হুগলি জেলার নাম-মাহাত্ম্য
******************************************
যেকোনো স্থানের নাম ওই স্থান বা বৃহত্তর অঞ্চলের মানব ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে৷ আবার, নামের উৎপত্তি নিয়েও নানা বৈচিত্র্য রয়েছে। কখনও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, কখনও স্থানীয় ঘটনা, ধর্ম-দেবতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিখ্যাত জিনিসের নামেই অধিকাংশ স্থানের নামকরণ হয়েছে। তাই, নামকরণ শুধুমাত্র পরিচয়জ্ঞাপক শব্দরাজি নয়, যেকোনো স্থানের নামকরণের উৎপত্তি, সেই স্থান/অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে৷
আজ আমরা আলোচনা করব আমাদের প্রিয় জেলা হুগলির নামকরণ কিভাবে হয়েছে৷
'হুগলি' নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রধানত দুটি মত প্রচলিত রয়েছে। ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের মতে, ষোড়শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগিজ বণিকেরা সপ্তগ্রাম থেকে সরে এসে বর্তমান হুগলি অঞ্চলে পণ্য মজুত করার জন্য গুদাম বা গোলা তৈরি করেছিল। সেই 'গোলা' শব্দ থেকেই 'হুগলি' নামটির উৎপত্তি হয়েছে। তাঁর মতে, পর্তুগিজদের ভাষায় 'ও-গোলিম'/'ও-গোলি' কথাটিই বাঙালিদের উচ্চারণে 'হুগলি'-তে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পর্তুগিজ আগমনের পূর্বেই, ১৪৯৫-৯৬ সালে রচিত বিপ্রদাস পিপলাই-এর মনসাবিজয় কাব্যগ্রন্থে 'হুগলি' নামটি পাওয়া যায়, যা উপরোক্ত মতকে প্রতিষ্ঠা করেনা। পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মতেও, হুগলি নামটি পর্তুগিজদের দেওয়া নয়৷ তবে, শম্ভুচন্দ্র দে-এর মতে, ভাগীরথী (গঙ্গা) তীরবর্তী এই অঞ্চলে প্রচুর হোগলা গাছ ছিল। এই হোগলা গাছ থেকেই নদী ও এলাকার নাম হয়েছে হুগলি। হুগলি নামটিই পর্তুগিজদের বিকৃত উচ্চারণে 'ও-গোলি', ও-গোলিম', 'হোয়েগলি' ইত্যাদিতে পরিণত হয়েছিল।
এরকম আরো ভালো পোস্টের জন্য পেজটিকে ফলো করে রাখুন ,জনস্বার্থে শেয়ার করবেন ,আর নুতুন কোন্ বিষয়ের উপর পোস্ট চান কমেন্ট করে জানান
![]() |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন