এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫

মানুষের নাহয় হাগু করার আলাদা জায়গা আছে কিন্তু বাকিদের যে নেই! এত লক্ষ কোটি পশুপাখি খোলা জায়গায় সারাদিন বসে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে আর হাগু কচ্ছে কিন্তু কই আশপাশটা তো দুর্গন্ধে বা হাগুতে ভরে উঠছেনা! আশ্চর্য না? বলুনতো কীকরে এটা সম্ভব হচ্ছে? ঠিক বলেছেন! গুবরে পোকারা আছে বলে। পৃথিবীতে সাত হাজার প্রজাতির গুবরে পোকারা সব হাগু পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছে সেই কবে থেকে। এন্টার্কটিকা বাদে সব দেশে সবখানে তারা আছে। কেউ হাগু করলেই তারা হাজারে হাজারে জড়ো হয়ে সব দ্রুত সরিয়ে ফেলছে নয়তো decomposed হয়ে যেতে সাহায্য করছে। তাই আমরা আজ এত হাজার বছর দুর্গন্ধহীন নিশ্চিন্ত জীবন কাটাতে পারছি। গুবরে পোকাদের সঙ্গে এই কাজে অবশ্য ব্যাকটেরিয়ারাও আছে। আমরা সবাই দেখেছি টাটকা গোবর কদিনের মধ্যেই কেমন শুকনো হয়ে মাটিতে মিলিয়ে গেলো পাউডারের মতো। বিস্ময়কর না! গুবরে পোকারা কাজের ধরণ অনুযায়ী চার রকমের। সেও ভারী মজার৷ একদল বড় আলসে, তারা বলে, "বাবা বেশি এদিক ওদিক গিয়ে কাজ নেই, একেবারে গোবর(সবধরণের হাগুকেই গোবর নাম দিচ্ছি আপাতত, বারবার হাগু বললে কেমন লাগে 😂) এর উপর বসে ডিম পেড়ে দেবো"। ডিম ফুটে লার্ভা বেরোয়। সব লার্ভারা গোবর খায় আর একদিন পূর্ণাঙ্গ পোকা হয়ে বেরিয়ে আসে। দ্বিতীয়দল গোবরের তলায় সুড়ঙ্গ খোঁড়েম সেখানে সসেজ এর মতো গোবর এর টুকরো জমা করে ডিম পাড়ে। বাচ্চারা সেই সুড়ঙ্গেই বড় হয় আর একদিন বেরিয়ে আসে। এত সুড়ঙ্গ খুঁড়লে মাটির ভারী উপকার। মাটির ভেতরে থাকা সব্বার শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। শিকারীর হাত থেকে বাঁচতে কেউ কেউ লুকাতেও পারে। বারবার গোবর নিয়ে যাতায়াতের ফলে মাটির সঙ্গে গোবর মিশে উর্বরতা বেড়ে যায়। মাটি ও মাটিতে থাকা সবাই ভালো থাকে৷ তৃতীয়দল বলে বাবা এত প্রতিযোগিতায় কাজ নেই, আমি বরং একটা গোবরের তাল কুড়িয়ে তাড়াতাড়ি পালাই। সে গোবরের তাল নিয়ে সেটাকে ভালো করে গোল করে গোলা পাকিয়ে গড়াতে গড়াতে চলে। শরীরের যা ওজন তার পঞ্চাশগুণ বড়ো গোবরের গোলা নিয়ে সে যেতে পারে৷ এদেরকে আমরা অনেকে দেখেছি দিনেরবেলা। কখনো একা কখনো দোকা। দোকা চলেছে মানে জানবেন পুরুষ পোকাটি তার সঙ্গীনীকে পেয়ে গেছে। এবার দুজনে মিলে নিরাপদ জায়গায় গর্ত করে ওই গোবরের গোলাটাকে সেখানে ঢুকিয়ে তাতে ডিম পাড়বে। বাচ্চারা সেই গোলার মধ্যে বড় হবে। তারপর পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়ে বেরিয়ে আসবে। চতুর্থদল ভারী বদ, সে ব্যাটা কিছুই করবে না। একটা গোবরের গোলা নিয়ে একজোড়া নারীপুরুষ যখন গর্তে গেছে আর সেখানে অন্য কোনো পুরুষ এসে পুরুষে পুরুষে সেই মেয়ের জন্য লড়াই লাগিয়েছে তখন সে মেয়ের ছদ্মবেশ মেয়ে পোকাটার কাছে এসে নিজের আসল রূপ দেখিয়ে মুগ্ধ করতে চায়। মানে এরা অন্যের শ্রমের ফসল একটু চুরিই করে নেয় বলা চলে। তবে ফাংশনাল গ্রুপ মূলত ওই প্রথম তিনধরণের। ভাবতে পারেন, সারা পৃথিবীর সব গোবর/হাগুর দায়িত্ব নিয়ে নিমেষের মধ্যে তাকে সরিয়ে ফেলা, দুর্গন্ধ না হতে দেওয়া, উফ! এ কাজের জন্য তাদের তো পুরস্কার দরকার, তার চেয়েও বেশি দরকার আদর যত্নের। পারলে তো খাতির করে ঘরে ডেকে পাত পেড়ে খাওয়াতাম। তারা তো নিজের জীবন কাটাতে গিয়ে আমাদের এত বড় উপকার করে দিচ্ছে যার বার্ষিক টাকার মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার প্রায়। ভাবুন এই টাকাটা আমাদের আলাদা করে কাউকে দিতে হয় না। এমনিই আমাদের রোজগার কর্মসংস্থানের যা অবস্থা, এদের টাকা দিতে হলে কী যে হতো! এদিকে এরা এই কাজ করে বলে গোবর/হাগুকে কেন্দ্র করে মাছিদের পপুলেশন নিয়ন্ত্রণে থাকে নাহলে যত মাছি এখন দেখি তার হয়ত একশোগুণ মাছি আমাদের ঘরবাড়ি ছেয়ে ফেলতো। আর কৃষকের বন্ধু তো তারা বটেনই। মাটিকে ঝুরঝুরে রাখা, ভালো রাখা, উর্বর রাখা, সব করে ফেলছেন। এত গোবর/হাগু থেকে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাসের প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করছেন। কিন্তু তারা ভালো আছে কি? নেই। এখন তাদের দেখা যাচ্ছে খুব কম। গ্রামেও গোবর পড়ে থাকছে রাস্তায় কিন্তু তাদের আর দেখা নেই। পুঁজিবাদীরা সবচেয়ে বেশি রোজগার করে মানুষকে খাইয়ে আর কৃষিকাজের যাবতীয় উপাদান বেচে। তারা বিষাক্ত GM ফসলের বীজ, মারাত্মক সব বিষ সার বানাচ্ছে আর মানুষকে কনভিন্স করে সেগুলো এন্তার বেচছে। এত বিষ দিলে বন্ধুরা কি আর বাঁচে? বন্ধুরা বাঁচেনা তাই বাকিরাও বাঁচেনা। আমাদের স্কুল কলেজে তত পড়ানোও হয়না তাদের কথা। আরেকটা সমস্যা হয়েছে দিনেরবেলা সূর্য আর রাতে চাঁদ তারা আকাশগঙ্গাকে লক্ষ্য করে তারা যাতায়াত করে। সেখানে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সভ্যতার এত আলো। রাতের আকাশে চাঁদ তারা কিছুই ভালো করে দেখা যাচ্ছে না রাতে মানুষেরা এত আলো জ্বেলে রাখায়। এদের পথভুল হয়ে যাচ্ছে। বড় শহরে বড় বড় বাড়ির আলো দেখে এরা সেইদিকে চলে যাচ্ছে। মানুষ এত বেশি পিচ কংক্রিটের রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে যে তারা আর গর্ত খুঁড়তে পারছে না। তাহলে তারা সুস্থ শরীরে মনে কাজ করবে কীকরে? আমরা যারা সব কিনে খাই তারা বুঝতে পারি তো যে খাবার থেকে আজকাল অনেক রোগ হচ্ছে? যদি বুঝে থাকি তবে সার কীটনাশক দিয়ে বড় করা ফসল আমরা খাবো না। GM ফসল এর বিরোধিতা করবো। দেশি গাছ লাগাবো। মাটিকে ঢেকে রাখব স্বাভাবিক ঘাসে। মাটিতে বেশি লাঙল কোদাল চালাবো না। অকারণে রাতে আলো জ্বাললে এই বন্ধুদের চরম ক্ষতি, আমরা জ্বালবো না। আমরা তো মানুষ, এইটুকু বুঝবো না? না বুঝলে একদিন এরা যদি সবাই হারিয়ে যায় তবে আমাদের কিন্তু মাথা অবধি হাগুতে গোবরে ডুবে যেতে হবে। মজা না, সত্যি বললাম। 🌿 লিখেছেন: নীলাঞ্জন মিশ্র Nilanjan Mishra ২৫/৪/২৫ সুন্দরবন

 মানুষের নাহয় হাগু করার আলাদা জায়গা আছে কিন্তু বাকিদের যে নেই! এত লক্ষ কোটি পশুপাখি খোলা জায়গায় সারাদিন বসে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে আর হাগু কচ্ছে কিন্তু কই আশপাশটা তো দুর্গন্ধে বা হাগুতে ভরে উঠছেনা! আশ্চর্য না? বলুনতো কীকরে এটা সম্ভব হচ্ছে? ঠিক বলেছেন! গুবরে পোকারা আছে বলে। পৃথিবীতে সাত হাজার প্রজাতির গুবরে পোকারা সব হাগু পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছে সেই কবে থেকে। এন্টার্কটিকা বাদে সব দেশে সবখানে তারা আছে। কেউ হাগু করলেই তারা হাজারে হাজারে জড়ো হয়ে সব দ্রুত সরিয়ে ফেলছে নয়তো decomposed হয়ে যেতে সাহায্য করছে। তাই আমরা আজ এত হাজার বছর দুর্গন্ধহীন নিশ্চিন্ত জীবন কাটাতে পারছি। গুবরে পোকাদের সঙ্গে এই কাজে অবশ্য ব্যাকটেরিয়ারাও আছে। আমরা সবাই দেখেছি টাটকা গোবর কদিনের মধ্যেই কেমন শুকনো হয়ে মাটিতে মিলিয়ে গেলো পাউডারের মতো। বিস্ময়কর না! গুবরে পোকারা কাজের ধরণ অনুযায়ী চার রকমের। সেও ভারী মজার৷ 


একদল বড় আলসে, তারা বলে, "বাবা বেশি এদিক ওদিক গিয়ে কাজ নেই, একেবারে গোবর(সবধরণের হাগুকেই গোবর নাম দিচ্ছি আপাতত, বারবার হাগু বললে কেমন লাগে 😂) এর উপর বসে ডিম পেড়ে দেবো"।  ডিম ফুটে লার্ভা বেরোয়। সব লার্ভারা গোবর খায় আর একদিন পূর্ণাঙ্গ পোকা হয়ে বেরিয়ে আসে। 


দ্বিতীয়দল গোবরের তলায় সুড়ঙ্গ খোঁড়েম সেখানে সসেজ এর মতো গোবর এর টুকরো জমা করে ডিম পাড়ে। বাচ্চারা সেই সুড়ঙ্গেই বড় হয় আর একদিন বেরিয়ে আসে। এত সুড়ঙ্গ খুঁড়লে মাটির ভারী উপকার। মাটির ভেতরে থাকা সব্বার শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। শিকারীর হাত থেকে বাঁচতে কেউ কেউ লুকাতেও পারে। বারবার গোবর নিয়ে যাতায়াতের ফলে মাটির সঙ্গে গোবর মিশে উর্বরতা বেড়ে যায়। মাটি ও মাটিতে থাকা সবাই ভালো থাকে৷ 


তৃতীয়দল বলে বাবা এত প্রতিযোগিতায় কাজ নেই, আমি বরং একটা গোবরের তাল কুড়িয়ে তাড়াতাড়ি পালাই। সে গোবরের তাল নিয়ে সেটাকে ভালো করে গোল করে গোলা পাকিয়ে গড়াতে গড়াতে চলে। শরীরের যা ওজন তার পঞ্চাশগুণ বড়ো গোবরের গোলা নিয়ে সে যেতে পারে৷ এদেরকে আমরা অনেকে দেখেছি দিনেরবেলা। কখনো একা কখনো দোকা। দোকা চলেছে মানে জানবেন পুরুষ পোকাটি তার সঙ্গীনীকে পেয়ে গেছে। এবার দুজনে মিলে নিরাপদ জায়গায় গর্ত করে ওই গোবরের গোলাটাকে সেখানে ঢুকিয়ে তাতে ডিম পাড়বে। বাচ্চারা সেই গোলার মধ্যে বড় হবে। তারপর পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়ে বেরিয়ে আসবে। 


চতুর্থদল ভারী বদ, সে ব্যাটা কিছুই করবে না। একটা গোবরের গোলা নিয়ে একজোড়া নারীপুরুষ যখন গর্তে গেছে আর সেখানে অন্য কোনো পুরুষ এসে পুরুষে পুরুষে সেই মেয়ের জন্য লড়াই লাগিয়েছে তখন সে মেয়ের ছদ্মবেশ মেয়ে পোকাটার কাছে এসে নিজের আসল রূপ দেখিয়ে মুগ্ধ করতে চায়। মানে এরা অন্যের শ্রমের ফসল একটু চুরিই করে নেয় বলা চলে। তবে ফাংশনাল গ্রুপ মূলত ওই প্রথম তিনধরণের। 


ভাবতে পারেন, সারা পৃথিবীর সব গোবর/হাগুর দায়িত্ব নিয়ে নিমেষের মধ্যে তাকে সরিয়ে ফেলা, দুর্গন্ধ না হতে দেওয়া, উফ! এ কাজের জন্য তাদের তো পুরস্কার দরকার, তার চেয়েও বেশি দরকার আদর যত্নের। পারলে তো খাতির করে ঘরে ডেকে পাত পেড়ে খাওয়াতাম। তারা তো নিজের জীবন কাটাতে গিয়ে আমাদের এত বড় উপকার করে দিচ্ছে যার বার্ষিক টাকার মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার প্রায়। ভাবুন এই টাকাটা আমাদের আলাদা করে কাউকে দিতে হয় না। এমনিই আমাদের রোজগার কর্মসংস্থানের যা অবস্থা, এদের টাকা দিতে হলে কী যে হতো! এদিকে এরা এই কাজ করে বলে গোবর/হাগুকে কেন্দ্র করে মাছিদের পপুলেশন নিয়ন্ত্রণে থাকে নাহলে যত মাছি এখন দেখি তার হয়ত একশোগুণ মাছি আমাদের ঘরবাড়ি ছেয়ে ফেলতো। আর কৃষকের বন্ধু তো তারা বটেনই। মাটিকে ঝুরঝুরে রাখা, ভালো রাখা, উর্বর রাখা, সব করে ফেলছেন। এত গোবর/হাগু থেকে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাসের প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করছেন। 


কিন্তু তারা ভালো আছে কি? নেই। এখন তাদের দেখা যাচ্ছে খুব কম। গ্রামেও গোবর পড়ে থাকছে রাস্তায় কিন্তু তাদের আর দেখা নেই। পুঁজিবাদীরা সবচেয়ে বেশি রোজগার করে মানুষকে খাইয়ে আর কৃষিকাজের যাবতীয় উপাদান বেচে। তারা বিষাক্ত GM ফসলের বীজ, মারাত্মক সব বিষ সার বানাচ্ছে আর মানুষকে কনভিন্স করে সেগুলো এন্তার বেচছে। এত বিষ দিলে বন্ধুরা কি আর বাঁচে? বন্ধুরা বাঁচেনা তাই বাকিরাও বাঁচেনা। আমাদের স্কুল কলেজে তত পড়ানোও হয়না তাদের কথা। আরেকটা সমস্যা হয়েছে দিনেরবেলা সূর্য আর রাতে চাঁদ তারা আকাশগঙ্গাকে লক্ষ্য করে তারা যাতায়াত করে। সেখানে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সভ্যতার এত আলো। রাতের আকাশে চাঁদ তারা কিছুই ভালো করে দেখা যাচ্ছে না রাতে মানুষেরা এত আলো জ্বেলে রাখায়। এদের পথভুল হয়ে যাচ্ছে। বড় শহরে বড় বড় বাড়ির আলো দেখে এরা সেইদিকে চলে যাচ্ছে। মানুষ এত বেশি পিচ কংক্রিটের রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে যে তারা আর গর্ত খুঁড়তে পারছে না। তাহলে তারা সুস্থ শরীরে মনে কাজ করবে কীকরে? 


আমরা যারা সব কিনে খাই তারা বুঝতে পারি তো যে খাবার থেকে আজকাল অনেক রোগ হচ্ছে? যদি বুঝে থাকি তবে সার কীটনাশক দিয়ে বড় করা ফসল আমরা খাবো না। GM ফসল এর বিরোধিতা করবো। দেশি গাছ লাগাবো। মাটিকে ঢেকে রাখব স্বাভাবিক ঘাসে। মাটিতে বেশি লাঙল কোদাল চালাবো না। অকারণে রাতে আলো জ্বাললে এই বন্ধুদের চরম ক্ষতি, আমরা জ্বালবো না। আমরা তো মানুষ, এইটুকু বুঝবো না? 


না বুঝলে একদিন এরা যদি সবাই হারিয়ে যায় তবে আমাদের কিন্তু মাথা অবধি হাগুতে গোবরে ডুবে যেতে হবে। 


মজা না, সত্যি বললাম। 


🌿

লিখেছেন: নীলাঞ্জন মিশ্র 

Nilanjan Mishra 

২৫/৪/২৫

সুন্দরবন

কুং ফুর পাঁচটি প্রথাগত পশুর ধরনকে উপস্থাপন করে, যার প্রতিটি একটি আলাদা যুদ্ধকৌশল ও দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।

 কুং ফুর পাঁচটি প্রথাগত পশুর ধরনকে উপস্থাপন করে, যার প্রতিটি একটি আলাদা যুদ্ধকৌশল ও দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই শৈলীগুলো মূলত দক্ষিণ শাওলিন মার্শাল আর্ট থেকে এসেছে, বিশেষ করে ‘ফাইভ অ্যানিমেলস স্টাইল’ (পাঁচ পশুর শৈলী) থেকে। নিচে প্রতিটির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:


১. ড্রাগন স্টাইল (উপরে বামে)

প্রাণী: ড্রাগন (ড্রাগন)

কেন্দ্রবিন্দু: আত্মিক শক্তি, তরল গতিবিধি, অভ্যন্তরীণ শক্তি (চি)

প্রযুক্তি: কঠিন ও নরম গতির সংমিশ্রণ, বৃত্তাকার গতি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর। ড্রাগন স্টাইলে শরীর মোচড়ানোর গতি, শক্তিশালী ভঙ্গি এবং নিঃশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ ব্যবহৃত হয়।

প্রতীক: প্রজ্ঞা, অন্তর্নিহিত শক্তি এবং অভিযোজন ক্ষমতা।


২. স্নেক স্টাইল (উপরে ডানে)

প্রাণী: সাপ

কেন্দ্রবিন্দু: গতি, নিখুঁততা ও নমনীয়তা

প্রযুক্তি: চাপ পয়েন্টে দ্রুত, কুণ্ডল strike দেয়। আঙ্গুলগুলোকে বিষদাঁতের মতো ব্যবহার করা হয়, আর চলাফেরা হয় মসৃণ ও অপ্রত্যাশিত।

প্রতীক: নিখুঁততা, তরল গতি এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি।


৩. ক্রেন স্টাইল (মাঝখানে)

প্রাণী: সারস (ক্রেন)

কেন্দ্রবিন্দু: ভারসাম্য, দৃষ্টতা ও সৌন্দর্য

প্রযুক্তি: প্রতিরক্ষামূলক পদচারণা, এক পায়ে দাঁড়ানো ভঙ্গি এবং আঙ্গুল দিয়ে ঠোকর দেওয়ার কৌশল। চলাফেরা হয় হালকা ও চটপটে।

প্রতীক: শান্তি, নিয়ন্ত্রণ এবং নিখুঁততা।


৪. প্যান্থার স্টাইল (নিচে বামে)

প্রাণী: প্যান্থার (বা ফাইভ অ্যানিমেলসে লেপার্ড)

কেন্দ্রবিন্দু: গতি, আক্রমণাত্মকতা ও শক্তি

প্রযুক্তি: দ্রুত, শক্তিশালী আঘাত – নখের মতো আঙ্গুল দিয়ে। প্যান্থার brute force নয়, বরং গতিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বল স্থানগুলোতে আঘাত করে।

প্রতীক: বিস্ফোরকতা, গোপনতা ও নিখুঁততা।


৫. টাইগার স্টাইল (নিচে ডানে)

প্রাণী: বাঘ

কেন্দ্রবিন্দু: শক্তি, দৃঢ়তা ও আধিপত্য

প্রযুক্তি: শক্তিশালী, সরাসরি আঘাত এবং নখ দিয়ে খোঁচানোর কৌশল। টাইগার স্টাইলে শারীরিক শক্তি, নিচু ভঙ্গি এবং জোরালো আক্রমণ গুরুত্ব পায়।

প্রতীক: হিংস্রতা, সাহস ও brute force।

উপদেশমূলক একটি গল্পঃ  শিরোনাম :- "তৃতীয় ব্যক্তি হতে সাবধান".......

 ✅✅উপদেশমূলক একটি গল্পঃ 

শিরোনাম :- "তৃতীয় ব্যক্তি হতে সাবধান"....... 


💥প্রেক্ষাপট ১


উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,

- তুমি কোথায় চাকুরি করো?

- একটা কোম্পানিতে ।

- স্যালারি কতো?

- ১০০০০ টাকা।

- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা,তাতে হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।

যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি 

বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে বেতন বাড়ানোর কথা। জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো।

এখন যুবকটি বেকার। 


💥প্রেক্ষাপট ২


- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?

- হ্যাঁ।

- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু?

- না। কেন দেবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন?

- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?

স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা। 

সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো। 


স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। রেগে গেলো দু’জনে, কথা কাটাকাটি ঝগড়া আর ঝগড়া। পরে হাতাহাতি, শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে গিয়ে গড়ালো।


💥প্রেক্ষাপট ৩


- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে  কোলকাতায় থাকে,বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না!

- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে ও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত।

- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না?

- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়!

- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে কোলকাতায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে। 

আর আপনারা অজ পাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?

বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো। 

স্ত্রীও বাধা দিল,

- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।

- নাহ,সেকি কি মিথ্যা বলতে পারে ? 

আহা রে! কাকে বুকের রক্ত জল  করে বড় করলাম। এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক! 


*️⃣*️⃣এবার আসি মূলকথায়⤵️


কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে দিতে সক্ষম।


আমাদের সমাজে ছদ্মবেশী দরদীরা নিরন্তর শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দেয়।


ছদ্মবেশী ডাইন/ডাইনীগুলো নিজের থেকে কিন্তু আপনাকে কিছুই দেবেনা। কিন্তু অন্যের থেকে অবৈধভাবে আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে আপনাকে জিতিয়ে দেয়ার নামে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে।


✅✅গল্পের হিতোপদেশঃ⤵️

জীবনে ৩য় ব্যাক্তি কে প্রবেশ করার সুযোগ দেবেন না। আর যদিও কোন ভাবে ঢুকে যায় তাহলে যথা সম্ভব তার কথা কানে তুলবেন না। ৩ য় ব্যাক্তি হতে সাবধান।


ভালো লাগছে তাই শেয়ার করলাম। এই রকম ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে।তৃতীয় ব্যাক্তি তো পালিয়ে বেঁচে যায়। কিন্তু ভুক্তভোগী???

জাপানে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রী একদিন ফোনে বলল, "বড়োই লজ্জায় আছি।"

 ✅ জাপানে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রী একদিন ফোনে বলল, "বড়োই লজ্জায় আছি।"

- "কেন কী হয়েছে?"

- "ড্রইং ক্লাসে ড্রইং বক্স নিয়ে যাইনি।"

- "তো?"

- "জাপানি স্যার একটা বড় শিক্ষা দিয়েছেন।"

- "কী করেছেন?"

- "আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, আজ যে ড্রইং বক্স নিয়ে আসতে হবে,তা স্মরণে রাখার মতো জোর দিয়ে তিনি আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারেননি। 

তাই তিনি দুঃখিত।"

- "হুম।"

- "আমি তো আর কোনদিন ড্রইং বক্স নিতে ভুলবো না। আজ যদি তিনি আমাকে বকতেন বা অন্য কোন শাস্তি দিতেন, আমি হয়তো কোনও একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতাম।"


জাপানি দল বিশ্বকাপে হেরে গেলেও জাপানি দর্শকরা গ্যালারি পরিষ্কার করে তবেই স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন।  


এ আবার কেমন কথা?  

এটা কি কোনো পরাজয়ের ভাষা! হেরেছিস যখন রেফারির গুষ্টি তুলে গালি দে। বলে দে পয়সা খেয়েছে। বিয়ারের ক্যান, কোকের ক্যান, চিনাবাদামের খোসা যা পাস ছুঁড়ে দে। দুই দিন হরতাল ডাক। অন্তত বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় এটা তো বলতে পারিস যে, খেলোয়াড় নির্বাচন ঠিক হয়নি, এতে সরকার বা বিরোধী দলের হাত আছে।


দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হেরে গিয়ে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আমেরিকার প্রতিনিধি ম্যাক আর্থারের কাছে গেলেন। প্রতীকী  হিসাবে নিয়ে গেলেন এক ব্যাগ চাল। হারিকিরির ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে মাথা পেতে দিয়ে বললেন, "আমার মাথা কেটে নিন আর এই চালটুকু গ্রহণ করুন। আমার প্রজাদের রক্ষা করুন। ওরা ভাত পছন্দ করে। ওদের যেন ভাতের অভাব না হয়।"


আরে ব্যাটা, তুই যুদ্ধে হেরেছিস, তোর আত্মীয়স্বজন নিয়ে পালিয়ে যা। তোর দেশের চারিদিকেই তো জল। নৌপথে কিভাবে পালাতে হয় আমাদের ইতিহাস (লক্ষণ সেন) থেকে শিখে নে। কোরিয়া বা তাইওয়ান যা। ওখানকার 'মীর জাফর'-দের সাথে হাত মেলা। সেখান থেকে হুঙ্কার দে। সম্রাট হিরোহিতোর এই আচরণ আমেরিকানদের পছন্দ হল। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কুখ্যাত মহানায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র হিরোহিতোকেই বিনা আঘাতে বাঁচিয়ে রাখা হলো ।


২০১১ সালের ১১ই মার্চ। সুনামির আগাম বার্তা শুনে এক ফিশারি কোম্পানির মালিক সাতো সান প্রথমেই বাঁচাতে গেলেন তার কর্মচারীদের। হাতে সময় আছে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রায়োরিটি দিলেন বিদেশি (চাইনিজ)-দের। একে একে সব কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে পাশের উঁচু টিলায় নিজে পথ দেখিয়ে গিয়ে রেখে এলেন। সর্বশেষে গেলেন তার পরিবারের খোঁজ  নিতে। ইতিমধ্যে সুনামি এসে হাজির। সাতো সানকে চোখের সামনে কোলে তুলে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সুনামি। আজও খোঁজহীন হয়ে আছেন তার পরিবার (ইসস!!! সাতো সান যদি একবার আমাদের প্রমোটারের সাথে দেখা করার সুযোগ পেতেন)। সাতো সান অমর হলেন চায়নাতে। চাইনিজরা দেশে ফিরে গিয়ে শহরের চৌরাস্তায় ওনার প্রতিকৃতি বানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।


নয় বছরের এক ছেলে। স্কুলে ক্লাস করছিল। সুনামির আগমনের কথা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালো এবং সব ছাত্রদের নিয়ে তিন তলায় জড়ো করলো। তিন তলার ব্যালকনি থেকে দেখলো তার বাবা স্কুলে আসছে গাড়ি নিয়ে। গাড়িকে ধাওয়া করে আসছে ফোসফোসে জলের সৈন্য দল। গাড়ির স্পিড জলের স্পিডের কাছে হার মেনে গেল। চোখের সামনে নেই হয়ে গেল বাবা। সৈকতের কাছেই ছিল তাদের বাড়ি। শুনলো, মা আর ছোট ভাই ভেসে গেছে আরো আগে। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ছেলেটি আশ্রয় শিবিরে উঠল। শিবিরের সবাই খিদে আর শীতে কাঁপছে। ভলান্টিয়াররা রুটি বিলি করছেন। আশ্রিতরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ছেলেটিও আছে।  


এক বিদেশী সাংবাদিক দেখলেন, যতখানি খাদ্য (রুটি) আছে তাতে লাইনের সবার হবে না। ছেলেটির কপালে জুটবে না।সাংবাদিক সাহেব তার কোট পকেটে রাখা নিজের ভাগের রুটি দুটো ছেলেটিকে দিলেন। ছেলেটি ধন্যবাদ জানিয়ে রুটি গ্রহণ করল, তারপর যেখান থেকে রুটি বিলি হচ্ছিল সেখানেই ফেরত দিয়ে আবার লাইনে এসে দাঁড়াল।


সাংবাদিক সাহেব কৌতূহল চাপতে পারলেন না। ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করলেন, "এ কাজ কেন করলে খোকা ?" 

খোকা উত্তর দিল "বন্টন তো ওখান থেকে হচ্ছে। ওদের হাতে থাকলে, বন্টনে সমতা আসবে।তাছাড়া লাইনে আমার চেয়েও বেশি ক্ষুধার্ত লোকও তো থাকতে পারে।"

সহানুভুতিশীল হতে গিয়ে বন্টনে অসমতা এনেছেন, এই ভেবে সাংবাদিক সাহেবের পাপবোধ হল। এই ছেলের কাছে কী বলে ক্ষমা চাইবেন ভাষা হারালেন তিনি। 


যাদের জাপান সম্পর্কে ধারণা আছে তারা সবাই জানেন, যদি ট্রেনে বা বাসে কোনো জিনিস হারিয়ে যায়, অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। ঐ জিনিস আপনি অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাবেন।


গভীর রাতে কোনো ট্রাফিক নেই, কিন্তু পথচারীরা ট্রাফিক বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত পথ পার হচ্ছেন না। 


ট্রেনে বাসে টিকিট ফাঁকি দেওয়ার হার প্রায় শূণ্যের কোঠায়।


একবার ভুলে ঘরের দরজা লক না করে এক ভারতীয় দেশে গেলেন। মাস খানেক পর এসে দেখেন, যেমন ঘর রেখে গেছেন, ঠিক তেমনই আছে।


এই শিক্ষা জাপানিরা কোথায় পান?


সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে।  


সর্বপ্রথম যে তিনটি শব্দ এদের শেখানো হয় তা হল -


*কননিচিওয়া* (হ্যালো) 

- পরিচিত মানুষকে দেখা মাত্র 'হ্যালো' বলবে।


*আরিগাতোউ* (ধন্যবাদ)

- সমাজে বাস করতে হলে একে অপরকে উপকার করবে। তুমি যদি বিন্দুমাত্র কারো দ্বারা উপকৃত হও তাহলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।


*গোমেননাসাই* (দুঃখিত)

- মানুষ মাত্রই ভুল করে এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবে।


এগুলো যে স্কুলে শুধু মুখস্ত করে শেখানো হয় তা নয়।  বাস্তবে শিক্ষকরা প্রোএক্টিভলি সুযোগ পেলেই এগুলো ব্যবহার করেন এবং করিয়ে ছাড়েন।


সমাজে এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব কত তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। এই শিক্ষাটা এবং প্র্যাকটিসটি ওরা বাল্যকাল থেকে করতে শেখে।


আমাদের দিক নির্দেশকেরা তাদের বাল্যকালটা যদি কোনও রকমে জাপানের কিন্ডারগার্টেনে কাটিয়ে আসতে পারতেন তাহলে কী ভালোটাই না হতো! কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেওয়া হয়।


সমাজে মানুষ হিসাবে বসবাস করার জন্য যা যা দরকার অর্থাৎ নিজের বই-খাতা, পোষাক, খেলনা, বিছানা সব নিজে গোছানো। টয়লেট ব্যবহার করে নিজেই পরিষ্কার করা। খাবার খেয়ে নিজের খাবারের প্লেট নিজেই ধুয়ে ফেলা ইত্যাদি।  


প্রাইমারী স্কুল থেকে এরা নিজেরা দল বেঁধে স্কুলে যায়। দল ঠিক করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন, বাস-ট্রেনে চড়ার নিয়ম কানুন সবই শেখানো হয়।  


আপনার গাড়ি আছে, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসতেই পারেন, কিন্তু উল্টে আপনাকে লজ্জা পেয়ে আসতে হবে।


ক্লাস সেভেন থেকে সাইকেল চালিয়ে তারা স্কুলে যায়।  


ক্লাসে কে ধনী, কে গরীব, কে প্রথম, কে দ্বিতীয় এসব বৈষম্য যেন তৈরি না হয় তার জন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।  


ক্লাসে রোল নং ১ মানে এই নয় যে একাডেমিক পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল। রোল নং তৈরি হয় নামের বানানের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে।


বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমস্ত আইটেমগুলো থাকে গ্রুপ পারফরম্যান্স দেখার জন্য, ইন্ডিভিজুয়েল নয়। 


সারা স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভাগ করা হয় কয়েকটা গ্রুপে। সাদা দল, লাল দল, সবুজ দল ইত্যাদি। গ্রুপে কাজ করার ট্রেনিংটা ছাত্রছাত্রীরা পেয়ে যায় স্কুলের খেলাধুলা জাতীয় এ্যাক্টিভিটি থেকে।


এই জন্যই হয়তো জাপানে তথাকথিত 'লিডার' তৈরি হয় না কিন্তু এরা সবাই এক একজন বড় লিডার,,,,👍👍


@সংগৃহীত  পোস্ট  (হ্যাপি রিডিং❤️) 👈 লেখাটি ড. আশির আহমেদের জাপান কাহিনি ১ম খন্ড থেকে নেয়া ।


⚠️ছবিটি ও লেখা সংগৃহিত⚠️

এক জঙ্গলের পাশে দুই কাঠুরে বাস করতো- পিটার এবং জন। তাদের মধ্যে প্রায়ই তর্ক হতো - কে বেশি কাঠ কাটতে পারে?

 এক জঙ্গলের পাশে দুই কাঠুরে বাস করতো- পিটার এবং জন। তাদের মধ্যে প্রায়ই তর্ক হতো - কে বেশি কাঠ কাটতে পারে?


তো একদিন তারা একটা প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিল যাতে পরিষ্কার হয়ে যায় কে সবথেকে বেশি কাঠ কাটতে পারে। প্রতিযোগিতার নিয়ম - সকাল ৮ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যে বেশি কাটবে, সেই জয়ী।


পরের দিন সকালে, তারা জঙ্গলের মধ্যে তাদের অবস্থান নিল এবং কাঠ কাটতে শুরু করলো যতটা দ্রুত সম্ভব। এক ঘন্টা পর, পিটার হঠাৎ কাঠ কাটা বন্ধ করলো। জন পিটারের কাঠ কাটার শব্দ না পেয়ে মনে মনে খুশি হলো এবং ভাবলো সে মনে হয় ইতিমধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।


প্রায়  ১৫ মিনিট পর, আবার পিটারের কাঠ কাটার শব্দ আসতে লাগলো এবং সারাদিন এক ঘন্টা পর পর এরকম প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য পিটারের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যেত না। আর এইদিকে জন, প্রচন্ড খুশি মনে একটানা কাঠ কেটে যেতে লাগলো এবং সে নিশ্চিন্ত ছিল, অব্যশই আমি অনেকটা বেশি কাট কেটেছি।


সারাদিন শেষে যখন তারা এক জায়গায় তাদের কাঠগুলো এনে জড়ো করলো, জন অবাক হয়ে দেখলো, পিটার তার থেকে অনেকগুলো বেশি কাঠ কেটেছে।


সে চিৎকার করে উঠলো, "এটা কিভাবে সম্ভব? আমার থেকে কিভাবে তুমি বেশি কাঠ কাটতে পারো? তুমি সারাদিন প্রতি ঘন্টায় ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম নিয়েছো আর আমি সারাদিন কাঠ কেটেছি।"


পিটার হাসলো এবং উত্তর দিলোঃ "আমি ১৫ মিনিট বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি আমার কুঠারে ধার দিয়েছি। আর যার কারণেই আমি বেশি কাঠ কাটতে পেরেছি।"


আমাদের মধ্যেও সবাই অনেক অনেক ব্যস্ত। আমরা এতটাই ব্যস্ত যে আমাদের নিজেদের জন্য সময় নেই। এতে আমাদের কুঠার মানে মস্তিষ্ক কিন্তু দিন দিন ধার কমে যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে একটু ব্রেক নিয়ে, নতুন কিছু শেখা, নতুন কিছু জানার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক ধারালো হয়।


আমাদেরকে আরেকটু বেশি কর্মঠ করতে, আরো বেশি সচল থাকতে - আমরা এই কাজগুলো করতে পারি।


স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ।ভালো সামাজিক জীবন, সত্যিকারের সম্পর্ক।

নতুন কিছু শেখা, বইপড়া এবং লেখালেখি করা। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, পালন করা।🙂


#সংগৃহীত #viralpost #story #motivation #educationalcontent #inspiration #education #viralpost2025シ

মুখে ও শরীরে দুর্গন্ধ? হোমিওপ্যাথিক সমাধানে ফিরুক আত্মবিশ্বাস!

 মুখে ও শরীরে দুর্গন্ধ? হোমিওপ্যাথিক সমাধানে ফিরুক আত্মবিশ্বাস!


দীর্ঘদিন ধরে মুখে বা শরীরে দুর্গন্ধে ভুগছেন? বাজারের কেমিকেলজাত দ্রব্যে সাময়িক আরাম পেলেও সমস্যার মূল কারণ থেকে যায়।


হোমিওপ্যাথি বিশ্বাস করে — রোগ নয়, রোগীর মূল কারণের উপর কাজ করাই প্রকৃত চিকিৎসা।


Merc Sol 30 — একটি জার্মান ফর্মুলাভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, যা শরীরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধের কারণ দূর করে আপনাকে দেয় স্থায়ী স্বস্তি।


ব্যবহারবিধি:

প্রতিদিন ২ বার করে ১০ ফোঁটা করে, এক ফাইলেই পর্যাপ্ত।


উপকারিতা:

 মুখ ও শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে

 প্রাকৃতিকভাবে শরীরের টক্সিন পরিষ্কার করে

 কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই

 ১০০% হোমিওপ্যাথিক


অর্ডার করতে কল করুন:

01937-000511

ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা পাচ্ছেন এখনই!


বিশ্বাস রাখুন হোমিওতে — সুস্থ থাকুন স্বাভাবিক উপায়ে।

কেয়ামতের বড় আলামতের একটি হলো পৃথিবীতে ইয়াজুজ মাজুজের আগমন। 

 একদিন মহানবী (সাঃ) হাসিমুখে বসে ছিলেন। হঠাৎ তিনি গম্ভীর হয়ে গেলেন এবং হাতের দুটি আঙ্গুল দিয়ে একটা রিং বানিয়ে বললেন- ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীরে এই পরিমাণ একটা গর্ত তৈরী হয়েছে। হয়ত এটার মানে এরকম যে, তাদের আসার দিন ঘনিয়ে এসেছে। ১৪০০ বছর আগেই যদি এই অবস্থা হয়, এখন তাহলে কি অবস্থা ?


কেয়ামতের বড় আলামতের একটি হলো পৃথিবীতে ইয়াজুজ মাজুজের আগমন। 


এখন প্রশ্ন আসে এই ইয়াজুজ মাজুজ কারা ও তারা কখন পৃথিবীতে আসবে? ইয়াজুজ মাজুজ সম্প্রদায় এখন কোথায় আছে? তাদের ধ্বংস হবে কিভাবে?


ইয়াজুজ মাজুজ হলো আদম (আঃ) এর বংশধর। তারা কিয়ামতের আগে ঈসা (আঃ) এর সময় পৃথিবীতে আগমন করবে। 


তারা লুকায়িত আছে একটা লোহার প্রাচীরের মধ্যে। কিন্তু কিভাবে তারা এই প্রাচীরের মধ্যে আটকা পড়লো?


তাদের কে আটকে রেখেছিল যুল কারনাইন এবং কিয়ামতের আগে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় তারা মুক্তি পাবে।


যুল কারনাইন ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ কঠোর রাজা। তিনি ঘোড়ায় চড়ে পৃথিবী ঘুরে বেড়াতেন এবং যেখানেই অন্যায় দেখতেন তার বিচার করতেন এবং মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসতেন।


আল্লাহ যেভাবে যে আইন দিয়েছিলেন তার সময়ে, তিনি কঠোরভাবে তা প্রণয়ন করতেন। 


তার নিয়ম ছিল এইটা- “যে ভাল কাজ করবে, আমি তাকে বিশাল পুরস্কার দিব। যে খারাপ কাজ করবে, দূর্নীতি করবে, আমি তাকে শাস্তি দিব। আমি তো দিবই এই পৃথিবীতে, আর শেষ বিচারের জন্য আল্লাহ তো আছেনই। তিনি ছিলেন ভালোর ভালো, মন্দের যম!"


এভাবে তিনি ঘুরতে ঘুরতে দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে পৌছালেন এবং সেখানে তিনি এমন এক জাতির সন্ধান পেলেন যারা তাঁর ভাষা ভালভাবে বুঝতে পারছিলেন না। অতঃপর তিনি খুব দ্রুত তাদের ভাষা রপ্ত করলেন।


তারা বললেন, "হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন। ” 


যুল-কারনাইন উত্তর দিলেন- ”তোমাদের টাকার আমার কোন দরকার নাই, আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা যেকোন সম্পদের চেয়ে উত্তম। আমি তোমাদের সাহায্য করব। যদি তোমরা তোমাদের জনবল দিয়ে আমাকে সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে একটা নিশ্ছিদ্র প্রাচীর তৈরী করে দিব।" 


[ সূরা কাহাফ ]


আমাকে লোহা এনে দাও !! হাজার হাজার টন লোহা আনা হল। তিনি দুই পাহাড়ের মধ্যে সেই লোহা রাখলেন। লোহা দিয়ে প্রথমে একটা ফাপা দেয়াল বানালেন, দুটি পর্বতের মধ্যে লোহার দেয়াল, তাতে এমন আগুন দেওয়া হল যে লোহা গলে গেল।


অতঃপর গলিত তামা কে তিনি ঢেলে দিলেন গলিত লোহার সাথে। তৈরী হল রদ’মা। নিশ্ছিদ্র এক নিরাপত্তা বেষ্টনী। পৃথিবীর বুক থেকে হাজার হাজার বছর ধরে একটি পাশবিক জাতিকে সরিয়ে রাখার জন্যে।


এভাবে পৃথিবীর বুকে এখন তারা একটি রহস্য হয়ে রয়ে আছে। অনেক নাস্তিকেরা মানতে নারাজ বিস্ময়ের এই যুগে যখন মানুষ অতল সমুদ্রে চলে গেছে তখন এমন জায়গা থাকা কি করে সম্ভব যা মানুষের অজানা। ইয়াজুজ মাজুজ এমন কোন প্রাচীরের লুকায়িত থাকলে অবশ্যই তা এতোদিনে বিজ্ঞানিরা বের করে ফেলার কথা। (না'যুবিল্লাহ)


কিন্তু যেই সৃষ্টি কর্তা এই বিশ্ব মন্ডল তৈরী করেছেন, তার পক্ষে কি এটা খুব কঠিন কাজ যে তিনি কিছু লুকিয়ে রাখতে পারবেন না? নিশ্চয় না।


পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, “এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ। যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য।” 


[ সূরা কাহাফ ]


অর্থাৎ ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা একদিন বেরিয়ে আসবে।


কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো এতো পোক্ত প্রাচীর ভেদ করে তারা কিভাবে বের হয়ে আসবেন?


আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, প্রাচীরের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবী করীম (সাঃ) বলেন, অতঃপর প্রতিদিন তারা প্রাচীর ছেদন কার্যে লিপ্ত হয়। ছিদ্র করতে করতে যখন পুরোটা উন্মোচনের উপক্রম হয়, তখনই তাদের একজন বলে, আজ তো অনেক করলাম, চল! বাকীটা আগামীকাল করব! পরদিন আল্লাহ্‌ পাক সেই প্রাচীরকে পূর্বের থেকেও শক্ত ও মজবুত রূপে পূর্ণ করে দেন। ফলে তারা আর বেরিয়ে আসতে পারে না। 


অতঃপর যখন সেই কাক্ষিত সময় আসবে এবং আল্লাহ্‌ পাক তাদেরকে বের হওয়ার অনুমতি দেবেন, তখন তাদের মধ্যে একজন বলে উঠবে, আজ চল! বাকিটা ইন শা আল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ্‌ যদি চাহেন তো আগামীকাল পূর্ণ খোদাই করে ফেলব! এবং পরদিন এসে দেখবে প্রাচীর আগের অবস্থায় আছে ফলে তারা পূর্ণ খোদাই করে, প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবেন।


[ তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকিম ]


ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে আসার পর কি ঘটবে?


সেদিন তারা ফিলিস্তিনে এসে Tiberias Lake থেকে পানি খাওয়া শুরু করবে। সামনে যেখানে পানি পাবে খাওয়া শুরু করবে। এমনকি তাদের প্রথম দলটি নদীর পানি খেয়ে শেষ করে ফেলবে এবং শেষদলটি এসে দেখবে কোন পানি নেই এবং তারা বলবে ‘হয়ত এখানে কোন একসময় নদী ছিল এবং তাতে পানি ছিল’।


তারা পৃথিবীর সবকিছু খেয়ে ফেলবে। খাবারের এমন অভাব হবে যে এক টুকরা মাংস মানুষের কাছে এক ব্যাগ স্বর্ণমুদ্রা থেকে বেশি দামি মনে হবে।


এদের মূল অস্ত্র হচ্ছে নিজেদের মধ্যে একতা। বর্তমান দুনিয়ার ব্যাপারে এদের বিন্দুমাত্র কোন ধারনা নেই। 


এরা সংখ্যায় হবে অগনিত। হত্যা, ডাকাতি, দুর্নীতি, অরাজকতা, অন্যায়, ধর্ষন যা ইচ্ছা তাই করবে। এদের মূল লক্ষ্য একটাই, তা হল পৃথিবীকে দখল করে নেওয়া।


মাত্র দুইবার পৃথিবীতে স্রোতের মতন মানুষ বের হবে। একবার বের হবে যখন ইয়াজুজ মাজুজ ছাড়া পাবে, আর একদিন বের হবে যেদিন ইসরাফীল (আঃ) তার শিঙ্গায় দ্বিতীয় ফূ দিবেন। 


তারা মানুষ মারবে। তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না। এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে,”দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের শেষ করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব।” তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন।


আর তখন ওরা ভাববে, যে সত্যিই তারা আকাশের সবাইকে মেরে ফেলেছে। এই সব দেখে যারা দুর্বল বা নড়বড়ে ঈমানের মানুষ তাদের ঈমান থাকবে না। তারা ইয়াজুজ মাজুজকে খোদা মেনে নিবে। (না'যুবিল্লাহ)


একই সময় ঈসা (আঃ) ও দুনিয়াতে থাকবেন এবং তিনি তাদের থেকে রক্ষার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন। তারপর আল্লাহর নির্দেশে ঈমানদার লোকদের নিয়ে ঈসা (আঃ) জেরুজালেম এ লুকাবেন। 


অতঃপর আল্লাহ এক প্রকার কীট পাঠাবেন যেগুলো ইয়াজুজ মাজুজ দের আক্রমন করবে। এক রকম মহামারী শুরু হবে। সব ইয়াজুজ মাজুজ মারা যাবে। পুরা পৃথিবী ভরে যাবে পচা গলা দেহ দিয়ে। ঈসা (আঃ) আবার দু’আ করবেন। আল্লাহ এবার পাখি পাঠাবেন। বিশাল বড় বড় পাখি। তারা দেহগুলো নিয়ে নাহবাল নামক স্থানে পানিতে ফেলে দেবে। আল্লাহ এইবার বৃষ্টি পাঠাবেন। বৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে দিবেন পৃথিবী।


মুসলিমরা তাদের তীর ও ধনুকগুলো ৭ বছর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করবে।


[ বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ]


আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ইয়াজুজ মাজুজ সহ সকল ফিতনা থেকে ঈমান রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। [ আল্লাহুম্মা আমীন ]

হাতে তৈরি জুয়েলারি বানানোর সম্পূর্ণ গাইড: শুরু থেকে আয় পর্যন্ত!**  

 # **📿 হাতে তৈরি জুয়েলারি বানানোর সম্পূর্ণ গাইড: শুরু থেকে আয় পর্যন্ত!**  


হাতে তৈরি গয়না শুধু সৌন্দর্য বর্ধনই নয়, এটি একটি লাভজনক শিল্পও হতে পারে! আপনি যদি **জুয়েলারি মেকিং** শুরু করতে চান বা ইতিমধ্যে করছেন কিন্তু আরও উন্নত করতে চান, এই গাইডটি আপনার জন্য।  


## **🎨 ১. জুয়েলারি মেকিং শুরু করার আগে যা জানা জরুরি**  


### **কেন হ্যান্ডমেড জুয়েলারি?**  

- **ইউনিক ডিজাইন:** আপনার নিজস্ব স্টাইল ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।  

- **কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়।**  

- **অনলাইন/অফলাইন মার্কেটে চাহিদা বেশি।**  


### **কী ধরনের জুয়েলারি বানাবেন?**  

- **বিডস জুয়েলারি** (মাটির, ক্রিস্টাল, গ্লাস, মার্বেল বিডস)  

- **ওয়্যার র্যাপিং** (প্রাকৃতিক পাথর দিয়ে)  

- ** ক্লে জুয়েলারি**  

- **ম্যাক্রামে বা থ্রেড জুয়েলারি**  

- **মেটাল জুয়েলারি**  


---  


## **🛠️ ২. জুয়েলারি মেকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ম্যাটেরিয়াল**  


### **বেসিক টুলস:**  

✔ **প্লায়ারস** (রাউন্ড নোজ, ফ্ল্যাট নোজ, কাটিং প্লায়ার)  

✔ **জুয়েলারি আঠা** (B6000 , fabric glur )  

✔ **নাইলন থ্রেড/জুয়েলারি ওয়্যার** 

✔ **স্কেল/মাপার ফিতা**  

✔ **কাঁচি ও কাটিং বোর্ড**  


### **ম্যাটেরিয়ালস:**  

- **বিডস** (কাচ, মেটালিক, উডেন, সেমি-প্রিসিয়াস স্টোন)  

- **চেইন & ফাস্টেনার্স** (লবস্টার ক্ল্যাপ, হুক, ইয়ারিং পোস্ট)  

- **পাথর & চার্মস** (কোয়ার্টজ, অ্যামেথিস্ট, মুক্তা)  

- **ক্লে বা রেসিন** (যদি মোল্ডেড জুয়েলারি বানান)  


**💰 বাজেট টিপস:**  

- প্রথমে সস্তা ম্যাটেরিয়াল দিয়ে প্র্যাকটিস করুন।  

- ঢাকার নিউ মার্কেট বা অনলাইনে (Magic Crafts Bd) থেকে কিনুন।  


---  


## **✂️ ৩. ধাপে ধাপে জুয়েলারি বানানোর পদ্ধতি**  


### **সাধারণ বিডস নেকলেস বানানোর স্টেপস:**  

1. **ডিজাইন ঠিক করুন** – স্কেচ করুন বা Pinterest , Instagram থেকে আইডিয়া নিন।  

2. **থ্রেড কাটুন** – গলার সাইজ + ২ ইঞ্চি অতিরিক্ত রাখুন।  

3. **নিডল বা থ্রেডে বিডস গাঁথুন** – প্যাটার্ন মেনে চলুন।  

4. **ক্ল্যাপ বা হুক লাগান** – প্লায়ার দিয়ে সুরক্ষিত করুন।  

5. **এক্সট্রা থ্রেড কেটে ফেলুন** – আঠা দিয়ে শক্ত করুন।  


## **💡 ৪. ক্রিয়েটিভ ডিজাইন আইডিয়াস**  

- **থিম বেসড** (সী-শেল, ফ্লোরাল, জ্যামিতিক)  

- **মিনিমালিস্ট** (সিম্পল, হালকা গয়না)  

- **বোহো-স্টাইল** (ম্যাক্রামে, ফ্রিঞ্জ, লেয়ার্ড)  

- **কাস্টমাইজড** (নাম বা ইনিশিয়াল যুক্ত করা)  


**🎨 রঙের কম্বিনেশন:**  

- **মনোহারী:** নীল + সিলভার  

- **ট্রাডিশনাল:** লাল + সোনালি  

- **মডার্ন:** ব্ল্যাক + গোল্ড  


---  


## **📸 ৫. ফটোগ্রাফি ও মার্কেটিং টিপস**  


### **কিভাবে ভালো ছবি তুলবেন?**  

✔ **প্রাকৃতিক আলো** ব্যবহার করুন (সকালের আলো ভালো)।  

✔ **সাদা বা নিউট্রাল ব্যাকগ্রাউন্ড** রাখুন।  

✔ **ক্লোজ-আপ & ডিটেইল শট** নিন।  


### **সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে বিক্রি করবেন?**  

- **ফেসবুক পেজ/ইনস্টাগ্রাম** খুলুন।  

- **স্টোরি & রিলস** বানান (মেকিং ভিডিও ভালো কাজ করে)।  

- **হ্যাশট্যাগ** ব্যবহার করুন (#হ্যান্ডমেডজুয়েলারি #ক্রাফটিংবাংলাদেশ)।  

- **কাস্টমার রিভিউ** শেয়ার করুন।  


---  


## **🚀 ৬. জুয়েলারি বিজনেস থেকে আয়**  


### **কোথায় বিক্রি করবেন?**  

- **ফেসবুক মার্কেটপ্লেস**  ফেসবুক পেইজ

- **Daraz, বা নিজস্ব ওয়েবসাইট**  

- **লোকাল ক্রাফট ফেয়ার/বুটিক শপ**  


### **প্রাইসিং স্ট্র্যাটেজি:**  

- **কস্ট x ৩** = বিক্রয় মূল্য (উদা: খরচ ১০০ টাকা → বিক্রি ৩০০ টাকা)।  

- **ডিসকাউন্ট অফার** করুন (ব্যান্ডেল ডিল, ফেস্টিভ্যাল সেল)।  


---  


## **🎉 শেষ কথাঃ আপনার শিল্পকে বিশ্ব দেখুক!**  

জুয়েলারি মেকিং ধৈর্য্য ও ক্রিয়েটিভিটির কাজ। প্রতিদিন কিছু না কিছু বানান, নতুন টেকনিক শিখুন। আপনার তৈরি গয়না শেয়ার করতে **কমেন্টে ছবি দিন!** 📸  


**#হ্যান্ডমেডজুয়েলারি #জুয়েলারি_টিপস #ক্রাফটিং #সাইড_আয়** 

 Page 

https://www.facebook.com/MagicCraftbd

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ।

 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ। খাবার নেই, পানি নেই — কেবল এক বোতল পানি আর কিছু শুকনো বিস্কুট।


তিনদিনের মাথায় তার পানি ফুরিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, পানির অভাব আর একাকীত্বের ভারে সে প্রায় মৃত্যুর মুখে। ঠিক তখনই মনে পড়ে — পাইলট হওয়ার আগে সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে ছিল একটি পেন্সিল আর ভাঙা একটা চশমা। মরুভূমির বালুর ওপর সে আঁকতে শুরু করে — তার পরিবার, শহর, রাস্তা আর টলমলে পানি!


জানি সে বাঁচবে না, তবু শেষ মুহূর্তগুলোতে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। অবাক করা বিষয়, ছবি আঁকতে আঁকতে তার তৃষ্ণা কিছুটা কমে যায়, মন শান্ত হয়ে আসে। সে ভাবল, "আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে এখনো হার মানিনি।"


অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে — কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত চোখ — কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালিতে ছবি আঁকছে, যেন কোনো মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!


উদ্ধারের পরে পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর এক টুকরো পেন্সিলও আমাকে মরুভূমিতে বাঁচিয়ে রেখেছিল।"


শিক্ষা: জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের মাত্র ১২ বছর বয়সী রেবেকা ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। তিনি এমন একটি সোলার-পাওয়ার্ড হিটেড কম্বলের নকশা করেছেন যা গৃহহীন মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজে আসবে।

 স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের মাত্র ১২ বছর বয়সী রেবেকা ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। তিনি এমন একটি সোলার-পাওয়ার্ড হিটেড কম্বলের নকশা করেছেন যা গৃহহীন মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজে আসবে। কেলভিনসাইড অ্যাকাডেমির ছাত্রী রেবেকা, যুক্তরাজ্যের প্রাইমারি ইঞ্জিনিয়ার প্রতিযোগিতায় ৭০,০০০ এরও বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ম্যাকরবার্ট কমেন্ডেশন মেডেল জিতেছেন। তার বিজয়ী নকশাটি একটি নতুন ধরনের কম্বল, যা ব্যবহারকারীরা সহজে সেটাকে পিঠে ঝুলিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। যখন দরকার হবে, তখন ব্যাকপ্যাক থেকে কম্বল বের করে শরীরে জড়িয়ে নিতে পারবে আর সৌর প্যানেল থেকে পাওয়া শক্তিতে সেই কম্বল গরম হবে। রেবেকা নিজের শহরের রাস্তায় গৃহহীন মানুষদের দেখেই তিনি এই চিন্তা মাথায় আনেন।


প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান থ্যালেসের সহায়তায় রেবেকার আইডিয়া বাস্তবে রূপ পায়। প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়, যেখানে গরমের জন্য কপার ওয়্যারিং, সহজে বহনযোগ্য করার জন্য নমনীয় উপকরণ এবং শক্তির জন্য সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি শুধু তার সহানুভূতিশীল সমস্যার সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরেনি, বরং STEM (Science, Technology, Engineering, Mathematics) বিষয়ে তার ভবিষ্যতের স্বপ্নকেও আলোকিত করেছে। স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এই আবিষ্কারকে দেখানো হয়েছে, যা সমবয়সী ও পেশাদার উভয়কেই অনুপ্রাণিত করেছে। উদ্ভাবনের প্রতি বাড়তে থাকা আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় করে রেবেকা প্রমাণ করেছে, সহানুভূতি আর সৃষ্টিশীলতা মিলেই যে কোনো বয়সে বাস্তব সমস্যার সমাধান আনা সম্ভব।

#collected

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...