আজকাল নিয়ম করে মাইল চার হাঁটি।
শরীর চর্চা নয়—
ওরকম বিলাসিতা করার সুযোগ
আমাদের জীবনে তেমন আসে না৷
হাঁটি, কারণ আমার কিছু টাকা জমানো দরকার।
অফিসের উল্টোপাশে—
বাবু ভাইয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়
খুব চমৎকার একটা বিরিয়ানি হয়।
লাঞ্চ আওয়ারে কলিগেরা সব
আয়েশ করে খেতে যায়।
আমাকেও ডাকে
আমি নানান ছুঁতো দেখাই;
খুব খেতে ইচ্ছে করে, কিন্ত—
আমার যে কিছু টাকা জমানো দরকার।
ডিসেম্বর মাস আসলেই বেড়ে যায়
বুকের ধড়ফড়ানি;
ছেলের স্কুলের বন্ধুরা বেড়াতে যাবে
কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন অথবা সাজেক।
ছেলেটা আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়।
খুব খারাপ লাগে,
তবু দু’হাজার টাকা বের করে দিতে পারি না।
আমাকে কিছু টাকা জমাতে হয়।
বাবা তো মারা গেছেন
মাস শেষে তার পেনশানের টাকাটা
বেশ কাজে দেয়।
মাসে অন্তত দু’বার গোশতো খাওয়া হয়।
আজকাল—
সেই টাকাতেও আর হাত দিই না৷
মুখ বুজে ফেলে রাখি বিছানার নিচে।
আমি জানি— আমাকে কিছু টাকা জমাতে হবে।
মদিনা যাওয়ার আমার বড় শখ!
তাই অল্প অল্প জমাতে থাকি টাকা
আস্তে আস্তে বাড়ে আমার সঞ্চয়—
অনেক চাপা কষ্ট, দুঃখ আর সংগ্রামের পরে।
স্বপ্ন তো আকাশছোঁয়ার—
কিন্তু সঞ্চয় যে ভারি স্বল্প!
কেউ কি জানো—
ঠিক কতো টাকা হলে মদিনা যাওয়া যায়?
©
![]() |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন