এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২০-০৪-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২০-০৪-২০২৫ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় ১৩ হাজার পাঁচশো কোটি টাকা ব্যয়ে বে-টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো প্রকল্প একনেকে অনুমোদন।


জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে আরো বেশি বাংলাদেশি নারী নিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার।


আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।


চট্টগ্রাম ও চীনের ইউনান প্রদেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ও চীনের।


জাতীয় ঐক্য কমিশনের সাথে বিএনপির বৈঠক - রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে মত।


গত তিনটি নির্বাচনে অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এনসিপির।


একে অপরের বিরুদ্ধে ৩০ ঘন্টার ইস্টার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ রাশিয়া ও ইউক্রেনের।


আজ সিলেটে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে ১২৪ রানে পিছিয়ে।

PCOS ও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক সমাধান!

 ㊗️ PCOS ও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক সমাধান!


আপনি কি অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত সাদাস্রাব, বা মাসিকের সময় তীব্র ব্যথায় ভুগছেন? পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) আজকাল অনেক মহিলার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তবে চিন্তার কিছু নেই!


Medicure Homeo Clinic নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন, যা আপনার শরীরকে স্বাভাবিক হরমোন ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়তা করে।


বিশেষ উপকারিতা:


✅ অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে

✅ PCOS-জনিত সমস্যার জন্য কার্যকরী

✅ পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমায়

✅ হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে

✅ অতিরিক্ত সাদা স্রাব দূর করতে সহায়ক


আমাদের নির্ভরযোগ্য হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন:


✔ Pulsatila 1M

✔ Pulsatila 200

✔ Ashwagandha Q - 100ml


(দুই মাসের ফুল কোর্স) 


🩸 সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ও জার্মান ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত


আপনার স্বাস্থ্য আমাদের অগ্রাধিকার! এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করুন।


📞 যোগাযোগ করুন: 01968-985371


স্বাস্থ্যই সম্পদ, নিজেকে ভালোবাসুন!

বারী সিদ্দিকী: এক বাঁশির যাত্রী, এক সুরের সাধক

 বারী সিদ্দিকী: এক বাঁশির যাত্রী, এক সুরের সাধক

(একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবন্ধ | A Tribute Feature by Labu Flutes)


নির্জন কোনো নদীর ধারে বসে কেউ যদি চোখ বন্ধ করে শুনে, হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক বাঁশির করুণ ধ্বনি ভেসে আসে—তাহলে ধরে নেওয়া যায়, সে সুরের উৎস বারী সিদ্দিকীর আত্মা থেকে নিঃসৃত। তাঁর বাঁশির আওয়াজ ছিল কেবল সঙ্গীত নয়, ছিল ধ্যান, সাধনা, কান্না আর প্রেমের গভীর ভাষ্য।

@

১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোণার এক সংগীতপ্রবণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। তাঁর পিতা মোসলেহ উদ্দিন ছিলেন এক সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তি, যিনি নিজেই সংগীত চর্চা করতেন। ছোটবেলায় বাড়ির উঠানে বাউলদের আসর বসত, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সেসব লোকজ সুর গেঁথে যেতে থাকে তাঁর হৃদয়ে। ছয়-সাত বছর বয়স থেকেই বাঁশির প্রতি দুর্নিবার টান অনুভব করতেন তিনি—মনে হতো, এই যন্ত্রের মধ্যেই যেন তার আত্মার আত্মীয় বাস করে।


তবে বারী সিদ্দিকী কেবল স্বভাবগত প্রতিভাই ছিলেন না—তিনি পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ এবং শুদ্ধ সংগীতের এক অস্থির খোঁজাখুঁজির যাত্রী। ১৯৮১ সালে শুরু করেন গুরুপরম্পরায় প্রাতিষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা। তাঁর ভাগ্যবান শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত ভিষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় (কলকাতা), যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের মাধুর্য, রাগভিত্তিক সুরের গঠন এবং অলঙ্কারিকতা শেখান। তাঁর আরও এক গুরু ছিলেন উস্তাদ আমিনুর রহমান, যিনি লোকগান ও শাস্ত্রীয় সংগীতের এক ভিন্ন মিশ্রণে বারী সিদ্দিকীকে দীক্ষা দেন।


বারী সিদ্দিকীর সংগীত জীবনের সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী অধ্যায়গুলোর একটি ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উস্তাদ লাবু মিয়া–এর সঙ্গে, যিনি Labu Flutes-এর প্রতিষ্ঠাতা। লাবু মিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাঁশিশিল্পী ও বাঁশি নির্মাতা। দুজনেই ছিলেন সুরের সাধক, দুই ভিন্ন পথে হাঁটলেও গন্তব্য ছিল এক—সত্যিকারের সুরের সন্ধান।


উস্তাদ লাবু মিয়া বারী সিদ্দিকীর জন্য বহু বিশেষ বাঁশি নির্মাণ করেছিলেন—প্রতিটি বাঁশি ছিল হাতে বানানো, তাঁর নিখুঁত বাজানোর কৌশল অনুযায়ী। কখনো ছিল মিহির ঘরানার স্টাইল, কখনো লোকগানের ঝোঁক—এই প্রতিটি বাঁশিই লাবু মিয়ার নির্মাণশৈলীতে ছিল স্বতন্ত্র। 


বারী সিদ্দিকীর সংগীতজীবন যেন এক বহতা নদীর মতো—লোকসংগীত, বাউল, শাস্ত্রীয় ও আধুনিক সকল ধারায় ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর কণ্ঠ ছিল বাঁশির মতোই—কখনো করুণ, কখনো দার্শনিক, কখনো প্রেমময়। "শুয়োরে ভাই", "আমার গায়ে যত দুঃখ সয়", "মানুষ ধরলে সোনার মানুষ" "সাদা পাতায় কালো দাগ", শুয়া চান পাখি, পূবালি বাতাসে –এমন অসংখ্য গান তিনি উপহার দিয়েছেন, যেগুলো আজও বাংলার সুরের ভাণ্ডারে অমূল্য সম্পদ।


একজন বাঁশিশিল্পী হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো—তিনি বাঁশিকে জনপ্রিয় করলেন সেই শ্রোতামহলের কাছে, যারা আগে কেবল গায়ক-কেন্দ্রিক সংগীতকেই প্রাধান্য দিত। তাঁর হাত ধরে বাঁশি হয়ে উঠল জনতার সংগীতযন্ত্র।


বারী সিদ্দিকীর সংগীতচর্চা কখনো নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি অনেক শিষ্যকে দীক্ষা দিয়েছেন, সংগীত বুঝতে শিখিয়েছেন।


২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহান শিল্পী। তিনি শেষ দিন পর্যন্ত সংগীতচর্চায় ব্যস্ত ছিলেন, এমনকি মৃত্যুর কিছুদিন আগেও এক বন্ধুকে বলেছিলেন,

“সুরটাই তো আমার জীবনের কথা—আমি মরবো, কিন্তু আমার বাঁশি থাকবে, গাইবে।”


🌟 নির্বাসিত দেহ, অনন্ত সুর

আজ বারী সিদ্দিকী নেই, কিন্তু তাঁর বাঁশির সুর, তাঁর গানের শব্দ, তাঁর চোখ বন্ধ করে বাজানোর যে নিবেদন—তা রয়ে গেছে বাংলার প্রতিটি হৃদয়ে। তাঁর আত্মা আজও ভেসে বেড়ায় Labu Flutes-এর কোনো এক বাঁশির শরীরে।


📯 Labu Flutes এই মহান সুরসাধককে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে।


“বারী সিদ্দিকী ছিলেন আমাদের সময়ের আত্মার বাঁশি।”


এই লেখা Labu Flutes-এর পক্ষ থেকে রচিত। 🎶

যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তবে দয়া করে কমেন্ট করতে ভুলবেন না, আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন


#BariSiddiqui #LabuFlutesFeature #BanglaSurerGorbo #FluteLegacy #Mihargarana #UstadLabuMiah #BanglaMusicHistory

পৃথিবীব্যাপি সুনামধন্য জার্মানির সেরা হোমিওপ্যাথি কোম্পানির মে'ডিসিন তাও পাইকারি দামে

 পৃথিবীব্যাপি সুনামধন্য জার্মানির সেরা হোমিওপ্যাথি কোম্পানির মে'ডিসিন তাও পাইকারি দামে🌿


👉এই প্যাকেজের মেডি'সিন গুলো ১০০% কোয়ালিটি সম্পন্ন। 


👉আমরা আপনাদের কাছে আমাদের সেরা সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 


👉আমদানিকৃত অর্জিনাল সীল প্যাক প্রোডাক্ট গুলো আপনার অর্ডার নিশ্চিত করার পর আপনার  নিকট দ্রুত পৌছানোর জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা ও নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।


🩺আপনি চাইলে আমাদের অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর সাথে আপনার সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করেও সেবা নিতে পারবেন। 


👉আমরা প্রতিটি কার্যদিবস ছাড়াও ছুটিরদিন গুলোতে অসংখ্য রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। 

🤲আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহর রহমত ও আমাদের চিকিৎসা সেবা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে অনেকেই সুস্থ হয়েছে ও হচ্ছে।


👉এছাড়াও আপনার যেকোনো শারীরিক  সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ করতে পারেন।


চেম্বারঃ রেডিয়েন্ট হোমিও সেন্টার। 

বাংলাদেশ হোমিও মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল 

এর বিপরীত পাশে, 

হাবিব কমপ্লেক্স ওয়ারী, 

দক্ষিন সাইডের নিচতলা,

জয়কালী মন্দির, ঢাকা।

জেনে নিন, হঠাৎ কেউ স্ট্রোক করলে কি করবেন? 

 ✅ জেনে নিন, হঠাৎ কেউ স্ট্রোক করলে কি করবেন? 

মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যঘাত ঘটার ফলে যে অব্যবস্থা দ্রুত জন্ম নেয় তাকে বলা হয় স্ট্রোক (Stroke)। 


দেহের রক্তের মাত্র ২% মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মস্তিষ্ক কোষসমূহ অত্যন্ত সংবেদনশীল—অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ওই কোষগুলো শরীরের যেই অংশ নিয়ন্ত্রণ করত ওই অংশ গুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।


স্ট্রোক সম্বন্ধে চীনের অধ্যাপকরা বলেছেন-

স্ট্রোক আজ অকালে কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রান৷ যদি দেখেন কারো স্ট্রোক হচ্ছে তাহলে রোগীকে বাঁচানোর জন্য আপনাকে জরুরীভিত্তিতে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে-


যখন কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তখন তার রক্তচাপ বেড়ে যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন হয় ও মস্তিষ্ক কোষ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। এসময় একজন মানুষের জরুরী ভিত্তিতে ফার্স্ট এইড এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।


যদি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী দেখেন তবে তাকে তাৎক্ষনিক সরানো যাবে না কারন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে, এটা ভাল হবে যদি আপনার বাড়ীতে পিচকারি সুই থাকে, অথবা সেলাই সুই থাকলেও চলবে, আপনি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখার উপরে সুচটিকে গরম করে নেবেন যাতে করে এটি জীবাণুমুক্ত হয় ৷


তারপর রোগীর হাতের ১০ আঙ্গুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত বা বিদ্ধ করতে এটি ব্যবহার করুন। এমনভাবে করুন যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়, কোন অভিজ্ঞতা বা পূর্ববর্তী জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। 


কেবলমাত্র নিশ্চিত করুন যে আঙ্গুল থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্তপাত হচ্ছে কি না। এবার ১০ আঙ্গুলের রক্তপাত চলাকালীন, কয়েক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন দেখবেন ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে।


যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করুন। এমনভাবে তার কান ম্যাসেজ করুন যাতে ম্যাসেজের ফলে তার কান লাল হয়ে যায় এবং এর অর্থ হচ্ছে কানে রক্ত পৌঁছেছে। তারপর প্রতিটি কান থেকে দুইফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য প্রতিটি কানের নরম অংশে সুচ ফুটান। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রোগীর অবস্থা একটু স্বাভাবিক হলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করান।


জীবন বাঁচাতে রক্তক্ষয়ের এই পদ্ধতি চীনে প্রথাগতভাবে চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ, ১০০% কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।


#stroke #এই #এই

পালসেটিলা 🍁Pulsatilla pratensi

 🍀পালসেটিলা

🍁Pulsatilla pratensis 

গুরুপাক খাবার অর্থাৎ তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা হলে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। গর্ভধারণের কারণে পেট ব্যথা হলেও ইহা প্রযোজ্য।পালসের রোগীরা অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র হয়। এ জন্য শান্ত শ্লিষ্ট নম্র ভদ্র কাউকে দেখলেই আমরা পালস কে মনে করি। কিন্তু পালস ছাড়া আর কোন কোন ঔষধের রোগী শান্ত নম্র ভদ্র?চেম্বারে অনেক রোগী পাবেন -যারা রোগের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদে , তারা সবাই পালসেটিলার রোগী । পালসের রোগী অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির, ক্রন্দলশীল, অত্যন্ত অভিমানী, রোগী যেমন চুপচাপ ঠান্ডা থাকতে পছন্দ করেন, তেমনি ঠান্ডা খেতে ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে । মুক্তহাওয়া তার বড়ই পছন্দ । যারা খুব চন্ছল ,তারা পালসের রোগী হতে পারেনা এ কথা সবার মনে রাখা দরকার ।


🍁Pulsatilla – পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস/ ঠান্ডা খাবার/ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।

রোগী গরম কাতর তবে গোছল পছন্দ করেনা । এ লক্ষন টি সালফারের ও চমৎকার লক্ষন । পালসের রোগীর একপাশে ঘাম, এক পাশে শুষ্ক থাকে । এটি একটি আনকমন লক্ষন তাই মনে রাখা দরকার ।পালসের সমস্ত রোগ ধিরে ধিরে বৃদ্ধি হয় । এ কথাটি মুক্তাসম - যখনি কোন রোগীর রোগ আক্রমণ ধীরে বৃদ্ধি দেখবেন তখন শত শত ঔষধ বাদ দিয়ে অল্প কয়েক টি ঔষধের মধ্যে চলে আসা যায় । রোগ আক্রমণের গতি ধীর ও মৃদু প্রকৃতির প্রথম শ্রেনির ঔষধ হল- ব্রায়েনিয়া , জেলস, কোনিয়াম, ককিউলাস , এলুমিনা, সাইলেসিয়া , এন্টিমটার্ট , আইওডিয়াম, লাইকো ইত্যাদি I খাওয়ার পর লাইকো কাপড় ঢিলা করে দেয় , নতুবা অস্থিরতা শুরু হয়, পালসেটিলা তার বিপরীত । পালসেটিলা কাপড় জোরে কষে বাঁধলে আরাম পান ।


🍁Pulsatilla pratensis – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে

তরুন রোগের সহিত শীতবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । যতব্যথা ততশীত । ঋতু বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত গেলে পালস কে স্মরন করবেন । পালসের রোগী বামপাশে শুইতে পারেনা, মার্কসলের রোগী ডান পাশে শুইতে পারেনা ।

 পালসের রোগী তার বিছানার চাদরের মাঝে উলঙ্গ মানুষের ছবি দেখতে পায় । ঋতু আবদ্ধ হওয়ার পর তার এই মনোলক্ষন্য দেখা দেয় । কখনো কখনো সে দেখে শয়তান তাকে নিতে আসছে, তার মন এই ভাল এই খারাপ,এই হাসে, এই কাঁদে । পালসের রোগী লোভী ও হিংসুক হয়, নাক্স ও লাইকোর রোগী অনেকটাই হিংসুক । মাথার ভিতরে পিছনের দিকে , একপাশে অতি তীব্র যন্তনা অনুভুত হয়।মনে হয় একটা পেরেক সজোরে মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে । এই লক্ষন টা পালসের খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । অনেক রোগী এসে বলে " মাথা ব্যাথার সময় আমার মাথার মধ্যে যেন কেউ পেরেক মারতেছে । এটা শুনলেই পালস কে চিন্তা করবেন । রোগী সাধারনত কানে শুনেনা কিন্তু গাড়ী বা ট্রেনের শব্দে সব কিছু শুনতে পায় এটি পালসের আনকমন লক্ষন । পালসের উদরাময়ের মল একবার এক রকম হয়, কখনো সাদা, কখনো পানির মত, কখনো আম মিশ্রিত । ঘৃত, দুধ, মাখন,ইলিশ মাছ পোলাও খাইয়া পেটে সমস্যা হলে পালস তাদের জন্য ধন্বস্তরী । কেবল গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে । বয়স হওয়া শর্তে ও স্ত্রী যন্ত্রের ঠিকমত উন্নতি না বলে লক্ষন থাকলে পালসেটিলা ভাল ফল দেয় । পালসের লক্ষন না থাকলে হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ক্যালকেরিয়া ফস কে ভুলবেন না । দাঁতের ব্যথা সাধারনত গরম জ্বলে উপশম , কিন্তু পালসের ঠান্ডা জলে উপশম । ঠান্ডা জলে উপশম অন্যান্য ঔষধ হল ব্রায়োনিয়া , কফিয়া, নেট্টাম সালফ, ও বিসমাথ ।


🍁Pulsatilla – পালসেটিলা ঔষধটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। ঠান্ডা মেজাজী এবং কথায় কথায় চোখ দিয়ে পানি ঝরে এমন মেয়েদের ওপর এটি বেশী কাজ করে।

ইগ্নেসিয়াতেও সর্বদা বিষণ্ন ও দুঃখিতভাব আছে,কিন্তু পালসেটিলার রোগীণীর মত সান্ত্বনা প্রাপ্তির আশায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া নিজ দুঃখের বিষয় অপরকে জানাইতে চাই না, সে শোকদুঃখ নীরবে সহ্য করে।।ষ্ট্যানাম মোটেও পালসেটিলার মত সামন্য কারণে কান্না করা আছে।ষ্ট্যানাম মেটের রোগী শীর্ণ এবং বক্ষঃস্থলে সাতিশয় দুর্বলতা অনুভব করে।ফুসফুসের অসুখ হইলে ভাবিয়া আকুল হয় এবং নিরাশায় কান্না করে,সে মনে তার মৃত্য হইবে। লাইকোর রোগী ধন্যবাদ দিলে কান্না করে।রোগী পিপাসাহীনতা দেখলে শত ঔষধ ফেলে গুটি কয়েক ঔষধ কে স্মরন করতে হয়। পালস তন্মধ্যে অন্যতম । এই পিপাসাহীনতার সব ঔষধ গুলোকে মনে রাখার জন্য আমি একটা সেন্টেন্স তৈরী করেছি। আপনারাও ইচ্ছে করলে মুখস্ত করে রাখতে পারেন। "পানির পিপাসা না থাকলে ইথু""পাল" কে পাঠিয়ে "জেল"এপি" কিনে "ইপিকে" দিয়ে নাইট্রিক এসিডকে দিও। অত্র লাইনে পিপাসাহীনতা ঔষধ - ইথু= ইথুজা, পাল= পালসেটিলা, জেল= জেলসিমিয়াম , এপি= এপিস,ইপি= ইপিকাক, এবং এসিড নাইট।


🍁Pulsatilla pratensis – যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং নানানভাবে সান্ত্বনা দিলে ভালো থাকে, তাদের টেনশানে পালসেটিলা প্রযোজ্য।

 কারন কষ্ট বাডে । কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুইতে পছন্দ করে । এ লক্ষন টি লাইকো ও কষ্টিকাম মেডোরিনামেও আছে

যে সব মহিলারা অতিরিক্ত বাচাল তাদের কে ল্যাকেসিস, যারা ঝগডাটে তারা লিডাম, আর শান্তরা পালস। আমাদের একটিভ নারীরা বেশীর ভাগ পালস। তবে আমার মনে হয় এ ভাবে চিন্তা করা ঠিক হচ্ছেনা। আরো কয়েকটি ঔষধের রোগী শান্ত ও বাচাল হয়। আমার মনে বয় পার্সেন্টিজ একটু চেন্জ করতে হবে। পালসেটিলার স্থান এক নম্বরে। এটি স্নেহপরায়ন, কথায় কথায় কেদে ফেলে, খুব সহজেই মোটা হয়ে যায়….এই ধরণের মেয়েদের বেলায় ভালো কাজ করে। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।বর্তমানে সবকিছুর দাম যেভাবে বেডেছে তাতে প্রকৃত আয় দ্বারা সংসার চালানো কঠিন। তাই অধিকাংশ মানুষ অবৈধ ভাবে উপরি ইনকাম করছে। অথবা অন্যথেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। যা হারাম।

 আর হারাম ইনকামের আয়ের টাকা খেলে মানুষের লজ্জা উঠে যাবে। তার প্রমান আদম ও হাওয়া( আ)।সবাই সুস্হ্য থাকবেন, ভাল 

থাকবেন শুভকামনা সবসময়।

🐠🐠🐠🐠🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🐠🐠🐠🐠

🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

☎হেল্পলাইন 01955507911

 🍃আর্নিকামন্ট-✴ Arnicamont--


--🎋

---🫒--- ৫ম কবিতা----🫒---

ছন্দে ছন্দে আর্নিকার লক্ষন মনে রাখার সহজ কৌশল।


বেটে মোটা সতেজ বটে

লালচে আভার মুখ।

ছুয়ে দিলে ছটকে পড়ে,

স্পর্শেতে পায় দুখ।


রক্তনালী,মাংসপেশী

কিংবা স্নায়ূমন্ডলে,

পোকার মত অনুভূতি

ভিতর ভিতর খুব জ্বলে।


মাথা ঘোরা জ্বর কিংবা

আঘাতজনিত ব্যথা

নিশ্চিন্তে প্রয়োগ করবেন,

আর্নিকামন্ট সেথা


অস্হিরতা,ভয়,আতঙ্ক

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে,

অনেক অনেক অসুখ সাড়ায়

আর্নিকামন্ট একসাথে।


টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে

দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস,

রাত্রী হলেই বৃদ্ধি ঘটে

ভীষন সর্বনাশ।


মানষিক চাপ,শারিরীক আঘাত

ইন্দ্রিয়শক্তির ক্ষয়,

ক্রোধ,ভয় আর দুংখ তাহার

সারাটা সময়।


মাংস,দুধ বা ব্র্যান্ডি খাবার

খেতে চায়না মোটে,

অনেক ব্যথা ভিতরে তাহার

পুরাতন কোন চোটে।


বাত ব্যথা,মচকানো বা

অনেকদিনের আঘাতে

আর্নিকামন্ট প্রয়োগ করলে

আরাম হবে সাথে সাথে।


🎍 উৎসাহ পেলে আরো লিখতে চাই 👻 🪡


🍃 Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.😎,DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

🍎চেম্বার:জার্মান হোমিও কেয়ার

LSD রোগে আতংকিত হয়ে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে গরু মারবেন না!

 LSD রোগে আতংকিত হয়ে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে গরু মারবেন না!


1) গরুর LSD রোগে প্রথম সপ্তাহে বেশী ঔষধ ব্যবহার করবেন না, এ সময় গরুর নিজের রোগ দমন সক্ষমতা দিয়ে রোগকে মোকাবেলায় সুযোগ দিতে হবে।কতটুকু মোকাবেলা করতে পারছে, এটা খেয়াল করে সাপোর্ট চিকিৎসা দিতে হবে। ভয়ে অগ্রীম চিকিৎসা করতে গিয়ে পিছিয়ে যাবেন।

2) এই সময়/ প্রথম দুই সপ্তাহ কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না, কারন এটা ভাইরাস ঘটিত রোগ, ব্যকটেরিয়া ঘটিত রোগ না।

3) প্রথম সপ্তাহে যত বেশী ঔষধ খাওয়াবেন, এই রোগ ভাল হতে তত বেশী সময় লাগবে; ক্ষতি বেশী হবে, শেষে চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে, তথাপি ও গরু-বাছুর বাঁচানো কঠিন হবে।

4) এ সময় আপনার প্রধান কাজ হল একটি থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখা, জ্বর মাপা ও জ্বর নিয়ন্ত্রনে রাখা, ফাষ্টভেট/পাইরালজিন এসব ট্যবলেট খাওয়ান প্রতি আট ঘন্টা পরপর দিনে তিনবার। কম করে হলে দিনে 2-3 বার গোসল করাবেন, শরীর মুছে দিতে হবে, জ্বর 104 থেকে নীচে রাখতে হবে।

5) এই সময় খাবার সোডা বড় গরুর জন্য 30 গ্রাম,বাছুর হলে 15 গ্রাম, নিমপাতা পরিমান মত,জিংক সিরাপ বাছুরকে 50 মিলি, বড় গরুকে 100 মিলি করে 15-20 দিন খাওয়াতে থাকুন। এতে এ রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হবে।

6) গোটা গুলো মোটামুটি দৃশ্যমান হতে সুযোগ দিতে হবে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এ সময় গরুর রোগ প্রতিরোধশক্তি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করছে এটা জোর করে বন্ধ করতে না যেয়ে একটু সময় দিন ও পরে নন স্টেয়রয়েড এন্টিহিস্টামিন ইনজেকশন দিতে পারেন। এসময় এষ্টাভেট/রেনাসিন ইনজেকশন 100 কেজি বডি ওয়েটের জন্য 8-10 সিসি পরপর  তিন দিন/ এক দিন পরপর তিন বার দিতে পারেন। এ সময় রেজিঃ ভেটের পরামর্শ নিবেন।

7) এ সময় খাবার স্বাভাবিক রাখুন,ইলেকট্রোলাইটস/ডেক্সড্রোজ ও মিনারেলস সাপোর্ট দিতে পারেন। ওর স্যালাইন,লেবুর রস, ক্যালসিয়াম, এমাইনোভেট প্লাস সিরাপ এসব দিয়ে এনার্জি ও পুষ্ঠি সাপোর্ট দিতে হবে। এতে গরুর রোগ প্রতিরক্ষা তৈরীতে সহায়তা হবে।

8)  এ সময় No lumpy, Lumpy cure, FRA C12 এসব পাউডার খাওয়াতে পারেন। এতে ভাইরাস ভেতর থেকে দূর্বল হয়ে যাবে।

9) নিমপাতা সিদ্ধ পানি, পটাশের পানি, স্যাম্পু, টিমসেন/ GPC8 /FAM 30 এসব দিয়ে গোসল করাতে হবে।


উল্লেখিত পরামর্শ গরু পালনকারী ভাই ও বোনেরা সঠিক ভাবে পালন করলে ভয়ানক LSD রোগ থেকে আপনার গরু দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ্!


(আগে ভাল করে পড়ুন এরপর ফলো করুন )।মনজুরুল ইসলাম

সদ্যজাত নয়, সদ্যোজাত

 ⚪সদ্যজাত নয়, সদ্যোজাত⚪


‘সদ্য’ মানে সবে, এইমাত্র, ইদানীং; আর ‘জাত’ (উচ্চারণ ‘জাতো’) মানে জনিত, জন্মিত, যে জন্মেছে। তাই এইমাত্র জন্মেছে অর্থে কেউ কেউ লেখেন ‘সদ্যজাত’ (সদ্য+জাত=সদ্যজাত), এইমাত্র মরেছে বুঝাতে লেখেন ‘সদ্যমৃত’ (সদ্য+মৃত=সদ্যমৃত)। ভুল লেখেন। শুদ্ধ শব্দ হল ‘সদ্যোজাত’ ও ‘সদ্যোমৃত’। ও-কার লাগবে। কী কারণে ও-কার লাগবে, এই লেখায় সেটাই আমরা বুঝে নেবার চেষ্টা করব।


‘সদ্য’ শব্দটি আসলে ‘সদ্যঃ’। শেষে বিসর্গ (ঃ) আছে। এটা সংস্কৃত ভাষার শব্দ। অবশ্য বাঙলায় লেখার সময় আমরা বিসর্গ বাদ দিই। কেননা আধুনিক বাঙলা বানানের নিয়ম বলে—শব্দের অন্তে অবস্থিত বিসর্গ বর্জনীয়; যেমন ক্রমশঃ>ক্রমশ, প্রায়শঃ>প্রায়শ, কার্যতঃ>কার্যত, মূলতঃ>মূলত, প্রথমতঃ>প্রথমত, মনঃ>মন, ছন্দঃ>ছন্দ, সদ্যঃ>সদ্য।


দেখা যাচ্ছে, সংস্কৃত ‘সদ্যঃ’ শব্দকে বাঙলায় আমরা ‘সদ্য’ করে নিয়েছি। লিখছি—আবেদনপত্রের সঙ্গে সদ্য তোলা দুই কপি ছবি জমা দিতে হবে। সদ্য প্রয়াত নূরুল ইসলাম ছিলেন একজন কীর্তিমান অর্থনীতিবিদ। কানাডার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাইসাইকেল চালিয়ে বাজার করতে যান।


তা হলে বাঙলা ‘সদ্য’ শব্দকে ‘জাত’ শব্দের সঙ্গে সন্ধি করে ‘সদ্যজাত’ লিখলে কী সমস্যা? সমস্যা হল, ‘জাত’ শব্দটিও তৎসম বা সংস্কৃত। আর সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে কেবল সংস্কৃত শব্দেরই সন্ধি হতে পারে, এবং অবশ্যই সংস্কৃত সন্ধির নিয়মে। তাই যখন আমরা সংস্কৃত ‘জাত’ শব্দের সঙ্গে ‘সদ্য’ শব্দকে সন্ধিবদ্ধ করতে যাই, তখন শ্রেণির টানে ফিরে আসে তার মূল রূপ ‘সদ্যঃ’; কেননা ‘সদ্য’ সংস্কৃত না হওয়ায় ‘জাত’ শব্দের সঙ্গে তার সন্ধি হবার নয়। তাই সন্ধি হবে সদ্যঃ+জাত। আর নিয়ম বলে, সন্ধির সময় ‘সদ্যঃ’ শব্দশেষের বিসর্গ (ঃ) ও-কারে রূপান্তরিত হবে। অতএব সদ্যঃ+জাত=সদ্যোজাত।


এই রূপান্তর অস্বাভাবিক বা উদ্ভট কিছু নয়। এটা প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত। আমরা যারা সন্ধির নিয়মটিয়ম বড় একটা খেয়াল করি না, তারাও এতে অভ্যস্ত। মনের ভাব বুঝাতে আমরা লিখি ‘মনোভাব’, মনের যোগ অর্থে ‘মনোযোগ’, মনের রোগ ‘মনোরোগ’, মনের নিবেশ ‘মনোনিবেশ’, মনের বিজ্ঞান ‘মনোবিজ্ঞান’। ও-কার ছাড়া ‘মনযোগ’, ‘মনরোগ’, ‘মনবিজ্ঞান’ ইত্যাদি কেউ লিখি না। কারণ ‘মন’ শব্দটি মূলত ‘মনঃ’, পরের শব্দের সঙ্গে সন্ধির সময় তার বিসর্গ ফিরে এসেছে এবং বদলে গিয়ে ও-কার হয়েছে।


পদের শেষের এই বিসর্গ আদতে র্ ও স্, যা বিসর্গরূপে লিখিত হয় এবং কিছুটা হ-ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয়। অর্থাৎ বিসর্গ হল র্ এবং স্-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। তাই বিসর্গকে দুভাগে ভাগ করা হয়: ১. র্-জাত বিসর্গ, ২. স্-জাত বিসর্গ।


১. র্-জাত বিসর্গ: পদের শেষে র্-এর স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে র্-জাত বিসর্গ। যেমন: অন্তর্=অন্তঃ; প্রাতর্=প্রাতঃ; পুনর্=পুনঃ; নির্=নিঃ; স্বর্=স্বঃ; দুর্=দুঃ।


২. স্-জাত বিসর্গ: পদের শেষে স্-এর স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে স্-জাত বিসর্গ। যেমন: মনস্=মনঃ; পুরস্=পুরঃ; শিরস্=শিরঃ; বয়স্=বয়ঃ; যশস্=যশঃ; আশিস্=আশিঃ; তেজস্=তেজঃ; জ্যোতিস্=জ্যোতিঃ; ধনুস্=ধনুঃ; চক্ষুস্=চক্ষুঃ।


সন্ধির সময় এই দুই প্রকার বিসর্গ কখনো ‘শ্’ হয় (নিঃ+চিহ্ন=নিশ্চিহ্ন), কখনো ‘ষ্’ হয় (চতুঃ+টয়=চতুষ্টয়), কখনো ‘স্’ হয় (নিঃ+তার=নিস্তার), কখনো ‘র্/রেফ’ হয় (নিঃ+অক্ষর=নিরক্ষর, অন্তঃ+গত=অন্তর্গত, কখনো তার পূর্বস্বর দীর্ঘ হয় (নিঃ+রব=নীরব), কখনো কিছুই হয় না (মনঃ+কষ্ট=মনঃকষ্ট), কখনো বিসর্গ গায়েব হয়ে যায় (অতঃ+এব=অতএব) এবং দুটি স্থানে বিসর্গ ও-কার হয়ে যায় (ততঃ+অধিক=ততোধিক, ছন্দঃ+বদ্ধ=ছন্দোবদ্ধ)। আমাদের আলোচ্য শব্দ ‘সদ্যোজাত’, যাতে বিসর্গটি ও-কার হয়েছে। কাজেই এখানে আমরা বিসর্গসন্ধির শুধু সেই দুটি নিয়মই আলোচনা করব, যেখানে বিসর্গটি ও-কার হয়ে যায়।


এক. অ-কার ও বিসর্গের পরে অ-কার এলে সেই অ-কার ও বিসর্গ মিলে ও-কার হয় (অ+ঃ+অ=ও); ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং পরবর্তী অ-কার লুপ্ত হয়। যেমন—

ততঃ+অধিক=ততোধিক; বয়ঃ+অধিক+বয়োধিক; মনঃ+অভিলাষ=মনোভিলাষ; যশঃ+অভিলাস=যশোভিলাস, যশঃ+অভীপ্সা=যশোভীপ্সা।


দুই. অ-কার ও (স্-জাত) বিসর্গের পরে বর্গের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম বর্ণ অথবা য, র, ল, ব, হ-এর কোনো একটি এলে অ-কার ও বিসর্গ মিলে ও-কার হয়; ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন—

মনঃ+গত=মনোগত; মনঃ+গ্রাহী=মনোগ্রাহী; মনঃ+জ=মনোজ; মনঃ+জগৎ=মনোজগৎ; মনঃ+জ্ঞ=মনোজ্ঞ; মনঃ+দুঃখ=মনোদুঃখ; মনঃ+নয়ন=মনোনয়ন; মনঃ+নিবেশ=মনোনিবেশ; মনঃ+নীত=মনোনীত; মনঃ+বল=মনোবল; মনঃ+বাঞ্ছা=মনোবাঞ্ছা; মনঃ+বাসনা=মনোবাসনা; মনঃ+বিকার=মনোবিকার; মনঃ+বিজ্ঞান=মনোবিজ্ঞান; মনঃ+বৃত্তি=মনোবৃত্তি; মনঃ+বেদনা=মনোবেদনা; মনঃ+ভাব=মনোভাব; মনঃ+মতো=মনোমতো; মনঃ+মালিন্য=মনোমালিন্য; মনঃ+যোগ=মনোযোগ; মনঃ+রম=মনোরম; মনঃ+হর=মনোহর; অধঃ+গত=অধোগত; তপঃ+বন=তপোবন; তপঃ+ভঙ্গ=তপোভঙ্গ; তিরঃ+ধান=তিরোধান; তিরঃ+ভূত=তিরোভূত; সদ্যঃ=জাত=সদ্যোজাত; সদ্যঃ+মৃত=সদ্যোমৃত; সদ্যঃ+মুক্ত=সদ্যোমুক্ত; অধঃ+মুখ=অধোমুখ; ছন্দঃ+বদ্ধ=ছন্দোবদ্ধ; পুরঃ+হিত=পুরোহিত; বয়ঃ+বৃদ্ধ=বয়োবৃদ্ধ; সরঃ+জ=সরোজ; নভঃ+মণ্ডল=নভোমণ্ডল; যশঃ+লিপ্সা=যশোলিপ্সা; শিরঃ+রত্ন=শিরোরত্ন। এভাবেই ত্রয়োদশ, ভূয়োদর্শী, শিরোদেশ, যশোগাথা, যশোগান, যশোদা, যশোভাগ, যশোমতী, যশোরশ্মি, যশোরাশি, যশোলাভ, যশোহানি, শিরোধার্য, শিরোমণি, শিরোরুহ, পুরোধা, তেজোদৃপ্ত, শ্রেয়োধর্মী, সর্বতোভাবে, তেজোগর্ভ, তেজোদীপ্ত, তেজোদৃপ্ত, তেজোবান, তেজোময়, তেজোহীন, সরোবর, সরোরুহ, অকুতোভয়, পয়োদ, পয়োধি, পয়োধর, অধোরেখ, অধোগতি, অধোগামী, অধোদৃষ্টি, অধোদেশ, অধোনমিত, অধোবদন, অধোবাস, অধোমুখ, স্বতোবিরুদ্ধ ইত্যাদি।


──────────────

⚪হকের বকবক ॥ #ভাষা, #ব্যাকরণ, #শুদ্ধিপত্র ॥ ১৪-০৪-'২৫।

একটি শহরে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো যদি বিভিন্ন রঙে সাজানো থাকে, তাহলে সেটি নিশ্চয়ই দৃষ্টিনন্দন এবং কার্যকরী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে!

 একটি শহরে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো যদি বিভিন্ন রঙে সাজানো থাকে, তাহলে সেটি নিশ্চয়ই দৃষ্টিনন্দন এবং কার্যকরী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে! 🌈  


### **রঙের সম্ভাব্য অর্থ বা উদ্দেশ্য:**  

1. **এলাকা চিহ্নিতকরণ:**  

   - বিভিন্ন রঙ বিভিন্ন জোন বা ওয়ার্ড নির্দেশ করতে পারে (যেমন: লাল = বাণিজ্যিক এলাকা, নীল = আবাসিক, সবুজ = পার্ক)  


2. **বিভিন্ন পরিষেবা বা সংস্থা:**  

   - বিদ্যুৎ বিভাগ, টেলিকম কোম্পানি, বা পৌরসভার নিজস্ব রঙের কোড থাকতে পারে (যেমন: হলুদ = বিদ্যুৎ লাইন, সাদা = ফাইবার অপটিক)।  


3. **নিরাপত্তা বা সতর্কতা:**  

   - উজ্জ্বল রঙ (লাল/কমলা) বিপজ্জনক এলাকা বা উচ্চ ভোল্টেজ লাইন বোঝাতে পারে।  


4. **শিল্প ও সৌন্দর্য্য:**  

   - শুধু শহরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য স্থানীয় শিল্পীরা খুঁটিগুলোকে রঙিন করে থাকতে পারেন (যেমন: মিউরাল, প্যাটার্ন)।  


5. **সাংস্কৃতিক বা উৎসব:**  

   - জাতীয় দিবস, পূজা, বা ঈদের মতো উৎসবে থিম অনুযায়ী খুঁটিগুলো সাজানো হতে পারে।  


### **বাংলাদেশ/ভারতের প্রেক্ষাপটে:**  

- কিছু শহরে (যেমন: ঢাকা, কলকাতা) নির্দিষ্ট এলাকায় খুঁটিগুলো রঙিন করা হয় **দিকনির্দেশনা** বা **স্থানীয় পরিচয়** হিসাবে।  

- গ্রামীণ এলাকায় রঙিন খুঁটিগুলো **স্কুল, হাসপাতাল**, বা গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।  


আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট শহর বা রঙের প্যাটার্নের কথা ভাবছেন? 😊

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...