এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

পরিবহনের সুপারভাইজার নিয়োগ

 ✅ চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সংক্রান্ত নির্দেশনাঃ


📎 চলছে "সুপারভাইজার" পদে আমাদের নতুন নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়া। আগামী ১৫ই মে, ২০২৫খ্রীঃ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অত্র নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম চলমান থাকবে। 


তবে..........🤔


অত্র আবেদনটি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযুক্তিগত পন্থায় সম্পাদিত হচ্ছে নিজ নিজ ঘরে বসে, হাতে থাকা Android Mobile Phone দিয়েই। নিম্নে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন প্রক্রিয়ার লিংকটি তুলে দেওয়া হলঃ


🌐 আবেদনের লিংকঃ https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1356858&fcatId=20&ln=1&fjs=wa 


প্রসঙ্গতঃ অত্র বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ্যে আসবার পর বেশ কিছু মেসেজ ও মন্তব্য আসছে এমন জিজ্ঞাসার সুরে-

👉 কিভাবে আবেদন করবো......!

👉 হেড অফিস কোথায়......!

👉 কি কি কাগজ জমা দিতে হবে.......!

👉 কোথায় গিয়ে দিয়ে আসবো......!

👉 আমি ঢাকার বাহিরে থাকি, কিভাবে জমা দেবো....!

👉 আমি তো আবেদন করতে পারি না.......!

এমন আরও কিছু অবান্তর জিজ্ঞাসা, যেগুলোর কোন যৌক্তিকতাই নেই।


🔸 এমতাবস্থায় এই ধরনের ও সকল চাকুরীপ্রার্থীর উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে, অত্র চলমান সার্কুলারটি একটি প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পাদনযোগ্য মাধ্যম।  অত্র প্রক্রিয়ায় আবেদন কার্যক্রম রাখবার উদ্দেশ্যই হচ্ছে আমরা যুগোপযোগী, প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক মননশীল, কর্মঠ, দায়িত্বপরায়ণ, সৎ ও নিষ্ঠাবান প্রার্থী চাচ্ছি, প্রযুক্তির বাহিরে থাকা প্রার্থীদের অত্র আবেদনে যুক্ত হবার প্রসঙ্গে কামনা রাখা হয়নি।


Android Mobile Phone ব্যবহার করে অত্র দাপ্তরিক ফেসবুক পেইজে মেসেজ করতে সক্ষম ব্যক্তি অনলাইনে প্রক্রিয়াগত পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন সম্পন্ন করায় অক্ষম, এমন প্রার্থী আগামীর চাহিদা পূরণে ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার উন্নয়নকল্পে যে চাহিদার প্রেক্ষিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা, তা বাঁধাগ্রস্ত হবে বলে আমরা এধরণের প্রার্থীদের আবেদনে অংশ নেওয়া হতে বিরত থাকবার আহ্বান রাখছি। 


📍 যোগ্যতা আপনার, ব্যবস্থাপনা আমাদের 💯


🗓️ আবেদনের শেষ তারিখঃ ১৫ ই মে, ২০২৫খ্রীঃ


🚍 "হানিফ এন্টারপ্রাইজ"-এর সাথে একীভূত হয়ে আপনার পথচলায় অগ্রীম শুভকামনা থাকছে!


সর্বদা সর্বময় যাতায়াতে সাথেই থাকুক সকলের প্রিয় অপারেটর "হানিফ এন্টারপ্রাইজ"!!


যাত্রীসেবাই "হানিফ এন্টারপ্রাইজ"-এর মূল ব্রত!!!


🖥️ ঘরে বসে টিকেট কাটুন অনলাইনেঃ 

https://www.hanif-enterprise.com/ 


♦️ আমাদের সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল পেইজের সাথে থাকুন। ফেসবুক পেইজ লিংক- https://www.facebook.com/Hanif.Enterprise.Official/


♦️ আপনাদের মুল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের অফিসিয়াল  গ্রুপে শেয়ার করুন। ফেসবুক গ্রুপ লিংক- https://www.facebook.com/groups/hanif.enterprise.official/


দয়া করে কারো, ইনবক্সে যাবেন নাহ, কেউ যদি ইনবক্সে গিয়ে, প্রতারিত হয়ে থাকেন, এ-র দায়ভার কোম্পানি বহন করবেনা। ধন্যবাদ। 📍


অনেকেই কমেন্টে এসে, আপনাকে বেশি বেতনের লোভ দেখাবে, সেই লোভে পা দিবেন নাহ।📍

ঋণ :- জীবনের ধ্রুবতারা (আনন্দ পাবলিশার্স) কিছুমিছু ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ১৯৩৯ সাল। ‘তাসের দেশ’ পুনরাভিনয়ের প্রস্তুতি চলছে। রবীন্দ্রনাথ তখন ‘কোনার্ক’ বাড়িতে থাকেন। সারা দুপুর কয়েকটি গানে সুর দিয়ে, ভৃত্যকে পাঠালেন তাঁর এক ছাত্রের কাছে। ছাত্রটি তখন ছাত্রছাত্রীদের গান শেখাচ্ছিল ক্লাসে। ভৃত্যটিকে দিয়ে সে গুরুদেবকে বলে পাঠাল, “আমি ক্লাস শেষ করেই যাচ্ছি। একটু দেরি হবে।”

গুরুদেবের কাছে ছাত্রটির যেতে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরি হয়। গিয়ে সে দেখে, যে ঘরে বসে লিখতেন, সেখানেই লেখার টেবিলের উপরে গানের খাতা খুলে রেখে চুপ করে বসে আছেন রবীন্দ্রনাথ। মুখ গম্ভীর। কিছুই বলছেন না, তাকাচ্ছেনও না ছাত্রটির দিকে। কিছুক্ষণ পর গানের খাতাটি দিয়ে কবি তাঁকে পাশের মোড়াটিতে বসতে বললেন। বিরক্ত যে তিনি হয়েছেন সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু কারণ জিজ্ঞেস করতেও ছেলেটির সাহস হচ্ছে না। মোড়ায় বসে সে গুরুদেবের কাছ থেকে একটি কলম ও কয়েকটি কাগজ চেয়ে নিয়ে যখন নতুন গান ক’টি কপি করে নিচ্ছে, তখন কবি গম্ভীর কণ্ঠে অনুযোগ জানালেন, সারা দুপুর নতুন সুর দেওয়া গানগুলি মনে রাখার জন্য গেয়ে গেয়ে ক্লান্ত তিনি। ছেলেটিকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও সে এল দেরি করে! ক্লাস থাকলেও কেন সে তা বন্ধ করে আসেনি— তাই গুরুদেবের রাগ হয়েছে ছাত্রটির প্রতি। “সত্যি আমার অন্যায় হয়েছে!” বলে ছাত্রটি গুরুদেবের কাছে সব ক’টি গান শিখে নিয়ে গাইতে শুরু করল। তখন রবীন্দ্রনাথ খুব খুশি। ভৃত্যকে ডেকে ছাত্রটিকে ভাল করে খাইয়ে দিতে বললেন। খেতে খেতে নানা কথা হল দু’জনের মধ্যে।

দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রমা করের মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ হাতে লেখা যাবতীয় নতুন গানের কপি যাঁর হাতে প্রথমে ধরিয়ে দিতেন, এ ছাত্রটিই সেই শান্তিদেব ঘোষ | জন্মের পর বাবা কালীমোহন ছেলের নাম রেখেছিলেন শান্তিময়। কালীমোহনের সঙ্গে তখন শান্তিনিকেতনের বেশ আত্মিক সম্পর্ক। জানা যায় শান্তিনিকেতনের পরিবেশই এমন নাম রাখার কারণ। ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি নিজের হাতে লেখা নৃত্য-গীত-আবৃত্তির একটি অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিদেব নামকরণ করেন। কবি বলেছিলেন এটিই ভাল, এটিই থাকুক। তার পর থেকে শান্তিময় নামটি ধীরে ধীরে মুছে গিয়ে শান্তিদেব হয়ে যায়।

ম্যাট্রিকুলেশনের গণ্ডি পার না হলেও প্রবল ইচ্ছেশক্তির জোরে শান্তিদেব ভারতীয় নাট্যশাস্ত্র, নৃত্যশাস্ত্র ও সঙ্গীতশাস্ত্রে পারদর্শী হওয়ার পাশাপাশি নিজের চেষ্টায় সংস্কৃত, মালয়লম ও ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। নির্ভরযোগ্য স্বরলিপিকার, সঙ্গীত-শিক্ষক ও অসামান্য গায়ক শান্তিদেব সুরকার হিসেবেও দক্ষ ছিলেন। নৃত্য উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কখনও কথাকলির সঙ্গে মণিপুরি, কখনও বা ডান্ডিয়া বা জারি নাচ একত্রিত করেছিলেন তিনি।

শান্তিদেব ঘোষের প্রথম রেকর্ডিং হিন্দুস্থান মিউজিক্যাল পার্টির হয়ে ‘জনগণমন’ ও ‘যদি তোর ডাক শুনে’। পরে সেনোলায় রেবা মজুমদারের সঙ্গে ‘আমার প্রাণের মানুষ’ ও ‘বাকি আমি রাখব না’। রবীন্দ্রপ্রয়াণের পরে এইচ এম ভি থেকে তাঁর ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’ ও ‘বসন্তে কি শুধু’-সহ বহু গান বিখ্যাত হয়ে আছে বাঙালি মনে।

রেকর্ডের পাশাপাশি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়— রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত বিচিত্রা, জাভা ও বালির নৃত্যগীত, রূপকার নন্দলাল, ভারতীয় গ্রামীণ সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাদর্শে সঙ্গীত, নৃত্য ও অভিনয়ের স্থান, মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ইন রবীন্দ্রনাথ টেগোর’স এডুকেশনাল ফিলজফি, জীবনের ধ্রুবতারা।

পদ্মভূষণে সম্মানিত, ললিতকলার অ্যাকাডেমির ফেলো, প্রবন্ধ সাহিত্যে আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত শান্তিদেব কবিগুরুর স্নেহধন্য ছিলেন। রাশিয়ার পদক, বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম, বর্ধমান ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আলাউদ্দীন পুরস্কার, টেগোর রিসার্চ সোসাইটির ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন শান্তিদেব ঘোষ।

বার্ধক্যজনিত কারণে শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু হয় ১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। স্ত্রী ইলা দেবীর ইচ্ছানুযায়ী শান্তিনিকেতনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর।

প্রয়াণদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য |


ঋণ :- জীবনের ধ্রুবতারা (আনন্দ পাবলিশার্স)

পান্তাবুড়ির কথা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 

 (পড়ুন ভালো লাগবে) 


পান্তাবুড়ির কথা

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 


এক যে ছিল পান্তাবুড়ি, সে পান্তাভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত।

এক চোর এসে রোজ পান্তাবুড়ির পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।

পান্তাবুড়ি পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে, 'পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?'

পান্তাবুড়ি বললে, 'চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!'

শিঙিমাছ বললে, 'ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।'

পান্তাবুড়ি বললে, 'আচ্ছা।' 


তারপর পান্তাবুড়ি বেলতলা দিয়ে যাচ্ছে। একটা বেল মাটিতে পড়ে ছিল, সে বললে, 'পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?'

পান্তাবুড়ি বললে, চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।'

বেল বললে, 'ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।' 

পান্তাবুড়ি বললে, 'আচ্ছা।' 


তারপর পান্তাবুড়ি পথের ধারে খানিকটা গোবর দেখতে পেলে। 

গোবর বললে, 'পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?'

পান্তাবুড়ি বললে, 'চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।'

গোবর বললে, 'ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।'

পান্তাবুড়ি বললে, 'আচ্ছা।' 


তারপর খানিক দূর গিয়ে পান্তাবুড়ি দেখলে, পথের ধারে একখানা ক্ষুর পড়ে রয়েছে।

ক্ষুর বললে, 'পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?'

পান্তাবুড়ি বললে, 'চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।'

ক্ষুর বললে, 'ফিরে যাবার সময় আমাকে সঙ্গে নিও, তোমার ভালো হবে।'

পান্তাবুড়ি বললে, 'আচ্ছা।'

তারপর পান্তাবুড়ি রাজার বাড়ি গিয়ে দেখলে, রাজামশাই বাড়ি নেই। কাজেই সে আর নালিশ করতে পেল না। 


বাড়ি ফিরবার সময় তার ক্ষুর আর গোবর আর বেল আর শিঙিমাছের কথা মনে হল। সে তাদের সকলকে তার থলেয় করে নিয়ে এল। 


পান্তাবুড়ি যখন বাড়ির আঙিনায় এসেছে, তখন ক্ষুর তাকে বললে, 'আমাকে ঘাসের

উপর রেখে দাও।'

তাই বুড়ি ক্ষুরখানাকে ঘাসের উপর রেখে দিল।

তারপর যখন সে ঘরে উঠতে যাচ্ছে, তখন গোবর বললে, 'আমাকে পিঁড়ির উপর রেখে দাও।'

তাই বুড়ি গোবরটাকে পিঁড়ির উপর রেখে দিলে।

বুড়ি যখন ঘরে ঢুকল তখন বেল বললে, 'আমাকে উনুনের ভিতরে রাখ।' শুনে বুড়ি তাই করলে।

শেষে শিঙিমাছ বললে, 'আমাকে তোমার পান্তাভাতের ভিতরে রাখ।' বুড়িও তাই করলে। 


তারপর রাত হলে বুড়ি রান্না-খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে রইল।

ঢের রাত্রে চোর এসেছে। সে তো আর জানে না, সেদিন বুড়ি কী ফন্দি করেছে। সে এসেই পান্তাভাতের হাঁড়িতে হাত ঢুকিয়ে দিল। সেখানে ছিল শিঙিমাছ। সে চোরের বাছাকে এমনি কাঁটা ফুটিয়ে দিল যে তার দুই চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল।

শিঙিমাছের খোঁচা খেয়ে চোর কাঁদতে-কাঁদতে উনুনের কাছে গেল। তার ভিতরে ছিল বেল। চোর যেই আঙুলে তাত দেবার জন্য উনুনে হাত ঢুকিয়েছে, অমনি পটাশ করে বেল ফেটে, তার চোখেমুখে ভয়ানক লাগল।

তখন সে ব্যথা আর ভয়ে পাগলের মতো হয়ে, যেই ঘর থেকে ছুটে বেরুবে অমনি সেই গোবরে তার পা পড়েছে। তাতে সে পা হড়কে ধপাস করে সেই গোবরের উপরেই বসে পড়ল।

তারপর গোবর লেগে ভূত হয়ে, বেটা গিয়েছে ঘাসে পা মুছতে। সেইখানে ছিল ক্ষুর, তাতে ভয়ানক কেটে গেল। তাতে আরও 'ও মা গো! গেলুম গো!' বলে না চেঁচিয়ে বাছা যান কোথায়?

তা শুনে পাড়ার লোক ছুটে এসে বললে, 'এই বেটা চোর! ধর বেটাকে। মার বেটাকে। কান ছিঁড়ে ফেল!'

তখন যে চোরের সাজাটা! (সংগ্রহীত)

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

আমার মাঝে মাঝে মনে একটা প্রশ্ন জাগে।

 আমার মাঝে মাঝে মনে একটা প্রশ্ন জাগে।


তামিল চোল রাজারা খুব ব​ড় যোদ্ধা ছিল বটে এবং অনেকেই বলে যে অর্ধেক দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার ছিল, তাও বঙ্গোপসাগর বা বে অফ বেঙ্গলের নামটা চোল বা তামিঝদের উপরে না হ​য়ে বে অফ বেঙ্গল কেন? যেই সাম্রাজ্য ও জাতির গুরুত্ব বেশি, ইতিহাসে তো তাদের উল্লেখ বেশি থাকার কথা। তাহলে কি আদতে তামিলদের থেকেও বাঙালিদের বিশেষ করে বাঙালি বণিক ও নৌযোদ্ধাদের গুরুত্ব বেশি ছিল?


এক স্থানে শুনেছিলাম যে চোলদের বিভিন্ন তাম্রপত্র ও মন্দিরগাত্রে ওদের সমস্ত সেনাবাহিনীর রেজিমেন্টের উল্লেখ থাকলেও নৌসেনার উল্লেখ নেই, সেটা কেমন করে হল? যে জাতির নৌবাহিনী ইন্দোনেশিয়া অবধি গেছিল তাদের নিজেদের কাগজে তাদের নৌসেনার উল্লেখ নেই কেন?


এদিকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ম​য়নাগ​ড়ের রাজা বাহুবলীন্দ্রদের কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরেরগাত্রে ব​ড় ব​ড় নৌকা ও তার উপরে চ​ড়ে থাকা নৌসেনার চিত্র পাওয়া যায় (ছবি দ্রষ্টব্য)।


তাহলে কি ইতিহাসের একটা অধ্যায় আমরা এখনো আবিষ্কার করিনি? কারণ ইতিহাসে তাম্রলিপ্ত বন্দরের উল্লেখ তো সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে ১৩শতক অবধি পাওয়া যায়। ম​য়নাগ​ড় থেকে তাম্রলিপ্ত বন্দরের দুরত্ব ২৬ কিলোমিটার। এই বন্দর থেকে যেমন বণিকরা যেতেন তেমন নিশ্চই নৌবাহিনীও যেতেন অন্য স্থানে? তাদের ইতিহাস কোথায় গেল?


আবার এরই সাথে যুক্ত ইতিহাসের আরেকটা অধ্যায় হল মগধ কলিঙ্গ যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কি এমনি এমনি সংগঠিত হ​য়েছিল? মগধ কি ওড়িশার বীচ ঘুরতে আক্রমণ করেছিল? নাকি এর পিছনে ছিল একটা অর্থনৈতিক কারণ? কোন বিশেষ বন্দর ও তার ট্রেড রুটকে কন্ট্রোল করার ইচ্ছা না থাকলে এত ব​ড় যুদ্ধ কেউ করে? সেই বন্দর যে তাম্রলিপ্ত আর সেই ট্রেড রুট যে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তর কলিঙ্গ থেকে জাভা সুমাত্রা বোর্নিও তা বলাই বাহুল্য।


বাংলার ইতিহাসের একটা বিরাট অধ্যায় হল তার নৌবাহিনী, নৌসেনা ও বহির্বাণিজ্য। এখানে বাংলার বণিকসমাজের একটা বিরাট ভূমিকা আমরা কখনোই আলোচনা করিনা। অথচ করা উচিত। বাংলার উন্ন​য়নের সব থেকে বেশি প্রাপ্য কাদের? অবশ্যই বাঙালি বণিকদের।


অথচ জমিদারবাড়ির ইতিহাসের ভিড়ে বাংলার প্রাচুর্য্যের ইতিহাস হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে বাংলার নৌবাহিনী ও নৌসেনার ইতিহাস। হারিয়ে গেছে চাঁদ সদাগরের মতন বণিকদের ইতিহাস যাদের হাত ধরে বিশ্বের সব থেকে প্রাচুর্য্যে ভরা দেশ হ​য়েছিল এই বাংলা।

হুট করেই দেখবেন পিসি অন্যজন চালায়! ডাটা হারিয়ে হয়ে যাবেন নিশ্চিত ?

 📊 হুট করেই দেখবেন পিসি অন্যজন চালায়! ডাটা হারিয়ে হয়ে যাবেন নিশ্চিত ?

🛡 আবার দেখবেন ভাইরাসের আক্রমণ?  

❌ এইসকল সমস্যা কিন্তু বলে কয়ে আসেনা, ভাবতেও পারবেন না কখন বিপদ নেমে আসে, 

✅ তবে আপনার দআশে পিসি মাস্টার আছে, প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাস সহ আপনার পিসিকে রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ! 🛡

👨‍💻 PC-MASTER ডিভাইসটির ইউনিক ফিচার সমূহঃ 👇

✅ Windows 7,8.1,10,11 Activate

✅ Xp, Kali Linux Update 2024

✅ Genuine Windows Setup

✅ Premium Data Recovery

✅ Premium AntiVirus Win

✅ Partition Mastery Wizard

✅ Android 11 Setup for Win

✅ All Driver Setup for Windows

✅ Photoshop Licence 7+19+21

✅ Illustrator Licence 10+19+21

✅ Premier Pro 2024 Version

✅ Camtasia 2021 Version

✅ MS Office Licence 7+21

✅ Bijoy Bayanno Licence

✅ Internet Download Manager

✅ UEFI+Legecy or GPT+MBR Supported

✅ Software BackUp + Support

✅ Windows BackUp and Recovery

✅ Win Update On/Off Tools

✅ Win Optimization Tools

✅ Ransomware Protect Tools

✅ 1-2 Years Program Guarantee

✅ 5 Years Pendrive Guarantee

✅ Lifetime Remotely Support


এছাড়াও আমাদের PC-MASTER পেনড্রাইভের সিস্টেম ফাইল গুলি ডিলিট প্রটেক্ট করা, ভাইরাস প্রটেক্ট করা এবং এক্সট্রা স্পেস ইউজেবল সুবিধা রয়েছে। আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ। লিংকঃ 👇

https://www.pcmasterbd.com/pc-master-pendrive

জমি কেনার আগে যা যা যাচাই করবেন:

 🥰 সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে🥰

📣 জমি কেনার আগে যা যা যাচাই করবেন:

১. বায়না রেজিস্ট্রি করুন:

বর্তমান আইনে জমির বায়না রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। সরকারী স্ট্যাম্পে সাধারণ বায়না করার চেয়ে রেজিস্ট্রিকৃত বায়না অধিকতর নিরাপদ। এতে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমে।

২. দলিল লেখকের ভূমিকা:

আপনার জমির দলিল যিনি লিখবেন, তার দায়িত্ব হবে জমির সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে পরীক্ষা করা। আপনি নিজেও নিশ্চিত হোন তিনি সব কাগজপত্র যাচাই করেছেন।

৩. কাগজপত্র যাচাই:

সিএস, এসএ, আরএস ও বিএস খতিয়ান

সকল মালিকানা পরিবর্তনের দলিল (ঐতিহাসিক দলিল)

বর্তমান মালিক কে, তা যাচাই করুন

৪. নামজারি (মিউটেশন):

নামজারি হয়েছে কি না, তা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে যাচাই করুন। যদি না হয়ে থাকে, তাহলে বিক্রেতাকে নামজারি সম্পন্ন করতে বলুন।

৫. খাজনা (ভূমিকর):

খাজনা হালনাগাদ আছে কি না, তা তহশিল অফিস থেকে যাচাই করুন এবং প্রমাণস্বরূপ রসিদ সংগ্রহ করুন।

৬. সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি:

জমি পূর্বে বিক্রি, দান বা বন্ধক রাখা হয়েছে কি না

সর্বশেষ মালিকের তথ্য ও নির্দায় সার্টিফিকেট (N.E.C.)

৭. ফারায়েজ বা হিস্যাবন্টন:

যদি জমি পৈত্রিক হয়, তাহলে সকল শরিকদের সম্মতি বা অংশনামা আছে কি না তা যাচাই করুন।

৮. নোটিশ প্রদান:

বায়না করার আগে আইন অনুযায়ী অন্যান্য অংশীদারদের আইনি নোটিশ দিতে হবে, যাতে পরবর্তীতে অগ্রক্রয় (pre-emption) মামলা এড়ানো যায়।

৯. পরিত্যক্ত বা খাস জমি নয় তো?

জমি খাস, শত্রুসম্পত্তি বা সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়েছে কি না তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (ভূমি) অফিস থেকে যাচাই করুন।

১০. বন্ধক বা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি আছে কি না:

জমির উপর কোনো পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বা বন্ধক থাকলে তা জানুন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা সংস্থার সম্মতি ছাড়া জমি কিনবেন না।

১১. সরেজমিনে যাচাই:

জমির দাগ নম্বর, চৌহদ্দি মিলিয়ে দেখুন। প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হোন জমির প্রকৃত মালিকানা এবং বর্তমান দখলকারীর পরিচয়।

১২. বিক্রেতার বিক্রয় ক্ষমতা আছে কি না:

বিক্রেতা প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক এবং বৈধ মালিক কি না তা নিশ্চিত করুন। নাবালক হলে আদালতের অনুমতি আবশ্যক।

১৩. মামলা-মোকদ্দমা আছে কি না:

জমির উপর কোনো মামলা-মোকদ্দমা চলছে কি না তা যাচাই করুন। সম্ভব হলে আইনজীবীর মাধ্যমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিন।

১৪ বছরের কন্যার আবিষ্কারে সাড়া দেশজুড়ে — ওডিশার তেজস্বিনীর তৈরি 'এয়ার বাইক' এখন ভাইরাল!

 ১৪ বছরের কন্যার আবিষ্কারে সাড়া দেশজুড়ে — ওডিশার তেজস্বিনীর তৈরি 'এয়ার বাইক' এখন ভাইরাল!


মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এক বিপ্লবী উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ওডিশার রাউরকেলার এক স্কুলছাত্রী তেজস্বিনী প্রিয়দর্শিনী। তার আবিষ্কার — একটি "Compressed Air Bike", যা প্যাডেল ছাড়াই চলে এবং মাত্র ১০ কেজি বাতাসে ৬০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে!


কীভাবে সম্ভব হলো এই উদ্ভাবন?

একদিন স্থানীয় একটি টায়ার মেরামতির দোকানে সে দেখছিল, কীভাবে এক মেকানিক একটি এয়ার গান দিয়ে টায়ার খোলার কাজ করছিল। সেই মুহূর্তেই তার মনে প্রশ্ন আসে — যদি বাতাস দিয়ে এত শক্তি তৈরি হয়, তবে সেটিকে কি যানবাহন চালাতে ব্যবহার করা যায়?


সেই চিন্তা থেকেই তার যাত্রা শুরু। বাবা নটবর গোঁচাইতের সহায়তায় সে একটি এয়ার ট্যাঙ্ক, স্টার্টার নোব, সেফটি ভালভ ও প্রেসার ডায়াল দিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন গিয়ার মেকানিজম তৈরি করে, যেটা সরাসরি বাইক চালায় — কোনো প্যাডেলের প্রয়োজন নেই!


পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ভবিষ্যৎ?

তেজস্বিনী বিশ্বাস করে, তার এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতে বাইক, স্কুটার এমনকি গাড়িতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পেট্রোল-ডিজেল ছাড়াই চলা এমন টেকনোলজি পরিবেশ দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে।


পুরস্কার ও স্বীকৃতি

তেজস্বিনীকে ‘Promising Game Changer – Female’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত করা হয়েছে SBI YONO 20 Under Twenty Awards-এ। তার স্বপ্ন, একদিন এই আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা, যাতে ভারতীয় উদ্ভাবন বিশ্বে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে।


বাবা-মেয়ের গল্প, যা ছুঁয়ে যাবে মন

তেজস্বিনীর এই যাত্রার প্রতিটি ধাপে পাশে ছিলেন তার বাবা — শুধু উৎসাহ দিয়ে নয়, প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি এনে দিয়েও। এই উদাহরণ প্রমাণ করে, সঠিক সময়ের সাহস আর পরিবার থেকে পাওয়া সমর্থন ছোট্ট বয়সেও বড় উদ্ভাবন এনে দিতে পারে।


তেজস্বিনী এখন শুধু ওডিশার নয়, গোটা ভারতের গর্ব!


#TejaswiniPriyadarshini #AirBike #YoungInnovator #MadeInIndia #WomenInSTEM #OdishaTalent #FutureOfTransport #PollutionFreeIndia #YoungAchievers #IndiaPride #StudentPower #SustainableTech #InnovateForIndia #GirlPower #ViralNewsIndia #GreenEnergyRevolution #BetiBachaoBetiPadhao #OdishaNews #IndianYouthPower #TechByTeens

নববর্ষ, বৈশাখ আর রবীন্দ্রনাথ-একই আলোর তিন নাম

 💕"নববর্ষ, বৈশাখ আর রবীন্দ্রনাথ-একই আলোর তিন নাম"💕 


✔ সংসারের সমস্ত মোহ ও সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে যে "সকলের চেয়ে বড়", সেই অনন্ত সত্যের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্যেই নববর্ষের তাৎপর্য খুঁজে পেতেন রবীন্দ্রনাথ।  


✔ ১৩৩৮ সালের ১ বৈশাখে শান্তিনিকেতন থেকে ইন্দিরাদেবীকে লেখেন:  


“কলকাতা থেকে নববর্ষ বিদায় নিয়েছে… আজ যদি আশ্রমে থাকতিস তাহলে দেখতে পেতিস এখানে এটা বেঁচে আছে।”

 

এই 'বেঁচে থাকা'র অর্থ তাঁর কাছে ছিল— নববর্ষ কেবল একটি দিন নয়, বরং বাকি ৩৬৪ দিনের সাথেও যার এক গভীর সেতুবন্ধন।


✔ নববর্ষের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আত্মিক সম্পর্ক বহু চিঠিপত্র, কবিতা ও গানের পাতায় ছড়িয়ে আছে। কখনও আশ্রমজীবনের ব্রতপালনের আহ্বানে, কখনও আত্মউন্নয়ন ও শুদ্ধতার অঙ্গীকারে, আবার কখনও বা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গানে।


✔ শান্তিনিকেতনে নববর্ষের সূচনা হয়েছিল ১৩০৯ সালের ১ বৈশাখে। এই দিনটিতে গুরুদেব নিজ হাতে অতিথি আপ্যায়ন করতেন, প্রিয়জনদের চিঠিতে আশীর্বাদ পাঠাতেন, নতুন দিনের জন্য করতেন আত্মপ্রত্যয়। 


“এই যে নববর্ষ আজ জগতের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে, এ কি আমাদের হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে?”  


✔ এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই পথ দেখিয়েছেন:  

“নতুন মানুষ আজ আমার মধ্যে নতুন আরম্ভে আনন্দিত—এই বোধকে জাগাতে হবে।”


✔ ১৩৪৮ সালের বৈশাখ, জীবনের শেষ নববর্ষে, রবীন্দ্রনাথ ক্লান্ত দেহে হলেও লিখে গেলেন এক মহাজাগরণের গান— 

 

“জয় জয় জয় রে মানব-অভ্যুদয়…” 

যে গান আজও আমাদের নববর্ষের সূর্যোদয়ে নবজীবনের আশ্বাস জাগায়।


বাংলা নববর্ষ, বৈশাখ আর রবীন্দ্রনাথ—এ যেন সময়ের একই নদীতে মিলিত তিনটি ধারা।

  

প্রতি বছর বৈশাখ আসে নতুন আলো, নতুন সংকল্প আর রবীন্দ্রনাথের অমর বাণী নিয়ে। সেই আলোর পথে চলা হোক আমাদের আজকের প্রার্থনা।


✍️ লিখেছেন: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

আমাদের আশপাশেই এমন কিছু মানুষ দেখবেন, যাঁরা অনায়াসেই সবার বন্ধু হয়ে যান। সবার প্রিয় হয়ে ওঠার কিংবা সবাইকে অনুপ্রাণিত করার এক রকম জাদুও এই মানুষগুলোর মধ্যে আছে। কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনিও হয়তো ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই

 আমাদের আশপাশেই এমন কিছু মানুষ দেখবেন, যাঁরা অনায়াসেই সবার বন্ধু হয়ে যান। সবার প্রিয় হয়ে ওঠার কিংবা সবাইকে অনুপ্রাণিত করার এক রকম জাদুও এই মানুষগুলোর মধ্যে আছে। কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনিও হয়তো ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।



১. মনোযোগ দিয়ে শুনুন।


আমরা সাধারণত বলতে পছন্দ করি। কিন্তু অন‌্যদের কথাও তো শোনা দরকার। যাঁরা অন‌্যের কথা মন দিয়ে শোনেন, তাঁদের মানুষ পছন্দ করেন। কথায় আছে, ‘কান দুইটা, মুখ কিন্তু একটা’। তাই আগে কথা শুনুন।


২. সহানুভূতি দেখান।


অন্যের অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। এটা তাঁর সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে উঠবে। মানুষ তাঁকেই পছন্দ করেন, যাঁকে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন।


৩. প্রতিশ্রুতি রাখুন।


মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্ট বলেছেন, ‘তোমার প্রতিশ্রুতিই মানুষের কাছে তোমার মুখের কথার মূল্য নির্ধারণ করবে।’ তাই সব সময় প্রতিশ্রুতি রাখতে চেষ্টা করুন। তাহলে মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে।


৪. ইতিবাচক হোন।


নেতিবাচকতা কেউ পছন্দ করেন না। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে হবে। এমনকি, যখন কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন, তখনো ইতিবাচক থাকুন। হতাশাবাদ অন‌্যদের হতাশ করে দেয়। ইতিবাচকতা একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারে।


৫. অন্যকে সম্মান করুন।


বলা হয়, ‘সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান দিতে হয়’। তাই নিম্নপদস্থ হোক কিংবা উচ্চপদস্থ—সবাইকে সম্মান দিতে হবে। পারস্পরিক সম্মান সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। ভাববেন না, সম্মান করলে আপনি ছোট হয়ে যাচ্ছেন। বরং এতে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে।


৬. কার্যকরভাবে যোগাযোগ তৈরি করুন।


নিজেকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন। আর সবার সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করুন। খুব ভালো যোগাযোগ ভুল-বোঝাবুঝি কমায় এবং সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে।


৭. সব সময় সাহায্য করুন।


যখনই পারবেন, সাহায্য করার চেষ্টা করুন। অন্যকে বোঝান যে আপনি যেকোনোভাবে সাহায্য করতে আগ্রহী। ভালো কাজে উৎসাহ দিন, সমর্থন দিন। এই প্রচেষ্টাগুলো থাকলে লোকে বুঝবে— আপনি তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন এবং তাঁদের সাফল্যের বিষয়ে যত্নশীল।


৮. ‘রসবোধ’ ব্যবহার করুন।


হিউমার বা হাস্যরস এমন এক জিনিস, যা কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন। একজন রসবোধসম্পন্ন ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। বন্ধন তৈরি করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হাস্যরস ব্যবহার করুন। তবে কেউ যেন আঘাত না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। হাস্যরসের একটি ভালো অনুভূতি মানুষ সব সময় মনে রাখেন।

একটি গ্রামে এক কৃষক বাস করত। কৃষকটি ছিল বৃদ্ধ, কিন্তু তার স্ত্রী ছিল যুবতী এবং চঞ্চল স্বভাবের। সেই নারীর দৃষ্টি প্রায়শই অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতো।

 একটি গ্রামে এক কৃষক বাস করত। কৃষকটি ছিল বৃদ্ধ, কিন্তু তার স্ত্রী ছিল যুবতী এবং চঞ্চল স্বভাবের। সেই নারীর দৃষ্টি প্রায়শই অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতো।


একদিন, এক প্রতারক সেই মহিলাকে একা বাড়ি থেকে বের হতে দেখে তার পিছু নিতে লাগল। যখন মহিলা একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালেন, তখন প্রতারক তার কাছে গিয়ে বলল, "আমার স্ত্রী মারা গেছে, আর আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি। আপনি কি আমার সঙ্গে যেতে রাজি হবেন?"

মহিলা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, "যদি তাই হয়, তাহলে আমি আপনার সঙ্গে যেতে রাজি। আমার স্বামী তো বৃদ্ধ এবং ঠিকমতো চলাফেরা করতেও পারেন না। তার কাছে অনেক টাকা-পয়সা ও গয়না রয়েছে। আমি সেগুলো নিয়ে আসি, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ সুখের হয়।"


প্রতারক বলল, "ঠিক আছে, তাহলে কাল সকালে এই জায়গাতেই দেখা করি। তারপর একসঙ্গে রওনা হবো।"


মহিলা বাড়ি ফিরে এলেন এবং স্বামীর ঘুমানোর অপেক্ষায় রইলেন। স্বামী ঘুমিয়ে পড়তেই, তিনি বাড়ির সব টাকা ও গয়না একটি পোটলিতে বেঁধে রাখলেন এবং পরদিন সকালে সেই নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে গেলেন।


এরপর তারা একসঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন। অনেক দূর হাঁটার পর তারা একটি গভীর নদীর ধারে পৌঁছাল। প্রতারক মনে মনে ভাবল, “এই মহিলাকে যদি সঙ্গে নিয়ে যাই, তবে তার খোঁজে লোকজন আমাকে অনুসরণ করতে পারে। এতে আমি বিপদে পড়ে যেতে পারি। তার চেয়ে ভালো হয়, যদি শুধু টাকাগুলো নিয়ে এই মহিলাকে ফেলে দিই।”


সে মহিলাকে বলল, "এই নদীটা অনেক গভীর। আমি একসাথে তোমাকে ও টাকাপয়সা নিয়ে পার হতে পারবো না। প্রথমে আমি পোটলিটা নিয়ে পার হই, তারপর তোমাকে কাঁধে তুলে নিয়ে যাব।"


মহিলা বিশ্বাস করে পোটলিটা দিয়ে দিলেন। প্রতারক আবার বলল, "তোমার গয়নাগুলো এবং ভারী জামাকাপড়ও আমাকে দিয়ে দাও, যাতে আমি পরে তোমাকে সহজে নিয়ে যেতে পারি।"


মহিলা কিছু না ভেবে সব কিছু দিয়ে দিলেন। প্রতারক সব কিছু নিয়ে নদী পার হয়ে গেল — এবং আর ফিরে এল না।


নিজের লোভ ও অন্যায় পথে হাঁটার কারণে সেই মহিলার কিছুই অবশিষ্ট রইল না।


শিক্ষা: নিজের স্বার্থে ভুল পথে হাঁটলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিই হয়। সৎ ও ন্যায় পথেই জীবনের প্রকৃত সুখ লুকিয়ে থাকে।


Collected from 

 NiosNews Fb page

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...