এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আল কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পদার্থবিজ্ঞানঃ

আল কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বেশ কিছু  আয়াত থেকে দুইটি আয়াতের(সূরা ইয়াসীন,৩৮-৪০)সামান্য বিশ্লেষণ। 


A.সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে

(সূরা ইয়াসীন আয়াত-৪০)


আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ


১. সূর্যের জন্য সম্ভব নয় যে, সে চাঁদের কাছাকাছি হবে এবং তার ফলে তার আলো শেষ হয়ে যাবে। বরং উভয়ের নিজ নিজ কক্ষপথ ও আলাদা আলাদা গন্ডিসীমা আছে। 


২ সূর্য দিনে ও চাঁদ রাতেই উদিত হয়,মানে ভৌগোলিক অবস্থান  ভেদে এক অঞ্চলে এক এক সময় দৃশ্যমান হয়,আবার কোথাও, কোথাও একাধারে ছয় মাস রাত বা দিন থাকে (মেরু অঞ্চল) কখনও এর ব্যতিক্রম না ঘটা এ কথারই প্রমাণ যে, এ সবের নিয়ন্তা ও পরিচালক একজন আছেন।


৩. বরং এরাও এক নিয়ম-সূত্রে আবদ্ধ হয়ে আছে এবং এক অপরের পরে আসতে থাকে।


৪.كُلٌّ(কুল্লু) বলতে সূর্য, চন্দ্র, অথবা তার সাথে অন্য নক্ষত্রকেও বুঝানো হয়েছে। সব কিছু নিজ নিজ কক্ষপথে পরিক্রমণ করে, তাদের কারো একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয় না।


B.সূর্য তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলমান। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।" 

(সুরা ইয়াসিন: ৩৮)

 

সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ


১.অতীতে মানুষ ভাবতো পৃথিবী স্থির সূর্য তার চারিদিকে ঘুরছে। পরবর্তীতে কোপার্নিকাস, গ্যালেলিও প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ বর্ণনা করেন যে, সূর্য স্থির পৃথিবী তার চারিদিকে ঘুরছে। তার পর আবিস্কৃত হল অত্যাধুণিক দূরবীণ; মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে গেল, আবিস্কৃত হল মহাবিশ্বের সৃষ্টি সংক্রান্ত নানা তত্ত্ব। 


২.দেখা গেল যে সূর্যকে এতদিন স্থির ভাবা হত তা স্থির না; আপন অক্ষের উপর ঘুরছে। এক অস্বাভাবিক দ্রুতিতে ঘুরছে, হিসেব করে দেখা গেল মাত্র ২৫ দিনে এতবড় দেহটাকে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে আসছে। 


৩.আবার পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে প্রচণ্ড গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে। আপাত দৃষ্টিতে সূর্যের কোন পরিক্রমন গতি না থাকলেও দেখা গেছে যে, সে এক বিশাল কক্ষপথে মহাজাগতিক বস্তু নিলয়ের সাথে আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রকে প্রদক্ষিন করছে। অসীম গতিতে এই কেন্দ্রকে একবার ঘুরে আসতে তার সময় লাগে প্রায় ২৫ কোটি বছর। 


৪.সুর্যের এই নানাবিধ গতি আবিস্কৃত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। 


৫.অথচ পবিত্র কোরআন কি অদ্ভুত গাম্ভীর্যের সাথেই না বর্ণনা করেছে সুর্যের এই গতিশীল প্রক্রিয়া। যেখানে বলা হয়েছে ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলমান’।


৬. ১৪০০ বছর আগে অবতীর্ণ এই বাণী, কি করে বলবেন মানব রচিত? যদি বলেন এ তথ্য নবী মোহান্মদ (সাঃ) এর রচিত (যিনি তা কখনো নিজের বলে দাবী করেন নি), তবে অবশ্যই আজকের এই পরিপক্ক বিজ্ঞানকে অবনত হয়ে বলতে হবে, 'সেই বেদুইন মরুচারী কোন মানব শিশু নয়, নিশ্চয়ই কোন অলৌকিক দূত'।


৭."আফালা ইয়া তাদাব্বারুনাল কুরাআনা আম আলা কুলুবিন আকফালুহা।

(৪৭,নং সূরা মুহাম্মদ আয়াত ২৪) অর্থাৎ তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?


উপসংহারঃ

আল্লাহর এ সকল নিদর্শন থেকে ঈমানকে মজবুত করি, করার চেষ্টা করি,নাস্তিকতার ভীড়ে হতাশ না হই। 

হে আল্লাহ! হে আমাদের রব ! আমাদেরকে সত্য অনুধাবণ করার তাওফিক দান করুন।আমিন।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কোন মন্তব্য নেই:

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...