রাজনৈতিক ও সমাজ সংস্কারের কাজে তিনি গানকে অতীব গুরুত্ব দিয়া থাকেন। তাঁহার সম্মেলন কিংবা সভায় গান বরাবরই থাকিত। প্রায়ই তিনি প্রখ্যাত গায়ক মুকুন্দ দাসের কথা বলিয়া থাকেন। মাইক ছাড়া তিনি গান গাহিতেন। লক্ষাধিক লোক রাতভর একঠাঁই বসিয়া মুকুন্দের গান শুনিয়াছে। হুজুর কবিগানের খুব সমঝদার। কবিয়াল রমেশ শীলের কথা বলিয়া তিনি গর্ববোধ করিয়া থাকেন। ভাষা আন্দোলনে নূরুল আমীনের গুলি ছোঁড়া কিংবা তাহার আমলে লবণের ক্রাইসিস পত্র-পত্রিকায় জোর প্রচার হইলেও এই দেশের শতকরা ৯০জন নিরক্ষর মানুষ ঘটনা প্রবাহের আলোকে রচিত গানে গানে প্রভাবিত হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে একটি গানের কথা হুজুর খুব বলেন। একদিন তিনি বগুড়া জেলার কোন এলাকায় কৃত্রিম পালকি দিয়া যাইতেছিলেন। ক্ষেতের কামলারা গান গাহিতেছিল- হায় রে! ইংরেজ আমলে পায়ে গুলি মারিত। নূরুল আমিনের আমলে বুকে গুলে মারিল। হুজুর খোলা পালকি থামাইয়া পুরা গানটি শুনিয়াছিলেন।
[আমার ভালোবাসা মওলানা ভাসানী, সৈয়দ ইরফানুল বারী]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন