অপছন্দের মানুষের সাথে একই ছাদের নিচে কাটিয়ে দেয়!


দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকবেই! এটাকে ইন্সটেন্ট সমাধান করার ক্ষমতা সবার থাকে না! ঝগড়া হওয়ার পর কান্না কাটি না করে, মানুষটাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকলে কেমন হয়! মানুষ কি এতটাই নিষ্ঠুর, যে ভালোবাসাকে অবহেলা করতে পারে!


সংসার শুধু একটা অভ্যাস, এটা থেকে বের হতে হবে! সংসার একটা স্বর্গ! এখানে শুধু যোনী, লিঙ্গ, দুবেলা খাবার আর একই বিছানায় ঘুমানোর বাইরেও প্রেম, ভালোবাসা, নির্ভরশীলতা, গুরুত্ব, প্রায়োরিটি, শ্রদ্ধাবোধ, এডজাস্টমেন্ট সব প্রয়োজন হয়! সব মানে সব!


দাম্পত্য জীবন সুন্দর তখনি হয়, যখন আমরা অভ্যাস থেকে বের হতে পারি!

মানুষটা একটা অস্তিত্ব হোক! অধিকার হোক! বেঁচে থাকার ডেফিনেশন হোক!

একটা এডিকশন হোক! আমাদের সংসার হোক আমাদের নেশাগ্রস্থ থাকার অ্যালকোহল!


আমাদের মাঝে ভালোবাসার মাদকতা থাকাটা জরুরী, ভীষন জরুরী!

সময় পেরিয়ে গেলে শখ হয়ত পূরণ হয় ঠিকই, তবে তৃপ্তিটা ঠিক পাওয়া যায় না।

 জীবনে যে-কোনো শখ বা আহ্লাদ পূরণের নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। সঠিক সময়টা একবার পেরিয়ে গেলে শখ হয়ত পূরণ হয় ঠিকই, তবে তৃপ্তিটা ঠিক পাওয়া যায় না।


১৭ বছর বয়সে যে বিরিয়ানিটা খেতে অমৃতের মতো লাগে, ৩২ বছর বয়সে এসে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে।


১৮ বছর বয়সে সমবয়সী কারো সাথে পাঞ্জাবি বা শাড়ি পরে রিকশায় ঘুরতে ভীষণ রোমান্টিক লাগে, ৩৬ এ পা দিয়ে একই কাজ করতে রোমান্টিক লাগবেই তার কোনো গ্যারান্টি নাই। 


২১ বছর বয়সে ভার্সিটির বন্ধুবান্ধব নিয়ে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে যেই আনন্দ পাওয়া যাবে, ৪০ পার করে সেই আনন্দ পাওয়া নাও যেতে পারে। 


একদিন নিজের ছাদে বাগান করব, এই আশায় বসে থেকে যেই মানুষটা বারান্দার টবে কোনো গোলাপের চারা লাগাল না, ছাদ হওয়ার পর দেখা গেল সেই মানুষটার আর বাগান করার সময়ই নেই। 


একদিন চাকরি করে বাবা-মাকে দামী দামী জিনিস কিনে দেয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষটা চাকরি করে টাকা কামাবে ঠিকই, কিন্তু ততদিনে মা-বাবা এই দুনিয়ায় নাও থাকতে পারে। 


জীবনের ছোটখাট সাধ আহ্লাদ খুব দামী জিনিস। এগুলোই একটা মানুষের হৃদয়কে জীবিত রাখে, সতেজ রাখে, প্রাণবন্ত রাখে। মানুষের হৃদয় একটু একটু করে মরে যায় ইচ্ছা পূরণের অভাবের নীরব হাহাকারে! এজন্য সময় থাকতেই এসব শখ পূর্ণ করে ফেলতে হয়। 


অনেক টাকা জমলে একদিন খাব, এই চিন্তা না করে অল্প কিছু টাকা জমিয়ে এখনি খেয়ে আসুন পছন্দের কাচ্চিটা। বিশ্বাস করুন, জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বাদটা পাবেন।


দেরি না করে পছন্দের মানুষটাকে আজকেই রিকশা ডেটিংয়ের অফারটা দিয়ে দেখুন। রাজি হলে শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরে হুডখোলা রিকশায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শহরময় ঘুরে বেড়ান। লিখে নিন, লাইফের সেরা রোমান্সটা পাবেন।


পকেটে কিছু টাকা হলেই বন্ধুর ঘাড়ে হাত রেখে বলে বসুন, চল ব্যাটা, সাজেক যাব। আজকেই যাব, এক্ষণি যাব। ব্যাগ গুছিয়ে নে, বাস ধরতে হবে।


নিজের ছাদে বাগান হবে, এই আশায় বসে না থেকে ভাড়া বাসার বারান্দার টবেই লাগিয়ে ফেলুন পছন্দের গোলাপের চারাটা। টিউশানির টাকায় কম দামেই কিনে ফেলুন বাবা-মায়ের জন্য শার্ট বা শাড়ি, হোক না সুতি, শখ পূরণটাই বড় কথা! 


মনে রাখবেন, একদিন সব হবে - এই আশায় যে নিজেকে বঞ্চিত করে, তার জীবনে কিছুই হয় না। তার জীবন কাটে বিষন্নতা আর অপেক্ষায়, শেষ হয় আফসোস আর হতাশা দিয়ে।

 #ডাক্তারতানিয়াসুলতানা

শখ করে একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে আনলাম, বিয়ের ১০ দিন যেতে না যেতেই দেখি আমার ছেলে আর আগের মত নেই

 শখ করে একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে আনলাম, বিয়ের ১০ দিন যেতে না যেতেই দেখি আমার ছেলে আর আগের মত নেই! আমার বয়স ৬০ চলছে। আমি সরকারি চাকুরীজীবী ছিলাম। যে ছেলে অফিস থেকে এসে সবার আগে আমাকে খুঁজতো, ঐ ছেলে এখন মায়ের খোঁজ না নিয়ে সবার আগে বউকে খোঁজে। সারাক্ষণ বউয়ের সাথে সময় কাটায়, বউকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয় কিন্তু মা খেলো কিনা তা খোঁজ নেয়না।  


বিয়ের আগে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আগে মা এবং বোনকে নিয়ে যেতো, বলতো মা বন্ধুদের নিয়ে যেতে ভালো লাগেনা তোমরা চলো😢 কিন্তু এখন আমার সে ছেলে মা বাবা,বোনকে নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা -বউকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেলে মায়ের অনুমতিটাও নেয়না। বউকে নিয়ে বিয়ের এক মাস পর হানিমুনে গেলো কিন্তু আমার অনুমতি নেয়নি 🙂 সারাদিন বউ, বউ করতে ব্যস্ত। ছেলেকেতো আমি পেটে ধরেছি, ছেলের ভালো মন্দ আমি নিশ্চয় বউয়ের থেকে ভালো বুঝি? কিন্তু না সবকিছু এখন বউ ভালো বোঝে। 


বউ পেয়ে এখন মাকে অপমান করে! আমার ছেলে কখনো বেগুন খেতোনা। বেগুন রান্না করলে রাগে খাবার খেতোনা, এখন বউ বেগুন পছন্দ করে বলে ছেলে আমার বেগুন খাই। একদিন বউ বেগুন ভাজি করেছে, আমি বললাম বউমা রাহাত বেগুন খায়না , বউ বলে খাবে মা। আমি বললাম খাবেনা খায়না ও, ছেলে এসে সে বেগুন খেলো তো খেলোই, উল্টো কত প্রশংসা!  ঐদিন অপমান করলো ছেলে আমাকে 🙂বোঝালো মা কিছু জানেইনা। বউ পাওয়ার পেয়ে গেলো আরো।


বিয়ের ৪ মাসের মাথায় ছেলে আমাকে বলে মা তুমি কি আমাদের সুখ দেখলে কষ্ট পাও? আমি বললাম নাতো কেন? রাহাত বলে - মা তুমি সব সময় তোমার সাথে বউকে তুলনা কেন করো? আমাদের জীবন আমরা যা ইচ্ছে করি, তুমি সবকিছুতে আগের মত কেন করো? আমি কি ছোট মানুষ? আমরা ঘুরতে গেলে তোমার অনুমতি নিতে হবে, আমি কি খাবো তা অনুমতি নিতে হবে, বউ কি রান্না করবে সেটাও কেন তোমার থেকে অনুমতি নিতে হবে? সংসার কি ওর না? 


এরপর ছেলে আমার বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। আলাদা বাসা। আমি কি করেছি আপনারা বলুন আমিতো মা, আমি কি ছেলের ক্ষতি চাই? ছেলের বউরা বিয়ে করে এসেই মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করে। 


নোট- আমি রাহাতের ছোট বোন লিখছি, আমার মায়ের হয়ে আপনাদের লিখে পাঠালাম, শাশুড়ীরা এফ**বি চালায়না বলে তারা খারাপ তা কিন্তু না! শাশুড়ীদের সাথেও অন্যায় করে বউয়েরা সব সময়। ছেলেদের আলাদা করেও বউয়েরায়।


লেখা: Afsanah Khan.


#collected

ছাদের টবে বোরন সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ।

 ছাদের টবে বোরন সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ।


🍂বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ:


বোরন সারের  অভাবে পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কান্ডের তগ্রকোস বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরাগায়ন, ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফুল, ফল ঝরে পড়ে ও ফল বিকৃত হয়। আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে। উদ্ভিদ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। বীজের সংখ্যা খুব কমে যায়। ফল ফেটে যায়। 

এছাড়া বোরন সার ডাল ও তেল জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ধানে চিটা হওয়া ও দাগ পড়া কমে যায়।


🌱🍃প্রয়োগ পদ্ধিতি: মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়োগ করা যায়। সার/বালু/ছাই/মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে বোরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করা যেতে পারে।


🍃🌱মাটিতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে:


সাধারণত ফলগাছে ফুল আসার পূর্বে বোরন সার প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যাবে। ছাদবগানের জন্য ছোট টবে ১/২ চা চামচ, বড় টবে ১ চা চামচ এবং হাফড্রামে ১ টেবিল চামচ দিতে হবে। এক্ষেত্রে টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইঞ্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে সার ভালো করে মিশানোর পরে ঐ তুলে রাখা মাটিগুলো ঝুরঝুরে করে  ভালোভাবে টবে ঢেকে দিতে হবে।


💧স্প্রে প্রয়োগ মাত্রা: 


গাছ রোপণের ২০-২২ দিন পর প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করুন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়োজনে ৩য় বার স্প্রে করলে ফুল ও কচি ফল ঝরে পড়া সমস্যা কমে যায়।


🍃🌱ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক বা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য জিংক ১ গ্রাম/লিটার এবং বোরন বা  সলুবোর বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) অথবা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য বোরন সার ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য় বার স্প্রে করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়।


যেসব গাছে ১২ মাস ফল থাকে সেসব গাছে ২ মাস পর পর বোরন সার স্প্রে করতে হবে। সেসব গাছ বছরে একবার ফল দেয় ঐ গাছে ফুল আসার এক মাস আগে বোরন প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।


🛑পন্যটি আমাদের কাছে পাবেন। 


#ছাদবাগান #garden #ছাদকৃষি #roofgarden #foryouシ #gardening #সার

আমে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্ল্যাক স্পট রোগ (Bacterial Black Spot - BBS) আমচাষিদের জন্য সতর্কবার্তা ও করণীয়

 আমে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্ল্যাক স্পট রোগ (Bacterial Black Spot - BBS) আমচাষিদের জন্য সতর্কবার্তা ও করণীয়



✅ রোগের কারণ: 

এই রোগটি Xanthomonas citri pv. mangiferaeindicae নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়, যা প্রধানত আম গাছে আক্রমণ করে।


✅ রোগের যেসব লক্ষণসমূহ দেখা যায়:  

• পাতায় ছোট ছোট পানির ফোঁটার মতো বাদামী থেকে কালচে দাগ 

• কচি ডালে ফাটল এবং জমাটবাঁধা রেজিন 

• ফলের গায়ে কালো ছোট দাগ, যা ধীরে ধীরে গভীর হয়

• দাগের চারপাশে উঁচু অংশ তৈরি হয় এবং ফল বিকৃত আকার ধারণ করে

• গুরুতর সংক্রমণে ফল ঝরে পড়ে


✅ যেভাবে এই রোগ বিস্তার লাভ করে:  

• বৃষ্টির পানি, বাতাস ও কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ছড়ায় 

• উচ্চ আর্দ্রতা ও মাঝারি তাপমাত্রা (২০–৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এই রোগের জন্য অনুকূল


✅ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (অভ্যাস + স্প্রে গাইডলাইন)


১. বাগান ব্যবস্থাপনা:

• আক্রান্ত ডাল, পাতা ও ফল দ্রুত ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলুন

• ছাঁটাই সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করুন (যেমন ব্লিচ দ্রবণে চুবিয়ে)

• বাগানের সুষম বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন  

• বেশি নাইট্রোজেন সার ব্যবহার পরিহার করুন


২. রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ (স্প্রে পদ্ধতি):


🔺ক) কপারযুক্ত ব্যাকটেরিসাইড স্প্রে: 

• Copper hydroxide (যেমন চ্যাম্পিয়ন বা সমমানের ব্র্যান্ড)

• ডোজ: ২.৫ গ্রাম/লিটার পানি  

• যে সময় স্প্রে করবেন:  

      ° ফুল আসার আগে (pre-flowering stage)

      ° ফল আসার পরে (fruit set stage)

      ° ফল বৃদ্ধি পর্যায়ে (১৫ দিন পরপর, সর্বমোট ৩-৪ বার)


✅ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ  

• স্প্রে করার সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে বেশি কার্যকর হয়

• রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত স্প্রে শুরু করুন

• একই রাসায়নিক বারবার ব্যবহার না করে পরিবর্তন করে ব্যবহার করুন

• সবসময় নির্দেশনা অনুযায়ী ডোজ মেনে চলুন


✅ শেষ কথা: 

উপযুক্ত সময়ে নিয়মিত ছাঁটাই ও সঠিক স্প্রে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে আমের ফলন ও গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন। 


❤️ এই পোস্টটি কৃষক ভাইদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে অনেকের ফলনের ক্ষতি! 

================

কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে দিন। 

======================

কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি 

কৃষিতেই আছে আমাদের মুক্তি।

ধন্যবাদ ❤️ 

Md. Gaushoul Agam 

SA Horticulture Officer

Horticulture Center, Baradi Meherpur.

==========================

বিঃদ্রঃ

🛑 Copyright Reserved by©️ @Horticulture Center  

🛑 Sharing Allowed Only. Do not copy this content. Unauthorized reproduction may result in action under copyright law. 

============================


 #highlights #followers #agriculture #mangodisease #viralpost #highlightseveryonefollowers2025

ভাত থেকে পূর্ন পুষ্টি পেতে আঁশযুক্ত চাল খাবেন, সুগারের লেবেল বাড়াতে সাদা চাল খাবেন। 

 ভাত থেকে পূর্ন পুষ্টি পেতে আঁশযুক্ত চাল খাবেন, সুগারের লেবেল বাড়াতে সাদা চাল খাবেন। 

এই নিয়ে Haal Fashion আলমগীর আলম ভাইয়ের লেখা

আপনিই ঠিক করুন, কোনটা খাবেন, সাদা না আঁশযুক্ত চাল?

বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। কিন্তু সেই ভাতেও ঢুকেছে নানা কিছু। চাল আর আগের মতো নেই। চাল নিয়ে তাই অভাব নেই বিড়ম্বনার। তবু জেনে রাখা ভালো, কোন চাল কার জন্য আদর্শ।

আমরা ভেতো বাঙালি। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ধান থেকে ভাত আর সেই ভাত থালায় আসা পর্যন্ত কয়েকটি ধাপ পার করে আসতে হয়। আমাদের ভেতর প্রচুর আলোচনা আছে যে লাল চাল খান, সাদা চাল বাদ দেন। আসলে সাদা চাল আর আঁশযুক্ত লাল চালের মধ্যে অনেক কিছুরই ফারাক আছে। আবার সাদা চাল যে একদমই ভালো নয়, সেটাও ঠিক নয়। বিষয়টি বোঝার জন্য কিছু তথ্য দেওয়া হলো। এতে করে আপনার পরিবারের জন্য চাল বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হবে।

প্রক্রিয়াকরণের কারণে চালের গুণ!

সাদা চাল: ধান থেকে চাল তৈরির সময় মিলিং ও পলিশিং প্রক্রিয়ায় বাইরের আঁশ (bran), জীবাণু (germ), এবং কখনো কখনো অ্যালিউরন স্তর (aleurone layer) সরিয়ে ফেলা হয়। এটি চালকে সাদা, মসৃণ এবং দ্রুত রান্নার উপযোগী করে, কিন্তু পুষ্টি উপাদানের বড় অংশ হারিয়ে যায়।

আঁশযুক্ত চাল: কেবল বাইরের খোসা (husk) সরানো হয়, কিন্তু আঁশ ও জীবাণু অক্ষত থাকে। এটি ব্রাউন রাইস, লাল বা কালো হতে পারে। যার রং আঁশে থাকা উপাদানের ওপর নির্ভর করে। এসব স্তরই এটিকে পুষ্টির দিক থেকে সমৃদ্ধ করে।

পুষ্টি উপাদানের তুলনা

কার্বোহাইড্রেট ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই)

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২৮৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার বেশির ভাগই সাধারণ শর্করা। এর জিআই ৭০৮৯। অর্থাৎ, এটি দ্রুত হজম হয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। এটি ইনসুলিন স্পাইক সৃষ্টি করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সমস্যা হতে পারে।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ২৩২৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, কিন্তু আঁশের উপস্থিতির কারণে হজম হয় ধীরে। জিআই ৫০৫৫, যা রক্তে শর্করা ধীরে ধীরে বাড়ায় এবং ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া স্থিতিশীল রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন জিআইয়ের খাবার দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আঁশ

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ০.৪০৬ গ্রাম আঁশ। এটি হজম দ্রুত করে, কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী নয়।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৮৩৫গ্রাম আঁশ (ব্রাউন রাইসে ১.৮ গ্রাম, লাল চালে আরও বেশি হতে পারে)। আঁশ অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি দেয়, কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

ভিটামিন

• সাদা চাল: প্রক্রিয়াকরণে বি ভিটামিন (B1, B3, B6) অনেকটাই হারিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, থায়ামিন (B1) প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ০.০৭ মিলিগ্রাম থাকে। তবে ফর্টিফায়েড সাদা চালে কৃত্রিমভাবে এগুলো যোগ করা হয় (যেমন ০.২০৪ মিলিগ্রাম)।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রাকৃতিকভাবে বি ভিটামিনসমৃদ্ধ। থায়ামিন ০.৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন (B3) ৪.৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন B6 ০.৫ মিলিগ্রাম থাকে। এগুলো শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং লাল রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ।

খনিজ

• সাদা চাল: ম্যাগনেসিয়াম (২৫ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (৪৩ মিলিগ্রাম) ও আয়রন (০.৮ মিলিগ্রাম) কম থাকে। প্রক্রিয়াকরণে এগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হারিয়ে যায়।

• আঁশযুক্ত চাল: ম্যাগনেসিয়াম (৮৪ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (১৫০ মিলিগ্রাম), আয়রন (১.৫ মিলিগ্রাম) ও ম্যাঙ্গানিজ (১.১ মিলিগ্রাম) বেশি। ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ও বিপাকের জন্য, আয়রন রক্তাল্পতা প্রতিরোধে এবং ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট এনজাইমের কার্যকারিতায় সহায়ক।

অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট

• সাদা চাল: প্রায় কোনো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে না।

• আঁশযুক্ত চাল: ফেনলিক যৌগ (যেমন ফেরুলিক অ্যাসিড), ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিন (লাল/কালো চালে) থাকে। উদাহরণস্বরূপ, লাল চালে অ্যান্থোসায়ানিন প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম হতে পারে, যা প্রদাহবিরোধী এবং ক্যানসারপ্রতিরোধী।

প্রোটিন

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৭ গ্রাম প্রোটিন।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৩.৫ গ্রাম। পার্থক্য কম, তবে আঁশযুক্ত চালে অ্যামিনো অ্যাসিডের গুণগত মান কিছুটা ভালো।

ফ্যাট

• সাদা চাল: প্রায় ০.৩ গ্রাম (বেশির ভাগই স্যাচুরেটেড ফ্যাট)।

• আঁশযুক্ত চাল: ০.৯১ গ্রাম (অধিকাংশই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো)।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রভাব

• ডায়াবেটিস: ২০১০ সালে আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে পাঁচবার সাদা চাল খাওয়ার তুলনায় আঁশযুক্ত চাল খেলে টাইপ–টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬% কমে।

• হৃদ্‌রোগ: আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন (২০১৬) অনুসারে, আঁশযুক্ত চালে থাকা আঁশ ও ম্যাগনেসিয়াম এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস করে।

• ওজন নিয়ন্ত্রণ: আঁশের কারণে আঁশযুক্ত চাল বেশি তৃপ্তি দেয়, যা ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের নিউট্রিশন রিভিউয়ের একটি সমীক্ষায় এটি নিশ্চিত হয়েছে।

• অন্ত্রের স্বাস্থ্য: আঁশ অন্ত্রে প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, যা গাট মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য রক্ষা করে।

সুবিধা ও অসুবিধা

সাদা চাল

সুবিধা: দ্রুত রান্না হয়, মিষ্টি স্বাদ, হজমে সহজ।

অসুবিধা: পুষ্টি কম, উচ্চ জিআই, দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

আঁশযুক্ত চাল

সুবিধা: পুষ্টিসমৃদ্ধ, দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

অসুবিধা: রান্নায় সময় বেশি লাগে, স্বাদে কিছুটা কড়া, হজমে সময় লাগে।

কার জন্য কোনটি উপযোগী?

সাদা চাল: শিশু, বয়স্ক বা দুর্বল হজমশক্তির মানুষ ও অসুস্থ ব্যক্তি এবং যাঁরা দ্রুত শক্তি চান, তাঁদের জন্য উপযোগী।

আঁশযুক্ত চাল: ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ বা ওজন নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য উপযোগী।

আপনার খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে এগুলো বেছে নিতে পারেন।

লেখক: খাদ্য ও পথ্যবিশেষজ্ঞ; 

প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

#alamgiralam

#আলমগীরআলম

#lifestyle

#seeds

#yogalifestyle

#oil

#rice

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...