এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

পঞ্চানন মণ্ডল ।। বিজ্ঞানকথা ।।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সে এক সময় ছিল যখন মানুষের  হাতে হাতে দামী ক্যামেরা লাগানো স্মার্টফোন ছিল না বা হাতে ডিজিটাল DSLR ছিল না।সত্তর,আশি বা নব্বইয়ের দশকে ভারতবর্ষে পরিবারের সবাই মিলে দল বেঁধে স্টুডিওতে ছবি তুলতে যাচ্ছে এ দৃশ্য  হামেশাই চোখে পড়ত। যাদের অর্থ প্রতিপত্তি ছিল তারা ক্যামেরাম্যানকে বাড়িতে ডেকে ফ্যামিলি ফটো তুলত। এখন ডিজিটাল ক্যামেরা, স্মার্টফোন  সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় সে দৃশ্য আর চোখে পড়ে না।উল্টে পুজো পার্বনে উৎসবে অনুষ্ঠানে স্মার্টফোন আর ক্যামেরার মুহুর্মুহু ফ্লাসের আলো চোখে লাগে।  যার খুশি যখন খুশি  ইচ্ছে হলেই ক্লিক ক্লিকে সেই মূহুর্ত ক্যামেরা বন্দি। 


কিন্তু যদি আমরা ফ্ল্যাসব্যাকে একশ বছরের বেশি পিছিয়ে যাই ,তখন বিশ্বের চিত্রটা সম্পূর্ণ বিপরীত। তখন সবেমাত্র আবিষ্কার হয়েছে ছবি তোলার ফিল্ম। আর নিজের বা পরিবারের জীবনের অমূল্য মূহুর্ত বা স্মৃতি  বন্দি করতে হতো যথেষ্ট মূল্য দিয়ে।ক্যামেরায় ছবি তোলা ছিল এক আভিজাত্যের ব্যাপার। অনেকের কাছে তা স্বপ্ন। 


সেটা ১৮৮৮ সাল। এক  মার্কিন উদ্ভাবক জর্জ ইস্টম্যান যখন প্রথম বহনযোগ্য রোল ফিল্ম দেওয়া  ‘কোডাক’ ক্যামেরা বাজারে আনলেন, তখন তার দাম ছিল ২৫ ডলার। এতে প্রায় ১০০ ছবি তোলার মতো ফিল্ম থাকত।তার বিজ্ঞাপন ছিল  You press the button, we do the rest" ।১৮৮৯ সালে তিনি এই ক্যামেরার জন্য film stock নিয়ে এলেন আর ১৮৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ভাবে এই film stock সরবরাহের ব্যবসা শুরু করলেন। ইস্টম্যানের এই কোডাক ক্যামেরা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে বহনযোগ্য হলেও বেশ বড় ট্রাইপডের ওপর বসাতে হত ক্যামেরাটিকে। আর ফিল্ম শেষ হলে ছবি বানাতে ক্যামেরাসমেত পুরো সেটটিকেই পাঠাতে হত কোডাকের ল্যাবরেটরিতে। ফলে ছবি তোলাটা যেমন পরিণত হয়েছিল ধনীদের শখে, তেমনি সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এটি ছিল অনুপযুক্ত।তাই ইস্টম্যান এই ক্যামেরার উন্নতিতে মনোনিবেশ করলেন। 


১৯০০ সালে ক্যামেরা শিল্পে যুগান্তকারী এক বিপ্লব ঘটিয়ে ফেললেন জর্জ ইস্টম্যান। ছোটখাটো আকারের  সত্যিকারের বহনযোগ্য এক ক্যামেরাই তৈরি করে ফেললেন তিনি। এর নাম দেওয়া হল ‘ব্রাউনি’। কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি সেই ক্যামেরাটিই প্রথম সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ছবি তোলার স্বপ্নকে সত্যি করেছিল । ফিল্মসহ ক্যামেরাটির দাম ছিল মাত্র এক ডলার! আর ফিল্ম থেকে ছবি বানাতে খরচ হত আরও দুই ডলার।


রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. মাইকেল পিচার্ডের মতে এই ক্যামেরাটিই বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে সহায়তা করেছিল। ‘এর দাম ছিল মাত্র এক 8ডলার। অর্থাৎ নিজের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোকে অক্ষয় করে রাখতে খরচ ছিল তুলনামূলক অনেক কম। ক্যামেরাটি চালাতে কোন বিশেষ প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন হত না। একটি শিশুও এটি চালাতে পারত। এই স্বল্পমূল্য ও সহজ ব্যবহার পদ্ধতির  কারণেই ব্রাউনি ক্যামেরা মানুষের মাঝে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল’।


কালের বিবর্তনে আজ দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে ব্রাউনি ক্যামেরা । যদিও বিশ্বের কোথাও কোথাও এখনও ব্যবহার হয় এই ক্যামেরা ।আর এই ক্যামেরার এন্টিক মূল্যো নেহাত কম নয়।  

মানুষের জীবনের নানা মুহুর্ত ও স্মৃতি বন্দি করার যাদুকরের আজ প্রয়াণ দিবস। ১৯৩২ সালের ১৪ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়

জর্জ ইস্টমানের জন্ম ১৮৫৪ সালের ১২  জুলাই নিউইয়র্কে। 

আজ ১৪ মার্চ দিনটি পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকজন  প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকের সাথে সম্পর্কিত।তাদের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় আজ আলবার্ট আইনস্টাইন এর জন্মদিন,  স্টিভেন হকিং ও জর্জ ইস্টম্যান এর মৃত্যুদিন।  

এদের সবাইকে অসীম শ্রদ্ধা জানাই।

✍পঞ্চানন মণ্ডল ।। বিজ্ঞানকথা ।।


কোন মন্তব্য নেই:

নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন।  নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন।  মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে...