এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পলাশীর যুদ্ধের পরের ঘটনা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পলাশীর যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। সিরাজ হেরে গেলেন, জিতল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বাংলার ধনসম্পদ নিজেদের মধ‍্যে ভাগ করে নিল লুটেরারা। এদের অন‍্যতম নবকৃষ্ণ দেব। 

The Corporation That Changed the World: How the East India Company Shaped the Modern Multinational’ শীর্ষক বইয়ে লেখক নিক রবিনস লিখেছেন সিরাজের রাজত্বের পতনের পর বাংলার  তোষাখানা লুট করতে ব্রিটিশদের সাহায্য করেন নবকৃষ্ণ। রাতারাতি  “৮০০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা, রুপো, এবং গয়নাগাঁটি” ভাগ করে নেন তাঁরা নিজেদের মধ‍্যে। 

ইংরেজদের পক্ষ নেওয়ার জন্য পেলেন নবকৃষ্ণ পেলেন ‘রাজা বাহাদুর’ খেতাব; অতঃপর ১৭৬৬ সালে ‘মহারাজা বাহাদুর’। সবথেকে বড় কথা, গোটা সুতানুটি অঞ্চলের তালুকদার হয়ে গেলেন তিনি। সামান্য মুনশী থেকে বিশাল সাম্রাজ্য ও ধন-দৌলতের মালিক— এমনই চমকপ্রদ উত্থান রাজা নবকৃষ্ণ দেবের।


১৯৯৭-এর ৫ই অক্টোবর কলকাতার

আনন্দবাজার’ পত্রিকার রবিবাসরীয়তে ‘ক্লাইভের দুর্গোৎসব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক নির্মল কর উল্লেখ করেছেন :

"নবকৃষ্ণ দেব ছিল ইংরেজদের চাকর। কোন সময় ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রাইভেট টিউটর। উন্নতি করে হয়েছিল তালুকদার, চার হাজারি মনসবদার। পলাশীতে সিরাজের পতনে যারা সবচেয়ে বেশি উল্লসিত হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র আর কলকাতার নবকৃষ্ণ দেব।"

অঢেল  টাকা এসেছে , এবার চাই খানিকটা  সম্মানও। 


 ক্লাইভ নবকৃষ্ণকে বোঝালেন কলকাতায় একটি বিজয় উৎসব করার জন্য। ‘হিন্দু ভাবাবেগ’ রক্ষা পেয়েছে বলে কথা! নবকৃষ্ণ তখনই বাংলার বাসন্তীপূজোকে এগিয়ে এনে লাগিয়ে দিলেন "দুর্গাপূজা"। এর আগে শরৎকালে নবপত্রিকার পূজো প্রচলিত ছিল। 


দেখতে দেখতে গড়ে উঠল একচালা প্রতিমা। প্রতিমার গা ভর্তি সোনার গয়না ঝলমল করে উঠলো। দুর্গার কেশদামে গুঁজে দেয়া হলো ২৬টি স্বর্ণনির্মিত স্বর্ণচাঁপা। নাকে ৩০টি নথ। মাথায় সোনার মুকুট। তারপর তোপধ্বনির পর সন্ধিপূজোর শুরু। দৈনিক নৈবেদ্য দেওয়া হল ২৩ মণ চালের।সাহেব মেমরা ত বটেই,  ওয়ারেন হেস্টিংস পর্যন্ত  হাতীতে চড়ে এসেছিলেন সেই পূজায়। ক্লাইভ দক্ষিণা দিয়েছিলেন ১০১ টাকা। সাহেবসুবোরা মৌজ করে দেখলেন বাঈজী নাচ, এছাড়াও  পানভোজন ও মনোরঞ্জনের নানা উপচার তো ছিলই। 


এই পুজোর বিপুল সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগায় অন্যান্য ধনী ব্যবসায়ীদের, যাঁরা স্ব স্ব গৃহে ধুমধাম সহকারে চালু করে দেন দুর্গাপূজা। এই হল সংক্ষেপে দুর্গা পূজোর ইতিহাস।( ফাতেমা তুজ জোহরা)

আসলে সুখ কোথায়?,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আসলে সুখ কোথায়?

আবুল মিয়া ফর্সা মানুষ, বউটা তাহার কালো

এই কারণে বউটা বেশি ,লাগে না তার ভালো।


বউটা আবার কালো হইলেও, বড় ঘরের বেটি

বাপের ঘরে খাইছে শুধু ,বড় মাছের পেটি।


ভালো খেয়ে বড় হওয়া ,এই বেচা*রির মুখে

স্বামীর ঘরের ভর্তা ভাজি ,পান্তা কি আর ঢোকে।


বউয়ের জ্বালা জামাই গরিব, স্বামীর বউ তার কালো

দুইজনেই কয় এমন সংসার, ভেঙ্গে দেওয়াই ভালো।


দুইজনেই ভুইলা তাদের, দুই মানিকের কথা

সোনার সংসার ভেঙ্গে দিল, এ দুই মাতা পিতা।


 নিজের ভুলে পথ হারিয়ে, পথভোলা এই নারী

নিজেই নিজের ঘর ভাঙ্গিয়া, গেল বাপের বাড়ি।


ভেবেছিল ভাইয়েরা তার, আগের মতই আছে

আগের মতই বাসবে ভালো টানবে বুকের কাছে।


বাপের বাড়ি গিয়ে দেখে ভাবনাটা তার ভুল

ভাই ভাবিদের হাতে এখন ,বিষ কাঁটা আর হূল।


কথায় কথায় কথার খুটার, হূল কাঁটা দেয় গায়

পাড়াপড়শি ও কাটা গায়ে ,লবণ দিয়ে যায়।


ভাই ভাবীদের কাছ থেকে এই, আঘাত পাওয়ার পর

বুঝতে পারে স্বামীর ঘরেই, নারীর আসল ঘর।


হেলায় হেলায় ঘর ভাঙ্গিয়া ,ঘর হারা এই নারী

চোখের জলে বক্ষ ভাসায় ,বইসা বাপের বাড়ি।


ওইদিকে তার স্বামী আবার, করছে আরেক বিয়ে

বিয়ে করে পড়ছে জ্বালায়, বাচ্চা দুটো নিয়ে।


এমনিতেই এই বাচ্চা দুটোর, মা নাই তাদের কাছে

এখন আবার সৎ মা তাদের, লেগে থাকে পাছে।


খানা খাদ্য খায় না ওরা ,সারাটা দিন ঝিমায়

এদের নিয়ে বাপটা পরছে, ফাটা বাঁশের চিপায়।


চিপায় পইরা বাপটা কান্দে, বাচ্চা বাপের দোষে

মা টা কান্দে ঘর হারাইয়া, ভাইয়ের ঘরে বসে।


এই যে এত কান্নাকাটি, এত চোখের জল

সবটা হইলো হেলায় হেলায় ,ঘর ভাঙ্গিবার ফল।


কারো বুকে ঘর ভাঙ্গিবার ,স্বপ্ন যদি জাগে

এদের একটু দেইখা নিও, ঘর ভাঙ্গিবার আগে।

(সংগৃহীত)

গাছের পোকা দমনঃ


  গাছের পোকা দমনঃ


ফল ছিদ্রকারী পোকাদমন ব্যবস্থাঃ বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আক্রান্ত ফল বাগান থেকে কুড়িয়ে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে। এ পোকা দমনের জন্য আচমকা প্লাস ৩ ডব্লিউডিজি প্রতি লিটার পানিতে ২.২৫ – ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে ফলের মার্বেল অবস্থা থেকে শুরু করে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ফল সংগ্রহের অন্তত ১৫ দিন পূর্বে শেষ স্প্রে করতে হবে।


লিচুর মাইট বা মাকড়দমন ব্যবস্থাঃ ফল সংগ্রহের সময় মাকড় আক্রামত পাতা ডালসহ ভেঙ্গে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। মাকড় নাশক টাটা এ্যাবা ১.৮ ইসি ১০ লিটার পানিতে ২৬ মি.লি. পরিমাণ মিশিয়ে নতুন পাতায় ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

লিচু গাছের মাজরা পোকা দমন ব্যবস্থা ঃ আক্রমণ দেখা গেলে কীড়ার তৈরি ছিদ্র পথে সুচালো আগাযুক্ত লোহার শিক ঢুকিয়ে ভিতরে লুকিয়ে থাকা কীড়া মারতে হবে। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে আক্রান্ত অংশ পরিস্কার করে এক খন্ড তুলা পেট্রোল, কেরসিন, ক্লোরফর্ম ইত্যাদিতে ভিজিয়ে গর্তের ভিতরে ঢুকিয়ে ছিদ্রপথ কাদামাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।


বাদুরদমন ব্যবস্থাঃ বাদুর তাড়ানোর জন্য রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত গাছ জালের সাহায্যে ঢেকে দিয়েও বাদুরের আক্রমণ রোধ করা যায়। বাগানে গাছের উপর দিয়ে শক্ত ও চিকন সুতা বা তার টাঙ্গিয়ে রাখলে বাদুরের চলাচল বাঁধাগ্রস্থ হয়।


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৪-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৪-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত - বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।


বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি।


দেশের গণতন্ত্র নস্যাত করতে একটি চিহ্নিত মহল নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতিহত করতে হবে - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের।


ইসরাইলি অবরোধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার দুটি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান পাওয়ায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাল জাতিসংঘ।


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতের জাতীয় নারী ক্রিকেট দল এখন সিলেটে।

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৩-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৩-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে - স্বাক্ষরিত হতে পারে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক। 


রাজধানীতে ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ শুরু - যুদ্ধে ব্যবহৃত অর্থ বিশ্বকে রক্ষার কাজে ব্যয় করার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ। 


জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করলেন শেখ হাসিনা।


থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ও UNESCAP কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ছয় দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।


৭ই অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ।


দেশব্যাপী তাপ প্রবাহের সতর্কতা আরো ৭২ ঘণ্টা বাড়ালো আবহাওয়া অফিস। 


আজ করাচিতে তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ নারী দলের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক পাকিস্তান।

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতু থেকে, যত ধরনের প্রশ্ন হয় তা তুলে ধরলাম। 

 পদ্মা সেতু থেকে, যত ধরনের প্রশ্ন হয় তা তুলে ধরলাম। 

নাম: পদ্মা সেতু

দৈর্ঘ্য: ৬.১৫ কিলোমিটার

ভায়াডাক্ট (স্থলভাগে সেতুর অংশ) সহ দৈর্ঘ্য: ৯.৮৩ কিলোমিটার

প্রস্ত: ২১.৬৫ মিটার

মোট পিলারের সংখ্যা: ৪২টি

স্প্যানের সংখ্যা: ৪১টি

প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য: ১৫০ মিটার

স্প্যানগুলোর মোট ওজন: ১,১৬,৩৮৮টন

প্রতিটি পিলারে নিচে পাইলের সংখ্যা: ৬টি (কিছু কিছু পিলারে ৭টি পাইলও দেওয়া হয়েছে)

পাইলের ব্যাস: ৩ মিটার

পাইলের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য: ১২৮ মিটার

মোট পাইলের সংখ্যা: ২৬৪টি ( ভায়াডাক্টের পিলারের পাইলসহ ২৯৪টি)

জমি অধিগ্রহণ: ৯১৮ হেক্টর

ব্যবহৃত স্টিলের পরিমাণ : ১,৪৬,০০০ মেট্রিক টন

নির্মাণ কাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর ২০১৪

মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু: মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে

সক্ষমতা: দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন

পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা: ১৮ মিটার

পদ্মা সেতুর আকৃতি: ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো

ভূমিকম্প সহনশীলতা: রিক্টার স্কেলে ৮ মাত্রার কম্পন

এপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য: ১২ কিলোমিটার

নদীশাসন: ১৬.২১ কিলোমিটার

সেতুর আয়ুষ্কাল: ১০০ বছর

সেতুর মোট ব্যয়: ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি

ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে এমন জেলার সংখ্যা: ২১টি

সরাসরি উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা: দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ

যেসব দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা কাজ করেছেন: বাংলাদেশ, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, থাইওয়ান, নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রকল্পের অঙ্গ(component) ভিত্তিক ব্যয় বিভাজন:

ক) মূল সেতুর ব্যয়: ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাস লাইনের ব্যয়সহ ১১,৯৩৮.৬৩ কোটি টাকা (বরাদ্দ ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)

খ) নদীশাসন কাজ: ৮,৭০৬.৯১ কোটি টাকা (৯,৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে)

গ) অ্যাপ্রোচ রোড: ২টি টোল প্লাজা, ২টি থানা বিল্ডিং ও ৩টি সার্ভিস এরিয়াসহ ১৮৯৫.৫৫ কোটি টাকা (১৯০৭.৬৮ কোটি টাকার বিপরীতে )

ঘ) পুনর্বাসন ব্যয়: ১,১১৬.৭৬ কোটি টাকা (১,৫১৫ কোটি টাকার বিপরীতে)

ঙ) ভূমি অধিগ্রহণ: ২৬৯৮.৭৩ কোটি টাকা

চ) পরিবেশ: ২৬.৭২ কোটি (১২৯.০৩ কোটি টাকা)

ছ) অন্যান্য বেতন ভাতা, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা ইত্যাদি: ১৩৪৮.৭৮ কোটি (২৪০৯.৫৬ কোটি টাকার বিপরীতে)

প্রকল্পের মোট অনুমোদিত ব্যয়: ২৭,৭৩২.০৮ কোটি টাকা (৩০১৯৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)

নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সিন্ধান্ত : ৯ জুলাই ২০১২

প্রথম স্প্যান বসানো হয়: ৩০সেপ্টেম্বর ২০১৭।

সেতুতে বসে শেষ স্প্যান: ১০ ডিসেম্বর ২০২০।

সেতু উদ্বোধন: ২৫ জুন ২০২২।

যানবাহন চলাচল শুরু : ২৬ জুন ২০২২।

(তথ্যসূত্র: পদ্মা সেতু প্রকল্প অফিস, ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার কপি; আপডেট: ২৩ জুন ২০২২)


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখ বেদনা - 

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখ বেদনা - 

১. তের বছর বয়সে মাতৃহারা হন।

২. তাঁর বিয়ের রাতে ভগ্নিপতি মারা যান। 

৩. চারমাস পরে  মারা যান যার প্রেরণা ও ভালোবাসায় তিনি কবি হয়ে উঠেছেন, সেই নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী। 

৪. ১৯০২ কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী , মারা গেলেন l রবীন্দ্রনাথ তখন একচল্লিশ। 

৫. দুই মেয়ের বিয়ের সময় শর্ত ছিল জামাইদের বিলেতে ব্যারিস্টারি ও ডাক্তারি পড়াতে বিলেত পাঠালেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রেনুকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বাঁচানো গেলনা তাঁকে। 

৫. ১৯০৫-এ চলে গেলেন পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

৭.  ১৯০৭ কনিষ্ঠ পুত্রের (১২ বছরের) কলেরায় মৃত্যু। 

৮. ১৯১৩ রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেলেন l 

৯.  ১৯১৮ বড়মেয়ে বেলি অসুস্থ, বেলাকে প্রতিদিন গাড়িতে করে দেখতে যেতেন কবি। বাবার হাত ধরে মেয়ে বসে থাকত বিছানায়। আর তখন রবীন্দ্রনাথের জামাই  টেবিলের ওপর পা তুলে সিগারেট খেতে খেতে রবীন্দ্রনাথকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। একদিন বেলাকে দেখতে গিয়ে মাঝপথে শুনলেন সে মারা গেছে। মেয়েকে শেষ দেখা না দেখে ফিরে এলেন বাড়ি। পুত্র রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন বাড়িতে এসে তিনি কাউকে বুঝতে দিলেন না কি শোকে, কি অপমানে, কি অসহ্য বেদনার মধ্য দিয়ে তিনি সন্তানকে হারিয়েছেন। 

১০. কবির ছোটমেয়ে মীরার বিয়ে দিয়েছিলেন নগেন্দ্রনাথের সঙ্গে যাকে বিলাতে কৃষিবিজ্ঞানী করার জন্য প্রতিমাসে সেইসময় পাঁচশ টাকা করে পাঠাতেন, আর নগেন্দ্র চিঠি লিখে আরও টাকা পাঠানোর তাগাদা দিতেন। প্রত্যুত্তরে কবি লিখতেন, আমার জমিদারী থেকে প্রতিমাসে পাঁচশ টাকাই পাই, তার পুরোটাই তোমাকে পাঠাই। সেই নগেন্দ্র বিলাত থেকে ফিরে দুই সন্তান সহ মীরাকে পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। কবির তিন জামাই যাদের প্রত্যেককে বিদেশে পড়িয়ে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তারা প্রতেকেই কোন না কোন ভাবে কবিকে দুঃখ দিয়েছেন। সারাজীবনে কবি দুঃখ পেয়েছেন বারেবারে, অপমানিত-উপেক্ষিতও হয়েছেন অসংখ্যবার। 

১১. আর্জেন্টিনার কবিপ্রেমী লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পর সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কুৎসা করে সংবাদপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। 

১২. কবি তখন ৬৪, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্ববরেণ্য সাহিত্যিক l কবির নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও কিছু লোক তাঁকে ব্যাঙ্গও করেছিলেন। চিঠি লিখে কবির কাছে জানতে চাইছেন নোবেল পুরস্কার পাওয়ার টেকনিক, সেক্ষেত্রে ভাবী পুরস্কারপ্রাপক কবিকে অর্ধেক টাকা দিতেও রাজি। 

১৩.  শান্তিনিকেতনে সাক্ষাৎ করতে এসে কেউ কবিকে বলছেন, রবিবাবু আপনি কি এখনো কবিতা-টবিতা লেখেন নাকি? মানে অতোগুলো টাকা পাওয়ার পর আবার কেউ লেখে নাকি! অথচ অনেকেই জানেননা, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরটা প্রশান্তচন্দ্র মহলনাবিশ যখন কবিকে দেন তখন কবির প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘ যাক, ওই টাকায় এবার বিশ্বভারতীর সেচখাল কাটার সংস্থানটা হবে’। যারা কবি বা লেখক তারা সকলেই সমাজের কাছে একটা স্বীকৃতি চায়, রবীন্দ্রনাথ বহুদিন সেটা বাঙালি সমাজের কাছে পাননি। তাই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁকে যখন সম্বর্ধনা দেওয়া হলো তখন তিনি বললেন, ‘আমি এই সম্মানের পাত্রকে ওষ্ঠ পর্যন্ত তুলব কিন্তু গলা পর্যন্ত যেতে দেবনা’।  কতবড় অভিমান ও দুঃখ থাকলে এ কথা বলা যায়! 

১৪. রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছেন,  'পৃথিবীতে এসে যে ব্যক্তি দুঃখ পেলনা, সে লোক ঈশ্বরের কাছ থেকে সব পাওয়া পেলনা’।

বারেবারে মৃত্যু-দুঃখ-অপমান রবীন্দ্রনাথকে শাণিত করেছে সৃষ্টিপথে, নির্মোহ করেছে জগৎসংসারে, নস্টালজিক করেছে ক্ষণেক্ষণে।

তাই তিনি বলতে পেরেছেন,

‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।

তবুও শান্তি, তবুও আনন্দ, তবুও অনন্ত জাগে’।

আমরাও যেন সদা তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে বলতে পারি,🙏🙏

“মনেরে আজ কহ যে

ভালো মন্দ যাহাই আসুক

সত্যরে লও সহজে।”

সংগৃহীত।

বিশ্বে বিজ্ঞানীদের একটা অংশ টাইম ট্রাভেলের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না

 বিশ্বে বিজ্ঞানীদের একটা অংশ টাইম ট্রাভেলের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। তবে আরেকটি অংশ শুধু বিশ্বাসই করেন না, ইতোমধ্যেই নাকি টাইম ট্রাভেল করেছেন। যেমন ইতিহাসে এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনা রয়েছে যেগুলো টাইম ট্রাভেলের সত্যতার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয়। চলুন জেনে নেই তেমন ৫টি অবিশ্বাস্য ঘটনা।


চাইনিজ সুইস ওয়াচ: ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে কয়েকজন চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদ চারশ বছরের পুরোনো একটি বড় পাথর খণ্ড থেকে একটি ঘড়ি খুঁজে পান। ঘড়িটি ছিল আংটির মতো। সুইজারল্যান্ডে নির্মিত ঘড়িটি ১০টা বেজে ৬ মিনিট নির্দেশ করছিল। ঘড়িটি চলছিল না। প্রশ্ন হলো চারশ বছর আগে সুইজারল্যান্ড নামে কোনো রাষ্ট্রই ছিল না। ঘড়ি তৈরির মতো আধুনিক প্রযুক্তি তখনও আবিষ্কার হয়নি। তাহলে এই ঘড়ি কোথা থেকে এলো? ধারণা করা হয়, টাইম ট্রাভেল করে ভবিষ্যত থেকে কেউ একজন অতীতে গিয়ে এই ঘড়িটি রেখে এসেছেন।


টাইম ট্রাভেলার মমি: মঙ্গোলিয়ার আলতাই পাহাড়ের এক গুহা থেকে ১৫০০ বছরের পুরাতন মমি উদ্ধার করা হয়েছে। মমিটি সাধারণ কোনো মমি নয়। কারণ মমির পায়ে উন্নতমানের একজোড়া জুতা ছিল। জুতাগুলোর মধ্যে তিনটি সাদা স্ট্রাইপ ছিল; দেখতে একেবারে অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের জুতার মতো! এখন প্রশ্ন হলো, ১৫০০ বছর আগে যখন মানুষ জুতার ব্যবহারই শুরু করেনি তখন এই জুতা কোত্থেকে মমির পায়ে এলো? গবেষকদের ধারণা, টাইম ট্রাভেলের ফলেই এরকম সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যত থেকে দুর্ভাগা এই মানুষটি অতীতে গিয়ে আর ফিরে আসতে পারেননি।


ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট: ফিলোডেলফিয়া সমুদ্র উপকূলে ইউএস নেভি ২৮ অক্টোবর, ১৯৪৩ সালে ‘ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট’ নামে একটি বিশেষ পরীক্ষা শুরু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল শত্রুর রাডারের চোখ6 ফাঁকি দিয়ে জাহাজ নিরাপদে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া এবং আগাম বার্তা না দিয়েই শত্রু শিবিরে আক্রমণ করা। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন ইউএস নেভির যুদ্ধজাহাজ ইউএস এল্ড্রিজ আচমকা গায়েব হয়ে যায়। অদ্ভুত ব্যাপার, জাহাজটিকে একই সময় ভার্জিনিয়ার নরফল এলাকায় দেখা যায়। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও অজানা কারণে জাহাজটি টাইম ট্রাভেল করে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ভার্জিনিয়ায় জাহাজটি দৃশ্যমান হওয়ার পর দেখা যায় যারা নাবিক ছিলেন তাদের ছিন্নভিন্ন দেহ জাহাজের বিভিন্ন অংশে আটকে আছে। নাবিকদের অনেকেই আবার চিরতরে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত মানুষগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়নি।


ফ্লাইট ইন টু দ্য ফিউচার: ঘটনাটি ১৯৩৫ সালের, যখন এয়ার মার্শাল স্যার ভিক্টর গর্ডারড বিমান নিয়ে হকার হার্টে একটি এক্সপেরিমেন্ট করছিলেন। স্কটল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার সময় তিনি নিয়মিত রুট ছেড়ে অন্য একটি রুট ধরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রুটটি এডেনবার্গ শহরের কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত এয়ারবেজের উপর দিয়ে গিয়েছিল। এডেনবার্গ শহরের কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ করেই বিমানের ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং ক্রমাগত নিচের দিকে নামতে থাকে। তারপর তিনি কোনোমতে বিমানটিকে ওই পরিত্যক্ত এয়ারবেজে ল্যান্ড করান। ল্যান্ড করার পর তার চোখ কপালে ওঠে!


কারণ এয়ারবেজটি সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় ছিল তখন। সেখানে তিনি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির চারটি বিমানও দেখতে পান। বিমানগুলো হলুদ রঙের। দীর্ঘ কয়েক বছর পর তিনি ওই এয়ারবেজে পুনরায় গিয়েছিলেন এবং তখনও বিমানগুলো ছিল। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, বিমানগুলো তিনি যখন প্রথমবার দেখেন তার বেশ কয়েক বছর পরে বিমানগুলো তৈরি করা হয়েছিল। সুতরাং, স্যার ভিক্টরের সঙ্গে ঘটা এই ঘটনার ব্যাখ্যা টাইম ট্রাভেল ছাড়া আর কী হতে পারে?


চার্লি চ্যাপলিনের মুভির টাইম ট্রাভেলার: ১৯২৮ সালে চার্লি চ্যাপলিনের মুভির প্রচারণার সময় ধারণকৃত একটি ফুটেজ বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে দেয়। ফুটেজটিতে আধুনিক পোশাক পরা একজন মহিলাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। শুরুর দিকে বিষয়টি সবার নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সবাই যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন তখন তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। কারণ তখনও মোবাইল ফোন আবিষ্কারই হয়নি। ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন জর্জ ক্লার্ক। তিনি এই ভিডিও অনেককেই দেখিয়েছেন, এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই ওই ভদ্রমহিলাকে চিনতে পারেননি। ধারণা করা হয়, টাইম ট্রাভেল করেই ভবিষ্যত থেকে ১৯২৮ সালে এসেছিলেন ওই ভদ্রমহিলা।

তিনিই ছিলেন প্রথম বাঙালি কোটিপতি যাঁর জাহাজ সাত সমুদ্র পেরিয়ে প্রথম পৌঁছেছিল আমেরিকায়

 তিনিই ছিলেন প্রথম বাঙালি কোটিপতি যাঁর জাহাজ সাত সমুদ্র পেরিয়ে প্রথম পৌঁছেছিল আমেরিকায়। আমেরিকার ব্যবসাতেও বিনিয়োগের কারণে সেই আমলে বঙ্গোপসাগরের বুকে চলা প্রতিটি আমেরিকান জাহাজের তরফ থেকে ব্যবসার লভ্যাংশ অর্জন করতেন রামদুলাল..💫🌷


সত্যি বলতে যে কাজে হাত দিতেন তাতেই সোনা ফলত৷ নিজের বাড়ির পুজোয় পশুবলি বন্ধ করার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন তিনি।  আজও উত্তর কলকাতায় তার নামে রয়েছে এক প্রশস্ত পথ। তিনি রামদুলাল সরকার। অষ্টাদশ শতকের নবজাগ্রত বাংলার অন্যতম বাঙালি উদ্যোক্তা। হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠায় অকাতরে অর্থসাহায্য করেন।


 পারিবারিক পদবী ছিল দে, উপাধি সরকার। শৈশবে দারিদ্র্য ছিল নিত্যসঙ্গী, সঙ্গে ভাগ্য বিরূপ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই পিতৃমাতৃহীন রামদুলালকে কলকাতায় নিয়ে আসেন মামাতো দাদু রামসুন্দর বিশ্বাস। দারিদ্র্য ছিল তাঁরও নিত্যসঙ্গী। রামসুন্দর এর স্ত্রী হাটখোলার দত্তবাড়িতে রাঁধুনির কাজ করতেন। তারই সূত্রে মদনমোহন দত্তের কাছেই প্রতিপালিত হন রামদুলাল। লেখাপড়াও শেখেন তাঁর বদান্যতায়। হয়ে ওঠেন দক্ষ লিপিকর। এরপর পাঁচ টাকা বেতনের বিনিময়ে মদনমোহন দত্তের কাছারিতে হিসাবরক্ষক পদে নিযুক্ত হন। 

© এক যে ছিলো নেতা 

সেই সামান্য বেতনের টাকা জমিয়ে দাদুকে সাহায্য করতেন। তাঁর দক্ষতা ও অধ্যবসায়ে ধীরে ধীরে উন্নীত হন মুহুরী পদে। কিছুদিনের মধ্যেই মদনমোহন দত্ত তাঁকে চোদ্দো হাজার টাকা দিয়ে ‘তুলোহ্‌ অ্যাণ্ড কোং’ কোম্পানিতে একটি নিলামে পাঠান কিছু কিনে আনার জন্য। কিন্তু পথিমধ্যে দেরি হয়ে যাওয়ায় সঠিক সময়ে নিলামে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। মনমরা হয়ে ঘুরতে ঘুরতে গঙ্গার মোহনায় তিনি লক্ষ করেন একটি পণ্যবাহী জাহাজ ঘাটের কাছেই নিলাম হচ্ছে। সেই নিলামে যোগ দিয়ে একলক্ষ চোদ্দো হাজার টাকায় সেই জাহাজ তিনি বিক্রি করে দেন এক ইংরেজ সাহেবকে। ফিরে গিয়ে সম্পূর্ণ টাকাটাই মদনমোহনকে ফেরত দিয়ে দেন রামদুলাল। তাঁর এই সততা ও বুদ্ধিমত্তা দেখে  মদনমোহন পুরো এক লক্ষ টাকাই রামদুলালের হাতে দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা চালু করার পরামর্শ দেন। 


স্বাধীন ব্যবসার দুনিয়ায় পদার্পণ করে রামদুলাল প্রথম ক্যাপ্টেন হ্যানা নামের এক পর্তুগিজ সাহেবের সঙ্গে বাণিজ্য করে লাভবান হন। শোনা যায়, তিনি যে কাজে হাত দিতেন তাতেই ফলত সোনা। তীক্ষ্ণ ব্যবসায়ী বুদ্ধি, মেধা আর দর কষার দক্ষতার কারণে ক্রমেই ব্যবসার বাজারে তাঁর প্রভাব বাড়ছিল। ইংরেজ বণিকদের বদলে তিনি আমেরিকান বণিকদের সঙ্গেই  ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে আমেরিকান বণিকরা বঙ্গোপসাগরের পথে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাংলায় আগমন শুরু করে।এই সকল আমেরিকান বাণিজ্যতরীর ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে সাহায্য করেছিলেন রামদুলাল দে সরকার। আমেরিকার ব্যবসাতেও বিনিয়োগের কারণে বঙ্গোপসাগরের বুকে চলা প্রতিটি আমেরিকান জাহাজের তরফ থেকে ব্যবসার লভ্যাংশ অর্জন করতেন রামদুলাল।

© এক যে ছিলো নেতা

 ১৮০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বন্দরে আসা সকল জাহাজই রামদুলালকে তাদের মুৎসুদ্দি বা স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করে। ১৮০০ সালে তিনি কলকাতায় নিজস্ব ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং এজেন্সিও প্রতিষ্ঠা করেন। কলকাতার বন্দর থেকে মার্কিন মুলুকে রামদুলালের চারটি জাহাজ চলাচল করত। সেই জাহাজগুলির নাম ছিল কমলা, বিমলা, ডেভিড ক্লার্ক আর রামদুলাল। 


 মার্কিন বাণিজ্য সম্প্রসারণে রামদুলালের এই কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মার্কিন বণিকরা শিল্পী স্টুয়ার্ট গিলবার্টকে দিয়ে জর্জ ওয়াশিংটনের প্রথম একটি তৈলচিত্র আঁকিয়ে উপহারস্বরূপ রামদুলালকে পাঠান। বাঙালিদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম নিজের জাহাজ নিয়ে পশ্চিম গোলার্ধ বা আমেরিকায় নৌবাণিজ্য পরিচালনা করেছেন এবং তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয়, যিনি কলকাতায় পাশ্চাত্য পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক হিসাব এবং ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেন। 


কেবল ব্যবসা নয়, বিবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন রামদুলাল সরকার। হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠায় অকাতরে অর্থসাহায্য করেন। সুদূর আয়ারল্যাণ্ডে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে প্রভূত অর্থ পাঠান। মাদ্রাজে দুর্ভিক্ষের সময়েও তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বেলগাছিয়ায় দুঃস্থদের জন্য একটি অতিথিশালা নির্মাণ করিয়েছিলেন এবং বারাণসীতে তাঁর উদ্যোগেই তেরোটি শিব মন্দির স্থাপন করা হয়। 


 শোনা যায়, বিডন স্ট্রিটের কাছে তাঁর নিজের বাড়ির দুর্গাপুজোয় রামদুলাল বলিপ্রথা বন্ধ করে দেন। তাঁর বসতবাড়ির অতিথিশালায় প্রত্যহ দুঃস্থদের চাল, ডাল, আলু, ঘি, কাঠ ও মাটির হাঁড়ি বিতরণ করা হত।  অষ্টাদশ শতকের বাংলায় তিনি কোটিপতি ছিলেন৷ ১৮২৫ সালে তিয়াত্তর বছর বয়সে রামদুলাল সরকার এর মৃত্যু হয়। পরবর্তীকালে, তাঁর দুই পুত্র আশুতোষ ও প্রমথনাথ তথা ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বিলাসিতা এবং অকর্মন্যতায় রামদুলাল সরকারের ফলাও ব্যবসার অকালমৃত্যু ঘটে..🌸🌿


♦️তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, সব বাংলায়, ক্যালকাটা দ্য লিভিং সিটি।


কলমে ✒️ শ্রেয়সী সেন


© এক যে ছিলো নেতা 


| #এক_যে_ছিলো_নেতা |


📌 Facebook এর পাশাপাশি আমরা পথচলা শুরু করেছি YouTube এও.. আমাদের কাজ ভালো লাগলে আমাদের channel টি Subscribe করে পাশে থাকবেন.. এই রইলো link 👇 https://appopener.com/yt/19zgtp0em

রেল লাইনে পাথর রাখা হয় কেন?  এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কি কারণ রয়েছে...??

 রেল লাইনে পাথর রাখা হয় কেন? 

এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কি কারণ রয়েছে...??

================================

আমরা প্রতিদিন চোখের সামনে নানা জিনিস দেখতে পাই। তবু অনেক সময়েই সেগুলি কেন তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন না অনেকেই। কেউ আবার ব্যাপারটি ভাবলেও তলিয়ে দেখার সময় পান না। আজ এমনই একটি সাধারণ জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যা কিনা সকলের কাছে পরিচিত। রেল লাইনে থাকা পাথর বা খোয়া সকলেই দেখেছে। কিন্তু সেগুলি কেন সেখানে থাকে, তাঁর রহস্য জানা আছে কি?

ট্রেনে তো আমরা কম বেশি সকলেই চড়েছি। ট্রেনে চড়ার সময় বা কখনও ট্রেন লাইন পারাপার করার সময় আমরা অনেকেই ট্রেন লাইনে পাথর দেখেছি। অনেকেই ভেবেছে, কেন রেল লাইনে পাথর থাকে। যদি আপনি সেই কারণ না জানেন, তবে এখানে সেই কারণ বলা হবে। এই পাথরগুলিকে বলা হয় Track Ballast। এগুলি ট্রেন লাইন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

👉ট্র্যাক ব্যালাস্ট আসলে কি?

ট্রেন লাইনের মাঝে থাকা পাথরগুলিকে ট্র্যাক ব্যালাস্ট বলা হয়। এগুলি ট্র্যাক বেড গঠন করে এবং রেল লাইনের চারপাশেও রাখা হয়। সাধারণ ভাবে কিন্তু এগুলিকে ফেলে রাখা হয় না। এগুলি রেলপথকে সোজা এবং সঠিকভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে। রেল লাইনে থাকা স্ল্যাবগুলিকেও এগুলি ধরে রাখে। এই স্ল্য়াবগুলি আগে কাঠের তৈরি করা হত, এখন এগুলি কংক্রিট সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়।

👉কেন শুধুমাত্র এই পাথর ব্যবহার করা হয়?

রেলের লাইন ঠিক রাখতে কেন শুধুমাত্র Track Ballast রাখা হয়, তাঁর নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। লক্ষ্য রাখার মতো বিষয় হল এই পাথরগুলি হয় অমসৃণ। যদি মসৃণ, গোলাকার নুড়ি দিয়ে লাইন ভরাট করা হয়, তবে এগুলি ট্রেন যাওয়ার সময় গড়িয়ে যেতে পারে বা স্লাইড করতে পারে। ফলে সেটি রেল লাইনকে সঠিক রাখতে পারবে না।

👉এই পাথর আর অন্য কোন কাজে লাগে?

রেললাইন ঠিক রাখার পাশাপাশি, ভারী ট্রেন চলাচলে সাহায্য করা ছাড়াও এই ট্র্যাক ব্যালাস্ট নামে পাথরের একাধিক কাজ রয়েছে। যেমন, ট্র্যাক ব্যালাস্টগুলি রেল লাইনের উপর আগাছা বা গাছপালা জন্মাতে দেয় না। এরফলে মাটি দুর্বল হতে পারে না। এছাড়াও ট্র্যাক ব্যালাস্ট মাটিতে জল প্রবেশ করতে দেয় না, ফলে মাটি নরম হতে পারে না। ট্র্যাকের নীচে কিছুটা ফাঁকাও থাকে, যাতে বৃষ্টির জল বেরিয়ে যেতে পারে।

👉রেলের কম্পন থামাতে রয়েছে কৌশল

এছাড়াও রেল একাধিক কৌশল অবলম্বন করে। ট্রেন যাওয়ার সময় জোরে শব্দ হয়। যা আসলে আশেপাশের বিল্ডিংয়ের জন্য বিপদের কারণ। রেল EPDM বা ইথিলিন প্রোপিলিন ডায়েন মনোমার রাবার সমন্বিত কম্পন কমাতে একটি ক্ল্যাম্পিং কৌশল ব্যবহার করে যা তাপ, জল এবং অন্যান্য যান্ত্রিক স্ট্রেনের জন্য প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এটি শব্দ এবং কাঁপুনি কমাতে সাহায্য করে।

তথ্য সংগৃহীত গুগল থেকে

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...