এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

০২ আল বাকারা , বকনা বাছুর (২১১-২৮৬আয়াত)

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১১


سَلْ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ كَمْ ءَاتَيْنَٰهُم مِّنْ ءَايَةٍۭ بَيِّنَةٍ وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


উচ্চারণঃ ছাল বানীইছরাঈলা কাম আ-তাইনা-হুম মিন আ-য়াতিম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া মাইঁ ইউবাদ্দিল নি‘মাতাল্লা-হি মিম বা‘দি মা-জাআতহু ফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।


অর্থঃ বনী ইসরাঈলদিগকে জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে আমি কত স্পষ্ট নির্দশনাবলী দান করেছি। আর আল্লাহর নেয়ামত পৌছে যাওয়ার পর যদি কেউ সে নেয়ামতকে পরিবর্তিত করে দেয়, তবে আল্লাহর আযাব অতি কঠিন।


সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১২


زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ فَوْقَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَٱللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ


উচ্চারণঃ ঝুইয়িনা লিল্লাযীনা কাফারুল হায়া-তুদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াছখারূনা মিনাল্লাযীনা আ-মানূ। ওয়াল্লাযী নাত্তাকাও ফাওকাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াল্লা-হু ইয়ারঝুকুমাইঁ ইয়াশাউ বিগাইরি হিছা-ব।


অর্থঃ পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।


 সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৩


كَانَ ٱلنَّاسُ أُمَّةً وَٰحِدَةً فَبَعَثَ ٱللَّهُ ٱلنَّبِيِّۦنَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ ٱلنَّاسِ فِيمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ وَمَا ٱخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ أُوتُوهُ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ فَهَدَى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ مِنَ ٱلْحَقِّ بِإِذْنِهِۦ وَٱللَّهُ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ

উচ্চারণঃ কা-নান্না-ছু উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাবা‘আছাল্লা-হুন্নাবিইয়ীনা মুবাশশিরীনা ওয়া মুনযিরীনা ওয়া আনঝালা মা‘আহুমুল কিতা-বা বিলহাক্কিলিইয়াহকুমা বাইনান্না-ছি ফীমাখ তালাফূ ফীহি ওয়ামাখ তালাফা ফীহি ইল্লাল্লাযীনা ঊতূহু মিম বা‘দি মাজাআতহুমুল বাইয়িনা-তুবাগইয়াম বাইনাহুম ফাহাদাল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূ লিমাখতালাফূ ফীহি মিনাল হাক্কিবিইযনিহী ওয়াল্লা-হু ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাউ ইলাসিরা-তিম মুছতাকীম।

অর্থঃ সকল মানুষ একই জাতি সত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকরী হিসাবে। আর তাঁদের সাথে অবর্তীণ করলেন সত্য কিতাব, যাতে মানুষের মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন। বস্তুতঃ কিতাবের ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেদ করেনি; কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ এসে যাবার পর নিজেদের পারস্পরিক জেদবশতঃ তারাই করেছে, যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ ঈমানদারদেরকে হেদায়েত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা মতভেদ লিপ্ত হয়েছিল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, সরল পথ বাতলে দেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৪

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ ٱلْبَأْسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوا۟ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصْرُ ٱللَّهِ أَلَآ إِنَّ نَصْرَ ٱللَّهِ قَرِيبٌ

উচ্চারণঃ আম হাছিবতুম আন তাদখুলুল জান্নাতা ওয়া লাম্মা-ইয়া’তিকুম মাছালুল্লাযীনা খালাও মিন কাবলিকুম মাছছাতহুমুল বা’ছাউ ওয়াদ্দাররাউ ওয়াঝুলঝিলূ হাত্তা-ইয়াকূলার রাছূলু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমা‘আহূ মাতা-নাসরুল্লা-হি আলা-ইন্না নাসরাল্লা-হি কারীব।

অর্থঃ তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৫

يَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلْ مَآ أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا تَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ইয়াছআলূনাকা মা-যা ইউনফিকূনা কুল মাআনফাকতুম মিন খাইরিন ফালিলওয়া-লিদাইনি ওয়াল আকরাবীনা ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছছাবীলি ওয়ামাতাফ‘আলূমিন খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা বিহী ‘আলীম।

অর্থঃ তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৬

كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

উচ্চারণঃ কুতিবা ‘আলাইকুমুল কিতা-লুওয়া হুওয়া কুরহুল্লাকুম ওয়া ‘আছা-আন তাকরাহূ শাইআওঁ ওয়া হুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ‘আছাআন তুহিববূ শাইআওঁ ওয়া হুওয়া শাররুল্লাকুম ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুওয়া আনতুম লা-তা‘লামূন।

অর্থঃ তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৭

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلشَّهْرِ ٱلْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَكُفْرٌۢ بِهِۦ وَٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِۦ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ ٱللَّهِ وَٱلْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ ٱلْقَتْلِ وَلَا يَزَالُونَ يُقَٰتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ ٱسْتَطَٰعُوا۟ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِۦ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُو۟لَٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

উচ্চারণঃ ইয়াছআলূনাকা আনিশশাহরিল হারা-মি কিতা-লিন ফীহি কুল কিতা-লুন ফীহি কাবীরুওঁ ওয়াসাদ্দুন ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়া কুফরুম বিহী ওয়াল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া ইখরা-জুআহলিহী মিনহু আকবারু ‘ইনদাল্লা-হি ওয়াল ফিতনাতুআকবারু মিনাল কাতলি ওয়া লা-ইঝা-লূনা ইউকা-তিলূনাকুম হাত্তা-ইয়ারুদ্দূকুম ‘আন দীনিকুম ইনিছতাতা‘ঊ ওয়া মাইঁ ইয়ারতাদিদ মিনকুম ‘আন দীনিহী ফাইয়ামুত ওয়া হুওয়া কা-ফিরুন ফউলাইকা হাবিতাত আ‘মা-লুহুম ফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া উলাইকা আসহা-বুন্নারি হুম ফীহা-খা-লিদুন।

অর্থঃ সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৮

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أُو۟لَٰٓئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়াল্লাযীনা হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি উলাইকা ইয়ারজূনা রাহমাতাল্লা-হি ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।

অর্থঃ আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২১৯

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْخَمْرِ وَٱلْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَآ إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَٰفِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا وَيَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ ٱلْعَفْوَ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

উচ্চারণঃ ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল খামরি ওয়াল মাইছিরি কুল ফীহিমা ইছমুন কাবীরুওঁ ওয়া মানাফি‘উ লিন্না-ছি ওয়া ইছমুহুমাআকবারু মিন নাফ‘ইহিমা-ওয়া ইয়াছআলূনাকা মা যা-ইউনফিকূনা কুল্লি ‘আফওয়া কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়াতি লা‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারুন।

অর্থঃ তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২০

فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْيَتَٰمَىٰ قُلْ إِصْلَاحٌ لَّهُمْ خَيْرٌ وَإِن تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَٰنُكُمْ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ ٱلْمُفْسِدَ مِنَ ٱلْمُصْلِحِ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَعْنَتَكُمْ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণঃ ফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিলইয়াতা-মা কুলইসলাহুল্লাহুম খাইরুওঁ ওয়া ইন তুখা-লিতূহুম ফাইখওয়া-নুকুম ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুল মুফছিদা মিনাল মুসলিহিওয়ালাও শাআল্লা-হু লাআ‘নাতাকুম ইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম।

অর্থঃ দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম সংক্রান্ত হুকুম। বলে দাও, তাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেয়া উত্তম আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই । বস্তুতঃ অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের উপর জটিলতা আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞ।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২১

وَلَا تَنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكَٰتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلَا تُنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا۟ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُو۟لَٰٓئِكَ يَدْعُونَ إِلَى ٱلنَّارِ وَٱللَّهُ يَدْعُوٓا۟ إِلَى ٱلْجَنَّةِ وَٱلْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِۦ وَيُبَيِّنُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

উচ্চারণঃ ওয়া লা-তানকিহুল মুশরিকা-তি হাত্তা-ইউ’মিন্না ওয়া লাআমাতুম মু’মিনাতুন খাইরুম মিম মুশরিকাতিওঁ ওয়ালাও আ‘জাবাতকুম ওয়ালা-তুনকিহুল মুশরিকীনা হাত্তা-ইউমিনূ ওয়ালা ‘আবদুম মু’মিনুন খাইরুম মিম মুশরিকিওঁ ওয়া লাও আ‘জাবাকুম উলাইকা ইয়াদ‘ঊনা ইলান্না-রি ওয়াল্লা-হু ইয়াদ‘ঊইলাল জান্নাতি ওয়াল মাগফিরাতি বিইযনিহী ওয়া ইউবাইয়িনুআ-য়া-তিহী লিন্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারুন।

অর্থঃ আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২২

وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَٱعْتَزِلُوا۟ ٱلنِّسَآءَ فِى ٱلْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلْمُتَطَهِّرِينَ

উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল মাহীদি কুল হুওয়া আযান ফা‘তাঝিলুন্নিছাআ ফিল মাহীদি ওয়ালা-তাকরাবূহুন্না হাত্তা-ইয়াতহুরনা ফাইযা-তাতাহহারনা ফা’তূহুন্না মিন হাইছুআমারাকুমুল্লা-হু ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুত্তাওওয়া-বীনা ওয়াইউহিব্বুল মুতাতাহহিরীন।

অর্থঃ আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৩

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ

উচ্চারণঃ নিছাউকুম হারছুল্লাকুম ফা’তূহারছাকুম আন্না-শি’তুম ওয়া কাদ্দিমূ লিআনফুছিকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূ আন্নাকুম মুলা-কূহু ওয়া বাশশিরিল মু’মিনীন।

অর্থঃ তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৪

وَلَا تَجْعَلُوا۟ ٱللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَٰنِكُمْ أَن تَبَرُّوا۟ وَتَتَّقُوا۟ وَتُصْلِحُوا۟ بَيْنَ ٱلنَّاسِ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়ালা-তাজ‘আলুল্লা-হা ‘উরদাতাল লিআইমা-নিকুম আন তাবাররূওয়াতাত্তাকূওয়াতুসলিহু বাইনান্না-ছি ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৫

لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغْوِ فِىٓ أَيْمَٰنِكُمْ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

উচ্চারণঃ লা-ইউআ-খিযু কুমুল্লা-হু বিল্লাগবিফী আইমা-নিকুম ওয়ালা-কিই ইউআ-খিযু কুম বিমাকাছাবাত কুলূবুকুম ওয়াল্লা-হু গাফরুন হালীম।

অর্থঃ তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৬

لِّلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِن نِّسَآئِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

উচ্চারণঃ লিল্লাযীনা ইউ’লূনা মিন্নিছাইহিম তারাব্বুসু আরবা‘আতি আশহুরিন ফাইন ফাউ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।

অর্থঃ যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৭

وَإِنْ عَزَمُوا۟ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়া ইন ‘আঝামুত্তালা-কা ফাইন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ আর যদি বর্জন করার সংকল্প করে নেয়, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী ও জ্ঞানী।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৮

وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِىٓ أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِى ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوٓا۟ إِصْلَٰحًا وَلَهُنَّ مِثْلُ ٱلَّذِى عَلَيْهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়াল মুতাল্লাকা-তুইয়াতারাব্বাসনা বিআনফুছিহিন্না ছালা-ছাতা কুরূইওঁ ওয়ালা-ইয়াহিল্লুলাহুন্না আইয়াকতুম না মা-খালাকাল্লা-হু ফী আরহা-মিহিন্না ইন কুন্না ইউ’মিন্না বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া বু‘ঊলাতুহুন্না আহাক্কুবিরাদ্দিহিন্না ফী যা-লিকা ইন আরা-দূ ইসলা-হাওঁ ওয়া লাহুন্না মিছলুল্লাযী ‘আলাইহিন্না বিলমা‘রূফি ওয়া লিররিজা-লি ‘আলাইহিন্না দারাজাতুওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।

অর্থঃ আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২২৯

ٱلطَّلَٰقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌۢ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌۢ بِإِحْسَٰنٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا۟ مِمَّآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ شَيْـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا ٱفْتَدَتْ بِهِۦ تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

উচ্চারণঃ আত্তালা-কুমার রাতা-নি ফাইমছা-কুম বিমা‘রূফিন আও তাছরীহুম বিইহছা-নিওঁ ওয়ালা-ইয়াহিল্লুলাকুম আন তা’খুযূমিম্মা আ-তাইতুমূহুন্না শাইআন ইল্লাআইঁ ইয়াখাফা আল্লা-ইউকীমা-হুদূদাল্লা-হি ফাইন খিফতুম আল্লা-ইউকীমা-হুদাল্লা-হি ফালা-জুনা-হা ‘আলাইহিমা-ফীমাফতাদাতবিহী তিলকা হুদূদুল্লা-হি ফালা-তা‘তাদূ হা-ওয়ামাইইয়াতা‘আদ্দা হুদূদাল্লা-হি ফাউলাইকা হুমুজ্জা-লিমূন।

অর্থঃ তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩০

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُۥ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ফাইন তাল্লাকাহা-ফালা-তাহিল্লু লাহূ মিম বা‘দুহাত্তা-তানকিহা ঝাওজান গাইরাহূ ফাইন তাল্লাকাহা-ফালা-জুনা-হা ‘আলাইহিমা-আই ইয়াতারা-জা‘আইন জান্না-আইঁ ইউকীমা-হুদূদাল্লা-হি ওয়া তিলকা হুদূদুল্লা-হি ইউবাইয়িনুহা-লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।

অর্থঃ তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃꦣ2453; নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩১

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِّتَعْتَدُوا۟ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُۥ وَلَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ هُزُوًا وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَآ أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ وَٱلْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِۦ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-তাল্লাকতুমুন নিছাআ ফাবালাগনা আজালাহুন্না ফাআমছিকূহুন্না বিমা‘রূফিন আও ছাররিহুহুন্না বিমা‘রূফিওঁ ওয়ালা-তুম ছিকূহুন্না দিরা-রাল লিতা‘তাদূ ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যা-লিকা ফাকাদ জালামা নাফছাহূ ওয়ালা-তাত্তাখিযূআ-য়া-তিল্লা-হি হুঝুওয়াও ওয়াযকুরূ নি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়ামা-আনঝালা ‘আলাইকুম মিনাল কিতা-বি ওয়াল হিকমাতি ইয়া‘ইজু কুম বিহী ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইইন ‘আলীম।

অর্থঃ আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্ত করে নেয়, তখন তোমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে রেখে দাও অথবা সহানুভুতির সাথে তাদেরকে মুক্ত করে দাও। আর তোমরা তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদেরই ক্ষতি করবে। আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে এবং তাও স্মরণ কর, যে কিতাব ও জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩২

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحْنَ أَزْوَٰجَهُنَّ إِذَا تَرَٰضَوْا۟ بَيْنَهُم بِٱلْمَعْرُوفِ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ مِنكُمْ يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ ذَٰلِكُمْ أَزْكَىٰ لَكُمْ وَأَطْهَرُ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-তাল্লাকতুমুন্নিছাআ ফাবালাগনা আজালাহুন্না ফালা-তা‘দুলূহুন্না আইঁ ইয়ানকিহনা আঝওয়া-জাহুন্না ইযা-তারা-দাও বাইনাহুম বিলমা‘রূফি যা-লিকা ইঊ‘আজুবিহী মান কা-না মিনকুম ইয়ুমিনুবিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি যা-লিকুম আঝকা-লাকুম ওয়াআতহারু ওয়াল্লাহু ইয়া‘লামুওয়া আনতুম লা-তা‘লামুন।

অর্থঃ আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও এবং তারপর তারাও নির্ধারিত ইদ্দত পূর্ন করতে থাকে, তখন তাদেরকে পূর্ব স্বামীদের সাথে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধাদান করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৩

وَٱلْوَٰلِدَٰتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَٰدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ ٱلرَّضَاعَةَ وَعَلَى ٱلْمَوْلُودِ لَهُۥ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا لَا تُضَآرَّ وَٰلِدَةٌۢ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌ لَّهُۥ بِوَلَدِهِۦ وَعَلَى ٱلْوَارِثِ مِثْلُ ذَٰلِكَ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٍ مِّنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا وَإِنْ أَرَدتُّمْ أَن تَسْتَرْضِعُوٓا۟ أَوْلَٰدَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُم مَّآ ءَاتَيْتُم بِٱلْمَعْرُوفِ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

উচ্চারণঃ ওয়াল ওয়া-লিদা-তু ইউরদি না আওলা-দাহুন্না হাওলাইনি কা-মিলাইনি লিমান আরা-দা আই ইউতিম্মাররাদা-‘আতাওঁ ওয়া আলাল মাওলূদি লাহু রিঝকুহুন্না ওয়া কিছওয়াতুহুন্না বিলমা‘রূফি লা-তুকাল্লাফুনাফছুন ইল্লা-উছ‘আহা-লা-তুদাররা ওয়া-লিদাতুম বিওয়ালাদিহা-ওয়ালা-মাওলূদুল্লাহু বিওয়ালাদিহি ওয়া ‘আলাল ওয়া-রিছিমিছলুযালিকা ফাইন আরা-দা-ফিসা-লান ‘আন তারা-দিম মিনহুমা-ওয়াতাশা-উরিন ফালাজুনা-হা ‘আলাইহিমা- ওয়া ইন আরাত্তুম আন তাছতারদি‘ঊ আওলা-দাকুম ফালা-জুনাহা ‘আলাইকুম ইযা-ছাল্লামতুম মাআ-তাইতুম বিলমা‘রূফি ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।

অর্থঃ আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে তার সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা হয় না। আর মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এবং যার সন্তান তাকেও তার সন্তানের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না। আর ওয়ারিসদের উপরও দায়িত্ব এই। তারপর যদি পিতা-মাতা ইচ্ছা করে, তাহলে দু’বছরের ভিতরেই নিজেদের পারস্পরিক পরামর্শক্রমে দুধ ছাড়িয়ে দিতে পারে, তাতে তাদের কোন পাপ নেই, আর যদি তোমরা কোন ধাত্রীর দ্বারা নিজের সন্তানদেরকে দুধ খাওয়াতে চাও, তাহলে যদি তোমরা সাব্যস্তকৃত প্রচলিত বিনিময় দিয়ে দাও তাতেও কোন পাপ নেই। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ অত্যন্ত ভাল করেই দেখেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৪

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীনা ইউতাওয়াফফাওনা মিনকুমওয়া ইয়াযারূনা আঝওয়া-জাইঁ ইয়াতারাব্বাসনা বিআনফুছিহিন্না আরবা‘আতা আশহুরিওঁ ওয়া‘আশরান ফাইযা-বালাগনা আজালাহুন্না ফালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-ফা‘আলনা ফীআনফুছিহিন্না বিলমা‘রূফি ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।

অর্থঃ আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৫

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِۦ مِنْ خِطْبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِىٓ أَنفُسِكُمْ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُوا۟ قَوْلًا مَّعْرُوفًا وَلَا تَعْزِمُوا۟ عُقْدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْكِتَٰبُ أَجَلَهُۥ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ فَٱحْذَرُوهُ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়ালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-‘আররাদতুম বিহী মিন খিতবাতিন নিছাই আও আকনানতুম ফী-আনফুছিকুম ‘আলিমাল্লা-হু আন্নাকুম ছাতাযকুরূনাহুন্না ওয়ালা-কিল্লাতুওয়া-‘ইদূ হুন্না ছিররান ইল্লাআন তাকূলূ কাওলাম মা‘রূফাওঁ ওয়ালা-তা‘ঝিমূ ‘উকদাতান নিকা-হিহাত্তা-ইয়াবলুগাল কিতা-বুআজালাহূ ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ফী আনফুছিকুম ফাহযারূহু ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা গাফুরুন হালীম।

অর্থঃ আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই, আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে। কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না। অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্য্যশীল।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৬

لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا۟ لَهُنَّ فَرِيضَةً وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى ٱلْمُوسِعِ قَدَرُهُۥ وَعَلَى ٱلْمُقْتِرِ قَدَرُهُۥ مَتَٰعًۢا بِٱلْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى ٱلْمُحْسِنِينَ

উচ্চারণঃ লা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ইন তাল্লাকতুমুন্নিছাআ মা-লাম তামাছছূহুন্না আও তাফরিদূ লাহুন্না ফারীদাতাওঁ ওয়ামাত্তি‘ঊহুন্না ‘আলাল মূছি‘ই কাদারুহূ ওয়া ‘আলাল মুকতিরি কাদারুহু মাতা-‘আম বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুহছিনীন।

অর্থঃ স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৭

وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّآ أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَا۟ ٱلَّذِى بِيَدِهِۦ عُقْدَةُ ٱلنِّكَاحِ وَأَن تَعْفُوٓا۟ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ وَلَا تَنسَوُا۟ ٱلْفَضْلَ بَيْنَكُمْ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

উচ্চারণঃ ওয়া ইন তাল্লাকতুমূহুন্না মিন কাবলি আন তামাছছূহুন্না ওয়াকাদ ফারাদতুম লাহুন্না ফারীদাতান ফানিসফুমা-ফারাদতুম ইল্লাআই ইয়া‘ফূনা আও ইয়া‘ফুওয়াল্লাযী বিয়াদিহী ‘উকদাতন নিকা-হিওয়া আন তা‘ফূআকরাবুলিত্তাকওয়া-ওয়ালা-তানছাউল ফাদলা বাইনাক ুম ইন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।

অর্থঃ আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে। অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয় কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে দেখেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৮

حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ

উচ্চারণঃ হা-ফিজূ‘আলাসসালাওয়া-তি ওয়াসসালা-তিল উছতা-ওয়াকূমূলিল্লা-হি কানিতীন।

অর্থঃ সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৩৯

فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَآ أَمِنتُمْ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا۟ تَعْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ফাইন খিফতুম ফারিজা-লান আও রুকবা-নান ফাইযা-আমিনতুম ফাযকুরুল্লা-হা কামা‘আল্লামাকুম মা-লাম তাকূনূ তা‘লামূন।

অর্থঃ অতঃপর যদি তোমাদের কারো ব্যাপারে ভয় থাকে, তাহলে পদচারী অবস্থাতেই পড়ে নাও অথবা সওয়ারীর উপরে। তারপর যখন তোমরা নিরাপত্তা পাবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমাদের শেখানো হয়েছে, যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪০

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا وَصِيَّةً لِّأَزْوَٰجِهِم مَّتَٰعًا إِلَى ٱلْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِى مَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعْرُوفٍ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীনা ইউতাওয়াফফাওনা মিনকুম ওয়া ইয়াযারূনা আঝওয়াজাওঁ ওয়াসিইইয়াতাল লিআঝওয়া-জিহিম মাতা‘আন ইলাল হাওলি গাইরা ইখরা-জিন ফাইন খারাজনা ফালাজুনা-হা ‘আলাইকুম ফী মা-ফা‘আলনা ফীআনফুছিহিন্না মিম্মা‘রূফিওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।

অর্থঃ আর যখন তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে তখন স্ত্রীদের ঘর থেকে বের না করে এক বছর পর্যন্ত তাদের খরচের ব্যাপারে ওসিয়ত করে যাবে। অতঃপর যদি সে স্ত্রীরা নিজে থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নারী যদি নিজের ব্যাপারে কোন উত্তম ব্যবস্থা করে, তবে তাতে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী বিজ্ঞতা সম্পন্ন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪১

وَلِلْمُطَلَّقَٰتِ مَتَٰعٌۢ بِٱلْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى ٱلْمُتَّقِينَ

উচ্চারণঃ ওয়ালিল মুতাল্লাকা-তি মাতা-‘উম বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুত্তাকীন।

অর্থঃ আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খরচ দেয়া পরহেযগারদের উপর কর্তব্য।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪২

كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

উচ্চারণঃ কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুম আ-য়া-তিহী লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।

অর্থঃ এভাবেই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা তা বুঝতে পার।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৩

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ ٱلْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ ٱللَّهُ مُوتُوا۟ ثُمَّ أَحْيَٰهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ

উচ্চারণঃ আলাম তারা ইলাল্লাযীনা খারাজূ মিন দিয়া-রিহিম ওয়া হুম উলূফুন হাযারাল মাওতি ফাকা-লা লাহুমুল্লা-হু মূতূ ছু ম্মা আহইয়া-হুম; ইন্নাল্লা-হা লাযূ ফাদলিন ‘আলান্নাছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।

অর্থঃ তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর তাদেরকে জীবিত করে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক শুকরিয়া প্রকাশ করে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৪

وَقَٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়াকা-তিলূ ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়া‘লামূ আন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৫

مَّن ذَا ٱلَّذِى يُقْرِضُ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَٱللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُۜطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

উচ্চারণঃ মান যাল্লাযী ইউকরিদুল্লা-হা কারদান হাছানান ফাইউদা-‘ইফাহূলাহুআদ‘আ ফান কাছীরাতাওঁ ওয়াল্লা-হু ইয়াকবিদুওয়া ইয়াবছুতুওয়াইলাইহি তুরজা‘ঊন।

অর্থঃ এমন কে আছে যে, আল্লাহকে করজ দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহই সংকোচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা সবাই ফিরে যাবে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৬

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلْمَلَإِ مِنۢ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ مِنۢ بَعْدِ مُوسَىٰٓ إِذْ قَالُوا۟ لِنَبِىٍّ لَّهُمُ ٱبْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُّقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ أَلَّا تُقَٰتِلُوا۟ قَالُوا۟ وَمَا لَنَآ أَلَّا نُقَٰتِلَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَٰرِنَا وَأَبْنَآئِنَا فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقِتَالُ تَوَلَّوْا۟ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّٰلِمِينَ

উচ্চারণঃ আলাম তারা ইলাল মালাই মিমবানী ইছরাঈলা মিম বা‘দি মূছা-। ইযকা-লূ লিনাবিইয়িল্লাহুমুব ‘আছলানা-মালিকান্নুকা-তিল ফী ছাবীলিল্লা-হি কা-লা হাল ‘আছাইতুম ইন কুতিবা ‘আলাইকুমুল কিতা-লুআল্লা-তুকা-তিলূ কা-লূওয়ামা লানাআল্লা-নুকা-তিলা ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়া কাদ উখরিজনা-মিন দিয়া-রিনা-ওয়া আবনাইনা ফালাম্মা কুতিবা ‘আলাইহিমুল কিতা-লুতাওয়াল্লাও ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ওয়াল্লাহু ‘আলীমুম বিজ্জা-লিমীন।

অর্থঃ মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তা’আলা জালেমদের ভাল করেই জানেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৭

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا قَالُوٓا۟ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ ٱلْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِٱلْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِّنَ ٱلْمَالِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُۥ بَسْطَةً فِى ٱلْعِلْمِ وَٱلْجِسْمِ وَٱللَّهُ يُؤْتِى مُلْكَهُۥ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্নাল্লা-হা কাদ বা ‘আছা লাকুম তা-লূতা মালিকান কালূআন্না-ইয়াকূনু লাহুল মুলকু‘আলাইনা-ওয়া নাহনুআহাক্কুবিলমুলকি মিনহু ওয়ালাম ইউ’তা ছা‘আতাম মিনাল মা-লি কা-লা ইন্নাল্লা-হাসতাফা-হু ‘আলাইকুম ওয়াঝা-দাহু বাছতাতান ফিল‘ইলমি ওয়াল জিছমি ওয়াল্লা-হু ইউ’তী মুলকাহু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৮

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ءَايَةَ مُلْكِهِۦٓ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلتَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ ءَالُ مُوسَىٰ وَءَالُ هَٰرُونَ تَحْمِلُهُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

উচ্চারণঃ ওয়াকা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্না আ-য়াতা মুলকিহী আই ইয়া’তিয়াকুমুত্তা-বূতু ফীহি ছাকীনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া বাকিইইয়াতুম মিম্মা-তারাকা আ-লুমূছা-ওয়া আ-লু হা-রূনা তাহমিলুহুমুল মালাইকাতু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।

অর্থঃ বনী-ইসরাঈলদেরকে তাদের নবী আরো বললেন, তালূতের নেতৃত্বের চিহ্ন হলো এই যে, তোমাদের কাছে একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের পালকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের মনের সন্তুষ্টির নিমিত্তে। আর তাতে থাকবে মূসা, হারুন এবং তাঁদের সন্তানবর্গের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী। সিন্দুকটিকে বয়ে আনবে ফেরেশতারা। তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তাহলে এতে তোমাদের জন্য নিশ্চিতই পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৪৯

فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِٱلْجُنُودِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ مُبْتَلِيكُم بِنَهَرٍ فَمَن شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّى وَمَن لَّمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُۥ مِنِّىٓ إِلَّا مَنِ ٱغْتَرَفَ غُرْفَةًۢ بِيَدِهِۦ فَشَرِبُوا۟ مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْ فَلَمَّا جَاوَزَهُۥ هُوَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ قَالُوا۟ لَا طَاقَةَ لَنَا ٱلْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالَ ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُوا۟ ٱللَّهِ كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةًۢ بِإِذْنِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ

উচ্চারণঃ ফালাম্মা-ফাসালা তা-লূতু বিলজুনূদি কা-লা ইন্নাল্লা-হা মুবতালীকুম বিনাহারিন ফামান শারিবা মিনহু ফালাইছা মিন্নী ওয়া মাল্লাম ইয়াত‘আমহু ফাইন্নাহু মিন্নী-ইল্লা-মানিগতারাফা গুরফাতাম বিয়াদিহী ফাশারিবূ মিনহু ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ফালাম্মা-জা-ওয়াঝাহু হুওয়া ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহু কা-লূ লা-তা-কাতালানাল ইয়াওমা বিজা-লূতা ওয়া জুনূদিহী কালাল্লাযীনা ইয়াজুন্নূনা আন্নাহুম মুলা-কুল্লা-হি কাম মিন ফিআতিন কালীলাতিন, গালাবাত ফিআতান কাছীরাতাম বিইযনিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু মা‘আসসা-বিরীন।

অর্থঃ অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর মাধ্যমে। সুতরাং যে লোক সেই নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়। আর যে, লোক তার স্বাদ গ্রহণ করলো না, নিশ্চয়ই সে আমার লোক। কিন্তু যে লোক হাতের আঁজলা ভরে সামান্য খেয়ে নেবে তার দোষঅবশ্য তেমন গুরুতর হবে না। অতঃপর সবাই পান করল সে পানি, সামান্য কয়েকজন ছাড়া। পরে তালূত যখন তা পার হলো এবং তার সাথে ছিল মাত্র কয়েকজন ঈমানদার, তখন তারা বলতে লাগল, আজকের দিনে জালূত এবং তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই, যাদের ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সামনে তাদের একদিন উপস্থিত হতে হবে, তারা বার বার বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫০

وَلَمَّا بَرَزُوا۟ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالُوا۟ رَبَّنَآ أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

উচ্চারণঃ ওয়া লাম্মা-বারাঝূ লিজা-লূতা ওয়াজুনূদিহী কা-লূরাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন।

অর্থঃ আর যখন তালূত ও তার সেনাবাহিনী শত্রুর সম্মুখীন হল, তখন বলল, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫১

فَهَزَمُوهُم بِإِذْنِ ٱللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُۥدُ جَالُوتَ وَءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلْمُلْكَ وَٱلْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُۥ مِمَّا يَشَآءُ وَلَوْلَا دَفْعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ ٱلْأَرْضُ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ

উচ্চারণঃ ফাহাঝামূহুম বিইযনিল্লা-হি ওয়াকাতালা দা-ঊদু জা-লূতা ওয়া আ-তা-হুল্লা-হুল মুলকা ওয়াল হিকমাতা ওয়া‘আল্লামাহু মিম্মা-ইয়াশাউ ওয়া লাওলা-দাফ‘উল্লা-হিন্না-ছা বা‘দাহুম ব্বিা‘দিল লাফাছাদাতিল আরদুওয়া লা-কিন্নাল্লা-হা যূফাদলিন ‘আলাল ‘আ-লামীন।

অর্থঃ তারপর ঈমানদাররা আল্লাহর হুকুমে জালূতের বাহিনীকে পরাজিত করে দিল এবং দাউদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাউদকে দান করলেন রাজ্য ও অভিজ্ঞতা। আর তাকে যা চাইলেন শিখালেন। আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময়।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫২

تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِٱلْحَقِّ وَإِنَّكَ لَمِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ

উচ্চারণঃ তিলকা আ-য়া-তুল্লা-হি নাতলূহা-‘আলাইকা বিলহাক্কিওয়া ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।

অর্থঃ এগুলো হলো আল্লাহর নিদর্শন, যা আমরা তোমাদেরকে যথাযথভাবে শুনিয়ে থাকি। আর আপনি নিশ্চিতই আমার রসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৩

تِلْكَ ٱلرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ مِّنْهُم مَّن كَلَّمَ ٱللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَٰتٍ وَءَاتَيْنَا عِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱلْبَيِّنَٰتِ وَأَيَّدْنَٰهُ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقْتَتَلَ ٱلَّذِينَ مِنۢ بَعْدِهِم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ وَلَٰكِنِ ٱخْتَلَفُوا۟ فَمِنْهُم مَّنْ ءَامَنَ وَمِنْهُم مَّن كَفَرَ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقْتَتَلُوا۟ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ

উচ্চারণঃ তিলকার রুছুলুফাদ্দালনা-বা‘দাহুম ‘আলা-বা‘দ। মিনহুম মান কাল্লামাল্লা-হু ওয়া রাফা‘আ বা‘দাহুম দারাজা-তিওঁ ওয়া আ-তাইনা-‘ঈছাবনা মারইয়ামাল বাইয়িনা-তি ওয়া আই ইয়াদনা-হু বিরূহিল কুদুছি ওয়ালাও শাআল্লা-হু মাকতাতালাল্লাযীনা মিম বা‘দিহিম মিম বা‘দি মা-জাআতহুমুল বাইয়িনা-তুওয়ালা-কিনিখ তালাফূ ফামিনহুম মান আমানা ওয়া মিনহুম মান কাফারা ওয়ালাও শাআল্লা-হু মাকতাতালূ ওয়ালা-কিন্নাল্লাহা ইয়াফ‘আলুমা-ইউরীদ।

অর্থঃ এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে পরিস্কার নির্দেশ এসে যাবার পর পয়গম্বরদের পেছনে যারা ছিল তারা লড়াই করতো না। কিন্তু তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের কেউ তো ঈমান এনেছে, আর কেউ হয়েছে কাফের। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা পরস্পর লড়াই করতো, কিন্তু আল্লাহ তাই করেন, যা তিনি ইচ্ছা করেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৪

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَنفِقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَٰعَةٌ وَٱلْكَٰفِرُونَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

উচ্চারণঃ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ আনফিকূমিম্মা-রাঝাকনা-কুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিইয়া ইয়াওমুল্লা-বাই‘উন ফীহি ওয়ালা-খুল্লাতুওঁ ওয়ালা-শাফা-‘আতুওঁ ওয়াল কা-ফিরূনা হুমুজ্জা-লিমূন।

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম।

★★★★★
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৫

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহ ীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

★★★★★
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৬

لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَا وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ লাইকরা-হা ফিদ্দীনি কাততাবাইইয়ানার রুশদু মিনাল গাইয়ি ফামাইঁ ইয়াকফুর বিত্তা-গূতি ওয়া ইউ’মিমবিল্লা-হি ফাকাদিছ তামছাকা বিল‘উরওয়াতিল উছকা লানফিসা-মা লাহা-ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৭

ٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَوْلِيَآؤُهُمُ ٱلطَّٰغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ ٱلنُّورِ إِلَى ٱلظُّلُمَٰتِ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু ওয়ালিইয়ূল্লাযীনা আ-মানূ ইউখরিজুহুম মিনাজ্জু লুমা-তি ইলান নূরি ওয়াল্লাযীনা কাফারুআওলিয়াউহুমুত্তা-গুতু ইউখরিজূনাহুম মিনান নূরি ইলাজ্জুলুমা-তি উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।

অর্থঃ যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৮

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِى حَآجَّ إِبْرَٰهِۦمَ فِى رَبِّهِۦٓ أَنْ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّىَ ٱلَّذِى يُحْىِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحْىِۦ وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأْتِى بِٱلشَّمْسِ مِنَ ٱلْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ ٱلْمَغْرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِى كَفَرَ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

উচ্চারণঃ আলাম তারা ইলাল্লাযী হাজ্জা ইবরা-হীমা ফী রাব্বিহীআন আ-তা-হুল্লা-হুল মুলক । ইযকা-লা ইবরা-হীমু রাব্বিইয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু কা-লা আনা উহঈ ওয়াউমীতু কা-লা ইবরা-হীমু ফাইন্নাল্লা-হা ইয়া’তী বিশশামছি মিনাল মাশরিকি ফা’তি বিহা- মিনাল মাগরিবি ফাবুহিতাল্লাযী কাফারা ওয়াল্লা-হু লা ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।

অর্থঃ তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, নিশ্চয়ই তিনি সুর্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে এবার তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর। তখন সে কাফের হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৫৯

أَوْ كَٱلَّذِى مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍ وَهِىَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْىِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُۥ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِا۟ئَةَ عَامٍ فَٱنظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ وَٱنظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ ءَايَةً لِّلنَّاسِ وَٱنظُرْ إِلَى ٱلْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ আও কাল্লাযী মাররা ‘আলা-কারইয়াতিওঁ ওয়াহিয়া খা-বিয়াতুন ‘আলা-‘উরুশিহা-কা-লা আন্না-ইউহয়ী হা-যিহিল্লা-হু বা‘দা মাওতিহা-ফাআমাতাহুল্লা-হু মিআতা ‘আমিন ছু ম্মা বা‘আছাহু কা-লা কাম লাবিছতা কা-লা লাবিছতুইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন কা-লা ‘বাল্লাবিছতা মিআতা ‘আ-মিন ফানজু র ইলা-তা‘আ-মিকা ওয়াশারা-বিকা লাম ইয়াতাছান্নাহু ওয়ানজু র ইলা-হিমা-রিকা ওয়া লিনাজ‘আলাকা আয়াতাল লিন্না-ছি ওয়ানজু র ইলাল ‘ইজা-মি কাইফা নুনশিঝুহা- ছু ম্মা নাকছূহা-লাহমান ফালাম্মা-তাবাইয়ানা লাহু কালা আ‘লামুআন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইইন কাদীর।

অর্থঃ তুমি কি সে লোককে দেখনি যে এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ মরনের পর একে জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ তাকে মৃত অবস্থায় রাখলেন একশ বছর। তারপর তাকে উঠালেন। বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের কিছু কম সময়। বললেন, তা নয়; বরং তুমি তো একশ বছর ছিলে। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে-সেগুলো পচে যায় নি এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি। আর হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ যে, আমি এগুলোকে কেমন করে জুড়ে দেই এবং সেগুলোর উপর মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই। অতঃপর যখন তার উপর এ অবস্থা প্রকাশিত হল, তখন বলে উঠল-আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬০

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّ أَرِنِى كَيْفَ تُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِن قَالَ بَلَىٰ وَلَٰكِن لِّيَطْمَئِنَّ قَلْبِى قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِّنَ ٱلطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ ٱجْعَلْ عَلَىٰ كُلِّ جَبَلٍ مِّنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ٱدْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًا وَٱعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়া ইযকা-লা ইবরা-হীমু রাব্বি আরিনী কাইফা তুহয়িলমাওতা-কা-লা আওয়ালাম তু’মিন কা-লা বালা- ওয়ালা-কিল লিইয়াতমাইন্না কালবী কা-লা ফাখুয আরবা‘আতাম মিনাত্তাইরি ফাসুরহুন্না ইলাইকা ছুম্মাজ‘আল ‘আলা-কুল্লি জাবালিম মিনহুন্না জুঝআন ছুম্মাদ ‘উহুন্না ইয়া তীনাকা ছা‘ইয়াওঁ ওয়া‘লাম আন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝূন হাকীম।

অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও, কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে। বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল, অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে চারটি পাখী ধরে নাও। পরে সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক; তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬১

مَّثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِى كُلِّ سُنۢبُلَةٍ مِّا۟ئَةُ حَبَّةٍ وَٱللَّهُ يُضَٰعِفُ لِمَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ মাছালুল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম ফী ছাবীলিল্লা-হি কামাছালি হাব্বাতিন আমবাতাত ছাব‘আ ছানা-বিলা ফী কুল্লি ছুমবুলাতিম মিআতুহাব্বাতিওঁ ওয়াল্লা-হু ইউদা‘ইফু লিামইঁ ইয়াশাূউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬২

ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ثُمَّ لَا يُتْبِعُونَ مَآ أَنفَقُوا۟ مَنًّا وَلَآ أَذًى لَّهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম ফী ছাবীলিল্লা-হি ছুম্মা লা-ইউতবি‘ঊনা মাআনফাকূমান্নাওঁ ওয়ালাআযাল লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানুন।

অর্থঃ যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৩

قَوْلٌ مَّعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِّن صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَآ أَذًى وَٱللَّهُ غَنِىٌّ حَلِيمٌ

উচ্চারণঃ কাওলুম মা‘রূফুওঁ ওয়া মাগফিরাতুন খাইরুম মিন সাদাকাতিইঁ ইয়াতবা‘উহাআযা-ওয়াল্লা-হু গানিউয়ুন হালীম।

অর্থঃ নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা’আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৪

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تُبْطِلُوا۟ صَدَقَٰتِكُم بِٱلْمَنِّ وَٱلْأَذَىٰ كَٱلَّذِى يُنفِقُ مَالَهُۥ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُۥ وَابِلٌ فَتَرَكَهُۥ صَلْدًا لَّا يَقْدِرُونَ عَلَىٰ شَىْءٍ مِّمَّا كَسَبُوا۟ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ

উচ্চারণঃ ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তুবতিলূ সাদাকা-তিকুম বিলমান্নি ওয়ালআযা-কাল্লাযী ইউনফিকু মা-লাহূ রিআআন্না-ছি ওয়ালা-ইউমিনুবিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ফামাছালুহূকামাছালি সাফওয়া-নিন ‘আলাইহি তুরা-বুন ফাআসা-বাহু ওয়া-বিলুন ফাতারাকাহূ সালদান লা-ইয়াকদিরূনা ‘আলা-শাইইম মিম্মা-কাছাবূ ওয়াল্লা-হু লাইয়াহদিল কাওমাল কা-ফিরীন।

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৫

وَمَثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ وَتَثْبِيتًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍۭ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَـَٔاتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِن لَّمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

উচ্চারণঃ ওয়া মাছালুল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুমুব তিগাআ মারদা-তিল্লা-হি ওয়া তাছবীতাম মিন আনফুছিহিম কামাছালি জান্নাতিম বিরাবওয়াতিন আসা-বাহা-ওয়া-বিলুন ফাআ-তাত উকুলাহা-দি‘ফাইনি ফাইল্লাম ইউসিবহা-ওয়া-বিলুন ফাতাল্লুওঁ ওয়াল্লাহু বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৬

أَيَوَدُّ أَحَدُكُمْ أَن تَكُونَ لَهُۥ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ لَهُۥ فِيهَا مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ وَأَصَابَهُ ٱلْكِبَرُ وَلَهُۥ ذُرِّيَّةٌ ضُعَفَآءُ فَأَصَابَهَآ إِعْصَارٌ فِيهِ نَارٌ فَٱحْتَرَقَتْ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

উচ্চারণঃ আইয়াওয়াদ্দুআহাদুকুম আন তাকূনা লাহু জান্নাতুম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু লাহু ফীহা-মিন কুল্লিছছামারা-তি ওয়া আসা-বাহুল কিবারু ওয়ালাহু যুররিইইয়াতুন দু‘আফাউ ফাআসা-বাহা ই‘সা-রুন ফীহি না-রুন ফাহতারাকাত কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়া-তি ল‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারূন।

অর্থঃ তোমাদের কেউ পছন্দ করে যে, তার একটি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হবে, এর তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে, আর এতে সর্বপ্রকার ফল-ফসল থাকবে এবং সে বার্ধক্যে পৌছবে, তার দুর্বল সন্তান সন্ততিও থাকবে, এমতাবস্থায় এ বাগানের একটি ঘূর্ণিবায়ু আসবে, যাতে আগুন রয়েছে, অনন্তর বাগানটি ভষ্মীভূত হয়ে যাবে? এমনিভাবে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বর্ননা করেন-যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা কর।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৭

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَنفِقُوا۟ مِن طَيِّبَٰتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّآ أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ وَلَا تَيَمَّمُوا۟ ٱلْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِـَٔاخِذِيهِ إِلَّآ أَن تُغْمِضُوا۟ فِيهِ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ حَمِيدٌ

উচ্চারণঃ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ আনফিকূমিন তাইয়িবা-তি মা-কাছাবতুম ওয়া মিম্মাআখরাজনা-লাকুম মিনাল আরদিওয়ালা-তাইয়াম্মামুল খাবীছা মিনহু তুনফিকূনা ওয়া লাছতুম বিআ-খিযীহি ইল্লাআন তুগমিদূ ফীহি ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন হামীদ।

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৮

ٱلشَّيْطَٰنُ يَعِدُكُمُ ٱلْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِٱلْفَحْشَآءِ وَٱللَّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًا وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ আশশাইতা-নুইয়া‘ইদুকুমুল ফাকরা ওয়া ইয়া’মরুকুম বিলফাহশাই ওয়াল্লা-হু ইয়া‘ইদুকুম মাগফিরাতাম মিনহু ওয়া ফাদলাওঁ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।

অর্থঃ শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।


সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬৯

يُؤْتِى ٱلْحِكْمَةَ مَن يَشَآءُ وَمَن يُؤْتَ ٱلْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِىَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ

উচ্চারণঃ ইউ’তিল হিকমাতা মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউ’তাল হিকমাতা ফাকাদ ঊতিয়া খাইরান কাছীরাওঁ ওয়ামা-ইয়াযযাক্কারু ইল্লাউলুল আলবা-ব।

অর্থঃ তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭০

وَمَآ أَنفَقْتُم مِّن نَّفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُم مِّن نَّذْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُهُۥ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ

উচ্চারণঃ ওয়ামাআনফাকতুম মিন নাফাকাতিন আও নাযারতুম মিন নাযরিন ফাইন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুহু ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।

অর্থঃ তোমরা যে খয়রাত বা সদ্ব্যয় কর কিংবা কোন মানত কর, আল্লাহ নিশ্চয়ই সেসব কিছুই জানেন। অন্যায়কারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।



অর্থঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ টিলায় অবস্থিত বাগানের মত, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; অতঃপর দ্বিগুণ ফসল দান করে। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত নাও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট। আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম যথার্থই প্রত্যক্ষ করেন।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭১

إِن تُبْدُوا۟ ٱلصَّدَقَٰتِ فَنِعِمَّا هِىَ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا ٱلْفُقَرَآءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّـَٔاتِكُمْ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

উচ্চারণঃ ইন তুবদুসসাদাকা-তি ফানি‘ইমমা-হিয়া ওয়া ইন তুখফূহা-ওয়া তু’তূহাল ফুকারাআ ফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইউকাফফিরু ‘আনকুম মিন ছাইয়িআ-তিকুম ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।

অর্থঃ যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খুব খবর রাখেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭২

لَّيْسَ عَلَيْكَ هُدَىٰهُمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَهْدِى مَن يَشَآءُ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَلِأَنفُسِكُمْ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبْتِغَآءَ وَجْهِ ٱللَّهِ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ

উচ্চারণঃ লাইছা ‘আলাইকা হুদা-হুম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাূউ ওয়ামা-তুনফিকূ মিন খাইরিন ফালিআনফুছিকুম ওয়ামা-তুনফিকূনা ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহিল্লা-হি ওয়ামা-তুনফিকূমিন খাইরিয়ঁ ইউওয়াফফা ইলাইকুম ওয়া আনতুম লা-তুজলামূন।

অর্থঃ তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৩

لِلْفُقَرَآءِ ٱلَّذِينَ أُحْصِرُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا يَسْتَطِيعُونَ ضَرْبًا فِى ٱلْأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ ٱلْجَاهِلُ أَغْنِيَآءَ مِنَ ٱلتَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُم بِسِيمَٰهُمْ لَا يَسْـَٔلُونَ ٱلنَّاسَ إِلْحَافًا وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ লিলফুকারাইল্লাযীনা উহসিরূ ফী ছাবীলিল্লা-হি লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা দারবান ফিল আরদিইয়াহছাবুহুমুল জা-হিলুআগনিয়াআ মিনাত্তা‘আফফুফি তা‘রিফুহুম বিছীমাহুম লা-ইয়াছআলূন্না-ছা ইলাহা-ফাওঁ ওয়ামা-তুনফিকূমিন খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা বিহী ‘আলীম।

অর্থঃ খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে-জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৪

ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُم بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম বিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ছিররাওঁ ওয়া‘আলা-নিইয়াতান ফালাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।

অর্থঃ যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৫

ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ ٱلرِّبَوٰا۟ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِى يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيْطَٰنُ مِنَ ٱلْمَسِّ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْبَيْعُ مِثْلُ ٱلرِّبَوٰا۟ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلْبَيْعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰا۟ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইয়া’কুলুনার রিবা-লা-ইয়াকূমূনা ইল্লা-কামা-ইয়াকূমুল্লাযী ইয়াতাখাব্বাতুহুশশাইতা-নুমিনাল মাছছি যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-লূ ইন্নামাল বাই‘উ মিছলূর রিবা-। ওয়া আহাল্লাল্লা-হুল বাই‘আ ওয়া হাররামার রিবা-ফামান জাআহু মাওইজাতুম মির রাব্বিহী ফানতাহা-ফালাহু মা-ছালাফা ওয়া আমরুহু ইলাল্লা-হি ওয়া মান ‘আ-দা ফাউলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।

অর্থঃ যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।


সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৬

يَمْحَقُ ٱللَّهُ ٱلرِّبَوٰا۟ وَيُرْبِى ٱلصَّدَقَٰتِ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ

উচ্চারণঃ ইয়ামহাকুল্লা-হুর রিবা-ওয়া ইউরবিসসাদাকা-তি ওয়াল্লা-হু লা-ইউহিব্বু কুল্লা কাফফা-রিন আছীম।

অর্থঃ আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৭

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আ-তাউঝঝাকা-তা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহঝানূন।

অর্থঃ নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৮

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَذَرُوا۟ مَا بَقِىَ مِنَ ٱلرِّبَوٰٓا۟ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

উচ্চারণঃ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা ওয়াযারু মা-বাকিয়া মিনার রিবাইন কুনতুম মু’মিনীন।

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।


সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৯

فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ فَأْذَنُوا۟ بِحَرْبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ফাইল্লাম তাফ‘আলূ ফা’যানু বিহারবিম মিনাল্লা-হি ওয়ারাছূলিহী ওয়া ইন তুবতুম ফালাকুম রুঊছুআমওয়া-লিকুম লা-তাজলিমূনা ওয়ালা-তুজলামূন।

অর্থঃ অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮০

وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَىٰ مَيْسَرَةٍ وَأَن تَصَدَّقُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ওয়া ইন কা-না যূ‘উছরাতিন ফানাযিরাতুন ইলা-মাইছারাতিওঁ ওয়া আন তাসাদ্দাকূ খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।

অর্থঃ যদি খাতক অভাবগ্রস্থ হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি কর।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮১

وَٱتَّقُوا۟ يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

উচ্চারণঃ ওয়াত্তাকূইয়াওমান তুরজা‘ঊনা ফীহি ইলাল্লা-হি ছু ম্মা তুওয়াফফা-কুল্লু নাফছিম মা-কাছাবাত ওয়াহুম লা-ইউজলামূন।

অর্থঃ ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮২

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى فَٱكْتُبُوهُ وَلْيَكْتُب بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌۢ بِٱلْعَدْلِ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَن يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ ٱللَّهُ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْـًٔا فَإِن كَانَ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ سَفِيهًا أَوْ ضَعِيفًا أَوْ لَا يَسْتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلْيُمْلِلْ وَلِيُّهُۥ بِٱلْعَدْلِ وَٱسْتَشْهِدُوا۟ شَهِيدَيْنِ مِن رِّجَالِكُمْ فَإِن لَّمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَٱمْرَأَتَانِ مِمَّن تَرْضَوْنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحْدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَىٰهُمَا ٱلْأُخْرَىٰ وَلَا يَأْبَ ٱلشُّهَدَآءُ إِذَا مَا دُعُوا۟ وَلَا تَسْـَٔمُوٓا۟ أَن تَكْتُبُوهُ صَغِيرًا أَوْ كَبِيرًا إِلَىٰٓ أَجَلِهِۦ ذَٰلِكُمْ أَقْسَطُ عِندَ ٱللَّهِ وَأَقْوَمُ لِلشَّهَٰدَةِ وَأَدْنَىٰٓ أَلَّا تَرْتَابُوٓا۟ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً حَاضِرَةً تُدِيرُونَهَا بَيْنَكُمْ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَلَّا تَكْتُبُوهَا وَأَشْهِدُوٓا۟ إِذَا تَبَايَعْتُمْ وَلَا يُضَآرَّ كَاتِبٌ وَلَا شَهِيدٌ وَإِن تَفْعَلُوا۟ فَإِنَّهُۥ فُسُوقٌۢ بِكُمْ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ইয়া আইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-তাদা-ইয়ানতুম বিদাইনিন ইলা-আজালিম মুছাম্মান ফাকতুবূহু ওয়ালইয়াকতুব বাইনাকুম কা-তিবুম বিল‘আদলি ওয়ালা-ইয়া’বা কাতিবুন আইঁ ইয়াকতুবা কামা-‘আল্লামাহুল্লা-হু ফালইয়াকতুব ওয়াল ইউমলিলিল্লাযী ‘আলাইহিল হাক্কুওয়াল ইয়াত্তাকিল্লা-হা রাব্বাহূওয়ালা-ইয়াবখাছ মিনহু শাইআন ফাইন কা-নাল্লাযী আলাইহিল হাক্কুছাফীহান আও দা‘ঈফান আও লা-ইয়াছতাতী‘উ আই ইউমিল্লা হুওয়া ফাল ইউমলিল ওয়ালিইইয়ুহু বিল‘আদলি ওয়াছতাশহিদূ শাহীদাইনি মিররিজা-লিকুম ফাইল্লাম ইয়াকূনা রাজুলাইনি ফারাজুলুওঁ ওয়ামরাআতা-নি মিম্মান তারদাওনা মিনাশ শুহাদাই আন তাদিল্লা ইহদা -হুমা ফাতুযাককিরা ইহদা-হুমাল উখরা ওয়ালা-ইয়া’বাশশুহাদাউ ইযা-মা দু‘ঊ ওয়ালা-তাছআমূ আন তাকতুবূহু ছাগীরান আও কাবীরান ইলা আজালিহী যা-লিকুম আকছাতু‘ইনদাল্লা-হি ওয়াআকওয়ামুলিশশাহা-দাতি ওয়াআদনা আল্লা-তারতা-বূইল্লা আন তাকূনা তিজারাতান হা-দিরাতান তুদীরূনাহা-বাইনাকুম ফালাইছা ‘আলাইকুম জুনা-হুন আল্লাতাকতুবূহা-ওয়াআশহিদূ ইযা-তাবা-ইয়া‘তুম ওয়ালা-ইউদাররা কা-তিবুওঁ ওয়ালা-শাহীদুওঁ ওয়া ইন তাফ‘আলূফাইষর নযধু -হরহ ওঅষ'সকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া ইউ‘আলিলমুকুমুল্লা-হু ওয়াল্লা-হু বিকুল্লি শাইইন ‘আলীম।

অর্থঃ হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৩

وَإِن كُنتُمْ عَلَىٰ سَفَرٍ وَلَمْ تَجِدُوا۟ كَاتِبًا فَرِهَٰنٌ مَّقْبُوضَةٌ فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُم بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ ٱلَّذِى ٱؤْتُمِنَ أَمَٰنَتَهُۥ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا تَكْتُمُوا۟ ٱلشَّهَٰدَةَ وَمَن يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُۥٓ ءَاثِمٌ قَلْبُهُۥ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ

উচ্চারণঃ ওয়া ইন কুনতুম ‘আলা-ছাফারিওঁ ওয়ালাম তাজিদূকা-তিবান ফারিহা-নুম মাকবূদাতুন ফাইন আমিনা বা‘দুকুম বা‘দান ফালইউআদ্দিল্লাযী’তুমিনা আমা-নাতাহু ওয়াল ইয়াত্তাকিল্লাহা রাব্বাহূ ওয়ালা-তাকতুমুশশাহা-দাতা ওয়া মাইঁ ইয়াকতুমহা-ফাইন্নাহুআছিমুন কালবুহু ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূন ‘আলীম।

অর্থঃ আর তোমরা যদি প্রবাসে থাক এবং কোন লেখক না পাও তবে বন্ধকী বন্তু হস্তগত রাখা উচিত। যদি একে অন্যকে বিশ্বাস করে, তবে যাকে বিশ্বাস করা হয়, তার উচিত অন্যের প্রাপ্য পরিশোধ করা এবং স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় কর! তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে কেউ তা গোপন করবে, তার অন্তর পাপপূর্ণ হবে। তোমরা যা করা, আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব জ্ঞাত।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৪

لِّلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَإِن تُبْدُوا۟ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ ٱللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

অর্থঃ যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৫

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

উচ্চারণঃ আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

অর্থঃ রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৬

لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

উচ্চারণঃ লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★০২ সুরা বাকারা ০১-১০০,,,,
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/09/blog-post_35.html
০২ সুরা বাকারা ১০১-২১০
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/10/blog-post_8.html
০২ সুরা বাকারা ২১১ থেকে শেষ
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/10/blog-post_25.html
,,,,


1 টি মন্তব্য:

MD. MONSUR ALI PERSONAL বলেছেন...

০২ সুরা বাকারা ০১-১০০,,,,
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/09/blog-post_35.html
০২ সুরা বাকারা ১০১-২১০
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/10/blog-post_8.html
০২ সুরা বাকারা ২১১ থেকে শেষ
https://knowledge-hill.blogspot.com/2022/10/blog-post_25.html
,,,,

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...