এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২০-১০-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২০-১০-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ অনুষ্ঠিত - প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের তথ্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার গণবিজ্ঞপ্তি জারি।


প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বেই দেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ হবে - বললেন আইন উপদেষ্টা।


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের ওপর শ্রম উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।


অবকাশকালীন ছুটি শেষে আজ পুনরায় বসছে সুপ্রিম কোর্ট - বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকোর্ট বিভাগে ৫৪টি বেঞ্চ গঠন।


গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় নিহত অন্ততঃ ৭৩ জন।


আজ দুবাই-এ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১৯-১০-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৯-১০-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ অনুষ্ঠিত - প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের তথ্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার গণবিজ্ঞপ্তি জারি।


প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বেই দেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ হবে - বললেন আইন উপদেষ্টা।


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের ওপর শ্রম উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।


অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামীকাল পুনরায় বসছে সুপ্রিম কোর্ট - বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকোর্ট বিভাগে ৫৪টি বেঞ্চ গঠন। 


ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা - দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরাইলের।


আগামীকাল দুবাই-এ আইসিসি নারী টি-টোয়ে

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১৭-১০-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৭-১০-২০২৪ খ্রি:।

১৮ তারিখ ফেইসবুক 

আজকের শিরোনাম:…


চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস - জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


সরকারি উদ্যোগের ফলে ডিমের দাম কমেছে ডজনে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।


কুষ্টিয়ায় তিনদিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শেষ হচ্ছে আগামীকাল - ফকির লালন শাহ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী- ১৩৪তম তিরোধান দিবসে বললেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।


হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যার পর প্রতিশোধের অঙ্গীকার জোরদার হবে

- মন্তব্য ইরানের


শারজায় আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোকাবিলা করছে নিউজিল্যান্ড।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ১৮-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ১৮-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।


 বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা সহায়তা দেবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।


ঈদুল আযহায় ৬ দিন, ঈদুল ফিতরে ৫ দিন এবং দুর্গাপূজায় ২ দিনের ছুটির ব্যবস্থা রেখে আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন।


রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির।


স্ত্রীসহ সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা।


গাজায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি ইসরাইলের।


দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা - আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ১৭-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ১৭-১০-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম:

৮টি জাতীয় দিবস বাতিল করেছে উপদেষ্টা পরিষদ - এ বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের পরিপত্র জারি। 

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা । 

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করেছে সরকার। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ শুরু হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার । 

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

ইউক্রেনের জন্য ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমরাস্ত্র প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আজ দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

মানুষের জীবনে মুভি দারুণ প্রভাব ফেলে। মুভি আপনাকে হাসাবে, কাদাবে,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো- মানুষের জীবনে মুভি দারুণ প্রভাব ফেলে। মুভি আপনাকে হাসাবে, কাদাবে, 

আ ত্ম হ ত্যা থেকে ফিরিয়ে আনবে, নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে..


✅ আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে? আপনার জন্য..

Its a wonderful life

Shawshank Redemption

Life is Beautiful


✅ জীবনসঙ্গী খুজতে চান? আপনি দেখুন..

Midnight in Paris

Mucise

Vivah


✅ মনকে আবিস্কার করতে চান? দেখুন

তিতলী

বাড়িওয়ালী

অপরিচিত

Raincoat


✅ জীবনে হারতে হারতে ক্লান্ত? দেখুন...

Revenant

Fall

Survival Family


✅ ভাংচুর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে? দেখুন-

Dilwale Dulhaniya Le jayenge 

Mohabbatein

Before Sunrise

The Notebook


✅ স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি লাইফ মিস করছেন? দেখুন...

96

Three Idiots

Chichoree


✅ তুমুল প্রতিশোধপরায়ন মুভি দেখতে চান? দেখুন...

No Mercy

City of God

Orphan (সাইকো থ্রিলার)


✅ ব্যক্তিত্ব কাকে বলে জানতে চান? দেখুন...

অগ্নীশ্বর


✅ আপনি মেডিকেল প্রফেশনাল হলে দেখুন-

সাগরিকা

সপ্তপদী

অগ্নীশ্বর


✅ শিক্ষকতা ভাল লাগলে দেখুন...

Dead Poet Society

Madam Gita Rani

Tare Zamin par


✅ মুভির কল্পনায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে? দেখুন.. 

Apocalypto

Perfume


✅ আপনার বিদ্রোহ মন যুদ্ধ সংঘাত পছন্দ করে? দেখুন...

Braveheart

Troy


✅ টাইম ট্রাভেলে (ব্যাকওয়ার্ড) হারিয়ে যেতে চান? দেখুন...

Casablanca

Lagaan


✅ আপনি চেইন অব কমান্ড পছন্দ করেন? দেখুন...

Down*fall


✅ পোষাপ্রাণী পছন্দ করেন? আপনার জন্য..

Hachi

Charlie 777


✅  রাতে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, ভয়ের ফিল নিতে চান? দেখুন...

Woh Kaun Thi


✅ এনিমেশন ভাল লাগে? দেখুন...

Coco

Finding Nimo

Up


✅ মুসলিম কালচার মুভি দেখতে চাইলে...

Children of Heaven

The messege

Baren


✅ ২য় বি*শ্ব*যু*দ্ধ নিয়ে মুভি দেখতে চাইলে..

The Pianist 

Parl Harbour

Down*fall


✅ বাংলা ভাল সিনেমা নাই মনে হলে, দেখুন...

সীমানা পেরিয়ে

সূর্যকন্যা

মেঘের অনেক রঙ

আয়নাবাজি


আপাতত আর মনে পড়ছে না। এরপর মনে পড়লে..

আরও ক্যাটাগরি ও চলচ্চিত্রের নাম যুক্ত করবো।

মুভি লাভার হলে পোস্টটি শেয়ার করে রাখুন 🙂

রাত ৮টা ৩০মিনিটের সংবাদ তারিখ ১৬-১০-২০২৪

 রাত ৮টা ৩০মিনিটের সংবাদ

তারিখ ১৬-১০-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


৮টি জাতীয় দিবস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ ৷


       


বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ।


      


গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে আজ ।


      


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আগামীকাল শুরু হচ্ছে জুলাই-আগস্ট   গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার ।


      


সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।


      


উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে কমপক্ষে একশো চার জন নিহত।


       


এবং আগামীকাল দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে  আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল।

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১৫-১০-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৫-১০-২০২৪ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:…


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ --- পাসের হার ৭৭ দশমিক সাত-আট শতাংশ।


     


বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার --- বললেন, দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।


     


রাজধানীর ২০টি স্থানে ভর্তুকি মূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সব্জি বিক্রি শুরু।


      


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার শুরু আগামী বৃহস্পতিবার।


     


ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর আজ চালু হলো মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন।


      


বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী সংস্কার বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে --- বলেছে বিশ্বব্যাংক।


      


লেবাননে ইসরাইলি হামলায় গত তিন সপ্তাহে বাস্তুহারা হয়েছে চার লাখের বেশি শিশু।


      


এবং বরখাস্ত হলেন বাংলাদেশের প্রধান ক্রিকেট কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে --- অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হচ্ছেন ফিল সিমন্স।

বাংলা সাহিত্যে তখন একপ্রকার চাঁদের হাট। বনফুল,শিব মৈত্র,পরিমল গোস্বামীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সখ্য।,,, ধ্রুবতারার খোজে ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাংলা সাহিত্যে তখন একপ্রকার চাঁদের হাট। বনফুল,শিব মৈত্র,পরিমল গোস্বামীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সখ্য।

বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী বনফুল মাঝে - মাঝেই অপরিচিত লোকের সাথে বন্ধুত্ব করার নেশায় মেতে উঠতেন । ঠিক তেমন অসহায়, অপরিচিত গরীব মানুষের চিকিৎসা করা, তাঁর ওষুধ,পথ্যের সব খরচ সব নিজের পকেট থেকেই দিতেন।যেমন কণ্ঠস্বর ,তেমন চেহারা ,ব্যক্তিত্ব সর্বত্র বনফুল সত্যিই ব্যতিক্রমী বিরল এক চরিত্র। যিনি মেসের বন্ধুর খাওয়ার জন্য বিনা দ্বিধায় অপরিচিত মানুষের বাড়ি থেকে ভাত চেয়ে আনতে পারেন। তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা ভদ্রলোক কে নিঃসঙ্কোচে বলে দিতে পারেন এখন বিয়ে করবেন না।আর বিয়ে করতে চাইলে কনের নাক ক ইঞ্চি বা চামড়া কেমন দেখবেন না,যদি দেখতেই হয় তাহলে ব্লাড স্পিউটাম ইউরিন রিপোর্ট দেখবেন।

©  ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


ইংরেজি ক্যালেণ্ডারে ১৯২৮সাল, হ্যারিসন রোড দিয়ে হাঁটছেন  বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। তখন প্রায় রাত এগারোটা,হঠাৎ বনফুলের মাথায় অদ্ভুত একটা বুদ্ধি খেলল। তাঁর পায়ে দামী জুতো,চট করে জুতো জোড়া খুলে একটা দোকানের দরজায় রেখে দিলেন।সঙ্গী বন্ধু পরিমল গোস্বামী কে বললেন দেখা যাক চুরি হয় কিনা। পরিমল বললেন চুরি তো হবেই,তবু বনফুল পরীক্ষা করবেন। বললেন সকাল বেলা এসে দেখবেন।

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল,খালি পায়ে দোকানে এসে বনফুল দেখলেন তাঁর দামী জুতো জোড়া সত্যিই চুরি হয়েছে।হয়ত সেদিন ওই পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন ছিল না।


একবার তিন বন্ধুর খেয়াল চাপল কলকাতার বাইরে থেকে ঘুরে আসা যাক। তিন বন্ধু বনফুল,শিব মৈত্র,পরিমল গোস্বামী শিয়ালদহ এলে সব পয়সা এক জায়গায় করে বনফুলের হাতে তুলে দেওয়া হল। তিনি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে বললেন 'দাদা তিন খানা রিটার্ন টিকিট দিন '। কোথাকার?বনফুল বললেন 'তিতোবিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছি দাদা,যে কোন স্টেশনে দিন, আটকাবে না কিছু '।


কাউন্টার থেকে তিনটি কাঁচরাপাড়ার টিকিট পাওয়া গেল। ট্রেনে এক ভদ্রলোকের সাথে আলাপ জমে উঠেছে, তিনি কাঁচরাপাড়া যাবেন। বনফুল তাঁর সঙ্গে রীতিমত ভাব জমিয়ে দাদা বলতে লাগলেন, এরপর প্রস্তাব দিলেন তাঁর বাড়িতে গিয়ে বৌদির হাতে রান্না খেয়ে অন্যকথা। ভদ্রলোক বেশ বিপদে পড়লেন। তিনি যত অন্যপ্রসঙ্গে যেতে চান বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের তত তাঁর ও সহধর্মিণীর কথা বলতে থাকেন। কাঁচরাপাড়ায় নেমে তিন বন্ধু পথ চলতে আরম্ভ করলে ভদ্রলোক নানা ভাবে তাদের নিরুৎসাহ করতে থাকেন।

বললেন 'রাত্রি বেশি হলে ফেরবার আর গাড়ি পাবেন না, আপনাদের ভীষণ কষ্ট হবে,আপনারা সত্যি আসবেন না,আমার বাড়ি এখান থেকে চার মাইল 'ইত্যাদি। সত্যি বলতে নিছক মজা করতে তিন বন্ধু তাঁর সঙ্গে মাইল খানেক গিয়েছিলেন। এই হলেন বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী মানুষ বনফুল। বোধহয় সেই কারণে তাঁর লেখায় এত বৈচিত্র্য,এত মিষ্টতা,এত চমকপ্রদ, পাঠককে ক্লান্ত হতে হয় না।।

সংকলনে ✍🏻 অরুণাভ সেন।।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে


#balaichandmukherjee 

#litterature 

#untoldstories 

#dhrubotaraderkhonje


পুস্তক ঋণ  ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার,স্মৃতি চিত্রণ,পরিমল গোস্বামী



সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

আমি বই পড়ছিলাম, আমার চার বছরের ছোট্ট মেয়েটা বারান্দায় খেলনা হাঁড়িপাতিলে রান্না করছে,,,,,, ফেইসবুক গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমি বই পড়ছিলাম, আমার চার বছরের ছোট্ট মেয়েটা বারান্দায় খেলনা হাঁড়িপাতিলে রান্না করছে। হঠাৎ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, বাবা, চা খাবে?


চা খাবার বদ অভ্যেসটা আমার বেশ পুরনো! আমি ওর খেলনার বাটিতে চুমুক দিয়ে তৃপ্তি পাবার অভিনয় করে বললাম, খুব ভালো হয়েছে মা।

- আর এককাপ খাবে?

- না মা! আমি পড়াশোনা করছি।

- তাইলে নিডো খাও! শক্তি হবে!


আমি ওর দিকে তাকালাম। আমাকে নিয়ে এমন চিন্তিত চেহারায় আমার গর্ভধারিণী মায়ের পর আর কাউকে দেখেছি বলে মনে পড়ে না! হাত বাড়িয়ে বুকে টেনে নিলাম। ঘাড়ে মাথা দিয়ে ও চুপ করে শুয়ে আছে, ওর মাথার ঘ্রাণটা আমার চোখে পানি এনে দিচ্ছে! আহা মা! আহা বন্ধন! মাঝে মাঝেই আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। সব কন্যার বাবাই হয়তো আমার মতো লুকিয়ে কাঁদে।


আমার বিয়ের সময় বিদায়বেলায় আমার শ্বশুর তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কেঁদেছিলেন। আমার হাত চেপে ধরে বলেছিলেন, মেয়েটা আমার বড্ডো আদরের, ও কোনো ভুল করলে আমাকে বলবে বাবা, বকাঝকা করো না।

আমিও সুবোধ বালকের মতো মাথা নেড়ে বলেছিলাম, অবশ্যই বাবা!


আমি ওয়াদা রাখিনি। সংসার জীবনের পথ পরিক্রমায় আমি আরেকজনের কন্যাকে কাঁদিয়েছি, বকাঝকাও করেছি! আমি জানি আমার স্ত্রী এগুলো মনে রাখে না। সে এখন একমাত্র আমার সংসার নিয়েই চিন্তিত, এর বাইরে তার মাথায় কিছু কাজ করে না! তার বাবার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সে তৈরি করেছে আলাদা এক বৃত্তের বলয়। সেই বৃত্তের কেন্দ্রে শুধুই আমার দুই সন্তান আর প্রচন্ড ব্যস্ত আমি। তার পৃথিবীটা আজ শুধুমাত্র আমাদেরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। ভাবলে অবাক লাগে, কী আত্মত্যাগটাই না একজন নারী করে তার সংসারের জন্য!


আমার ছোট্ট মেয়েটাও একদিন হয়তো আমাকে কাঁদিয়ে আরেক বৃত্তে চলে যাবে! আমাকেও হয়তো আরেক যুবকের হাত ধরে সেই একই কথার পুণরাবৃত্তিই করতে হবে! আমি চাই না আমার ব্যর্থতা আমার কন্যাসন্তানকে স্পর্শ করুক! আমি ক্ষমাপ্রার্থী আর অনুতপ্ত কথা রাখতে না পারার জন্য।


কন্যার পিতা হওয়া অনেক কষ্টের। কতটুকু কষ্টের সেটা কন্যাসন্তানের পিতা হবার পূর্বে অনুভূত হয় না। আমার চোখের কোণায় পানি গাঢ় হচ্ছে, আমার ছোট্ট মেয়েটা খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে, ভ্রু কুঁচকে পড়ার চেষ্টা করছে এক অপরাধীর জবানবন্দি। ওর চোখেও জল! কি জানি! মেয়েরাই হয়তো বাবার অনুভূতি পড়তে পারে, সৃষ্টিকর্তা মেয়েদেরকে বাবার অনুভূতি পড়তে পারার এক অদ্ভুত শক্তি দিয়েই পৃথিবীতে পাঠান।


একজন বাবা তার সন্তানের কাছে কেমন, তা নির্ভর করে তিনি স্বামী হিসেবে তার স্ত্রীর সাথে কেমন আচরণ করছেন তার উপর। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বাবাকে দেখে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করলে, ভালবাসলে, সন্তানেরাও বাবাকে ভালবাসতে শেখে, শ্রদ্ধা করে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ঘৃণা করলে, সন্তানেরাও তাদের বাবাকে আজীবন ঘৃণার চোখে দেখে।


বাবাদের মূল্যায়ন তার নিজের কাজ দিয়ে হয় না। বরং, মা কিভাবে বাবাকে সন্তানদের সামনে উপস্থাপন করছেন তার আলোকেই নির্ধারিত হয়। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বুঝে নেয়, বাবা কি হিরো নাকি ভিলেন। তাই, একজন ভাল বাবা হওয়ার আগে, একজন ভাল স্বামী হওয়া খুব জরুরী।



বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না,,,,,,,

 " বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা  বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে "  :


পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!


"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"


আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।


দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।


এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।


আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।


একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।


এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।


সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।


বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।


নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।


এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।


একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?


বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।


বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!


এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।


জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।


বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।


আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।


বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?


ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।


আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।


এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।


ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!


দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........


তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন,হাজারো মানুষ সচেতন হবে।



রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ১৩-১৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ১৩-১৯-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের অধিকার বঞ্চিত মানুষদের মুক্ত করেছে --- ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।

         

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।

          

পতিত ফ্যাসিবাদ রাজপথে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি প্রদর্শন করছে উল্লেখ কোরে মিথ্যা তথ্য ও গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।  

       

মা মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গত মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ আহরণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা --- এ সময় ভিজিএফের চাল পাবেন সংশ্লিষ্ট জেলেরা।

      

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে এবছর সর্বোচ্চ নয়জনের মৃত্যু --- হাসপাতালে নতুন ভর্তি নয়শোর বেশি।

  

গাজার মধ্যাঞ্চলে সর্বশেষ ইসরাইলি বিমান হামলায় ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত।

    

এবং হায়দ্রাবাদে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে তিন-শূন্যতে ভারতের সিরিজ জয়।

শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান,,,,,

 📍 °কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত°

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী (Patuakhali) জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata Sea Beach) থেকে একই সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট কুয়াকাটাকে সকল সমুদ্র সৈকত থেকে অনন্য করেছে। পরিচ্ছন্ন বেলাভূমি, অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত, দিগন্তজোড়া সুনীল আকাশ এবং ম্যানগ্রুভ বন কুয়াকাটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত।


✡️ কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান~


কুয়াকাটায় শুধু সমুদ্র সৈকতই নয়, এখানে দেখার মতো আছে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান। পূর্ব ও পশ্চিমের ঝাউবন, তিন নদীর মোহনা, লেবুর চর, গঙ্গামতির জঙ্গল, লাল কাকড়া দ্বীপও সবুজ অরণ্য উপভোগের সাথে সাথে পাবেন সুন্দরবনের একাংশ দেখার সুযোগ। কিংবা কুয়াকাটার ঐতিহাসিক কুয়া, বৌদ্ধমন্দির কিংবা দুর্গম চর বিজয় অভিযানের জন্যেও কুয়াকাটা বেড়াতে যেতে


পারেন।


✅ শুঁটকি পল্লী: 


জেলে পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারেন। আর কম দামে কিনে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরণের পছন্দের শুঁটকি।


✅ ক্রাব আইল্যান্ড: 


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ধরে পূর্ব দিকে অনেকটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেলে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ খ্যাত জায়গা চোখে পড়ে। এখানে নির্জন সৈকতে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমের সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে ক্রাব আইল্যান্ডে যাবার স্পিড বোটে পাওয়া যায়।


✅ গঙ্গামতির জঙ্গল: 


পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত এসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। আর এই জায়গা থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল শুরু। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি পশুপাখির। অনেকের কাছে এই জঙ্গল গজমতির জঙ্গল হিসাবে পরিচিত।


✅ ফাতরার বন:


 সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে অবস্থিতনদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এ বনের রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় সকল বৈশিষ্ট। এখানে বন মোরগ, বানর, বুনো শুকর ও নানান পাখি পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।


✅ কুয়াকাটার কুয়া: 


কুয়াকাটা নামকরণের পেছনে যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের সাক্ষী কুয়াটি এখনও আছে। এই কুয়াটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়। এপাড়ায় প্রবেশ করতেই প্রাচীন এ কুয়া দেখতে পাবেন।


কথিত আছে ১৭৮৪ সালে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাখাইনরা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপে এসে আশ্রয় নেয়। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তারা এখানে মিষ্টি পানির জন্য কূপ খনন করে সে ঠেকে জায়গাটি ধীরে ধীরে কুয়াকাটা নামে পরিচিত হয়ে উঠে।


✅ সীমা বৌদ্ধ মন্দির: 


কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার একটু সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের অবস্থান। কয়েক বছর আগে কাঠের তৈরি এই মন্দির ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি।


✅ কেরানিপাড়া: 


সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে বেশ দক্ষ এবং তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয়।

মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই,,,,,, মেয়ে থাকলে পড়বেন আশাকরি,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই


দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,

- বাবা, ভিতরে আসো!

বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো

- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”

কিছুটা অবাক হয়ে বললাম

- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো? 

বাবা হেসে বললো,

- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”


রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,

- “বউ মা, কে এসেছে?”

বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো

- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?” 


শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!

হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই! 

বাবাকে বললাম,

- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।

বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো

- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”

কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,

- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে! 


কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!

শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম

- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।

শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”

শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,

- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম… 


শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,

- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”

মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!


রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,

- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন! 


দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো

- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”

বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো

- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!” 

আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম

- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না! 


বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল… 


সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!

একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,

- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”

আমি হেসে বললাম

- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!” 

স্বামী একবার বললো,

- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”

একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,

- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…


২ বছর পর…

আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

 

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,

- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!


আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম

- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”


কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,

 - তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

 

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে! 

অবাক হয়ে বললাম,

- কোথাও যাবে নাকি?

স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,

- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!” 


আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে! 

আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…


সংগৃহীত

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ১২-১০ - ২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ১২-১০ - ২০২৪ খ্রি:।

আজকেরশিরোনাম:-… 


অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগসমূহের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো জাতিসংঘ।

          

বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহা নবমী উদযাপন করছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়।

        

দেশে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি টিম। 

   

নিত্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

       

মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি জেলে হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানালো ঢাকা।

       

৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর দু’বার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলী বাহিনী।

       

এবং আজ হায়দ্রাবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

১৫ রকম ভর্তার রেসিপি

 ❤️১৫ রকম ভর্তার রেসিপি❤️


১)কাচা কলার খোসা ভর্তা___


👉উপকরণ___

২ টি কাঁচা কলার খোসা

৮-১০ কোয়া রসুন

৫-৬ টি কাঁচা লঙ্কা

স্বাদ মত নুন

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

৩-৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল

ফোঁড়নের জন্য

১ টেবিল চামচ কালোজিরা

১-২ টি শুকনো লঙ্কা


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী ____


👉 কাঁচা কলার খোসা সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে কালো জল বেরিয়ে যায়।


👉 তারপর খোসা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।কড়াই এ তেল গরম করে ফোঁড়ন দিন ও মিশ্রন টি ঢেলে দিন।


👉 তারপর নুন হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন।


👉 মাখামাখা হলে নামিয়ে নিন ও গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


২) 🍀👉 টমেটো ও বেগুন ভর্তা____


👉 উপকরণ____


১ টা বেগুন

১ টা টমেটো

২ টা শুকনো লঙ্কা

২ টা কাঁচা লঙ্কা

২ টা পেঁয়াজ কুচি

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল

স্বাদ মত নুন


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে টমেটো ও বেগুন ভালো করে ধুয়ে সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখুন।


👉 টমেটো ও বেগুন গ্যাসে ভালো করে পুড়িয়ে নিন। ভালো করে পরিষ্কার করে একটা পাত্রে রাখুন।


👉 টমেটো ও বেগুন পরিস্কার করে একটা পাত্রে রাখুন। সব উপকরণ একসঙ্গে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন।


👉 বেগুন ও টমেটো এর মধ্যে নুনও সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।


👉 মাখা হলে কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন ।জল শুকিয়ে গেলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন


👉 একটা প্লেটে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


৩) 🍀👉 চিকেন ভর্তা_____


👉 উপকরণ___


২৫০গ্রাম চিকেন

২ টেবিল চামচ টক দই

৬টা কাজু

১ টেবিল চামচ মগজ

১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম

৪টি কাঁচা লঙ্কা

১/২ চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

১/২ চা চামচ চিনি

পরিমাণ মত হলুদ গুঁড়ো

১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো

১/২ চা চামচ জিরে গুঁড়ো

১ চিমটি কসুরি মেথি

১ চা চামচ বাটার

২ টো পেঁয়াজ বাটা

১ চা চামচ রসুন বাটা

১/২ চা চামচ আদা বাটা

১ টা বড় টমেটো বাটা

৫টেবিল চামচ সাদা তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী_____


👉 আদা,রসুন,পেঁয়াজ,টমেটো,কাচা লঙ্কা আলাদা ভাবে পেস্ট করে নিয়েছি।কাজু আর মগজ পেস্ট করে নিয়েছি। চিকেন গুলোকে নুন দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করে নিয়েছি।


👉 সেদ্ধ করা চিকেন গুলো টুকরো করে রেখে কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজ পেস্ট দিয়ে কিছুটা কষিয়ে রসুন,আদা, কাঁচালঙ্কা পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষন কষাতে হবে।


👉 তারপর একে একে হলুদ, জিরেগুঁড়ো,নুন,ধনে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে টমেটো পেস্ট দিয়ে আবার ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।


👉 কষে গেলে চিকেন টুকরোগুলো দিয়ে মগজ বাটা আর আরেকটু চিকেন স্টক দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রেখে দেবো।


👉 তারপর ঢাকনা সরিয়ে কসৌরি মেথি, ফ্রেশ ক্রিম, বাটার দিয়ে একটু নাড়িয়ে নিয়ে ডিমের টুকরোগুলো দিয়ে ৪-৫ মিনিট কম আঁচে রেখে তারপর নামিয়ে নিয়ে উপরে বাটার পরিবেশন করলাম চিকেন ভর্তা


৪) 🍀👉 লোটে শুঁটকির ভর্তা____


৫ টা লটে শুঁটকি

১/২ বেগুন

২ টা পেঁয়াজ

৫ টা কাঁচা পাকা লঙ্কা

৬ কোয়া রসুন

১/২ টেবিল চামচ কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

৩ টেবিল চামচ সাদা তেল

১ টা শুকনো লঙ্কা

১ চা চামচ গোটা জিরে

১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী_____


👉 প্রথমে শুটকি ও সব উপকরণ একসঙ্গে সাজিয়ে রাখুন।


👉 শুটকি পরিস্কার করে নুন দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে জল ঝরিয়ে নিয়ে শুটকি মাছ থেঁতো করে হাফ গুড়ো করে নিন।


👉 বেগুন ধুয়ে কেটে নিন।পেঁয়াজ ও রসুন লঙ্কা সব নিন।বেগুন টা হালকা করে ভেজে নিন।


👉 কড়াই বসিয়ে ফোড়ন দিন।সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন।


👉 কড়াইতে শুটকি ও সব মশলা নুন,হলুদ,লঙ্কা গুড়ো,জিরে গুড়ো সব দিয়ে ভালো কষিয়ে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢেকে রাখুন চুলার আঁচ কম রেখে।


👉 ৩ থেকে ৪ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়ে থাকুন ।নাড়তে নাড়তে সব মিক্স করে দিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে নাড়তে নাড়তে শুটকি একটা মন্ড মতো হয়ে যাবে।তখন চুলার আঁচ বন্ধ  করে দিন।


👉 শুটকি হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


৫) 🍀👉 কালো জিরা ভর্তা___


👉 উপকরণ___


১/২ কাপ কালো জিরা

টি কাঁচা মরিচ ৩

টি শুকনো মরিচ ৩

১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি

টি রুসুন ১

লবণ স্বাদ মতো


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 চুলার আঁচ বাড়িয়ে রেখে একটি প্যানে আধা কাপ পরিমাণ কালোজিরা দিয়ে নাড়তে থাকুন।


👉 কালো জিরার থেকে সুগন্ধ বের না হওয়া পর্যন্ত এটা ভাঁজতে হবে। ভাঁজা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।


👉 এবার প্যানে এক চামচ পরিমাণ তেল গরম করে তিনটি কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে তেলে ঝলসে নিন।


👉 সেইসঙ্গে ৩ টি শুকনো মরিচ বোটা না ছাড়িয়ে ভেঁজে নিন। কালো জিরা ভর্তায় অনেকেই ঝাল বেশি দিয়ে থাকে।


👉 এবার আধা কাপের মতো পেঁয়াজ ও একটি রসুনের কোঁয়া দিয়ে ভেঁজে নিন। এবার একটি মিক্সারে ভাঁজা কালো জিরা ঠান্ডা অবস্থায় ভালো করে গ্রান্ড করে নিন।


👉 তারপর শুকনো মরিচ, ভাজা কাঁচা মরিচ ও ভেঁজে রাখা পেঁয়াজ রসুনগুলো মিক্সারে নিয়ে সঙ্গে গুঁড়ো করা কালো জিরা ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে গ্রান্ড করে নিন।


👉 আপনি চাইলে শিল পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এই ভর্তায় আলাদাভাবে তেল দেয়ার প্রয়োজন দরকার নেই। কারণ কালো জিরায় আলাদা একটা তেল থাকে, আর মসলাগুলো সব তেলে ভেঁজে নেয়া হয়েছে।


👉 এবার হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে ভর্তার ছোট ছোট বল বানিয়ে পরিবেশন করুন। এভাবে খুব সহজেই স্বাস্থ্যসম্মত কালোজিরা ভর্তা তৈরি করে নিতে পারেন।


৬) 🍀👉 নিরামিষ বেগুন ভর্তা_____


👉উপকরণ___


১টি লম্বা সাইজের বেগুন

১টেবিল চামচ সরষের তেল

স্বাদ মত লবণ

১ চা চামচ ধনে পাতা কুচি

১ টা বড়ো সাইজের কাঁচা লঙ্কা

১/২ মাঝারি সাইজের পেয়াঁজ


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে গোটা বেগুন টা খুব ভালো করে ধুয়ে নিন, তারপর বেগুনটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।


👉 গ্যাস ওভেন  মাঝারি আঁচে বেগুন পুড়িয়ে নিন ভালো করে।


👉 তারপর বেগুন পড়ানো হলে অন্য একটি পাত্রে রেখে  পুরো ঠাণ্ডা করে নিন। পোড়া খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে চটকে ভর্তা করে নিন। পেয়াঁজ কুচানো, ধনে পাতা, স্বাদ মতো লবণ ও কাঁচা লঙ্কা কুচিয়ে মাখিয়ে নিন সুন্দর করে।


👉 তাহলেই বেগুন ভর্তা বানানো কমপ্লিট।পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


৭) 🍀👉 ফুলকপির পাতার ভর্তা____


👉 উপকরণ___


৩ মুঠো ফুলকপির পাতা

২ মুঠোর থেকে একটু বেশি কচি মূলোর শাক

৩-৪ টে ধনেপাতার ডাল

৮-৯ টা রসুন কোয়া

৭-৮ টা কাঁচালঙ্কা

১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত লবণ

১/৪ চা চামচ চিনি

১/২ চা চামচ কালোজিরে

৫-৬ টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী _____


👉 সবার আগে কপির পাতা ও মূলোর শাক বেছে নিয়ে একটু ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন। ধনেপাতা গোঁড়া বাদ দিয়ে ধুয়ে নিয়ে সবকিছু জল ঝরিয়ে নিন। বাকি সব হাতের কাছে জোগাড় করে নিবেন।


👉 এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে বেশ কিছুটা জল দিয়ে কুচিয়ে ধুয়ে রাখা কপি পাতা ও মুলোর শাক দিয়ে খুন্তি দিয়ে নেড়ে ঢাকা দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৬/৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন।


👉 ৬ মিনিট পর জল ছেঁকে ঠান্ডা করে নিয়ে কপি পাতা মূলোর শাক রসুন কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা একসঙ্গে গ্রাইন্ডার জারে নিয়ে একদম মিহি পেস্ট করে নিন।


👉 এবার আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে ৩০ সেকেন্ড মতো নাড়াচাড়া করে সুগন্ধি ছাড়লে পাতা ও শাকের পেস্ট টা দিয়ে দিন।


👉 একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ আর চিনি দিয়ে ঢিমে আঁচে রান্না করেছি ততক্ষণ, যতক্ষণ না পাতা পেস্ট থেকে তেল না ছেড়েছে বা কড়াই এর গা ছেড়েছে


👉 কড়াই এর গা ছেড়ে দিলে বা একদম শুকনো শুকনো হয়ে এলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


৮) 🍀👉 মিষ্টি কুমড়া ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১০০ গ্রাম কুমড়ো

১টি কাঁচা পেঁয়াজ

১.৫ চা চামচ সরষের তেল

স্বাদ মত লবণ

১টি কাঁচা লঙ্কা


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 কুমড়ো ছোট টুকরো করে কেটে অল্প নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।


👉 কাঁচা পেঁয়াজ ও লঙ্কা মিহি করে কুচি কুচি করে নিন।


👉 এরপর একটি পাত্রে সেদ্ধ করা কুমড়ো কাঁচা লঙ্কা পেঁয়াজ নুন সর্ষের তেল দিয়ে কুমড়ো ভালো করে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন।


👉 এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন কুমড়োর ভর্তা।


৯) 🍀👉 বেগুন ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১ টা বেগুন

১ টা টমেটো

২ টো কাঁচা মরিচ

১ টা পেঁয়াজ কুচি

১ চা চামচ পাঁচফোড়ন

১/৪ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো

১/৪ চা চামচ আদা রসুন বাটা

১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো

১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন ও চিনি

পরিমাণ মত তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 বেগুন ও টমেটো গায়ে একটু তেল লাগিয়ে গ্যাসের চুলায় ভাল করে পুড়িয়ে নিন।


👉 টমেটো ও বেগুন পড়ানো হলে একটু ঠাণ্ডা হলে, ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবারে একসাথে টমেটো ও বেগুন হাত দিতে মেখে নিন।


👉 তেল গরম করে তাতে পাঁচ ফোড়ন ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভাজুন।


👉 চটকে রাখা বেগুন ও টমেটো  দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভাজুন নুন হলুদ দিয়ে ভেজে মশলা গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।


👉 এবারে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


১০) 🍀👉 লাউ এর পাতার ভর্তা___


👉 উপকরণ___


৫ টা কচি লাউ পাতা

৭কোয়া রসুন

১ চা চামচ কালো জিরে

স্বাদ অনুযায়ী নুন

২ টো শুকনো লঙ্কা

৪ টে কাঁচা লঙ্কা

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে লাউ পাতা ভালো করে ধুয়ে নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন। জল ঝরিয়ে নিয়ে ভালো করে কুচিয়ে নিন।


👉 গ্যাস জ্বালিয়ে একটা কড়াই বসিয়ে গরম হলে তেল দিয়ে ভালো করে কালো জিরে,শুঁকনো লঙ্কা,রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজতে নিন।


👉 রসুন কুচি ও অন্য মসলা ভাজা হলে পাতা দিয়ে একটু নেড়ে ঢেকে রাখুন, জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।


👉 জল শুকিয়ে গেলে স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।


👉 ভাজা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিয়ে, একটু ঠাণ্ডা হলে এবার মিক্সতে পেষ্ট করে নিন।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে আবার একটু তেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।একটা পাত্রে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।


১১) 🍀👉 টমেটো ভর্তা___


👉উপকরণ___


২টো মাঝারি টমেটো

১টা বড় পেঁয়াজ কুচি

২টো কাঁচালঙ্কা কুচি

৪-৫টা রসুনের কোয়া

স্বাদ মত নুন

২ চা চামচ সর্ষের তেল

পরিমাণ মত ধনেপাতা কুচি


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে কেটে রাখা টমেটো আর রসুনের কোয়া গুলো দিয়ে দিন।তারপর ঢাকা দিয়ে ৩-৪মিনিট রাখুন।ঢাকা খুলে আবার একটু উল্টে দিন আরেক দিক।এই ভাবে টমেটো টা সেদ্ধ হলে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।


👉 আবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নিন।আমি এখানে শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করিনি।আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।


👉 এবার টমেটোর মিশ্রন টা দিয়ে নাড়তে থাকুন।স্বাদ মতো নুন ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরী টমেটোর ভর্তা।চটপটা টেস্ট।ভীষন ভালো লাগে।


১২) 🍀👉 মুসুর ডাল ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১ কাপ মুসুর ডাল

১টি ছোটো পেঁয়াজ কুচি

১কোয়া রসুন

১টি শুকনো লংকা

১চা চামচ ধনেপাতা কুচি

১টি কাঁচা লংকা

স্বাদমতো নুন

২চা চামচ সর্ষে তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে মুসুর ডাল নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।


👉 একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা আর রসুন দিয়ে একটু ভেজে নিন।


👉 ডাল সেদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ভাজা শুকনো লঙ্কা, রসুন, পিয়াজ, ধনেপাতা, নুন,কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে মেখে নিন ।


👉 মাখা হয়ে গেলে উপর থেকে সরষে তেল ছড়িয়ে দিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


১৩) 🍀👉 ডিম আলু ভর্তা____


👉 উপকরণ___


৩ টে সেদ্ধ আলু

২ টো ডিম সেদ্ধ

১ টা বড় পেঁয়াজ কুচি

১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি

২ টেবিল চামচ টমেটো কুচি

২ টো গোটা শুকনো লঙ্কা

স্বাদ মত নুন

২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে সিদ্ধ আলু পরিষ্কার হাতে খুব ভালো করে মেখে নিন।


👉 সিদ্ধ ডিম টাকে হাত দিয়ে কুচি কুচি করে নিন।


👉 এবারে ফ্রাইং প্যানে ১ চাচামচ সর্ষের তেল গরম করে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা এবং অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিন, তারপর তাতে টমেটো কুচি দিয়ে আবারও মিডিয়াম আঁচে রেখে ১  মিনিট মতো নেড়ে নিন।


👉 শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি এবং টমেটো কুচি লাল করে ভাজা হলে নামিয়ে নিন একটা প্লেটে এবং তাতে স্বাদমতো লবণ দিয়ে আগে ভালো করে শুকনো লঙ্কা টাকে মেখে নিন।


👉 এবার মেখে রাখা আলু ও ডিম , কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং ভাজা শুকনো লঙ্কা মাখা দিয়ে খুব ভালো করে সমস্ত টা মেখে নিন।


👉 সমস্ত মাখা হয়ে গেলে উপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে আবারও ভালো করে মেখে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


১৪) 🍀👉 চিংড়ি মাছ ভর্তা___


👉 উপকরণ___


১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ

৪ টে কাঁচা লঙ্কা

২ টো শুকনো লঙ্কা

১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল

১টেবিল চামচ সাদা তেল

২ টা পেঁয়াজ কুচি

৭ টা রসুন কোয়া


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে মাছ ধুয়ে ভালো করে বেছে নিয়ে একটা প্লেটে সজিয়ে নিন।সব উপকরণ একসঙ্গে সাজিয়ে নিতে হবে।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে গরম হলে চিংড়ি মাছ গুলো সব উপকরণ দিয়ে নুন,হলুদ,দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন।


👉 ভালো করে ভেজে নিয়ে একটা বাটিতে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন ।ঠান্ডা হলে মিক্স তে ঢেলে নিয়ে পেষ্ট বানিয়ে নিন।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে পেষ্ট টা দিয়ে ভালো করে নাড়তে নাড়তে বেশ মাখো মাখো করতে হবে।সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে নেড়ে একটা মন্ড মতো করে নিন।


👉 চিংড়ি ভর্তা হয়ে গেলে একটা প্লেটে নামিয়ে গরম গরম ভাতে পরিবেশন করুন।


১৫) 🍀👉 শিম ভর্তা____


👉 উপকরণ___


২০০ গ্রাম শিম

১/২ কাপ নারকেল কোরা

২/৩ টে কাঁচা মরিচ

২ টেবিল চামচ সর্ষে

১ টেবিল চামচ পোস্তদানা

স্বাদ মত নুন ও চিনি

পরিমাণ মত তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 শিম ও ধনে পাতা কুচি করে কেটে নিন।


👉 ব্লেন্ডারে নারকেল কোরা কাঁচা মরিচ,সর্ষে, পোস্ত ও শিম, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে তাতে কালো জিরা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে বাটা শিম দিয়ে দিন এবং ভাল করে কষিয়ে নিন নুন হলুদ দিয়ে।


👉 সব শেষে চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং কাঁচা তেল দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন এবং  সিম ভর্তা পরিবেশন করুন।


মসজিদে নামাজ পড়ার ফযীলত",,,,,,,

 "মসজিদে নামাজ পড়ার ফযীলত"


১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য আপ্যায়ন সামগ্রী জান্নাতের মধ্যে প্রস্তুত করেন। সে যতবার সকাল অথবা সন্ধ্যায় যাওয়া আসা করে, আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন।” (বুখারী-মুসলিম) 


২।আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি বাড়ি থেকে ওযু করে আল্লাহর কোনো ঘরের দিকে এই উদ্দেশ্যে যাত্রা করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত কোনো ফরয ইবাদত (নামায) আদায় করবে, তাহলে তার কৃত প্রতি দুইটি পদক্ষেপের মধ্যে একটিতে একটি করে গুনাহ মিটাবে এবং অপরটিতে একটি করে মর্যাদা বৃৃদ্ধি করবে"(মুসলিম)


৫/১০৬৪। আবূ মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(মসজিদে জামাতসহ) নামায পড়ার ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তি সর্বাধিক বেশী নেকী পায়, যে ব্যক্তি সব চাইতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে। আর যে ব্যক্তি (জামাতের সাথে) নামাযের অপেক্ষা না করেই একা নামায পড়ে শুয়ে যায়, তার চাইতে সেই বেশী নেকী পায়, যে নামাযের জন্য প্রতীক্ষা করে ও ইমামের সাথে জামাত সহকারে নামায আদায় করে।”(বুখারী, মুসলিম)


৬/১০৬৫। বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রাত্রির অন্ধকারে মসজিদে যাতায়াতকারী লোকদেরকে কিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ জ্যোতির শুভ সংবাদ জানিয়ে দাও।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী)

ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!

 ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!

১ – বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

২ – বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে

চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে... সূরা

আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৩ – সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।

৪ - ‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র

চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৫ – পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি... সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৬ – বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৭ – ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে।

৮ – বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়।

৯ – ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

১০ – ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

১১- রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে। সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।

১২ - মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে

বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে। সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে।

১৩ - ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে

পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা জায়... কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।

( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা

কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)

১৪ - একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়?

১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !

( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ )

১৫ – পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে

গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।

১৬ – পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে। সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!

......আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি... যারা নাস্তিক তারাও জানে... পার্থক্য টা হল ' বোধ' যেমন ধরুন একজন নেশাকর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন

করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্ম

দিয়েছে... সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি... ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা ' বোধ' এর।

... আপনার এই বোধটা থাকতে হবে

--- সবার কাছে অনুরোধ শেয়ার করতে ভুলবেন না প্লিজ,কারন এটা আপনার পবিত্র দ্বায়িত্ব। আল্লাহ্ বলেন.. ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে।____ সূরা হা-মিম সিজদাহ্--(৩৩)......। নবী সা.বলেন. আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি,যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো.....( বায়হাকী)(সংগৃহীত)


শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ - ১১-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ - ১১-১০-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


‘রিসেট বাটন’ চাপার অর্থ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে শুরু করা --- স্পষ্ট করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

          

দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী আজ --- শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

          

জনগণের অধিকার রক্ষা ও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর --- বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

        

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা চাইলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

        

লিবিয়া থেকে গতকাল দেশে ফিরেছেন আটকেপড়া আরও দেড়শো জন প্রবাসী বাংলাদেশী।

      

গাজায় হাসপাতালগুলোতে হামলার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ জাতিসংঘের।

       

এবং শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন,. তার খুঁত থাকবেই,,,,,,,৷

 ১: তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন,. তার খুঁত থাকবেই। নিখুঁত কোনো মানুষ মানবেতিহাসে জন্মায়নি.। দাম্পত্যসাথীর খুঁতের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার যোগ্যতাকে তুমি দেখতে পাবে না .কোনোদিনই।


তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০২.

প্রত্যেক মানুষেরই অতীত-গল্প আছে.। ভালোমন্দ মিলিয়েই তার অতীতের ইতিহাস। দাম্পত্যসাথীর অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে, দাম্পত্যের. বর্তমানকে হারিয়ে ফেলবে তুমি.।


তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৩.

প্রত্যেক দাম্পত্যই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে রোজই। দাম্পত্য ফুলবাগানও নয়, .যুদ্ধক্ষেত্রও নয়। ল্যভ-ম্যারেজ বা সেটল্ড, যে-প্রক্রিয়াতেই সংসারটি তৈরি হোক না কেন, নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা থাকবেই। প্রক্রিয়ার দোষ নয় এটি, দাম্পত্যজীবনই এরকম.। এই সমস্যাগুলোকে দু'জনে মিলে সমাধানে এগিয়ে যাওয়াটাই দাম্পত্যপ্রেম। দাম্পত্য-সমস্যায় পরস্পরকে দোষারোপ দাম্পত্যের অপমান.।


দাম্পত্য-সমস্যায় সংসারসাথীকে দোষারোপ করার বদভ্যাস থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৪.

প্রত্যেক দাম্পত্যই আলাদা.। নিজের সংসারের সাথে অন্য সংসারের তুলনা কোরো না.। কোনো সংসারই ব্যর্থ নয়, প্রত্যেক সংসারই নিজের যোগ্যতার নিরিখে সফল। অন্যের সংসারের জৌলুসকে সুখ ভেবে নিয়ে, নিজের সংসারকে অসুখের আখড়ায় পরিণত কোরো না.। 


পরিশ্রমহীন এই পরশ্রীকাতরতার বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৫.

সংসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ হলো.─ তুমি তোমার জীবন থেকে সংসার-বিরুদ্ধ ভাবনা ও অভ্যাসগুলি চিরতরে বর্জন করার. সিদ্ধান্ত নিচ্ছ। উল্লিখিত সংসার-বিরুদ্ধ অভ্যাসগুলি─.

ক. মূর্খতা,.

খ. উচ্ছৃঙ্খলতা,.

গ. শৃঙ্খলাহীনতা,.

ঘ. পরচর্চা,.

ঙ. পরশ্রীকাতরতা,.

চ. তৃতীয় পক্ষের কথায় বিশ্বাস,.

ছ. আলস্য,.

জ. অশ্রদ্ধা,.

ঝ. প্রেমহীনতা,.

ঞ. ভাষার বাজে ব্যবহার,.

ট. বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা,.

ঠ. পারস্পরিক আলাপে অনীহা।.


উল্লিখিত বদভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৬.

নিখুঁত দাম্পত্যজীবন বলে কিছু নেই.। রেডিমেড সংসার বলে কিছু নেই। শর্টকাট দাম্পত্যসুখ বলে কিছু নেই.। সংসার অর্থ─ দু'টি মানুষের একইমাত্রার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস, প্রেম, এবং উভয়ের সর্বোচ্চ শ্রমের সমষ্টি। দাম্পত্যজীবন হলো সেই .চারাটি, যাকে নিয়মিত পরিচর্যা করলে একটি মহীরুহে পরিণত হবে একসময়; পরিচর্যা না-করলে, ধুঁকতে-ধুঁকতে, .দ্রুতই মরে যাবে।


তুমি যদি পরিচর্যার মানসিকতাহীন একজন খামখেয়ালি ব্যক্তি হয়ে থাকো,. সংসার তোমার জন্য নয়।


০৭.

সংসার ও আর্থিক সক্ষমতা পরস্পরের .পরিপূরক। সংসার রক্ষা করার জন্য, সংসার শুরু করার আগেই তোমাকে উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। উপার্জন ছাড়া সংসার করার ভাবনাটিই তামাশা।. এ অপরাধ। আর, উপার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলে, তবে, সংসার শুরু করার আগে, কখনোই উদ্বিগ্ন হয়ো না─ .এই উপার্জনে সংসার আমি রক্ষা করতে পারবো কিনা! নিজের যোগ্যতার চেয়ে বেশি যোগ্য, নিজের .অবস্থানের চেয়ে বেশি উচ্চ অবস্থানের, কারও সাথে দাম্পত্য করতে যেয়ো না; কাছাকাছি সামাজিক অবস্থানের ও মানসিকতার দু'জন মানুষের দাম্পত্যে .আর্থিক চাহিদা সমস্যা ঘটায় না। সংসার মানেই আর্থিক বিবেচনা, এবং সংসার মানেই ঝুঁকি নেওয়ার চ্যালেঞ্জ.।


এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস না-থাকলে, .সংসার তোমার জন্য নয়।


০৮.

প্রেমভালোবাসাহীন সংসার একটি. অভ্যাসমাত্র। এই অভ্যাস একসময় পরিণত হয় দাসত্ব. ও মালিকানায়। এই পরিস্থিতির নামই─ চুক্তি। এই চুক্তির, বাজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। বাজারেই থাকে গণিকালয়। অর্থাৎ, প্রেমভালোবাসাহীন. সংসার চুক্তিভিত্তিক গণিকাবৃত্তি মাত্র। এসব সংসারে, ডিভোর্স না-হওয়া মানে এই নয় যে─ এরা সুখী; .কারণ─ ডিভোর্স সবসময় কাগজেকলমে হয় না, ডিভোর্স মূলত আরম্ভ হয় মনে, এবং চিরকাল মনের ভিতরেই এই ডিভোর্স ঘৃণার সাথে রয়ে যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই.।


তুমি যদি প্রেমহীন হয়ে থাকো, .সংসার তোমার জন্য নয়।


০৯.

সংসার আরম্ভ করার আগেই,. অতীতের তৃতীয় কারও প্রেমকে, বান্ধবকে, হারানো প্রেমস্মৃতিকে, চিরতরে অতীতেই ফেলে আসতে হবে। বর্তমান দাম্পত্যসাথীর সাথে প্রতারণার আরেক নাম─ .প্রাক্তন প্রেমসাথীকে মনের ভিতরে জিইয়ে রাখা।


এ বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে না-.পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।


১০.

সংসার করো। সংসারই পরিপূর্ণতা.। কিন্তু, সংসার তখনই কোরো, যখন তুমি সংসার করার যোগ্য হয়ে উঠবে। অন্যথায়, আরেকটি .মানুষের সুন্দর জীবনটিকে নষ্ট করে দিয়ো না।

ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন

#সংগৃহীত

বিয়ে,স্বামী-স্ত্রী গুরুত্ব হক না বোঝার দাম্পত্য জীবনে অশান্তির করুণ বাস্তবতা!!,,,,,,,

 বিয়ে,স্বামী-স্ত্রী গুরুত্ব হক না বোঝার দাম্পত্য জীবনে অশান্তির করুণ বাস্তবতা!!


পরিচিত বড় ভাই। বিয়ের প্রথম বছর। টানা কয়েক মাসের ইফোর্টে নতুন সংসার গুছিয়ে এনেছেন। একরকম ক্লান্ত হয়েই অফিসের কয়েকজন কলিগের ফ্যামিলির সাথে কুয়াকাটা ট্যুরে গেলেন। যাকে বলা চলে 'বিলম্বিত হানিমুন'।


ট্যুরের উদ্দেশ্য ছিলো ফ্রেশ হয়ে আসা। 

ট্যুরের পরে অদ্ভুত কিছু ঘটলো। ভাবী একদম অন্যমনস্ক, মুখ ভার করে থাকেন সবসময়। ভাই জিজ্ঞেস করলে কিছু বলে না। ঘরের কাজও করে দায়সারাভাবে।

মহা ঝামেলা। পরে ভাবীর আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা গেলো ঘটনাটা।


ট্যুরের জন্য ভাইয়ের একজন কলিগকে লিডার বানানো হয়েছিলো। ভাবীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই লিডার কলিগের সবকিছু নিজ হাতে ম্যানেজ করা, যেকোনো ইস্যুতে সবার আগে এগিয়ে যাওয়া, স্থানীয়দের সাথে ঝামেলা হয়েছিল - সেটা এগিয়ে গিয়ে সমাধান করা, হোটেলে সবার খাওয়া নিশ্চিত করে তারপর নিজে খাওয়া - ব্যাপারগুলো তাকে খুব প্রভাবিত করেছে।


ব্যাপারটা আরো কন্ট্রাস্ট হয়ে গেছে তার নিজের স্বামীর কারণে। তার স্বামী, মানে ভাই পুরোটা সময় ব্যস্ত ছিলেন ফোনে। ছোটখাটো ব্যপার যেগুলো নিজে সমাধান করা যেত সেগুলোর জন্যও সেই লিডারের শরণাপন্ন হয়েছেন। ইভেন তার স্ত্রী বাথরুমে যাবে, সেটাও সেই লিডারকে বলে ব্যবস্থা করেছেন।


ভাবীর ব্যপারটা ইউনিক। তিনি যদি বলতেন, ওই লিডার কলিগকে তার ভালো লেগেছে, তাহলে ব্যাপারটা সিম্পল হতো, পরকীয়া টাইপ। কিন্তু তার কথা হলো, তিনিও তো সেইম ফিনান্সিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যেই একজন ওরকম মাসকুলিন স্বামী পেতে পারতেন। সেটা পাননি এবং এরকম দায় এড়ানো কারো সাথেই তার বাকি জীবন কাটাতে হবে ভেবে আপসেট।


পরে ভাইকে বলা হলো, আপনি কী আশা করেছিলেন আসলে? নিজের স্ত্রীকে এতগুলো পরপুরুষের সাথে এত ক্লোজ প্রক্সিমিটিতে রাখলেন, যেখানে আপনি নিজেই ইন্ট্রোভার্ট।  এখন হয় একজন মেন্টরের কাছ থেকে এসব সংশোধন করেন, নইলে বউকে নিয়ে আরেকটা ট্যুরে যান, সংসার আর করা লাগবে না।


■■ ভাই একা দায়ী?


এই ধরণের পরিস্থিতির জন্য উক্ত ভাই একা দায়ী, এটা ভুল। মাস্কুলিনিটি-লিডারশীপ ২৫ বছরের শিক্ষাজীবনের কোথায় শেখানো হলো? 

আর ফ্যামিলি? বলেই দিয়েছে, 'কোনো ঝামেলায় জড়াবি না'। ছেলেরা দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া শিখবে কিভাবে?


এরপরে রয়েছে সংসার। ইউনিভার্সিটিগুলোতে এত ধরণের প্রোগ্রাম হয়, 'নকশীকাথার ইতিহাস', 'কেচো চাষের গুরুত্ব', 'দেশে ব্যান্ড সংগীতের বিবর্তন' - আচ্ছা এগুলো তো অলমোস্ট ইউজলেস। কিন্তু এই ভার্সিটি থেকে বেরোনো মাত্রই যে স্বামী হওয়া লাগবে, এবং তা সবারই - সে বিষয়ে কতটুকু পড়ানো হয়?

জিরো।


এখানে অনেকে বলে, সব শিখিয়ে দিতে হবে কেন? বা ফ্যামিলির ভাষায়, 'বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে'।

হ্যাঁ, ছেলে শিখছে ঠিকই, বিয়ের প্রিপারেশন নিচ্ছে চটি পড়ে আর সংসার করা শিখছে ফেসবুক গ্রুপ আর প্রথম আলো থেকে।


পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা শিখতে হয় না - জুতো পরা থেকে আগুন ধরানো। এখন লাইফের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বড় ব্যাপারগুলোতে তরুনকে যদি নিশ্চিতভাবে সঠিক শিক্ষা না দেওয়া যায়, কোনো গ্যারান্টি নেই সে ঠিকমত শিখেছে কিনা। এটা কেবল ভুল করার পরেই জানা যায়।


এর পরিণতি ভালো হচ্ছে না, স্বাভাবিকভাবেই। পরের পয়েন্টটি দেখুন। 


■■ কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষা


আধুনিক বিয়ে মানে ব্যাপারটা এরকম - দুটো ছেলে-মেয়েকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আগে কিন্তু বলা হয়নি কোথায় পা ফেলতে হবে বা ফেলা যাবে না - একদম কিছু না। কিন্তু তারা ভুল করামাত্রই পাশ থেকে স্বজনেরা হা-রে-রে করে তেড়ে আসছে শাস্তি দিতে। নবদম্পতির কোন আইডিয়াই নেই তারা কী ভুল করেছে, বা আদৌ ভুল করেছে কিনা। কেবল জানে কালকের খুবই ফ্রেন্ডলি কয়েকজন আত্মীয় আজকে থেকে হঠাৎ খুবই আপসেট।


একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমার একজন পরিচিত মজলুম আলেম, হাসিনার পুলিশ তার লাইফটাই এলোমেলো করে দিয়েছে। জেলে ছিলেন। সময়মত লাইফ গোছাতে পারেননি। এত অসহায় আর লোনলি ছিলেন, দেখে খুব কষ্ট হতো। আমাকে অসম্ভব স্নেহ করেন।

একদিন ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত পেলাম। কত খুশি ছিলাম, শুধু আমি না, উনাকে যারা চিনতেন- সবাই। 

বিয়েতে যেতে পারিনি। পরে একদিন দেখা। বললাম, এতদিন পর লাইফের একটা গতি হলো, আপনি নিশ্চয় হ্যাপি।

উনি যা শোনালেন, স্পিচলেস হয়ে গেলাম। বিয়ের দিন মধ্যরাতে তার কয়েক ঘন্টা আগে বিয়ে করা স্ত্রীকে দিয়ে তার বড় ভাবীর পায়ে ধরতে বাধ্য করা হয়েছে। তার ভাবী নাকি কী কারণে খেতে আসেনি, সেই রাগ ভাঙ্গাতে।


হোয়াট!?


■■ ছেলেরাই চূড়ান্ত ভিকটিম


আমার কিছু বিবাহিত ভাই-বন্ধুর কনসোলিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কী নিয়ে সেটা আপনারা জানেন, মা-বৌ ইমব্যালান্স।

ফেসবুক গ্রুপগুলোতে এরকম পরিস্থিতি কেউ জানালে তার নিচে কমেন্টগুলো খুবই কমন থাকে - 'মা-বৌ ব্যালান্স না করতে পারলে বিয়ের দরকার কী?' 'কারো দিকে ঝুঁকে পড়বেন না' ইত্যাদি ইত্যাদি।


কিন্তু কেউ বলছে না, হাউ? দুইজন নারীর মধ্যের এই অত্যন্ত কমপ্লেক্স পরিস্থিতি ম্যানেজ করার জ্ঞান সে কি গায়েব থেকে পাবে? এ এমন এক পরিস্থিতি, সারাজীবনের মেন্টর বাবা-মা আপনাকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না, বৌ তার নিজের ডিমান্ড নিয়ে দরজা আটকে পড়ে রইলো, আর ত্রিমুখি ঝগড়ার সমস্ত ব্লেইম এসে পড়বে ছেলেটার উপর।

সব তার দোষ। 


এক ২৫-৩০ বছর রক্ত জল করে বিয়ে করার পর কোথায় একটু আনন্দে থাকবে, উলটো বাড়ির বাতাসটাও যেন তিতে লাগে।


মেয়েদের বেলায় অন্ততঃ তার বাবার ফ্যামিলিটা রয়েছে। তাদের কাছে হেল্প চাইতে পারে, পরামর্শ নেয়। ছেলে যাবে কোথায়? একটা মানিব্যাগ কেনার আগেও যেই বাবাকে জানানো যেত সেখানে তাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না।


মা জ্বর হলে ছেলের আগে টের পান, অথচ এই ব্যালান্স করতে গিয়ে ছেলে যে তীব্র যন্ত্রণায় মানসিক রোগী হবার পথে, মা বুঝতেই চান না।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, মা ছেলের কাছে ফোন করেছে। রিসিভ হয়নি। মা বললো, দেখেছিস, বিয়ের পর কেমন কথা বলা বাদ দিয়েছে। আমি বললাম, আচ্ছা, বিয়ের আগে ফোন না ধরলে কী মনে করতেন? বললেন, হয় মিটিঙয়ে আছে, কিংবা গাড়িতে। বললাম, একই ঘটনা কী এখনও ঘটতে পারে না? 


বউ মানবে না, মা-বাবাকে কিছু বলা যায় না, ভাইয়েরাও ইন্টারেস্টেড পার্টি, তাদের বলা মানে ভাবীদের মুখ ঘুরে আরেক পরিস্থিতি। বিবাহিত ছেলেরা শেষমেষ আসে আমাদের মত বন্ধুদের কাছে। পরামর্শ চায়, এদিকে আমরা নিজেরাই ব্যাচেলর। সংসারে এক বছরের মাথায় হাঁপিয়ে উঠেছে, বলে তোর ওখান থেকে একদিন ঘুরে আসা যাবে? 


বন্ধুদের যাদের সাথে এক মিনিটের বেশী কোনোদিন ফোনে কথা হয়নি, তাদের সাথেই এখন ২০-৩০মিনিট পার হয়ে যায়। সবার একই ইস্যু।


থাম্বনেইলে যে ছবিটা দিয়েছি এটার সাথে একটা সত্য ঘটনার সম্পর্ক আছে। 

মাঠের পাশে এভাবে গাছতলায় বসে  আমাকে ফোন করতো। মা-বৌ দুইজন দুই ঘরে মন খারাপ করে বসে আছে, দুজনের কাছেই সে ভিলেন। এমন একটা অবস্থা, লাইফের আপন মানুষদের বলা যায় না, মা-বৌ বুঝতে চায় না, নিজের ভাইকেও বলা যায় না - ভাই নিজেও এক পক্ষ। শেষমেষ ভরসা বন্ধুরা।


ওকে বললাম, তোর সাথে যেসব ইস্যু নিয়ে কথা হয় সেগুলো নিয়ে কিছু একটা লিখি। থাম্বনেইলটা ওর সামনেই বানানো।


■■ আধুনিক মায়েদের ডুয়ালিটি


ছেলের বৌয়ের বেলায় কারারক্ষীর মত হলেও একটা ব্যাপারে মায়েদের আচরণ পুরো উল্টো। সেটা হলো ছেলের গার্লফ্রেন্ড। অনেক ফ্যামিলিতে দেখেছি, মা ছেলের গার্লফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলে। সে কি হৃদ্যতার সম্পর্ক!

ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রথম আলো শিরোনাম করেছিলো, মা তার ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বলছে, 'আমার পাগলটারে দেখে রাইখো মা'


ছেলে প্রকাশ্য ব্যাভিচারে জড়িয়ে রয়েছে, মা উলটো উৎসাহ দিচ্ছে! এই মা-ও নাকি সংসারে শান্তি চায়!


এবার ভাবুন তো এই মেয়েটাই যখন তার পুত্রবধু হচ্ছে তখন তার ওই ক্রিম মাখানো আচরণ কোথায় পালালো? মমতাময়ী মা থেকে হয়ে উঠলেন কম্পিটিটর শাশুড়ী!


শুধু ফ্যামিলিতে মা-ভাবীর ক্যাচাল দেখেও বহু ছেলে বিয়ের আগ্রহ হারাচ্ছে।


এক সিনিয়রকে বলা হলো বিয়ে করেন না কেন? বলল, মা আমাকে এখনও খাইয়ে দেয়। মা ওর সাথে আমি বাদেই অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলে। একদিকে আমার সেক্সুয়াল লাইফ ঠিকঠাক, কোনো দায়িত্ব নেই-গ্যাঞ্জাম নেই, মায়ের আদরও পাচ্ছি। আমি জানি বিয়ের পরদিনই এসব উধাও হয়ে যাবে। সেধে এই লাইফ হারাতে যাবো কেন?


মানে বিয়েকে ঠিক আর কত কঠিন করা হবে! 


■■ সংসার শিখবো কোথায়? উদাহরণ সামনেই আছে


কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার পেলাম প্রি-ম্যারেজ কোর্স এবং কাউন্সেলিংয়ের উপর


 > ইরানে ১৯৯৩ সাল থেকে গ্রাজুয়েশন লেভেলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রি-ম্যারেজ কোর্স ও কাউন্সেলিং করানো হয়। এসব কোর্সের টপিক থাকেঃ

 - স্বাস্থ্য,

 - ধর্মীয় ও আইনি বিধান,

- বিবাদ মেটানো,

- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও

- কমিউনিকেশন স্কিল।

কোর্সগুলো তৈরি করা হয় অত্যন্ত অভিজ্ঞ কিছুর প্রফেসর এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেশনালদের দিয়ে। 

একটা রিসার্স পেপার পেলাম, যেখানে দেখিয়েছে কিভাবে এসব কোর্স ডিভোর্সের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়েছে। 


> মালেশিয়াতেও সিমিলার কোর্স রয়েছে। এছাড়া ভার্সিটিভিত্তিক নানান সংগঠন এরকম ওয়ার্কশপ ও কোর্সের আয়োজন করে। একটা কোর্সের পোস্টারের ছবি দেখলে আইডিয়া পাবেন।


> বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ে এই ধরনের প্রি-ম্যারেজ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি এখনই কিছু সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।


> যারা শাশুড়ী হতে যাচ্ছেন তাদের জন্য ছেলে-মেয়ের বিয়ের আগে অবশ্যই তাদের করণীয় সম্পর্কিত কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে। 

বাংলাদেশে ফ্লোর মোছার জন্যও কোর্স আছে, কিন্তু শ্বাশুড়ি হওয়াটা নারীরা শিখছে কোথায়? তাদের মনগড়া কাজের কারণে পুত্রবধু তো বটেই, ছেলের উপরও মারাত্মক জুলুম করেন। যা তাদের নিজেদেরকেও মানসিক শান্তি দেয় না। এই ধরণের আয়োজন সব পক্ষের জন্যই উইন-উইন হবে।


> সর্বশেষ, বিয়ের প্রস্ততিতে সবাই যে পার্টটা স্কিপ করে যায় সেটা হলো বাচ্চার কেয়ার। বিয়ের পর ইভেনচুয়ালি বাচ্চা হবেই। ইউনিভার্সিটি পাশ গর্বিত মা-ও দেখা যায় বাচ্চার নিউট্রিশন ও সাইকোলজি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান নেই, সারাদিন বাচ্চাকে ভাত গেলানোর ট্রাই করে যাচ্ছে। এটাও শিখতে হবে। 


পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


- আহমাদ খান


রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০৮-১০-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৮-১০-২০২৪ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


আগামীকাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা --- সারাদেশে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।

         

দুর্গা পূজা উদযাপনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

         

ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ২০ হাজার অনিষ্পন্ন ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির।

       

বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন।

       

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫।

      

মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জিওফ্রে হিন্টন ও জন হপফিল্ড।

       

এবং আগামীকাল দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

বইপড়া" কিভাবে শিশু-কিশোরদের জীবন বদলে দেয়,,,,..

 "বইপড়া" কিভাবে শিশু-কিশোরদের জীবন বদলে দেয়?


'বইপড়া' সব বয়সী মানুষেরই শ্রেষ্ঠ অভ্যাস। আর এই অভ্যাস যদি গড়ে তোলা যায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে, তাহলে তা সর্বশ্রেষ্ঠ। বইপড়ার অভ্যাস একবার গড়ে তুলতে পারলে তা শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ জীবনের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

বই পড়ার ফলে শিশুদের মধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন গড়ে ওঠে। চলুন দেখা যাক কি কি ধরণের ভালোদিক বই পড়ার ফলে শিশুর মধ্যে আসেঃ


১। কল্পনাশক্তিঃ "কল্পনাশক্তি জ্ঞানের থেকেও বেশি শক্তিশালী" - আইনস্টাইন। বইয়ের প্রতিটি লাইন শিশুকে ভাবতে শেখায়, কল্পনা করতে শেখায়। এই কল্পনা কোনো ভিডিও বা ভিজুয়াল থেকে পাওয়া সম্ভব না। প্রতিটি দৃশ্য শিশু-কিশোররা কল্পনা করার যে সুযোগ পায়, তাতে তাদের মনোজগতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনে।


২। সৃজনশীলতাঃ শিশু-কিশোর বইপড়ার সময়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা হয়, বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে ভাবতে হয়, এর ফলে তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে চিন্তা করার শক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাভ করে।


৩। ভাষার দক্ষতাঃ বইপড়ার মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাচনভঙ্গির সাথে পরিচিত হওয়ায় তাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়। এতে তাদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়ে। ইংরেজি, বাংলা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের এই উন্নতি ঘটে।


৪। মনোযোগ ও ফোকাসঃ বই পড়তে এবং বুঝতে শিশু-কিশোরদের মনোযোগ দিতে হয়। এতে তাদের মধ্যে মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধি পায় যা তার পরবর্তী জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।


৫। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সঃ বই পড়ার মাধ্যমে অনেক চরিত্র এবং তাদের ইমোশন এর ব্যাপারে বিভিন্নভাবে জানা যায়, যা অন্যদের ইমোশন বুঝতে শিশু-কিশোরদের সাহায্য করে। এতে সামাজিকতা এবং মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জন্মায়।


৬। শেখার আগ্রহঃ যেসব শিশুরা বই পড়ে, তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ, জানার আগ্রহ বহুগুণে বেশি থাকে। যা ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আসে।


৭। একাডেমিক সাফল্যঃ বই পড়ুয়া শিশু-কিশোররা সাধারণত পড়তে ভালবাসার কারনে, তাদের একাডেমিক শিক্ষাজীবনেও বড় সাফল্য পায়। তাদের ম্যাচুরিটি লেভেল অন্য বাচ্চাদের থেকে বেশি থাকার কারনে তাদের পক্ষে জটিল বিষয়গুলো সহজেই ধরা সম্ভব হয়।


৮। স্বাধীনভাবে চিন্তাঃ শিশুরা সাধারণত অন্যদের উপর নির্ভরশীল থাকে সকল কাজে। বইপড়া অভ্যাস তাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে, এতে তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


৯। বিনোদনঃ বর্তমানে হাজারো রকম ক্ষতিকর বিনোদন মাধ্যম শিশুদের হাতের কাছে আছে, সেই তুলনায় বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তা ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো থেকে দূরে রাখে।


১০। বাস্তব জ্ঞানঃ শিশু-কিশোর বইয়ের সাথে থাকলে তারা বাস্তবতার সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। অনেক ধরণের জীবন যাপনের কথা বইয়ে জানতে পারে, ফলে মানসিকভাবে তারা বাস্তব জ্ঞানসম্মত হয়।


রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি,,,,

 রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি

#শিবানন্দ_পাল 

মেদিনীপুরে (অবিভক্ত) কংসাবতীর তীরে সিজুয়ার প্রত্নক্ষেত্রে সেই কোন হোলোসিন যুগে প্রাগৈতিহাসিক হোমো স্যাপিয়েন্স তরুণ, একটি অ্যাশিউলিউ হাত কুঠার নিয়ে পশু শিকারের উদ্দেশ্যে জলাভূমিতে নেমেছিল। বয়স যার ১৭ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। কিন্তু নিজেই শিকারে পরিণত হয়। এইরকম একটি ছবি আমরা কল্পনা করতে পারি। কংসাবতীর নদী চত্বরে প্রাপ্ত প্রত্নাশ্মীয় হাতিয়ার আমাদের এই গল্প বলে। 

দামোদর উপত্যকার বীরভানপুরে 

অনুকূল আবহাওয়া থাকায় গড়ে উঠেছিল 

শালের গভীর জঙ্গল। শ্যামল শোভা সেই ধরনের জঙ্গল সাধারণত গোষ্ঠী জীবনের সহায়ক। কিন্তু সেই হোলোসিন যুগে

স্থানীয় মানুষের জীবনচর্যা প্রধানত মৃগয়াভিত্তিক হলেও, কৃষিভিত্তিক সমষ্টি জীবন গড়ে উঠেছিল কিনা স্পষ্ট জানা যায় না। বিজ্ঞানীদের কিছুটা সংশয় আছে। যে সংশয় পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে নেই।


পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে ঘরবাড়ি, মানুষের সমাধি, হাতে চিপে চিপে তৈরি করা মাটির বাসনের সঙ্গে কুমোরের চাকায় নির্মিত মাটির বাসনপত্র পাওয়া গেছে। এমনকি পোড়ামাটির মৃৎপাত্রে রঙের কারুকাজ করা হয়েছে। মৃৎপাত্রের গায়ে ধান ও ধানের খোসা বা ধানের শিসের ছাপ পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইকনমিক বোটানিস্ট বিজ্ঞানী এ কে পাল পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, এই ধান ওরিজা স্যাটিভা "Oryza Sativa L. Graminae" প্রজাতির। 

পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে প্রথম যুগের অধিবসতির উপর সাদা এবং হলুদ বালির স্তরে চাপা পড়ে থাকায় বিজ্ঞানীদের ধারণা এখানকার অধিবসতি পরিত্যক্ত হয়নি। অতীতের কোনো প্লাবনে এরকম হতে পারে। সেই প্লাবনের পর হয়তো দীর্ঘদিন, সেটা এক বা একাধিক শতাব্দীও হতে পারে সেখানে আর কোনও গ্রাম সভ্যতা গড়ে ওঠেনি। আবার সেই যুগে এই অঞ্চলে বালু ঝড়ের প্রাবল্য ছিল।


আরও অনেক দিন পর পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে দ্বিতীয় অধিবসতির যুগ শুরু হয়। এই পর্বে দেখা যায় তাম্রশ্মীয় সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশ ঘটেছে । এই সময়ের মৃৎপাত্রগুলো আরও সুন্দর হয়েছে। তাতে এসেছে অলংকরণের ছাপ। যা তৎকালীন মিশর, ক্রিট দ্বীপ, এশিয়া মাইনর, ইরান, তুরান, চিন এবং ভারতের অন্যান্য জায়গার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আবার এই সময়ের কারুকার্যময় মৃৎশিল্পের সৌন্দর্য, মানুষের সৌখীন জীবনচর্যার কথা বলে। এই সময়ে তৈরি এখানকার পারফোরেটেড পটারি যা সিন্ধু সভ্যতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তামার স্পাইরাল চুড়ি, কাজলকাঠি স্মরণ করিয়ে দেয় ফারাওদের যুগের মিশর কুমারীদের কথা। পাওয়া গেছে হাড়ের তৈরি বর্শাফলক ও তীরের ফলা। সূক্ষ্ম এবং ধারালো হাড় বা মৃগশৃঙ্গে নির্মিত এগুলির সঙ্গে ছিল, তরুণ জলহস্তীর কয়েসের দাঁতে তৈরি বাঘনখ কিংবা মাদুলির মতো একটি অলংকার। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্লিস্টোসিন পর্বের পর ভারতে জলহস্তী বিলুপ্ত হয়, আর পাওয়া যায় না। জলহস্তীর বর্তমান বাসভূমি আফ্রিকা এবং সংলগ্ন দেশ মাদাগাস্কার। তাহলে হোলোসিন যুগে রাঢ়বঙ্গে এই দাঁত এলো কিভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর গবেষকদের খোজা উচিত।

ওই দাঁত যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল, তার ঠিক নীচে প্রথম যুগের স্তরে পাওয়া যায় তেরো বছরের অনূর্ধ্ব দুটি নাবালক কিংবা নাবালিকা হবে হয়তো, এবং তিনটে পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ মানুষের মৃতদেহের অবশেষ।‌ পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে দ্বিতীয় যুগের সংস্কৃতি যে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল সন্দেহ নাই। মোরামপেটা ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে শিমুল তুলোর বোনা সাদা কাপড়ের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অংশ অথবা সিল্কের কাপড়ের টুকরো। পাওয়া গেছে পোড়ামাটির চক্রাকৃতি তকলি। যার উপর খোদাই করা কয়েকটি রেখা বা আঁচড়। শিল্পশৈলীর পরিচয়। প্রাগৈতিহাসিক ট্রয় বা আনাতোলিয়ায় এরকম মাটির তৈরি গোলাকার তকলি পাওয়া গেছে। যার গায়েও এরকম উৎকীর্ণ নকশা কাজের দেখা পাওয়া গেছে। কি করে এই সাদৃশ্য এলো ভাবায়। পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে মোট ১৪টা মানুষের সমাধি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬টা প্রথম যুগের, ৮টা দ্বিতীয় যুগের। বোঝা গেছে প্রাথমিক পর্যায়ে মৃতদেহগুলো সরাসরি শোয়ানো হয়েছিল ।  

দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের শেষকৃত্যে মৃতদেহ উন্মুক্ত কোনো জায়গায় অথবা অন্য কোন অবস্থায় রাখার পর, তার কঙ্কালগুলো মাটির কলসিতে পুরে সমাধিস্থ করা হয়েছে। মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার এইরকম রীতি প্রথম ও দ্বিতীয় যুগে এক‌ইরকম। সময়ের পার্থক্য থাকলেও ট্রাডিশন ভোলেনি। এসব ভাবনা মনের মধ্যে অনেক প্রশ্নের তৈরি হয়। আবার মৃতদেহগুলোর মাথা রাখা হয়েছে পূর্ব দিকে, পাগুলো পশ্চিম দিকে। ইংরাজিতে যাকে বলে 'ইস্ট-ওয়েস্ট ওরিয়েন্টেসন'। পূর্ব পশ্চিম দিক জ্ঞান, তাহলে সেই জনগোষ্ঠীর মাথায় এসেছিল? দেহগুলো রাখার ব্যাপারটাও অদ্ভুত! প্রথম যুগের কঙ্কালগুলো মুণ্ডহীন। দ্বিতীয় যুগের একটি কঙ্কালের পায়ের পাতা কাটা। দুর্ঘটনার শিকার হলেও হতে পারে। কিন্তু মৃতদেহ কখনও প্রসারিত অবস্থায় (এক্সটেন্ডেড) রাখা হয়েছে, আবার কখনও সঙ্কুচিত দশায় (ফ্লেক্সড)। এরকম কেন করা হলো? এক‌ই জায়গায় দ্বিতীয় পর্বের কঙ্কাল প্রসারিত অবস্থায় রাখা হয়েছে, অন্য কতগুলো সমাধির সঙ্গে। কঙ্কালের মাথা আর পায়ের দিকে রাখা হয়েছে দেহাবশেষের টুকরো ভরা দুটো বড় কলসি। পূর্ব দিকের কলসিতে হাড়ের সংখ্যা বেশি, ঢাকা দেওয়া ছিল লাল কালো রঙের বড়ো একটা গামলা দিয়ে। প্রসারিত শোয়ানো কঙ্কালের শরীরে রাখা ছিল দুটো পুঁতি, একটি তামার অন্যটা অ্যাগেট পাথরের। ভারতীয় নৃতত্ত্ব সর্বেক্ষণের দুজন বিশেষজ্ঞ পবিত্র গুপ্ত, অনাদি পাল সেগুলো পরীক্ষা করে বলেন শায়িত কঙ্কাল ৩০ বছর কিংবা তদূর্ধের কোন পুরুষের। সাড়ে ন'ফুট গভীর একটি গর্তে দ্বিতীয় পর্যায়ের যে সমাধি পাওয়া গেছে, সেটা একজন মহিলার।‌ ৩০ অথবা তার বেশি বয়স হবে। বিচিত্র ধরনের এই সমাধিগুলোতে বিচিত্র ধরনের অন্ত্যেষ্টি রীতি। এক্ষেত্রেও মৃত মহিলাকে অন্য কোনো ভাবে রাখার পর তার কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো একত্র করে তার উপর করোটি রাখা হয়েছে পশ্চিম দিকে মুখ করে। যেন সে নিজের হাড়গোড়ের উপর বসে, দুচোখে চেয়ে আছে পশ্চিম দিকে, হয়তো কেউ আসবে, সেই প্রতীক্ষায়। আবার তার পাশে রাখা হয়েছে লাল রঙের মাটির সছিদ্র পাত্রের ভাঙ্গা অংশ। যাকে সুললিত ভাষায় বলা হয় সছিদ্র মৃৎভাণ্ড (পারফোরেটেড পটারি)।


পাণ্ডুরাজার ঢিবি থেকে প্রাপ্ত এইসমস্ত মানব-সমাধিগুলো পরীক্ষা করেন ভারতীয় নৃতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তদানীন্তন অধিকর্তা অধ্যাপক নির্মলকুমার বসু এবং নৃবিজ্ঞানী দিলীপকুমার সেন। পরবর্তীকালে তিনি এই সংস্থার অধিকর্তা হয়েছিলেন। সংস্থার বিশিষ্ট নৃতত্ত্ববিদ পবিত্র গুপ্ত এবং অনাদি পাল একের পর এক দেহাবশেষগুলো বের করেন। ওঁদের সহযোগিতা করেছিলেন নৃবিজ্ঞানী বিমল দত্ত। পবিত্র গুপ্ত এবং অনাদি পাল দুই নৃবিজ্ঞানী দেহাবশেষগুলো স্টাডি করেন। তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করেন, "Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4."-তে। "Human Skeletal Materials Excavated At Pandu Rajar Dhibi"। in Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4.


প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রভূত তর্কবিতর্কের মধ্যে ঐক্যমতের ভিত্তিতে বলা যায়, রাঢ় বঙ্গে প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতির সবচেয়ে পুরনো ইতিহাসের খোঁজ মিলেছে দামোদর উপত্যকার বর্ধমান (পশ্চিম) জেলার বীরভানপুরে। যা ৪০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের।‌ পূর্ব বর্ধমান জেলার পাণ্ডুরাজার ঢিবির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যুগের প্রাচীনত্ব স্থির করা হয়েছে ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের। 


মনে করা হয় কুনুর নদীর তীরে বর্ধমান (পূর্ব) জেলার বসন্তপুর; কুনুর-অজয় নদীর তীরে রাভারডাঙ্গা, মঙ্গলকোট; খড়ি ও মায়া নদীর তীরে মণ্ডল গ্রাম; ভাগীরথী তীরে গঙ্গা ডাঙ্গা; ভাগীরথী ও বেহুলা নদীর তীরে হাতিপোতার ডাঙ্গা সংলগ্ন এলাকার এবং বর্ধমানের ধনটিকরার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক অর্থাৎ ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের। 


বীরভূমের কোপাই নদীর তীরে মহিষদলের প্রথম ও দ্বিতীয় যুগের সংস্কৃতির প্রাচীনত্ব থাকলেও সময় নির্ণিত করা সম্ভব হয়নি। বীরভূমের কোপাই ও ময়ূরাক্ষীর উপকূলে পোতাণ্ডা, নানুর-এর সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। বীরভূমে অজয় নদের তীরে পুরসরাজার ঢিবি, মন্দিরা, হাড়াইপুর; বক্রেশ্বর নদীর তীরে যশপুর এবং বেলুনটি সরস্বতী তলা ইত্যাদি জায়গার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। 


মেদিনীপুর জেলার কংসাবতী নদীর উপত্যকায় সিজুয়ার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। রূপনারায়ণের তীরে তমলুকের সংস্কৃতি প্রাক মৌর্য ১০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের।


রাঢ়বঙ্গের ভূখণ্ডে এই সমস্ত জায়গাগুলোর অবস্থান অভিমুখ নির্দিষ্ট করে প্রাচীন সময়ে মানবগোষ্ঠী ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে ক্রমশ গাঙ্গেয় সমভূমির দিকে নেমে এসেছিল। প্রত্নবিজ্ঞানী পরেশচন্দ্র দাশগুপ্তের "সুবর্ণরেখার প্রাঙ্গণে অরণ্যকন্যা কংসাবতী" ব‌ইয়ে পরেশচন্দ্র পুত্র দেবপ্রিয় দাশগুপ্ত একটি সুন্দর ম্যাপ এঁকে বোঝাতে চেয়েছেন, রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি কিভাবে ধাবিত হয়েছিল নিম্নবঙ্গে গাঙ্গেয় সমভূমির দিকে।

ছবি: দেবপ্রিয় দাশগুপ্ত কৃত ম্যাপের ছবি।

তথ্যসূত্র:

সুবর্ণরেখার প্রাঙ্গণে অরণ্যকন্যা কংসাবতী, পরেশচন্দ্র দাশগুপ্ত। অণিমা প্রকাশনী, কলকাতা। ২০০৭।

 "Human Skeletal Materials Excavated At Pandu Rajar Dhibi" in Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4.

পুরুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে,তখন আর শরীরের শক্তি  থাকেনা,পকেটের জোর থাকে না,এতোদিন যাদেরকে খাওয়াইছিলো,যাদের কথায় নাচছিলো তারা কেও পাশে থাকে না।পাশে থাক একমাত্র ঐ অবলা নারী তার স্ত্রী যাকে সে দিনের পর দিন অবহেলা করেছিলো,মানুষের কথায় তার উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছিলো।

 পুরুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে,তখন আর শরীরের শক্তি  থাকেনা,পকেটের জোর থাকে না,এতোদিন যাদেরকে খাওয়াইছিলো,যাদের কথায় নাচছিলো তারা কেও পাশে থাকে না।পাশে থাক একমাত্র ঐ অবলা নারী তার স্ত্রী যাকে সে দিনের পর দিন অবহেলা করেছিলো,মানুষের কথায় তার উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছিলো।


পুরুষকে জন্ম দেন একজন নারী,আবার সেই পুরুষের শেষ সময়টায় পাশে থেকে সুন্দর একটা মৃত্যু উপহার দেয় একজন নারী।


একজন পুরুষের শারীরিক শক্তি ও পকেটের জোর যতদিন থাকবে ততোদিন সে তার স্ত্রীকে মানুষ মনে করে না।যখন এসবে ভাটা নেমে আসে তখন তার হুশ ফিরে কে তার আপন আর কে তার পর।আসলে তখন আর কিছুই করার থাকে না।


আপনার ভালোবাসার এখন আর তেমন মূল্য থাকে না কারণ আপনার স্ত্রীর কাছে এসবের আর দরকার পড়ে না।সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে অন্যভাবে,হেলায় অবহেলায়,ভালোবাসায়,যত্নে কোনোকিছুতে সে খুশি অখুশি হতে পারে না।


সংসার এক মায়ার বাঁধন, এখানে ভালো লাগলেও আকঁড়ে ধরে থাকতে হয়,না লাগলেও থাকতে হয়।কত-শত সংসার টিকে থাকে শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে। সেই সন্তানও এক সময় পর হয়ে যায়।


শেষ বয়সে এসে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলাতে গিয়েও হিসেব মিলেনা।

সেই অবহেলিত,অযাচিত নারীই আপনার শেষ বয়সে আপনাকে বাহুড়োরে বেঁধে রাখে বিপদে-আপদে, সুখে দুঃখে। 


আজ থেকে সতর্ক হওন,নিজের সহধর্মিণীকে মূল্য দিন,শেষ বয়সে অন্ততঃ লজ্জিত হতে হবে না তার কাছে।। 

পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

শিরি-ফরহাদ - এক অমর প্রেমগাঁথা

 ¤ শিরি-ফরহাদ - এক অমর প্রেমগাঁথা ¤

  ×××××××××××××××××××××××××

#অমরভারতেরপ্রেমকথা  @top fans 


ভালোবাসার কথা এলে মানুষের মুখে মুখে ফেরে যাদের নাম, তাদের কথাই বলব আজ। সময়ের ঘেরাটোপ পেরিয়ে বর্তমানের বহু দূরে তাদের অবস্থান, একে অন্যের সঙ্গে পূর্ণতার পরিণতিও জোটেনি কপালে। তবু অমর হয়ে রয়ে গেছেন, নিজেদের বেদনাবিধুর প্রেমের গল্পগুলোর জন্যই। 


চলুন এবারে যাওয়া যাক পারস্যের এক স্বপ্নবান যুবকের কাছে, যার নাম খসরু। তেমনি এক অমর অজর প্রেমকাহিনি। গল্পের নায়ক পারসিক রাজকুমার আর নায়িকা আর্মেনীয় রাজকুমারী। খসরু আর শিরিন। এ দুজনকে ঘিরে রচিত হয়েছে পারস্যের চিরকালীন বিয়োগান্তক প্রেমগাথা। মহাকবি ফেরদৌসি তাঁর অমর কাব্য শাহনামা’য় বয়ান করেছেন এ কাহিনি। তবে তাঁর জনপ্রিয় সংস্করণটি কবি নেজামির অবদান।


শিরি-ফরহাদের প্রেমকাহিনীতে একটি তৃতীয় কোণ এই যুবক অথবা শিরি-খসরুর ক্ষেত্রে ফরহাদই সেই তৃতীয় কোণ। শেষমেশ খসরুর ভাগ্যের জুটেছিল পার্শ্ববর্তী রাজ্য আর্মেনিয়ার রাজকন্যা শিরিন ওরফে শিরি। তবু অমর হওয়া গল্পটা কিন্তু তাদের নয়। শরৎচন্দ্র যেমনটা বলেছিলেন, 'বড় প্রেম শুধু কাছেই আনে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়'– এই গল্পটাও অনেকটা তেমন। গল্পটা একপ্রকার একপাক্ষিক প্রেমের। আর একতরফা প্রেমের অদ্ভুত এক শক্তি আছে– হয়তো মানব ইতিহাসের স্মরণকালে খোদাই হবার মতো যথেষ্ট সে শক্তি। 


প্রেম বলতে প্রথমত পৃথিবীতে বিচরণকারী নরনারীর একের প্রতি অন্যের রহস্যাতীত আকর্ষণবোধ এবং এর অপূরণজনিত কারণে জন্ম নেয়া অসুস্থতাকে বোঝায়। বিশ্বের প্রতিটি প্রেমকাহিনি অভিন্ন। প্রেমিক হূদয়মাত্র মথিত ব্যাখ্যাতীত বেদনায়। প্রেমের প্রাপ্তি ধারণ করা দুষ্কর। আগুনের আকর্ষণে ছুটে গিয়ে আগুনে আত্মাহুতি দেয়ার নামও তো প্রেম। যুগে যুগে মানুষের মন প্রেমে পড়েছে। না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাতর হয়েছে বারবার। কিন্তু নিজেকে সে রুদ্ধ করে রাখতে পারেনি। আত্মা যার সন্ধান লাভ করে অসীমের, নিজেকে রুদ্ধ রাখা তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব। স্বাধীন মানব তো চিরকাল সিন্ধুপ্রেমিক। 


একবার এক কৃষকের বাড়িতে ভুরিভোজের কারণে পিতা হরমুজের নিদারুণ ভর্ৎসনার শিকার হলেন তরুণ যুবা খসরু। অপরাধের জন্য বারবার ক্ষমা চাইলেন পিতার কাছে। কিন্তু পিতা হলেন দেশের রাজা। তিনি কি সহজে ক্ষমা করতে রাজি হন। অবশেষে প্রাথমিক ক্ষমা নিয়ে ঘুমোতে গেলেন রাতে। ওই রাতে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো তার। ওই রাতে তার স্বপ্নে এসে দেখা দিলেন তার দাদা আশিরবান। দাদু তাকে উপহার দিলেন বর, পরমাসুন্দরী এক স্ত্রী, যার নাম হবে শিরিন, যে রূপে হবে পৃথিবীর অদ্বিতীয়া। আর দিলেন শাবদিজ নামে দুরন্ত এক অশ্ব, যে ছুটতে পারে পবনকে পেছনে ফেলে। সেই সঙ্গে উপহার দিলেন বারবাদ নামে এক গায়ক, যে বীণার তারে সুর তুললে গান গাইতে জড়ো হয় রাজ্যের ফুল পতঙ্গ আর পাখপাখালিরা। আর সবশেষে দিলেন পারস্য নামে এক বিশাল রাজ্য।


সকালে উঠেই সবকিছু অবিশ্বাস্য মনে হলো তার। তবুও প্রাণের বন্ধু শাপুরকে সব খুলে বললেন তিনি। শাপুর ছবি আঁকে, চিত্রকর। তার শিল্পীমন। স্বপ্নই তার কাছে সৃষ্টির ডাকপিওন। বন্ধুর কথা শুনে সে তাকে জানাল আর্মেনিয়া রাজ্যের রানি মাহিন বানু আর তার ভাতিজি অপরূপা সুন্দরী শিরিনের নানা রকমের গল্প। শিরিন মানে মিষ্টি। শাপুরের মুখে শিরিনের নিখুঁত রূপের বিবরণ শুনে বিকারগ্রস্ত হলেন তরুণ খসরু। দিনরাত স্বপ্নে কেবল তাকেই দেখেন। কিন্তু তার তো প্রাসাদের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, পিতার কঠিন নিষেধাজ্ঞা। কী আর করা, তেপান্তর পাড়ি দিয়ে শাপুর একাই ছুটল শিরিনের সন্ধানে। সঙ্গে তার ঝোলার ভেতর ফ্রেমে বাঁধানো যুবরাজ খসরুর এক প্রতিকৃতি।


কিন্তু চাইলেই কি আর যে কেউ গিয়ে দেখা করতে পারে দেশের রাজকুমারীর সঙ্গে। সুতরাং বিস্তর ফন্দি করতে হলো শাপুরকে। অনেক কীর্তিকাণ্ড করে অবশেষে শিরিনের দেখা পাওয়া গেল একসময়। তাকে জানালেন নিজের অভিপ্রায়ের কথা। বন্ধুর অসহনীয় বিরহের কথা। অলিন্দের আড়ালে নিয়ে তাকে দেখালেন খসরুর প্রতিকৃতি। আর কী আশ্চর্য, একবার মাত্র ছবিখানা দেখেই জীবনে না দেখা রূপবান যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করলেন রাজকন্যা শিরিন। আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠল অজানা সুখের শিহরণে। জীবনের সব আনন্দ এক মুহূর্তে রূপ নিল বিষাদে। যুবরাজকে ছাড়া অর্থহীন হয়ে উঠল তার প্রতিটি ক্ষণ। সখীদের সান্নিধ্য বিষবৎ অনুভব হতে লাগল। প্রাসাদের অনুপম পাথরের দেয়াল তাকে পিষে ধরতে লাগল চারদিক থেকে। বিরহের জ্বালা সইতে না পেরে এক রাতে পালিয়ে গেলেন প্রাসাদ ছেড়ে। উদ্দেশ্য খসরুর রাজধানী মাদাইনে গিয়ে প্রিয়ের সঙ্গে মিলন।


এদিকে ততদিনে পারস্যের খসরুর বাবার রাগ পড়ে এসেছে। ছুটি মিলেছে খসরুর। খাঁচাভাঙা পাখির মতো উড়াল দিলেন তিনি। মুক্তি পাওয়া মাত্র একবস্ত্রে ছুটলেন আর্মেনিয়ার উদ্দেশে। সঙ্গে নিলেন না কাউকে। নিজের ভালোবাসা সম্বল করে বেরিয়ে পড়লেন পথে। শিরিনকে পেতে হবে যেকোনো প্রকারে এই তার পণ।


যেতে পথে শিরিনের সঙ্গেই কিন্তু দেখা হয়ে গেল তার। ঝরনার জলে ছায়া ফেলে সে তখন নিজের গা ধুয়ে নিচ্ছে। নির্জন প্রকৃতির মাঝে আলোর বিচ্ছুরণের মতো ফুটে বের হচ্ছে তার সৌন্দর্য। কিন্তু বিধির লিখন ভিন্ন, কে তারে খণ্ডাবে। খসরু নিজেও ছিলেন হতশ্রী কৃষকের বেশে। শিরিন তাকে দেখলেন কিন্তু চিনলেন না ওই দণ্ডে। হাতের কাছে পেয়েও এভাবে আবারও হারিয়ে ফেলল দুটি বিভ্রান্ত হূদয়। নিজেদের কাজ সমাপান্তে দুজনেই ফিরে গেলেন নিজেদের পথে। চলতে চলতে একসময় আর্মেনিয়া পৌঁছে গেলেন খসরু। সাধারণ বেশে প্রাসাদের ফটকে গিয়ে রানিমার সাক্ষাৎ চাইলেন। তাকে দেখা দিলেন রানি। নিজের পরিচয় দিলে ভিনদেশি রাজপুত্রকে স্বাগত জানালেন রানি সামিরা। অতিথি হিসেবে তাকে বরণ করে নিলেন প্রাসাদে। কিন্তু মনে শান্তি নেই খসরুর। দিনরাত হেথায় হোথায় খুঁজে বেড়ান, কিন্তু শিরিনকে তিনি পাচ্ছেন না কোথাও। কেউ জানে না সে কোথায়। অবশেষে একদিন জানা গেল তার খবর। সে পালিয়েছে প্রাসাদ ছেড়ে। অমনি ছুটলেন বন্ধু শাপুরের কাছে। যাও বন্ধু খুঁজে আনো তাকে। এদিকে, ততদিনে খসরুর রাজ্য থেকে ব্যর্থ হয়ে আবারও আর্মেনিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে শিরিন। জানতে পেরেছে যুবরাজ তারই সন্ধানে ছুটে গেছে তারই রাজ্যে। মনে মনে প্রার্থনা করছে যেন পথেই সাক্ষাত্ হয়ে যায় দুজনার। হয়তো তেমনই ঘটত। কিন্তু আর্মেনিয়ায় খবর এল আকস্মিকভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে তার পিতা হরমুজ। পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সামিরার প্রাসাদ ছেড়ে প্রায় একই সময় নিজ রাজ্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন খসরুও। এভাবে বারবার ছোটাছুটি আর ব্যর্থ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খসরুকে বিদ্রোহের মাধ্যমে সিংহাসনচ্যুত করলেন সেনাপতি বাহরাম। ফিরে আসার শপথ নিয়ে আপাত কৌশল হিসেবে আবারও আর্মেনিয়া পাড়ি জামলেন খসরু।


এবার কিন্তু শিরিনের সঙ্গে মিলনে আর কোনো বাধা রইল না তার। দুজনেই কাছে পেলেন দুজনাকে। প্রতীক্ষিত হূদয়ের সবগুলো জানালা খুলে দিলেন। মিলনেবিরহে পার হয়ে গেল বেশকিছু দিন। সবাই জানল দুজনের ভালোবাসার কথা। বিয়ের প্রস্তাব দিলেন যুবরাজ। যদিও অমত নেই, চট করেই তাকে বিয়েতে রাজি হলেন না শিরিন। শর্ত দিলেন দুষ্ট বাহরামের নিকট থেকে পুনরুদ্ধার করতে হবে নিজ রাজ্য। হারানো গৌরবের স্থলে পুনরায় অভিষিক্ত করতে হবে তাকে। তবেই মিলন। রাজি হলেন খসরু। শিরিনকে পাওয়ার জন্য পৃথিবীটাকে হারাতে হলেও কোনো কষ্ট নেই তার। দূরে যেতে বুক ফেটে যায়, তবু তাকে প্রাসাদে রেখে শক্তি সঞ্চয় করতে গেলেন কনস্ট্যান্টিনোপল। সেখানকার সিজার তার উপরোধ শুনে রাজি হলেন তাকে সাহায্য করার। তবে তারও আছে শর্ত একটি। যা-ই হোক আমি রাজি, জানালেন খসরু। তার মনে তখন একটাই চিন্তা। সিজারের শক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামবেন বাহরামের বিরুদ্ধে। ফিরিয়ে নেবেন রাজ্য। সেখানে তিনি হবেন রাজা আর রানি করবেন প্রিয় শিরিনকে। এবার তাহলে শর্তটা শোনা যাক। কী সেটা? তেমন কিছু না, সিজারের এক মেয়ে আছে মরিয়ম। বিয়ের যোগ্য তবে উপযুক্ত পাত্রের অভাব। তাকে বিয়ে করতে হবে। শুধু কি তাই, যতদিন জীবিত থাকবেন মরিয়ম, ততদিন অন্য দার পরিগ্রহ করতে পারবেন না খসরু।


কবির বয়ানে এই সময় কাহিনির মধ্যে ঢুকে পড়লেন ফরহাদ নামে অশান্তহূদয় এক ভাস্কর। পাথর খোদাইকর। সৌন্দর্যপিয়াসী যুবক এক পলক দেখামাত্র তুমুল প্রেমে পড়লেন অনিন্দ্যসুন্দরী শিরিনের। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিকের গল্প কিছুই অজানা রইল না রাজা খসরুর। তাকে ডেকে পাঠালেন একদিন। জানলেন তার ভালোবাসার অদম্য স্ফুরণের কথা। কিন্তু তাকে বধ করতে পারেন না তিনি। বুদ্ধি করে অসম্ভব এক দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন দূর পাহাড়ে। সেখানে কঠিন পাথর কেটে সিঁড়ি গড়ে তুলতে হবে শীর্ষ অবধি। তবে গোটা কাজটি তাকে করতে হবে একক পরিশ্রমে। যদি সে কোনোক্রমে সফল হতে পারে তাহলে শিরিনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও হতে পারে। রাজার আশ্বাসে প্রবল বিশ্বাসে ভর দিয়ে কাজে নেমে গেলেন ফরহাদ। দিনরাত অমানুষিক শ্রম দিয়ে অনেক বছর পর একদিন ঠিকই সিঁড়ি তৈরি করে করে পৌঁছে গেলেন পাহাড় চূড়ায়। রাজার কাছে খবর গেল অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে ফরহাদ। এবার তো শিরিনের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হবেন রাজা। খসরু দেখলেন মহাসংকট। প্রেম অজেয়। ফরহাদ তাকে দেখালো সেটা আরো একবার। কিন্তু শিরিন তো কেবলই তার! আর কারও হতে পারে না সে! কূটবুদ্ধি করে খবর পাঠালেন ফরহাদের কাছে, একদিনের জ্বরে ভুগে মারা গেছে শিরিন।


রাজদূতের মুখে এই খবর শুনে হতভম্ব হয়ে গেলেন ফরহাদ। তা কীভাবে হয়। গোটা জীবন বাজি রাখা হলো যার জন্য সে নিজেই নেই! নিজেকে সম্বরণ করতে পারলেন না ফরহাদ। ওই দণ্ডে পাহাড়চূড়া থেকে ঝাঁপ দিলেন অতল খাদের গহিনে। এভাবে নিজেকে ধ্বংস করে নিবিয়ে গেলেন প্রেমের অনির্বাণ হুতাশন। ফরহাদের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর জানিয়ে শিরিনকে চিঠি দিলেন খসরু। এ ঘটনার কিছুদিন পরই মারা যান খসরুর শর্তসাপেক্ষে বিয়ে করা স্ত্রী মরিয়ম। সমবেদনা জানিয়ে খসরুকেও পাল্টা চিঠি পাঠালেন রাজকুমারী শিরিন।


এসব ঘটনার পর শিরিনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কথা যখন ভাবছেন খসরু, ঠিক তখন ইস্পাহানের শিকারা নামে এক সুন্দরীর সঙ্গে আবারও অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন খসরু। ফলে আবারও অপেক্ষার ফেরে পড়ে গেলেন শিরিন। অবশেষে নিয়তি সদয় হলো তাদের ওপর। একদিন আবারও শিরিনের প্রাসাদে এসে পৌঁছালেন রাজা। কিন্তু হায়, এতদিন যার অপেক্ষায় বসে থেকে প্রহর গুনেছেন, শরাবের কারণে তার কাছেও যেতে পারলেন না তিনি। অশ্রু চেপে তুমুল মাতাল খসরুকে প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দিলেন শিরিন। শিকারাকে জড়িয়ে কটু কথা বলতেও ছাড়লেন না। মাতাল খসরু বারবার চেষ্টা করলেন নিজেকে ব্যাখ্যা করতে। বোঝানোর চেষ্টা করলেন রাজাদের অনেক কিছু করতে হয় রাজনৈতিক কারণে। অনেক মানুষের সঙ্গ বজায় রাখতে হয় তাদের। কিন্তু যত নারী থাক এ জীবনে শিরিনই তার একমাত্র আরাধ্য। কোনো কথাই শুনতে রাজি হলেন না রাজকুমারী। ব্যর্থ প্রত্যাখ্যাত পরিত্যক্ত হয়ে নিজের ডেরায় ফিরে এলেন আহত খসরু।


এরপর কাহিনিতে নানা ধরনের উত্থান পতন। শিরিনের মন গলানোর জন্য পণ ধরলেন খসরু। একবার বনে গিয়ে বিপদে পড়লেন রানি শিরিন। তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে বনরাজ সিংহ। বাঁচার পথ নেই বুঝি আর। এমনি সময় দেবদূতের মতো কোথা থেকে উদয় হলেন খসরু। কিন্তু হাতে কোনো হাতিয়ার নেই। অসীম সাহসী খসরু খালি হাতে লড়াই করে সিংহের গ্রাস থেকে শিরিনকে উদ্ধার করে আনলেন। অভিভূত হলেন শিরিন। এরপর বিয়েতে রাজি না হয়ে কি আর উপায় থাকে। মত দিলেন তিনিও। শুরু হলো বিয়ের প্রস্তুতি। এমনি সময় ভিলেনের মতো রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হলেন শিরোয়ে। মরিয়মের গর্ভে খসরুর ঔরসজাত পুত্র। ততদিনে যৌবনে পা দিয়েছে সেও। শিরিনের রূপের আগুনে এক মুহূর্তে পতঙ্গের মতো ঝলসে গেল শিরোয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী জ্ঞানে জন্মদাতা পিতাকে নির্বিকারে হত্যা করে ভয়ংকর বার্তা পাঠাল শিরিনের কাছে, এক সপ্তাহের ভেতর বিয়ে করতে হবে তাকে। দূতের মুখে বার্তা শুনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন শিরিন। খসরু ছিল তার প্রেম। তার ঔরসজাত সন্তানের সঙ্গে বিবাহ, জীবন থাকতে নয়! সুতীক্ষ ছুরিকা বুকে আমূল বিঁধিয়ে নিথর দেহ নিয়ে লুটিয়ে পড়লেন প্রাসাদের ঠাণ্ডা মেঝেতে। 


আজও এক কবরে একাত্মা সমাহিত হয়ে আছেন দুটি প্রাণ খসরু আর শিরিন,শুধু উপেক্ষিত থাকে ফরহাদ, করুন পরিনতি হয় তার একতরফা প্রেমের। 


____________________________________________

মার্ক অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা💗       (বিশ্ব সেরা প্রেম কাহিনী),,,জয় গুরু ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 💗মার্ক অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা💗

      (বিশ্ব সেরা প্রেম কাহিনী)

=======================


প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপুর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর মিশরীয় সভ্যতার নামের সাথে সমার্থক হয়ে আছে শুধু পিরামিড বা মমির ছবি নয়, আছে ফারাও রাজবংশের সর্বশেষ কিংবদন্তী রাণী ক্লিওপেট্রা- যা আজও এই সভ্যতার 'সিগনেচার' বলে গন্য করা হয়। তাকে ঘিরে ইতিহাসে বিতর্ক আর রহস্যের কোনো শেষ নেই। যেমন রহস্যময় তার জীবন ও রাজ্য শাসন তেমনি রহস্যময় তার প্রেম। ক্লিওপেট্রার প্রেম নিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক গল্প-অনেক কাহিনীর অবতারণা হয়েছে।  গল্প-কবিতা-উপন্যাসের পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রও। এমনকি মহান সাহিত্যিক শেক্সপিয়র পর্যন্ত অমর করে রেখেছেন রানী ক্লিওপেট্রার প্রেমকাহিনীকে তার অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রা নাটকে। শেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে স্যার হেনরি রাইডার, বা জর্জ বানার্ড শ, ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যকে বর্ণনা করেছেন অতুলনীয় রূপে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যত রূপসী নারীর কথা ইতিহাসের পাতায় উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে মিশরের সৌন্দর্যের রানী ক্লিওপেট্রার নাম সগৌরবে জ্বলজ্বল করছে। শুধু সৌন্দর্য নয়, বুদ্ধিমত্তায়ও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। জর্জ বানার্ড শ এর লেখা 'সিজার-ক্লিওপেট্রা' প্রাধান্য পেয়েছে ক্লিওপেট্রার প্রেম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আর প্রায় প্রত্যেকেই আশ্চর্য দক্ষতার সঙ্গে নিজস্ব স্টাইলে বর্ণনা করেছেন ক্লিওপেট্রার রূপের। বিখ্যাত লেখক হেনরি রাইডার হগার্ডের লেখা উপন্যাস ক্লিওপেট্রায় তিনি কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিলেও সেখানে ফুটে উঠেছে ক্লিওপেট্রার ব্যক্তিত্ব, উচ্চাভিলাষ আর কিছুটা নারীসুলভ অসহায়তা। এ ছাড়াও ক্লিওপেট্রার চরিত্র নিয়ে লিখেছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ড্রাইডেন প্লুটার্ক, ড্যানিয়েল প্রমুখ। ফলে হাজার হাজার বছর পরও ক্লিওপেট্রার প্রেম নিয়ে আলোচনা চলছে আজও। 


ক্লিওপেট্রা সপ্তম থিয়া ফিলোফেটর ছিলেন মিশরের একজন রানী এবং প্রাচীন মিশরের শেষ ফারাও। তার জন্মের আগেও ছয়জন ক্লিওপেট্রা ছিলেন, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তার মতো জায়গা করে নিতে পারেননি কেউই। গ্রীক শব্দ kleos এবং pater থেকেই ক্লিওপেট্রা নামের জন্ম, যার অর্থ হলো ‘গ্লোরি অফ দ্য ফাদার’। খ্রিস্টপূর্ব ৬৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ প্রথম টলেমি ছিলেন আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের অন্যতম সেনাপতি, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ সালে আলেক্সান্ডার মারা গেলে টলেমি বংশের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

রানী সপ্তম ক্লিওপেট্রা যেমন ছিলেন সৌন্দর্যে অতুলনীয়, তেমনি তার জীবন ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। তার পিতা, রাজা দ্বাদশ টলেমি মারা যাওয়ার পর তার দুই সন্তান ত্রয়োদশ টলেমি এবং সপ্তম ক্লিওপেট্রার মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেন। তৎকালীন নিয়মানুসারে, ক্লিওপেট্রা তার ভাই ত্রয়োদশ টলেমিকে বিয়ে করেন এবং একসাথে মিশর শাসন করতে থাকেন।

বিয়ের পর ক্লিওপেট্রা ও তার ভাইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক সুখকর ছিল না। তাছাড়া তখনকার মিশরের অবস্থা ছিল বিশৃঙ্খল। টলেমি ষড়যন্ত্র করে ক্লিওপেট্রাকে মিশর থেকে বিতাড়িত করে একাই রাজ্য শাসন করতে থাকেন। ধারণা করা হয়, ক্লিওপেট্রা তখন তৎকালীন সিরিয়ায় পালিয়ে যান নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য। তিনি সিরিয়ায় গিয়ে সৈন্য যোগাড় করতে থাকেন, যাতে হারানো সিংহাসন পুনরুদ্ধার করা যায়।


খ্রিস্টপূর্ব ৪৮ সাল; রোমান সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রাজা জুলিয়াস সিজার এবং বিদ্রোহী সেনাপতি পম্পেইয়ের সাথে। বিদ্রোহী সেনাপতি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেল তৎকালীন মিশরের রাজধানী আলেকজান্দ্রিয়ায়। মিশরের শাসক হিসেবে তখন সিংহাসনে ছিলেন ক্লিওপেট্রার ভাই ত্রয়োদশ টলেমি। তার হুকুমেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পরাজিত সৈনিক পম্পেইকে।

এর কিছুদিন পরেই জুলিয়াস সিজার তার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে রওনা হন মিশর দখলের জন্য। মিশরের সম্রাট টলেমি সিজারকে বাধা দিলেও জিততে পারলেন না। ক্লিওপেট্রা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছিলেন। তিনি যখন দেখলেন, রাজা জুলিয়াস সিজার মিশর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তিনি বুঝতে পারলেন, এটি তার জন্য বিশাল একটি সুযোগ। ক্লিওপেট্রা বুঝে গিয়েছিলেন, জুলিয়াস সিজারের দরকার মিশরের ধন-সম্পদ, আর তার দরকার ছিল মিশরের সিংহাসনের ক্ষমতা।


তাছাড়া জুলিয়াস সিজার ছিলেন রোমান সাম্রাজ্যর একক অধিপতি। ক্লিওপেট্রা যদি তাকে পাশে রাখতে পারেন, তাহলে তার সৈন্য বাহিনীর সাহায্যে সহজেই ভবিষ্যতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন। রানী ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্য এবং বুদ্ধিমত্তায় জুলিয়াস সিজার অভিভূত হয়ে তাকে পূর্ণ সমর্থন দেন এবং ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেন। সিজার রানীর প্রেমিক হিসেবেই প্রতীয়মান হন এবং মিশরের নিয়মনীতি এবং পুরোহিতদের প্রতি সম্মানার্থে ক্লিওপেট্রা তার ভাই চতুর্দশ টলেমিকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪-৪৭ পর্যন্ত।

সেই সময়ে ক্লিওপেট্রা তার প্রেমিক জুলিয়াস সিজারের এক ছেলের জন্ম দেন, যদিও জুলিয়াস সিজার প্রকাশ্যে কখনোই তাকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজারের আমন্ত্রণে ক্লিওপেট্রা তার ছেলে ও স্বামীসহ রোম ভ্রমণে যান। এ সময় ক্লিওপেট্রার প্রতি সিজারের মুগ্ধতা রোমান রাজনীতিকদের পছন্দ হয়নি। তারা সিজারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে রোমে অবস্থানকালেই সিজারকে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় ক্লিওপেট্রা চিন্তিত হয়ে পড়েন, কারণ সিজার ছিলেন তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটি অস্ত্র। তাছাড়া জুনিয়র সিজার ভবিষ্যতে রোমের রাজা হবে, এমন স্বপ্নই দেখতেন রানী।


জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পরও থেমে থাকেনি রানী ক্লিওপেট্রার ক্ষমতার মোহ। সৌন্দর্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রয়াসে আর সিংহাসনে নিজের আসন পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি এবার কাজে লাগাতে চাইলেন আরেক রোমান শাসক অ্যান্টনিকে। অ্যান্টনি ছিলেন রাজা জুলিয়াস সিজারের পরবর্তী রোমান শাসক। জুলিয়াসের মৃত্যুর পর রোমান সাম্রাজ্য তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যেহেতু রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতা চলে যায় তিনজন শক্তিশালী ব্যক্তির হাতে, যারা প্রত্যেকেই জুলিয়াস সিজারের জায়গা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েন। এই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন অক্টোভিয়ান, যিনি ছিলেন সিজারের ভাইপো, আরেকজন ছিলেন মার্ক অ্যান্টনি এবং মার্কাস লেপিডাস। ত্রিধাবিভক্ত এই সাম্রাজ্যের একভাগ ছিল পূর্ব মেডিটেরিয়ান অঞ্চল, যার মধ্যে মিশরও ছিল।


যদিও মার্ক অ্যান্টনির ক্ষমতার মধ্যেই ছিলেন মিশরে, তবুও মিশর শাসনের জন্য ক্লিওপেট্রার সম্মতি দরকার ছিল তার। অ্যান্টনির ধারণা ছিল, যদি তিনি জোর করে মিশর দখল করতে চান, তাহলে ক্লিওপেট্রা হয়তো তার শত্রুদের সাহায্য করতে পারে। অপরদিকে মিশরের ধন-সম্পদ দরকার ছিল, তাই তিনি ক্লিওপেট্রার সাথে সমঝোতায় আসার একটি উপায় খুঁজছিলেন। অ্যান্টনির পক্ষ থেকে রাজদূত ক্লিওপেট্রার জন্য চিঠি নিয়ে গেলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। কারণ তিনি ভালো করেই জানতেন, অ্যান্টনি তখন মুখিয়ে আছেন তার সাথে দেখা করার জন্য। তিনি অপেক্ষায় ছিলেন নিজের দাবি-দাওয়া পেশ করার একটা সুযোগের।

ক্লিওপেট্রার প্রয়োজন ছিল আরেকজন রোমান শাসকের, যিনি তাকে সাহায্য করবেন তার শত্রুদের ঘায়েল করতে। এত কিছুর পরেও যখন ক্লিওপেট্রা কোনো উত্তর দিলেন না, মার্ক অ্যান্টনি তখন আদেশ করলেন, ক্লিওপেট্রাকে তার প্রাসাদে দেখা করার জন্য। ক্লিওপেট্রা এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন। তিনিও আদেশ দিলেন সফরের জন্য নৌকা প্রস্তুতের।

বিশেষ সেই নৌকা প্রস্তুত হলো। নৌকাটি যেন কোনো ভাসমান প্রাসাদ ছিল। স্বর্ণনির্মিত, মুক্তাখচিত নৌকায় সিডনাস নদী পাড়ি দিয়ে রোমে যাচ্ছিলেন ক্লিওপেট্রা। নৌকার পালগুলো ছিল মূল্যবান সিল্কে বোনা। নৌকা যখন বাওয়া হচ্ছিল, তখন সুমধুর শব্দে চারদিক ভরে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, কোনো বংশীবাদক তার সুরেলা বাদ্য বাজাচ্ছে। ক্লিওপেট্রা নিজে পরেছিলেন গ্রীকদের প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির মতো মোহনীয় পোশাক, যার প্রতি ভাঁজে ভাঁজে ছিল প্রেম কিংবা কামের লেলিহান শিখা। রাজা অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রাকে তার প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং দূত মারফত অ্যান্টনিকে তার ভাসমান রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রণ জানায়। ক্লিওপেট্রা চাইছিলেন সাক্ষাতের সময়টা যথাসম্ভব মোহময় করে তুলতে।

রাজা অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের কীর্তন আগেই শুনেছিলেন লোকমুখে। কিন্তু তিনি যখন তার সামনে এসে দাঁড়ালেন, মনে হলো যেন খোদ প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি তার সামনে। সোনার পোশাকে মোড়া যেন কোনো স্বপ্নপুরী থেকে আগত মানবী, যিনি তার মনের মধ্যে প্রেমের জোয়ার এনে দিলেন। ধারণা করা হয়, ক্লিওপেট্রা ও রাজা অ্যান্টনি একে অপরকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন। ক্লিওপেট্রার এই কৌশলটিও কাজে লেগেছিল, অ্যান্টনি তার প্রেমে পাগল হয়ে তার সাথে আলেক্সান্দ্রিয়ায় বেশ অনেকটা সময় কাটালেন।


এ সময় অ্যান্টনি তার শত্রুদের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছলেন। এদিকে রোমানদের পছন্দ ছিল না ক্লিওপেট্রা এবং রাজা অ্যান্টনির এই সম্পর্ক। তারা অ্যান্টনির শত্রুদের সাথে মিলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। যদিও অ্যান্টনি চাচ্ছিলেন এই যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে, কিন্তু ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইতিহাসখ্যাত সেই অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ লেগেই যায় রাজা অ্যান্টনি আর রোমান সামাজ্যের অন্যান্য শাসকের মধ্যে।

এই যুদ্ধের মধ্যেই একটি গুজব ছড়ানো হয় যে, ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করেছেন। প্রেয়সীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজা অ্যান্টনি ভেঙে পড়েন, এবং তলোয়ারের আঘাতে নিজের জীবন শেষ করে দেন। তাছাড়া তখন যুদ্ধের অবস্থাও বেশ নাজুক ছিল। রাজা অ্যান্টনির পরাজয় ছিল নিশ্চিত। রাজার মৃত্যুর পর যুদ্ধে বিজয়ী হন রোমান সাম্রাজ্যের আরেক অধিপতি অক্টাভিয়ান।

অক্টাভিয়ান মিশর দখল করে নেন। এদিকে ক্লিওপেট্রা শোকে পাথর হয়ে ছিলেন, একে তো অ্যান্টনির মৃত্যু, আরেকদিকে পরাজয়ের লজ্জা। তখন তিনি বিভিন্ন উপায়ে আত্মহত্যা করতে চাইলেও পারেননি, কারণ অক্টাভিয়ানের সৈন্যরা তাকে পাহারায় রেখেছিল।


কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। খ্রিস্টপূর্ব ৩০ সাল; বন্দী ক্লিওপেট্রা বিষাক্ত মিশরীয় গোখরো সাপের (অ্যাম্প নামক এই সাপ লম্বায় কয়েক ইঞ্চি হলেও খুবই বিষাক্ত। কথিত আছে- এই সাপ তার কাছে ডুমুরের ঝুড়িতে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়) কামড়ে আত্মহত্যা করেন। অনেকের মতে, ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করেননি, বরং খুন হয়েছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতামত ভিন্ন হলেও একসময়ের ক্ষমতাধর রানীর যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জয় গুরু ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

ভুল টাইপিং করে জীবন শেষ।

 ভুল টাইপিং করে জীবন শেষ। 


বই অর্ডার দিতে গিয়ে ভুল করে বউ অর্ডার দিয়ে ফেললাম। কীভাবে এতো বড় একটা মিস্টেক হয়ে গেলো!


এবার আসল ঘটনায় যাই। একটা পেজে বইয়ের জন্য তাদের মেসেজ দিয়েছিলাম। তো সেখানে আমি বই লিখতে গিয়ে বউ লিখে ফেলছি, টাইপ মিস্টেক যেটাকে বলে আরকি। আমি মেসেজ টা ভালো ভাবে না পড়েই সেন্ট করি। মেসেজটা সেন্ট হওয়ার সাথে সাথে আমি লক্ষ্য করলাম যে আমি বইয়ের যায়গায় বউ লিখে ফেলছি। তারা এখনও আমার মেসেজ সিন করেনি, আমি মেসেজটি রিমুভ করার চেষ্টা করলাম। তখনই আমার একটা বন্ধু এসে আমাকে ধাক্কা দিতেই আমার হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে ডিসপ্লে চলে যায়। কপাল খারাপ হলে যা হয় আরকি! এদিকে মেসেজ ভুল করছি, আবার এখন ফোন নষ্ট হয়ে গেছে। মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গিয়েছে। কপাল এতো খারাপ যে টেনশনে আমি নিজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড ও ভুলে গেছি। এখন যে অন্যের ফোনে আইডি লগিন দিয়ে মেসেজ রিমুভ দেবো সেই উপায় ও নেই। আমি সময় নষ্ট না করে বাজারে চলে গেলাম। তারপর মোবাইলের দোকানে গিয়ে আমার সমস্যার কথা বললাম। তারা বললযে মোবাইলের ডিসপ্লে নাকি এখানে পাওয়া যাবেনা। তাদের একদিন সময় দিতে হবে। এটা শুনে আমি তো পুরো থ খেয়ে গেলাম। কি আর করার মনকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম। ওটা তো বইয়ের পেজ তারা হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। 


আমার সেই বন্ধু বলল -- ভাই বিশ্বাস কর আমি খেয়াল করিনি। তুই চিন্তা করিস না, তোর ফোনের যত টাকা খরচ হয় সব টাকা আমি দিয়ে দেবো। 


-- আরে ভাই টাকাটা বড় কথা না। আমি চিন্তা করছি অন্য কিছু নিয়ে। 


-- কি নিয়ে? গার্লফ্রেন্ড সমস্যা?  


-- আমার তো কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই। আসলে আমি একটা বইয়ের জন্য মেসেজ দিছিলাম, যে আমার একটা বউ লাগবে। আমি ওখানে বই লিখতে গেছিলাম। কিন্তু টাইপিং মিস্টেক হয়ে গিয়েছে। 


আমার কথা শুনে বন্ধু হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। 


-- আরে এতো চিন্তা করিস না। পেজে কেউ বউ অর্ডার করে নাকি? তারা বই পাঠাবে। যা বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নে। 


তারপর আমি বাড়িতে চলে এলাম। দোকানে মোবাইল জমা দিয়ে এসেছি কিন্তু সিম সাথেই ছিলো। কারণ সিমে জরুরী কল আসবে। একটা বাটন ফোনে সিম ব্যাবহার করছি। পরের দিন সকালে আমার ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো। 


-- হ্যালো কে বলছেন? 


-- জ্বী ভাইয়া আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে। আপনি যে ঠিকানা দিয়েছেন আমি সেখানে এসেছি। একটু তাড়াতাড়ি এসে আপনার পার্সেল টা নিয়ে যান। 


এই কথা বলে লোকটা কল কেটে দিয়েছে। আমি টেনশনে পড়ে গেছি। যাইহোক পার্সেল যেহেতু বলছে তাহলে অবশ্যই বই নিয়েই আসবে। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে গেলাম। আমি যে লোকেশন দিয়েছি লোকটা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে একা দেখে কিছুটা ভয় কেটে গিয়েছে। আমি তার সামনে যেতেই বলল, 


-- আপনি কি আমাদের পেজে একটা পার্সেল অর্ডার করছেন? 


-- জ্বী ভাই। 


-- আচ্ছা আপনি এক মিনিট দাঁড়ান, আপনার পার্সেল গাড়ির ভিতরে আছে। 


এটা শুনে আমার বুকের ভিতরে ধুকধুক শব্দ শুরু হলো। এরা সত্যি সত্যিই কি বউ নিয়ে এলো? সেটা কীভাবে হয়? হঠাৎ করে লোকটা গাড়ির ভিতর থেকে একটা মেয়েকে বের করে নিয়ে আসলেন। মেয়েটার পড়নে বউয়ের সাজ। এটা দেখে তো আমার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো অবস্থা। যেই ভয়টা এতক্ষণ পাচ্ছিলাম সেটাই হচ্ছে! 


মেয়েটাকে নিয়ে লোকটা আমার কাছে এসে বলল, 


-- এই-যে ভাই আপনার পার্সেল বুঝে নেন। আপনি এমন একটা জিনিস অর্ডার দিছেন যেটা আমাদের কাছে নেই। তাই আমাদের পেজের মালিক বাধ্য হয়ে তার নিজের বউকে দিয়ে দিছে। 


-- ভাই আসলে আমার একটা মিস্টেক হয়ে গিয়েছে। 


তারপর আমি লোকটাকে আমার সব ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা শুনে সে বলল, 


-- এখন তো আর কিছু করার নেই ভাই। আপনাকে রেখে দিতেই হবে। বিক্রি করা জিনিস আমরা ফেরত নেইনা। ওহ হ্যাঁ পার্সেলের সাথে একটা চিঠি ও আছে। 


আমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। 


চিঠি- প্রিয় গ্রাহক পত্রের শুরুতে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি এমন একটা জিনিস অর্ডার দিছেন যেটা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। কারণ এই বউয়ের যন্ত্রণায় আমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে আমি মুক্তি, আর সব থেকে বড় কথা আমরা আমাদের গ্রাহকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনা। আপনার আমাকে কোনো টাকা দিতে হবে না। এই প্রডাক্ট আপনাকে ফ্রী তে দেওয়া হলো। আপনি আমাকে বাঁচালেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের পেজের সাথে থাকুন। 


চিঠিটা পড়া শেষ করেই আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। 


সমাপ্ত। 


#টাইপিং_মিস্টেক 

লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

সংগ্রহীত

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...