পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ বললে অনেকেই বলতে পারবেন সেই দেশের নাম। কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে পৃথিবীর সবথেকে ছোট দেশের নাম কি ? অনেকেই হয়তো বলতে পারবেন আবার অনেকেরই এ উত্তর অজানা। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আজকের পর্বে আসুন জেনে নিই পৃথিবীর পাঁচটি ছোট দেশের সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
আমাদের আজকের এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে::--
৩. নাউরু ( Nauru)
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নাউরু অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে অবস্থিত মাত্র ২১ বর্গ কিলোমিটারের একটি ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্রও বলা যেতে পারে এটিকে। এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্র। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে কম জনবহুল দেশের মাঝে এটি দ্বিতীয় জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
নাউরু ফসফেট নামক খনিজে সমৃদ্ধ। ওশেনিয়া অঞ্চলের এই দেশকে প্রথম প্রথম অনেকে অস্ট্রেলিয়ার কোনো দ্বীপ বলেই মনে করতেন। তবে নাউরু কিন্তু স্বাধীন একটি দেশ। সবথেকে মজার ব্যাপার এই দেশটির নিজস্ব কোনো রাজধানী শহর নেই।
১৯০৭ সাল থেকে এখানকার অর্থনীতির প্রধান আয় আসে ফসফেট খনিজ আকরিক আহরণ করার মাধ্যমে। তবে বর্তমানে খনিজ ফসফেট প্রায় শেষ হয়ে এসেছে আর এ কারণের এই ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়ে চলেছে।
ভাবতে অবাক লাগে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ জনগণকে চাকরি দিয়েছে সরকার। বাকি সবাই প্রায় বেকার। দেশটি ছোট হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্থূলকায় মানুষের দেশ হিসেবেও প্রথমেই আসে এই নাউরুর নাম।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এ দেশটিতে কোন সংবাদপত্র প্রকাশ করা হয় না। দেশের মোট জনসংখ্যার বেশির ভাগই অস্ট্রেলিয়। এদেশের জনসংখ্যার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের সমুদ্রের মাছ ধরা অন্যতম প্রধান জীবিকার মধ্যে পড়ে।
এত অল্প জনসংখ্যা হওয়া সত্ত্বেও এদেশের মানুষের মধ্যে দক্ষতার অভাব নেই। কম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও এই দেশটি কমনওয়েলথ এবং অলিম্পিক গেমস্-এ অংশগ্রহণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই দেশের সরকারি মুদ্রা অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং এই অঞ্চলের অধিবাসীদের বলা হয় নাউরুয়ান।
এত কম জনসংখ্যা সত্ত্বেও এখানে একটি ছোট বিমানবন্দর রয়েছে। যার নাম 'নাউরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর'। এখানকার অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা কোনও ধর্ম মানেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন