এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কেমন ছিলো হাজার বছর আগে আমাদের বাংলা ভাষা,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রারম্ভে যদি পিছে তাকিয়ে দেখি কেমন ছিলো হাজার বছর আগে আমাদের বাংলা ভাষা? 


ছবি: নওগাঁ জেলার মঙ্গলবাড়ির ভীমের পান্টির গায়ে এগারোশ বছর আগে লেখা বাণীসমূহ। বাংলার আদি কোন লিপিতে লেখা। হ্যাঁ এটাও বাংলায়। পড়তে পারছেন কি? পারার কথা না! 


(এই ব্যাপারে বিস্তারিত অন্য পোষ্টে আছে। 'Apu Nazrul ভীমের পান্টি' লিখে সার্চ দিলেই পাবেন)


এবার দেখুন হাজার বছর আগে লেখা চর্যাপদের একটি বাংলা কবিতায় এক দুঃখী কবি তার সংসারের নিত্য অভাবের ছবি কিভাবে এঁকেছেনঃ


"টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী

হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী

বেঙ্গ সংসার বডহিল জাএ 

দুহিল দুধ কি বেন্তে ষামায়।"


কবি বলেছেন, টিলার উপরে তাঁর ঘর, সেখানে কোনো প্রতিবেশী নাই। হাঁড়িতে ভাত নাই, প্রতিদিন উপোস করেন। ব্যাঙ এর মতো সংসার বাড়ছে, দুধ দোয়ানো হয়েছে, কিন্তু লাভ নাই। দোয়ানো দুধ আবার যেন ফিরে যাচ্ছে গাভীর বাঁটে।


বুঝা গেলো তখনকার জনবিরল বাংলার তূলনামূলক নিরাপদ স্থান টিলার উপর ঘর বাঁধা কবির জীবনে একাকীত্বও ছিলো দু:খের অন্যতম উৎস। অভাবী কবির লেখা বলছে তখনও ভাতই ছিলো বাঙ্গালীর প্রধান খাদ্য কিন্তু তাও কবির নিয়মিত জুটতোনা। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচলন ছিলোনা তার উপর চিত্তবিনোদনের অভাব, কবি তাই সারাবছর খালি পেটে টিলার উপরে বসে বসে কবিতা লিখেন আর বছর বছর ব্যাঙ এর মত সংসারের সাইজ বাড়ান। লাষ্ট লাইনটা আমার কাছে মেটাফোর বা রূপক মনে হয়েছে। এমন আলসে লোকের গরু-গাভী থাকার কথা না। থাকলেও বাঘের পেটে যাবার কথা! 


এই যখন অবস্থা এরই মধ্যে ধরুন আপনি হঠাৎ টাইম মেশিনে চেপে চলে গেলেন হাজার বছর আগের বাংলায়। আপনার মাথাটা কিন্তু ২০২৩ সালের। ঢাকা শহর না কিন্তু; কারণ হাজার বছর আগে ঢাকা শহর এখন যেখানটায় সেখানটায় জলাভূমিতে পূর্ণ অসংখ্য এঁদো ডোবা ভিন্ন কিছু ছিলোনা। তাই হয়তো গেলেন প্লাইস্টোসিন যুগে গড়া রাঢ়, হরিকেল, পুন্ড্র, ত্রিপুরা বা বরেন্দ্রের কোথাও। রাস্তাঘাটে হাটছেন, দূরে দূরে শন-বাঁশ আর খড়ের ঘরবাড়ি। চারপাশে কদাচিৎ দু-চারটা লেংটি পড়া লোকজন চোখে পড়ছে। (লুঙ্গি আমাদের আদি পোষাক নয়, আমাদের আদি পোষাক গামছা আর লেংটি) সবার মাথায় সবার তেল চুপচুপে বাবড়ি চুল বা টিকিভাসা চকচকে টাক। শাড়ি কাপড় প্যাচানো ভদ্রমহিলা থেকে শুরু করে সে যুগের মাতারী কারোরই কাঁচুলী বা ব্লাউজ নাই। থাকবে কেমনে? এসবের আমদানী হলো এই সেদিন। আধুনিক পোষাক পরা আপনি নিজের দিকে তাকান একবার, কত বেমানান আপনি! এইবার গেলেন কথা বলতে, দুই লাইনও বুঝবেন না। ভাষা কিন্তু বাংলাই! লিখে বুঝাবেন? কই লিখবেন? কিসে লিখবেন? এত সহজ না! কলম-কালি-কাগজ সে যুগে এত "সস্তা" না! ধরলাম মাটিতে কাঠি দিয়াই আঁকলেন! কেউ বুঝবেনা। লেখার ধাচ হাজার বছরে পালটে গেছে খোলনলচে! ইন দ্যা মিনটাইম কাঁচারীর থ্রুতে রাজদরবারে খবর চলে গেছে অদ্ভুত এক চিড়িয়ার আগমণের। কোটাল এলো পাইক-পেয়াদা-বরকন্দাজসমেত। এরপর আপনি বিদেশী স্পাই কোটায় শুলে চড়বেন না হাতির পায়ের তলে যাবেন নাকি দরবারের মন জয় করে সভাসদ হয়ে সাতমহলা প্রাসাদে হেরেম খুলে বসবেন তার কল্পনার ভার নাহয় আপনার উপরই ছেড়ে দিলাম!


(লেখাটা ৭ বছর আগের। রিপিট করার কারণ দুটো। এক কাল একুশে ফেব্রুয়ারী। দুই পরশু রাতে যা মন চায় তা ট্রিপে যাচ্ছি নওগাঁ। এই ভীমের পান্টির সাথে দেখবো বারো শিবালয়, জগদ্দল বিহার, আগ্রাদিগুন, দিব্যকের স্তম্ভ সহ আরো অনেক কিছু। লিংক কমেন্টে)



কোন মন্তব্য নেই:

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...